ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে লাইপজিগ
স্পোর্টস ডেস্কঅ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে লাইপজিগ। এর ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে এসেই সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইউলিয়ান নাগেলসম্যানের দল।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাতে পর্তুগালের লিসবনে এক লেগের কোয়ার্টার ফাইনালে শুরু থেকে জমে ওঠে লড়াই। ম্যাচের ৫০ মিনিটে দানি অলমোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লাইপজিগ, ৭১ মিনিটে সমতা ফেরায় অ্যাটলেটিকো। একদম শেষদিকে গোল করে দলকে সেমিতে তোলেন টাইলার অ্যাডামস।
অথচ ২০১৬ সালের আগে সে অর্থে নামই ছিল না লাইপজিগের। থাকবেই বা কী করে? ততদিন পর্যন্ত তারা যে ছিল জার্মানির দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে। আরেকটু বিস্তারিত বললে, ২০০৯ সালের আগে তো অস্তিত্বই ছিল না জার্মানির স্যাক্সোনির এ ক্লাবটির। ২০০৬ থেকে আলোচনা শুরু করে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে আরবি লাইপজিগ। এরপর থেকে চলছে তাদের স্বপ্নযাত্রা।
২০০৯ সালে ক্লাবের জন্মের পর ২০১০ সালে তারা উন্নীত হয় চতুর্থ বিভাগে, তিন বছর পর ২০১৩ সালে আসে তৃতীয় বিভাগে। পরের বছর তারা উঠে আসে দ্বিতীয় বিভাগে। সেখানে দুই আসর খেলে ২০১৫-১৬ মৌসুমে অবশেষে তাদের সুযোগ আসে জার্মানির শীর্ষ লিগ বুন্দেসলিগায়।
এখানেও চমক দেখায় লাইপজিগ। বুন্দেসলিগায় নিজেদের প্রথম আসরেই রানারআপ হয় ক্লাবটি। যার সুবাদে সুযোগ পেয়ে যায় ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে। তবে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের যাত্রা অত সুখকর ছিল না। তারা বাদ পড়ে যায় গ্রুপ পর্ব থেকে। পরে ২০১৭-১৮ মৌসুমের বুন্দেসলিগায় ষষ্ঠ হওয়ায় সুযোগ মেলেনি ২০১৮-১৯ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে।
পরের মৌসুম অর্থাৎ ২০১৮-১৯ সালে সঠিক পথে ফেরে লাইপজিগ। এবার তারা বুন্দেসলিগায় হয় তৃতীয়, যার সুবাদে মেলে ২০১৯-২০ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট। যা কি না তাদের মাত্র দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগের আসর। আর এবারই তারা উঠে গেছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে।
এবারের আসরের গ্রুপপর্বের ৬ ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রতে ১১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই শেষ ষোলোতে উঠেছে তারা। যেখানে টটেনহ্যাম হটস্পারসকে দুই লেগ মিলে ৪-০ গোলে হারিয়ে মেলে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। আর সবশেষ অ্যাটলেটিকোকে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা চলমান রেখেছে নিজেদের স্বপ্নযাত্রা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3iFhT42
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD