মুন্সীগঞ্জে হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
জেলা সংবাদদাতাহতদরিদ্রদের মধ্যে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নে।
গত বৃহস্পতি (২৬ মার্চ) ও শুক্রবার (২৭ মার্চ) দিনব্যাপী উপজেলার বাঘড়া বাজারে ন্যাশনাল ব্যাংক সংলগ্ন ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের মার্কেটে এ চাল বিতরণের অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছেন স্থানীয়রা।
দেশব্যাপী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঘরে থাকার কারণে দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই হতদরিদ্রদের মধ্যে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে শ্রীনগরের বাঘড়া ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের মধ্যে চাল বিতরণের জন্য ৫৪০টি কার্ড দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের এই দুর্যোগকালে বাঘড়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাই চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মুক্তি হোসেন ও ডিলার হোসেন আলী যোগসাজশ করে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাকে না জানিয়ে হতদিরদ্রদের কাছ থেকে কার্ডপ্রতি ৫০ টাকা করে আদায় করছেন। ইতোমধ্যে ২৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন তারা।
এমনকি প্রতি কার্ড হোল্ডারদের কাছ থেকে ৩০ কেজি চালের মূল্য নিয়ে ৩০ কেজির বদলে ২৮ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে বলে একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন।
অন্যদিকে হতদরিদ্রদের কার্ড দেওয়ার সরকারি বিধান থাকলেও আর্থিক সুবিধা নিয়ে স্বচ্ছল পরিবারকেও কার্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডিলার হোসেন আলী বলেন, ‘আমি এবারই ডিলার হিসেবে যুক্ত হয়েছি। তাই ট্যাগ অফিসার কী বা কে তা জানা নেই।’
ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম ঢাকায় অবস্থান করছেন জানিয়ে হোসেন আলী আরও বলেন, ‘হতদরিদ্রদের চাল বিতরণে অনিয়ম হয়ে থাকলে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন, তারা তদন্ত করে দেখবেন অনিয়ম হয়েছে কি না।’
এ বিষয়ে জানতে মুক্তি হোসেনকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার বলেন, ‘হতদরিদ্রদের চাল বিতরণের কার্ড ও চাল নিয়ে কেউ অনিয়ম করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসেও বাঘড়া ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ২৪০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেয় সংশ্নিষ্ট ডিলার।
রতন/সনি/নাসিম