১৯ হাজার ২৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
সারাদেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ১৯ হাজার ২৮২ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
নিজস্ব প্রতিবেদককরোনাভাইরাস মহামারীপরবর্তী সরকারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালুর পরিকল্পনা জন্য ১৯ হাজার ২৮২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০৪ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ বিস্কুট এবং মিড-ডে মিল কার্যক্রমের আওতায় ১৬ উপজেলায় চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল বাড়ি বাড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতাধীন ১০৪টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মাথাপিছু ২৫ থেকে ৫০ প্যাকেট বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ ফর্টিফাইড বিস্কুট দেশের ১৬ উপজেলার ২ হাজার ২৫৬টি বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৬ শিক্ষার্থীর মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছিল। কিন্তু কোভিড ১৯-এর প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিস্কুট সরবরাহ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, জাতীয় স্কুল মিলনীতি-২০১৯ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ মিলনীতির আওতায় ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু করা হবে।
জুন ও জুলাই মাসের সংরক্ষণ করা স্কুল ফিডিং প্রকল্পের বিস্কুট ও মিড-ডে মিলের চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল গত ২০ জুলাই কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় দেশের দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি চালু করা হয় ২০১০ সাল থেকে। দফায় দফায় বাড়িয়ে বর্তমানে ১০৪ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিস্কুট বিতরণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্প শুরুর পর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়লে বরগুনার বামনা, জামালপুরের ইসলামপুর এবং বান্দরবানের লামা উপজেলায় ডব্লিউএফপির সহযোগিতায় ২০১৩ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে মিড-ডে মিল বা দুপুরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এ পাইলট প্রকল্প ফলপ্রসূ হয়।
আগামী বছর থেকে সারাদেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল কার্যক্রম শুরু করবে সরকার।
সরকারি প্রাথমিক স্কুল ফিডিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল আমিন খান জানান, ২০২১ সালে ২৫০টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু হবে। পরের বছর আরো ১০০ উপজেলা যুক্ত হবে এ কার্যক্রমের সঙ্গে। শেষ বছর ২০২৩ সালে বাকি সব প্রাথমিক বিদ্যালয় এ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবে। স্কুল ফিডিংয়ের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯ হাজার ২৮২ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। আগামী বছর ৬৫ হাজার ৬২০টি স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করা হবে। তিনদিন রান্না করা খাবার এবং তিনদিন দেওয়া হবে বিস্কুট।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2Q4sNE9
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD