অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের পরীক্ষার ফল জানা যাবে আজ
পূর্বপশ্চিম ডেস্ককরোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গবেষণায় নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা আশার কথা শুনিয়েছেন। ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট আস্ট্রাজেনেকারের সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনেরও চুক্তি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনটির মানবদেহে প্রথম দুটি ধাপের পরীক্ষার বৈজ্ঞানিক ও বিস্তারিত ফল জানা যায়নি। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। বহু প্রতীক্ষিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে আজ সোমবার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকাশিত হবে প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বিস্তারিত প্রতিবেদন।
অক্সফোর্ড ও এস্ট্রাজেনেকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে ব্রাজিলে এ টিকাটি তৃতীয় ধাপে মানবদেহে পরীক্ষা চলছে। অক্সফোর্ডে ভ্যাকসিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ মাসের প্রথম দিকে জানিয়েছিলেন, মানবদেহে এই টিকার যে ইমিনিউ রেসপন্স তারা দেখছেন তা আশাব্যঞ্জক। তারা তখন জুলাইয়ের শেষ দিকে প্রথম ধাপের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কথা জানিয়েছিলেন।
আরেকটি আশাব্যঞ্জক খবর হচ্ছে, অক্সফোর্ডে ভ্যাকসিন মানবদেহে দুইগুণ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করবে। এতে উচ্চ সংক্রমনশীল ভাইরাসটি থেকে মুক্তি নিশ্চিত হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনে মানবদেহে এন্টিবডি গঠনের পাশাপাশি কিলার টি সেলের উৎপাদনও বাড়াবে। ফলে করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ইমিউনিটি ধরে রাখার বিষয়ে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন গবেষকরা।
তবে সব থেকে আশার খবর হচ্ছে যে, অক্সফোর্ড হয়তো এই বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পুরোপুরি কার্যকর ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসতে পারবে। এই লক্ষ্যমাত্রাই ধরে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা অনুমোদন করা কমিটির প্রধান ড্যাভিড কারপেন্টার। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। আজ সোমবারই প্রথমবারের মতো ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে প্রথমবারের মতো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছিল এপ্রিল থেকেই। প্রথম দু’জনের শরীরে ইনজেক্ট করা হয়েছিল ভ্যাকসিন। তাদের মধ্যে একজন নারী বিজ্ঞানী এলিসা গ্রানাটো। তারপর প্রথম পর্যায়ে স্বল্পসংখ্যক মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবীর দেহে প্রয়োগ করা হয়। এই দুই পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট ইতিবাচক বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছিল অক্সফোর্ড। এই পর্যায়ের ট্রায়ালেও ভ্যাকসিনের প্রভাব সন্তোষজনক বলেই দাবি করা হয়েছে। যদিও টিকার ডোজ বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে আনা হয়নি। বিশ্বের দুই শতাধিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবন প্রচেষ্টার মধ্যে যে ১৪টি মানুষের শরীরে ট্রায়াল করা হয়েছে তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ডই সব থেকে এগিয়ে রয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3fLBkqC
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD