কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ
ঘটনার রাতে পরিবারের সদস্যরা বাসায় না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে কৌশলে তার কক্ষে ডেকে নেন রফিকুল। এসময় দরজা লাগিয়ে তাকে আটকে রেখে ফোন করে অজ্ঞাত আরও দুইজনকে ডেকে আনেন। পরে রফিকুলসহ তিনজন ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়।
নরসিংদী প্রতিনিধিনরসিংদীতে এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম (৫০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে শহরের নতুন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বুধবার (৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে শহরের নাগরিয়াকান্দি ইউএমসি জুট মিলের পাশের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা ওই কিশোরী।
রফিকুল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার আকানগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নরসিংদীর ইউএমসি জুট মিলের শ্রমিক ছিলেন।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানায়, ইউএমসি জুট মিলের পাশের একটি বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়ায় বসবাস করে একটি স্পিনিং মিলে শ্রমিকের কাজ করেন ওই কিশোরী। পাশের কক্ষে পরিবারসহ ভাড়ায় বসবাস করেন ইউএমসি জুট মিলের সাবেক শ্রমিক বাঞ্ছারামপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম। ঘটনার রাতে পরিবারের সদস্যরা বাসায় না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে কৌশলে তার কক্ষে ডেকে নেন রফিকুল। এসময় দরজা লাগিয়ে তাকে আটকে রেখে ফোন করে অজ্ঞাত আরও দুইজনকে ডেকে আনেন। পরে রফিকুলসহ তিনজন ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার রাতে রফিকুলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা কিশোরী।
বুধবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। মূল আসামি রফিকুলকে গ্রেপ্তারে তার গ্রামেও অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ রফিকুলকে শহরের নতুন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/whole-country/176796/কিশোরীকে-পালাক্রমে-ধর্ষণ-ও-ভিডিও-ধারণ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD