চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশান) ইদ্রিস আলী, সদ্য বিদায় নেয়া ওসি জিয়াউর রহমানের পর এবার অপরাধীচক্রের টার্গেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় যোগদানের পর থেকেই নিয়মিত অভিযান চালিয়ে একের পর এক জেলার শীর্ষ মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করছিলেন সাহসী পুলিশ অফিসার ইদ্রিস আলী। দক্ষতা ও সাহসিকতার সাথে আসামি গ্রেফতার, মাদক নিয়ন্ত্রণ, ওয়ারেন্ট তামিল ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভ’মিকা রাখায় ২০১৮ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক নির্বাচিত হন ইদ্রিস আলী। সে সময় তার বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালানো হয়। তার বদলি হওয়ার পর সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি ও মাদক সিন্ডিকেটের গডফাদাররা পিকনিক করে উৎসব করেন।
এছাড়াও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের আরেক চৌকশ পুলিশ অফিসার বর্তমানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত এসআই রশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও পুলিশের উচ্চপর্যায়ে অভিযোগ করে মাদক কারবারিরা। সদ্য বিদায় নেয়া ওসি জিয়ারউর রহমান পিপিএম যখন দক্ষতার সাথে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তখন অপরাধী চক্র তাকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠে। জনবান্ধব সেই ওসির বিরুদ্ধেও সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনায় তার বদলির পর অপরাধীদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। এবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএমকে টার্গেট করেছে অপরাধীচক্র। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে জেলা পুলিশের দক্ষ মেধাবী ও সাহসী পুলিশ অফিসার আবু আব্দুল্লাহ জাহিদের চরিত্র হননের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাদক-অস্ত্রসহ বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য উদ্ধারে সাহসিতকতার সাথে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন এসআই আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ। তাকে বদলির উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিরা অপপ্রচারের জন্য অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করছেন।
সীমান্তের চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্রকারবারি মো. খালেকের প্ররোচনায় এসআই জাহিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই চোরাকারবারি খালেকের বিরুদ্ধে মাদক-অস্ত্র ও প্রতারণার ৪টি মামলা রয়েছে। এসআই জাহিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জে যোগদানের পর থেকে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
চুরি-ছিনতাই দমন, চোরাই মালামাল উদ্ধার, ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার ছাড়াও জঙ্গি দমনে তিনি সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে তিনি মাদকবিরোধী অভিযানে সাহসী ভূমিকা পালন করছেন। অস্ত্র-মাদক উদ্ধার ও বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেফতারে সাহসী ভূমিকা রেখে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ অফিসার।
হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন, চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ব্যাপক পরিচিতি পান এসআই জাহিদ। তিনি একজন নির্ভীক, দক্ষ, সাহসী ও মানবিক পুলিশ অফিসার। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষহীন মনোভাবের কারণে এই এলাকার গণমানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা ও জনসেবার জন্য ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) অর্জন করেন এসআই জাহিদ। গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খল আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য তাকে এই পদক দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে এসআই আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম জানান, দীর্ঘদিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। বহু মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছি। হত্যারহস্য উদঘাটন করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অনেক অপরাধীর পেছনে ধাওয়া করেছি। পেশাগত কারণে আমি অপরাধীদের কাছে খারাপ হবো এটাই স্বাভাবিক।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3haCsVD
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ