মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে দেশবাসী ও বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব বিদেশি রাষ্ট্র ও জনগণ সহযোগিতা করেছিল, তাঁদের কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শ্রদ্ধা জানান জাতীয় চার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। একইসঙ্গে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত নারীকে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি।
আজ ২৫ মার্চ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। ওই ভয়াল ঘটনার শিকার সব শহীদকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও দশ বছরের শেখ রাসেল, কামাল ও জামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসেরসহ ১৫ আগস্ট নিহত সবাইকে স্মরণ করেন তিনি।
ভাষণে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, এবারের স্বাধীনতা দিবস এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত। ধনী বা দরিদ্র, উন্নত বা উন্নয়নশীল, ছোট বা বড়, সব দেশই আজ কমবেশি করোনা নামক এক ভয়ঙ্কর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশও এ সংক্রমণ থেকে মুক্ত নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমরা এবারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ভিন্নভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনসমাগম হয় এমন ধরনের সব অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনসহ সকল জেলায় শিশু সমাবেশ ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই কারণে আমরা মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনসমাগম না করে টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচার করেছি।’