১০২ বছর বয়সী নারীর ‘করোনা’ জয়ের গল্প
নিউজ ডেস্ককরোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ চল্লিশোর্ধ্ব বয়সীদের জন্য। মোট মৃতের ৯৮ শতাংশই ৪০ থেকে ১০০+ বয়সী। তবে যখন ১০২ বছর বয়সী কেউ ‘করোনা’ জয় করে ফিরে আসে তখন তার গল্প না বললেই নয়।
তিনি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন মৃত্যুপুরী ইতালি থেকে। নাম তার ইতালিকা গ্রোন্দোনা। নর্দার্ন ইতালির জেনোয়া শহরের বাসিন্দা তিনি। যিনি ২০ দিন হাসপাতালে করোনার সঙ্গে প্রাণপণ লড়াই করে জিতে গেছেন। শুধু কি জিতে গেছেন? তিনি আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন লাখ লাখ করোনা আক্রান্ত বয়স্ক রোগীদের জন্য।
জেনোয়ার সান মারিনো হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেই হাসপাতালের ডাক্তার ভেরা সিকবালাদি তার ডাক নাম দিয়েছেন ‘হাইল্যান্ডার’- দ্য ইমমরটাল।
সিকবালাদি বলেছেন, ‘আমরা তার ডাকনাম দিয়েছি হাইল্যান্ডার-দ্য ইমমরটাল’। ইতালিকা সেসব বয়স্ক রোগীদের বুকে সাহস সঞ্চার করেছেন যারা মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্চা লড়ছেন। জাতীয় স্বাস্থ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের গড় বয়স ৭৮।’
‘গ্রোন্দোনা মার্চের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার কিছুটা হৃদযন্ত্রে সমস্যাও ছিল। তার মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণও ছিল। তাকে আমরা পরীক্ষা করাই এবং পজিটিভ হয়। তবে তার জন্য আমরা যে খুব বেশি কিছু করেছি তেমনটা নয়। তিনি নিজে নিজেই সেরে উঠেছেন।’ যোগ করেন তিনি।
১০২ বছর বয়সেও করোনা জয় করার কারণে তিনি সবাইকে বিস্মিত করে দেন। তাইতো তাকে নিয়ে ডাক্তারদের জানার আগ্রহ বাড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার জন্ম ১৯১৭ সালে। তিনি মহামারি স্প্যানিশ ফ্লুর সময়ও ছিলেন। ১৯১৮-১৯১৯ সালে মহামারি স্প্যানিশ ফ্লুতে বিশ্বে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল।
গ্রোন্দোনা ২৬ মার্চ হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
তথ্যসূত্র : সিএনএন
ঢাকা/আমিনুল