ওসি প্রদীপসহ ৩ জনকে ‘শিগগির’ রিমান্ডে নেবে র্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদকঅবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রিমান্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে খুব শিগগির জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘ঘটনার মূল সাক্ষী শিপ্রা ও সিফাতের কম্পিউটার ডিভাইসসহ ২৯টি সামগ্রী কক্সবাজারের রামু থানায় পুলিশের হেফাজতে রক্ষিত আছে। আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যম উক্ত সরঞ্জামাদি র্যাব হেফাজতে নেয়া হবে। কারণ, মামলার তদন্তের স্বার্থে উক্ত কম্পিউটার ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ’।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের জলতরঙ্গ রিসোর্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব বলেন।
এ সময় তিনি আর বলেন, ইতিমধ্যে র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের চার সদস্য ও সন্দেহভাজন তিন আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দক্ষ ও পেশাদারির মাধ্যমে এই মামলা তদন্ত করছে র্যাব। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এর আগে সোমবার বিকেলে টেকনাফের শামলাপুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ দিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩ আসামিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। বেলা ১১টায় এ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ওসি প্রদীপসহ যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে। ওসি প্রদীপকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্য চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীদের আগেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছি আমরা।’
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন সন্ধ্যা ৭টার দিকে জানান, বেলা ১১টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে তদন্ত কমিটি গণশুনানি শুরু করে। ওই শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে ১১ জনের নাম নিবন্ধন করা হয়। নিবন্ধনকৃত এসব সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্য নেয় তদন্ত কমিটি।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ।
এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দু’জনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীকে রিমান্ডে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ বাকি তিনজনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুরকরে আদালত।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2E9dV4K
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD