শেখ বাবুল আহাম্মেদ হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রতারনার কৌশলে সুযোগ সন্ধানে থেকে ভিআইপিদের সাথে ছবি সেশন করতে ব্যস্ত থাকতো শাহ্ আফজল, সে বিচারপতি, মন্ত্রী ,এমপি,আওয়ামী লীগের কেদ্রীয় নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়র অধ্যাপক, সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার, ও নৌ বাহিনীর কমান্ডারের সাথে ছবি তুলে ফেইসবুকে প্রচার করে নিজেকে একজন গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে । প্রতারনার ফাঁদ পাতে সাধারন লােকজনের সাথে প্রতারনাকারী যুবক শাহ আফজল হোসেন ৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার আফজলের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। বিজ্ঞ আদালতে দীর্ঘ শুনানির পর আসামীর জামিন না মঞ্জুর করেন, হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট তহিদুল ইসলামের আদালত। বাদীর পক্ষের আইনজীবি শাহ্ ফখরুজ্জামান আসামী আফজল হোসেনের জামিনের বিরুদ্ধিতা করেন।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই পলাশ দেব প্রতারক শাহ আফজল হোসেনের ৫দিনর রিমান্ডের প্রার্থনা করেন। হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক আল আমিন জানান, রিমান্ডের শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারন করা হবে।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহ আফজল হোসেন ভিআইপিদর সাথে ছবি দেখিয়ে এলাকায় প্রচার করে বঙ্গভবন, গণভবন ও সচিবালয় তার অবাধে যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে। কোন কাজ করলে দিতে পারো। কোন- কোন স্হানে সে আওয়ামী লীগের কেদ্রীয় নেতা হিসাবে প্রচার করতো। সিলেট থেকে ঢাকায় ডমস্টিক ফ্লাইট ভ্রমণ করা সেই ছবিও মাঝে- মাঝে পোস্ট দিয়ে নিজের অবস্হান জানান দিতো। আর সাধারন লোকজন এই ছবি দেখে বিশ্বাস করে শাহ আফজল এর মাধ্যমে সব কাজই সম্ভব। ফলে বিভিন্ন লোকজন ঠিকাদারী কাজ,চাকুরী, নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ, স্হানীয় নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন এবং বিদেশের ভিসা পেতে লক্ষ- লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় আফজল তার সাথে রয়েছে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। মানুষের নিকট থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে ও কোন কাজ করেনি। টাকা ফেরত চাইলে পাল্টা হুমকি দিয়ে বলে বিচারপিত তার আত্মীয়। বড় বড় কর্মকর্তারা তার পকেট। বাড়াবাড়ি করলে মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে। ফলে প্রতারিত হয়েও কেউ মুখ খুলেনি তার বিরুদ্ধে। বিধির কি খেলা একটি কথায় আছে। পাপে ছাড়েনা বাপকে, নতুন প্রতারনার কৌশলে অনুমতি ছাড় জেলা প্রশাসকের বাংলায় ছবি তুলতে গিয়ে আটক হয় প্রতারক আফজল। সেই বীর সাহসী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যার বীরত্বের সাহসেই ভুক্তভোগীরা প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস দেখায়। এতে হবিগঞ্জের সচেতন মহল অভিনন্দন জানিয়েছেন। সদর মডেল থানায় মোঃ টিপু ও ফারুক মিয়া দুটি মামলা দায়ের করেন।সে মামলায় আফজল কারাগারে ঠাঁই হয়, আফজল বিভিন্ন স্হানে অর্ধশতাধীক লোকের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। বেশটির বেশী অভিযোগ এসে দাঁড়িয়ে বাদীর আইনজীবী নিকট।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2XCMIhv
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ