মোঃ মিজানুর রহমান
(রাজশাহী বাগমারা প্রতিনিধি):
চলছে বর্ষাকাল বৃষ্টি ধারাতে চারদিকে বৃষ্টি ফোটায় ফোটায় সমাহোর দীর্ঘ কয়েকদিন হতে বৃষ্টি পরিমাণ অনেক টা বেশি রাজশাহী জেলা সহ সব জেলাতে অনেক বেশি পরিমাণ বৃদ্ধি হয়েছে গতবারের তুলনায়।
রাজশাহী বাগমারা সুপরিচিত একটি নদী বারনই নদী। দীর্ঘ কয়েকবছরে তুলনা এবার অনেক বেশি বারনই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে যা স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন তারা ১৯৯৬ সালের বন্যায় রুপ নিয়েছে অনেকটা বারনই নদীর পানি যা অনেক টা বিপদের আসঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তারা বলেন গত কয়েকবছরে এমন পানি তারা কখনোই নদীতে দেখেন নাই।নদীর পানি আশেপাশে খালবিল ভরে গিয়েছে এবং যে স্থানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত অনেক টা পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বাঁধ ভেঙ্গে বিলে পানি প্রবেশ করছে এমনটাই হয়েছে আজ রামরামা বরজপাড়া পাশে একটি বিলে যা ধান ফলানোর জন্য চাষ করা হয়েছিলো ১০০ হেক্টর মতো জমি তৈরি করা হয়েছিলো ধান চাষের জন্য। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষীরা। অনেকে সকালে এসে ধানের চারা রোপণ করেছেন কিন্তু সকাল ৮.৩০ মিনিটে বারনই নদীতে ইটের দিয়ে বাঁধের মাধ্যমে বাধা দেওয়া হয়েছিলো। যা নদী পানি বৃদ্ধি সাথে সাথে অধিক পানি বৃদ্ধি হওয়ার জন্য বাঁধ ভেঙ্গে বিলে পানি প্রবেশ করে যা কৃষকের চাষ জমি ফসল রোপণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিবনদের টেংরা নামক স্থানের বাঁধ কেটে দেয়ার ফলে সরাসরি বাগমারায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো বাগমারাবাসীও পড়েছে বন্যার কবলে। বন্যা কবলিত হয়েছে উপজেলার গোবিন্দপাড়া, নরদাশ, আউচপাড়া, সোনাডাঙ্গা, গনিপুর শুভডাঙ্গা, কাচারী কোয়ালীপাড়া, শ্রীপুর, তাহেরপুর পৌরসভার কিছু অংশ, ভবানীগঞ্জ পৌর সভার বিভিন্ন এলাকা, বাসুপাড়া, দ্বীপপুর, যোগীপাড়া, গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন। প্রতি মুহুর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে বন্যা কবলিত এলাকার সংখ্যা। বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধান, পাট, বিভিন্ন সবজি ক্ষেত, পুকুর- সহ পান বরজ।
বন্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে লোকজনের বাড়িতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে পানি। বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় আরামের ঘুম হারা হয়ে পড়েছে পানি বন্দি মানুষের। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানির নীচে তলিয়ে গেছে। এলাকার লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে, গরু, ছাগল নিয়ে বিভিন্ন বাঁধে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা নিচ্ছেন। বন্যা কবলিত এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ গুলো দুর্বলের কারনে সেখানে মানুষ আশ্রয় নিতে ভয় পাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কোন বাঁধ বন্যার পানির আগেই ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, উজান থেকে বন্যার পানি এসে বাগমারার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শুরু করেছি। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, বন্যার কারনে উপজেলাবাসী যেন সমস্যায় না পড়েন সে জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দকে সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে জেলা প্রশাসক সহ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। বন্যার কারনে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন অবহেলার শিকার না সে কারনে জরুরি প্রয়োজনে সব রকমের সহযোগিতা প্রদানের জন্যও বলা হয়েছে।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2CJrG9i
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ