স্পেনে ফের করোনা আতঙ্ক, এক সপ্তাহে ২০ বাংলাদেশি আক্রান্ত
কবির আল মাহমুদ, স্পেনবৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বিশ্ব। মৃত্যুর সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। স্পেনেও তার কম নয়। সম্প্রতি মহামারি এই ভাইরাসের ভয়াবহ আক্রমণ থেকে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরেছে ইউরোপের দেশ স্পেন। টানা তিনমাসের বন্দিজীবন কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বুনেছিল করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়া ইউরোপের এই উন্নত রাষ্ট্র। কঠিন শ্বাসরুদ্ধকর এই পরিস্থিতি থেকে উঠে আসতে না আসতেই আবার পড়েছে করোনার ভয়াল থাবা। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে হাজারও মানুষ।
স্পেনের অনেক শহরে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় রাজ্য কেন্দ্রিক আবারও এসেছে নতুন ঘোষণা। দেশটির কাতালোনিয়া প্রদেশের (Lelida, Lugo Mariña) শহর বেশি আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় গত ১ সপ্তাহে ২০ জনের বেশি বাংলাদেশী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের প্রায় সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেই।
আক্রান্তের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের রেদওয়ান আহমেদের স্ত্রী শাহজাদী বেগম (২৬), ভাগিনা শুভ উদ্দিন, ভগ্নিপতি সালাহ উদ্দিনের রক্ত পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। তার ভগ্নিপতি সালাহ উদ্দিন এক সপ্তাহ আগে লন্ডন থেকে বিমানযোগে বার্সেলোনায় আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মেডিকেল পরীক্ষার পর তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে এবং পরে বাকিরা কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হন।
এছাড়া শরিয়তপুরের রাজু আহমেদ, গোপালগঞ্জের শামিম আরা বেগম, নোয়াখালীর একই পরিবারের দুইজন, মৌলভীবাজারের একজনসহ মোট ২০ জনের অধিক বাংলাদেশীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশীদের মধ্যে অনেকেই করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়েছেন, যাদের অনেকের পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
স্পেনে করোনামহামারীর প্রথম সংক্রমনের সময় বার্সেলোনার বাংলাদেশীদের আক্রান্তদের সেবা ও খাদ্য সহযোগিতা দানকারী সংগঠন হেল্পিং হেন্ডস্। সংগঠনের সমন্বয়ক সদস্য শফিক খান জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যেই বার্সেলোনার বাংলাদেশী কনস্যুলেটর রামন পেদ্রোর সাথে সংগঠনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেছেন। আক্রান্ত বাংলাদেশীদের জন্য আলাদা বাসার ব্যবস্থা করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ আক্রান্তদের সেবা সুশ্রুষা ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য তারা এগিয়ে আসার প্রচেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২ সপ্তাহ ধরে স্পেনে দ্বিতীয় বারের মতো করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রায় ২ শতাধিক স্থানে কোভিড-১৯ সক্রিয় আছে। পর্যটন নগরী বার্সেলোনা তথা কাতালোনিয়া প্রদেশেরআক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পুরো স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যার অর্ধেকের কাছাকাছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2Ei64C1
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD