১. প্রথমত বাজেট অপর্যাপ্ত থাকা বা না বুঝে কম্পানির বিভিন্ন সেলস এর লোকের মিষ্টি কথায় ভুলে বাজারের নিম্ন মানের এসি গুলো কিনে এনে ঘরে/ কর্মক্ষেত্রে লাগানো প্রথম ভুল সিদ্ধান্ত।
২. এর পর আসে ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন না করা।
৩. সঠিক ভাবে নিয়মিত দক্ষ টেকনেশিয়ান দিয়ে সার্ভিসিং না করানো।
৪. কখনো গ্যাস পরিবর্তন বা চার্জ করার আগে এটার কোয়ালিটি সম্পর্কে জেনে না নেওয়া।
৫. অদক্ষ লোক দিয়ে অল্প টাকায় রিপিয়ারিং/ সার্ভিসিং করতে গিয়ে এসির ম্যাকানিক্যাল সিস্টেমে নতুন কোনো সমস্যা তৈরি করে ফেলা। ( আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন অদক্ষ লোক কাজে কোনো ভুল করলে ও নিজেও ধরতে পারবে না কি ভুল করছে। এসি ব্লাস্ট হয়ে আগুন ধরলে মরবেন আপনি। বিষয় টা মাথায় রাইখেন
৬. এসিতে লিক হলে লিক রিপিয়ার না করে অনেকেই গ্যাস চার্জ করে। যা একটা মারাত্বক বিপদজনক কাজ। মনে রাখবেন বর্তমান বাজারের এসিতে ব্যাবহৃত হয় 410A (ডাইফ্লোরো মিথেন ও পেন্ট্রাফ্লোরো ইথেন এর মিক্সার) গ্যাস। (মিথেন গ্যাস বোঝেন তো নাকি?? যেটা দিয়ে বাসাবাড়িতে রান্না করে খান) যা অত্যন্ত হাই প্রেশার এর একটি দাহ্য গ্যাস। বুঝতে পারছেন তো এইবার কি জিনিশ আপনার রুমকে ঠান্ডা করে
৭. সঠিক ইলেক্ট্রিক ক্যাবল, সার্কিট ব্রেকার, প্লাগ সুইচ সকেট ব্যাবহার না করার জন্যেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অনেকেই ভাবেন এসি রুমের বাতাস কে বের করে দেয় আর বাইরের বাতাস কে ঠান্ডা করে রুমে ঢোকায়। এসব ভুলভাল ভাবা বন্ধ করে কি কিনতেছেন টাকা দিয়ে, আর কেনার পরে কি কি ব্যাবহার তার সাথে করতে হবে সেটা মাথায় রাখুন।
আর নাহলে আপনার সাধের রুম ঠান্ডা করা মেশিন টাই হঠাৎ করে বাড়ি বা অফিস পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিতে পারে। ভাগ্য খারাপ হলে সাথে আপনাকেও
সমাধান
১.প্রতি সপ্তাহে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে
২.প্রতিমাসে আউটডোরে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে সার্ভিসিং করতে হবে।
৩.ইনডোর আউটডোর সার্ভিসিং করতে হবে অন্তত তিনমাস পর পর.
৪.প্রতি বছরে একবার এসি খুলে ওভারহোলিং করা, নাইট্রোজেন ফ্লাশ করা, গ্যাস নতুন করে রিফিল করা
৫.দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ান ধারা এয়ারকন্ডিশন রক্ষণাবেক্ষণ করা।
সংগৃহীত
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/320iWGd
Post Come trough : নাচোল নিউজ