অবিশ্বাস্য হলেও মাত্র ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেএন৯৫ মাস্ক। চিকিৎসা সরঞ্জামের দোকানের পাশাপাশি মিলছে ফুটপাতের ভ্যানেও। একটি পোশাক কারখানা কেএন৯৫ মাস্ক তৈরি করে রপ্তানির উদ্যোগও নিয়েছে। কিন্তু এসবের কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ নেই তদারক সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।
অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে কেএন৯৫ মাস্ক তৈরির মূলশর্ত দেশ-বিদেশের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করলেও অনুমোদনে গড়িমসি সংস্থাটির।
নিয়ম অনুযায়ী দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী এন৯৫ বা কেএন৯৫ মানের মাস্ক বানাতে নিতে হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন। এর আমদানি-রপ্তানিতেও সংস্থাটির অনুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক।
কিন্তু দেশের নানা প্রান্তে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে কেএন৯৫ মাস্ক। ভালো মানের একটি মাস্কের দাম কমপক্ষে ১২০ টাকা হলেও পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ৮০ টাকায়।
গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রামের পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল প্রমোটার্স জানায়, দেশেই কেএন৯৫ মানের মাস্ক বানাচ্ছে তারা। পাশাপাশি রপ্তানির প্রস্তুতিও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, কোরিয়ার সাথে যৌথ বিনিয়োগে চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট দেশ-বিদেশের পরীক্ষাগারে ৯টি টেস্টে মানোত্তীর্ণ সনদ পেয়েছে। তবুও অনুমোদনে গড়িমসি তদারক সংস্থার।
তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, অনুমোদনহীন কেএন৯৫ মাস্ক বাজারজাতকরণ বন্ধে সতর্ক তারা। পাশাপাশি, জেএমআইয়ের মাস্কের অনুমোদনে গড়িমসির বিষয়টিও অস্বীকার করছে অধিদপ্তর। জনবল সংকটের কারণে মাস্কের বাজারে তদারকি ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3jCPuvI
Post Come trough : নাচোল নিউজ