৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মুদ্রার দুই এপিঠ-ওপিঠ দেখা হয়ে গেছে তাসকিন আহমেদের। এক সময়ে জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হলেও, অফ ফর্ম এবং চোটের কারণে জায়গা হারাতে হয় এই পেসারকে।
বিপিএলের পঞ্চম আসর দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ইনজুরির কাছে হেরে যেতে হয় তাসকিনকে। সেবার সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিলেও টুর্নামেন্টের শেষের দিকে ইনজুরিতে পরেন তিনি।
ছিটকে যান নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে এবং টেস্ট দল থেকে।এরপর বেশ কয়েকবার জাতীয় দলের স্কোয়াডে জায়গা মেললেও, একাদশে ছিলেন না তাসকিন।
সব মিলিয়ে ডানহাতি এই পেসার দেশের হয়ে খেলেছেন দুই বছর আগে ২০১৮ সালের মার্চে। দেশের হয়ে আবার নিয়মিত হতে তাই নিজেকে প্রস্তুত করে যাচ্ছেন তিনি।
২৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার নিয়মিত কাজ করছেন ফিটনেস নিয়ে। ওজন কমানোর পাশাপাশি বোলিংয়ে গতি বাড়ানোই তাঁর এখন মূল লক্ষ্য। এছাড়া দেশের হয়ে খেলতে চান ৩ ফরম্যাটেই।
সেই লক্ষ্যেই নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন তাসকিন।শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইটের সঙ্গে ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভে এসেছিলেন তাসকিন। সেখানেই নিজের এসব পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
জানিয়েছেন, ১৩০ গতিতে বোলিং করলে কেউই তাঁকে দলে নেবে না, এটা সাফ জানা আছে তাঁর। এই কারণেই গতি বাড়ানোর দিকেই বাড়তি মন দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।
তাসকিন বলেন, ‘গত দেড় বছরে আমি স্কোয়াডে সুযোগ পেলেও ম্যাচ খেলা হয়নি। এর আগে চোটের কারণে ফিটনেস এবং গতির দিক দিয়ে আমি ধারাবাহিক ছিলাম না।
কোচিং স্টাফ সহ অনেকেই এই কারণেই আমাকে দলে নিতে চায়নি। সে সময়ই আমি লক্ষ্য স্থির করি নিজেকে ফিট বানানোর এবং ধারাবাহিক হওয়ার। যাতে আমি ৩ ফরম্যাটেই খেলতে পারি।
এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। তারপরও ইনজুরি যে কারও যেকোনো সময় হতে পারে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছি, সেরাটা দিয়ে বোলিং করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।
‘আমি একজন ফাস্ট বোলার, আমি ১৩০ গতিতে বোলিং করলে নির্বাচকরা আমাকে দলে নেবে না। আমাকে ধারাবাহিকভাবে ১৪০ গতিতে বোলিং করতে হবে। এটাই এখন লক্ষ্য আমার।
এই কারণেই ফিটনেসে উন্নতি করছি। এছাড়া মানসিকভাবেও প্রস্তুতি নিতে হবে যেন আমি ১৪০ গতিতে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করি। এটাও আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছি।
আশা করছি সামনের দিনগুলোতে এগুলো আমাকে সাহায্য করবে’ আরও যোগ করেন তিনি।২০১৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগাং কিংসে এক সঙ্গে খেলেছেন তাসকিন এবং টেইট।
সে সময় তরুণ তাসকিনকে খুব কাছ থেকেই দেখেছেন এই অজি। যে কারণে চোট থেকে ফেরার পর কিভাবে গতি ফিরে পেতে হয় সাবেক সতীর্থকে সেই উপায় বাতলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০০৭ বিশ্বকাপ জেতা টেইট।টেইট বলেন,
‘আমরা যখন ইনজুরি থেকে ফিরি আমাদের আন্তর্জাতিক মানের পূর্ণ গতি ফিরে পেতে ২-৩ মাস লেগে যায়। যদি অধ্যবসায় থাকে তাহলে এটা ফিরে পাওয়া সম্ভব। তুমি যদি আত্মবিশ্বাসী থাকো এবং শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করো তুমি তোমার গতি ফিরে পাবে।
”এটা পুরোটাই মানসিকতার উপর নির্ভর করে, তুমি যদি নিজেকে বলো আমি আবার আমার গতি ফিরে পাবো। তাহলেই শুধু সম্ভব। এমনটা নাহলে আবারও ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে’ আরও যোগ করেন টেইট।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2DmuHNw
Post Come trough : নাচোল নিউজ