১. প্রথমত বাজেট অপর্যাপ্ত থাকা বা না বুঝে কম্পানির বিভিন্ন সেলস এর লোকের মিষ্টি কথায় ভুলে বাজারের নিম্ন মানের এসি গুলো কিনে এনে ঘরে/ কর্মক্ষেত্রে লাগানো প্রথম ভুল সিদ্ধান্ত।
২. এর পর আসে ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও যত্ন না করা।
৩. সঠিক ভাবে নিয়মিত দক্ষ টেকনেশিয়ান দিয়ে সার্ভিসিং না করানো।
৪. কখনো গ্যাস পরিবর্তন বা চার্জ করার আগে এটার কোয়ালিটি সম্পর্কে জেনে না নেওয়া।
৫. অদক্ষ লোক দিয়ে অল্প টাকায় রিপিয়ারিং/ সার্ভিসিং করতে গিয়ে এসির ম্যাকানিক্যাল সিস্টেমে নতুন কোনো সমস্যা তৈরি করে ফেলা। ( আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন অদক্ষ লোক কাজে কোনো ভুল করলে ও নিজেও ধরতে পারবে না কি ভুল করছে। এসি ব্লাস্ট হয়ে আগুন ধরলে মরবেন আপনি। বিষয় টা মাথায় রাইখেন
৬. এসিতে লিক হলে লিক রিপিয়ার না করে অনেকেই গ্যাস চার্জ করে। যা একটা মারাত্বক বিপদজনক কাজ। মনে রাখবেন বর্তমান বাজারের এসিতে ব্যাবহৃত হয় 410A (ডাইফ্লোরো মিথেন ও পেন্ট্রাফ্লোরো ইথেন এর মিক্সার) গ্যাস। (মিথেন গ্যাস বোঝেন তো নাকি?? যেটা দিয়ে বাসাবাড়িতে রান্না করে খান) যা অত্যন্ত হাই প্রেশার এর একটি দাহ্য গ্যাস। বুঝতে পারছেন তো এইবার কি জিনিশ আপনার রুমকে ঠান্ডা করে
৭. সঠিক ইলেক্ট্রিক ক্যাবল, সার্কিট ব্রেকার, প্লাগ সুইচ সকেট ব্যাবহার না করার জন্যেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অনেকেই ভাবেন এসি রুমের বাতাস কে বের করে দেয় আর বাইরের বাতাস কে ঠান্ডা করে রুমে ঢোকায়। এসব ভুলভাল ভাবা বন্ধ করে কি কিনতেছেন টাকা দিয়ে, আর কেনার পরে কি কি ব্যাবহার তার সাথে করতে হবে সেটা মাথায় রাখুন।
আর নাহলে আপনার সাধের রুম ঠান্ডা করা মেশিন টাই হঠাৎ করে বাড়ি বা অফিস পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিতে পারে। ভাগ্য খারাপ হলে সাথে আপনাকেও
সমাধান
১.প্রতি সপ্তাহে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে
২.প্রতিমাসে আউটডোরে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে সার্ভিসিং করতে হবে।
৩.ইনডোর আউটডোর সার্ভিসিং করতে হবে অন্তত তিনমাস পর পর.
৪.প্রতি বছরে একবার এসি খুলে ওভারহোলিং করা, নাইট্রোজেন ফ্লাশ করা, গ্যাস নতুন করে রিফিল করা
৫.দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ান ধারা এয়ারকন্ডিশন রক্ষণাবেক্ষণ করা।
সংগৃহীত
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/320iWGd
Post Come trough : নাচোল নিউজ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু-মুয়াজ্জিনসহ ১১ জন মারা গেছেন। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3i2QeKe
Post Come trough : নাচোল নিউজ
সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলায় একই দিনে তিনটি বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুর রহমান।শুক্রবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করা হয়। প্রথমে বিকাল ৪.০০ টায় সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের আগুরিয়া গ্রামে দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫), বিকাল ৬.০০ টায় দৌলতপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে দশম শ্রেণীর ছাত্রী(১৫),রাত ৮.০০ টায় ধুকুরিয়া ইউনিয়নের ধুকুরিয়া বেড়া গ্রামে দশম শ্রেনীর ছাত্রী (১৬) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করা হয়। তিনটি বাল্যবিবাহেই কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ।বাল্যবিবাহগুলো বন্ধ করে প্রত্যেক প্রযোজ্যক্ষেত্রে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয় এবং বর ও কনের অভিভাবকদের কাছ থেকে মোট পয়ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বাল্যবিবাহগুলো বন্ধে সহযোগিতা করেন পেশকার মোঃ হাফিজ উদ্দিন,বেলকুচি থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দ,আনসার সদস্যবৃন্দ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2QYU1MK
Post Come trough : নাচোল নিউজ
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী আবুল বাশার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
এর আগে রোববার দুপুরে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আবু ওসমান চৌধুরী বার্ধক্যজনিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি বর্তমানে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহসভাপতি।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আবু ওসমান চৌধুরী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেজর পদে কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন। অপারেশন সার্চলাইট-এর সংবাদ পেয়ে ২৬ মার্চ সকালে বেলা ১১টায় তিনি চুয়াডাঙার ঘাঁটিতে পৌঁছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সসৈন্য যোগ দেন।
এর আগে ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ আবু ওসমান চৌধুরী পদ্মা মেঘনার ওপারে কুষ্টিয়া থেকে বরিশাল জেলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাকে দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গণ নামকরণ করে সে রণাঙ্গণের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। পরে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার তাকে দক্ষিণ পশ্চিমাংসের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
মে মাসের শেষার্ধে প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনকে দুই ভাগ করে ৮নং ও ৯নং সেক্টরদ্বয় গঠন করেন এবং ৮ নং সেক্টরের দায়িত্বে আবু ওসমানকে নিয়োগ করা হয়। প্রাথমিকভাবে সে সময় ওই সেক্টরের অপারেশন এলাকা ছিল কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা।
মে মাসের শেষে অপারেশন এলাকা সংকুচিত করে কুষ্টিয়া ও যশোর, খুলনা জেলা সদর, সাতক্ষীরা মহকুমা এবং ফরিদপুরের উত্তরাংশ নিয়ে এই এলাকা পুনর্গঠন করা হয়। এই সেক্টরের প্রধান ছিলেন আবু ওসমান চৌধুরী এবং পরে মেজর এম এ মঞ্জুর। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম (১৯৭১)'
মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার আবু ওসমান চৌধুরীকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3i28hAm
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
মোহাম্মদ রফিক, বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। ১৯৭০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকায় জন্ম নিয়েছিলেন এই বিস্ময় অলরাউন্ডার। আজ তিনি জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করলেন। রফিকের জন্মদিনে ‘পূর্বপশ্চিম’ পরিবারের পক্ষ থেকে রইল অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। শুভ জন্মদিন মোহাম্মদ রফিক।
১৯৯৭ সালের আইসিসি কাপ জয়ী দলের সদস্য রফিক। সেই টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে ১০.৬৮ গড়ে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তার সেরা ২৫ রানে ৪ উইকেট এসেছিল সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে টেস্টে ১০০ উইকেট অর্জনের কীর্তি তার।
টেস্ট ও ওয়ানডেতে এক হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ডাবল ছোঁয়া প্রথম বাংলাদেশি বোলার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি আমাদের প্রথম অলরাউণ্ডার ক্রিকেটার। ব্যাটিং করতেন মারকুটে স্বভাবে।
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে মুলতানে পাকিস্তানকে হারিয়েই দিয়েছিলেন তিনি। অমানুষের ভাগাড় পাকিস্তানের খেলোয়াড়েরা একাধিক চৌর্যবৃত্তি করলেও, মোহাম্মদ রফিক দেখিয়েছিলেন উদারতা। ১৬ বছর আগের সেই টেস্ট আমাদের নৈতিকতার বিজয় বলেই চিহ্নিত হবে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৩ টেস্ট ও ১২৫ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন, ১৯৯৫ সালের ওয়ানডে অভিষেকেও প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৩ টেস্ট ও ১২৫ ওয়ানডে খেলেছেন রফিক। টেস্টে তাঁর বোলিং গড় ৪০.৭৬ ও ওয়ানডেতে বোলিং গড় ৩৭.৯১ ।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কমতি ছিল এবং তা লুকোবার কোনো অপচেষ্টা করেননি। আইসিসি কাপ জেতার পর সরকারিভাবে উপহার পেয়েছিলেন ৫ কাঠা জমি ও গাড়ি। রফিক এ উপহার নিয়ে কি করলেন তা অনেকেরই অজানা।
কেননা, ঘটনাটি মিডিয়াতে তেমনভাবে আসেনি। যে মিডিয়া দিনকে রাত ও রাতকে দিন বানাচ্ছে সেই মিডিয়ার কাছে মোহাম্মদ রফিকের এই অসামান্য মানবিক কাজটি গুরুত্ব পায়নি আজ পর্যন্ত।
রফিক তার নিজের উপহারের অংশ দান করেন, নিজ এলাকায় স্কুল নির্মাণের জন্য। গাড়ি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে স্কুল-ঘর তুলে দিয়েছিলেন। রফিকের ভাষায়, ভাই আমি তো লেখাপড়া কিছু শিখি নাই, আমি খুব গরীব ঘরের ছেলে ছিলাম। লেখাপড়ার গুরুত্ব আমি বুঝি। আমার এলাকার ছেলে-মেয়েরা যেন লেখাপড়া শিখে মানুষ হয় এবং সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় সেজন্যই এই কাজ করেছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3jNGWSP
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ১৩তম আসরে খেলার অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
সম্প্রতি, দলে চোটজনিত সমস্যা থাকায় মোস্তাফিজুর রহমানকে নিতে চায় আইপিএলের দুইটি দল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে তাকে দেয়া হয়নি অনাপত্তিপত্র (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট- এনওসি)।
আইপিএল শুরুর ঠিক আগে দিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস হারিয়েছে অভিজ্ঞ পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে, কলকাতা থেকে ছিটকে গেছেন ইংলিশ পেসার হ্যারি গার্নে। তবে মালিঙ্গার বদলে অস্ট্রেলিয়ান পেসার জেমস প্যাটিনসনকে নিয়েছে মুম্বাই। কিন্তু এখনও গার্নের বিকল্প খুঁজছে কলকাতা।
এ জায়গাটিতেই আলোচিত হচ্ছিল মোস্তাফিজের নাম। কিন্তু চলতি মাসের শেষদিকে শ্রীলঙ্কা সফর থাকায় আইপিএল খেলার অনাপত্তিপত্র পাননি মোস্তাফিজ। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘হ্যাঁ! আইপিএল থেকে প্রস্তাব এসেছিল মোস্তাফিজের জন্য। কিন্তু আমরা তাকে অনাপত্তিপত্র দেইনি কারণ সামনে শ্রীলঙ্কা সফর আসছে।’
আইপিএলে এখনো পর্যন্ত মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স খুব একটা ফেলনা নয়। বিশেষ করে ২০১৬ সালে নিজের প্রথম মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট, জিতেছিলেন শিরোপা। সেবার আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম এবং এখনো পর্যন্ত একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরষ্কারও জিতেছিলেন মোস্তাফিজ।
কিন্তু শেষ দুই মৌসুম খুব একটা ভালো যায়নি তার। দল বদলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে ২০১৭ সালে এক ম্যাচ খেলে ছিলেন উইকেটশূন্য, পরের বছর সাত ম্যাচে নিয়েছিলেন সমান ৭ উইকেট।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2QYM62c
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ এসি থেকে নয়, গ্যাস লাইন থেকে ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ কথা জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।
আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, মসজিদের নিচ দিয়ে (মেঝেতে) একটি গ্যাস পাইপ রয়েছে। আর এ পাইপের লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতর গ্যাস জমা হয়। মসজিদে এসি চলার কারণে দরজা জানালা সব বন্ধ রাখা হয়। আলো বাতাস বের হতে পারে না। ফলে নির্গত গ্যাস বের হতে পারেনি। বিস্ফোরণের আগে বিদ্যুতের কোনো কিছু জালানোর সময় স্পার্কিং করে। আর সেই স্পার্কিং থেকে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। মসজিদের মেঝেতে থাকা পানিতে গ্যাসের বুদবুদ ওঠায় সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় মসজিদের নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের অনেকগুলো লাইন গেছে। আর পাইপগুলোর প্রতিটিতে একাধিক লিকেজ রয়েছে। সেই লিকেজের গ্যাস সব সময় মসজিদে ওঠতো। আর নামাজের আগে থেকে মসজিদের দরজা জানালা বন্ধ করে এসি চালু করার ফলে পুরো রুমে এসি ও গ্যাস মিশে যায়। আর তাতে করে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণ ঘটে। এসি বিস্ফোরণ হওয়ার কারণ হলো এসিতে গ্যাস ছিল। আমরা ধারণা করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা দ্রুত এখানে এসে আমাদের ধারণাকে নিশ্চিত করে। তারা জানান- গ্যাসের লাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, মসজিদের ভেতর দিয়ে গ্যাস লাইন এবং গ্যাস লাইনে লিকেজের সমস্যা বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বলার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। এমনকি লাইন সরানোর জন্য তিতাসের লোকজন মোটা অংকের টাকা দাবি করে। যার কারণে এলাকার লোকজন ও মসজিদ কমিটি হতাশা নিয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষকে আর কিছু বলেনি। তিতাসের গাফলতির কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটলো। এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ তিতাস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন এলাকাবাসী।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3jNIA6Z
Post Come trough : নাচোল নিউজ
মীরসরাইয়ে ঝর্ণা থেকে পড়ে এক পর্যটক নিহত হয়েছে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের দশ স্তর বিশিষ্ট খইয়াছড়া ঝর্ণার উপর থেকে নীচে পড়ে যান ফয়েজ আহমেদ প্রকাশ খাজু (৩৯)।
তিনি ফেনী পৌরসভার বড়াইপুর গ্রামের মো: ইদ্রিসের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিহতের লাশ পাহাড়ের গভীর থেকে উদ্ধার করা হয়।
মীরসরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দীনেশ দাশ বলেন, শুক্রবার সকালে ফেনী জেলা থেকে ফয়েজ আহমেদ সহ তার ৯ বন্ধু মিলে খৈইয়াছড়া ঝর্ণায় যায়।
ঝর্ণার একদম শেষ ধাপে উঠার পর ফয়েজ আহমেদ পা পিছলে নীচে পড়ে যান। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য মীরসরাই থানা পুলিশ, মীরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের যৌথ অভিযান শুরু হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2F3lvhQ
Post Come trough : নাচোল নিউজ
জামাল হোসেন ঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে চায়ের দোকান দিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েছে সীমায়ারা নামে এক সংগ্রামী নারী। সীমা ১৯৮৫ সালে ১০ মে খড়িবাড়ীর ডাংগাপাড়া গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আকিমুদ্দিন ও মাতার নাম সওদা বিবি। দুই বোনের মধ্যে সীমা ছিল ছোট। আল্প বয়সেই মারা যায় তার বড় বোন। তারপর তাকে হতে হয় পিতা মাতা হারা। অতপর শুরু তার জীবনের নানা টানাপোড়ন।দারিদ্রতার যাঁতাকলে ক্লিষ্ট হয়েও জীবনের সাফলতার সিঁড়ি অর্জনে হাল ছাড়িনি। তার যখন বয়স ১৭ বছর, বিয়ে হয় শ্যামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবকের সাথে। তার সংসারের স্থিতিকাল ছিল মাত্র ১৫ মাস। এর মধ্যেই জন্ম নিলো তার কোলজুড়ে সৈকত নামের এক ছোট্ট বাবু। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন মাসের বাচ্চকে নিয়ে তার স্বামী সংসার জীবনের অবসান ঘটে। আমার একটি মাত্র ছেলে সৈকত। সেইও আবার অর্টিজম(বাকপ্রতিবন্ধি)। সীমা এ প্রতিবেদকে বলেন, আমি আমার সংসার জীবনের কখনই পরিসমাপ্তি ঘটাতে চাইনি। আমার স্বামী ছিল নিশাগ্রস্থ। নানা ভাবে আমার ওপর নির্যাতন করতো । সংসারে বনিবনা হতো না। অনেক বার তা নিরোসনের চেষ্টা করে তা
ব্যর্থ হয়। এরপর আমার ছোট্ট বাবুকে নিয়ে জীবন বাচানোর তাগিদে রাজশাহীতে তিন বছর বাসাবাড়িতে কাজ করি। একদিন জানতে পারলাম সরকারীভাবেক খড়িবাড়ি বাজারে মহিলাদের জন্য মহিলা মার্কেটে ব্যবস্যার জন্য বিনামূল্যে ঘর দেওয়া হচ্ছে।আমি তাতে আবেদন করি। ১৫ বছর আগে বাহাদুর পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ আমার প্রতি সদয় হয়ে একটি ঘর প্রদান করেন।কিন্তু আমার কাছে ব্যবস্যা করার জন্য কোন অর্থ ছিল না। স্থানীয় সাদাপুর গ্রামের বড় ভাই সিদ্দিক চৌধুরী আমার দুঃখ কষ্ট দেখে আমাকে কিছু টাকা ধার দেন। যা দিয়ে আমার চায়ের দোকান শুরু করি। বর্তমানে আমি আমার প্রতিবন্ধি ছেলেকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। মাথা গুজার জন্য সরকারী রাস্তার পাশে টিন শেডের একটি ঘরে কাল জাপন করছি। আমার জীবনের ইচ্ছা সরকারী কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে দোকানের মান উন্নয়ন করতে পারতাম।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3lNZQuV
Post Come trough : নাচোল নিউজ
‘স্কুল বন্ধ, খেলা হাইত ন’পারির এতাল্লাই মাছ ধরিদিই’
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
দূর থেকে দেখে মনে হবে ছোটোখাটো একটি পুকুর বা ডোবা। কিন্তু তা নয়, এটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। যে মাঠে হৈ চৈ করে খেলা করার কথা কোমলমতি শিশুদের, সেই মাঠে মাছ ধরছে কয়েকজন শিশু। বর্তমানে স্কুলের মাঠে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে হয়ে আছে কাদামাটি।
আনোয়ারা সরকারি আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে পানিতে তলিয়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজর। অবহেলা দীর্ঘদিন ধরে পানিতে ভাসছে মাঠটি। এমতাবস্থায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ ক্রীড়াপ্রেমীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যে সময়টা ক্রিকেট বা ফুটবল লেখায় মগ্ন থাকার কথা অথচ এই মাঠের কারণে তাদেরকে সময় দিয়ে হচ্ছে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার আড্ডা অথবা রাস্তার ধারে মোবাইল ফোনে। এই আড্ডা থেকেই শিক্ষার্থীরা নেশার জগতে পা রাখছে।
সরেজমিনে আনোয়ারা সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের চারদিকে বসতবাড়ি গুলো উঁচু হওয়ায় সব পানি এসে জমা হয় স্কুল মাঠে। তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুল মাঠটি পুকুরে পরিণত হয়। বর্ষা মৌসুমে সারাক্ষণ পানি জমে থাকার কারণে কেঁচো, সাপ ও পোকামাকড়ের আস্তানায় পরিণত হয়েছে মাঠটি। পানি ও কাদা মাটিতে শিশুদের মাছ ধরতেও দেখা গেছে। এছাড়া করোনাকালে বিকেল হলেই দেখা যেত এই মাঠে আনোয়ারা সদর ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নানা বয়সী ক্রীড়াপ্রেমীদের। উপজেলা প্রশাসনের বড় ধরনের সভা, সমাবেশ ও নিয়মিত সব ধরনের খেলাধুলাও হয় এই মাঠে। অথচ প্রয়োজনীয় বিশাল এ মাঠটি যেন এখন অভিভাবকশূন্য। অল্প বৃষ্টি হলেই মাঠটিতে জমে হাঁটুপানি। আর বর্ষা মৌসুম ও জোয়ারের পানিতে মাছ চাষ ও ধান চাষের জন্য উপযোগী হয়ে এখন খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ক্রীড়াপ্রেমীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। স্থানীয় গ্রামবাসী ও সচেতন মহল বিদ্যালয়ের মাঠটি দ্রুত সংস্কারের দাবি করেন।
ক্লাস টু’তে পড়ে মোহাম্মদ সাব্বির তার বন্ধুদের নিয়ে প্রতিদিন সকাল বেলা মাঠে আসে মাছ ধরতে। সে বলে, ‘এহন স্কুল বন্ধ, বাড়ির খেলা হাইবার জাগা নাই, মাঠতও খেলা হাইত ন পারির পানিল্লাই, এতাল্লাই এনডে মাছ ধরিদিই’। (এখন স্কুল বন্ধ, বাড়িতে খেলা করার জায়গা নেই। মাঠেও খেলা করা যাচ্ছে না পানির জন্য। এ জন্য এখানে মাছ ধরছি)।
ক্রীড়া শিক্ষক মোহাম্মদ এনাম বলেন, আনোয়ারা উপজেলায় ফুটবল খেলোয়ার তৈরি হওয়ার মতো অনেক প্রতিভা রয়েছে। শুধু উপযোগী একটি মাঠের অভাবে খেলোয়ার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। যে মাঠ রয়েছে সেটি এ উপজেলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাঠ। বছরের ৬ মাস জমে থাকে জোয়ারের পানি আর কাদা মাটি। সামান্য বৃষ্টি ও বর্ষার পানির কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও উপজেলার আশপাশের খেলোয়াড়রা করতে পারে না অনুশীলন। এতে অনুশীলনের সুযোগ থাকলেও তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে খেলোয়াররা। জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির কাছে মাঠ সংস্কারের জোর দাবি করছি।
আনোয়ারা সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা ছাড়া বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কোনো কাজ বা সংস্কার বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে করা যাবে না। তাই মাঠসহ নানা উন্নয়নের কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা পেলে এসব সংস্কার কাজ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হওয়ার পরে বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকার উপর সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। সেজন্য কোনো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো। মাঠটি সংস্কার করা অতি জরুরি। খেলাধুলা ছাড়াও সরকারি সকল অনুষ্ঠান এ মাঠেই করা হয়। আশা করছি, খুব শীঘ্রই মাঠটি সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3hUwbO9
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ মেয়র ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ঝাঁটা মিছিল
পানি নিষ্কাশনে শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা বলে ঘোষণা দেন তারা।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা শহরের বদ্দীপুর কলোনি এলাকার স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ হওয়ায় এবং ত্রাণ নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে পৌর মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বদ্দীপুর মোড়ে এ ঝাটা মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ঝাঁটা ও জুতা নিয়ে জলমগ্ন বদ্দীপুরের বিভিন্ন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যর্থ মেয়র ও কাউন্সিলরের পদত্যাগ দাবি করেন, স্থানীয় এলাকাবাসী।
বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, বদ্দীপুর জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মনু, রবিউল ইসলাম, আবদুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বদ্দীপুর এলাকা বছরের প্রায় ৬ মাস পানিতে তলিয়ে থাকে। প্রতিবারই ভোটের আগে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু নির্বাচিত হলে পানি নিষ্কাশনসহ বদ্দীপুর বাসীর উন্নয়নে কোনো কাজ করেন না। প্রতি বছরই তাদের পানিতে ডুবতে হয়। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের অবগত করলে তারা পরিদর্শনেই সীমাবদ্ধ রাখেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
তারা বলেন, গত কয়েকদিন আগে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর সেলিমসহ পৌর কর্তৃপক্ষ বদ্দীপুর এলাকা পরিদর্শনে আসেন। সে সময় তারা মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে দুটি ট্রলি বরাদ্দ দেন। যাতে স্থানীয়রা ফ্রি যাতায়াত করতে পারবেন। অথচ এ ট্রলি দুটি সকালে একবার আসে এরপর আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। জলাবদ্ধ মানুষকে ১০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এছাড়া এখানকার মানুষকে পর্যাপ্ত খাদ্য সহযোগিতা দিয়েছেন বলে পৌর মেয়র প্রচার করলেও ওই এলাকায় দুইজন ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ এখনও পর্যন্ত কোনো খাদ্য সহযোগিতা পাননি।
পানি নিষ্কাশনে শিগগিরই কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা বলে ঘোষণা দেন তারা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/330VesH
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
চুরির উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এসময় বাধা দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের ওপর তারা হামলা চালায় বলে জানিয়েছে র্যাব।
দিনাজপুর প্রতিনিধি
চুরির উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এসময় বাধা দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমের ওপর তারা হামলা চালায় বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সান্টু ও নবীরুল। এ ঘটনায় জড়িত বলে এরই মধ্যে তারা দায় স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসবাদে জানিয়েছে চুরির জন্য তারা ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢোকেন।
রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোট ছয় জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গাীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।
তিনি বলেন, জবানবন্দিতে আসাদুল দাবি করেছে ইউএনও মহোদয়ের বাসায় চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে তারা। তবে আরো তদন্ত করে ঘটনার মোটিভ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো যাবে।
এদিকে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই অপারেশন থিয়েটার থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই তার জ্ঞান ফিরে এসেছে। তিনি বর্তমানে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
তিনি বলেন, এখনই তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসেনি। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আমাদের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বসবেন, এরপর এ বিষয়ে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে আপনাদের জানানো হবে। তবে বর্তমানে ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তিনি।
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, আমরা আশা করছি শনিবার ইউএনও ওয়াহিদাকে আইসিইউ থেকে বের করতে পারব। তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এখনই কিছু জানাব না। শনিবার এ বিষয়ে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ৬ সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে। অস্ত্রোপচার শেষেই তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তাৎক্ষণিকভাবে তার সেরে ওঠার বিষয়ে আশাবাদী হলেও তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন বলে জানানো হয়।
অস্ত্রোপচার শেষে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় ভাঙা হাড়ের সাত-আটটা টুকরা ছিল, সেগুলো আমরা জোড়া দিয়েছি। জোড়া দিয়ে হাড়গুলোকে জায়গামতো বসিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি যে আরো ছোট ছোট কাটা ছিল, সেগুলোর সবগুলোকেও রিপেয়ার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী কিন্তু এটা হেড ইঞ্জুরির ব্যাপার, তার মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছে। মস্তিষ্কের ওপর একটা চাপ ছিল, সেটা আমরা রিলিফ করেছি। তবে এখনই ক্লিয়ারলি আমরা বলতে পারব না যে রোগী ভালো হয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2GpWBt7
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
আমি খুব আশাবাদী মানুষ, খুব মন খারাপ করা কোনও ঘটনাও যদি ঘটে তখনও আমি নিজেকে বোঝাই এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা, তখনও আমি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে অপেক্ষা করতে পারি। আমি সহজে হতাশ হই না, আশাহত হই না, মনে দুঃখ পাই না। বেশি আশাবাদী হয়ে আমার কোনও ক্ষতি হয়নি- সবচেয়ে বড় কথা যেসব বিষয় নিয়ে আশাবাদী ছিলাম তার প্রায় সবগুলোই সত্যি হয়েছে।
তারপরেও সেদিন একটা ছেলের একটা ই-মেইল পড়ে আমার মন খারাপ হয়ে আছে, ই-মেইলে সে যে বিষয়গুলো লিখেছে তার মাঝে একটিও নতুন কিছু নেই, আমি সবগুলোই বহুদিন থেকে জানি, তারপরেও সেটা আমি আমার মাথা থেকে সরাতে পারছি না। আমি নাম পরিচয় গোপন রেখে তার ই-মেইলটি তুলে দিচ্ছি:
“আসসালামু আলাইকুম স্যার৷ কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন৷ আমার শিক্ষা জীবনের কিছু ঘটনা তুলে ধরলাম৷ আশা করি এইসব ঘটনা শুধু আমার একার না, অনেকেরই:
১. ক্লাস ফাইভ জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা পিএসসি (এই পরীক্ষার কি প্রয়োজনীয়তা আমি আজও বুঝলাম না)।
২০১৩ সাল প্রশ্ন ফাঁসের স্বর্ণযুগ৷ পরীক্ষার এক দুইদিন আগেই সব প্রশ্ন পাওয়া যায়৷ সেইসব প্রশ্ন পেয়ে অভিভাবকের সহায়তায় সুন্দর করে পরীক্ষা দিয়ে আসলাম, কেউ আমাকে একটিবারও বললো না, এটা করো না৷
২. ক্লাস ৬/৭ আমার জীবনের কাটানো কিছু সুন্দর সময়, এই সময় আমি পড়ালেখা খুবই কম করতাম৷ যার কারণে আমি এই সময় সাইকেল চালানো শিখি, কোডিং শিখি, কিছু সুন্দর বই পড়ি৷ কিন্তু আমি ছিলাম ক্লাসের লাস্ট স্টুডেন্ট৷ এই সময় আমি দেখলাম অন্য সবাই স্কুলের টিচারের কাছে পড়ে৷ আমাদের যে গণিত শিক্ষক, তিনি তার কাছে পড়ে সব স্টুডেন্টদের পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন দিয়ে দিতেন। তিনি তার কোচিংয়ে সেই প্রশ্ন সলভ করাতেন, তারা সেই প্রশ্ন টিফিন টাইমে বসে বসে মুখস্থ করতো। টিফিন টাইমে পড়ে, ক্লাসে তারা বসে বসে সেই প্রশ্নে পরীক্ষা দিতো। যেহেতু আমি তার কাছে পড়তাম না তাই আমি সেই পরীক্ষায় কখন উত্তর করতে পারতাম না। কারণ, প্রশ্নগুলো ছিল খুবই কঠিন। আমার কাছে কোনও গাইড ছিল না। প্রশ্নগুলো হতো ক্লাস এইটের বই থেকে। তাই পরীক্ষা আমি 0-এর বেশি পেতাম না (কিন্তু নিজে নিজে অঙ্ক করার ফলে এর উপকার আমি আজ পাচ্ছি)।
৩. ক্লাস এইট জেএসসি-এর পরীক্ষা, এ সময় প্রশ্ন ফাঁস হতো। তবে প্রশ্নফাঁসের পদ্ধতি ছিল খুবই অদ্ভুত। পরীক্ষার 2- 3 ঘণ্টা আগে কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়। এ প্রশ্ন দুই ধরনের স্টুডেন্ট নিতো—এক: যারা কিছুই পারে না, দুই: পড়ালেখায় ভালো roll 1 2 3 রা। যাদের অভিভাবকের কাছে পড়ালেখা সব!! এমসিকিউ পরীক্ষায় সকল উত্তর পাওয়া যেত, কিন্তু কেউ প্রশ্ন জানতো না। সবাই শুধু উত্তরটা জানতো, যেমন- 1-2-3-4-এর answer ক-খ-গ। কৃষি শিক্ষা পরীক্ষার দিনে সম্পূর্ণ প্রশ্ন ফাঁস হয়। যেহেতু আমি ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম না, শুধু আমার কাছে প্রশ্ন নাই। সবাই মহাখুশিতে পরীক্ষা দিয়ে আসলো, শুধু আমি পেলাম দীর্ঘশ্বাস।
৪. ক্লাস নাইন টেন শুধুমাত্র ক্লাসের শিক্ষকদের কাছে না পড়ার কারণে কখনোই ব্যবহারিকে ফুল মার্ক পেতাম না।
৫. এসএসসি পরীক্ষায় স্যাররা বলে দিলেন কেন্দ্রে গিয়ে কিছু টাকা দিলে ব্যবহারিকে ফুল মার্ক দিয়ে দেয়৷ সবার অভিভাবক টাকা দিয়ে দিলেন৷ আমিও দিলাম৷ (আমি কখনও ভাবতেও পারি না এক শিক্ষকের কথায় আরেক শিক্ষককে ঘুষ দেওয়ার জন্য সবার বাবা-মা 500 টাকা দিতে পারে)৷ আমিও পরদিন সেই 500 টাকার একটি নোট স্যারকে দিয়ে দিলাম৷ স্যার খুশি হয়ে বললেন, তোমার যা মন চায় সেই ব্যবহারিক একটি লিখ৷ সবাই মিলে গল্প করতে করতে নিচে খাতা রেখে ব্যবহারিক খাতা দেখে তুলে দিলাম৷ এটাই নাকি স্বাভাবিক!! সব কেন্দ্রে নাকি এই হয়!! এভাবে সেসব ব্যবহারিক পরীক্ষায় দিয়ে দিলাম! আইসিটি পরীক্ষা না দিয়েও ফুল মার্ক পেয়ে গেলাম!! কোনও মৌখিক পরীক্ষা ধরলো না! এক শিক্ষকের কথায় অন্য শিক্ষককে একজন ছাত্র যখন ঘুষ দেয় তখন তা জাতিকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট নয় কি?
৬. এর পরের ঘটনা কলেজে ভর্তি নিয়ে। দেশের এক নাম্বার বয়েজ কলেজ (যে কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে টিকতে হয়) সেই কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিলাম৷ টিকে গেলাম৷ ভাইবাতে ডাক পড়লো৷ ভাইবা দিলাম৷ কিন্তু আমি টিকলাম না৷ অনেকে বললো কিছু টাকা কিংবা উপর থেকে ফোন দিলে ভর্তি হতে পারবা৷ আমারই এক সহপাঠী পরীক্ষায় না টিকেও সে শুধু ক্ষমতা আর টাকার জোরে সেই কলেজের স্টুডেন্ট৷ আর আমি পেলাম দীর্ঘশ্বাস!
এই যদি হয় দেশের অবস্থা তাহলে এই দেশে সাহেদ, সাবরিনা কেন তৈরি হবে না? যখনি মনে হয় আমি শিক্ষককে ঘুষ দিয়ে এসেছি তখন লজ্জায় কুঁকড়ে যেতে মন চায়৷ আরও অনেক ঘটনা হয়তো বলার আছে কিন্তু বললাম না৷ যখন এসব কথা মনে হয় তখনই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে মন চায়৷ আমি নিজেকে নিজে প্রতিজ্ঞা করেছি কখনও আর দুর্নীতি করবোনা৷ কিন্তু যখন দেখি সবাই মহা উৎসাহে দুর্নীতি করছে তখন এই দেশ নিয়ে দীর্ঘশ্বাস বের হয়, আমি একা কি বা করতে পারবো?
স্যার, এই দীর্ঘশ্বাস থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি? আশা করি উত্তর দিবেন।
ছেলেটি কী করবে আমার কাছে জানতে চেয়েছে, আমি তাকে বলার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। এই দেশে লেখাপড়ার সঙ্গে সম্পর্ক আছে এরকম লক্ষ লক্ষ মানুষ রয়েছে, তাদের একজনও কী ছেলেটাকে কিছু বলতে পারবে? পারবে না।
পৃথিবীতে সব সমস্যারই একটা সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়, এই সমস্যাটারও একটা সমাধান বের করা যাবে কিন্তু তার আগে সমস্যাটা যে আছে সেটা মেনে নিতে হবে। আমাদের দেশে আমরা সমস্যা থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে ভান করি কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু একটা শিশুকে যদি অভিভাবক এবং শিক্ষকেরা মিলে বুঝিয়ে দিই অন্যায় করার মাঝে কোনও দোষ নেই, শুধু তাই নয়—তাকে অন্যায় করার কায়দা-কানুন শিখিয়ে দিই, অন্যায় করতে সাহায্য করি, তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে? এই দেশে যখন কেউ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তখন সেটি যে কত বড় একটা ফাঁকা বুলি, সেটা কী কেউ খেয়াল করেছে?
এর ভেতরেও আমি আশাবাদী হওয়ার চেষ্টা করি, কল্পনা করি ছোট একটা শিশু শিক্ষক আর অভিভাবকের অবাধ্য হওয়ার সাহস পায় না, না বুঝেই একটা অন্যায় করে ফেলে। যখন সে বড় হবে, তার নিজের বিদ্যা-বুদ্ধি হবে, তখন তারা সাহসী হতে শিখবে, সৎ হতে শিখবে। আমাদের শুধু একটা পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে যেন নতুন প্রজন্ম সেই স্বপ্ন দেখার সুযোগ পায়, সাহস পায়।
২. শিক্ষা সংক্রান্ত কিছু দেখলে আমি সেটা জানার চেষ্টা করি। পত্রপত্রিকায় দেখেছি, যেহেতু ২০১০ সালের শিক্ষানীতিটি প্রায় ১০ বছরের পুরনো তাই সেটাকে আধুনিকায়ন করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। খবরটা পড়ে আমি একটুখানি কৌতুক অনুভব করেছি। সর্বজন শ্রদ্ধেয় কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে এই শিক্ষানীতিটা করা হয়েছিল, ঘটনাক্রমে আমিও তার একজন সদস্য ছিলাম। সেই হিসেবে শিক্ষানীতির কিছু কিছু খুঁটিনাটি আমার এখনও মনে আছে। গত ১০ বছর থেকে এই দেশের শিক্ষা কার্যক্রম দেখে দেখে আমি টের পেয়েছি শিক্ষানীতি আসলে কাগজে লেখা কিছু ভালো ভালো কথা ছাড়া আর কিছু নয়। শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর সময় শিক্ষানীতিতে কী লেখা আছে সেটা কেউ ভুলেও পড়ে দেখে না। বাস্তবতার সঙ্গে এই শিক্ষানীতির কোনও যোগাযোগ নেই। একটা ভালো শিক্ষানীতি মানে বড়জোর কিছু ভালো স্বপ্ন, এছাড়া আর কিছু নয়।
আমি একটা উদাহরণ দিই। কয়দিন আগে কোনও একটা সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর শিক্ষানীতিতে পঞ্চম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণিতে পিইসি ও জেএসসি এই দুটি পাবলিক পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। আসলে সেটি সত্যি নয়, সেই কমিটির পক্ষ থেকে যে শিক্ষানীতিটি অনেক বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছিল (এবং আমি সিলেট থাকি বলে সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারিনি) সেই শিক্ষানীতিতে লেখা ছিল:
“…প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং তৃতীয় থেকে সকল শ্রেণিতে অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা চালু থাকবে। পঞ্চম শ্রেণি শেষে সকলের জন্য উপজেলা/পৌরসভা/থানা (বড় বড় শহর) পর্যায়ে স্থানীয় সমাজ-কমিটি ও স্থানীয় সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সমাপনী পরীক্ষা এবং অষ্টম শ্রেণি শেষে বিভাগভিত্তিক পাবলিক পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষাটি প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা নামে পরিচিত হবে।…”
অর্থাৎ আমাদের শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট লেখা ছিল, শুধু অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা হবে। পঞ্চম শ্রেণিতে মোটেও পাবলিক পরীক্ষা নয়, শুধুমাত্র স্থানীয় পরীক্ষা। শুধু তা-ই নয়, যেহেতু প্রাইমারি লেখাপড়া অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তাই অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার নাম “প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা”।
শিক্ষানীতিতে দ্বিতীয় পাবলিক পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণিতে, এভাবে:
“…দশম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা আঞ্চলিক পর্যায়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এবং এই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হবে। (বিস্তারিত অধ্যায় ২১)। দ্বাদশ শ্রেণির শেষে একটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং এর নাম হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা।…”
অর্থাৎ ২০১০ সালের শিক্ষানীতির প্রস্তাবে মাত্র দুটি পাবলিক পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল, মোটেও এখন যেভাবে হচ্ছে সেরকম চার চারটি পাবলিক পরীক্ষা নয়। শিক্ষানীতির কমিটিতে আমরা যারা ছিলাম তাদের নিশ্চয়ই মাথা খারাপ হয়ে যায় নাই যে, আমরা বলবো স্কুল-কলেজে থাকতে থাকতেই একজন শিক্ষার্থীকে চার চারটা পাবলিক পরীক্ষা দিতে!
তবে শিক্ষানীতিটি যখন পাস করা হয় তখন অনেক কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। কমিটির অন্য সদস্যরা এই পরিবর্তনের কথা জানতেন কী না আমি জানি না, আমি জানতাম না। একজন অজ্ঞ মানুষের মতো আমি ধরেই নিয়েছিলাম আমরা যেটা জমা দিয়েছি সেটাই হবে শিক্ষানীতি। যেহেতু দশম শ্রেণির পরীক্ষাটি পাবলিক পরীক্ষা না হয়ে একটা আঞ্চলিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল সেজন্য আমরা অষ্টম শ্রেণিতে একটা পাবলিক পরীক্ষার কথা বলেছিলাম। কিন্তু শিক্ষানীতি পাস করার সময় দশম শ্রেণি এবং অষ্টম শ্রেণি দুটিই পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে থেকে গেলো। আমাদের দেশে পরীক্ষাকে সবাই ভালোবাসে। সবার ধারণা, যত বেশি পরীক্ষা তত ভালো লেখাপড়া।
কাজেই শিক্ষানীতি পাস হলো এভাবে:
“…প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং তৃতীয় থেকে সকল শ্রেণিতে ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা চালু থাকবে। উপজেলা/পৌরসভা/থানা (বড় বড় শহর) পর্যায়ে সকলের জন্য অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অষ্টম শ্রেণি শেষে আপাতত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা নামে একটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং এই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে।…”
অর্থাৎ পাস করা শিক্ষানীতিতে স্পষ্ট লেখা আছে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে পরীক্ষা নেই কিন্তু বাস্তবে একেবারে শিশু শ্রেণি থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। যত পরীক্ষা, শিশুদের যত কষ্ট সবার তত আনন্দ! আমাদের পরামর্শ ছিল তৃতীয় শ্রেণি থেকে শুধু অর্ধবার্ষিক আর বার্ষিক পরীক্ষা, শিক্ষানীতি পাস করার সময় সেখানে বাড়তি একটা ত্রৈমাসিক পরীক্ষা যুক্ত হলো। সবাই জানে বেশি পরীক্ষা মানে বেশি লেখাপড়া, শিশুদের কষ্ট হচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে কে মাথা ঘামায়?
সেজন্য আমি বলছিলাম, শিক্ষানীতি একটা কাগজে লেখা কিছু ভালো ভালো কথা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই পাস করা শিক্ষানীতিতে পঞ্চম শ্রেণিতে আঞ্চলিক পরীক্ষার কথা বলা হলেও বাস্তবে পিইসি নামে বিশাল দজ্ঞ যজ্ঞ করে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। তখন অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করার চেষ্টা করা হয়, ছোট ছোট শিশুদের জীবনকে বিষাক্ত করে দেওয়া হয়।
আমি মাত্র একটা উদাহরণ দিয়েছি কিন্তু পুরো শিক্ষানীতি নিয়ে এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে। যারা কল্পনা করছেন নতুন একটা শিক্ষানীতি করার সঙ্গে সঙ্গে এই দেশের লেখাপড়ার মাঝে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়ে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তারা আসলে বাস্তব জগৎ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। যে শিক্ষানীতি মানতে হয় না এবং মানা না হলে কারও কাছে কোনও জবাবদিহি করতে হয় না, সেটা পরিবর্তন করে কী লাভ?
এই দেশে স্কুল কলেজে লেখাপড়া করতে গিয়ে শিশুদের দুর্নীতিতে হাতেখড়ি হয়, যদি তাদের লেখাপড়া করতে না হতো তাহলে সেই শৈশবে তাদের পিঠে “দুর্নীতিবাজ”-এর সিলটি পড়তো না। সারা জীবন এই অপমানের গ্লানি তাদের বহন করতে হতো না।
তারপরেও আমি আশা করে থাকি এই কলুষিত পরিবেশের মাঝেও আমাদের কিছু সোনার টুকরো ছেলেমেয়ে থাকবে, যারা এই ক্লেদাক্ত পরিবেশেও খাঁটি মানুষ হয়ে বড় হবে। যাদের দেখে আমরা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবো।
আমার স্বপ্ন দেখার মাঝে কে আমাকে বাধা দেবে?
লেখক: শিক্ষাবিদ, পদার্থবিদ, লেখক ও অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/33cLtrB
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ছাত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিবস্ত্র ছবি পাঠানো ও ক্লাসরুমে ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ছাত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিবস্ত্র ছবি পাঠানো ও ক্লাসরুমে ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
ইংল্যান্ডের বাকিংহামশায়ারের একটি আদালতে এ ব্যাপারে শুনানি হয়েছে।
মিরর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শুনানির সময় ওই ছাত্র জানায়, মোবাইলে এক বার্তায় শিক্ষিকা ছাত্রকে লিখেছেন, আমার স্বামীর বিশেষাঙ্গের চেয়ে তোমার বড়। শিক্ষিকার এ ধরনের ছবি দেখে সে বিব্রত হয়েছে।
আরেক ছাত্র বলেছে, সে মনে করেছে ভুল করে এ ধরনের ছবি চলে এসেছে। কিন্তু পরে শিক্ষিকার চাপে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে।
একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকা জানান, তিনি গর্ভবতী। আর সেই সন্তানের বাবা ১৫ বছরের কিশোর। এ ব্যাপারে ওই ছাত্র আদালতে জানিয়েছে, শারীরিক সম্পর্কের সময় তিনি আমাকে বলেছেন, তার প্রেমিকের সঙ্গে এ ধরনের সম্পর্ক হয়। আর এজন্য তিনি পিল খাচ্ছেন। সে কারণে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির দরকার নেই।
২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রথম সাক্ষাতে তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেছেন। তবে দ্বিতীয়বারের দেখায় শারীরিক সম্পর্কে জড়ান তারা।
কিশোরের সহপাঠী বলেন, প্রথমে আমি বিষয়টি বিশ্বাস করিনি। কিন্তু পরে ম্যাসেজ ও ভিডিও দেখে বিশ্বাস করি। উনি আমার বন্ধুকে বলেছেন, তিনি পিল খাচ্ছেন। সে কারণে অন্য পদ্ধতির দরকার নেই।
তবে এখন পর্যন্ত ওই নারীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। কাল এ ব্যাপারে আবারো শুনানির দিন ঠিক করা আছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2EOMI89
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রী ও বিখ্যাত সমাজসেবী, লেখক ম্যাকেঞ্জি স্কট এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিএনএন।
২০১৯ সালে জেফ বেজোসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের সময় অ্যামাজনের শেয়ারের এক-চতুর্থাংশের মালিকানা লাভ করেন তিনি। যার তৎকালীন মূল ছিল প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জেফ বেজোসের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়াতেই ভাগ্য খুলে যায় ম্যাকেঞ্জি স্কটের। স্কট বর্তমানে বিশ্বের দ্বাদশ ধনী ব্যক্তি।
১১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১.৭ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছেন বলে চলতি বছরের জুলাইয়ে জানান স্কট। যার মধ্যে ছিল কৃষ্ণাঙ্গদের ৪টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3i0MtF8
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের অনলাইন ক্লাসের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।
মাধ্যমিকের অনলাইন ক্লাস কার্যক্রমসংক্রান্ত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় মাউশি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ সময় মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেণি পাঠদান অব্যাহত রাখতে ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান চলছে। এ ছাড়া অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নির্দেশনা মানতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
অনলাইন ক্লাস নিয়ে মাউশির তিন নির্দেশনাগুলো হলো:
১. সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত শ্রেণি কার্যক্রমের সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২. বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিচালিত মানসম্মত ক্লাসসমূহ ইউটিউবে আপলোড করে ভিডিও লিংকটি মাউশির dddshesecondary@gmail.com পাঠাতে হবে।
৩. এছাড়াও প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে বিশেষ ছক অনুসরণ করে পূর্ববর্তী মাসের অনলাইন ক্লাসের তথ্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসে পাঠাতে হবে। উপজেলা মাধ্যমিক/থানা শিক্ষা অফিসার তার আওতাধীন বিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাসের তথ্য ৬ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসে, জেলা শিক্ষা অফিসার সংশ্লিষ্ট উপপরিচালক বরাবর ১০ তারিখের মধ্যে এবং আঞ্চলিক উপপরিচালক ১৫ তারিখের মধ্যে dddshesecondary@gmail.com, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবেন।
বিশেষ ছকে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, শ্রেণি, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, ক্রমিক নম্বর, শ্রেণি, নির্দিষ্ট রুটিন আছে কি না, অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম, বিষয়ভিত্তিক ক্লাসসংখ্যা, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ (শতকরা হার, মোট সংখ্যা) চ্যালেঞ্জ, মোকাবিলার উপায়সহ যাবতীয় তথ্য দিতে হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/31VIpAz
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
মোঃ সেলিম রেজা তাজ,স্টাফ রিপোর্টারঃ শিশু ও পাগলদের জন্য রান্না করা খাবার পরিবেশনে দেশ সেরা উদ্ভাবক শার্শা’র কৃতি সন্তান গরীবের বন্ধু হিসেবে খ্যাত হয়ে ওঠা মোঃ মিজানুর রহমান এবারে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। তিনি ঐ সকল মানুষদের জন্য নিজ উদ্যোগে দিবা-রাত্রি রান্না করা খাবার পরিবেশনে ফ্রি খাবার বাড়ি(সরাই খানা) চালু করেছেন।
যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারনে গার্লস স্কুল গেইট সংলগ্ন বাদল নার্সারীতে তিনি এই সরাইখানা উন্মোচন করেন। সরাই খানাটি উন্মোচনের জন্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার,জুয়েল ইমরান,নাভারন সার্কেল,যশোর।
আজ শুক্রবার(৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে জুয়েল ইমরান বেশ কিছু পথ শিশু ও পাগলদের মাঝে রান্না করা খাবার পরিবেশন করে উদ্ভাবক মিজানুর রহমান এর ফ্রি খাবার বাড়ি উন্মোচন করে দেন। এ সময় কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ তুলে দেওয়া হয়।
ফ্রি খাবার বাড়ি উন্মোচন শেষে উদ্ভাবক মিজানুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ ইং সাল থেকে তিনি শার্শা উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলাতেও গরীব,অসহায়,পথশিশু,মানসিক বিকারগ্রস্থ(পাগল),রাস্তার বেওয়ারেশ কুকুর এবং পশুপক্ষীদের রান্না করা খাবার পরিবেশন করে আসছেন। নির্দিষ্ট কোন সরাইখানা না থাকায় বা নিজের কোন জায়গা না থাকায় এ সকল খাবার পরিবেশনে বেশ কষ্ট হচ্ছিল বলে তিনি জানান।
ফ্রি খাবার বাড়ি চালু করায় তিনি ঐ সকল গরীব অসহায়দেরকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়াতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। “ক্ষুধা লাগলে,খেয়ে যান” মানব সেবা হেল্প ফাউন্ডেশনের এ রকম একটি শ্লোগান তিনি ব্যবহার করেছেন।
উদ্ভাবক মিজানুর রহমান এর এমন ব্যতিক্রমি উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। তারা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগের কারনে এলাকায় ভিক্ষুকের সংখ্যা কমে আসবে অবশ্যম্ভাবি।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে মিজানুর তার সপ্তম উদ্ভাবন করেছেন ফ্যামিলি মোটরযান দিয়ে। মিজানের অষ্টম উদ্ভাবনে রয়েছে পরিবেশ সেইফটি যন্ত্র। এটি পরিবেশ রক্ষার্থে বহুমুখী কাজ করে থাকে। যন্ত্রটি বাড়ি, অফিস বা কলকারখানায় ময়লা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। হাতের স্পর্শ ছাড়াই এ যন্ত্রটি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। এ যন্ত্রটি উদ্ভাবনের পর ২০১৬ সালের ৫ জুন জাতীয় পর্যায়ে মিজান পরিবেশ পদক লাভ করেন।
আর্থিক অনটনের কারণে বেশি দূর পড়াশোনায় এগিয়ে যেতে পারেননি মিজানুর রহমান। জীবিকার তাগিদে ছোটবেলায় বেছে নিতে হয় মোটর মেকানিকের কাজ। যন্ত্রপাতি আর লোহালক্কড়ের সঙ্গে সেই পথচলা শুরু। কে বা জানত এই মানুষটি একদিন অতিসাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি করে ফেলবেন অটোমেটিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, পরিবেশ দূষণ যন্ত্র আর স্বয়ংক্রিয় সেচযন্ত্রসহ ৮টি উদ্ভাবন।
যশোরের শার্শা উপজেলার এই মোটরসাইকেল মেকানিক মিজান এখন দেশসেরা আবিষ্কারক ও উদ্ভাবক হতে যাচ্ছেন। মিজানের একাডেমিক কোনো শিক্ষা না থাকলেও আজ তিনি নিজের আলোয় আলোকিত। নতুন চিন্তা আর নতুন গবেষণায় আজ তার আবিষ্কারের সংখ্যা ৮টি।
শার্শা উপজেলার নজিমপুর ইউনিয়নের আমতলা গাতিপাড়ার অজপাড়া গাঁয়ে ১৯৭১ সালের ৫ মে জন্মগ্রহণ করেন মিজান। পিতা আক্কাস আলী ও মাতা খোদেজা খাতুন। পিতা-মাতার ৬ সন্তানের মধ্যে মিজান পঞ্চম। বর্তমান শার্শা উপজেলা সদরের শ্যামলাগাছি গ্রামে তিনি বাস করেন। ৮-৯ বছর বয়সেই বেঁচে থাকার তাগিদে নেমে পড়েন মজুরের কাজে। মাঠে শ্যালো মেশিন চালানো এবং মেরামতের কাজ করেন মিজান। এরপর নাভারন বাজারে একটি মোটরসাইকেলের গ্যারেজে কাজ পান। সেখান থেকেই তার মোটর মেকানিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। বর্তমানে শার্শা বাজারে ভাই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি মোটরসাইকেলের গ্যারেজ রয়েছে তার। ছোটবেলা থেকেই তার শখ ছিল নতুন কিছু করা। তবে মেকানিক হিসেবে তার ইঞ্জিন তৈরি করতে প্রবল আগ্রহ ছিল।
মিজান প্রথমে উদ্ভাবন করেন হাফ ক্রানসেপ্ট দিয়ে একটি আলগা ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের সব যন্ত্রপাতি দেখা যেত বাইরে থেকে। এ ইঞ্জিনটি একবার জ্বালানি তেল দিয়ে চালু করলে পরবর্তীতে আর তেল লাগত না। ইঞ্জিনের সৃষ্ট ধোঁয়া থেকে জ্বালানি তৈরি করে নিজে নিজে চলত ইঞ্জিনটি।
ঢাকার তাজরীন গার্মেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিকের প্রাণহানির পর মিজান দ্বিতীয় গবেষণা করে উদ্ভাবন করেন স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, যা বাসা বাড়ি, কলকারখানা, অফিস-আদালতে আগুন লাগলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রক্ষার্থে ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। এটি বিদ্যুৎ না থাকলেও চলবে। কোনো জায়গায় আগুন লাগলে যন্ত্রটি তার তাপমাত্রা নির্ণায়ক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুনের অবস্থান নিশ্চিত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম ও লাইট অন করে দেয়। এরপর একই সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করে দেয়, পাশাপাশি যন্ত্রটি পানির পাম্পে সুইচ অন করে দেয়। যা আগুনের অবস্থান নিশ্চিতের ৫-৭ সেকেন্ডের মধ্যেই সম্ভব হয়। অতঃপর পানির পাম্পের সঙ্গে সংযুক্ত পাইপের মাধ্যমে আগুনের অবস্থান পৌঁছে দেয় এবং অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত ফাঁপা বলয়ের পানি ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আগুন নিভে যায়। এটি উদ্ভাবনীর পর ২০১৫ সালে জেলা স্কুলের একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় মিজান এটি প্রদর্শন করে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তীতে এটি বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। দেশে পেট্রলবোমায় যখন মানুষের ক্ষতি হচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে মিজান উদ্ভাবন করেন তার তৃতীয় উদ্ভাবন অগ্নিনিরোধ জ্যাকেট। এ জ্যাকেট পরে ড্রাইভার বা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিরাপদে কাজ করতে পারবেন। তার চতুর্থ উদ্ভাবন অগ্নিনিরোধ হেলমেট। এটি ব্যবহার করলে দুর্ঘটনার আগুনে গলার শ্বাসনালি পুড়বে না। তার পঞ্চম উদ্ভাবন হলো প্রতিবন্ধীদের জীবন-মান উন্নয়নে মোটরকার। এটা বিদ্যুৎ বা পেট্রলচালিত।
কৃষকদের জন্য স্বয়ংক্রিয় সেচযন্ত্র উদ্ভাবন হলো তার ষষ্ঠ উদ্ভাবন। কৃষকদের দূর-দূরান্তের মাঠের জমিতে পানি দিতে আর যেতে হবে না। বাড়িতে বসেই সেচযন্ত্রটি মোবাইল ফোনে এ যন্ত্রটি জমিতে পানির প্রয়োজন হলে নিজে নিজেই চালু হয় এবং পানির প্রয়োজন না থাকলে এটি একা একাই বন্ধ হয়ে যায়। দেশীয় প্রযুক্তিতে মিজান তার সপ্তম উদ্ভাবন করেছেন ফ্যামিলি মোটরযান। মিজানের অষ্টম উদ্ভাবনে রয়েছে পরিবেশ সেইফটি যন্ত্র। এটি পরিবেশ রক্ষার্থে বহুমুখী কাজ করে থাকে। যন্ত্রটি বাড়ি, অফিস বা কলকারখানায় ময়লা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। হাতের স্পর্শ ছাড়াই এ যন্ত্রটি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার হয়। এ যন্ত্রটি উদ্ভাবনের পর ২০১৬ সালের ৫ জুন জাতীয় পর্যায়ে মিজান পরিবেশ পদক লাভ করেন। জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে মিজান এ পর্যন্ত মোট ১৭টি সাফল্য সনদ ছাড়াও পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেস্ট ও সাফল্য পুরস্কার। এরই মধ্যে মিজানের আবিষ্কৃত দেশীয় প্রযুক্তির মোটরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ টু আই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ছোট ছোট অ্যাম্বুলেন্স তৈরি করার পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়েও একজন লোক বেশ কিছু নতুন জিনিস আবিষ্কার করে রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন। আমরা তাকে উৎসাহিত করেছি। মিজান জানান, তার স্বপ্ন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করা। তার বর্তমান উদ্ভাবন গবষেণা চলছে দূষিত বায়ু শোধন যন্ত্র আবিষ্কারের।
Post Written by : Salim Taj
Original Post URL : https://ift.tt/3lRGK76
Post Come trough : নাচোল নিউজ
দেশে ফিরে নিয়মানুযায়ী করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
খেলা
স্পোর্টস ডেস্ক
দেশে ফিরে নিয়মানুযায়ী করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, সাকিবের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাকিব করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) তিনি রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে দেশে ফিরেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার বিমান ধরার আগেও সাকিব একবার করোনা পরীক্ষা করান। সেই ফলও নেগেটিভ আসে।
এদিকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগে ৩৩ বছর বয়সী এই তারকা অলরাউন্ডারকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। এর মধ্যে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা হলো স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। আগামী ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হবেন সাকিব।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ দলের আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে সাকিব ফিরবেন বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2QVsSu8
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় তিনজন দায় স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) র্যাব-১৩ এর অপারেশন অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রেপ্তারের পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ ঘটনায় জড়িত বলে দায় স্বীকার করেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে দিনাজপুর থেকে র্যাব-১৩ এ সদর দপ্তরে নিয়ে এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তবে তাদের পরিচয়, হামলার কারণসহ বিস্তারিত সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এর আগে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনায় তার ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় যুবলীগ নেতা আসাদুল হক ও ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও আরো চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৪০), নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে নবীরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার পুত্র সান্টু চন্দ্র দাস (২৮)।
এরমধ্যে পলাশ ওই বাড়ির নৈশপ্রহরী এবং মাসুদ রানা ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বলে জানা যায়।
এদিকে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই অপারেশন থিয়েটার থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই তার জ্ঞান ফিরে এসেছে। তিনি বর্তমানে আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
বলেন, এখনই তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আমাদের মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বসবেন, এরপর এ বিষয়ে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে আপনাদের জানানো হবে। তবে বর্তমানে ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তিনি।
নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরোসার্জন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন জানান, আমরা আশা করছি শনিবার ইউএনও ওয়াহিদাকে আইসিইউ থেকে বের করতে পারব। তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এখনই কিছু জানাব না। শনিবার এ বিষয়ে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ৬ সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে। অস্ত্রোপচার শেষেই তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। তাৎক্ষণিকভাবে তার সেরে ওঠার বিষয়ে আশাবাদী হলেও তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন বলে জানানো হয়।
অস্ত্রোপচার শেষে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় ভাঙা হাড়ের সাত-আটটা টুকরা ছিল, সেগুলো আমরা জোড়া দিয়েছি। জোড়া দিয়ে হাড়গুলোকে জায়গামতো বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি যে আরো ছোট ছোট কাটা ছিল, সেগুলোর সবগুলোকেও রিপেয়ার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী কিন্তু এটা হেড ইঞ্জুরির ব্যাপার, তার মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছে। মস্তিষ্কের ওপর একটা চাপ ছিল, সেটা আমরা রিলিফ করেছি। তবে এখনই ক্লিয়ারলি আমরা বলতে পারব না যে রোগী ভালো হয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2EZC4Ln
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে ভ্যাকসিন সম্ভব নয়: ডব্লিউএইচও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জানিয়েছেন, আগামী বছরের (২০২১) মাঝামাঝির আগে করোনার ভ্যাকসিন পৃথিবীব্যাপী বিতরণ সম্ভব নয়।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনেভায় জাতিসংঘের একটি সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) হ্যারিস বলেন, ভাইরাসটির কার্যকারিতা পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে আমরা একটু সময় বেশি নিতে চাই। কারণ আমরা দেখতে চাই আসলেই টিকাটি কতটুকু কার্যকর ও নিরাপদ। তাই এই ধাপে আমরা বৃহৎ পরিসরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করব।
রাশিয়া ও আমেরিকা কয়েক মাসের মধ্যে নিজেদের দেশের তৈরি ভ্যাকসিন বিতরণের ঘোষণা দিলেও সেগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ মহলে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
সংবাদ সম্মেলনে মার্গারেট বলেন, আমরা সত্যিই আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে পৃথিবীব্যাপী করোনার টিকা বিতরণ করতে পারব না। কারণ প্রাথমিক ট্রায়ালে অনেক লোককে এই ভ্যাকসিন দেয়া হলেও আমরা এখনো জানি না ভ্যাকসিনটি কাজ করছে কি না।
তিনি বলেন, আমরা চাই পৃথিবীর সবাই এই ভ্যাকসিন প্রকল্পের আওতায় আসুক।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেডআই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/3bqemnE
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD