তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে গীর্জায় তিন দিন এক কিশোরীকে (১৫) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে গীর্জার ফাদারকে ক্লোজ করা হয়েছে।এদিকে ফাদার প্রদীপ গ্যা গরীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরীর আমচত্বর সংলগ্ন বিশপ হাউজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তানোর থানায় সোপর্দ করেছে। এর আগে তানোর থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভার মাহালীপাড়া সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে। চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গীর্জা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তানোর থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। এদিকে সাধুজন মেরি গীর্জার ইনচার্জ ফাদার প্রদিপ গে গরীকে ক্লোজড করে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশে নেওয়া হয়েছে বলে গীর্জার বর্তমান সহকারী ইনচার্জ ফাদার প্যাটিজ গমেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ঘটনা ধাঁমাচাপা দেওয়ার চেস্টা করা ও ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তাকারী আদিবাসি নেতা কামেল মারডির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃস্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনায় কামেল মারডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার দুপুরে গীর্জা একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে ধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবারকে ধর্মের ভয় দেখিয়ে আপোস করানো হয় এবং তরণীকে লেখাপড়া ও ভরণ পোষণসহ বিয়ের আগ পর্যন্ত সকল খরচ বহণ করার হবে বলে গীর্জার পক্ষে থেকে বলা হয়। সালিশ বৈঠকে রাজশাহী জেলা ধর্শ প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি ও স্থানীয় দুজন গ্রাম্য প্রধান এবং আদিবাসী তানোর উপজেলার পারগানা পরিষদের সভাপতি ও মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডি উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ভিকটিম তরুণীর ভাই বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে মাঠে ঘাষ কাটতে গিয়ে তার বোন আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারাদিন তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর তানোর থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডি করার একদিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর গীর্জার ফাদারে ভবনের ছাদে সে তরুণীকে দেখতে পান এলাকাবাসী।পরিবারের লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করতে গেলে ফাদার বাঁধা দেন। এ সময় স্থানীয়রা রাজশাহীর জেলা ধর্ম প্রদেশের ইনচার্জকে বিষয়টি মোবাইলে অবহিত করেন। তার নিদের্শে সোমবার দুপুরে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি পাঠান। পরে তারা স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান মাইকেল হেমরণ, মহেষ মুরমু ও আদিবাসী নেতা কামেল মার্ডীকে নিয়ে সালিশি বৈঠক বসেন।কিন্ত্ত কামেল মারডির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ফাদারের পক্ষে রায় দেন সবাই এবং তরুনীকে ভরণ পোষণসহ যাবতীয় খরচ বহন করা হবে বলে গীর্জার পক্ষে থেকে বলা হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে আদিবাসি পারগানা পরিষদের সভাপতি কামেল মার্ডী বলেন, তরুণীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপোস করা হয়েছে। তবে অন্যান্য অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধায় গীর্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে, কিশোরীর ভাই বাদি হয়ে ফাদারকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন ভিকটিম কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/34lhgH6
Post Come trough : নাচোল নিউজ