নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বে একদিনে মারা গেছেন ৪ হাজার মানুষ। নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৪ হাজারের বেশি। এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৬ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষের। সংক্রমণের সংখ্যা ১ কোটি ৪৮ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৮০ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে শনাক্ত হয়েছে ৬২ হাজারের বেশি। দেশটিতে নতুন ৫০৩ জনের প্রাণহানি নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজারের কাছাকাছি।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৫৯৬ জনের। দেশটিতে মোট প্রাণহানি ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। নতুন করে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষের দেহে মিলেছে করোনাভাইরাস।
এ পর্যন্ত বিশ্বে সুস্থ হয়েছে প্রায় ৮৯ লাখ মানুষ। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা বলছেন, এই মুহূর্তে ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হলে দেশটির অর্ধেক নাগরিক ভ্যাক্সিন থেকে বঞ্চিত হবে।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় দেশে আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো দুই হাজার ৬৬৮ জনে। ২৪ ঘণ্টায় আরো দুই হাজার ৯২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭ হাজার ৫৩৫ জন।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/30qs1WM
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
চট্টগ্রামে আসছে ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান, বেশি গুরুত্ব ভারতীয় পণ্যে?
জাতীয়
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির প্রথম ভারতীয় পণ্যের চালান নিয়ে আসা জাহাজটি আজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে।
এই জাহাজে থাকা চারটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর কাভার্ড ভ্যানে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম প্রদেশে যাবে।
রোববার ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এমভি সেঁজুতি নামের জাহাজটি মোট ২২১টি কন্টেইনার রয়েছে। তার মধ্যে ১১৭টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। অপর চারটি কন্টেইনার পরীক্ষামূলকভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
ট্রান্সশিপমেন্ট হচ্ছে তৃতীয় একটি দেশের বন্দর ও পরিবহন ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে প্রতিবেশী বা অন্য কোন দেশের পণ্য পরিবহন করা। এর ফলে কোন একটি দেশ তাদের পণ্য তৃতীয় একটি দেশের বন্দর, সড়ক বা রেল অর্থাৎ যানবাহন ব্যবহার করে নিজের দেশের আরেক অংশে বা অন্য কোন দেশে পাঠিয়ে থাকে। এজন্য তাদের সব খরচ বহন করতে হয়।
কী রয়েছে চালানে?
পরীক্ষামূলকভাবে নিয়ে আসা প্রথম চালানের দুই কন্টেইনারে রয়েছে লোহার বার (টিএমটি বার) এবং দুই কন্টেইনারে ডালজাতীয় পণ্য রয়েছে। লোহার বার যাবে ভারতের ত্রিপুরায় আর ডালবাহী কন্টেইনার যাবে আসামে।
সব মিলিয়ে এসব কন্টেইনারে ১০০ টনের মতো পণ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে এমভি সেঁজুতির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গোলাইন।
যে চুক্তির আওতায় পণ্য পরিবহন
২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে 'এগ্রিমেন্ট অন দি ইউজ অফ চট্টগ্রাম এন্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অফ গুডস টু এন্ড ফ্রম ইন্ডিয়া' চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সেই অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে ভারত তার পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোয় মালামাল পরিবহন করার সুযোগ পাবে। এজন্য তারা বন্দর ও পরিবহন ব্যবহারের খরচ বহন করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় পণ্য ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাত ধরনের মাশুল আদায় করবে। সব মিলিয়ে কন্টেইনার প্রতি মাসুলের পরিমাণ ৪৮ ডলারের মতো।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, চুক্তির আওতায় পণ্যবাহী চারটি কন্টেইনারের ট্রায়াল রান উপলক্ষে বন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ভারতীয় পণ্য কি বেশি গুরুত্ব পাবে?
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোঃ জাফর আলম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বার্থিংয়ের বর্তমান যে নিয়ম রয়েছে, সেই অনুযায়ীই এসব জাহাজের বার্থিং হবে। অর্থাৎ যে জাহাজটি আগে আসবে, সেটি আগে জেটিতে ভিড়বে।
বাংলাদেশ-ভারতের চুক্তির আর্টিকেল ফাইভের পোর্ট অ্যান্ড আদার ফ্যাসিটিলিজ অংশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য আমদানি রপ্তানির তুলনায় ভারতীয় পণ্যকে কম সুযোগ-সুবিধা দেয়া যাবে না এবং বন্দরে জায়গা থাকলে পরিবহনের পণ্য রাখার জন্য প্রায়োরিটি ভিত্তিতে সুযোগ দিতে হবে।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের কোন কোন দৈনিকে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের জাহাজ একসঙ্গে এলে মাল খালাসের ক্ষেত্রে ভারতীয় জাহাজের পণ্য আগে গুরুত্ব পাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলম বলছেন, সেরকম কোন বিষয় নেই। ফিডার জাহাজের ক্ষেত্রে যেই জাহাজ আগে আসবে, তারাই আগে বার্থিং করবে। চুক্তিতে ভারতীয় জাহাজের প্রায়োরিটি বার্থিংয়ের কোন ইস্যু নেই। এক্ষেত্রে ভারতীয় জাহাজ আলাদা বাড়তি কোন সুবিধা পাবে না বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, কোন জাহাজ যখন আসে, তখন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে মিলে প্রতিদিন মিটিং হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় কোন জাহাজটা আগে বার্থিং পাবে। সেখানে অনেক দিনের প্রতিষ্ঠিত কতগুলো নিয়ম আছে। সেখানে যেমন বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ হলে গুরুত্ব পায়, খাদ্যবাহী জাহাজ গুরুত্ব পায়। কিন্তু এই চুক্তির আওতায় জাহাজের গুরুত্ব পাওয়ার বিষয়য়ে কোন কিছু বলা নেই।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলছেন, ''তবে চুক্তিতে একটা বিষয় বলা আছে যে, আমাদের যদি পর্যাপ্ত জায়গা খালি থাকে, তাহলে তারা তাদের কার্গো রাখার জন্য প্রায়োরিটি ভিত্তিতে সুবিধা পাবে। কিন্তু জাহাজের মালামাল খালাসের ক্ষেত্রে আলাদা কোন সুবিধা পাওয়ার বিষয় নেই।''
সুবিধা নাকি অসুবিধা?
ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় পণ্য পরিবহন হলে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ ট্রান্সশিপমেন্টের ফলে একদিকে যেমন চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে কন্টেইনারের পরিবহন বাড়বে, ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রাজস্ব বিভাগ বাড়তি অর্থ আয় করতে পারবে। পাশাপাশি এসব কন্টেইনার বাংলাদেশের যানবাহন ব্যবহার করে সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ফলে পরিবহন ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। তারাও বাড়তি অর্থ আয়ের সুযোগ পাবেন। ফলে রেমিট্যান্সও বাড়বে। এমনটাই বলছেন অনেকে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলছেন, ''চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য আনা-নেয়া করা হলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ টাকা পাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবহৃত হওয়ায় সেখানেও আয় বাড়বে। কিন্তু বন্দরের জন্য প্রয়োজন সাপেক্ষে অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।''
তবে বাংলাদেশের কোন কোন ব্যবসায়ীর আশঙ্কা, পুরোদমে ভারতীয় ট্রানজিট পণ্যের চলাচল শুরু হয়ে গেলে বন্দর ব্যবহারকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সাবেক সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলছেন, ''এমনিতেই এই বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্য বুঝে পেতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অনেক সময় লাগে। ঈদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্দরে জাহাজ জট লেগে যায়, যা কাটাতে কয়েকমাস সময় লেগে যায়।"
"সেখানে যদি ভারতীয় জাহাজ কোন অগ্রাধিকার পায়, তখন সেটা আমাদের দেশীয় আমদানি বা রপ্তানিকারকদের মালামাল খালাসে সময় বেশি লাগবে, যার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা।'' খবর: বিবিসি বাংলা
রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকাসহ আশপাশের এলাকা ও প্রায় পুরো মিরপুরে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ছয় ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
জাতীয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকাসহ আশপাশের এলাকা ও প্রায় পুরো মিরপুরে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) ছয় ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস গ্যাস এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরুরি গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের টাই-ইন এর জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।
এলাকাগুলো হল- সংসদ ভবন এলাকা, মনিপুরী পাড়া, আগারগাঁও, তালতলা, শ্যাওড়াপাড়া, পাইকপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া, পীরেরবাগ, মিরপুর ১০ থেকে মনিপুরী পাড়া পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশ, শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং এর আশপাশের এলাকায় গ্যাস বন্ধ রাখা হবে।
এসব এলাকার আবাসিক, শিল্প, বাণিজ্যিক, সিএনজিসহ সব ধরনের গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার আন্দুয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে তিনি বিক্রি করবেন বাড়িতে পালন করা একটি গরু। মূলত গরু পালনের কাজটি করেন তার স্ত্রী। শিক্ষকতার পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রী মিলে গরু পালন তাদের একটি শখ।
গত ৪ বছর ধরে একটি শ্যামলা বর্ণের গরু পালন করেন। এখন এর ওজন প্রায় ১৫ মণ। কোরবানি ঈদে বিক্রি করবেন তারা। এই গরুটি অন্য গরুর চেয়ে বেশ মোটা, বড় ও ওজনে বেশী ও আকর্ষনীয় হওয়ায় তার নাম রাখা হয়েছে ‘রাজশাহী কিংস’। এমন গরু আছে প্রচার হলে তার বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে ভিড় জমায়। এছাড়াও ক্রয় করতে লোক আসা শুরু করে।
শনিবার (১৮ জুলাই) সংবাদকর্মীরা তার বাসায় গেলে রাজশাহী শহর ও আশে পাশে হতে কিছু ক্রেতাও চলে আসে। এরই মাঝে রাজশাহী কিংস হিসেবে পরিচিত গরুটি বিক্রয়ের জন্য দাম দরও ঠিক হয়ে যায়।
রাজশাহী ও আশেপাশে হতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, আমরা গরুটির নাম শুনে এসেছি। দাম দরে আমাদের হলে গরুটি ক্রয় করতে চাই।
এদিকে রাজশাহী থেকে আসা হাবিব আহম্মেদ নামে এক ক্রেতা গরু পালনকারি শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে দাম দরে হয়ে গেল তাৎক্ষণিক বিক্রি করে দেন।
ক্রেতা হাবিব আহম্মেদ বলেন, গরুটির ওজন ১৪ মণ হবে এই ধারণায় গরুটি ক্রয় করে নিলাম। তাছাড়া দাম দর যাই হোক কোরবানি করার উদ্দেশ্য নেওয়ায় দাম আর ওজনের দিকে তাকাইনি।
গরু পালন কারী ও বিক্রেতা শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, গরুটিকে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। ধান, চালের কুড়া, ঘাস, কলা, কাঁঠাল ইত্যাদি খাইয়ে বড় করা হয়েছে। এর আগে অনেক ক্রেতা এসেছে বিক্রয় করা হয়নি। এই করোনায় সব দিকের অবস্থা খারাপ সবদিক বিবেচনা করে আমি গরুটি ৩ লাখ টাকায় বিক্রয় করে দিলাম। আশা করেছিলাম ৪ লাখ টাকা পাবো।
রাজধানীর দক্ষিণখানে দুর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে আলো আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরী খুন হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর দক্ষিণখানে দুর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে আলো আক্তার (১৭) নামের এক কিশোরী খুন হয়েছে।
সোমবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দক্ষিণখান দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ গলির আ. কাদের সিদ্দিকীর ভাড়া টিনসেড বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার সরকার বাড়ি এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে আলো। পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণখানের ওই বাসায় ভাড়া থাকতো। স্থানীয় একটি প্যান্ট ওয়াশ কারখানায় চাকরি করতো। চার বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল আলো।
নিহতের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক জানান, সোমবার রাতে আলো কারখানা থেকে বাসায় ফিরে বাইরে থাকা গোসলখানায় গোসল করছিল। হঠাৎ তার চিৎকার শোনা যায়। স্বজন ও প্রতিবেশীরা এসে দেখে আলো রক্তাক্ত অবস্থায় গোসলখানার ভেতর পড়ে আছে।
দক্ষিণখান থানার উপ পরিদশর্ক (এসআই) আ. আজিজ জানান, রাতে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
নারায়ণগঞ্জে ভুয়া শিক্ষা সনদ তৈরির অভিযোগে প্রতারক আটক
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডের নামে জাল শিক্ষা সনদ এবং ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির অভিযোগে রাশেদ আহম্মেদ নামে এক প্রতারককে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার (২০ জুলাই) বিকেলে সান্তনা মার্কেটের বিসমিল্লাহ কম্পিউটার নামের দোকানে র্যাব-১১ এ অভিযান চালায়। এ সময় ওই দোকান থেকে আটটি ভুয়া শিক্ষা সনদ, তিনটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ ও নগদ ১ লক্ষ ২৩ হাজার টাকাসহ প্রতারক রাশেদকে আটক করা হয়।
র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, রাশেদ নিজেকে জয়যাত্রা টিভির সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্নজনের সাথে প্রতারণার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত তার দোকানে জাল সদন তৈরির কাজ করতো। সে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটিসহ ঢাকা, কুমিল্লা ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের নামে বিভিন্ন জাল শিক্ষা সনদ তৈরি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। এমনকি সে ২০০৪ সালে বাণিজ্য বিভাগ থেকে বি গ্রেড নিয়ে এসএসসি পাস করলেও নিজের নামে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এর ভুয়া সনদ তৈরি করে ব্যবহার করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে র্যাব তার দোকানে অভিযান চালায়। আটকের পর রাশেদ তার এসব অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে অভিযান চালিয়ে ৫০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ জুলাই) বিকেল ৬টার দিকে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা এলাকা থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলা ধানকোড়া ইউনিয়নের নয়াডিঙ্গী এলাকার মৃত সহিদুলের ছেলে মো. ইয়ামিন (৩০), অপরজন একই উপজেলার ধানকোড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে সহিদুল (২২)।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন জানান, বিকেলে ধামরাইয়ের বালিথা এলাকায় মাদক ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা (নং-৩০) দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহ জুড়ে ৬০ হাজারের বেশি আক্রান্ত
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমছে না যুক্তরাষ্ট্রে। সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় দেশটিতে ৬০ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। টানা সাতদিন ৬০ হাজার বা এর বেশি আক্রান্ত দেখল দেশটি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমছে না যুক্তরাষ্ট্রে। সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় দেশটিতে ৬০ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। টানা সাতদিন ৬০ হাজার বা এর বেশি আক্রান্ত দেখল দেশটি।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে আটটা, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৬১ হাজার ২৮৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশটিতে মোট কোভিড-১৯ শনাক্ত ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে, যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।
চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯২২ জন। মৃতের বৈশ্বিক তালিকায়ও অনেক আগে থেকে শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও বেশি। তাদের হিসেব মতে দেশটিতে শনাক্ত ৩৯ লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার।
আর বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার।
দেশ হিসেবে আক্রান্তে-মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে আক্রান্ত ২১ লাখ ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৮০ হাজার ২০০। আক্রান্তে তৃতীয়স্থানে আছে ভারত, ১১ লাখ ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২৮ হাজার।
জ্যাক মা একবার বলেছিল ...... "কাছের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন কাছে বিক্রয়কালে, আপনি তাদের কাছে যতটা কম মুনাফা এবং ভালো জিনিস বিক্রি করছেন তা বিবেচনা না করে তারা সর্বদা অনুভব করবেন যে আপনি তাদের কাছে থেকে বেশি মুনাফা করেছেন, আপনি তাদের কাছে যত সস্তায় দেন না কেন, তবুও তারা আপনার প্রশংসা করবেন না।" এমন লোকেরা সবসময় থাকবে যারা আপনার ব্যয়, সময়, প্রচেষ্টা সম্পর্কে চিন্তা না করে বরং অন্য যে তাদের ঠকায় তাদের কাছেই যাবে এবং অন্যকে উপার্জন করার সুযোগ করে দিবে সাথে তাদের সমর্থন…ও করবে। আর নিজের লোকের থেকে কিনলে "সে আমার জন্য কতটা সস্তা, ভালো মান এবং গুরুত্ব দিয়েছেন" সেটা না ভেবে সব সময় মনে মনে ভাবতে থাকবে "সে আমার কাছ থেকে কত উপার্জন করেছে ? আমাকে কি খারাপ জিনিস ধরিয়ে দিয়েছে, আমাকে কি ঠকিয়েছে ?" এটি দরিদ্র ব্যক্তির মানসিকতার একটি সর্বোত্তম উদাহরণ! ধনী লোকেরা কীভাবে ধনী হয়ে উঠল...এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো তারা তাদের সহযোগীদের ব্যবসায় সহায়তা করতে ইচ্ছুক এবং একে অপরের স্বার্থের যত্ন নিচ্ছেন যাতে স্বাভাবিকভাবে তারা একে অন্যের কাছের সুযোগ গুলো বেশি করে কাজে লাগাতে পারে এবং ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারে। বিক্রয়ের জন্য জ্যাক মা: বিক্রয় করার সময়, প্রথম ব্যক্তিরা যারা আপনাকে বিশ্বাস করবে তারা হবেন অচেনা। আপনার বন্ধুরা আপনাকে প্রশংসা করবে, আপনার সাথে থাকবে কিন্তু কেনার সময় আপনাকে দূরে রাখবে। যেদিন আপনি অবশেষে সফল হবেন, বিনোদনের জন্য পার্টি দিবেন এবং বিল পরিশোধ করার পরে আপনি বুঝতে পারবেন: অচেনা ব্যতীত অন্য সবাই উপস্থিত আছেন। @ (https://ift.tt/3hk912V) by Mizanur Rahman from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
জ্যাক মা একবার বলেছিল ...... "কাছের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন কাছে বিক্রয়কালে, আপনি তাদের কাছে যতটা কম মুনাফা এবং ভালো জিনিস বিক্রি করছেন তা বিবেচনা না করে তারা সর্বদা অনুভব করবেন যে আপনি তাদের কাছে থেকে বেশি মুনাফা করেছেন, আপনি তাদের কাছে যত সস্তায় দেন না কেন, তবুও তারা আপনার প্রশংসা করবেন না।" এমন লোকেরা সবসময় থাকবে যারা আপনার ব্যয়, সময়, প্রচেষ্টা সম্পর্কে চিন্তা না করে বরং অন্য যে তাদের ঠকায় তাদের কাছেই যাবে এবং অন্যকে উপার্জন করার সুযোগ করে দিবে সাথে তাদের সমর্থন…ও করবে। আর নিজের লোকের থেকে কিনলে "সে আমার জন্য কতটা সস্তা, ভালো মান এবং গুরুত্ব দিয়েছেন" সেটা না ভেবে সব সময় মনে মনে ভাবতে থাকবে "সে আমার কাছ থেকে কত উপার্জন করেছে ? আমাকে কি খারাপ জিনিস ধরিয়ে দিয়েছে, আমাকে কি ঠকিয়েছে ?" এটি দরিদ্র ব্যক্তির মানসিকতার একটি সর্বোত্তম উদাহরণ! ধনী লোকেরা কীভাবে ধনী হয়ে উঠল...এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো তারা তাদের সহযোগীদের ব্যবসায় সহায়তা করতে ইচ্ছুক এবং একে অপরের স্বার্থের যত্ন নিচ্ছেন যাতে স্বাভাবিকভাবে তারা একে অন্যের কাছের সুযোগ গুলো বেশি করে কাজে লাগাতে পারে এবং ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারে। বিক্রয়ের জন্য জ্যাক মা: বিক্রয় করার সময়, প্রথম ব্যক্তিরা যারা আপনাকে বিশ্বাস করবে তারা হবেন অচেনা। আপনার বন্ধুরা আপনাকে প্রশংসা করবে, আপনার সাথে থাকবে কিন্তু কেনার সময় আপনাকে দূরে রাখবে। যেদিন আপনি অবশেষে সফল হবেন, বিনোদনের জন্য পার্টি দিবেন এবং বিল পরিশোধ করার পরে আপনি বুঝতে পারবেন: অচেনা ব্যতীত অন্য সবাই উপস্থিত আছেন।
(Feed generated with FetchRSS) জ্যাক মা একবার বলেছিল ...... "কাছের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন কাছে বিক্রয়কালে, আপনি তাদের কাছে যতটা কম মুনাফা এবং ভালো জিনিস বিক্রি করছেন তা বিবেচনা না করে তারা সর্বদা অনুভব করবেন যে আপনি তাদের কাছে থেকে বেশি মুনাফা করেছেন, আপনি তাদের কাছে যত সস্তায় দেন না কেন, তবুও তারা আপনার প্রশংসা করবেন না।" এমন লোকেরা সবসময় থাকবে যারা আপনার ব্যয়, সময়, প্রচেষ্টা সম্পর্কে চিন্তা না করে বরং অন্য যে তাদের ঠকায় তাদের কাছেই যাবে এবং অন্যকে উপার্জন করার সুযোগ করে দিবে সাথে তাদের সমর্থন…ও করবে। আর নিজের লোকের থেকে কিনলে "সে আমার জন্য কতটা সস্তা, ভালো মান এবং গুরুত্ব দিয়েছেন" সেটা না ভেবে সব সময় মনে মনে ভাবতে থাকবে "সে আমার কাছ থেকে কত উপার্জন করেছে ? আমাকে কি খারাপ জিনিস ধরিয়ে দিয়েছে, আমাকে কি ঠকিয়েছে ?" এটি দরিদ্র ব্যক্তির মানসিকতার একটি সর্বোত্তম উদাহরণ! ধনী লোকেরা কীভাবে ধনী হয়ে উঠল...এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো তারা তাদের সহযোগীদের ব্যবসায় সহায়তা করতে ইচ্ছুক এবং একে অপরের স্বার্থের যত্ন নিচ্ছেন যাতে স্বাভাবিকভাবে তারা একে অন্যের কাছের সুযোগ গুলো বেশি করে কাজে লাগাতে পারে এবং ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারে। বিক্রয়ের জন্য জ্যাক মা: বিক্রয় করার সময়, প্রথম ব্যক্তিরা যারা আপনাকে বিশ্বাস করবে তারা হবেন অচেনা। আপনার বন্ধুরা আপনাকে প্রশংসা করবে, আপনার সাথে থাকবে কিন্তু কেনার সময় আপনাকে দূরে রাখবে। যেদিন আপনি অবশেষে সফল হবেন, বিনোদনের জন্য পার্টি দিবেন এবং বিল পরিশোধ করার পরে আপনি বুঝতে পারবেন: অচেনা ব্যতীত অন্য সবাই উপস্থিত আছেন। @ (https://ift.tt/3hk912V) by Mizanur Rahman from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
এত সদস্যদের ভিড়ে হারিয়ে যেতে না চাইলে একটিভ থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নাইএত সদস্যদের ভিড়ে হারিয়ে যেতে না চাইলে একটিভ থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নাই @ (https://ift.tt/2WI7TOV) by Mo U from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
এত সদস্যদের ভিড়ে হারিয়ে যেতে না চাইলে একটিভ থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নাইএত সদস্যদের ভিড়ে হারিয়ে যেতে না চাইলে একটিভ থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নাই
(Feed generated with FetchRSS) এত সদস্যদের ভিড়ে হারিয়ে যেতে না চাইলে একটিভ থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নাইএত সদস্যদের ভিড়ে হারিয়ে যেতে না চাইলে একটিভ থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নাই @ (https://ift.tt/2WI7TOV) by Mo U from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
ঢাকায় ভিতর delivery man প্রয়োজনঢাকায় ভিতর delivery man প্রয়োজন @ (https://ift.tt/30vWnHh) by Mahadi Hasan Masum from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
ঢাকায় ভিতর delivery man প্রয়োজনঢাকায় ভিতর delivery man প্রয়োজন
(Feed generated with FetchRSS) ঢাকায় ভিতর delivery man প্রয়োজনঢাকায় ভিতর delivery man প্রয়োজন @ (https://ift.tt/30vWnHh) by Mahadi Hasan Masum from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
আসসালামু আলাইকুম। আমি নতুন এই গ্রুপে। তাই পরিচিত হতে আসলাম। অনেক ছোট থেকেই রান্নাঘরে ঘুট ঘুট করা অভ্যেস। মা তেমন নিষেধ করতেন না। শুধু খেয়াল রাখতেন। … সেই থেকে রান্না করতে করতে আজ এটাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছি। সরকারি ভাবেও ট্রেনিং নিয়েছি। এখন হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকি। আবার স্ন্যাকস পার্টি, হোম পার্টি, বার্থডে পার্টির অর্ডারও নিয়ে থাকি। আমি মিতি। থাকি শ্যামলী তে। কাজ করছি হোম মেড ফুড নিয়ে। স্বত্তাধিকারী - Adhyay (অধ্যায়)। @ (https://ift.tt/2WIYJ4K) by Muntajima Muntajima from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
আসসালামু আলাইকুম। আমি নতুন এই গ্রুপে। তাই পরিচিত হতে আসলাম। অনেক ছোট থেকেই রান্নাঘরে ঘুট ঘুট করা অভ্যেস। মা তেমন নিষেধ করতেন না। শুধু খেয়াল রাখতেন। … সেই থেকে রান্না করতে করতে আজ এটাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছি। সরকারি ভাবেও ট্রেনিং নিয়েছি। এখন হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকি। আবার স্ন্যাকস পার্টি, হোম পার্টি, বার্থডে পার্টির অর্ডারও নিয়ে থাকি। আমি মিতি। থাকি শ্যামলী তে। কাজ করছি হোম মেড ফুড নিয়ে। স্বত্তাধিকারী - Adhyay (অধ্যায়)।
(Feed generated with FetchRSS) আসসালামু আলাইকুম। আমি নতুন এই গ্রুপে। তাই পরিচিত হতে আসলাম। অনেক ছোট থেকেই রান্নাঘরে ঘুট ঘুট করা অভ্যেস। মা তেমন নিষেধ করতেন না। শুধু খেয়াল রাখতেন। … সেই থেকে রান্না করতে করতে আজ এটাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছি। সরকারি ভাবেও ট্রেনিং নিয়েছি। এখন হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকি। আবার স্ন্যাকস পার্টি, হোম পার্টি, বার্থডে পার্টির অর্ডারও নিয়ে থাকি। আমি মিতি। থাকি শ্যামলী তে। কাজ করছি হোম মেড ফুড নিয়ে। স্বত্তাধিকারী - Adhyay (অধ্যায়)। @ (https://ift.tt/2WIYJ4K) by Muntajima Muntajima from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
আমার একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার ! Ami Student ,Local business কে e-commerce বিজনেস এ শুরু করতে চাচ্ছি তাই ওয়েবসাইট বানানোর জন্য খুব বেশি বাজেট নেই ! গ্রুপে অনেক ভাইয়া আপু আছেন, যারা এই বিষয়ে অনেক এক্সপার্ট ! কম খরচে আমাকে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে দিয়ে হেল্প করতে পারবেন কেউ ? @ (https://ift.tt/2ZQCr33) by Muhd Sajib from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
আমার একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার ! Ami Student ,Local business কে e-commerce বিজনেস এ শুরু করতে চাচ্ছি তাই ওয়েবসাইট বানানোর জন্য খুব বেশি বাজেট নেই ! গ্রুপে অনেক ভাইয়া আপু আছেন, যারা এই বিষয়ে অনেক এক্সপার্ট ! কম খরচে আমাকে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে দিয়ে হেল্প করতে পারবেন কেউ ?
(Feed generated with FetchRSS) আমার একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার ! Ami Student ,Local business কে e-commerce বিজনেস এ শুরু করতে চাচ্ছি তাই ওয়েবসাইট বানানোর জন্য খুব বেশি বাজেট নেই ! গ্রুপে অনেক ভাইয়া আপু আছেন, যারা এই বিষয়ে অনেক এক্সপার্ট ! কম খরচে আমাকে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে দিয়ে হেল্প করতে পারবেন কেউ ? @ (https://ift.tt/2ZQCr33) by Muhd Sajib from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
ফ্রান্স থেকে অত্যাধুনিক রাডার কিনছে বাংলাদেশ
এয়ার ফ্রান্স ও বাংলাদেশ বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই চুক্তির আওতায় ফ্রান্সের কাছ থেকে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম কেনা হবে, যা দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রমকারী সব উড়োজাহাজকে শনাক্ত করা যাবে।
সোমবার (২০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিমান চলাচল সম্পর্কিত কারিগরি সহায়তা ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ফ্রান্সের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন এবং বেবিচকের মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, এটার ফলে বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ডস ও রেকমান্ডেড প্র্যাকটিস বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করবে। এতে করে আমরা এয়ার নেভিগেশনে সুবিধা পাব। বেসামরিক বিমানের উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ পরিকল্পনা আরো উন্নত হবে। এয়ারপোর্টের ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত হবে। বেসামরিক বিমানের সুরক্ষিত উড্ডয়নের বিষয়গুলোও তারা (ফ্রান্স) দেখবে।
তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে। উভয় দেশ পরস্পরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেখবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারিগরি জ্ঞান বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বাড়ানো হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের নতুন একটা রাডার সিস্টেম তারা দিচ্ছে, সেই রাডার সিস্টেম দেয়ার ফলে বাংলাদেশের টেরিটরি দিয়ে যত প্লেন যাবে সবই আমাদের রাডারের মধ্যে চলে আসবে এবং সবাইকে একটা নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। আমাদের রাডার সিস্টেম দিয়ে সব প্লেনকে কাভার করতে পারি না।
চুক্তি অনুযায়ী এয়ার ফ্রান্স জিটুজি ভিত্তিতে রাডার সিস্টেম দেবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, তখন প্রত্যেকটা প্লেনের জন্য মিনিমাম ৫০০ ডলার করে ফি আমাদের দিতে হবে। আমরাও যেসব দেশের এরিয়ার মধ্য দিয়ে যাই তাদের একটা ফি দিতে হয়।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3hpndb7
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
নভেল করোনাভাইরাসে দিশেহারা সময় পার করা ব্রাজিলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাসে দিশেহারা সময় পার করা ব্রাজিলের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল আটটা পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশটিতে ৮০ হাজার ২৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭১৮ জন।
ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২১ লাখ ২১ হাজার ৬৪৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯ হাজার ২০২ জন।
বিশ্বে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ জন। নতুন এই রোগটি থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৮৯ লাখ ৬ হাজার ৬৯০জন। মারা গেছেন ৬ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জন।
আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৯ লাখ ৬১ হাজার ৪২৯ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৪ জন। বিপরীতে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯৮৯ জন।
ব্রাজিলের পর তিন নম্বরে থাকা ভারতে প্রায় প্রতিদিন রোগী বাড়ছে। দেশটিতে মোট ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, মৃত্যু ২৮ হাজার ৯৯ জনের। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১২ হাজার ৪২৭ জন।
পাঁচ নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে মারা গেছেন ৫ হাজার ১৭৩ জন।
ডাক্তার-নার্সদের বিরুদ্ধে ‘অযাচিত’ পদক্ষেপের কঠোর কর্মসূচি দেবে বিপিএমসিএ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে অযাচিতভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)।
স্বাস্থ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে অযাচিতভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)।
সোমবার (২০ জুলাই) বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খান এবং সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের করোনাভাইরাস মহামারির ক্রান্তিকালে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখে করোনা রোগী ছাড়াও অন্যান্য রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে। এরূপ চলমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাঝে ভয়ভীতির সৃষ্টি অথবা অযথা হয়রানি না করে অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তা দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনা মহামারির প্রথমদিকে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো দিনরাত পরিশ্রম করে নিরলসভাবে রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনামতে দেশের হাজার হাজার রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করায় হাজার হাজার মানুষ নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। বর্তমানে দেশের সকল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। এখন তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সকলের কাম্য। এই সময় কোনোরকম হয়রানি কাম্য নয়।
এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্যখাত ও সকল করোনা হাসপাতালগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য অ্যাসোসিয়েশন আহ্বান জানাচ্ছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জিয়াউল কবীর:
রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ন কবীর খন্দকার,তার স্ত্রী নাসরিন খন্দকার (৪৫) ও ছেলে তানজিম মাহতাব’র (১৭) করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ন কবীর খন্দকার নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান তার একজন আত্ত্বীয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার করোনা সংক্রমন ধরা পরার আগে তিনি বাসায় এসেছিলেন।এবং তার সঙ্গে মিশেছিলেন।এ সন্দেহ থেকেই নমুনা দেন।আজ সোমবার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।আমরা সবাই সরকারি বাসায় আছি তাই শারিরিক ভাবে সবাই ভালো আছি। এখন পর্যন্ত কারো কনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি। তিনি তাদের সবার জন্য দোয়া করতে বলেন ।
রামেকের ল্যাবে আজ সোমবার ৯৪ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।তার মধ্যে তিনিও রয়েছেন।
রামেকের উপধ্যক্ষ মাইক্রবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.বুলবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আক্রন্তদের মধ্যে ৫২ জনের বাড়ী রাজশাহী।বাকি ৩৮ জনের বাড়ী নাটোর। এছাড়া চাঁপাইনবাবগজ্ঞের ২জন,পাবনার ২জন এবং যশোরের এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত বলে জানানো হয়েছে।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2COJVdE
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
Intense rain and floods in the Indian state of Assam have killed at least 84 people and displaced more than 2.75 million since May, authorities said yesterday, as they tried to collect the bodies of nine rare rhinos drowned in the past 10 days.
Rescue teams were facing a double challenge of rising flood waters amid the novel coronavirus as villagers driven from their homes huddle in shelters.
“It’s hard to enforce social distancing when people are being ordered to move away from the rising waters,” said Sanghamitra Sanyal, a member of the northeastern state’s flood management force. “We’re urging people to at least cover their mouth and nose with a piece of clean cloth.”
Officials warned that the water level in the Brahmaputra river was expected to rise by 11 cm (4.3 inches), two weeks after it burst its banks swamping more than 2,500 villages.
Floods have also inundated Assam’s the Kaziranga National Park, home to the world’s largest concentration of one-horned rhinoceros, with an estimated 2,500 out of a total population of some 3,000 of the animals.
“Nine rhinos have drowned and over 100 other animals have been killed,” Atul Bora, Assam’s agriculture minister who is Kaziranga’s member of the state parliament, told Reuters.
In China, authorities blew up part of a dam in eastern Anhui province to relieve flood pressure, local media reported, as heavy rains continue to swell rivers across parts of the country.
Rising waters across central and eastern China have left over 140 people dead or missing, and floods have affected almost 24 million since the start of July, according to the ministry of emergency management.
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2OFgFJ7
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
নায়িকার প্রেমে পড়েছিলেন সাহেদ, ভেঙেছেন ২ তারকার সংসার
নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিচরণ ছিল প্রতারণার প্রতিটি স্তরেই। তার ফাঁদে পড়ে দুই তারকা দম্পতির সংসার তছনছ হয়ে গেছে। তাদের সংসার ভাঙার পেছনে শাহেদ দায়ী। একই জগতে প্রেমে ব্যর্থও হয়েছেন তিনি। এক নায়িকার প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়ে উঠেনি।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই নায়িকা ছাড়াও এসেছে দুই নারী তারকার কথা। টিভি মিডিয়ার সংগঠন ডিরেক্টর গিল্ডস’র এক নেতার সঙ্গে উত্তরা-ছয় নম্বর সেক্টরে নয় নম্বর সড়কের হোটেল মিলিনায় নিচতলায় রেস্টুরেন্টে খেতে যেতেন দুই নারী তারকা। ওই অভিজাত হোটেলটির দখলদার মালিক সাহেদ।
বছর কয়েক আগে এক বৈধ হোটেল মালিকের কাছ থেকে তিনি নাম ভাঙিয়ে ওই হোটেলটি দখল করেছেন। সেই হোটেলের রেস্টুরেন্টে পরিচয় হয় সাহেদের সঙ্গে দুই নারী তারকার। মোবাইলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলা শুরু হয় তাদের। সাহেদের সঙ্গে যখন থেকে তাদের সম্পর্ক হয় তখন থেকে সাহেদ হোটেলের ক্যাশিয়ারকে বলে দিয়েছেন যে, তারা হোটেলে খেতে এলে বিল যেন না নেয়া হয়। মাঝে-মধ্যে সাহেদও তাদের মোটা অংকের টাকা দিতেন। সাহেদের উদারতায় দুই নারী তারকা পটে যান। এরমধ্যে একজনকে নিয়ে তিনি থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। ওই তারকা তার স্বামীকে বলে গিয়েছিলেন যে, থাইল্যান্ডে তার একটি শো আছে। কিন্তু, পরে তিনি জানতে পারেন যে, তার কোনো শো ছিল না। বরং এক ব্যবসায়ীর আমন্ত্রণে একসঙ্গে থাইল্যান্ডে গেছেন। শুধু তাই নয়, হোটেলের এক রুমে তারা রাতও কাটিয়েছেন। এরপর ওই তারকার স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দুই নারী তারকার নাম উঠে আসে। দুই তারকার টিভি মিডিয়ায় খ্যাতি রয়েছে। তারা দুইজন তার রেস্টুরেন্টে খেতে যেতেন। একদিন রাতে সাহেদ তার একজন গেস্টকে নিয়ে তার রেস্টুরেন্টে খেতে যান। এ সময় ক্যাশিয়ারের সামনে তাদের পরিচয় হয়। এছাড়াও দুই তারকাকে যে ডিরেক্টর গিল্ডের নেতা সেই রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেছেন তাকে আগে থেকেই চিনতেন সাহেদ। তার পরিচয় সূত্র ধরেই দুই তারকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে সাহেদের।
সূত্র জানায়, পরিচয়ের পর সাহেদ তাদের নিয়ে শপিংয়ে যেতেন। দেশের বিভিন্নস্থানে লং ড্রাইভে যেতেন। তার মধ্যে একজনকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে হেলিকপ্টারে পার্বত্য এলাকার পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে এবং গত বছরের মার্চ মাসে একজনকে নিয়ে থাইল্যান্ডে যান সাহেদ। তাদের যাতায়াত সম্পর্কের বিষয়টি দুই নারী তারকার স্বামীরা জেনে যান। তাদের সম্পর্ক যাতে না থাকে এরজন্য দুই তারকার স্বামী তাদের সতর্ক করে দেন। কিন্তু স্বামীদের কথায় তারা সাড়া দেননি। এ সময় তাদেরকে অর্থ ও বিত্তের লোভ দেখান সাহেদ। তারাও লোভে পড়ে যান। সাহেদের হয়ে দুই তারকাকে অর্থ লেনদেন এবং ভালো-মন্দ দেখাশোনার জন্য শাহেদ তার রিজেন্ট হাসপাতালের এক ব্যক্তিগত নারী উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এতে দুই তারকা শাহেদের ওপর অনেক সন্তুষ্ট ছিলেন।
সাহেদের ফাঁদে পড়া এক নারী তারকার স্বামী সাহেদের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তিনি তার কথায় পাত্তা না দিয়ে নিজের স্ত্রীকে সামলানোর পরামর্শ দেন। এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও হয়।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার চতুর্থদিন অতিবাহিত হয়েছে। রিমান্ডে তার কাছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তারাই বিস্মিত।
তবে সাহেদ কিছু প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার সিনেমা জগৎকে কেন্দ্র করে স্বপ্ন, প্রেম ও পরিণয়ের কথা বলেছেন। একজন উঠতি নায়িকার প্রেমে পড়েছিলেন সাহেদ। ওই নায়িকার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। তাকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন সাহেদ। কিন্তু ওই নায়িকা তার ক্যারিয়ারের কথা ভেবে তাকে বিয়ে করতে রাজি হননি। তারপরও তিনি তার পিছু ছাড়েননি। পরক্ষণে ওই নায়িকা তাকে ফোন করে বলেছিলেন যে, তিনি তার পিছু যদি না ছাড়েন তাহলে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রতারণার বিষয়টি জানাবেন। এরপর থেকে তিনি ওই নায়িকাকে আর বিরক্ত করেননি।
গত জানুয়ারিতে একটি পার্টিতে তাদের মুখোমুখি দেখা হয়েছিল। কিন্তু তারা দুইজনই মুখ ফিরিয়ে নেন। এই কথা বলার সময় সাহেদ কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে যান।
এসব বিষয়ে মামলার মুখ্য তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) এডিসি বদরুজ্জামান জিলু জানান, অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না।
এছাড়াও বেরিয়ে আসছে প্রতারণার জগতে সাহেদের ঘনিষ্ঠজনদের নাম। সাহেদের উত্থান থেকে সর্বশেষ গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এমন ব্যক্তির তালিকা এখন তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে। ১০ দিনের রিমান্ডে থাকা সাহেদ এরই মধ্যে এ সম্পর্কে আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে। কীভাবে তাদের সঙ্গে পরিচয়, কীভাবে তাদের কাজে লাগিয়েছেন কিংবা তাদেরকে দেওয়া সুবিধাগুলো কী ছিল।
সূত্র বলছে, সাহেদের নামে এতগুলো মামলা থাকার পরও তিনি কীভাবে বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেতেন তাও খতিয়ে দেখছে অনেকগুলো সংস্থা।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতালে নানা অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ্য হয়েছে র্যাবের অভিযানের মধ্য দিয়ে। গত সপ্তাহে ওই অভিযানের পর রিজেন্টের দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় র্যাব। ওই হাসপাতালের অনুমোদনও বাতিল করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে সাতক্ষীরা দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।পরে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গোয়েন্দা পুলিশ এখন তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম প্রতারণা করতে এমন কোনো শাখা বা সেক্টর বাকি রাখেনি। তার বিচরণ ছিল প্রতারণার প্রতিটি স্তরেই। এবার বেরিয়ে আসছে প্রতারণার জগতে সাহেদের ঘনিষ্ঠজনদের নাম।
সাহেদের উত্থান থেকে সর্বশেষ গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এমন ব্যক্তির তালিকা এখন তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে। ১০ দিনের রিমান্ডে থাকা সাহেদ এরই মধ্যে এ সম্পর্কে আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে। কীভাবে তাদের সঙ্গে পরিচয়, কীভাবে তাদের কাজে লাগিয়েছেন কিংবা তাদেরকে দেওয়া সুবিধাগুলো কী ছিল।
অন্যদিকে, প্রতারণার এই জাদুকরের জাতীয় পরিচয়পত্র সাময়িক স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। নিজেকে আড়াল করতে সাহেদ করিম নাম পরিবর্তন করে নতুন করে মোহাম্মদ সাহেদ ধারণ করেছেন।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজে সাহেদ অন্তত ৫ জন বক্তির সহায়তা নিতেন। পরবর্তীতে নিজের কৌশল এবং তাদেরকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে বাগিয়ে নিতেন বিভিন্ন কাজ। তাদেরই একজনের পরামর্শে সর্বশেষ কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করেন সাহেদ। সব অপকর্মকে পেছনে ফেলে টার্গেট ছিল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন। রানা প্লাজা ধসের ঘটনার মতোই তিনি বেছে নিয়েছিলেন করোনাকালীন রোগীর সেবার সাইনবোর্ড। একে পুঁজি করেই ভবিষ্যতে নিজের আখের গোছানোর কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। তবে অতি লোভের কারণে তার সবকিছু ভেস্তে গেছে।
সূত্র বলছে, সাহেদের নামে এতগুলো মামলা থাকার পরও তিনি কীভাবে বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের দাওয়াত পেতেন তাও খতিয়ে দেখছে অনেকগুলো সংস্থা।
এ ছাড়া মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রিজেন্ট হাসপাতালের মতো একটা অবৈধ হাসপাতালের সঙ্গে কীভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তি হলো এ বিষয়টি বারবারই সামনে আসছে। কারা নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ছে সে সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। কীভাবে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটিতে সদস্য পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন তাও রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দাদের। একই সঙ্গে নিজের প্রতারণা আড়াল করতে কাদের কীভাবে সন্তুষ্ট করতেন জিজ্ঞাসাবাদে সাহেদের দেওয়া তথ্যে রীতিমতো বিস্মিত তারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, দেখুন আমরা অনেক তথ্যই পেয়েছি সাহেদের কাছ থেকে। তার উত্থানের পেছনে অনেকের নামও বলেছে সে। তবে সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। এর আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতালে নানা অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ্য হয়েছে র্যাবের অভিযানের মধ্য দিয়ে। গত সপ্তাহে ওই অভিযানের পর রিজেন্টের দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় র্যাব। ওই হাসপাতালের অনুমোদনও বাতিল করা হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে সাতক্ষীরা দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।পরে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গোয়েন্দা পুলিশ এখন তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাজাহান সিরাজ ও এমাজউদ্দীন স্যার
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
ইদানীং প্রতি রবিবারই নঈম নিজামের লেখা দেখি। পড়ে বেশ ভালো লাগে। পুরনো দিন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। নঈমের কোনো কোনো বন্ধু নাকি বলেছে, সে শুধুই অতীতমুখী। বড় পেছনের কথা বলে। আমার কাছে কিন্তু তেমন মনে হয় না। নঈম নিজামের লেখা নিয়ে অনেক পাঠকের সঙ্গে কথা হয়, তাঁরা খুবই প্রশংসা করেন। এখন তো সত্য বলা, সাহস করে বলা খুব একটা সহজ নয়। নঈম নিজাম আমার প্রিয় বলে বলছি না, তাঁর যোগ্যতা, দক্ষতা কিনা অথবা ভাগ্যদেবতা তাঁর সহায় কিনা বলতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি, নঈম নিজাম যেখানেই হাত দিয়েছে সেখানেই সোনা ফলেছে- সেটা ইলেকট্রনিক মিডিয়াই হোক আর প্রিন্ট মিডিয়া। গ্রামেগঞ্জে ঘরে ঘরে এর আগে আর কোনো পত্রিকা এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি যতটা নঈম নিজামের সম্পাদনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন করেছে। বাংলাদেশে আর কোনো পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা পড়ার জন্য মানুষ এমন ব্যাকুল হয়ে থাকে না। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ও নেপোলিয়ানকে নিয়ে কিছুদিন আগে পীর হাবিব এবং সেদিন নঈম নিজাম লিখেছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বীর সম্রাটদের মৃত্যু অতি সাধারণ। বিশ্ব দখলে বেরিয়ে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট আর দেশে ফিরতে পারেননি। মিসরের কাছে প্রাণ হারিয়েছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, অসুস্থ হয়ে। তাঁর কফিন বইবার জন্য ডাক্তারদের কাঁধে চড়েছিলেন। বয়ে নিয়ে যাওয়া কফিনে দুই হাত ছিল বাইরে একেবারে খোলা। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, মৃত্যুর ব্যাপারে ডাক্তার-চিকিৎসক অসহায়। আর যেমনি খালি হাতে এসেছিলেন, তেমনি খালি হাতেই গেলেন। সবাইকে তেমনিই যেতে হবে। অথচ আমরা অনেকেই সে কথা চিন্তাও করি না। এই যে রিজেন্ট হসপিটালের সাহেদ, মানুষের লোভেরও তো সীমা থাকে। জেকেজি হাসপাতালের আরিফ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী সাবরিনা বিসিএস পাস করে সরকারি ডাক্তার হওয়ার পরও এমন দুর্নীতি! করোনায় সারা বিশ্ব জেরবার, সরকার যারপরনাই পেরেশান তখন ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি করে সাবরিনারা টাকা কামান! কী হবে এত টাকায়। আমি তো কম দেখলাম না। যারা একসময় ধুলো ছিটিয়ে ছুটত তাদের অসহায়ত্ব দেখেছি। নিজেকে দিয়েও বিচার করি, একসময় যারা হাঁ করে আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকত এখন তাদের অনেককে খুঁজে পাওয়া যায় না। দু-এক জনকে ফোন করে দেখেছি কোনো সাড়া নেই- এটাই বাস্তব, এটাই দুনিয়া। তাই কী হবে এত দুর্নীতি করে। দীর্ঘ রোগভোগের পর সেদিন শাজাহান সিরাজ চলে গেলেন। ’৬৯-এর গণআন্দোলনের মহানায়ক জননেতা তোফায়েল আহমেদের শাজাহান সিরাজের ওপর লেখাটি পড়ে যারপরনাই খুশি হয়েছি। আমরা কেন যে সত্যকে আড়াল করতে চাই, সত্যকে অসত্য বানাতে চাই বুঝতে পারি না। আর যে যাই বলুন, যত বড় নেতা আর যোদ্ধাই হোন কালুরঘাটে একটা তৈরি রেডিও স্টেশনে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমানকে আদর আপ্যায়ন করে নিয়ে যান। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সে ঘোষণাতেই যদি এত কিছু হয় তাহলে শাজাহান সিরাজ কম কিছু করেননি। তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা ছিলেন। নিজেরা পল্টন ময়দানে সভা করে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন। পতাকা, জাতীয় সংগীত, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রপিতা কোনো কিছু বাকি রাখেননি। যদি যুদ্ধে আমরা জিততে না পারতাম, যদি পাকিস্তানিরা বহাল থাকত তাহলে আমাদের কী হতো। শাজাহান সিরাজের কী হতো। একটা দেশকে অস্বীকার করে অন্য একটা দেশের পতাকা তোলা যা তা নয়। আজ যতই অবমূল্যায়ন করা হোক পাকিস্তান থাকলে আ স ম আবদুর রবকে টুকরো টুকরো করা হতো। শাজাহান সিরাজ, নূরে আলম সিদ্দিকী, আবদুল কুদ্দুস মাখন কারও কোনো উপায় থাকত না। স্বাধীনতা কামনার জন্য পুরস্কার হতো ফাঁসি, ফাঁসি আর ফাঁসি। অথচ আজ অনেকেই স্বীকার করতেও চান না যে, ছাত্রদের ভূমিকা ছিল, রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা ছিল। ওদিকে জিয়াউর রহমান, কোনো কোনো জায়গায় সশস্ত্র বাহিনী আর কিছু না। যদি রাজনৈতিক অবস্থান না থাকত, লড়াইটা জনযুদ্ধ না হতো, শত্রুদেশের সেনাবাহিনী হিসেবে ভারত সীমানায় পা রাখলেই কম করে ১২ বছরের কোর্ট মার্শাল দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিত। ১২-১৫ বছর পর তারা ছাড়া পেত। জামাই আদরে ভারতের সীমান্তে অথবা ভারতের বড় বড় শহরে থাকার উপায় ছিল না। জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান মাঝেমধ্যেই বলার চেষ্টা করে, তার বাবা এক দিনের জন্য হলেও রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তার বাবা এক দিনের জন্য নয়, বেশ কয়েক বছর যেভাবেই হোক রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কিন্তু ’৭১-এ নয়। ’৭১-এ রাষ্ট্রপতি হওয়ার মতো কোনো সাংবিধানিক সামর্থ্য ছিল না। তিনি না এমপি, না এমএনএ ছিলেন। তিনি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। কালুরঘাট বেতারে তাঁর স্বকণ্ঠ ঘোষণা অনেককে উজ্জীবিত করেছিল। আমার সমস্যা আমি যেমন মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের এজেন্ট বলতে পারি না, ভাবতে পারি না, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের হিরো বলতে পারি না। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের হিরো তারা কেউ বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে নই। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করলে আমরা সবাই জিরো। জিরোতে জিরোতে জিরো মিললে অর্থবহ কিছু হয় না। প্রথম জিরোর আগে শক্তিশালী এক স্তম্ভ লাগে। আমরা কেউ তা ছিলাম না। এখন অনেকে অনেক কিছু হয়েছে। অনেকেই বুঝতে চায় না জিয়াউর রহমান অন্যদের মতো একজন সেক্টর কমান্ডার। জিয়াউর রহমান সরকার ছিলেন না, সরকার ছিল মুজিবনগর। জিয়াউর রহমান বীরউত্তম খেতাব পেয়েছেন, আমিও ও রকম একটা খেতাব পেয়েছি। তবে আমি একমাত্র বেসামরিক বাঙালি, অন্য সবাই সামরিক ব্যক্তি। সেই বীরত্বসূচক খেতাবও দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সরকার। বঙ্গবন্ধু সরকারের বীরউত্তম হয়ে মুজিবনগর বিপ্লবী সরকারের নির্দেশমতো কাজ করে আমরা কেউ মুজিবনগরকে বা স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পার করে যেতে পারি না। তাই যেমন আমি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করতে পারি না, মুক্তিযুদ্ধের নেতা পিতাকেও অস্বীকার করতে পারি না।
জনাব শাজাহান সিরাজের বাড়ি টাঙ্গাইলে। আমরা প্রায় একসঙ্গে বড় হয়েছি। টাঙ্গাইলের নেতা ছিলেন ফজলুল করীম মিঠু, আল মুজাহিদী, ফজলুর রহমান ফারুক, লতিফ সিদ্দিকী। শাজাহান সিরাজের নাম ’৬২ সালের আগে খুব একটা শোনা যায়নি। ’৬২ সালের পরও টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ মানে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মূল নেতা ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। আমাদের বাড়ির ভাঙা বৈঠকখানায় শাজাহান সিরাজকে বক্তৃতা শেখাতেন লতিফ সিদ্দিকী। কীভাবে হাত-পা ছুড়তে হয়, কীভাবে কথা বলতে হয় এর অনেক তালিম হয়েছিল আমাদের বাড়ির বৈঠকখানায়। রাজনীতি কখনো সরল রেখায় চলে না। ছাত্রলীগের রাজনীতিও সরল রেখায় চলেনি। লতিফ সিদ্দিকী থাকেন জেলে জেলে, শাজাহান সিরাজ তখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা। ’৭০ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলনে লতিফ সিদ্দিকীর সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কথা ছিল। ইকবাল হলের মাঠের সেই সম্মেলনে আমরা অনেকেই ছিলাম। অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিম প্রধান অতিথি ছিলেন। গভীর রাত পর্যন্ত কমিটি হতে পারছিল না। যখন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয় সাধারণ সম্পাদক পদে শাজাহান সিরাজ, সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী। প্রায় সবাই বিস্মিত হয়েছিল। ময়মনসিংহের খালেদ খুররমরা প্রতিবাদ করেছিল, আমরা তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। পরে যখন সম্পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা হলো সেখানে লতিফ সিদ্দিকীর স্থান হয়নি। ওই কমিটিতেও আমার তিনজন সহকর্মী কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছিল। ওর পরে কেন্দ্রের যত কমিটি হয়েছে, সব কমিটিতে আমার অনেক কর্মী নেতা হয়েছে, সদস্য হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য রাজনীতিতে যার কাছে আমাদের হাতেখড়ি সেই লতিফ সিদ্দিকী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও হতে পারেননি, যেমনটা আমিও পারিনি। ’৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে কালিহাতী থেকে লতিফ সিদ্দিকী প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। আবার ’৭৩ সালে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে কালিহাতী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে সময় জাসদের শাজাহান সিরাজ মশাল মার্কা নিয়ে দাঁড়ান। ’৭০-এ লতিফ সিদ্দিকীর প্রতিদ্বন্দ্বী মুসলিম লীগ নেতার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। কিন্তু ’৭৩-এ শাজাহান সিরাজের সঙ্গে তেমনটি হয়নি। ’৭৩-এর নির্বাচনে কয়েকটি জায়গায় এখনকার মতো কারচুপি হয়েছিল। তার মধ্যে দাউদকান্দিতে খন্দকার মোশতাক আহমদের সিটে রশীদ ইঞ্জিনিয়ারের ব্যালট বাক্স হেলিকপ্টারে করে হাইজ্যাক করা হয়েছিল। এখনকার মতো তখন মোবাইল এবং হেলিকপ্টার ভূরি ভূরি ছিল না। কিন্তু এর মধ্যেও অমনটা হয়েছিল। এ কারণে বঙ্গবন্ধু ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষুব্ধ হলে কী হবে, এখন যেমন নেত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুব্ধ হয়েও তেমন কিছু করার থাকে না, দু-এক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুরও তেমন কিছু করার ছিল না। তবে সারা দেশে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছিল। নির্বাচনের ফল ঘোষণার শুরুতে লতিফ ভাই পাঁচ-ছয় বার এগিয়ে ছিলেন। সে ভোট কমতে কমতে যখন ফলাফল প্রকাশ হলো তখন বিশ-বাইশ শর ব্যবধান ছিল। প্রায় সারা রাত ফল প্রকাশে লতিফ ভাইয়ের তেমন উৎকণ্ঠা ছিল না। একসময় আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, প্রথম ঘোষণার ফলাফল বেশি না এসে যদি কম আসত তাহলে রাতটা কেমন পীড়াদায়ক হতো? সে যাক, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। শাজাহান সিরাজের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল না। যা ছিল সবই রাজনৈতিক। তাই কেন যেন বলতে ইচ্ছা করে গণবাহিনীর টাঙ্গাইলের নেতা খন্দকার আবদুল বাতেন কত আওয়ামী লীগার, কত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে তাকে যদি আওয়ামী লীগ কোলে তুলে নিতে পারে, তবে শাজাহান সিরাজকে নিয়ে এত কৃপণতা কেন? সরকারিভাবে তাঁকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি। সেজন্য মহানায়ক তোফায়েল আহমেদের লেখা আমাকে অভিভূত করেছে। বাংলাদেশ থাকলে ছাত্রনেতারা থাকবেন, যুবনেতারা থাকবেন, জাতীয় নেতারা থাকবেন। রাজনৈতিক নেতৃত্ব অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধে কোনো বাহবা কুড়ানো যাবে না। নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব, আবদুল কুদ্দুস মাখন, সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ এঁরা বাংলাদেশের সারথি। স্বাধীন দেশে মত-পথের যত ভিন্নতাই থাক স্বাধীনতায় এঁরা প্রত্যেকেই একটি স্তম্ভ। খুঁটি ছাড়া ঘর দাঁড়ায় না, তেমনি এঁদের ছাড়া চলবে কেমন করে? শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কে এম ওবায়দুর রহমান, খালেদ মোহাম্মদ আলী, নীলফামারীর রউফ এঁদের স্বাধীনতা থেকে বাদ দেওয়ার পথ কোথায়? শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ভারতের পার্লামেন্টের যৌথ সভায় বাংলাদেশের ওপর ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বক্তৃতা করেছিলেন। এ ইতিহাস অস্বীকার করার উপায় কী। মত-পথের ভিন্নতা থাকতে পারে, কারও অবদান অস্বীকার করলে সত্যকে এবং ইতিহাসকে অস্বীকার করা হয়। শাজাহান সিরাজও তেমনি একজন ইতিহাসের স্তম্ভ। তাঁকে অস্বীকার না করাই ভালো।
একজন বড় প্রিয় মানুষ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ চলে গেলেন। পূর্ণ বয়স ছিল তাই তাঁর চলে যাওয়া নিয়ে মনে তেমন দুঃখ নেই। কিন্তু আপনজন হারালে খুব খারাপ লাগে, হতাশায় বুক ভরে যায়, চারদিক অন্ধকার মনে হয়। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ তেমনই একজন আপনজন, প্রিয়জন। কী করে তাঁর আপন হয়েছিলাম জানি না। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো, হুজুর মওলানা ভাসানীর মতো সামনে গেলে আকুল হয়ে যেতেন। তিনি বিএনপি সমর্থক ছিলেন। কিন্তু দলকানা ছিলেন না। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করতেন না। তাঁর এক প্রিয় শিষ্য আবদুল হাই শিকদার খুবই চটপটে মানুষ। আমার কাছে দু-একবার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অবহেলা করতে চেয়েছেন। তাঁকে বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো খারাপ কথা বললে আমাকে পাবেন না। ভদ্রলোক বুদ্ধিমান, সংযত হয়েছিলেন। পরে সেটা তাঁর আন্তরিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ ব্যাপারে এমাজউদ্দীন স্যার একদিন বলেছিলেন, ‘বাবা কাদের! আমরা বছরের পর বছর চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে হাই শিকদারকে যেখানে সংযত করতে পারিনি, তুমি কী এমন করলে সে সংযত হয়ে গেল?’ স্যারকে বলেছিলাম, তেমন কী আর করব, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাহক কথা বললে আমার সহ্য হয় না। তাই আমার অনুভূতি তাঁকে জানিয়েছিলাম। আজও মনে পড়ে, আমার স্ত্রী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কেবিন ব্লকে ভর্তি ছিলেন। স্যার তাঁর নাতনিকে নিয়ে এসেছিলেন। সে কি দরদ, কি আকুতি! একজন ভালো মানুষ চলে গেলেন জাতীয় দুর্যোগে যাঁর পাশে গিয়ে বসা যেত, কথা বলা যেত। তাঁর আমাদের ছেড়ে যাওয়া এক জাতীয় ক্ষতি। খুব সহজে এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন, বেহেশতবাসী করুন।