স্যার অ্যান্ডি রবার্টসের খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয় ১৯৮৩ সালে। কিন্তু ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার।
৬৮ বছর বয়সেও তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ২০০১ সালে তরুণ পেসারদের নিয়ে কাজ করতে এসেছিলেন বাংলাদেশে।
বিকেএসপিতে দুই সপ্তাহের ক্যাম্পে মাশরাফি মুর্তজার বোলিং ভালো লেগেছিল রবার্টসের। তখন থেকেই বাংলাদেশের অধিনায়ককে তার ডাক নাম ‘কৌশিক’ নামে চেনেন এই ক্যারিবীয় গ্রেট।
প্রতিভা চিনতে ভুল হয়নি তার। সে সময় বয়সভিত্তিক দলে খেলা মাশরাফির ভেতর দুর্দান্ত এক পেসারকে খুঁজে পেয়েছিলেন রবার্টস। ২০০১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসে জিম্বাবুয়ে।
সে বছরের জুনে বিসিবিকে দেওয়া রিপোর্টে মাশরাফির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে তাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে নেওয়ার সুপারিশ করেন রবার্টস।
শুরুতে নির্বাচকদের মধ্যে দ্বিধা থাকলেও পরে ক্যারিবীয় কিংবদন্তির সুপারিশেই সুযোগ পান মাশরাফি। যদিও ১৭ বছরের এক তরুণকে টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন আঙিনায় নামিয়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সংবাদ মাধ্যমে।
বাংলাদেশ ছাড়ার আগে রবার্টস কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় বলে যান, ‘আমি নিজেও এত কম বয়সে একজন ফাস্ট বোলারকে টেস্ট ক্রিকেটে খেলানোর পক্ষে নই।
তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সেটা বিবেচনা করা যেতেই পারে। একজন বোলার ব্যতিক্রমী প্রতিভাবান হলে এবং অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকলে তাকে টেস্টে খেলানো দোষের কিছু নয়।
কৌশিক তেমনই একজন ব্যতিক্রমী ফাস্ট বোলার।’গত রবিবার টন্টনের কর্নার হাউজ হোটেলে মাশরাফিকে নিয়ে রবার্টস বলেন, আমি তার দীর্ঘদিনের ফ্যান। তাকে আমি কৌশিক নামেই চিনি।
হঠাৎ মাশরাফি বললে চিনতে পারি না। ফোনে কথা হয়েছে তার সঙ্গে। সমালোচনা হচ্ছে, তাই সে বেশ হতাশ। তাকে বলেছি, জীবনের প্রতিটি দিন ভালো যায় না।
ভালো-খারাপ মিলিয়েই জীবন।মাশরাফিকে নিয়ে রবার্টস বলেন, ভক্তরা যখন অনেক প্রত্যাশা করে, তখন তেমন কিছু না পেলে সমালোচনা তো করবেই। এটা বন্ধ করা যাবে না।
কৌশিকের ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। সে ভালো ক্রিকেটার। তার মতো বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেটার বাংলাদেশে আর নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সে অনেক দূর নিয়ে গেছে। তাকে যথেষ্ট সম্মান দেওয়া উচিত, দেশের জন্য তার ভালোবাসাকে প্রত্যেকের সম্মান জানানো উচিত।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2Z104VL
Post Come trough : নাচোল নিউজ