জামাল হোসেন ঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়ের দোকান দিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েছে সীমায়ারা নামে এক সংগ্রামী নারী। সীমা ১৯৮৫ সালে ১০ মে খড়িবাড়ীর ডাংগাপাড়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আকিমুদ্দিন ও মাতার নাম সওদা বিবি। দুই বোনের মধ্যে সীমা ছিল ছোট। আল্প বয়সেই মারা যায় তার বড় বোন। তারপর তাকে হতে হয় পিতা মাতা হারা। অতপর শুরু তার জীবনের নানা টানাপোড়ন।দারিদ্রতার যাঁতাকলে ক্লিষ্ট হয়েও জীবনের সাফলতার সিঁড়ি অর্জনে হাল ছাড়িনি। তার যখন বয়স ১৭ বছর, বিয়ে হয় শ্যামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবকের সাথে। তার সংসারের স্থিতিকাল ছিল মাত্র ১৫ মাস। এর মধ্যেই জন্ম নিলো তার কোলজুড়ে সৈকত নামের এক ছোট্ট বাবু। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন মাসের বাচ্চকে নিয়ে তার স্বামী সংসার জীবনের অবসান ঘটে। আমার একটি মাত্র ছেলে সৈকত। সেইও আবার অর্টিজম(বাকপ্রতিবন্ধি)। সীমা এ প্রতিবেদকে বলেন, আমি আমার সংসার জীবনের কখনই পরিসমাপ্তি ঘটাতে চাইনি। আমার স্বামী ছিল নিশাগ্রস্থ। নানা ভাবে আমার ওপর নির্যাতন করতো । সংসারে বনিবনা হতো না। অনেক বার তা নিরোসনের চেষ্টা করে তা
ব্যর্থ হয়। এরপর আমার ছোট্ট বাবুকে নিয়ে জীবন বাচানোর তাগিদে রাজশাহীতে তিন বছর বাসাবাড়িতে কাজ করি। একদিন জানতে পারলাম সরকারীভাবেক খড়িবাড়ি বাজারে মহিলাদের জন্য মহিলা মার্কেটে ব্যবস্যার জন্য বিনামূল্যে ঘর দেওয়া হচ্ছে।আমি তাতে আবেদন করি। ১৫ বছর আগে বাহাদুর পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ আমার প্রতি সদয় হয়ে একটি ঘর প্রদান করেন।কিন্তু আমার কাছে ব্যবস্যা করার জন্য কোন অর্থ ছিল না। স্থানীয় সাদাপুর গ্রামের বড় ভাই সিদ্দিক চৌধুরী আমার দুঃখ কষ্ট দেখে আমাকে কিছু টাকা ধার দেন। যা দিয়ে আমার চায়ের দোকান শুরু করি। বর্তমানে আমি আমার প্রতিবন্ধি ছেলেকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। মাথা গুজার জন্য সরকারী রাস্তার পাশে টিন শেডের একটি ঘরে কাল জাপন করছি। আমার জীবনের ইচ্ছা সরকারী কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে দোকানের মান উন্নয়ন করতে পারতাম।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3lNZQuV
Post Come trough : নাচোল নিউজ