শহিদুল ইসলাম,গোদাগাড়ী:
গোদাগাড়ীতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন যোগদান করেই চমক দেখালেন। আদায় করলেন কোটি টাকার রাজস্ব। গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার খাস পুকুর আছে। পর্যায়ক্রমে পুকুরগুলো লীজের আওতায় আসলেও বড় বড় কালদিঘী, মানদিঘী, পুকুরগুলো লীজের আওতায় আসতো না এবারেই প্রথম লীজের আওতায় এনে কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। ইউএনও আলমগীর হোসেনের বলিষ্ঠ ভূমিকায় উপজেলা প্রশাসনে আবারো ব্যপক স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতা ফিরে এসেছে। এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গুটি কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হলেও উপকার পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে অল্প দিনেই ‘আস্থার প্রতিক’ হয়ে উঠেছেন গোদাগাড়ীর ইউএনও মোঃ আলমগীর হোসেন। জানা গেছে, গত ১৪ জুন গোদাগাড়ীর দায়িত্ব নেন এই সরকারি কর্মকর্তা। যোগদানের পরপরই গোদাগাড়ীর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে নিয়মিত তদারকি করছেন। এরপর ন্যায়, নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে অল্প দিনেই সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন। এই খাত থেকে প্রায় কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব পেয়েছে সরকার। এছাড়া তিনি উপজেলার অধিকাংশ সরকারি খাস পুকুর লীজ দিয়েছেন। এই সব পুকুরের অধিকাংশই আগে সরকার দলীয় নেতারা ভোগ দখল করে আসতেন। এবার প্রায় সব পুকুরই লীজ দেওয়ায় উপকৃত হচ্ছেন প্রকৃত মৎস্যজীবি ও জেলেরা। রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। ইউএনও মো: আলমগীর হোসেন গোদাগাড়ীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সফল হয়েছেন। করোনা ভাইরাসে হত দরিদ্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিদের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছে। এই মানুষটি সহজ, সরল ভাল মনের মানুষ। স্বপ্নবাজ এই মানুষটি নিজে সফলতার স্বপ্ন দেখেন এবং অন্যকে স্বপ্ন দেখাতে ভালবাসেন। হাস্য উজ্জল মিষ্টিভাসি এই মানুষটির আচরনে উপজেলাবাসী মুগ্ধ হয়েছেন। সাধারণ মানুষ তার কাছ থেকে প্রকৃত সেবা পাচ্ছে। উপজেলায় সেবা নিতে আসা মানুষের সমস্যা ও কথাবার্তা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং সেগুলো সমাধানের জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে আপ্রান চেষ্টা করেন। বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান করায় যেন উনার কারিশমা। তিনি শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। স্বাস্থ্য খাতে আমল পরিবর্তন আনার জন্য উদ্যেগ নিয়েছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে বিভিন্ন ভাবে সভা সমাবেশ ও ভয়াল মাদকের কুফল সম্পর্কে মত বিনিময় করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান ইউএনও আলমগীর হোসেনের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি দপ্তরে, প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক বছর আগেও উপজেলা প্রশাসনের প্রায় প্রতিটি দপ্তরে ‘ওপেন ঘুষ বাণিজ্য’ প্রথা চালু থাকলেও এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে। ফলে সংশিস্নষ্ট দপ্তরগুলোতে হয়রানিও কমেছে; সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। অন্যদিকে, ইউএনও মোঃ আলমগীর হোসেনের নির্দেশনায় দীর্ঘদিন মুখ থুবড়ে থাকা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রগুলোতেও এখন কাজ চলছে পুরোদমে। শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম। আর গোদাগাড়ীতে মাদকের বিস্তার কমাতে ইউইনও’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চলছে নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান, চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গোদাগাড়ীর ইউএনও মোঃ আলমগীর হোসেনের কর্মদক্ষতা সম্পর্কে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি শান্ত কুমার মজুমদার বলেন, ‘গোদাগাড়ীর বর্তমান ইউএনও ভালো কাজে সব সময় আন্তরিক। এমন মানুষকেই আমরা আমাদের উপজেলার অভিভাবক হিসেবে প্রত্যাশা করি।’ এসব ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর দপ্তরে। একান্ত সাক্ষাতে তিনি বলেন, গোদাগাড়ীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। তবে আক্ষেপ একটাই মাদক। তিনি নিজেও অংশ নিচ্ছেন মাদক বিরোধী অভিযানগুলোতে নির্মূলে চেষ্টা চলছে। পুলিশকে আরো তৎপর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে গোদাগাড়ী উপজেলায় সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ, নির্মূলে জিরো টলারেন্সে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন কার্যক্রম তদারকি করছেন বলে জানান। অচিরেই গোদাগাড়ীর মাদক পরিস্থিতি কমিয়ে ও বাল্য বিবাহ বন্ধে কার্যকারিতা পদক্ষেপ আনার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এজন্য সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/32lkonh
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ