‘সেই ভয়াবহ দৃশ্য ভুলতে পারছি না’
পূর্বপশ্চিম ডেস্কলেবাননের বৈরুতে বিস্ফোরণে ঘটনায় দুইজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ জন সদস্যসহ ৯৯ জন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। যে দুজন বাংলাদেশি মারা গেছেন তারা হলেন, মেহেদি হাসান রনি ও মিজানুর রহমান। মিজানের গ্রামের বাড়ি মাদারিপুর আর মেহেদির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
মেহেদি হাসান বৈরুতের আশরাফিয়া এলাকার একটি আট তলা ভবনের নিচ তলায় থাকতেন। কাজ করতে সেখানকারই একটি স্পেনিস সুপার শপে। তার সঙ্গে থাকতেন আরেক বাংলাদেশি সুজন হোসেন। তিনিও ওই এলাকার একটি জুস কারখানার শোরুমে কাজ করেন। সুজন জানান, তাদের বাসা থেকে বিস্ফোরণের স্থল বৈরুত পোর্ট তিন কিলোমিটার দূরে। ‘আমি বাসা থেকে বের হয়ে আমার কর্মস্থলে যাচ্ছিলাম। আমার রুমমেট তখন কর্মস্থলে ছিল। আমি হেঁটেই যাচ্ছিলাম। সন্ধ্যা ৬টার একটু বেশি হবে। ঠিক তখনই বিস্ফোরণের শব্দ। দূরে ধোঁয়া আর আগুনের শিখা। আমার চারপাশের ভবনের কাঁচ, জানালা সব ভেঙে পড়ছিল। আমি দ্রুত একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেই,’ বললেন সুজন।
এর কিছুক্ষণ পর বিস্ফোরণের শব্দ থেমে গেলে তিনি শোরুমে যান। গিয়ে দেখেন শোরুমটি ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তিনি তার রুমমেট মেহেদির আহত হওয়া ও হাসপাতালে নেওয়ার খবর পান। পরে মেহেদি মারা যান। তার অফিস থেকে মেহেদির অফিস দুই মিনিটের হাঁটা পথ। সুজন বলেন, ‘ওই ভবনে আরো অনেকে ছিলেন। তাদের অধিকাংশ বের হতে পারলেও মেহেদি বের হতে পারেনি। সম্ভবত কাঁচ ভেঙে পড়ায় তার আঘাতে সে মারা যান।’
মেহেদির লাশ এখন মাউন্ট লেভেন হসপিটালে আছে। সুজন বলেন, ‘আমি এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের দৃশ্য নিজ চোখে দেখেছি। আমি বেঁচে আছি। কিন্তু আমার রুমমেট ভাইতো মারা গেল। আমি সেই ভয়াবহ দৃশ্য ভুলতে পারছি না।’
সূত্র: ডয়চে ভেলে
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2DfTLpG
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD