ত্যাগের ঈদে করোনামুক্ত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুতি
করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শনিবার (১ আগস্ট) দেশের মসজিদে মসজিদে লাখো মুসল্লি ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে ছিল করোনামুক্তির প্রার্থনা ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুতি। নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নগরবাসী।
জাতীয়
নিজস্ব প্রতিবেদককরোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শনিবার (১ আগস্ট) দেশের মসজিদে মসজিদে লাখো মুসল্লি ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে মোনাজাতে ছিল করোনামুক্তির প্রার্থনা ও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুতি। নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নগরবাসী।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এবারের ঈদের প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়। মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান এতে ইমামতি করেন।
নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।
মোনাজাতে মিজানুর রহমান বলেন, আল্লাহ যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন, তাদের আপনি শাহাদাতের মর্যাদা দান করে দিন। হে আল্লাহ, যারা অসুস্থ আছেন, দয়া করে তাদের শেফা দান করে দিন।
তিনি বলেন, এই বিমারি থেকে, রোগ ব্যাধি থেকে আমাদের সবাইকে হেফাজত করে স্বাভাবিক জীবন যাপনের তওফিক দিন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঈদুল ফিতরের মতো এবারও ঈদগাহ বা খোলা ময়দানে ঈদের জামাত করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ মসজিদে মসজিদেই হচ্ছে।
শারীরিক দূরত্ব রেখে কাতার করতে হয়েছে বলে ভেতরে জায়গা না পেয়ে মসজিদের বাইরের প্রাঙ্গণেও অনেককে নামাজে দাঁড়াতে দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস অতি সংক্রামক বলে মাস্ক পরিধানসহ বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে নামাজ পড়তে হয়েছে সবাইকে। নামাজ শেষে কোলাকুলি বা হাত মেলাতে দেখা যায়নি।
বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭টায় ঈদের প্রধান জামাতের পর ৭টা ৫০ মিনিটে, ৮টা ৪৫ মিনিটে, ৯টা ৩৫ মিনিটে, ১০টা ৩০ মিনিটে এবং ১১টা ১০ মিনিটে ধারাবাহিকভাবে আরও পাঁচটি জামাত হয়।
মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব
ঈদের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মুসল্লিরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেও, মসজিদ ত্যাগের সময় তা আর যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুসল্লিরা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে মসজিদে প্রবেশ করছেন। একইভাবে নামাজ শেষ গা-ঘেঁষে বের হচ্ছেন। নামাজ শেষে হুড়োহুড়ি করে উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের তিনটি পথ দিয়ে মসজিদ থেকে মুসল্লিদের বের হতে দেখা গেছে।
ঈদের নামাজের জন্য বায়তুল মোকাররমে পূর্ব, দক্ষিণ ও উত্তরের গেটে একটি করে দরজা খোলা রাখা হয়। প্রবেশমুখে বসানো হয় জীবাণুনাশক কক্ষ। সেসব কক্ষের ভেতর দিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে মসজিদে ঢোকেন মুসল্লিরা। একটি করে প্রবেশপথ থাকায় মুসল্লিরা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে মসজিদে প্রবেশ করেন। একইভাবে নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে একে অপরের গায়ে এসে পড়েন।
নামাজ শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত নগরবাসী
মসজিদে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। কাকডাকা ভোরে ঘুম ভেঙে পশুকে কোরবানি করার জন্য গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
এছাড়া নিজেরাও গোসল করে জামা কাপড় পরিধান করে এবং আঁতর সুগন্ধি মেখে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের ছুটে চলেছেন। নামাজ আদায় শেষে মুসল্লিরা কুরবানির পশু জবাইয়ের ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এইচ
পূর্বপশ্চিম পড়তে ক্লিক করুন https://ppbd.news
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/33eb8Sf
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD