জার্মানিতে ‘সাদা সোনা’
সাদা সোনা হিসেবে খ্যাত লিথিয়াম। বিশ্বের লিথিয়াম মজুদের প্রায় ৫০ ভাগ আছে বলিভিয়ায় দক্ষিণে আন্দিজ পর্বতমালার একেবারে ওপরের দিকে। পটোসি নামে পরিচিত এই অঞ্চলটি কুইচুরা এবং আমারা আদিবাসীদের গরিব এলাকা। এই লিথিয়ামই হতে যাচ্ছে পরবর্তী বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তু।
আন্তর্জাতিক ডেস্কসাদা সোনা হিসেবে খ্যাত লিথিয়াম। বিশ্বের লিথিয়াম মজুদের প্রায় ৫০ ভাগ আছে বলিভিয়ায় দক্ষিণে আন্দিজ পর্বতমালার একেবারে ওপরের দিকে। পটোসি নামে পরিচিত এই অঞ্চলটি কুইচুরা এবং আমারা আদিবাসীদের গরিব এলাকা। এই লিথিয়ামই হতে যাচ্ছে পরবর্তী বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তু।
মোবাইল থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক কার- আজ ও আগামী দিনের প্রায় সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্রাণভোমরা যে ব্যাটারি, তার প্রধান রসদ লিথিয়াম।
এতদিন এই লিথিয়াম আমদানি করে নিজের চাহিদা মেটাতো জার্মানি। তবে বিজ্ঞানীদের সাফল্যে এখন সেই লিথিয়াম রফতানির স্বপ্নও দেখছে জার্মানি।
সম্প্রতি থার্মাল ওয়াটার থেকে লিথিয়াম আহরণের উপায় উদ্ভাবন করেছেন জার্মানির কার্ল্সিগফ্রুহে ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (কেটিটি) বিজ্ঞানীরা।
জানা গেছে, জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমের ওবারাইনগ্রাবেনের (আপার রাইন রিফ্ট ভ্যালি) মাটির গভীর থেকে থার্মাল ওয়াটার তুলে তা থেকে বের করা হয়েছে লিথিয়াম।
এক বিবৃতিতে কেটিটি জানিয়েছে, আমরা প্রতি লিটার (থার্মাল ওয়াটার) থেকে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লিথিয়াম বের করতে পেরেছি।
কেটিটির গবেষক ইয়েন্স গ্রিমার মনে করেন, মাটির নিজে যে পরিমাণ লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার পুরোটা উত্তোলন করা হলে তা দিয়ে জার্মানির চাহিদার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হবে।
মাটির নীচ থেকে লিথিয়াম উত্তোলনের সহজ একটা প্রযুক্তিও উদ্ভাবন করেছেন ইয়েন্স গ্রিমার ও তার সহকর্মী ফ্লোরেন্সিয়া সারাভিয়া। গ্রিমার-সারাভিয়া নামে পেটেন্টও করা হয়েছে। জার্মান দুই বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সহায়তায় প্রচলিত প্রযুক্তির তুলনায় অনেক সহজে এবং কম সময়ে, বেশি লিথিয়াম তোলা যাবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এইচ
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2CWTnvV
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD