আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় প্রায় নয় মাস ধরে কারাগারে ভোলার দিনমজুর মো. লিটন, উঠেছে এমন অভিযোগ। বিষয়টি তদন্ত করতে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারককে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
রাজধানীর গুলিস্তানে আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ২০০৯ সালের ২৮ জুন আমদানি নিষিদ্ধ চেতনানাশক ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করা হয় লিটনসহ তিনজনকে। এ ঘটনায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয় পল্টন থানায়। তবে বিচার শুরুর আগেই জামিনে মুক্তি পান তিন আসামি। এরপর থেকে তারা পলাতক।
২০১৪ সালের অক্টোবরে ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল- ২ এ মামলায় আসামিদের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এ মামলাতেই গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভোলা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে দিনমজুর লিটনকে। এরপর প্রায় নয় মাস ধরে কারাগারে তিনি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি লিটন ও দিনমজুর লিটনের বাড়ি একই গ্রামে।
দিনমজুর লিটনের কারাগারে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। শুনানি শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ কে গ্রেপ্তার লিটনের প্রকৃত পরিচয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত জানান, কারাগারে থাকা লিটনের সঙ্গে আসামি লিটনের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা- সবই এক। পার্থক্য শুধু বয়সে। আসামি লিটনের বয়স ৪০ বছর। আর কারাগারে থাকা লিটনের বয়স ৩০।
একইসঙ্গে লিটনকে শারীরিকভাবে কেন হাজির করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, কারা মহাপরিদর্শক, ভোলার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/34ZrXkD
Post Come trough : নাচোল নিউজ