আমি অভিশাপ দেব না কাউকে
নঈম নিজামএই করোনাকালে কোনো ভালো খবর পাই না। দিনটা শুরু হয় মৃত্যুর খবর দিয়ে। আবার ঘুমাতে যাই কারও চলে যাওয়ার খবর শুনে। ব্যবসায়ী আজমত মইনের কথা বলি। দারুণ মানুষ ছিলেন। কখনো কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলে নিজেই এগিয়ে এসে কথা বলতেন। ভীষণ বিনয়ী। তার মৌলভীবাজারের চা-বাগানেও গিয়েছিলাম। করোনাকালে প্রথমে মারা গেলেন আজমত মইনের বাবা গোলাম মইন। এরপর আক্রান্ত হলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলো হুট করে। আজমত মইন চলে গেলেন। বাবা আর বড় সন্তানে থেমে থাকল না এই পরিবারের ওপর আঘাত। এরপর ছোট ভাইটিও মারা যান। এক পরিবার থেকেই চলে গেলেন তিনজন। এভাবে অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারাচ্ছেন এখন। স্বামী-স্ত্রী দুজনই চলে গেছেন অনেক পরিবারে। আবার কেউ হারাচ্ছেন সন্তান। হায়! মানুষের মৃত্যু কত সহজ হয়ে গেছে। বেঁচে আছি এর চেয়ে বড় খবর যেন আর কিছু না।
বড় অদ্ভুত সময় পার করছে সবাই। শুধু করোনায় নয়, এমনিতেও অনেকে মারা যাচ্ছেন। ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফিরে আসার কথা ছিল ঢাকায়। কিন্তু এলেন না। চলে গেলেন ঘুমের মাঝে। সাংবাদিক ফারুক কাজীও গেলেন একইভাবে। সহকর্মী মাশুক চৌধুরীর বিষয়টি ছিল আলাদা। করোনাকালের শুরুতে গত মার্চে তাকে বললাম, আপনার শরীরটা ভালো নেই। অনেক অসুখ-বিসুখে ভুগছেন। অফিসে আসার দরকার নেই। বাসায় ছিলেন তিনি। মাঝে খবর দিলেন বাসায় মন টেকে না। অফিসে আসতে চান। সম্মতি দিলাম না। রোজার ঈদের আগে আমি আক্রান্ত হলাম করোনায়। অফিসে যাওয়া বন্ধ হলো। ঈদের ছুটি শেষে মাশুক ভাই অফিসে এলেন। আইসোলেশন থেকে খবর পেলাম তার অফিসে আসার। খবর পাঠালাম আসার দরকার নেই। অফিসে আসা বন্ধ করলেন। কিছুদিন পর অসুস্থ হলেন। হাসপাতালে গেলেন। করোনা টেস্ট নেগেটিভ। কিন্তু নিউমোনিয়া। ব্যস, খুব দ্রুত চলে গেলেন। এই মানুষটির সঙ্গে পরিচয় ’৮৬ সাল থেকে। সাদামাটা মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে পাস করে দৈনিক গণকণ্ঠে যোগ দেন। পরে দৈনিক সংবাদ, দৈনিক দেশসহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেছেন। আমার সঙ্গে একদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে দেখা। জানতে চাইলাম কেমন আছেন? জবাব শুনে বুঝলাম বেশি ভালো নেই। এরপর আমার অনুরোধে বাংলাদেশ প্রতিদিনে যোগ দেন। বছর তিন আগে অফিসে কাজ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এ্যাপোলো হসপিটালসে পাঠালাম তখনই। আশঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন। অফিস করতেন। কাজ করতেন মন দিয়ে। এই করোনাকাল আর অতিক্রম করতে পারেননি কবি মাশুক চৌধুরী। চলে গেলেন চিরতরে। আর আসবেন না কোনো দিন।
নিজেও এবার কঠিন সময় পার করেছি। হয়তো আপাতত রক্ষা পেয়েছি পরম করুণাময়ের অসীম রহমত ও দয়ায়। মানুষের অনেক দোয়া ছিল। প্রার্থনা ছিল। দেশ-বিদেশ সবখানে প্রিয়জনদের উৎকণ্ঠা ছিল। আজ মনে হচ্ছে, সবার ভালোবাসা ছিল বলেই বেঁচে আছি। জীবনে অনেকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়েছি বারবার। রক্ষা করেছেন আল্লাহ রব্বুল আলামিন। সবসময় স্বাভাবিকভাবে সবকিছু মোকাবিলা করেছি। কোনো দিন ভীত হইনি। জীবন-মৃত্যুর মালিক একজনই। যখন সময় হবে যেতে হবেই। মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে জেগে উঠে চিন্তা করতাম আমি কি বেঁচে আছি?
বিছানা থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করতাম। নানা চিন্তা ভর করত মনে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছিল মন চাঙা রাখার। একবার ভেঙে পড়লে সব শেষ হয়ে যায়। জীবন-মৃত্যুর কঠিনতম সময় পার করেছি। জানি না আগামী দিনগুলো কেমন যাবে। কীভাবে কাটবে। পৃথিবী থেকে ৫ লাখের বেশি মানুষ চলে গেছেন। আর ফিরবেন না। বাংলাদেশে শুরুতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যুবিভীষিকায় মানুষ এখন স্বাভাবিকভাবে সবকিছু মোকাবিলার চেষ্টা করছেন। বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন সবাই। চিন্তা করছেন আগামীর কাঠিন্য নিয়ে। জীবন ও জীবিকা নিয়ে। ছয় মাস আগেও কেউ ভাবেননি এমন হবে। সময় সবকিছু বদলে দিয়েছে। সেদিন শুনলাম একজন নারীর মৃত্যু খবর। দুই সন্তানই থাকেন আমেরিকায়। বয়স্ক মানুষটি একাকী থাকেন ঢাকার অভিজাত এলাকায়। এই করোনাকালে তিনি চলে গেলেন। দুই সন্তানের কেউই আসতে পারেননি। যোগ দিতে পারেননি মায়ের শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে। মানুষ আসলেই নিঃসঙ্গ। আমাদের সব আছে। কিন্তু কিছুই নেই। চলে যাওয়ার সময় কিছুই থাকে না। দিন দিন সময় আরও বদলে যাচ্ছে। যা ভাবী না তা-ই হচ্ছে। মানুষের চিন্তাভাবনায়ও চলে এসেছে অনেক পরিবর্তন। কিন্তু সে পরিবর্তন এত বড় আকাশকে ছুঁয়ে দেখতে পারেনি। মানুষের মনের সংকীর্ণতা দূর করতে পারেনি। করোনাকালেও প্রতিহিংসার বিষ ছড়িয়ে রেখেছে চারপাশে। আপন-পর বলে এখানে কিছু নেই। স্বার্থপরতার আড়ালে সবকিছু ঢেকে গেছে। মানবতাকে করছে প্রশ্নবিদ্ধ। সম্পর্কের বন্ধনগুলোকে করছে আলগা। কেউ জানি না কোথায় ছিলাম আর কোথায় যাচ্ছি? শেষ জমানার কথা বলা আছে কোরআনে। আছে কিয়ামতের কথাও। হাশরের ময়দানে সবাই থাকবে নিজেকে নিয়ে। মুখে উচ্চারণ করবে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি। আপনজনদের চিনবে না। প্রিয়জন বলে কিছু থাকবে না। সবাই নিজের হিসাব-নিকাশ করবে। এখন কি সেই সময় এসে গেছে? কেউ কাউকে চেনে না। হিংসা-বিদ্বেষ, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা কোনো কিছু থামেনি। নষ্টদের উল্লাসনৃত্য আরও বেড়েছে। হারিয়েছে সামান্য সৌজন্যবোধটুকুও। চিকিৎসাসেবা নিয়েও চলছে বাণিজ্য। কীসের জন্য সব করছে কেউ জানে না।
বাস্তবতা থেকেও শিক্ষা নেয় না কেউ। বোঝে না চলে গেলে কিছুই সঙ্গে যাবে না। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেলে কেউ পাশে থাকবে না। মৃত্যুর পর কেউ কাছে আসবে না। জানাজাও হবে না ঠিকভাবে। একটা অস্বাভাবিক সময় পার করছি আমরা। আক্রান্তের পরই শুরু হয় নিঃসঙ্গ নিষ্ঠুর জীবন। নিজের সঙ্গে নিজের একটা লড়াই। করোনা রোগীর ধারেকাছে আপনজনরা ঘেঁষে না। মৃত্যুর পর কোনোমতে দাফন হয়। কারও দাফন করে প্রশাসন বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। পরিবারের কেউ যোগ দেন না। সবাই নিজেকে রক্ষা করতে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করছেন। মনে রাখুন আজ অন্য কেউ আক্রান্ত। কাল আপনি হবেন না কোনো গ্যারান্টি নেই। ক্ষমতা-অর্থবিত্ত কোনো কাজেই আসছে না। হাসপাতালে এখন কঠিন সময় পার করছেন অনেক প্রভাবশালী। অসহায়ভাবে দিন কাটছে তাদের। অনেকে ফিরে আসবেন কিনা চিকিৎসক জানেন না।
বাস্তব ভীষণ কঠিন। তার পরও চারপাশটা ভীষণ জটিল। করোনা আমাদের অনেক অনুভূতি নষ্ট করে দিচ্ছে। মানবতা হারাচ্ছে। চিন্তাশক্তি নষ্ট হচ্ছে। স্বপ্নরা শেষ হচ্ছে। কিন্তু শেষ হচ্ছে না দাম্ভিকতা আর অহংকার। মানবতা নিয়ে আলাপ করে লাভ নেই। ভাবতে পারেন একজন করোনা রোগীর হাত-পা বেঁধে রেখেছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালের লোকজন। বিল দিতে না পারার কারণেই এ নিষ্ঠুরতা। কী ভয়াবহ একটা সমাজে বাস করছি। মানুষের ভালোবাসা এখন সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে সীমিত। বাস্তব এখনো কঠিন। আর কঠিন বলেই রাস্তা বা বৃদ্ধাশ্রমে বাবা-মাকে রেখে যায় সন্তান। অথচ লোক দেখানো কার্যক্রমও অনেক। কিন্তু দুনিয়া থেকে হারিয়েছে মানবিকতা। অসত্য আর অনাচার বেড়েছে সবখানে। কীভাবে সবকিছু বদলাবে, কোনো দিন আর বদলাবে কিনা জানি না। শুধু বুঝি, যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ। আর খারাপ বলেই করোনা নিয়েই ব্যবসা হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আটক করছে প্লাজমা আর টেস্ট প্রতারকদের। বের হচ্ছে স্বাস্থ্য আর আর্থিক খাতের বিভিন্ন সিন্ডিকেট কাহিনি।
প্রত্যাশা ছিল, এই সময়ে খারাপ কিছু দেখব না। কিন্তু সবকিছু দেখতে হচ্ছে। শুনতে হচ্ছে। ভালো খবরই এখন কম পাচ্ছি। চারদিক থেকে আসছে অনাচারের কাহিনি। অন্যায়-অপকর্মই যেন স্বাভাবিকতা। হিংসা-বিদ্বেষ আর চিন্তার অমিলে সবকিছু শেষ করে দেওয়ার বড় অদ্ভুত প্রতিযোগিতা। মাঝে মাঝে আশার আলোর সন্ধান করি। অপেক্ষায় থাকি একটা ভালো খবরের। না, কোনো সুখবর আসে না। খারাপ খবরের মাঝে আমাদের বাস। আশার আলোর কোনো বাতিঘর নেই। লুটেরাদের উল্লাসনৃত্য নীরবে হজম করতে হয়। সবকিছু বড় অচেনা। চিৎকার করে বলতে মন চায়- এই অচেনা পৃথিবী হিংসুটে ঈর্ষাপরায়ণদের। আমার নয়। কোনো কিছুই বলা হয় না। প্রিয়জনরা পরামর্শ দেন কম কথা বলার। চারদিকে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় লিপ্তরাই ভালো আছে। তাদের আছে জাদুর কাঠি। এ কাঠি ছুঁইয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। তাই শামসুর রাহমানের মতো কাউকে অভিশাপ দিই না। প্রার্থনা করি, ভয়ঙ্কর লুটেরারা ভালো থাকুক। সুখে থাকুক। ওদের যারা দেখে রাখেন তারাও ভালো থাকুন। কবি শামসুর রাহমানের মতো কিছু বলব না। শামসুর রাহমান লিখেছিলেন- ‘আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে
অভিশাপ দিচ্ছি।
আমার বুকের ভেতর যারা ভয়ানক কৃষ্ণপক্ষ
দিয়েছিল সেঁটে।’
না, কোনো অভিশাপ নয় আর। ওদের নিয়ে সবাই ভালো থাকুন। কাউকে প্রশ্ন করব না বঙ্গবন্ধু কি ওদের জন্য দেশটা স্বাধীন করেছিলেন? আমার ভাই কি ওদের জন্য যুদ্ধে গিয়েছিলেন? আমাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা ঘাঁটি করেছিলেন আজকের এই চিত্রের জন্য? না, কোনো প্রশ্ন আর নয়। স্বপ্নকে জাগিয়ে নিয়ে চলতে চাই। হতাশার মাঝে আলোর রশ্মি দেখতে চাই। দিনরাত অনেক তরুণকে দেখছি করোনাকালে মানুষের জন্য কাজ করতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধারা লড়াই করছেন। তাদের চাওয়া-পাওয়া নেই। তারা দেশকে ভালোবাসেন। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সংবাদকর্মীদের অভিবাদন। জীবনের ঝুঁকি আরও অনেক মানুষই নিচ্ছেন। রাত জেগে অনেক নারীই খাবার তৈরি করেন। দিনে অ্যাপসে অর্ডার নেন। তারপর নিজেই পৌঁছে দিচ্ছেন সে খাবার।
মানুষ লড়ছে। জীবন-জীবিকার জন্য লড়াই করা প্রতিটি মানুষকে অভিনন্দন। তারাই বাঁচিয়ে রাখবেন আগামীর বাংলাদেশ। পাশাপাশি আশার আলো তৈরি করছে আসিফ মাহমুদ, বিজন শীলদের সৃষ্টিশীলতা। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রচ- মানসিক শক্তি দেখে মুগ্ধ হই। অনুপ্রেরণা পাই। সবাই জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো সবকিছু হজম করে জেগে উঠতে পারেন না। অনেকে নীরবে বুকভরা কষ্ট আর অভিমান নিয়েই বেঁচে থাকেন। কিন্তু সবকিছু স্বাভাবিকভাবে নিয়ে এ বয়সেও লড়তে পারেন জাফরুল্লাহ। করোনায় শুরু থেকেই কাজ করছেন। লড়ছেন মানুষের জন্য। আক্রান্ত হলেন। অসুস্থতা থেকে কিছুটা ভালো হয়েই গেলেন বনানী গোরস্থানে মোহাম্মদ নাসিমের কবর জিয়ারত করতে। এ কাজটিতে অনেক মানুষ খুশি হননি। সমালোচনাও করলেন কেউ কেউ। তিনি থামলেন না। মিডিয়ার সামনে কথা বললেন। শরীর খারাপ হলো। আবার গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। ডাক্তার বললেন, আপনার শরীর ভালো না। এভাবে বের হবেন না। তিনি বললেন, আচ্ছা। কিন্তু একাত্তরের এই যোদ্ধাকে কে থামাবে! কিছুক্ষণ শুয়ে থাকেন। আবার কাজ করেন। এবার দেখতে গেলেন করোনায় আক্রান্ত নিষ্ঠাবান বাম রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রণোকে। ঢাকা মেডিকেলে বন্ধু রণোর শয্যাপাশে অনেকক্ষণ ছিলেন। ডাক্তারদের বলে এলেন যে কোনো প্রয়োজনে তাঁকে ডাকতে। তিনি ছুটে আসবেন। এমনকি আর্থিক প্রয়োজনেও। এভাবে সবাই পারে না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৭১ সালে ব্রিটেনে ছিলেন। পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে অনেক কষ্টে আসেন যুদ্ধের ময়দানে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হাসপাতাল তৈরি করেন। সে হাসপাতাল তৈরি সহজ ছিল না। সব কাঠিন্য জয় করলেন। তাঁর হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের সেবায় কাজ করেন সুলতানা কামালসহ অনেকে। স্বাধীনতার পর দেশের স্বাস্থ্য ভাবনায় নতুন চিন্তা নিয়ে গেলেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর কাজের স্বীকৃতি দিলেন। গণস্বাস্থ্য নামটা বঙ্গবন্ধুর দেওয়া। কাজটা এগিয়ে নিতে জমিও দেন। সেই থেকে জাফরুল্লাহ লড়ছেন স্বাস্থ্য খাত ও স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে। এই লড়াকু যোদ্ধার জন্য শুভ কামনা। প্রার্থনা করছি তাঁর সুস্থতার জন্য।
আমাদের একটু আশার আলো দরকার। বিশ^ আজ এক নতুন চ্যালেঞ্জে। মানুষ অনেকটা দিশাহারা। এই কঠিন সময়ের কীভাবে উত্তরণ হবে কেউ জানি না। এখন আশার আলো হারিয়ে গেলে চলবে না। আশার আলো ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারবে না। যেদিন আশার আলো নিভে যাবে সেদিন মানুষও শেষ হয়ে যাবে। অন্ধকারে আলোর রশ্মি দরকার। কিছুটা রশ্মি নিয়ে এলেন একজন আসিফ মাহমুদ। জানালেন, বাংলাদেশও এগিয়ে আছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে। কী হবে জানি না। সফলতা কামনা করি আসিফ মাহমুদের। আসিফ মাহমুদ, বিজন শীলরা চেষ্টা করছেন। এ চেষ্টা সম্ভাবনার। এ সম্ভাবনাকে নিয়েই চলতে চাই সুন্দর কিছুর প্রত্যাশায়। সৌজন্য: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।
পূর্বপশ্চিম-এনই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3itK8TT
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD