ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: এবার রাজন গ্রেপ্তার
সিলেট প্রতিনিধিসিলেট মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন আহমদ নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জের কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ এর একটি দল। এ সময় রাজনকে পালাতে সহযোগিতা করায় আইনুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।
র্যাব-৯ সিলেটের একটি সূত্র গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গ্রেপ্তার রাজন ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার অজ্ঞাত আসামি ছিলেন। ছায়া তদন্তে নেমে র্যাব এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে রাজনকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর মধ্যে চারজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আর অপরজন মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি।
র্যাব ও ডিবি সূত্রে জানায়, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার রাজন নামে আরেক আসামি ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছেন, এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। পরে রাত ১টার দিকে রাজন ও তার সহযোগী আইনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারেরে পর তাকে সিলেট নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে ওই মামলার আরেক আসামি মাহবুবুর রহমান রনিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। অন্যদিকে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ। এছাড়া রোববার সকালে সিলেট বিভাগের পৃথক দুই স্থান থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কলেজে বেড়াতে যাওয়া দম্পতিকে ধরে নিয়ে আসে ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মী। পরে তারা স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে, তবে এর আগেই অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে ওই তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে নগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সাইফুর রহমান (২৮), রবিউল ইসলাম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮)। এদের মধ্যে অর্জুন ও তারেক (২৮) বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
আসামিদের মধ্যে সাইফুরের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের দিরাইয়ে, মাছুমের কানাইঘাটে, অর্জুনের জকিগঞ্জে, রনির হবিগঞ্জে এবং তারেকের বাড়ি সুনামগঞ্জে।
তাদের মধ্যে তারেক ও অর্জুন শিক্ষার্থী না হলেও সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/174927/ছাত্রাবাসে-গণধর্ষণ:-এবার-রাজন-গ্রেপ্তার
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD