ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার জি কে শামীম, খালেদ, লোকমান, এনু ও রুপনের ব্যাংকে রাখা ৪০৫ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে সিআইডি। রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা আরো ৩৫ কোটি টাকা। সিআইডি প্রধান জানিয়েছেন, এই ৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮ মানিলন্ডারিং মামলার অভিযোগপত্র দিয়ে ফ্রিজ করা হয়েছে অবৈধ টাকা। তবে অভিযোগপত্র আদালতে জমার দীর্ঘদিন পার হলেও শুরু হয়নি বিচার।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। গ্রেপ্তার হন তৎকালীন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট- খালেদ মাহমুদ ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী জি কে শামিমের মতো রাঘববোয়ালরা। এদের গ্রেপ্তারে বিপুল অবৈধ অর্থের সন্ধান মেলে মানিলন্ডারিং আইনে হয় মামলা।
তদন্ত শুরুর ৫ মাসের মাথায় খালেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। ২ মামলার তদন্তে খোঁজ মেলা ৩৯ কোটি টাকা ফ্রিজ করে সিআইডি।
মার্চে অভিযোগপত্র দেয়া হয় বিসিবির লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। ফ্রিজ করা হয় তার ২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার ব্যাংক হিসাব।
জুলাইয়ে ৪ মামলায় অভিযোগত্র দেয়া হয় ক্যাসিনো ব্রাদার্স খ্যাত এনু-রুপনের বিরুদ্ধে। সন্ধান পাওয়া ২০ কোটি টাকা করে সিআইডি।
আগস্টে অভিযোগপত্র দেয়া হয় জি কে শামিমের বিরুদ্ধে। খোঁজ মেলা তার ব্যাংক হিসাবের ৩২৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করা হয়।
সিআইডি জানাচ্ছে, ক্যাসিনোকাণ্ডে মানি লন্ডারিং আইনে ১২ মামলার ৮টিরই অভিযোপত্র দেয়া হয়েছে।
৮ মামলায় অভিযোগপত্র জমার কোনোটির এক মাস, কোনোটির ৭ মাস পার হলেও শুরু হয়নি বিচার। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, অর্থপাচার মামলার সবোর্চ্চ সাজা ১২ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা।
অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, ক্যাসিনোকাণ্ডের মতো চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার দ্রুত শেষ করা করা জরুরি।
ক্যাসিনো অভিযানে গ্রেপ্তার আসামিদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা না গেলে ন্যায় বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2QZZ7Zq
Post Come trough : নাচোল নিউজ