বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও আর্দশকে বাস্তবায়ন করতে পেছন থেকে যিনি কাজ করেছিলেন তিনি শেখ মুজিবের প্রিয় ‘রেণু’। এই মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। আজ তার ৯০তম জন্মদিন। স্বাধীনতাপূর্ব আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ আর পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সকল কাজের প্রেরনাদাত্রী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় তিনি এখন ‘বঙ্গমাতা’।
১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা, যিনি পরিবারে পরিচিত ছিলেন রেণু নামে। শৈশবে অভিভাবক হারানো রেণুকে মাতৃস্নেহে আগলে রাখেন তার চাচি এবং পরবর্তীতে শাশ্বড়ি সায়েরা খাতুন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে শেখ মুজিবের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি।
বঙ্গবন্ধূর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে বার বার উঠে এসেছে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ছায়াসঙ্গী প্রিয় রেণূর অবদানের নানা গল্প। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে কারাগারে। তখন তার সঙ্গে দেখা করে প্রতিটি রাজনৈতিক ঘটনা অবহিত করতেন বেগম ফজিলাতুন্নেসা।
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে প্রায়ই নিজের ঘরের আসবাবপত্র, অলংকার, পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে ক্রান্তিকালে দল ও নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান তিনি।
আগরতলা যড়ষন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু কারাগারে গেলে লাহোর গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবার জন্য শেখ মুজিবকে প্যারোলে মুক্তি দেবার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান সরকার। কিন্তু সহধর্মিনীর পরামর্শে প্যারোলে মুক্তিতে অসম্মতি জানান বঙ্গবন্ধু।
স্বাধীনতার পর আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে তুলে ধরতে বিশ্বনেতারা বাংলাদেশ সফরে এলে বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকতেন শেখ ফজিলাতুন্নেসা।
শুধু সহধর্মিনী হিসেবে নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুর সপরিবার হত্যাযজ্ঞে তিনিও শহীদ হন।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2C7zh1x
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ