করোনাভাইরাসসহ নানা কারণে সৌদি আরবের জেদ্দায় আটকেপড়া প্রবাসীরা আজ দেশে ফিরছেন। সকালে তাদের বহনকারী ফ্লাইটটির দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তাদের ফেরাতে বিমানের একটি ফ্লাইট বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, করোনায় আটকেপড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেরাতে জেদ্দা থেকে এই বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফ্লাইটটি কার্গো হিসেবে যাবে, যাত্রী নিয়ে ফিরে আসবে। তবে কতজন যাত্রী ফিরে আসবেন, তা এখনও জানা যায়নি।
গত ২৭ আগস্ট বিশেষ ফ্লাইটটির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ বিমান। দেশে ফিরতে আগ্রহী প্রবাসীরা বিমানের ওয়েবসাইটের নির্ধারিত লিংকে নিবন্ধন করেন।
বিমান সূত্র জানায়, আটকেপড়া প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর জেদ্দা থেকে আরও একটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এছাড়া আগামী ৮ সেপ্টেম্বর রিয়াদ থেকে এবং ১০ সেপ্টেম্বর দাম্মাম থেকে বিশেষ ফ্লাইটে আটকেপড়া প্রবাসীদের দেশে ফেরাবে বিমান।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/34WgT7X
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
সকাল থেকেই রাজধানীতে জলমলে আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোদের উত্তাপও বেশ। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঢাকায় আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময়ের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
ঢাকায় আজ ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৪ দশমিক ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আজ দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও ঝড়বৃষ্টি বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় নদীবন্দরে কোনো সতর্ক সংকেতও দেখাতে বলেনি আবহাওয়া অফিস।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/32VYXaM
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়িদের কথা চিন্তা করে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নানাভাবে হয়রানি ও জোর-জবরদস্তি করে কিস্তি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ক্ষুদ্রঋণ বিতরনকারি বিভিন্ন এনজিও’র বিরুদ্ধে।
তাদের মাঠকর্মীরা দলবল নিয়ে ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি প্রদর্শনের মাধ্যমে কিস্তি আদায়ে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এনজিও কর্মীদের বিরতিহীন নানাবিধ চাপে রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গ্রামীণ জনপদে বাস করা নিম্নআয়ের সাধারণ দিনমুজুর ও খেঁটেখাওয়া কর্মহীন মানুষ।
এনজিও মাঠকর্মীদের আতঙ্কে অনেকে তাদের বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তাদের অনেকেই ভবিষ্যতে আর কোন ঋণ না পাওয়ার ভয়ে এদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুফল মিলছে না।
সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করলে লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেও কিস্তি আদায়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এনজিও কর্মীরা। এরই মধ্যে চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন স্থানে কিস্তির টাকা আদায় নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে এনজিও কর্মীদের উগ্র আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদের ঘটনাও ঘটেছে।
এনজিওগুলো থেকে সাধারণত যারা ঋণ নিয়ে থাকেন তাদের সিংহভাগই গ্রামের সাধারণ কৃষক, রিকশা-ভ্যান-সিএনজি চালক, চায়ের দোকানদার, সবজি বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা, প্রবাসী ও দিনমজুরের মতো নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনের আয় বা মাসিক বেতন থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে তারা তাদের সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তি পরিশোধ করেন।
বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতা অভিযোগ করেন, এনজিও’র মাঠ কর্মীরা লোকজন নিয়ে বাড়িতে এসে তাদের কিস্তি পরিশোধের জন্য জন্য চাপ দিচ্ছে, করোনার এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ঘন্টার পর ঘন্টা বাড়িতে বসে থেকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছে, অফিস থেকেও বড় বড় কর্তারা ফোন দিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
বেশ কয়েকটি এনজিও’র মাঠ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মী বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি কিস্তি পরিশোধ করার মতো অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি। কিন্তু কিস্তি আদায় করতে না পারলে আমাদের বেতন আটকে রাখা হয়। এমনকি চাকরিও চলে যায়। তাই কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা মাঠে নামতে বাধ্য হই।’
এনজিও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোক জমায়েত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধির কোনরূপ তোয়াক্কা না করে যেভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা মহিলাদের জমায়েত করছেন, তাতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা সংক্রমনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও অনেকাংশে বেড়ে যাচ্ছে।
তারা জানান, গত ৬ মাস ধরে আমাদের আয়-রোজগারের সব পথই বন্ধ। নানারকম সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের ওপর বেঁচে আছেন। এ অবস্থায় তাঁদের কোনভাবেই কিস্তি দেওয়া সম্ভব নয়। কিস্তির তাগাদার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাতে হচ্ছে বলেও জানান তারা।
‘ব্যুরো বাংলাদেশ’ নামক একটি এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণকারী নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী সদস্য অভিযোগ করে বলেন, অসুস্থ থাকার কারণে আমি গত রবিবার (৩০ আগস্ট) সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে পারি নাই। কিন্তু তাদের একজন পুরুষ মাঠকর্মী সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত আমার ঘরে বসে ছিলেন। এসময়ে ওই মাঠকর্মী আমাকে নানান কটুকথা বলে মানসিকভাবে হয়রানি করে কিস্তি দেয়ার জন্য। পরে আমি বাধ্য হয়ে তাতক্ষনিক আমার কয়েকটি হাঁস-মুরগি বিক্রি করে কিস্তি পরিশোধ করি।
তাছলিমা নামে একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, দৈনিক রোজগার বন্ধ, পরিবারের দৈনন্দিন খাবারের চাহিদা মেটাতেই যেখানে হিমশিম খাচ্ছি, সেখানে কিস্তির চাপ আর নিতে পারছি না। এনজিও কর্মীদের সরকারি নির্দেশনা কথা স্বরণ করিয়ে দিলে তারা ধমকের স্বরে বলেন, ‘আপনাদেরকে কি সরকার লোন দিয়েছে? সরকারের কথা বলছেন কেন? আমরা সরকারকে চিনিনা, লোন দিয়েছি আমরা, আমাদের কথাই আপনাদেরকে শুনতে হবে।’
সাথী নামে অন্য একজন গ্রাহক বলেন, ‘রাত পোহালেই কিস্তির জন্য এনজিও কর্মীরা বাড়িতে চলে আসছেন। যতক্ষণ টাকা পরিশোধ না করা হয় ততোক্ষণ এনজিও কর্মীরা বাড়ী থেকে যেতে চান না এবং পরবর্তীতে ঋণ দেয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছেন।’
প্রায় একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে এসএসএস, ব্র্যাক, টিএমএসএস, আশা, শক্তি, সুরা, জাগরণী, কনফিডেন্স, আশার আলো সহ ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী আরো কয়েকটি এনজিও’র বিরুদ্ধে।
যোগাযোগ করা হলে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি আদায়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে, কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে ঐ এনজিও’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, জোর করে কিস্তি আদায় করছে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি’র (এমআরএ) এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সারাদেশে করোনা সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোন গ্রাহককে কিস্তি পরিশোধে চাপ প্রয়োগ করা যাবেনা, তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিস্তি পরিশোধ করতে চান তাহলে তা গ্রহণ করা যাবে। কোন গ্রাহক যদি ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে তাদের ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলেও ঋণকে নিয়মিত রেখে প্রয়োজনে নতুন ঋণ দিতে হবে।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2EWF4Iz
Post Come trough : নাচোল নিউজ
স্পেনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের একটি রেস্টুরেন্টে দলের ৪২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্পেন বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মনুর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনাসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোগমুক্তি কামনা করা হয়।
আলোচনা সভায় টেলিকনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান।
স্পেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এইচ সোহেল ভূঁইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর রাসেলের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় অংশ নেন স্পেন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি নূর হোসেন পাটোয়ারী, সহ সভাপতি সৈয়দ মাসুদুর রহমান নাসিম, এস এম আহমেদ মনির, সোহেল আহমদ সমছু, নাজমুল ইসলাম নাজু , সহ সাধারণ সম্পাদক সানুর মিয়া ছাদ, হুমায়ুন কবির রিগ্যান, যুব বিষয়ক সম্পাদক কাজী জসিম, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক শাওন আহমদ, সুজন মুন্সী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুবেল সামাদ, সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুজন মল্লিক, সাহাবুদ্দিন, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাদেকুর রহমান, তরুন বিষয়ক সম্পাদক আজহার খান, বিএনপিনেতা হাজি হাবীব আলী, ছাত্রনেতা শাহজাহান চৌধুরী, জাহিদ হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বলেন, একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েমের পরে দেশে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরী হয়েছিল, সেটি পূরণ করতে জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। স্বৈরাচারী শাসকেরা একদিকে জনগণের অধিকার হরণ করছে, অন্যদিকে নির্যাতন নিপীড়ণের স্টীম রোলার চালিয়ে বিএনপিকে নির্মূল করে দিতে চায়। কিন্তু বিএনপি জনগণের দল, এই দলকে নির্মূল বা পরাজিত করা যাবে না। প্রতিবারই বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবারো জনগণের সক্রিয় সহযোগিতায় আমরা অবশ্যই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবো। আর এটাই হচ্ছে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের শপথ।
সভায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের নানা দিক আলোচনা করা হয় এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবন্ধ থাকার আহবান জানান নেতারা।
পরে দেশের কল্যাণ, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনাসহ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/351lx4y
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি কন্যা রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি বুধ, দেবগুরু বৃহস্পতি ও বিঘ্ন সৃষ্টিকারী গ্রহ কেতুর প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে মীন রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। অত্যাবশ্যকীয় বিবাহে কোনো না কোনো বাধা এসে হাজির হবে। পিতামাতার কাছ থেকে ভরপুর সাহায্য-সহযোগিতা পাবেন।
মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]
শিক্ষার্থীদের জন্য নিত্যনতুন সুযোগ এসে হাজির হবে। পিতামাতার কাছ থেকে ভরপুর সাহায্য-সহযোগিতাপ্রাপ্ত হবেন। কর্মের সুনাম যশ পদোন্নতির পথ সুগম করবে। নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিকল্পনা আলোর মুখ দর্শন করবে।
বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]
দীর্ঘদিনের দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহবিবাদের মীমাংসা হবে। ভাঙা প্রেম ও বন্ধুত্ব জোড়া লাগবে। সহকর্মী ও অংশীদারদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। সন্তানরা আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে। অপরিচিত কাউকে আশ্রয় দেওয়া খাল কেটে কুমির আনার সমান হবে।
মিথুন [২১ মে-২০ জুন]
গৃহবাড়িতে কোনো না কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে পারে। ভাইবোনদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মতানৈক্য দূরীভূত হবে। কর্মের সুনাম যশ পদোন্নতির পথ সুগম করবে। বিবাহযোগ্যদের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে।
কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]
চতুর্দিক থেকে তরতাজা উন্নতি করতে থাকায় মন আনন্দে নাচবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মজুদ মালের দাম ফুলেফেঁপে উঠবে। দূর থেকে আসা ডাক বেকারদের মুখে হাসি ফোটাবে। প্রেমিকযুগলের প্রেম বিবাহের মাধ্যমে সমাজে স্বীকৃতি পাবে।
সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]
মনোবল জনবল অর্থবলের গ্রাফ চাঙ্গা হয়ে উঠবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র, বস্ত্রালঙ্কার ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর পসরা সাজবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পরিবারে ছোট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। প্রেমিকযুগল সতর্কতার সঙ্গে চলুন।
কন্যা [২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]
শুভাশুভ মিশ্রফল প্রদান করবে। যেমন আয় তেমন ব্যয় হওয়ায় সঞ্চয়ের খাতে থাকবে শূন্য। বাড়ির ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বৈদ্যুতিক মিটার জলের কল ও যানবাহন মেরামতে নাজেহাল হতে হবে। দাম্পত্য সুখ-শান্তি বজায় রাখা কঠিন হবে।
তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]
পাওনা টাকা আদায়ের পথ প্রশস্ত হবে। দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় সচল হবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার, অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তা ঘুচবে। বিদেশে অবস্থানরত স্বজনদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে।
বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]
বেকারদের কর্মপ্রাপ্তি হারানো কর্ম পুনরুদ্ধার এমনকি নিত্যনতুন বাণিজ্যিক স্বপ্ন পূরণ করবে। মামলা-মোকদ্দমার রায় পক্ষে আসবে। দাম্পত্য সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠার গ্রাফ চাঙ্গা হবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষের সব পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে পড়বে।
ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]
ভাগ্যলক্ষ্মী প্রসন্ন হওয়ায় সফলতা আপনার চরণ স্পর্শ করবে। চতুর্দিক থেকে তরতাজা উন্নতি করতে থাকায় মন আনন্দে নাচবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র, বস্ত্রালঙ্কার ও খেলনাসামগ্রী আসতে পারে।
মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]
দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভিড়ভাড় তীব্রগতির বাহন বর্জন করুন। অর্থকড়ির মামলায় কাউকে অধিক বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। সংকটকালে বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-পরিজন দূরে থেকে মজা দেখবে। এতদসত্ত্বেও মন সুর সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]
বিবাহযোগ্যদের বিবাহের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে। জীবনসাথী, শ্বশুরালয় ও মাতুলালয় থেকে ভরপুর সাহায্য-সহযোগিতাপ্রাপ্ত হবেন। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। সপরিবারে কাছেপিঠে ভ্রমণ যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]
শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখাই সমীচীন হবে। অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। অবশ্য শ্রমিক কর্মচারীদের মনে মালিকপ্রীতি দেখা দেবে। লম্বা দূরত্বের সফরে নিজে ড্রাইভ করা থেকে বিরত থাকুন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3lJH5bR
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
জুন-জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু দুটিই কিছুটা কমেছে। তবে আইইডিসিআর বলছে, প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার নমুনা পরীক্ষা না হলে শনাক্তের আসল চিত্র পাওয়া কঠিন। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। মার্চে মৃতের সংখ্যা ছিল পাঁচজন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে বেড়েছে আক্রান্ত, সেইসঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুও। তবে আগের দুই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু দুটিই কিছুটা কমেছে।
আইইডিসিআর এর তথ্য বলছে, জুন মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৮,৩৩০ জনের, আর মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১ শো ৯৭ জনের। জুলাইয়ে শনাক্ত ৯২ হাজার ১৭৮ জন, করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ২৬৪ জন। আগস্টে শনাক্ত ৭৫ হাজার ৩৩৫ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৭০ জনের।
করোনার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় জুনে শনাক্তের হার ছিল ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জুলাইয়ে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ২২ দশমিক ৪৬ শতাংশে। তবে আগস্টে এটি কমে ২০ দশমিক ৯০ শতাংশে দাঁড়ায়। দেশে আগস্ট পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্তের হার ২০.১৯ শতাংশ। আর মোট মৃত্যুর হার ১.৩৭ শতাংশ।
আইইডিসিআর এর তথ্য বলছে, মৃতদের মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৪৮.৩৩ শতাংশ করোনা রোগী মারা যান আর সবচেয়ে কম মৃত্যু হয় ময়মনসিংহ বিভাগে ২.১০ শতাংশ। আর আক্রান্ত হওয়ার ২ থেকে ৩ সপ্তাহে মধ্যেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে করোনা আক্রান্তদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাময়িক শনাক্ত ও মৃত্যু কিছুটা কমলেও করোনা থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী করোনা শনাক্তের সংখ্যায় চীন-ইটালিকে ছাড়িয়ে বিশ্ব তালিকায় ১৫ নম্বরে এখন বাংলাদেশ। আর মৃতের সংখ্যার দিক থেকে ২৯ নম্বরে।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3lKp5hz
Post Come trough : নাচোল নিউজ
জেনেভা: খাদ্য বা প্যাকেজিং থেকে কোনোভাবেই করোনা ছড়ায় না। মঙ্গলবার এই বিষয়ে স্পষ্ট করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাই মানুষকে এই নিয়ে আতঙ্কিত হতে নিষেধ করল হু।
প্রসঙ্গত, চিনের দুটি শহরে দাবি করা হয়েছিল যে, ব্রাজিলের ফার্জেন চিকেনে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। চিনে নতুন করে করোনা সংক্রণের জন্য এই চিকেনের প্যাকেজিং-কে দায়ী করা হয়।
সেই প্রসঙ্গে হু-এর মাইক রাইন বলেন, “খাবার বা খাবারে প্যাকেজিং বা খাবার প্রসেসিং থেকে ভয় পাওয়ার প্ৰয়োজন নেই। এইসব থেকে করোনা সংক্রমণ হয় না।” তিনি আরও যোগ করেন, “খাবার থেকে সংক্রমণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। সুতরাং নিশ্চিন্তে থাকুন আপনারা।”
হু-এর মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, চিন কয়েক হাজার প্যাকেজ পরীক্ষা করেছে এবং ‘খুব কম, ১০ জনেরও কম’-এর মধ্যে ইতিবাচক রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা চীনা অনুসন্ধানে স্পষ্টতা চাইছিল। ইকুয়েডরের উত্পাদক মন্ত্রী ইভান অনন্তেদা রয়টার্সকে বলেছে যে দেশ কঠোর প্রোটোকল বজায় রেখেছে এবং দেশ ছাড়ার পরে পণ্যগুলির কী হবে তার জন্য দেশকে দায়ী করা যায় না।
Post Written by : Subrata
Original Post URL : https://ift.tt/3bo7kzR
Post Come trough : নাচোল নিউজ
ভারতে একদিনে রেকর্ড ৮২ হাজার ৮৬০ জন মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ১ হাজার ২৬ জন। এদিকে বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২শর বেশি প্রাণহানি নিয়ে করোনায় মৃত ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৬ জন। নতুন ২ লাখ ৮২ হাজার শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্ত ২ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ১১১ জন।
বুধবার করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। মারা গেছে ১ হাজার ২১৮ জন। নতুন ৪৮ হাজার রোগী নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্ত ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫১ জনের প্রাণ গেছে। নতুন করে ৪০ হাজার মানুষে মিলেছে ভাইরাস।
যখন মেয়েরা প্রথম ছেলেদের দিকে তাকায়, তখন ছেলেদের শরীরের ঠিক কোন দিক তাদের সবার আগে চোখ যায় জানেন! এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ওয়ার্ল্ড অফ আমোর সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল।
রাস্তাঘাটে চলাফেরার পথে অনেক অচেনা-অজানা পুরুষদের দেখেন মেয়েরা। তাদের মধ্যেই কেউ আবার নিজের কিছু স্পেশাল গুনের জন্য মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেলে।
আড়চোখে হোক, অথবা সোজাসুজি— সেই স্পেশাল পুরুষির দিকে মেয়েরা তাকাতে বাধ্য হন। কিন্তু জানেন কি মেয়েরা যখন কোনও ছেলের দিকে তাকায়, তখন তারা ছেলেদের শরীরের ঠিক কোন জিনিসটার দিকে আগে তাকায়?
লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট সংস্থা ওয়ার্ল্ড অফ আমোরের একটি সমীক্ষা জানিয়েছে যে, এমন ১০টি বিষয় আছে, ছেলেদের দিকে তাকানোর সময়ে যে বিষয়গুলোর উপর মেয়েদের সবার আগে আগে নজর যায়। আসুন সেই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক :-
১. ছেলেটি ঠিক কোন দিকে তাকিয়ে রয়েছে:
সাধারণত মেয়েরা যখন কোনও অ’পরিচিত মানুষের দিকে তাকায় তখন তারা তাদের চোখের দিকেই আগে তাকায়। সে ক্ষেত্রে কিন্তু, তারা বুঝতে পারে যে, সে যার দিকে তাকিয়ে আছে সেই মানুষটি ঠিক কোন দিকে তাকিয়ে রয়েছে, বা ঠিক কী’ দেখছে, সে দিকেও কিন্তু মেয়েরা নজর রাখে।
কোনও পুরুষের দৃষ্টি ঠিক কোন দিকে থাকে, সেটার মাধ্যমে কিন্তু তার মানসিকতার ও পরিচয় পাওয়া যায়। যার ফলে সেই স’ম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়ার জন্য মেয়েরা ছেলেদের চোখের দিকে তাকায় প্রথমে।
২. ছেলেটি কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন:
মনে রাখবেন যে, মেয়েদের কিন্তু সবসময় পরিচ্ছন্নতা বেশি পছন্দ করে । স্বাভাবিকভাবেই তারা যখন কোনও পুরুষের দিকে তাকায়, তখন তাকে ঠিক যাচাই করে নেয়, ছেলেটি আসলে ঠিক কতটা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, তার ড্রেসআপ ঠিক কেমন?
কিংবা এটাও তারা ভাবে যে, তার জুতোটা ঠিক সে কতটা পরিষ্কার রাখে— এগুলো দেখেই তারা বুঝে নিতে পারে যে, ছেলেটি আদতে কতটা পার্সোনাল হাইজিনে বিশ্বা’স করে!
৩. ছেলেটি কী’ ধরনের পোশাক পরে রয়েছে:
মানুষের পোশাক, সামাজিক অবস্থান, ব্যক্তিত্ব এবং রুচি— সব কিছুই তার জীবন্ত পরিচয় বহন করে। কোনও পুরুষের পোশাক দেখে মেয়েরা সেই সমস্ত বিষয় স’ম্পর্কে একটা ছোট্ট ধারণা তৈরি করতে চায়।
৪. ছেলেটির শরীরী ভাষা কেমন:
শরীর, অর্থাৎ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হল মনের আয়না, এবং তা আম’রা সবাই জানি। যেমন, কোনও মানুষ যদি নিজের ষাতের মুঠো বন্ধ করে বসে থাকে তাহলে মনে করতে হবে সে গো’পনতা বেশি পছন্দ করে।
কেউ যদি তার শিরদাঁড়া টানটান করে যে বসে, তাহলে মনে করতে হবে হয়ত সে হয়তো কোনও কারণে উদ্বিগ্ন অথবা উত্তেজিত হয়ে গেছে । কোনও ছেলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজের ক্ষেত্রে এই বিষয়গু’লিই খতিয়ে দেখে, কারণ তারা মনের অবস্থাটার একটা পূর্ব আভাস পেতে চায়।
৫. ছেলেটি পায়ে কেমন জুতো পড়েছে :-
পোশাকের মতনই , জুতোও যে কোনও মানুষের স’ম্পর্কে অনেক কথা বলে। তার পাশাপাশি কোনও মানুষের বর্তমান অবস্থা ঠিক কেমন, সে স’ম্পর্কেও কিন্তু এই জুতো আগে থেকেই একটা ইঙ্গিত দেয়।
যেমন ধরুন, আপনি যখন কোনও চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছেন, সেই সময় আপনি যেরকম জুতো পড়বেন, এবং যখন আপনি বন্ধুদের সঙ্গে কোনও পার্টিতে যাবেন তখন নিশ্চয়ই একই রকম জুতো পড়বেন না, তাই না? মেয়েরা যে কোনও পুরুষের জুতোর দিকে তাকিয়েই সেটা আগে থেকে আঁচ করতে চায়।
৬. ছেলেটি কতটা মনোযোগী শ্রোতা:
যখন কোনও ছেলে তার বন্ধু বা পরিচিতদের সঙ্গে থাকে, তখন মেয়েটি ওই ছেলেটির দিকে তাকিয়ে খেয়াল করেন যে ছেলেটি কতটা মনোযোগী হয়ে অন্যদের কথা শুনছে।
আদৌ অন্যরা যা কথা বলছে, সেটা শোনার মানসিকতা ওই ছেলেটির মধ্যে রয়েছে কি না..! যে মানুষ অন্যদের কথা শুনতে পছন্দ করেনা, সে সাধারণত কখনোই মেয়েদের মন জয় করতে পারে না।
৭. ছেলেটি ঠিক কতটা খরুচে:
ধরুন কোনও শপিং মল বা কোনও মা’র্কে’টে একটি ছেলে কেনাকা’টায় ব্যস্ত রয়েছেন, তখনই একটি মেয়ে তার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করে যে, সে কতটা টাকা খরচ করছে!
তবে সব সময়ে খরুচে ছেলেদেরকেই যে মেয়েরা বেশি পছন্দ করে , তা কিন্তু নয়। আসলে যে ছেলে বুঝেশুনে খরচ করে, তার বিবেচনাবোধ বেশি, অনেক মেয়েদের মনেও কিন্তু এমন ধারণা থাকে।
৮. ছেলেটি অন্যদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছে সেটাও মেয়েরা দেখে :
কোনও ছেলে তার আশেপাশের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঠিক কেমন ভাবে মিশছে, কী’ ভাবে সে তাদের সাথে কথা বলছে— সেটা কিন্তু তার মানসিকতার একটা বিরাট বড় পরিচয় দেয়। ছেলেটি তার আশাপাশের মানুষদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছে, মেয়েটি তার মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করে।
৯. ছেলেটি কতটা ঘন ঘন হাসে:
সবসময় মনে রাখবেন যে প্রা*ণ খুলে হাসতে পারে, তার মনটা কিন্তু অনেকটা বড় হয়— হ্যাঁ এমনই একটা ধারণা প্রচলিত আছে। আবার কথায় কথায় যে হাসে,
তার রসবোধ নিশ্চয়ই খুব একটা সূক্ষ্ণ নয়। কোনও ছেলে কতটা কম-বেশি হাসে, সেটার উপরে ভিত্তি করেই মেয়েরা তার স’ম্পর্কে এমনই কিছু ধারণা গড়ে নিতে চায়।
১০. ছেলেটি ম্যানার্স জানে কি না:
যে ছেলে লিফটের দরজা খুলে যাওয়ার পরে তার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটিকে ‘লেডিজ ফার্স্ট’ বলে এগিয়ে দেয়, অথবা বাসে কখনও কোনও বয়স্ক মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নিজের বসার সিট ছেড়ে দেয়— তাদের প্রতি মেয়েদের সবসময়ই একটা আলাদা আকর্ষণ থাকে।
তাই কোনও মেয়ে যখন কোনও ছেলের দিকে তাকায়, তখন সে বুঝে নিতে চায় আদৌ ছেলেটির কোনো সৌজন্যবোধ রয়েছে কি না!
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/34XQSVF
Post Come trough : নাচোল নিউজ
৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মুদ্রার দুই এপিঠ-ওপিঠ দেখা হয়ে গেছে তাসকিন আহমেদের। এক সময়ে জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হলেও, অফ ফর্ম এবং চোটের কারণে জায়গা হারাতে হয় এই পেসারকে।
বিপিএলের পঞ্চম আসর দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ইনজুরির কাছে হেরে যেতে হয় তাসকিনকে। সেবার সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিলেও টুর্নামেন্টের শেষের দিকে ইনজুরিতে পরেন তিনি।
ছিটকে যান নিউজিল্যান্ড সফরের ওয়ানডে এবং টেস্ট দল থেকে।এরপর বেশ কয়েকবার জাতীয় দলের স্কোয়াডে জায়গা মেললেও, একাদশে ছিলেন না তাসকিন।
সব মিলিয়ে ডানহাতি এই পেসার দেশের হয়ে খেলেছেন দুই বছর আগে ২০১৮ সালের মার্চে। দেশের হয়ে আবার নিয়মিত হতে তাই নিজেকে প্রস্তুত করে যাচ্ছেন তিনি।
২৫ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার নিয়মিত কাজ করছেন ফিটনেস নিয়ে। ওজন কমানোর পাশাপাশি বোলিংয়ে গতি বাড়ানোই তাঁর এখন মূল লক্ষ্য। এছাড়া দেশের হয়ে খেলতে চান ৩ ফরম্যাটেই।
সেই লক্ষ্যেই নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন তাসকিন।শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইটের সঙ্গে ক্রিকফ্রেঞ্জির লাইভে এসেছিলেন তাসকিন। সেখানেই নিজের এসব পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
জানিয়েছেন, ১৩০ গতিতে বোলিং করলে কেউই তাঁকে দলে নেবে না, এটা সাফ জানা আছে তাঁর। এই কারণেই গতি বাড়ানোর দিকেই বাড়তি মন দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।
তাসকিন বলেন, ‘গত দেড় বছরে আমি স্কোয়াডে সুযোগ পেলেও ম্যাচ খেলা হয়নি। এর আগে চোটের কারণে ফিটনেস এবং গতির দিক দিয়ে আমি ধারাবাহিক ছিলাম না।
কোচিং স্টাফ সহ অনেকেই এই কারণেই আমাকে দলে নিতে চায়নি। সে সময়ই আমি লক্ষ্য স্থির করি নিজেকে ফিট বানানোর এবং ধারাবাহিক হওয়ার। যাতে আমি ৩ ফরম্যাটেই খেলতে পারি।
এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। তারপরও ইনজুরি যে কারও যেকোনো সময় হতে পারে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছি, সেরাটা দিয়ে বোলিং করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।
‘আমি একজন ফাস্ট বোলার, আমি ১৩০ গতিতে বোলিং করলে নির্বাচকরা আমাকে দলে নেবে না। আমাকে ধারাবাহিকভাবে ১৪০ গতিতে বোলিং করতে হবে। এটাই এখন লক্ষ্য আমার।
এই কারণেই ফিটনেসে উন্নতি করছি। এছাড়া মানসিকভাবেও প্রস্তুতি নিতে হবে যেন আমি ১৪০ গতিতে ধারাবাহিকভাবে বোলিং করি। এটাও আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছি।
আশা করছি সামনের দিনগুলোতে এগুলো আমাকে সাহায্য করবে’ আরও যোগ করেন তিনি।২০১৩ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চিটাগাং কিংসে এক সঙ্গে খেলেছেন তাসকিন এবং টেইট।
সে সময় তরুণ তাসকিনকে খুব কাছ থেকেই দেখেছেন এই অজি। যে কারণে চোট থেকে ফেরার পর কিভাবে গতি ফিরে পেতে হয় সাবেক সতীর্থকে সেই উপায় বাতলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০০৭ বিশ্বকাপ জেতা টেইট।টেইট বলেন,
‘আমরা যখন ইনজুরি থেকে ফিরি আমাদের আন্তর্জাতিক মানের পূর্ণ গতি ফিরে পেতে ২-৩ মাস লেগে যায়। যদি অধ্যবসায় থাকে তাহলে এটা ফিরে পাওয়া সম্ভব। তুমি যদি আত্মবিশ্বাসী থাকো এবং শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করো তুমি তোমার গতি ফিরে পাবে।
”এটা পুরোটাই মানসিকতার উপর নির্ভর করে, তুমি যদি নিজেকে বলো আমি আবার আমার গতি ফিরে পাবো। তাহলেই শুধু সম্ভব। এমনটা নাহলে আবারও ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে’ আরও যোগ করেন টেইট।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2DmuHNw
Post Come trough : নাচোল নিউজ
করোনা ভাই’রাসের কারণে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। অবশেষে স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজের মধ্যে ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি সিরিজ। যার একটি আগামী ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
আজ স্থগিত হয়ে যাওয়া আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সিরিজ খেলতে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে সফরে আসবেন নিউজিল্যান্ড এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড যে চারটা সিরিজের কথা বলেছে তার মধ্যে আমাদের একটা ট্যুর রয়েছে। এটা সামনের বছর ফেব্রুয়ারির দিকে হবে, সেভাবেই পরিকল্পনা রয়েছে।’
অন্যদিকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে চলতি বছর বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল নিউজল্যান্ডের।
এই সিরিজ নিয়ে বিসিবি সিইও বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাথেও আমাদের একোতা বোঝাপড়া হয়েছে। আগামী বছর মাঝামাঝি সময়ে আমরা সিরিজটি নিশ্চিত করব।’
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2EXALfV
Post Come trough : নাচোল নিউজ
বাংলাদেশ জাতীয় দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় মোস্তাফিজ। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন বাঁ-হাতি এই পেসার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছর পূর্ণ করেছেন। একটা সময় ছিল যখন তিন ফরম্যাটেই সমান বিচরণ করতেন মোস্তাফিজ। এখন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত মুখ।
এই পেসার সব শেষ টেস্ট খেলেছেন গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে। মোস্তাফিজের তিন ফরম্যাটই পছন্দ। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির মতো টেস্ট দলেও নিয়মিত হতে চান তিনি।
মোস্তাফিজ বলেছেন, ‘বড় ক্রিকেটার হতে গেলে টেস্ট খেলতে হবে। এই ফরম্যাটে একজন ক্রিকেটার তার স্কিল প্রদর্শন করার সুযোগ পায়।আর ক্রিকেটের শেখরই তো টেস্ট।
একজন বোলারের জন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে যে সুযোগ থাকে না টেস্টে তা থাকে। এখানে এক সেশন খারাপ করলে পরের সেশনে তা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। আমি সব সময় লংগার ভার্সনে খেলতে ভালোবাসি।’
বাঁ কাঁধের অ’স্ত্রোপ’চারের পর থেকে কিছুটা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন মোস্তাফিজ। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে অনেকটাই ফিরে পেয়েছেন। বল হাতে আবারও আলো ছড়াচ্ছেন।
বাঁ-হাতি এই পেসার জানিয়েছেন, হারানো ছন্দ ফিরে পেতে অক্লা’ন্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি।মোস্তাফিজের ভাড়ারে রয়েছে কাটার, স্লো’য়ার, ইয়র্কার। কাটার তার সেরা অ’স্ত্র।
আইপিএলে খেলার সুবাদে লাসিথ মা’লিঙ্গার কাছ থেকে ইয়র্কারটা আরও ভালোভাবে শিখে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মালিঙ্গার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি।
আগে যদি ১০টা বলের মধ্যে ৫টা ইয়র্কার মা’রতে পারতাম এখন ৮টা পারি।মোস্তাফিজ এটাও জানিয়েছেন যে, তার বোলিং ভাড়ারে আপাতত নতুন আর কোনো অ’স্ত্র যোগ হচ্ছে না।
বরং পুরনো অ’স্ত্রগু’লো শানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। মাঠে ফেরার অপেক্ষায় কাটার মাস্টার। সতীর্থ, ড্রেসিংরুম মিস করছেন তিনি।জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর এবারই প্রথম দীর্ঘসময় ক্রিকেটের বাইরে আছেন।
মোস্তাফিজ বলেছেন, ইনজু’রির কারণে ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। তবে এবারের প্রেক্ষাপট তো ভিন্ন। ক্রিকেটই বন্ধ। সবাইকে খুব মিস করি। আশা করি, সবাই আবার মাঠে ফিরতে পারব।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2ESlTzN
Post Come trough : নাচোল নিউজ
স্যার অ্যান্ডি রবার্টসের খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হয় ১৯৮৩ সালে। কিন্তু ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার।
৬৮ বছর বয়সেও তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ২০০১ সালে তরুণ পেসারদের নিয়ে কাজ করতে এসেছিলেন বাংলাদেশে।
বিকেএসপিতে দুই সপ্তাহের ক্যাম্পে মাশরাফি মুর্তজার বোলিং ভালো লেগেছিল রবার্টসের। তখন থেকেই বাংলাদেশের অধিনায়ককে তার ডাক নাম ‘কৌশিক’ নামে চেনেন এই ক্যারিবীয় গ্রেট।
প্রতিভা চিনতে ভুল হয়নি তার। সে সময় বয়সভিত্তিক দলে খেলা মাশরাফির ভেতর দুর্দান্ত এক পেসারকে খুঁজে পেয়েছিলেন রবার্টস। ২০০১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসে জিম্বাবুয়ে।
সে বছরের জুনে বিসিবিকে দেওয়া রিপোর্টে মাশরাফির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে তাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে নেওয়ার সুপারিশ করেন রবার্টস।
শুরুতে নির্বাচকদের মধ্যে দ্বিধা থাকলেও পরে ক্যারিবীয় কিংবদন্তির সুপারিশেই সুযোগ পান মাশরাফি। যদিও ১৭ বছরের এক তরুণকে টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন আঙিনায় নামিয়ে দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সংবাদ মাধ্যমে।
বাংলাদেশ ছাড়ার আগে রবার্টস কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় বলে যান, ‘আমি নিজেও এত কম বয়সে একজন ফাস্ট বোলারকে টেস্ট ক্রিকেটে খেলানোর পক্ষে নই।
তবে বিশেষ ক্ষেত্রে সেটা বিবেচনা করা যেতেই পারে। একজন বোলার ব্যতিক্রমী প্রতিভাবান হলে এবং অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকলে তাকে টেস্টে খেলানো দোষের কিছু নয়।
কৌশিক তেমনই একজন ব্যতিক্রমী ফাস্ট বোলার।’গত রবিবার টন্টনের কর্নার হাউজ হোটেলে মাশরাফিকে নিয়ে রবার্টস বলেন, আমি তার দীর্ঘদিনের ফ্যান। তাকে আমি কৌশিক নামেই চিনি।
হঠাৎ মাশরাফি বললে চিনতে পারি না। ফোনে কথা হয়েছে তার সঙ্গে। সমালোচনা হচ্ছে, তাই সে বেশ হতাশ। তাকে বলেছি, জীবনের প্রতিটি দিন ভালো যায় না।
ভালো-খারাপ মিলিয়েই জীবন।মাশরাফিকে নিয়ে রবার্টস বলেন, ভক্তরা যখন অনেক প্রত্যাশা করে, তখন তেমন কিছু না পেলে সমালোচনা তো করবেই। এটা বন্ধ করা যাবে না।
কৌশিকের ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। সে ভালো ক্রিকেটার। তার মতো বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেটার বাংলাদেশে আর নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সে অনেক দূর নিয়ে গেছে। তাকে যথেষ্ট সম্মান দেওয়া উচিত, দেশের জন্য তার ভালোবাসাকে প্রত্যেকের সম্মান জানানো উচিত।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2Z104VL
Post Come trough : নাচোল নিউজ
জার্সি নম্বর কি সত্যিই শুধু একটি সংখ্যা? না এর পিছনেও লুকিয়ে থাকতে পারে মজার কিংবা আবেগময় কোনো গল্প? কথা প্রসঙ্গে মাঝেমধ্যে এরকম প্রশ্ন হঠাৎ করেই চলে আসে।
কিন্তু সত্যি সত্যিই ক্রিকেটাররা তাদের পছন্দ অনুযায়ী জার্সি নম্বর বাছাই করতে পারেন কিনা – সেদিন এক সাক্ষাতকারে এরকম প্রশ্ন করা হয়েছিল জাতীয় দলের দুই তরুণ প্রাণ – লিটন দাস ও সৌম্য সরকারকে।
উত্তরে তাঁরা জানালেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের ইচ্ছামতো জার্সি নম্বর নিতে পারেন তারা। তাছাড়া অনেক সময় এই নম্বরের মাধ্যমে কোনো বিশেষ স্মৃতিকেও নাকি স্মরণে রাখতে চান তাঁরা।
লিটন জানালেন, ক্রিকেট বলে খেলা প্রথম ইনিংসকে স্মরণীয় করে রাখতে সেবারের রান সংখ্যাকে জার্সি নম্বরে রূপ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই ‘২’ নম্বর জার্সিতেই খেলতেন তিনি।
তবে বিপিএল এবং জাতীয় দলে পা রাখার পর সেই নম্বরটিকে আর ব্যবহার করতে পারলেন না তিনি। কারণটাও অবশ্য সবার জানা। দলের সফলতম অধিনায়ক, মাশরাফি বিন মর্তুজাও যে একই নম্বরে শুরু থেকে প্রায় সবসময় খেলে আসছেন।
এরপর কি হলো, সেটা নাহয় লিটনের মুখেই শুনে নেওয়া যাক, ‘যখন আমি প্রথম ঘরোয়া ক্রিকেট খেলি, আমার জার্সি নম্বর ছিল ০২। এর পেছনে একটা কারণ ছিল।
কারণটা হলো, যখন আমি ক্রিকেট বলে প্রথম ম্যাচ খেলি, দুই রান করেছিলাম। তাই আমি এটাকেই জার্সি নম্বর হিসেবে পছন্দ করি। পরে বিপিএলে সুযোগ পাওয়ার পর আমি তখন মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোনটা নেব।
তিনি আমাকে বলেন, আমার যা পছন্দ। তারপর বিপিএলে আমি ১৯ নম্বর নেই। পরে সিদ্ধান্ত নেই, যেহেতু আমার জন্মদিন ১৬ তারিখ, জার্সি নম্বরও ১৬ নেব। সেটাই এখন পর্যন্ত আছে।
যতদিন ক্রিকেট খেলব, এটাই থাকবে।’তবে সৌম্যর জার্সি নম্বরের গল্পটা একটু অন্যরকম। বিকেএসপির এই কৃতি ছাত্র জার্সি নম্বর নির্ধারণ করেছেন বিকেএসপির ক্রেডিট নম্বরের আদলে।
তাঁর ভাষায়, ‘বিকেএসপিতে আমার ক্রেডিট নম্বর ছিল ৪৫৯। কিন্তু জার্সিতে তিন ডিজিট রাখা কঠিন। তাই আমি ৪ বাদ দেই। শুধু শেষ দুই ডিজিট রাখি। এজন্যই আমার জার্সি নম্বর ৫৯।’
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2GpWCgQ
Post Come trough : নাচোল নিউজ
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ জিততে পেসারদের বিশেষ কিছু করতেই হতো। দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তামজীম হাসান টুর্নামেন্টজুড়েই পালন করেছেন সে দায়িত্ব।
শরিফুল ৫ ম্যাচ বল করে ৩.৬৪ ইকোনমি রেটে উইকেট নেন ১০টি। তামজীম ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট, ইকোনমি রেট ৪.৫৭। ফাইনালে অভিষেক দাসও বেশ সফল। আগ্রাসি মানসিকতা, বাউন্স নিখুঁত লাইন-লেংথ, প্রয়োজনে একটু সুইং—কী ছিল না পেসারদের বোলিংয়ে!
গতিময় বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশের এই পেস-প্রদর্শনীতে পর্দার আড়ালে থেকে যিনি কাজ করেছেন, তাঁর নাম মাহবুব আলী, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলিং কোচ। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যুব বিশ্বকাপে পেসারদের সাফল্যের পেছনের গল্প—
প্রশ্ন: দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের পেসারদের সাফল্যের রহস্য কী?
মাহবুব: সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের ছেলেরা ভয় পায়নি। প্রতিটি ছেলে মানসিকভাবে অনেক দৃঢ়। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াটা কঠিন হলেও ওরা ওদের স্কিল পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে।
প্রশ্ন: সে জন্য তো নিশ্চয়ই বিশেষ প্রস্তুতির দরকার ছিল। সেই প্রস্তুতিটা কি ছিল?
মাহবুব: দেখুন, দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যেও কিন্তু একেক ভেন্যুর কন্ডিশন একেক রকম। পচেফস্ট্রুম যেমন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ফুট ওপরে। আবার জোহানেসবার্গ ৫ হাজার ফুট ওপরে।
ওখানে তো বল করার সময় নিশ্বাসই বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতো ছেলেদের। ছেলেরা অনেক কষ্ট করেছে এ রকম কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরে বোলিং করার অভিজ্ঞতা ওদের সাহায্য করেছে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপের জন্য আর কী প্রস্তুতি নিয়েছিলেন দলের পেসাররা?
মাহবুব: দেড় বছর ধরেই আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা জানতাম দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে ঘাস আছে, উইকেট বাউন্সি। সে জন্য আমরা বাংলাদেশের কোন কোন এলাকার উইকেটগুলো মোটামুটি এ রকম, সেগুলো খুঁজে বের করেছি।
এটা ঠিক যে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উইকেট আমরা বাংলাদেশে পাব না। কিন্তু খুলনা, বগুড়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের উইকেটগুলো কিছুটা হলেও বাউন্সি। আমরা তাই এসব জায়গায় অনুশীলন ক্যাম্প করেছি। ম্যাচ খেলেছি।
এ ছাড়া নেটে ওদের নতুন ও পুরোনো বলে ম্যাচ পরিস্থিতিতে বল করাতাম। নতুন, পুরোনো বল মিলিয়ে প্রতিটা বোলারের ১০ ওভার বোলিং আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে ভাগ করা থাকত।
প্রশ্ন: পেসারদের কোন দিকগুলোয় আপনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন?
মাহবুব: সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি গতির ওপর। এরপর লাইন-লেংথ। কারণ ওই ধরনের উইকেটে শুধু ভালো জায়গায় বল ফেললেই হয় না, গতিটাও গুরুত্বপূর্ণ।
তাতে ওদের গতির ভালো উন্নতিও হয়েছে। বিশ্বকাপের আগেও আমাদের পেসাররা ১২০-১২২ থেকে ১২৫-১২৬ কিমি গতিতে বল করত। বিশ্বকাপে তো ১৩৮ কিমি গতিতে বল করেছে।
আমার লক্ষ্য হলো, এই পেসারদের দিয়ে আমি ১৪০ কিমি গতির ওপরে বল করাব। এ ছাড়া গুড লেংথ এবং ব্যাক অফ লেংথ—এ দুটি জায়গায় কাজ করেছি। আমাদের হাতে এসবের জন্য সময় খুব বেশি ছিল না।
সে জন্য যখনই নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড বা শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোয় খেলতে গেছি, আমি চেষ্টা করেছি ওদের উইকেটে ছেলেদের স্কিল নিয়ে বাড়তি কাজ করতে। কারণ, ও রকম উইকেট, কন্ডিশন তো আমি দেশে পাব না! ছোট ছোট এই সেশন আমাদের অনেক এগিয়ে দিয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার পেসারদের শক্তির জায়গা কোনগুলো?
মাহবুব: ডেথ ওভারের বোলিং ওদের একটা অন্যতম শক্তির জায়গা। ডেথ ওভারে ওরা খুব ভালো ইয়র্কার মারতে পারে, যেটা করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা অনেক পেসারও হাফভলি বা ফুলটস দিয়ে ফেলে। আরেকটা তো আগেই বললাম—মানসিক শক্তি।
প্রশ্ন: স্পিনারদের জন্য তো আলাদা কোচ ছিল না। তাঁদেরও কি আপনিই দেখভাল করেছেন?
মাহবুব: হ্যাঁ, ওদের নিয়েও আমিই কাজ করেছি। চেষ্টা করেছি ওদেরও প্রয়োজন মতো সাহায্য করতে। শামীম পাটোয়ারী যেমন আগে শুধু নেটে বল করত। ম্যাচে ওকে আমরা আক্রমণে আনতাম না।
শ্রীলঙ্কা সফরেও সে বল করেনি। কিন্তু ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ও বল করা শুরু করে। বিশ্বকাপেও শামীমের অফ স্পিন আমাদের কাজে লেগেছে। একটা বিষয় না বললেই নয়, আমাদের নেটে কিন্তু দলের প্রায় সব খেলোয়াড় বল করত।
যে যেটা পারে। আমি ওদের বলেছি, শুধু একটা করলে হবে না। অলরাউন্ডার হতে হবে। কার ভেতরে কী আছে বলা যায় না। এভাবে বল করতে করতেই দেখা যাবে একজন ভালো বোলার বেরিয়ে এসেছে। শামীম পাটোয়ারী যেমন বেরিয়ে এল।
শেষ প্রশ্ন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পচেফস্ট্রুমের মাঠে জাতীয় পতাকা নিয়ে একটু বেশিই আবেগাপ্লুত মনে হয়েছে আপনাকে। বিশেষ কোনো কারণ?
মাহবুব: বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, পতাকা ওড়াতে এর চেয়ে বড় কারণ আর কি লাগে! তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাসের সঙ্গে আমার পরিবারের সামান্য হলেও যোগসূত্র আছে।
লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি রঙের মানচিত্র আঁকা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার রূপকার ছিলেন শিব নারায়ণ দাস। কুমিল্লায় সেদিন আর যে দুজন ব্যক্তি তাঁকে জাতীয় পতাকার নকশা করতে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের একজন মাস্টার ওহাব।
আরেকজন আমার বাবা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী। আব্বা ছিলেন কুমিল্লা আর্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। হতে পারে এসব কারণে জাতীয় পতাকা হাতে সেদিন একটু বেশিই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।সূত্রঃ-প্রথম আলো
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3jJUnn1
Post Come trough : নাচোল নিউজ
অবশেষে আশার বাণী শোনালো সৌদি সিভিল এভিয়েশন জেনারেল অথরিটি। চলমান মহামারী করোনা সংকটের কারণে আটকে থাকা প্রবাসীরা সৌদি আরবে ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে এ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোন তারিখ এখনো জানানো হয়নি।
যে ২৫টি দেশের প্রবাসীরা সৌদি আরব ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের নামও রয়েছে। তবে আপাতত এ সুযোগ পাচ্ছে না পার্শ্ববর্তী ভারত,পাকিস্তান,নেপাল, শ্রীলংকার সহ আরো কয়েকটি দেশ।
১. সৌদি আরব ভ্রমণ করতে হলে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট থেকে একটি ফরম পূরণ করে তার মধ্যে বিস্তারিত তথ্য লিখে নিচে স্বাক্ষর করতে হবে এবং আসার সময় এয়ারপোর্টে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ডেস্কে জমা দিতে হবে।
২. ভ্রমণ করার ৭দিন পূর্ব থেকে কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। মূলত পিসিআর দেওয়ার ৪ দিন আগে থেকে এবং পিসিআর রিপোর্ট পাওয়ার ৩ দিন পর পর্যন্ত।
৩. সৌদি আরবের টাটামন এবং তাওয়াক্বালনা এ্যাপস ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে হবে।
৪. অবশ্যই আসার ৮ ঘণ্টার মধ্যে টাটামন (tatamman) অ্যাপের মাধ্যমে বাসার অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে।
৫. কোভিড ১৯ এর লক্ষণ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। যদি কোন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে সরাসরি ৯৩৭ নাম্বারে ফোন করতে হবে অথবা সাধারণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
৬. আপনাকে টাটামন এ্যাপসের মাধ্যমে প্রতিদিনের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানাতে হবে এবং আপনি কোয়ারেন্টাইন থাকাকালীন সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত ফরম অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
যে ২৫ টি দেশের আটকে থাকা প্রবাসীরা সৌদি আরবে ফিরে যেতে পারবেন দেশগুলো হলোঃ
অবিশ্বাস্য হলেও মাত্র ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেএন৯৫ মাস্ক। চিকিৎসা সরঞ্জামের দোকানের পাশাপাশি মিলছে ফুটপাতের ভ্যানেও। একটি পোশাক কারখানা কেএন৯৫ মাস্ক তৈরি করে রপ্তানির উদ্যোগও নিয়েছে। কিন্তু এসবের কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ নেই তদারক সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।
অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে কেএন৯৫ মাস্ক তৈরির মূলশর্ত দেশ-বিদেশের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করলেও অনুমোদনে গড়িমসি সংস্থাটির।
নিয়ম অনুযায়ী দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী এন৯৫ বা কেএন৯৫ মানের মাস্ক বানাতে নিতে হয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন। এর আমদানি-রপ্তানিতেও সংস্থাটির অনুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক।
কিন্তু দেশের নানা প্রান্তে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে কেএন৯৫ মাস্ক। ভালো মানের একটি মাস্কের দাম কমপক্ষে ১২০ টাকা হলেও পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ৮০ টাকায়।
গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রামের পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল প্রমোটার্স জানায়, দেশেই কেএন৯৫ মানের মাস্ক বানাচ্ছে তারা। পাশাপাশি রপ্তানির প্রস্তুতিও নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ৮২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১৯২ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৩ জনে।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ছয় ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তারমধ্যে নগরের ৬৩ জন ও ১৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ২১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৮ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবের ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৫ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ২ জনের করোনা মিলেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১৫ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ১ জনের করোনা মিলেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১৮ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ১৩ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
শেভরণ ল্যাবে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৮ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ২ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় উপজেলা পর্যায়ের ১ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে সাতকানিয়ার ১, বাঁশখালীর ১, পটিয়ার ২, রাঙ্গুনীয়ার ১, রাউজানের ২, ফটিকছড়ির ৩, হাটহাজারীর ৬, সীতাকুণ্ডের ১ জন মিরসরাইয়ের ১ ও সন্দ্বীপের ১ জন বাসিন্দা আছেন।
এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া চট্টগ্রামে ১৭ হাজার ১৯২ জনের মধ্যে নগরের ১২ হাজার ২৬১ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৪ হাজার ৯৩১ জন বাসিন্দা আছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করা ২৭৩ জনের মধ্যে নগরের ১৮৯ জন ও উপজেলার ৮৪ জন বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে কতজন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে তার তথ্য জানায়নি সিভিল সার্জন অফিস । সোমবার (৩১ আগস্ট) পর্যন্ত চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছে মোট ১২ হাজার ৭০৩ জন করোনা রোগী।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/32KFNEM
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
লক্ষ্মীপুর-মজু চৌধুরী হাট সড়ক সংস্কারে ব্যয় ৯৮ কোটি টাকা
সারাদেশ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর-মজু চৌধুরী হাট সাড়ে ১০ কি.মি. জাতীয় মহাসড়কটি সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন পেলে ৯৮ কোটি টাকা কাজ শুরু হবে। সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি রাস্তা বর্ধিত করা হবে।
পূর্বে রাস্তার ছিল ১৮ ফুট বর্তমানে ৩৬ ফুট করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্প্রতি দরপত্র মূল্যায়ন ও বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, সম্প্রতি টানা বর্ষণের কারণে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল সড়কের জেলার অংশ সাড়ে ১০ কি.মি. সড়কটি বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দ সৃষ্টি হয়। বর্ষার কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে গিয়ে গাড়ি চলাচলের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলার চলাচলকারী মানুষের চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সড়কটি সংস্কার ও বর্ধিত করণের বিষয়ে ৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে। দরপত্র প্রক্রিয়ার শেষে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে সড়কটির সংস্কার ও মেরামত কাজ শুরু হবে।
পাশাপাশি ১৮ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৩৬ ফুট রাস্তার প্রসস্থ করা হবে। এদিকে জেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরী হাট সড়ক বর্ধিত করার জন্য রাস্তার ২ পাশের গাছগুলো অপসারণ করার জন্য সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের পত্রের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছে।
সম্প্রতি ওই সড়কের গাছ গুলো দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করার জন্য বন বিভাগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আমির খান জানান, লক্ষ্মীপুর-মজু চৌধুরী হাট সড়ক সংস্কার ও বর্ধিত করার বিষয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত দত্ত জানান, দরপত্র মূল্যায়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নের পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রেরণ করা হয়েছে অনুমোদন পেলে শিগগিরিই সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3bjzIDl
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগের ১৬৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই বদলি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য বিভাগে গতিশীলতা ও শৃঙ্খলা আনতে এ বদলি। বদলি হওয়া ১৬৮ জনের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে কর্মরত কনসালটেন্ট, ডাক্তার-নার্স, আয়া-স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
জানা গেছে, খোরশেদ আলম সুজন চসিক প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন বিভাগে রদবদল শুরু করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় রদবদল হলো স্বাস্থ্য বিভাগে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামশুদ্দোহা বলেন, প্রশাসক মহোদয় যোগদানের পরই তার অনুমতিক্রমে বিভিন্ন বিভাগে রদবদল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজস্ব ও পরিচ্ছন্ন বিভাগ এবং ওয়ার্ড সচিবদের বদলি করা হয়েছে। এবার স্বাস্থ্য বিভাগে বদলি করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্বাভাবিক বদলি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ বদলি।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, এমনিতেই তিনবছর পরপর বদলির নিয়ম রয়েছে। অনেকে একই জায়গায় তিনবছরের অধিক সময় দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের দায়িত্ব পুনর্বন্টন করা হয়েছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ বদলি।
নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চসিক নগরে চারটি মাতৃসদন হাসপাতাল এবং ২টি মাতৃসদন হাসপাতালের বহিঃবিভাগ, একটি জেনারেল হাসপাতাল, ৫১টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ১২টি হোমিওপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় এবং ৭টি স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৮শ’র বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2GkvZKe
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ পরিচয় হঠাৎ লক্ষ্যবস্তু কেন
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
বিএনপি যখন তাদের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে, তখন দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকাকে তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তাদের রাজনীতির অন্যতম একটা ভিত্তি হিসাবে তুলে ধরে। তার সেই ভূমিকা নিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন নানা প্রশ্ন সামনে আনছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের নেপথ্যে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা তদন্তের কথাও বলছে। বিএনপি নেতাদের অনেকে স্বীকার করেছেন যে তাদের দল নতুন নতুন সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি বিএনপি কি সামাল দিতে পারবে- এ নিয়েও দলটিতে আলোচনা রয়েছে। বিএনপি তাদের দলকে মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য করার জন্য জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে তুলে ধরে থাকে।
দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে একটি সেক্টরের কমাণ্ডার ছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপির সেই ভিত্তিকে বিতর্কিত করার একটা চেষ্টা দৃশ্যমান হচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে দুই দলের বিতর্ক নতুন নয়।
কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে দলের সব পর্যায়ের নেতারা মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে নতুন নতুন প্রশ্ন সামনে আনছেন, যাতে তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগকেও আনা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলেছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই ১০ বা ১২ বছর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় রয়েছে, সে কারণে বাঙালিরা বাংলাদেশ আইডেনটিটিটা খুঁজে পেয়েছে। এই আইডেনটিটি খুঁজে পেলেই মানুষের অনেক প্রশ্ন তার পরিচয় সম্পর্কে জানার। এটা একটা প্রয়োজন এবং আগ্রহ থেকে হয়। আর আজকের এই চাহিদা পূরণ হওয়ার জন্যই আমরা যা সত্য তা উদঘাটন করার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছি।
আওয়ামী লীগের অন্য একাধিক সিনিয়র নেতা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে আইনগত দিক থেকে।
তারা মনে করেন, ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল এবং এখন তা চিহ্নিত করার একটা প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। সেজন্য সরকার ৭৫’র হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের শক্তি চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে।
আর তাতে জিয়াউর রহমানের ভূমিকাও তদন্ত করা হবে-এমন ধারণা আওয়ামী লীগ নেতারা দিচ্ছেন।
তারা বলেন, ৭৫-এ শেখ মুজিবকে হত্যার ঘটনায় বেনিফিশিয়ারি জিয়াউর রহমান, সেজন্য নেপথ্যের রাজনীতি উদঘাটনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে যে বিতর্ক তোলা হচ্ছে, সেটা রাজনৈতিক বক্তৃতা। তবে ৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আওয়ামী লীগ বিএনপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার চেষ্টা করতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
‘৭১ এর ইস্যুতো বিএনপির জন্য খুব কনসার্ন না। কারণ ৭১এ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা সবাই জানেন। কনসার্নটা হচ্ছে ১৫ই অগাস্ট। এখন এটা বিএনপির জন্য অস্বস্তিকর। কারণ হচ্ছে তারা এর জুতসই জবাব দিতে পারছে না।’
তিনি আরো বলেন, জিয়া যত বড়ই মুক্তিযোদ্ধা হোন না কেন এবং জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েই উনি মুক্তিযুদ্ধ করুক না কেন, ৭৫’র নভেম্বরের পরে যখন জিয়ার কাছে ক্ষমতা চলে আসলো, তারপর থেকে কিন্তু আওয়ামী লীগ-বিরোধী কনসিকোয়েন্স উনি ডেভেলপ করেছেন তার রাজনৈতিক স্বার্থে।
‘সেখানে অভিযোগ হলো যে, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ যেটা খন্দকার মোশতাক জারি করেছিলেন, সেটি পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান সংবিধানের অংশ করেন। তা তিনি কেন করেছিলেন-এর কোন জুতসই জবাব কিন্তু বিএনপি দিতে পারে না।’ এই মন্তব্য করেন লেখক মহিউদ্দিন আহমেদ।
এক যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি এবার ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী পালন করছে, যখন সরকারের সিদ্ধান্তে দুর্নীতির মামলার সাজা স্থগিত করার পর দলটির শীর্ষ নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড না করার শর্তে মুক্ত রয়েছেন। তার পরিবার নতুন করে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবারো সরকারের কাছে আবেদন করেছে।
আরেকজন শীর্ষ নেতা তারেক রহমান নির্বাসনে বিদেশে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টাকে বিএনপি নেতাদের অনেকে তাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন।
দলটির একটি পেশাজীবী সংগঠনের নেতা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ বা কথা বলার চেষ্টা আমরা করবো। কিন্তু একটু টুঁ-শব্দ করলেই দেখা যায়, নানান ধরণের মামলা দেয়া হয়। সেই জায়গাটায় আমাদের আসলে সারভাইভ করাটাই কঠিন।
অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করছেন।
‘প্রথমদিকে তারা মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা নিয়ে কথা বলে। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। এখন এরা শুরু করেছে নতুন একটা অপপ্রচার। সেটা হচ্ছে ১৫ই অগাস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে। ইতিমধ্যে তার বিচার শেষ হয়ে গেছে। সেটাকে এখন আবার যদি ঐভাবে চেষ্টা করা হয়, সেটাও ধোপে টিকবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
একইসাথে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের প্রচারণা এবং বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা যতটুকু পারি খণ্ডন করছি এবং আমরা সত্য প্রতিষ্ঠিত করছি।
বিএনপি নেতারা বলেছেন, তারা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগুনোর চেষ্টা করছেন। খবর: বিবিসি বাংলা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/34TDWjB
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
তারা প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার দায়ে রাজধানীর পল্টন থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তারা প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজনের নাম শহীদুল ইসলাম ও আমেনা বেগম।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব-৩ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদে এদিন বিকেল ৪টার দিকে পল্টনের হাবীব টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের থেকে বিভিন্ন অফিসের নকল সিল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা স্বীকার করেছেন- তারা একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা অফিস খুলে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ আনসার, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশসহ ১০ টি সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক হাজার জনের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা সময়ের অপরাধ চক্র নামের সাপ্তাহিক পত্রিকার বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন পদে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও ৫৭০ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা আদায় করেন। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে এই পত্রিকার কোন পদের অস্তিত্ব নেই।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2F1bKjR
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ভারতের অর্থনীতি চলতি অর্থ বছরে রেকর্ড পরিমাণ সঙ্কুচিত হয়েছে- দেশটির সরকার এই তথ্য প্রকাশের পর গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন শুরুর পর তিন মাসে জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন সঙ্কুচিত হয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
উৎপাদন, নির্মাণ, হোটেল, পরিবহন, আবাসনসহ অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই সঙ্কোচন দেখা গেছে। এপ্রিল থেকে জুন- এই তিন মাসের জিডিপির সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে কৃষি ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রেই সঙ্কোচন হয়েছে অর্থনীতির।
লকডাউনের কারণ দেশটির অর্থনীতি প্রায় স্তব্ধ হয়ে থেকেছে কোভিড মহামারির সময়কালে- শুধু খাদ্যপণ্য এবং ওষুধ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়া ওই সময়কালে সব কিছুই বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেজন্য একমাত্র কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩.৪ %।
কিন্তু শুধুই কি লকডাউনের জন্য অর্থনীতির এই রেকর্ড সঙ্কোচন? অর্থনীতিবিদ প্রসেনজিত বসু বলছিলেন, লকডাউনের আগে থেকেই ক্রমাগত সঙ্কুচিত হচ্ছিল ভারতের অর্থনীতি, লকডাউন শুধু 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা' দিয়েছে।
‘গত দুবছর ধরে প্রতিটা ত্রৈমাসিকেই ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ক্রমাগত কমেছে। বিনিয়োগ যেমন কমেছে, তেমনই কমেছে রপ্তানি। অর্থনীতির মূল অভিমুখটাই ছিল অনেকদিন ধরেই নিম্নগামী। তারওপরে এই লকডাউন হয়েছে - পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে কড়া লকডাউন হয়েছে। তার প্রভাব কোভিড সংক্রমিতর সংখ্যায় খুব একটা দেখিনি - কিন্তু অর্থনীতির একেবারে যাকে বলে বারোটা বেজে গেছে,’ বলছিলেন ড. প্রসেনজিত বসু।
প্রায় ২৪% সঙ্কোচনের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে, তাও অসম্পূর্ণ বলে সরকার নিজেই জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর অর্থ হল সঙ্কোচনটা আরো বেশি হওয়ারই সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ অসংগঠিত ক্ষেত্রের সম্পূর্ণ হিসাব হয়তো জোগাড় করা যায়নি।
জনজীবনের স্থবিরতার প্রতিফলন
অসংগঠিত ক্ষেত্রেই জড়িত রয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। এদের মধ্যে যেমন পরিযায়ী শ্রমিকরা আছেন, তেমনই আছেন ইঁটভাটার শ্রমিক বা শহর-গ্রামের রিক্সাচালক বা ছোটখাটো দোকানকর্মী।
লকডাউন পর্বে এদের অনেককেই অনাহারে থাকতে হতো, যদি না বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ছাত্রছাত্রীরা এদের মধ্যে খাবার বিলি করতেন।
দেড়শো দিনেরও বেশি সময় ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী-গবেষকরা রান্না করা খাবার বিলি করছেন সেই সব মানুষের মধ্যে, যাদের ওপরে জিডিপি সঙ্কোচনের সরাসরি প্রকাশ দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী অনুষ্কা পাল প্রথম থেকেই রান্না করা খাবার বিলির কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তারা যেভাবে মানুষকে অনাহারে দিন কাটাতে দেখেছেন, তার নেতিবাচক প্রভাব অবশ্যই অর্থনৈতিক সঙ্কোচনের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে।
তার কথায়, আমরা প্রথমে উদ্যোগটা শুরু করেছিলাম স্যানিটাইজার তৈরি আর বিলি করার মধ্যে দিয়ে। যারা দিন-আনি-দিন-খাই শ্রেণির মানুষ, তাদের পক্ষে ওই সময়ে চড়া দামে স্যানিটাইজার কিনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব ছিল না।
‘ওই কাজটা করতে গিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের এমন অনেকের সঙ্গে দেখা হল, যারা তখনই বেশ কয়েকদিন না খেয়ে ছিলেন কারণ হঠাৎ করে লকডাউন হওয়ায় তাদের জীবনটা হঠাৎই স্তব্ধ হয়ে যায়।’
প্রথমে তারা ভেবেছিলেন শুকনো চাল ডাল বিলি করবেন, কিন্তু তখন দেখা গেল অনাহার ক্লিষ্ট মানুষের কাছে রান্নার বাকি উপকরণ জোগাড় করাও অসাধ্য। তাই একবেলা রান্না করা খাবার দেওয়া শুরু হল, যা এক সময়ে বাড়তে বাড়তে এক হাজার জনেরও বেশি হয়ে গিয়েছিল সংখ্যায়।
‘এমনও অনেকের কথা জানি, যারা পরিবারের সাত-আট জনের মধ্যে হয়তো দুজন খাবার নিতে আসতে পেরেছেন, কিন্তু বাকিরা হয়তো চিঁড়ে খেয়ে থাকবেন। আমাদের মতো যারা রিলিফ নিয়ে মানুষের কাছে গেছি, দেখেছি এক কেজি চিঁড়ে নিয়েও কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে, খিদের জ্বালা এতটাই বেশি ছিল,’ বলছিলেন অনুষ্কা পাল।
নানা সংস্থা বা ব্যক্তির দেওয়া রিলিফের একবেলা খাবারই যাদের একমাত্র ক্ষুধা নিবারণের উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই সময়টায়, যে সময়ের অর্থনৈতিক তথ্য সোমবার সামনে এসেছে, সেইসব পরিবারের শিশু সন্তানদের শিক্ষাদীক্ষার ওপরেও প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিচী ট্রাস্ট এই করোনাকালের শহরে আর গ্রামের মানুষের ওপরে কী ধরণের প্রভাব ফেলেছে, তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
প্রতিচীর গবেষক সাবির আহমেদ বলছিলেন, গ্রাম হোক বা শহর, গরীব মানুষদের মধ্যেও একটা আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে অনেকদিন ধরে যে ছেলে মেয়ে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ুক।
‘কিন্তু অর্থনীতির অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে এই করোনাকালে যে অনেকেই এখন সরকারি বিনাবেতনের স্কুলে ভর্তি করানোর কথা ভাবছেন। তারা বেসরকারি স্কুলে যত কম বেতনই হোক, সেটা দিতে যে অপারগ এই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে, সেটা আমাদের গবেষণার সময়ে দেখতে পাচ্ছি।’
‘আবার এটাও দেখা যাচ্ছে স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবার অনেক পরিবারের ছাত্রছাত্রীরাই খেত না। কিন্তু এখন শুকনো চাল-ডাল-আলু দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। সেটাই পরিবারের অন্ন সংস্থানের ক্ষেত্রে কিছুটা সাহায্য করছে এখন।’
সরকারি সূত্রগুলো বলছে যে তিন মাসে এই রেকর্ড সঙ্কোচন হয়েছে, তার পরেই শুরু হয়েছে আনলক পর্ব - যখন ধীরে ধীরে কলকারখানা খুলেছে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু হচ্ছে। আবার সরকারও নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে কিছু কিছু অর্থ পৌঁছিয়ে দিয়েছে। তাই পরের তিনমাসে অর্থনীতি কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছিলেন, ঘুরে দাঁড়ানোটা অত সোজা হবে না।
‘প্রথমত মহামারিটা কতদিন চলবে আমরা জানি না। আর যতদিন মহামারি চলবে, ততদিন অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। আমার আশঙ্কা আরও একটা বা দুটো ত্রৈমাসিকেও নেতিবাচক বৃদ্ধি, অর্থাৎ সঙ্কোচন দেখতে পাব আমরা।’
‘একটা কারণ এখনও শ্রমিকদের ব্যবহার করা যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধির কারণে, তাই উৎপাদন শুরু করা যাচ্ছে না। আবার উল্টোদিকে যেসব ক্ষেত্রে শ্রমটাই সরাসরি পণ্য, যেমন পরিষেবার ক্ষেত্রে, সেখানে শ্রমের চাহিদাটাই কমে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খুব সহজ নয়,’ বলছিলেন অভিরূপ সরকার।
তিনি আরো বলছিলেন, শুধু যে জিডিপির ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন তা নয়। যে সময়ের তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেই একই সময়ে পুঁজির লগ্নিও কমেছে ৪৭ %। এখনও লগ্নি স্বাভাবিক নয়। আর লগ্নি না এলে উৎপাদন থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান - প্রতিটা দিক থেকেই ভারতের অর্থনীতির ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আগামী বেশ কিছুকাল। খবর: বিবিসি বাংলা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3gRDRzc
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দুই থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই বদলি করা হয়।
আদেশে ডিএমপি’র শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল হাসান পিপিএম-বার কে অফিসার ইনচার্জ গুলশান থানা এবং এস্টেট বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ পিপিএম কে অফিসার ইনচার্জ শাহবাগ থানা হিসেবে বদলি করা হয়।
একইদিন ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত অপর এক আদেশে সহকারী কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
ওই আদেশে ডিএমপির কল্যান ও ফোর্স বিভাগের এসি কে. এন. রায় নিয়তিকে লালবাগ জোনের এসি, স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের এসি মো. জাহিদ আহসানকে পরিবহন বিভাগে ও পরিবহন বিভাগের এসি কাজী হাসান উদ্দিনকে কল্যান ও ফোর্স বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2F1bRfh
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
গত ২-৩ দিন আগে শুধু মাত্র সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সারাদেশ
নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের হাজারী হাট বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম সোহান (২০) সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ৩ বন্ধু ও এক ছোট ভাইসহ চারজন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব শক্রতার জের ধরে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় বসুরহাট সেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করে। সোহানসহ আহত ৫জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, মাথার আঘাত গুরুত্বর। মাথা সিটিস্ক্যান করলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
আহত সোহানের বন্ধু শাহীন জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কমদতলা বাজারে সোহানের ৪ বন্ধুকে মারধর করে একটি দোকানে আটক করে রাখে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। কিন্তু এ বিষয়ে সোহান কিছুই জানত না। একটি সমিতির টাকা কালেকশনে সোহান হাজারী হাট ইউনিয়নের কদমতলা বাজারে যায়। ওই সময় সে কদমতলা বাজারে পৌঁছার সাথে সাথে তার মোটরসাইকেল থামিয়ে কিছু বুজে উঠার আগেই স্থানীয় মাহফুজ, মামুন, সুজন, ভুট্রো, ইসমাইলসহ কয়েকজন জিআই পাইপ ও হকস্টিক দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু তাকে বাঁচাতে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করে। এ সময় তারা দৌড়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তার মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে।
শাহীন দাবি করেন, গত ২-৩ দিন আগে শুধু মাত্র সামান্য কথা কাটাকাটির জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2YYiCFT
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD