ভারতে উদ্বেগজনক হারে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিদিনই অর্ধলাখের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর ফলে শনিবার (২২ আগস্ট) করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে।
২০ লাখ আক্রান্তের মাত্র ১৫ দিনেই করোনা পজিটিভের সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়ালো। সরকারি হিসাবে ৭ আগস্টের পর থেকে ২০ লাখের বেশি রোগী পাওয়া গেছে।
শনিবার সকালে সর্বশেষ বুলেটিনে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭০১ জন। রাতে বেড়ে তা দাঁড়ায় ৩০ লাখ ৫ হাজার ২৮১ জনে। একদিনে সর্বোচ্চ ৬৯ হাজার ৮৭৮ জনের পজিটিভ হয়।
আক্রান্তের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরে ভারত। দেশটিতে গত ১৮ দিন ধরে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে।
ভারতে সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫০ জনের করোনা হয়েছে। এর পরে আছে তামিলনাড়ু (৩৭৩৪১০) ও অন্ধ্র প্রদেশ (৩৪৫২১৬)।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে উদ্বেগজনক হারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে রোববার (২৩ আগস্ট) করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৯৭ জন, যা ৭ মার্চের পর সর্বোচ্চ।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এক খবরে এই তথ্য জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, সব বড় শহর ও প্রদেশেই আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে।
কোরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (কেসিডিসি) বলছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৮৭ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত। তাদের মধ্যে ২৯৭ জন সিউলের এবং আশপাশের এলাকার।
নতুন আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই উত্তর সিউলের একটি চার্চের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। রাজধানীর সারাং-জেইল নামের ওই চার্চে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল গত সপ্তাহে। সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী হওয়ায় সারা দেশে করোনার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।
দক্ষিণ কোরিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৯৯ জন। নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩০৯ জনের।
করাচিতেই আছে দাউদ ইব্রাহিম, স্বীকার করলো পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘদিনের মিথ্যাচারের পরে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নিল পাকিস্তান। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে থাকা দাউদ করাচিতে ঘাঁটি গেড়ে আছে বলে শনিবার (২২ আগস্ট) ইসলামাবাদ ঘোষণা করেছে।
১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণসহ সীমান্ত অপরাধের একাধিক মামলায় ভারতের পুলিশের খাতায় দাউদ মোস্ট ওয়ান্টেড। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় ভারতীয় গোয়েন্দারা এখনও তার নাগাল পাননি।
এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি করাচিতে বহাল তবিয়তে রয়েছে বলে দীর্ঘদিন থেকে দাবি করে আসছে নয়াদিল্লি। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই তাকে সুরক্ষাবলয় দিচ্ছে বলেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নথি-প্রমাণ পেশ করে ভারত জানিয়ে আসছে।
আর সেই কারণে দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য অতীতে একাধিকবার পাকিস্তানের কাছে আর্জি জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের আর্জিতে সাড়া দেওয়া দূর অস্ত, ইসলামাবাদ কখনও এটা স্বীকার করেনি দাউদ ইব্রাহিম সপরিবারে সেখানে রয়েছে।
এতদিন মিথ্যাচার করলেও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করতে বাধ্য হল ইমরান খান সরকার। এফএটিএফ’র কালো তালিকা এড়াতে বাধ্য হয়ে এ কথা স্বীকার করল তারা।
আর্থিক তছরুপ, সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদতের মতো ঘটনা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় বড় বিপদ হয়ে দেখা দিয়ে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৯৮৯ সালে বিভিন্ন দেশের সরকার ঐক্যবদ্ধ হয়ে এফএটিএফ গঠন করে। সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদত বন্ধে পদক্ষেপ না করার জন্য গত বছরের জুনে পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ (গ্রে লিস্ট) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
এবার তাদের কালো তালিকাভুক্ত করার জোরাল দাবি উঠেছে। আর তা হলে অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বে কোণঠাসা হয়ে পড়বে ইমরান খানের দেশ। যা ঠেকাতে মরিয়া তারা।
করোনার সংক্রমণ রোধে ১২ বছরের বেশি বয়স হলে অবশ্যই বয়স্কদের মতো মাস্ক পরা উচিত বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফ।
শনিবার সংস্থা দুটি জানায়, সারাবিশ্বে শিশুরা কিভাবে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে তার রেকর্ড খুব কমই জানা গেছে। তবে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো একইরকমভাবে অন্যকে সংক্রামিত করতে পারে, তার প্রমাণ রয়েছে।
তাদের নতুন নির্দেশনায় আরো জানানো হয়েছে, আর যাদের বয়স ৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে তাদের পরিস্থিতি ও ঝুঁকি অনুযায়ী মাস্ক পরা উচিত। তবে ৫ কিংবা তার কম বয়সীদের মাস্ক না পরলেও চলবে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এবং শিশু তহবিল বিষয়ক বিশেষায়িত সংস্থা দুটি জানিয়েছে যেসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব মানা যায় না সেসব স্থানে ১২ বছরের বেশি বয়সী ছেলে-মেয়েদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা উচিত। এ ছাড়া যেখানে গেলে করোনার সংক্রমণ হওয়ার শঙ্কা থাকে কিংবা সংক্রমিত এলাকায় গেলে অবশ্যই তাদের মাস্ক পরা উচিত।
আর ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীদের মাস্ক পরার ক্ষেত্রে বড়দের তদারকি করতে বলা হয়েছে। কারণ, অনেক শিশু মাস্ক পরে অস্বস্তিবোধ করতে পারে। তারপরও ঝুঁকি বিবেচনায় বড়দের তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাস্ক পরানো উচিত এবং অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
তবে যাদের বয়স ৫ কিংবা তার কম তাদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে মাস্ক পরার দরকার নেই বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফ।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৩৩ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, এর মধ্যে মারা গেছে ৮ লাখ মানুষ। যার মধ্যে রেকর্ড সংখ্যাক আক্রান্ত এবং মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং ভারতে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি। কারণ অনেক দেশে অপর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষা ও অসম্পূর্ণ চিকিৎসার অভাবে ভাইরাস আক্রান্ত এবং মৃত্যের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করা হয়।
সাউথ কোরিয়া, ইইউভুক্ত দেশ এবং লেবাননের মতো বৈচিত্র্যময় দেশগুলোতে এই সংখ্যা আবারও বাড়ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুর গ্রামে রোববার রাত ১১ টার দিকে র্যাবের অভিযানে ৫১০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাসির উদ্দিন ওরফে তাসু (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি, শিবগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং ছত্রাজিৎপুর ৭ নং ওয়ার্ডের হাচা পাড়ার মৃত সাইফুদ্দিন বিশ্বাস ও মোসা. বিজলী বেওয়ার ছেলে।
র্যাব-৫, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তাসুকে ২ টি সাদা বস্তায় রক্ষিত ৫১০ বোতল ফেনসিডিলসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নগদ ৭ হাজার ৮০০ টাকাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় ১টি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।- কপোত নবী।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3hrh5iU
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি সিংহ রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ গ্রহপিতা রবি, পরিবর্তনশীল গ্রহ চন্দ্র ও বোধন শক্তির কারক বুধের প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে কর্কট রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। অর্থকড়ির মামলায় কাউকে অধিক বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। মন সুর সংগীত ও ধর্মের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হবে। ভ্রমণ শুভ।
মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]
মনোবল জনবল অর্থবলের গ্রাফ চাঙ্গা হয়ে উঠবে। গৃহবাড়ি ভূমিসম্পত্তি ও যানবাহন ক্রয়ের স্বপ্ন অচিরেই পূরণ হবে। দাম্পত্য সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক হবে।
বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]
কলহবিবাদ উৎকট উদ্ভট ঝামেলায় নিজেকে গুটিয়ে রাখা সমীচীন হবে। অর্থকড়ির ব্যাপারে কাউকে অধিক বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। দুর্জন আত্মীয়বেশে যথাসর্বস্ব লুফে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে। লটারি জুয়া রেস হাউজিং এড়িয়ে চলুন।
মিথুন [২১ মে-২০ জুন]
যে কাজে হাত দেবেন তাতেই কমবেশি সফল হবেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে মজুদ মালের দাম অধিক বৃদ্ধি পাবে। নিঃসন্তান দম্পতিরা কোনো না কোনো শুভ সংবাদপ্রাপ্ত হবেন। শত্রু ও বিরোধীপক্ষের সব পরিকল্পনা নস্যাৎ হবে।
কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]
সিজনাল রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়তে পারে। অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করুন। দুর্জন আত্মীয়বেশে যথাসর্বস্ব লুফে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে। শ্রমিক-কর্মচারীদের মনে মালিকপ্রীতি দেখা দেবে। মন সুর ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]
কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বাড়তি দায়িত্বভার বর্তাতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য নিত্যনতুন সুযোগ এসে হাজির হবে। গৃহবাড়ি ভূমিসম্পত্তি ও যানবাহন লাভের স্বপ্ন পূরণের দিকে ধাবিত হবে। রাগ জেদ অহংকার আবেগ বর্জন করুন।
কন্যা [২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]
শুভাশুভ মিশ্রফল প্রদান করবে। আয় বুঝে ব্যয় করুন। সঞ্চিত অর্থ কর্পূরের ন্যায় বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। দূর থেকে আসা কোনো অপ্রিয় সংবাদে মন বিষণœ হয়ে পড়বে। সংকটকালে বন্ধুবান্ধব আত্মীয়রা বিপদে মজা নেবে।
তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]
বেকার যুবক-যুবতীদের হাতে নিত্যনতুন সুযোগ আসবে। গৃহবাড়িতে কোনো না কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ায় সাজ সাজ রব রব করবে। দুর্জন আত্মীয়বেশে সুখের সংসারে অশান্তির অনল জ্বেলে দিতে পারে।
বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]
কর্ম অর্থ যশ প্রতিষ্ঠার পথ খুলবে। অংশীদারদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কলহবিবাদের মীমাংসা হবে। ডাকযোগে প্রাপ্ত কোনো সংবাদে গোটা পরিবারে খুশির জোয়ার বইবে। প্রেমিকযুগল সতর্কতার সঙ্গে চলুন, নচেৎ দন্ডিত হবেন।
ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]
হাত বাড়ালেই সফলতা ধরা দেবে। বিদেশে অবস্থ্নারত স্বজনদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ প্রশস্ত হবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার, অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তার অবসান হবে। প্রেমিকযুগলের জন্য দিনটি স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবে।
মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]
শুভ অপেক্ষা অশুভ ফলের পাল্লা অধিক ভারী হয়ে থাকবে। ঘুষ উৎকোচ গ্রহণ নেশাজাতীয় দ্রব সেবন ক্রয়-বিক্রয় অস্ত্রশস্ত্রের অপপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন। পিতামাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে। শিক্ষার্থীদের জন্য নিত্যনতুন সুযোগ অপেক্ষা করছে।
কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]
জীবনসাথী, শ্বশুরালয় ও মাতুলালয় থেকে ভরপুর সাহায্য-সহযোগিতা পাবেন। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। লৌকিকতায় যেমন ব্যয় হবে তেমনি উপহার-উপঢৌকনও সমানে প্রাপ্ত হবেন। দ্রুতগতির বাহন বর্জন করুন।
মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]
ভাগ্যলক্ষ্মী প্রসন্ন হওয়ায় সফলতা আপনার চরণ স্পর্শ করবে। হাত বাড়ালেই সফলতাপ্রাপ্ত হওয়ায় দিনটি বেশ মৌজমস্তিতে কাটবে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহের কথাবার্তা পাকাপাকি হবে। মামলা-মোকদ্দমার রায় পক্ষে আসবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ একটি সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এই জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বেশিরভাগ মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আর এই সকল মাদকদ্রব্য কিছু প্রসিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন উপায়ে ও কৌশলে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার সহ মাদক বিরোধী অভিযানে র্যাব সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অদ্য ২২ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখ রাত্রি আনুমানিক ২৩:৪০ ঘটিকায় চাঁপাইনবাগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন কমলাকান্তপুর হাচা পাড়া ধৃত আসামীর বাড়ীর দক্ষিন পার্শ্বে ইটের সলিং রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে (ক) ০২টি সাদা প্লাষ্টিকের বস্তায় আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল- ৫১০ বোতল (খ) মোবাইল সেট-০১টি, (গ) সীমকার্ড-০২টি এবং (ঘ) নগদ -৭,৮০০/- (সাত হাজার আটশত) টাকা সহ শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী ১। মোঃ তাসির উদ্দিন (৩৮), পিতা-মৃত সাইফুদ্দিন বিশ্বাস, মাতা- মোসাঃ বিজলী বেওয়া, সাং-কমলাকান্তপুর, ওয়ার্ড নং-০৭, ইউপি-১৬ নং ছত্রাজিৎপুর, থানা-শিবগঞ্জ ও জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ’কে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, র্যাব-৫, রাজশাহী দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী ও মাদক পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্যদের হাতেনাতে গ্রেফতার করার লক্ষ্যে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রেখেছে। র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন কমলাকান্তপুর হাচা পাড়ায় ০২টি সাদা বস্তায় ফেনসিডিল রক্ষিত আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করার লক্ষ্যে র্যাবের অপারেশন দল দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আনুমানিক রাত্রি ২৩:৪০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে উপরোক্ত মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ তাসির উদ্দিন (৩৮), পিতা-মৃত সাইফুদ্দিন বিশ্বাস, মাতা- মোসাঃ বিজলী বেওয়া, সাং-কমলাকান্তপুর, ওয়ার্ড নং-০৭, ইউপি-১৬ নং ছত্রাজিৎপুর, থানা-শিবগঞ্জ ও জেলা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ’কে আসামীর বাড়ীর দক্ষিন পার্শ্বে ইটের সলিং রাস্তার উপরে থাকা আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল-৫১০ বোতল সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় তার নিকট হতে মোবাইল সেট-০১টি, সীমকার্ড-০২টি এবং নগদ-৭৮০০/- (সাত হাজার আটশত) টাকা সহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
হাবিবুল বারি হাবিব, নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আম ও সবজির আড়ালে মাদক বহনের সময় বিপুল পরিমান ফেনসিডিল ও একটি পিকআপ সহ ২ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫ এর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল ।শনিবার (২২ আগষ্ট) বিকেল ৩টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মেসার্স নয়ন ফিলিং ষ্টেশনের সামনে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঢাকার আবদুল্লাহপুর এলাকার মোঃ শুকুর শেখের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শামীম শেখ (২২) এবং একই এলাকার মোঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ রিপন (২০)।
শনিবার র্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে জানানো হয় আম ও সবজির আড়ালে মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে র্যাব-৫ এর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ন ফিলিং ষ্টেশনের সামনে একটি পিকআপে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী শামীম শেখ ও রিপন কে ৬৮৭ বোতল ফেন্সিডিল ,১টি পিকআপ , ৮৫ কেজি আলু এবং ১০৫৬ কেজি আম সহ গ্রেফতার করা হয়। র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালের সাথে জড়িত। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/34ok6Nb
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
অনলাইন ডেস্কঃ
কলা আমাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং সেই সাথে সহজলোভ্য একটি ফল। কলা খেতে সবাই পছন্দ করে। কলা খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। কলা যেমন সুস্বাদু তেমনই এর পুষ্টিগুনেও ভরপুর।
তবে কলার একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। আর তা হল ফল হিসেবে যেমন এর কদর আছে, তেমনি সবজি হিসেবেও এর কদর কিন্তু কম নয়।
মূলত পাকা কলা খাওয়া হয় ফল হিসেবে। কাঁচ কলা সবজি হিসেবেই পরিচিত।
আজ আমরা কাঁচা কলার নানারকম বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। কাঁচ কলা ভিটামিন, মিনারেলসহ আরও অনেক পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ একটি সবজি। উচ্চ ভিটামিন বি-৬ এর ভালো উৎস কাঁচা কলা। ভিটামিন বি-৬ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়াও যদি আপনি আপনার বাড়তি ওজন কমাতে চান তবে রোগীর পথ্য হিসেবে পরিচিত স্বাস্থ্যকর এই সবজিটি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। আসুন জেনে নেই কাঁচ কলার আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১। ওজন কমায়
ওজন কমাতে চাইলে, খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচ কলা। কাঁচ কলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় তা মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
২। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচ কলা উপকারী। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৩। হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে
পাকা কলার মত কাঁচ কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচ কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
৪। পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে
কাঁচ কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচ কলা পেটের ভিতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাঁচ কলা না খাওয়াই ভালো। কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যাও অনেক সময়ে বাড়িয়ে দেয়।
৫। ডায়রিয়ায় কাঁচা কলা
কাঁচ কলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচ কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3j6pclr
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
অনলাইন ডেস্ক: অসহায় মহিলার মেয়েকে চেয়ারম্যান বিয়ে করতে না পেরে গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা মেয়েকে জনসম্মুখে পেটানোর পর কোমরে রসি দিয়ে বেঁধে এলাকা ঘুড়িয়েছ ।
ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের চকোরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে । জনসমক্ষে পিঠানোর পর ইউপি কার্যালয়ে এনে পুনরায় নির্মমভাবে পিটায় মা ও মেয়েকে চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম।
এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও Facebook কে ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ।
এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ।
Post Written by : নিউজ ডেস্ক
Original Post URL : https://ift.tt/2EgRuec
Post Come trough : France Bangla News সত্য প্রকাশে নির্ভীক | Online Bangla Newspaper Of Bangladesh
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন আল মাসুদ বাবুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগে সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের এক নারী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কলারোয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সমাজসেবা অফিসার শেখ ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মানিকনগর গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৩৫), আবু তালেব (৫০), মুস্তাজুল (৩০), শাহিনুর রহমান (৩২) ও আলম গাজী (৩৫)।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ১৭ জুন রাত ৮টার দিকে কয়েকজন তাদের বাড়িতে ঢুকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু তাকে জাপটে ধরে শয়ন কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন অন্য বোন ছুটে আসলে আসামি আমিরুল ইসলাম তাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে আসামিরা তার তিন বোন এবং বাবাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত করেন।
এ সময় আসামিরা তার বোনের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান বাবু বলেন, এ বিষয়ে কলারোয়া থানায় বাদী যে অভিযোগ করেন, সেখানে আমার নাম ছিল না। এর একমাস পরে আদালতে আমাকেসহ কয়েকজনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানতে পেরেছি।
তদন্ত কর্মকর্তা শেখ ফারুক হোসেন বলেন, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
পাকিস্তানের তারুণ্যই কি করোনা মহামারি ঠেকিয়ে রেখেছে?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিশাল জনসংখ্যা এবং ঘন বসতিপূর্ণ দরিদ্র এলাকা - করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল পাকিস্তান বিপদে পড়তে যাচ্ছে।
গত জুন মাসে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে গিয়েছিল যখন প্রধান শহরগুলোর হাসপাতালগুলো রোগীদের উপচে পড়ছিল। বড় হাসপাতালগুলোর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটগুলো বোঝাই হয়ে গিয়েছিল এবং একটি বেড খুঁজে পাওয়ার জন্য রোগীর আত্মীয়-স্বজন ছুটোছুটি করছিল। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরে রোগীর ভর্তি সংখ্যা হঠাৎ করেই কমে যায়।
প্রথম দিকে অনেক ডাক্তারের মনে এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। তারা ভাবছিলেন, হাসপাতালে রোগীদের ‘বিষ’ দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে যে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়েছে তার জন্যই কি রোগীরা হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে? কিন্তু পরের কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ক্রমাগত কমতে থাকে।
প্রায় ২৩ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এ পর্যন্ত প্রায় ৬,০০০ জন। অনেক পশ্চিমা দেশের তুলনায় পাকিস্তানের অবস্থা ভালো। যেমন, ব্রিটেনের জনসংখ্যা প্রায় ছয় কোটি ৭০ লাখ। সে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এ পর্যন্ত ৪১ হাজারেরও বেশি। পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধান দুই শহর দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। আর পাকিস্তানের এই দৃশ্যমান সাফল্য এসেছে লকডাউনের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও। তিনি বলেছিলেন, এটা করা হলে ‘দেশের মানুষ না খেয়ে থাকবে’।
কিন্তু প্রশ্ন হলো পাকিস্তানের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত কতটা বিশ্বাসযোগ্য? করোনাভাইরাস পরীক্ষার হার তুলনামূলকভাবে কম। পরীক্ষার সংখ্যাও কমে আসছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, পাকিস্তানের মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৯০ হাজার বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশি, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কিন্তু সংক্রমণের হার কমে যাওয়ার পেছনে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রমাণ রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কমেছে।
পাকিস্তানের দু’টি প্রধান শহর করাচি এবং লাহোর থেকে যে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে তা পর্যালোচনা করে জানা যাচ্ছে, জুন মাসে শহর দু’টির কবরস্থানে দাফনের সংখ্যা বেড়ে গেলেও এর পেছনে শুধু করোনাভাইরাস দায়ী এ কথা বলা যায় না।
যেমন, লাহোরের সবচেয়ে বড় গোরস্থান মিয়ানি সাহিবে ২০২০ জালের জুন মাসে ১,১৭৬ জনকে কবর দেয়া হয়েছে। তার আগের বছর জুন মাসে এই সংখ্যা ছিল ৬৯৬।
এর মধ্যে জুন মাসে যাদের কবর হয়েছে তাদের মধ্যে ৪৮ জনকে করোনাভাইরাসে রোগী হিসেবে সরকারি নথিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংখ্যাটি বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারণে হিসেবে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি এমন রোগী, অন্যান্য রোগে ভুগে প্রাণত্যাগ করেছেন এমন রোগীও রয়েছেন। এদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে জায়গা পাননি।
একইভাবে করাচিতে ২০২০ সালের জুন মাসে তার আগের দু’বছরের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক লোককে দাফন করা হয়েছে। তবে দু’টি শহরে দাফনের সংখ্যা এখন স্বাভাবিক অংকে নেমে আসছে। তবে এই ‘অতিরিক্ত সংখ্যক মৃত্যু’র জন্য করোনাভাইরাসকে যদি দায়ী করা হয়ও, তবুও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পাকিস্তানে মৃত্যুর হার তুলনামুলকভাবে কম। তবে এটা খুব কম তাও বলা যাবে না।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ড. রানা জাওয়াদ আসগরের মতে, এর পেছনে প্রধান কারণে হচ্ছে পাকিস্তানের তরুণ জনগোষ্ঠী। পাকিস্তানের জনসংখ্যার গড় বয়স হচ্ছে ২২ বছর। ব্রিটেনের যেখানে ৪১ বছর। বিশ্বে করোনাভাইরাসে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের অধিকাংশই বয়স্ক রোগী।
ড. আসগর জানিয়েছেন, পাকিস্তানে ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের নাগরিকরা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪%। উন্নত দেশগুলোতে এই সংখ্যা ২০%-২৫%। একারণেই পাকিস্তানে বেশি মৃত্যু দেখা যায়নি, বলছেন তিনি।
আরেকটা বড় কারণ হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সামাজিক মেলামেশার পরিধি উন্নতে দেশগুলোর তুলনায় বেশ ছোট।
‘এই ভাইরাস যখন এসব ছোট বৃত্তগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তার বিস্তারের আর কোন জায়গা থাকে না।’
উষ্ণ আবহাওয়া কিংবা আগে একবার করোনা হলে পরে আর হবে না বলে যেসব তত্ত্ব প্রচলিত আছে, এখন পর্যন্ত সেগুলো প্রমাণিত হয়নি।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সরকার যখন স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন শুরু করে তখন থেকেই করোনা রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। তবে এসব এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এসব লকডাউন খুব একটা কঠোর ছিল না। লোকজন যে এটা খুব মেনে চরেছেন তাও বলা যায় না।
লন্ডনের স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের রোগতত্ত্ববীদ ড. মিশাল খান বলছেন, পাকিস্তানের সমাজে এনিয়ে একটা ‘বহত্তর সচেতনতা’ তৈরি হয়েছিল। তবে তার চিত্রও ঠিক পরিষ্কার না।
জনমিতি কিংবা সামাজিক আচরণ দিয়ে পাকিস্তানে করোনার কম প্রকোপকে ব্যাখ্যা করা হলে হয়তো বলা যাবে পশ্চিমা দেশের তুলনায় পাকিস্তানের অবস্থা ভালো। কিন্তু সেই অবস্থার সাথে সীমান্তের ওপারে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার পাকিস্তানেও যা ভারতেও তাই। কিন্তু ভারতের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ অনেক বেশি। সেখানে সংক্রমণের হারও বেশি।
এর পেছনে একটা থিওরি হচ্ছে, ভারতের শহরগুলোর আয়তন এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। ভারতের জনস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক কে. শ্রীনাথ রেড্ডি বলছেন, মুম্বাই বা দিল্লির মতো শহরে সংক্রমণের হার ইদানীং কমে এলেও এই ভাইরাস এখন দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে পাকিস্তানেও করোনার দ্বিতীয় প্রকোপ শুরু হওয়ার হুমকি রয়েছে। গত জুলাই মাসে করাচিতে ওষুধ কোম্পানি গেটজ্ ফার্মা একটি সমীক্ষা চালায়। এতে দেখা যায়, করাচির মোট বাসিন্দাদের ১৭.৫% করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মানে হলো করোনার প্রকোপ ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।
করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর বিশাল সংখ্যক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রাম ছলে গিয়েছেন। ফলে এই ভাইরাস গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। সমস্যা হলো এসব জায়গায় স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা আরও দুর্বল।
ড. আসগর বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ‘স্পাইক’ বা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে হলে নজরদারির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের অবস্থা ভালো, তার মানে এই নয় যে বিপদ কেটে গেছে’। খবর: বিবিসি বাংলা।
মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছে। শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়েবসাইটটির সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৮ লাখ ৯২ জন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজারের অধিক মানুষ।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্ত ও মৃত্যু উভয় সংখ্যার দিক থেকেই বিশ্বে এখনো শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ লাখ ৮০ হাজার ৮০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ১২২ জনের।
মৃতের হিসাবে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৭০ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ ১৩ হাজার ৩৯ জন।
তৃতীয় স্থানে থাকা মেক্সিকোতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫৯ হাজার ১০৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৬ জন।
এছাড়া এশিয়ায় শীর্ষে অবস্থান করা ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৯২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৭ জন। ইউরোপের শীর্ষে থাকা যুক্তরাজ্যে ৪৬ হাজার ৪১৩ জনের মৃত্যু ও ৩ লাখ ৮ হাজার ১৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৮৭১ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনা মহামারির বিদায়ে দুই বছর লাগতে পারে: ডব্লিউএইচও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস বিদায় হতে দুই বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন সংস্থার মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস।
তিনি জানান, তারা আশা করছেন করোনা মহামারি ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির চেয়ে কম সময় স্থায়ী হবে।
তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেছেন, ১৯১৮ সালে বৈশ্বিক মহামারি স্প্যানিশ ফ্লু কাটিয়ে উঠতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছিল। আমি আশা করছি, করোনা মহামারি শেষ হতেও দুই বছর লাগতে পারে। এর মধ্যেই কমবে করোনা সংক্রমণ। প্রযুক্তির এ যুগে খুব অল্পসময়ে ভাইরাসটি ঠেকানো সম্ভব হতে পারে। তবে ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক মহামারি স্প্যানিশ ফ্লুতে ১৯১৮ সালে বিশ্বের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। যা ছিল ওই সময় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। মারা গিয়েছিলো প্রায় ৫ কোটি মানুষ। যার মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই ৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রায় আট লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২২ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ৮৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
সারাদেশ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ৮৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৮৭ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে চারজন। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬১ জনে।
শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের পাঁচ ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তারমধ্যে নগরের ৬১ জন ও ২২ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ২৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ২১ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ১ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
শেভরণ ল্যাবে ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১০ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ৩ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা মিলেনি কারো।
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ২২ জনের মধ্যে আনোয়ারার ১, পটিয়ার ১, রাউজানের ৫, ফটিকছড়ির ৮, হাটহাজারীর ৫, মিরসরাইয়ের ১ ও সীতাকুণ্ডের ১ জন বাসিন্দা আছেন।
এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া চট্টগ্রামে ১৬ হাজার ৩৮৭ জনের মধ্যে নগরের ১১ হাজার ৬২১ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৪ হাজার ৭৬৬ জন বাসিন্দা আছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করা ২৬১ জনের মধ্যে নগরের ১৮২ জন ও উপজেলার ৭৯ জন বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ৪৭ জন করোনা রোগী। এ নিয়ে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছে মোট ৩ হাজার ৮৬৬ জন করোনা রোগী।
ডা. সুলতানা পারভীনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে
সারাদেশ
জামালপুর প্রতিনিধি
গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুলতানা পারভীন আত্মহত্যা করেননি, বরং তাকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ঠোঁট কাটা, মুখে নাকে চোখে রক্তাক্ত জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। জিহ্বা দাঁত দিয়ে কামড় দেয়া ছিল। শ্বাসরোধ করে হত্যা করার মতো গলায় কালশিটে দাগ ছিল। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। অনেক দেরিতে আমাদের খবর দিয়েছে পুলিশ। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো কর্মকর্তা এমনকি কোনো ডাক্তার আমাদের কোনো সহযোগিতা করেনি। মৃতদেহ দেখতে পর্যন্ত দেয়নি। খোলা আকাশের নিচে একজন নারীর পোস্টমর্টের্ম করা হয়েছে যা খুবই অবমাননাকর। তার কাফনের কাপড়ও দেয়নি কেউ। সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন সুলতানা পারভীনের পরিবার।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক্তার সুলতানা পারভীনের ছোট বোন মেরিনা পারভীন বলেন, আমার বোনের মৃত্যু নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। আমরা সত্যিটা জানতে চাই।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এটা হতে পারে আত্মহত্যা বা হত্যা, সেটা আপনারা প্রমাণ করুন। তার গায়ে কাপড় ছিল না। কাপড় কোথায়? গায়ে তো কাপড় ছিল। তার দাঁতে জিহ্বা আটকা কেন? শ্বাসরোধ না করলে জিহ্বা দাঁতের মধ্যে আটকে থাকে না। এটা আত্মহত্যা হলে গলায় দাগ থাকবে কেন? তাহলে কি ডা. সুলতানা পারভীন নিজেই নিজের গলা টিপে দাগ করেছেন? চোখের কোণে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ার ছাপ ছিল। ঘুষি মারলে যেরকম কালো থ্যাঁতলানো দাগ হয় আমার বোনের মুখমণ্ডলে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাগ ছিল। নাক থেকেও রক্ত ঝরছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক দেরিতে খবর দিয়েছে পুলিশ। আমরা আসার পর স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ন্যূনতম সহযোগিতা দূরে থাক, সহমর্মিতাও দেখায়নি। যে ভবন থেকে আমার বোনের লাশ উদ্ধার হয়েছে সেই ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অনুনয় বিনয় করলেও লাশটা পর্যন্ত দেখতে দেওয়া হয়নি। লাশ দেখার জন্য সাহায্য চাইলেও লাশ দেখার পরমিশন দেয়নি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। পরে মর্গে এসে আমরা অনেক কষ্টে ঢুকে দেখেছি লাশটা কিভাবে রাখা হয়েছে। গায়ের কাফনের কাপড় কিনে দিতে স্থানীয় ডাক্তাররা এগিয়ে আসেননি। যেখানে একটা নার্সকে সামান্য বাজে কথা বললে আন্দোলন দাঁড়িয়ে যায়, সেখানে একজন প্রসিদ্ধ ডাক্তারের মৃত্যুর প্রতিবাদ হয় না। লাশটা রেখেছিল গুদাম ঘরে। সামনে ডাস্টবিন। একটা ছোট্ট স্টোর রুমে পলেথিনে বাঁধা অবস্থায় ছিল আমার বোনের লাশটা। তৃতীয় দিনে দাফন করতে হয়েছে।
কান্নারত কণ্ঠে মেরিনা পারভীন আরো বলেন, আমার বোনকে আর কষ্ট দিয়েন না। আমরা পোস্টমর্টেম চাইনা। লাশটা দিন। লাশ দাফনের সুযোগ করে দিন। আমরা যেন আইনের আশ্রয় নিতে না পারি সেজন্য লিখিত নিয়েছে, কোনো দাবি-দাওয়া-অভিযোগ নেই। লাশটা ছুটিয়ে নিতে লিখিত দিতে বাধ্য হয়েছি। লিখিত নেবার পর পোস্টমর্টেম করেছে খোলা আকাশের নিচে, রাস্তায়। রাষ্ট্রের মূল্যবান সম্পদ একজন ডাক্তারকে কী সম্মান দিল? একজন নারীর লাশ এভাবে খোলা আকাশের নিচ রাস্তায় পোস্টমর্টেম করা হয়েছে যা খুবই অবমাননাকর। পোস্টমর্টেমের সঠিক রিপোর্ট পাবো কিনা আমরা শঙ্কায় রয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি তিনি সুষ্ঠু তদন্তসহ সঠিক পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের দাবি জানিয়েছেন।
ডাক্তার সুলতানা পারভীনের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আজাদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যা করার দুটি পক্ষ রয়েছে। একটা পক্ষ হলো তার প্রাক্তন স্বামীর পরিবার, আরেকটা পক্ষ হলো পেশাগত দ্বন্দ্ব। আমার মেয়ের পেছনে তার শ্বাশুড়ি পরিবার পরিকল্পনার সাবেক পরিচালক শাহানা আক্তার ছায়ার মতো লোক লাগিয়ে রেখেছিলেন। তার ঘনিষ্ঠ মকবুল হোসেন মোর্শেদ পরিবার পরিকল্পনা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (নিপোর্ট) মেলান্দহে বদলি হয়ে এসেছিলেন। তিনি আমার মেয়েকে সবসময় ফলো করতেন। তার সাথে দেখা হবার পর আমার মেয়ে আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেছিল- মা, বিপদ আমার পিছু ছাড়ছে না। সাব্বিরের দুর্সম্পর্কের মামা মকবুল হোসেন মোর্শেদ এখানে বদলি হয়ে এসেছেন। ভয় করছে। কখন কোন বিপদে পড়ি। আমরা লোক মারফত জেনেছি, মকবুল হোসেন মোর্শেদ মেলান্দহ থেকে জানুয়ারি মাসে বদলি হয়ে যাবার পরও ঘটনার চারদিন আগে মেলান্দহে এসেছিলেন। তিনি কেন এসেছিলেন? আমার মেয়েকে হত্যার পেছনে তারো হাত থাকতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে ছিল গরিবের ডাক্তার। তার দক্ষতা ও সেবায় মেলান্দহে সুনাম অর্জন করায় স্থানীয় ডাক্তাররাও হুমকি দিত সে যেন প্রাইভেট প্র্যাকটিস না করে। কলিগরাও তার প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ ছিল। এদেরকেও সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যায়না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অভিজ্ঞ গাইনি ডাক্তারকে এভাবে কেন প্রাণ দিতে হলো? এজন্যই কি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম বলে অঝোরে কেঁদে ফেললেন সুলতানা পারভীনের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আজাদ।
তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত চিত্র উদঘাটন করে সুবিচার দাবি করেছেন।
দেশের সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব দাতা বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেঃটন পণ্য আমদানি হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানী হয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ মেঃটন পণ্য। এসময় আমদানি পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ হাজার ৬৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ বন্দরটি দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ৮১হাজার ১২৩ মেঃটন পণ্য এবং ভারতে রফতানি হয়েছিল ৪ লাখ ১ হাজার ১৭৭ মেঃ টন পণ্য। এসময় আমদানি পণ্য থেকে সকারের রাজস্ব আয় হয় ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা।২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানির পরিমান কমেছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯ মেঃটন। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১ হাজার ৪০৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
২০২০-২১ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা।
জানা যায়, দেশে সরকার অনুমোদিত ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে চলমান ১২টি বন্দরের সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব দাতা বেনাপোল স্থলবন্দর। বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের প্রধান বাণিজ্যিক শহর কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। ভারতের কলকাতা শহর থেকে একটি ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে মাত্র ৫ ঘন্টায় কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পৌছাতে পারে বেনাপোল বন্দরে। তেমনি একই সময় বেনাপোল বন্দর থেকে রফতানি পণ্য নিয়ে ট্রাক পৌছায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ার কারনে এপথে প্রথম থেকে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আমদানি,রফতানি বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। এবন্দরে বাণিজ্যের সাথে কাস্টমস,বন্দর,সিঅ্যান্ডএফ ও ট্রান্সপোর্টসহ বিভিন্ন সরকাররী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্ককারখানার কাঁচামাল, তৈরী পোশাক,গার্মেন্টস সামগ্রী,কেমিক্যাল ও খাদ্য দ্রব উল্লেখ্য যোগ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট, পাটজাত দ্রব,তৈরী পোশাক,কেমিক্যাল, জুট,গার্মেন্টমস ও মাছ উল্লেখ্য যোগ্য।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানির চাহিদা থাকলেও বন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন সমস্যার কারনে ব্যবসায়ীরা এবন্দর ছেড়ে অন্য দিয়ে আমদানি করছেন। বিশেষ করে বন্দরে আমদানি পণ্যের মান পরীক্ষনের ভাল ব্যবস্থা না থাকায় সময় ক্ষেপনে দ্রুত পণ্য খালাস করতে না পেরে ব্যবসায়ীরা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এতে আটকে থাকা পণ্যে ব্যবসায়ীরা যেমন লোকশানে পড়ছেন তেমনি পণ্যের গুণগত মানও নষ্ট হচ্ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বাণিজ্যের সিংহভাগই সম্পন্ন হয় দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে। বছরে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসছে। কিন্তু দুঃখ জনক বিষয় বন্দরে আমদানি পণ্য রক্ষনা বেক্ষনের ভাল ব্যবস্থা নাই। খোলা আকাশের নিচে রোদ, বৃষ্টিতে ভিজে আমদানি পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। এখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন হলে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় সম্ভব হবে।
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বলেন, সাম্প্রতি শুল্কফাঁকি দিয়ে এবন্দরে আমদানি বেড়েছে। বৈধ পথে ভারত থেকে আসছে ভায়াগ্রার মত মাদক দ্রবের চালান। গত বছরে ৩ হাজার মেঃটন ওজনের ভায়াগ্রার দুটি চালান বেনাপোল বন্দরে আটক হলেও এখন পর্যন্ত পাচারকারীরা রয়েছে ধরা ছোওয়ার বাইরে। এসব কারণে গেল ৪ বছর আমদানি পন্য থেকে সরকারের কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে শিশুসহ প্রাইভেটকারের ছয়যাত্রী নিহত হয়েছে। শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ভালুকা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।