প্রবাসীর স্ত্রীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে চাঁদা দাবি
প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মঞ্জুর রহমান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
টাঙ্গাইল প্রতিনিধিটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মঞ্জুর রহমান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত ২১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (মির্জাপুর) আমলী আদালতে মঞ্জুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযুক্ত ও তার সহযোগীরা ওই নারী ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত মঞ্জুর রহমান (২৬) বাড়ি উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, নিরাপত্তাহীনতার কারণে ওই নারী নিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তার সঙ্গে অভিযুক্তের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সুবাদে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে বিবস্ত্র করে ভিডিও এবং ছবি ধারণ করে মঞ্জুর।
পরে সেসব ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কয়েক দফায় তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। গত আগস্টের শেষদিকে মঞ্জুর আবারও ৬ লাখ টাকা দাবি করে। দাবি না মানায় ওইসব ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি তার প্রবাসী স্বামী এবং কয়েকজন আত্মীয়ের কাছেও সেসব পাঠায় মঞ্জুর।
বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশে ওই বখাটেকে শাস্তি দেওয়া হলেও লাভ হয়নি। বরং আরও কিছু ব্যক্তিকে ভিডিও ও ছবিগুলো পাঠায় নে।
ওই নারীর অভিযোগ, প্রথমে তিনি থানায় মামলা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় ভাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন এবং স্থানীয় কিছু মাতব্বর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার কথা বলেন।
এতে কালক্ষেপণ হওয়ায় গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর মঞ্জুর রহমান ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মঞ্জুর বলেন, ওই নারীর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কারণেই আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি তুলেছি। আমার মোবাইলে থাকলেও সেগুলো আমি ভাইরাল করিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য কে বা কারা আমার মোবাইল হ্যাক করে ভাইরাল করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। ওই ভিডিও ও ছবি তিনি দেখেছেন। গ্রাম্য সালিশের তারিখ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সালিশ বৈঠকের আগেই ওই নারী আদালতে মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ওই নারী পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/176171/প্রবাসীর-স্ত্রীর-বিবস্ত্র-ভিডিও-ধারণ-করে-চাঁদা-দাবি
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD