মৌচাষের উপকারিতা, রক্ষণাবেক্ষণ ও কার্যকারিতা
সাদিয়া রহমানমৌমাছি পালন বিশ্বের অন্যতম একটি প্রাচীন পেশা এবং তুলনামূলক সহজ। প্রাথমিকভাবে বিনিয়গের পরে কম খরচে বছরের পর বছর লাভবান হওয়া সম্ভব, তাই মৌমাছি পালনকারীদের জন্য এটি যথেষ্ট ফলপ্রসূ। তাছাড়া নিজের জমিতে উৎপাদিত তাজা মধু উপভোগ করতে পারাও মন্দ নও! মৌমাছি পালনের নানাবিধ উপকারিতা ও তা রক্ষার নানা কৌশলাদি নিয়েই আজকের লিখাটি লিখতে চলেছি।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত যে, মৌমাছিরা ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন ২৫-৩০% বাড়িয়ে দেয়। তাই মৌমাছি পালন করা পরিবেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গ্রেঞ্জ কো-অপের মৌমাছি বিশেষজ্ঞ, হ্যাজেল থমাসের মতে, “মৌমাছি পালন মানুষের জন্য একটি বড় শখ। এটি লাভজনক, আকর্ষণীয় এবং ব্যয়বহুল নয়। এটির মূল্য ভালো এবং খুব অর্থনৈতিক। আগ্রহী হবার পর, যখন আপনি আপনার সরঞ্জাম পেয়েছেন তখন আপনি নিঃসন্দেহে এগিয়ে যেতে পারেন। আপনি দু তিন সপ্তাহের জন্য মৌবাক্স কে একা ছেড়ে যেতে পারেন কোনো প্রকার চিন্তা না করেই।”
মৌমাছি চাষের ইতিহাস
প্রাচীন কাল থেকে মৌমাছি চাষ করা হলেও, ১৮৫৩ সালে বিজ্ঞানী ল্যাংস্ট্রোথ আধুনিক পদ্ধতিতে মৌচাষ শুরু করেন এবং তাকেই আধুনিক মৌচাষের জনক বলা হয় । ১৮৮৪ সালে সর্বপ্রথম একজন ইংরেজ (নাম: ডকলাস) উপমহাদেশে মৌচাষের প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে ড.আক্তার হামিদ খান ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মৌচাষের সূচনা করেন । বাংলাদেশে ১৯৬৩ সালে বিসিক ( বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন) প্রথমবার মানুষকে মৌচাষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করে এবং এরপর থেকে বিভিন্ন সংস্থা মৌমাছি পালন বিষয়ে মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া, মৌবাক্স বিতরন করা ইত্যাদি কাজ চালিয়ে যায়।
মৌমাছি নিয়ে গবেষণা এবং গুণীজনদের বাণী
১৯৭৩ সালে অষ্ট্রিয়ান বিজ্ঞানি Karl Von-Frisch ‘Physiology or Medicine’ মৌমাছির জীবনচক্র’ নিয়ে গবেষনা করে নোবেল পান এবং একটি বই লিখেন যার নাম ‘The dancing bees’। তিনি প্রমাণ করেন যে, মৌমাছি তিন ধরনের। রানী মৌমাছি (সন্তান উৎপাদন করে), পুরুষ মৌমাছি (রানী মৌমাছিদের সঙ্গে প্রজননে সহায়তা করে) এবং কর্মী মৌমাছি (এরা বন্ধ্যা মৌমাছি । মৌচাক নির্মাণ, মধু সংগ্রহ সহ তাদের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে)। যখনই একটি কর্মী মৌমাছি নতুন কোন ফুলের বাগানের সন্ধান পায়, তখনই অন্য কর্মী মৌমাছিদের নতুন এই ফুলের বাগানের সঠিক দিক নির্দেশনা জানিয়ে দেয়।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর বলেন, “সকল পানীয় উপাদানের মধ্যে মধু সর্বোৎকৃষ্ঠ।”
এ কথা দ্বারা স্পষ্ট যে মধু নিঃসন্দেহে উপকারি । পরবর্তীতে বিজ্ঞানের গবেষনা দ্বারা মধুতে উপস্থিত উপাদান গুলো সম্পর্কে জানা যায়। চলুন জেনে নেই সেগুলো: মধুর প্রধান উপকরণ হলো সুগার, যার মধ্যে ডেক্সট্রোজ,, ম্যালটোজ, গ্লুকোজ, লেভিউলোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। প্রতি ১০০গ্রাম মধুতে ২৮০-৩০৪ গ্রাম ক্যালরি পাওয়া যায়। মধুতে নিয়াসিন, রাইবোফ্লাভিন ,ভিটামিন বি, এমাইনো এসিড, প্যান্টোথেনিক রয়েছে, এছাড়াও ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফরফরাস, পটাশিয়াম, দস্তা, তামা ইত্যাদি খনিজে ভরপুর মধু। মধুতে কোন ফ্যাট বা কোলেস্টেরল থাকেনা। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু আক্রমণ রোধ করে কিংবা প্রতিকার করতে পারে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মৌমাছিপালন কিংবা মৌচাষের উপকারিতা
উৎপাদিত সুস্বাদু মধু : মধু ৪৫ রকমের খাদ্য উপাদান বহন সহ পুষ্টিতে ভরা একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি তরল। মধু সেবনে সর্দি কাশি উপশম হয় (এক চা চামচ মধু + এক চা চামচ বাসক পাতার রস/তুলসী পাতার রস/ আদার রস/আমলকী), আমাশয় ও পাতলা পায়খানা ভালো হয় (গরম পানি + দুই-আড়াই চামচ মধু মিশিয়ে বারবার খেতে হবে)। শরীরের চর্বি কমায় ( রোজ সকালে গরম পানি +এক চা চামচ লেবুর রস + এক চা চামচ সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে হবে)। এছাড়াও মধু স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ক্ষতের চিকিৎসায় মধু ব্যবহার করা হয়, অ্যালার্জি থেকে মুক্তিতেও মধু দারুন কাজ করে, ত্বকের সমস্যায় মধুর ব্যবহার কার্যকরী এবং পুরোনো, মাথায় খুশকির সমস্যাও মধু ব্যবহারে সমাধান হয়, এমনকি মধু খেলে আয়ু বৃদ্ধি পায়।
মোম: মোম মৌচাকের একটি পণ্য। মোমবাতি, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরিতে (ক্রিম, লিপস্টিক) ইত্যাদিতে মোম ব্যবহার করা হয়।
মৌমাছির বিষ: মৌমাছিদের বিষও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে - মৌমাছি স্টিং থেরাপিতে। বাত রোগ এবং বাতজনিত / অন্যান্য প্রদাহজনক / চিকিৎসা পরিস্থিতিতে ভোগা রোগীদের সাফল্যের সাথে পরিচালিত হয়।
পরাগায়নের সুবিধা: নিজস্ব বাগানে মৌমাছি পালনের একটা বড় সুবিধা হলো এরা পরাগায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে, ফলে বাগানের উৎপাদন ফল,সবজি স্থানীয় অর্থনীতিতে সহায়তা করে।
রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন কম: মৌমাছিরা কঠোর পরিশ্রম করে এবং এদের সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয়, খুব একটা খেয়াল রাখা কিংবা সবসময় সময় দিয়ে রক্ষনাবেক্ষন করার দরকার হয়না।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায়: প্রাকৃতিক জীবন প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ায় মৌমাছি ফুল পরাগায়িত করে এবং উপকারী মধু তৈরি করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য কে গভীরভাবে সন্তুষ্ট রাখে।
মৌচাষে বিনিয়োগ ও লাভ
প্রকৃতিতে চার প্রকারের মৌমাছি পাওয়া যায়। সেগুলো হলো- অ্যাপিস মেলিফেরা, অ্যাপিস সেরানা অ্যাপিস ডরসেটা ও অ্যাপিস ফ্লোরিয়া । বাংলাদেশে অ্যাপিস সেরানা প্রজাতির ৫টি মৌ বাক্স স্থাপন এবং সরঞ্জামাদি জন্য মোট বিনিয়োগ করতে হবে ১৫-১৬ হাজার টাকা। প্রতি বছর ৫-১০ কেজি মধু উৎপাদিত হয় এবং ১০-১৫ বছর অবধি অব্যাহত থাকবে ।
অন্যদিকে অ্যাপিস মেলিফেরা প্রজাতির ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যয় হবে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা। এক্ষেত্রেও ১০-১৫ বছর পর্যন্ত আর তেমন কোন অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না। মেলিফেরা প্রজাতির প্রতিটি মৌ-বাক্স থেকে বছরে ৫০ কেজি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রতি কেজি মধুর মূল্য অবস্থান এবং গুনমানভেদে ২৫০-৩৫০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
বাংলাদেশে মৌচাষের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও সম্ভাবনা
দেশে মধু উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে প্রায় ১৮ হাজার মৌচাষি। চাষি ছাড়াও বিভিন্নভাবে মধু শিল্পে কর্মরত আছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারাদেশে মৌ চাষের আওতায় জমির পরিমাণ ৮৯,০৩৭ হেক্টর। বর্তমানে ২ হাজার মৌ খামার ও ৫৬,৬৮৮ টি মৌবাক্স স্থাপিত রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১,১৫১ জন সক্রিয় মৌখামাড়ি মৌ পালনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। ৭ টি বেসরকারি মধু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৭টি মৌচাষিদের সংগঠন রয়েছে।
বর্তমানে উৎপাদিত মধুর পরিমাণ প্রায় ৭০০-৮০০ মেট্রিক টন। (সূত্র: AIS)
২০১৯-২০ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মধু উৎপাদনে শীর্ষ দেশ চীন। এশিয়ার মাঝে ভিয়েতনাম এবং ভারতের মধু রপ্তানীতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য স্থান। দেশের বাজারে মধু সরবরাহের পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন ভারত, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ইত্যাদি দেশে মধু রপ্তানি করছে। মধু রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৩ তম এবং আমদানিতে ৬৬ তম।
দেখা গেছে, বাংলাদেশে যে পরিমাণ জমিতে সরিষা, লিচু, আম, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয় তার মাত্র ১০ ভাগ জমিতে মৌ চাষ হয়। তাই বলা যায় যে, মধু চাষে বাংলাদেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। শতভাগ জমি যদি মৌ চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে ফসল উৎপাদন যেভাবে বাড়বে, মধু উৎপাদনও অনুরুপভাবে বাড়বে।
মৌমাছি রক্ষায় করণীয়:
মৌমাছি রক্ষায় ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেরই সমান ভূমিকা রয়েছে। নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ করছি-
বাগান তৈরি: মৌমাছির অন্যতম বড় হুমকি হলো, নিরাপদ আবাসের অভাব, যেখানে তারা ঘর তৈরি করতে পারবে। গ্রামাঞ্চলে গাছপালা, ক্ষেত কিংবা কিছু বন জঙ্গল থাকায় মৌমাছিরা আবাস স্থল পেয়ে যায়, কিন্তু শহরাঞ্চলে বড় বড় দালানের ভিড়ে এটা সম্ভব হয়না। ক্রমশই গ্রামগুলো শহরে পরিনত হওয়ায় মৌমাছিরা অসহায় হয়ে পড়ছে। মৌমাছি বিভিন্ন ধরণের খাবারের পুষ্টিকর উৎস খুঁজে পেলেই সেই স্থানের কাছে বাসা বাঁধে, সেক্ষেত্রে একটি বাগান তৈরি ই হতে পারে মৌমাছি রক্ষার প্রথম ধাপ। মৌমাছি চাষ করতে চাইলে বাগানের বিকল্প নেই। তবে প্রাকৃতিক মৌমাছির কথা ভেবে বাগান না তৈরি করতে পারলেও প্রত্যেকটি বাড়ির বারান্দায় কিংবা ছাদে লাগানো যেতে পারে নানান ফুল, ফল এবং সবজির গাছ তাতে করে খাবারের অভাব বোধ না করে শহরাঞ্চলেও মৌমাছিরা বাসা বাধতে পারবে নিশ্চিন্তে!
মৌমাছি বাথ তৈরি: মৌমাছি এবং অন্যান্য উপকারী মাছি/প্রজাপতিরা মধু খেয়ে কিংবা সংগ্রহ করে বেশ তৃষ্ণার্ত থাকে, তাই বাগানের ছায়াযুক্ত স্থানে একটা বাথ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে একটি অগভীর বাটি নিয়ে তাতে কয়েকটি নুড়ি পাথর দিতে হবে এবং জল দ্বারা পূর্ন করে দিতে হবে, যেন মৌমাছিরা সেখান থেকে পানি খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারে। প্রতিদিন বাটিতে পানি বদলে দিতে হবে এবং বাটি মাঝেমাঝে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার রোধ: ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে লোকালয়ে আশঙ্কাজনকভাবে মৌমাছির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এতে ফসলের ফলনও কমে যাচ্ছে। মৌমাছি আশেপাশের ফসল এবং শোভাময় উদ্ভিদের ফুলগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করে পরাগায়ন ঘটায় তাই মৌমাছি কে দুর্বল করতে পারে এমন পদার্থগুলো ব্যবহার না করা অত্যাবশ্যক। রাসায়নিক বালাইনাশল এর প্রভাবে মৌমাছি রা মারা যায়। জৈব বালাইনাশক প্রকৃতির উপাদান থেকে তৈরি করা হয়, যেমন— অ্যালামান্ডার নির্যাস, রসুন, নিমগাছের ডাল, পাতা ও রস, তামাক, মুরগির পচনশীল বিষ্ঠা, সরিষার খৈল, লাইমো ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন ধরনের অণুজীব ও জীবাণু। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে কৃষিকাজ করা শুরু করতে হবে। যেসব কৃষক জৈবিকভাবে ফসল উৎপাদন করে তাদেরকেও একইসঙ্গে সমর্থন করতে হবে। তাদের পন্য বেশি মাত্রায় কিনে।
মৌচাষীদের সাহায্য করা: সময় কিংবা জায়গার সল্পতার জন্য সবার পক্ষে হয়তো মৌমাছি পালন সম্ভব হয়না, কিন্তু খরা কিংবা অন্যান্য জটিলতায় কাছাকাছি মৌচাষে উদ্যোগীদের যেন ব্যবসায় কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য যতটুকু সম্ভব সাহায্য করতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দান: স্থানীয় মধু কিনে স্থানীয় মৌমাছি পালনকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। বিভিন্ন কোম্পানীর দেশ বিদেশ থেকে আসা মধুর বিপরীতে, সরাসরি চাক ভেঙে আনা কাঁচা মধু ক্রয় করে মধু চাষীদের উৎসাহ দিতে হবে। মৌমাছি পালনের বহুল প্রচলন আমাদের দেশের বেকারত্ব নিরসনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হতেই পারে। আর যদি মৌচাষ ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা আশীর্বাদ স্বরূপই বিবেচিত হবে। সরকার, আধুনিক মিডিয়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবাই এই সেক্টরে মনযোগ দিলে দ্রুতই এর প্রভূত উন্নতি সম্ভব।
লেখক: সাদিয়া রহমান, শিক্ষার্থী, এগ্রিকালচার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/30Xzkp6
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD