কবে আসতে পারে করোনার ভ্যাকসিন, জানালো ডব্লিউএইচও
আন্তর্জাতিক ডেস্কসম্প্রতি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সাফল্যের পর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা জেগে উঠেছে। করোনার ভ্যাকসিন তৈরির এ প্রক্রিয়ায় খুশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও)।
এখন প্রশ্ন হলো, কবে নাগাদ করোনার ভ্যাকসিন পেতে পারে বিশ্ববাসী? এ ক্ষেত্রে ডব্লিউএইচও তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয়। কারণ, একাধিক পরীক্ষার পরেই নিরাপদ ভ্যাকসিন হাতে পাওয়া দরকার। তাড়াহুড়ো করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, করোনার প্রথম ভ্যাকসিন ২০২১ সালের আগে আশাই করা উচিত নয়। ২০২১ সালের শুরুর দিকে করোনা ভ্যাকসিন আশা করতে পারে বিশ্ববাসী। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ডব্লিউএইচওর জরুরি প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বুধবার (২২ জুলাই) জানান, ভ্যাকসিনের সুষম বণ্টনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
রায়ান বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন তৈরিতে ভালোভাবেই এগোচ্ছি। একাধিক ভ্যাকসিন এখন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। নিরাপত্তা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোনোটিই এখনো অসফল হয়নি। এটা ভালো দিক। তবে বাস্তবতা হলো, ভ্যাকসিনের জন্য আগামী বছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।’
মাবিক রায়ান আরো জানান, ভ্যাকসিন তৈরি ও বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ হতে হবে। কারণ এটা বিশ্ববাসীর ভালোর জন্য। করোনা মহামারির ভ্যাকসিন কেবল ধনী কিংবা গরিবের জন্য নয়, ভ্যাকসিন সবার জন্য।’
এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কর্মকর্তা।
মাইক রায়ান বলেন, ‘শিশুদের স্কুলে আনার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই আমাদের করতে হবে। আর, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ যা হতে পারে, তা হলো, গোষ্ঠী সংক্রমণ বন্ধ করা। কারণ, আপনি যদি গোষ্ঠী পর্যায়ে এ রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলেই আপনি স্কুল খুলতে পারবেন।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। শেষ খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৩২ হাজার ৬৩৮ জনে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের এক কোটি ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮০ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৫৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৬২ জন চিকিৎসাধীন এবং ৬৬ হাজার ২১৩ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯৪ লাখ ২৮ হাজার ২০৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3htB7Jc
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD