করোনার কারণে আর্থিক সঙ্কটে ক্রেতাদের অনেকেই বিক্রি করছেন তাদের গচ্ছিত স্বর্ণালঙ্কার। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস জানায়, গেল দুই মাসেই প্রায় ২০ হাজার পরিবার থেকে বিভিন্ন রকম অলঙ্কার বিক্রি করা হয়েছে। গেল বছরের তুলনায় ক্রেতাদের স্বর্ণ বিক্রি বেড়েছে ৫০ শতাংশ বেশি। বিপরীতে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা কমেছে ৮০ ভাগ।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আরজুদা খাতুন এসেছে গলার হার বিক্রি করতে। করনো সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে স্বামী নজরুল ইসলামের ফ্লেক্সিলোডের দোকান। দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে তাকে নিতে হয়েছে এই উদ্যোগ।
বায়তুল মোকাররম মার্কেটে আরজুদা খাতুনের মতো অনেককেই দেখা গেছে স্বর্ণের গয়না বিক্রি করতে।
বিক্রেতারা জানান, জুন-জুলাইয়ে ছোট দোকানে সবোর্চ্চ ৮০ জন আর বড় দোকোন ভেদে স্বর্ণ বিক্রি করেছেন প্রায় দুইশো গ্রাহক। গলার হার ও কানের দুল থেকে শুরু করে হালকা-ভারি সব ধরনের গয়নাই বিক্রি করছেন তারা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলছে, সংকটের এই সময়ে নিজেদের গয়নাগাটি বিক্রি করে অনেকে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ব্যয়সহ মেটাচ্ছেন বিভিন্ন খরচ।
বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণ প্রতিভরি ৭৭ হাজার ২১৫ টাকা এবং ২১ ক্যারেট প্রতিভরির দাম ৭৪ হাজার ৬৬ টাকা। করোনা পরিস্থিতিতে গেল ৬ মাসে স্বর্ণের বাজারে ৬০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে বাজুস।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/32u83eA
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ