মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের অভিযান: বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ২৭
প্রবাস
আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়াপ্রতিনিয়ত চলছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের অভিযান। সে দেশের সরকার ও অভিবাসন বিভাগ বলছে, দেশের সার্বভৌমত্ব বজায়, বিদেশিদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ দমন ও চলমান মহামারি করোনাভাইরাস ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ অভিযান চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিযান পরিচালনার সময় সকল অফিসার এবং অপারেশনের সদস্যরা কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে জেআইএম কর্তৃক নির্ধারিত সুরক্ষা এসওপি মেনেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ জনসাধারণকে অনুরোধ করেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখেতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে অবৈধ অভিবাসী বা অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কিত তথ্য জানানোর আহ্বানও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই দিনে পৃথক পৃথক অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে বাংলাদেশিসহ ২৭ জন অভিবাসিকে গ্রেপ্তার করেছে অভিবাসন বিভাগ। ২১ আগস্ট ভোরে দেশটির কোটা দামনসারা ও ক্লাং এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের। তারা বয়স ২২ থেকে ৫০ বছর বয়সী। তবে কোন দেশের কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আরো তদন্তের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন, সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সিমুনিয়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯ / ৬৩৩ এর ধারা (বি) অনুযায়ী ১৪ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হবে বলে জানান সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর, মোহামাদ শুকরী নাভি ।
ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর শুকরী নাভি সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের দ্বারা (গ্রেপ্তারকৃত) শনাক্ত হওয়া অপরাধগুলোর মধ্যে অভিবাসন আইন ১৯৫৯ / ৬৩৩ এর ধারা (১) (গ) অনুসারে রয়েছে যা বৈধ পাস বা পারমিট নেই এবং একই আইনের ধারা ১৫ (১) (গ) এর ধারায় অতিরিক্ত সময় অবৈধভাবে অবস্থান করা। এ ছাড়া অবৈধ ভাবে নিয়োগদেয়া নিয়োগকর্তাদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জনান ইমিগ্রেশন এ কর্মকর্তা।
এদিকে ২০ ও ২১ আগস্ট, ইমিগ্রেশন গোয়েন্দা ও বিশ্লেষণ বিভাগ এবং জেআইএম অপারেশন, তদন্ত ও প্রসিকিউশন বিভাগের দু'টি দল রাজধানী কুয়ালালামপুরের আশপাশে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুটি ২ টি ভুয়া জাল ডকুমেন্ট তৈরির সিন্ডিকেটের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
এই অভিযানে, এই সিন্ডিকেটের মূল মাস্টারমাইন্ডস দু'জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দু'জন বাংলাদেশি মেয়ে, দুজন ইন্দোনেশিয়ান মেয়েও রয়েছে।
রাজধানীর আশেপাশের নির্মাণ সাইটে কর্মরত বাংলাদেশিদের কাছে পিএলকেএস স্টিকারগুলি বিক্রি করত এ সিন্ডিকেট। ষ্টিকার প্রতি ৬৫০০ থেকে শুরু করে ৮০০০ রিঙ্গিত দিতে হত এ সিন্ডিকেটকে। আর নবায়নের ক্ষেত্রে আদায় করত ২৫০০ রিঙ্গিত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত না হলেও বিদেশী কর্মীদের এজেন্ট হিসাবে কাজ করে আসছিল এ সিন্ডিকেট।
অভিযানের সময় ১৭৭টি বিদেশি পাসপোর্ট, পরিশোধের লেনদেনের অনুলিপি, নগদ ৪০০০ রিঙ্গিত, দুটি কম্পিউটার, প্রিন্টারের দুটি ইউনিট এবং একটি আলজা গাড়ি জব্দ করেছে। এ ছাড়া অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয় ম্ইাইজি রি-হিয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন স্লিপের বেশ কয়েকটি অনুলিপি।
গ্রেপ্তারকৃতদের পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড সম্পর্কে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৫৫উ এর অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে ৩০,০০০ রিঙ্গিত জরিমানা এবং পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/32keYXE
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD