আনারস হচ্ছে ঔষধিগুণসম্পন্ন ফল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে খেতে পারেন রসাল ফল আনারস।
এই ফলের জুসে আলাদা করে চিনি দিতে হয় না। আনারসে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড শরীরে ভিটামিন সি’র চাহিদা পূরণ করে, যা সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধে খুব প্রয়োজন।
আনারস জ্বর-ঠাণ্ডা সারাতে খুবই উপকারী। এ ছাড়া হার্ট ভালো রাখে, ক্ষত সারাতে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ও পেশির ব্যথাসহ রক্তকে হঠাৎ করে জমাট বাঁধতে দেয় না।
আনারসের উপকারিতা-
১. এই ফল অতিরিক্ত ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খেতে পারেন।
২. আনারসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ডেড সেল দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়, অ্যান্টিএজিংয়ের কাজ করে এবং ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাসটিসিটি ধরে রাখে। এ ছাড়া তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপ লাবণ্যের যত্নে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
৩. আনারসে থাকা ব্রোমেলিন উচ্চরক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অ্যাসপিরিনের বিকল্প হিসেবেও কাজ করে আনারস।
৪. প্রচুর ভিটামিন সি ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া জ্বর ও জন্ডিসের প্রকোপ কমাতে আনারস বেশ উপকারী। নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস কাজ করে।
৫. এই ফলে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। মাড়ির সমস্যা ও দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয়।
৬ পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল হচ্ছে এ আনারস। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি-৬, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিন। এসব অপরিহার্য উপাদান দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে।
৭. দেহের কোষের ওপর ফ্রি-রেডিকেলের বিরূপ প্রভাবে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে, যা প্রতিরোধ করে আনারস। এ ছাড়া আনারসে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের রেটিনাকে ভালো রাখে।