ওয়াশিংটন: করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে সমগ্র বিশ্বকে। ছাড় পায়নি বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ আমেরিকাও। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, করোনভাইরাসের জেরে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে দেশে সর্বাধিক মৃত্যু হতে পারে।
এদিন ওয়াইট হাউস থেকে করোনা নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করেন ট্রম্প। সেখানে তিনি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বা “সামাজিক দূরত্ব” বজায় রাখার নির্দেশিকা বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল অবধি করেন।
নিজের বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মারণ আঘাত হানতে পারে করোনা। মৃত্যুর হার হতে পারে চূড়ান্ত।” আর সেই কারণেই করোনার বিস্তার রোধে নির্দেশিকা (সোশ্যাল ডিস্টান্সিং) ৩০ এপ্রিল অবধি বাড়িয়ে দেব।
পাশাপাশি ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করছেন দেশ আগামী ১ জুনের মধ্যে পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আশা করেছেন, ১ জুনের মধ্যে করোনাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাবে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, আক্রান্তের সংখ্যায় সমস্ত দেশকে ছাপিয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই মুহূর্তে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছুঁয়েছে। সারা বিশ্বেও ক্রমশ বেড়েই চলেছে এই সংখ্যা।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন মার্কিন গায়ক জো ডিফি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১। কিছুদিন আগেই তাঁর শরীরে পাওয়া যায় মারণ ভাইরাস কোভিড ১৯। প্রাণঘাতী ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই শেষ করে ২৯ মার্চ মৃত্যু হয় জো-এর।
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 30, 2020 at 07:53AM
বৈঠকের পর অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় লকডাউনে শিথিলতার সময় কমিয়ে আনা হবে। শহুরে এলাকায় লকডাউনের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সময় ২ ঘন্টা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা ঠেকাতেই নেওয়া হয়েছে এই পদক্ষেপ।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে শহুরে এলাকার মানুষ সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে পারবেন। অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া গ্রাম্য এলাকার ক্ষেত্রে এই সময় ধরা হয়েছে ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত।
প্রশাসন জানিয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম প্রত্যেক দোকান ও সুপার মার্কেটের বাইরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এই নিয়মের উলঙ্ঘন করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিনিসপত্রের দাম কেমন বা কোনও জিনিসের দাম বেশি নেওয়া হলে সে সম্পর্কে অভিযোগ জানানোর জন্য সরকারের তরফে একটি কল সেন্টার খোলা হবে। সেখানে এই সম্পর্কিত যাবতীয় অভিযোগ জানানো যাবে। যে সব অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বেশি নেবেন, তাঁদের জেলে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও সবজি সরবরাহের জন্য আরটিসি বাস ব্যবহার করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি। বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে পণ্য সরবরাহের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে কৃষিমন্ত্রী কুরসালা কান্নবাবু বলেন, কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সার পরিবহনে যাতে কোনও বাধা না হয় সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে অ্যাকোয়া শিল্পে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই শিল্পে যুক্ত সমস্ত লোককে সুরক্ষার জন্য মুখোশ এবং গ্লাভস সরবরাহ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 30, 2020 at 07:35AM
চেন্নাই: ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে এই দেশজুড়ে লকডাউনের প্রভাবে । এত কম বিদ্যুতের চাহিদা দেখা গিয়েছিল পাঁচ বছর আগে ২০১৫ সালের মার্চে। করোনাভাইরাস আটকাতে এই লক ডাউনের ফলে শনিবারের বিদ্যুতে ক্ষেত্রের তথ্য তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষিত দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের তৃতীয় দিন ২৭ মার্চে ভারতের বিদ্যুৎ লেগেছে ২.৫৯ বিলিয়ন ইউনিট। যা লকডাউন শুরু হওয়ার আগে এই মার্চ মাসের প্রথম তিন সপ্তাহের গড় বিদ্যুৎ খরচের চেয়ে এক-চতুর্থাংশ কম।
দেশের বিদ্যুতের খরচ ২০১৫ সালের পয়লা মার্চের চেয়ে কম, তখন দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা এখনকার থেকে ২৫ শতাংশ কম ছিল। লক্ষ্য করা গিয়েছে, পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্য ছাড়া দেশের সব অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গিয়েছে। কারণ অত্যাবশ্যকীয় কিছু কাজকর্ম ছাড়া অফিস এবং কল-কারখানা বন্ধ রয়েছে।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, খনি ও কারখানায় বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় শিল্পকর্ম চলছে যেমন ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডে । কারণযেখানে ইস্পাত উৎপন্ন হয় সেখানে উচ্চ হারে বিদ্যুৎ লাগে। কিন্তু বিহার যেটি মূলত কৃষি প্রধান এবং আপেক্ষিক ভাবে শিল্প কম সেখানেও গড় বিদ্যুতের খরচের চেয়ে এখন বেশি হওয়াটা চিন্তার বিষয় । এইজন্য সংশয় দেখা দিয়েছে ঠিকমতো শাটডাউন সেখানে মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে। তবে তুলনায় উষ্ণতা বাড়ায় গৃহস্থালির বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে অবশ্য বিহার স্টেট পাওয়ার হোল্ডিং কোম্পানি কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে গাড়ি উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুতে দেখা গিয়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার প্রায় ২৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। অন্যদিকে মার্চ মাসের প্রথম তিন সপ্তাহের গড়ের তুলনায় পশ্চিম ভারতের রাজ্য গুজরাতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গিয়েছে ৪৩ শতাংশ।
এদিকে এই দেশজুড়ে লক ডাউনের কারণে পশ্চিমবঙ্গেও বিদ্যুতের চাহিদায় প্রভাব পড়েছে। যেমন মেজিয়ায় গড়ে ২৫০০-২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত সেখানে এখন উৎপন্ন হচ্ছে ৪০০-৪৫০ মেগাওয়াট। গত বুধবার থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়েকটি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে। আপাতত দুটি ২৫০ মেগাওয়াটের ইউনিট কাজ করছে। কর্মীরাও চরম সতর্কতার মধ্যে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 30, 2020 at 07:10AM
বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। প্রাণ হারাচ্ছে শত শত। প্রতিনিয়তই লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, লাশের সারি।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সত লাখ ছাড়িয়েছে (৭,২১,৪১২)। মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছুঁই ছুঁই (৩৩,৯৫৬)।
তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ইতালিতে, ১০ হাজার ৭৭৯ জন। ৬ হাজার ৮০৩ জন মারা গেছে স্পেনে। ৩ হাজার ৩০০ জন চীনে। ইরানে মারা গেছে ২ হাজার ৬৪০ জন। ফ্রান্সে প্রাণ হারিয়েছে ২ হাজার ৬০৬ জন।
করোনাভাইরাস জেকে বসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৪। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৪৭৫ জন মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে লাশের সারি বৃদ্ধি পাচ্ছে যুক্তরাজ্য (১২২৮ জন), নেদারল্যান্ডস (৭৭১) ও জার্মানিতে (৫৪১)।
আশার কথা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ইতিমধ্যে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪ জন করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সেরে উঠেছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, শেষ পর্যন্ত কত মানুষের প্রাণ নিয়ে থামবে এই মহামারি?
ঢাকা/আমিনুল
March 30, 2020 at 06:52AM Risingbd Bangla News https://ift.tt/2UJCEkx
নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে রয়েছে জমজমাট এক নগরী। আর পাঁচিল দিয়ে নগরী ঘিরে রেখে তার ওপরে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার ঠিক সামনেই ভয়াল ভ্রুকুটি নিয়ে করোনার মেঘ। কিন্তু মমতা যেন তার পথ আগলে দাঁড়িয়েছেন একাই।
এই ছবিই রোববার পোস্ট হয়েছে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ ফেসবুক পেজে। করোনার মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কতটা ‘নির্ভীক’ ভঙ্গিতে লড়ছেন, সেই প্রচারে জোর দিতেই এই অভিনব অলংকরণ প্রকাশ করল প্রশান্ত কিশোরের টিম।
রোববার রাতে ছবিটা ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাতের শহরে ঘরে ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন নাগরিকরা, একা মমতা জেগে রয়েছেন। তিনি পাহারা দিচ্ছেন শহরকে ঘিরে রাখা এক বিশাল পাঁচিলের ওপরে দাঁড়িয়ে। তার মুখের সামনেই পুঞ্জীভূত মেঘের আকার নিয়েছে করোনা। কিন্তু নাগরিককে রক্ষার স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী যেন অকুতোভয়। তিনি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, যেন বলতে চাইছেন— রাজ্যে প্রকোপ ফেলতে হলে আগে তার মোকাবিলা করতে হবে করোনাকে।
করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাকে গোড়া থেকেই খুব বড় করে তুলে ধরছে ভোট কৌশলী পিকের টিম। নিজের রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন, তাতে মমতার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা অনেক বেড়ে গেল— এই রকম একটা প্রচার সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সফলভাবে চালিয়ে দিতে পেরেছে টিম পিকে।
রোববার রাতে যে নজরকাড়া গ্রাফিক পোস্ট করা হলো, তা সেই প্রচারেরই পরবর্তী ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।
লকডাউনের জেরে মাঠে-ময়দানে নেমে রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় সকলেই পুরোদস্তুর সক্রিয়। সুতরাং করোনা মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা কী রকম, তা এক প্রতীকী অলংকরণ এবং গানের পঙক্তির মাধ্যমে দারুণভাবে তুলে ধরা হলো। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা / বিপদে আমি না যেন করি ভয়... ।’
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
ঢাকা/সাইফ/আমিনুল
March 30, 2020 at 06:37AM Risingbd Bangla News https://ift.tt/3dDUdve
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সবশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। পরের জাতীয় নির্বাচনটি হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু নানাবিধ কারণে একাধিকবার পিছিয়েছে এই নির্বাচন।
অবশেষে রোববার থেকে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এমন সময় খবর প্রকাশিত হয় করোনাভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয়েছে। তাতে স্থগিত হয়ে যায় ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন।
অবশ্য নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পেছনে করোনাভাইরাস ছাড়াও কয়েকটি কারণ রয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন শনিবার দেশটির প্রধান বিরোধী দলের নেতা সৌমাইলা সিসেকে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা তুলে নিয়ে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে হয় গোলাগুলি। করোনাভাইরাসের পাশাপাশি নিরাপত্তাজনিত কারণেও এই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে।
দেশটিতে বর্তমানে ১৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রকট আকার ধারন করেছে। সেটি পৌঁছে গেছে দারিদ্রপীড়িত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতেও। ব্যাপকহারে দেশটিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। প্রাণহানি ঘটতে পারে হাজার হাজার মানুষের।
অবশ্য করোনা প্রতিরোধ দেশটি কাজ করতে শুরু করেছে। সচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। রাজধানীতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার নাগালে রাখার ব্যবস্থা করছে।
২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বউবাকার কেইটা। ৭ বছর পর ১৪৭ আসনের নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল ১৯ এপ্রিল। কিন্তু করোনা ও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে প্রথম দফার ভোটই হয়নি। শেষ পর্যন্ত কবে নাগাদ এই নির্বাচন হয় দেখার বিষয়।
ঢাকা/আমিনুল
March 30, 2020 at 06:22AM Risingbd Bangla News https://ift.tt/39ury8t
দেশের সকল নাগরিকের উপর সোমবার থেকে কোয়ারেন্টাইন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। খবর সিএনএনের।
এক বিবৃতিতে মস্কোর মেয়র সারজে সোবইয়ানিন জানান পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পুরো দেশ কোয়ারেন্টাইনের আওতায় থাকবে।
এর ফলে সব ধরণের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জীবিকা নির্বাহ বা পারিবারিক জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
দেশটির নাগরিকদের নিজ গৃহের ১০০ মিটারের বাইরে না যেতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির দ্বারা নগর কর্মকর্তারা এই বিধি-নিষেধ নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে জানিয়েছেন সোবইয়ানিন।
রাশিয়ায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫৩৪ মানুষের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন ৮ জন।
ঢাকা/নাসিম/আমিনুল
March 30, 2020 at 06:20AM Risingbd Bangla News https://ift.tt/2WQCevl
চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
পৃথিবী যেন চলমান মৃত্যু উপত্যকা, জনপদের পর জনপদ অঘোষিত বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। জীবনীশক্তি আজ শূন্যের কোঠায়। কোভিড-১৯ খ্যাত, নভেল করোনা খ্যাত প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিস্তার যেনো ঝড়ের বেগে হু হু করে বেড়ে চলেছে। মুহূর্তেই কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রাণবায়ু। কতো অসহায় মানুষ! কতো অসহায় বিপুলা প্রাণের পৃথিবী। চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
চীনে পাচার হওয়া মালয় প্রজাতির বনরুইয়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের দুটি ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসের সঙ্গে মিল আছে মানুষের শরীরে পাওয়া ‘কোভিড ১৯’–এর। হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বনরুই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চোরাই পথে পাচার হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে একটি, জড়িবুটি ওষুধ তৈরিতেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।
হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষক টমি ল্যাম বিবিসিকে বলেন, চোরাই পথে আসা মালয় প্রজাতির বনরুইয়ে এ ভাইরাস পাওয়ার পর প্রশ্নটাও উঠেছে যে এই প্রজাতির বনরুইয়ের শরীরেই–বা ভাইরাস ঢুকল কীভাবে? সেটা কি পাচারের সময় আশপাশে থাকা বাদুড় থেকে এসেছিল, নাকি দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় তাদের যে প্রাকৃতিক আবাসস্থল, সেখানেই ঘটেছিল? তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির ক্ষেত্রে বনরুইয়ের ভূমিকা বুঝতে হলে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা প্রয়োজন। যদিও ‘সার্স কোভ–২’–এর প্রাদুর্ভাবের সরাসরি ‘হোস্ট’ হিসেবে বনরুইয়ের ভূমিকা আরও নিশ্চিত হওয়ার দরকার আছে। তবে ভবিষ্যতে যদি এ রকম প্রাণী থেকে মানুষে মহামারি ছড়ানো ঠেকাতে হয়, তাহলে বাজারে এসব প্রাণীর বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট পিটার ডাসক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বনরুইয়ের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া মহামারির সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটি বন্য প্রাণী থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগবালাই নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
পিটার ডাসক বলেন, ভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়িয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। সম্ভবত বাদুড় থেকে। পরে ওই বাদুড় থেকে আরও একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে ছড়ায়। ওই প্রাণী চীনের উহানে বিক্রির চল আছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল নেচার–এ পাঁচ বিজ্ঞানীর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ। গবেষণায় বলা হয়, এসব প্রাণী নিয়ে নাড়াচাড়া করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের মতো কোনো মারাত্মক রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমাতে বন্য প্রাণীর বাজারে বনরুইয়ের মতো জন্তু বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
গবেষণায় বলা হয়, বাদুড়ের শরীরেও করোনাভাইরাস আছে এবং তার সঙ্গে মানুষের শরীরে সংক্রমিত ভাইরাসের আরও বেশি মিল আছে। কিন্তু ভাইরাসের একটি অংশ, যা মানুষের শরীরের কোষ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে ভাইরাসটিকে সহায়তা করে, তার সঙ্গে এর মিল নেই।
সহগবেষক সিডনি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এডওয়ার্ড হোমস বলেন, এর অর্থ হলো বন্য প্রাণীদের মধ্যে এমন ভাইরাস আছে, যে ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করছে।
তিনি বলছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে বাদুড়ের নিশ্চয়ই সম্পর্ক আছে, হয়তো বনরুইও সম্পর্কিত, তবে অন্য কোনো প্রাণীর জড়িত থাকারও জোর সম্ভাবনা আছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক এন্ড্রু কানিংহ্যাম বিবিসিকে বলছেন, এই গবেষণাপত্র থেকে একলাফে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া ঠিক হবে না। ‘কোভিড–১৯’ উৎস এখনো অজানা। হয়তো কোনো বনরুইয়ে ভাইরাসটি প্রাকৃতিকভাবেই ছিল বা বনরুইটি ধরা এবং হত্যা করার সময় অন্য কোনো প্রাণী থেকে এসেছিল।
চীন অবশ্য করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বন্য প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ভিয়েতনামেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে:
বনরুই আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণী। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে, দেশি, চীনা ও মালয়। পিঁপড়া ও পিঁপড়াজাতীয় প্রাণী খায় বলে আঁশযুক্ত পিঁপড়াভুক নামেও পরিচিত। মুখে কোনো দাঁত নেই বলে আগে দাঁতহীন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতো।
বাংলাদেশে বনরুই চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটে দেখা যায়। মাটিতে বাস করে বনরুই। তবে এ প্রাণীটি গাছেও চড়তে পারে। বাংলাদেশ বনরুই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাছে প্রিয় খাবারের একটি।
বন্য প্রাণী পাচারের ওপর নজরদারি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘ট্রাফিক’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর অন্তত ২০ টন বনরুই পাচার হয়। বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে গত ১৬ বছরে ১৬ লাখ বনরুই পাচার হয়েছে।
চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
পৃথিবী যেন চলমান মৃত্যু উপত্যকা, জনপদের পর জনপদ অঘোষিত বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। জীবনীশক্তি আজ শূন্যের কোঠায়। কোভিড-১৯ খ্যাত, নভেল করোনা খ্যাত প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিস্তার যেনো ঝড়ের বেগে হু হু করে বেড়ে চলেছে। মুহূর্তেই কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রাণবায়ু। কতো অসহায় মানুষ! কতো অসহায় বিপুলা প্রাণের পৃথিবী। চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
চীনে পাচার হওয়া মালয় প্রজাতির বনরুইয়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের দুটি ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসের সঙ্গে মিল আছে মানুষের শরীরে পাওয়া ‘কোভিড ১৯’–এর। হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বনরুই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চোরাই পথে পাচার হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে একটি, জড়িবুটি ওষুধ তৈরিতেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।
হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষক টমি ল্যাম বিবিসিকে বলেন, চোরাই পথে আসা মালয় প্রজাতির বনরুইয়ে এ ভাইরাস পাওয়ার পর প্রশ্নটাও উঠেছে যে এই প্রজাতির বনরুইয়ের শরীরেই–বা ভাইরাস ঢুকল কীভাবে? সেটা কি পাচারের সময় আশপাশে থাকা বাদুড় থেকে এসেছিল, নাকি দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় তাদের যে প্রাকৃতিক আবাসস্থল, সেখানেই ঘটেছিল? তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির ক্ষেত্রে বনরুইয়ের ভূমিকা বুঝতে হলে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা প্রয়োজন। যদিও ‘সার্স কোভ–২’–এর প্রাদুর্ভাবের সরাসরি ‘হোস্ট’ হিসেবে বনরুইয়ের ভূমিকা আরও নিশ্চিত হওয়ার দরকার আছে। তবে ভবিষ্যতে যদি এ রকম প্রাণী থেকে মানুষে মহামারি ছড়ানো ঠেকাতে হয়, তাহলে বাজারে এসব প্রাণীর বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট পিটার ডাসক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বনরুইয়ের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া মহামারির সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটি বন্য প্রাণী থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগবালাই নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
পিটার ডাসক বলেন, ভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়িয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। সম্ভবত বাদুড় থেকে। পরে ওই বাদুড় থেকে আরও একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে ছড়ায়। ওই প্রাণী চীনের উহানে বিক্রির চল আছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল নেচার–এ পাঁচ বিজ্ঞানীর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ। গবেষণায় বলা হয়, এসব প্রাণী নিয়ে নাড়াচাড়া করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের মতো কোনো মারাত্মক রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমাতে বন্য প্রাণীর বাজারে বনরুইয়ের মতো জন্তু বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
গবেষণায় বলা হয়, বাদুড়ের শরীরেও করোনাভাইরাস আছে এবং তার সঙ্গে মানুষের শরীরে সংক্রমিত ভাইরাসের আরও বেশি মিল আছে। কিন্তু ভাইরাসের একটি অংশ, যা মানুষের শরীরের কোষ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে ভাইরাসটিকে সহায়তা করে, তার সঙ্গে এর মিল নেই।
সহগবেষক সিডনি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এডওয়ার্ড হোমস বলেন, এর অর্থ হলো বন্য প্রাণীদের মধ্যে এমন ভাইরাস আছে, যে ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করছে।
তিনি বলছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে বাদুড়ের নিশ্চয়ই সম্পর্ক আছে, হয়তো বনরুইও সম্পর্কিত, তবে অন্য কোনো প্রাণীর জড়িত থাকারও জোর সম্ভাবনা আছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক এন্ড্রু কানিংহ্যাম বিবিসিকে বলছেন, এই গবেষণাপত্র থেকে একলাফে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া ঠিক হবে না। ‘কোভিড–১৯’ উৎস এখনো অজানা। হয়তো কোনো বনরুইয়ে ভাইরাসটি প্রাকৃতিকভাবেই ছিল বা বনরুইটি ধরা এবং হত্যা করার সময় অন্য কোনো প্রাণী থেকে এসেছিল।
চীন অবশ্য করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বন্য প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ভিয়েতনামেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে:
বনরুই আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণী। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে, দেশি, চীনা ও মালয়। পিঁপড়া ও পিঁপড়াজাতীয় প্রাণী খায় বলে আঁশযুক্ত পিঁপড়াভুক নামেও পরিচিত। মুখে কোনো দাঁত নেই বলে আগে দাঁতহীন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতো।
বাংলাদেশে বনরুই চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটে দেখা যায়। মাটিতে বাস করে বনরুই। তবে এ প্রাণীটি গাছেও চড়তে পারে। বাংলাদেশ বনরুই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাছে প্রিয় খাবারের একটি।
বন্য প্রাণী পাচারের ওপর নজরদারি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘ট্রাফিক’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর অন্তত ২০ টন বনরুই পাচার হয়। বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে গত ১৬ বছরে ১৬ লাখ বনরুই পাচার হয়েছে।
ইসলামাবাদ: বিশ্ববাসীর ঘুম একলহমায় কেড়ে নেওয়া ভাইরাসের নাম করোনা। ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ-এ। রেহাই মেলেনি পড়শি দেশ পাকিস্তানেরও। শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৫০০। মৃতের সংখ্যা ১২।
পাকিস্তানে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া যায়। এরপর মাত্র ৩১ দিনের মাথায় সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৫০০ তে। যা দেখে আঁতকে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বশি। তবুও এখনও দেশ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়নি ইমরান খানের সরকার। আগুন নিয়ে খেলছে পাক প্রশাসন। সে দেশের কয়েকটি এলাকায় আংশিক ভাবে লকডাউন চালু হলেও দেশজুড়ে লকডাউনে প্রবল অনীহা ও গড়িমসি দেখাচ্ছে ইমরান খানের সরকার। শুধুমাত্র পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশেই ৪৬৯ জন মারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। ইউরোপের বহু দেশে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। মারাত্মক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ইতালি ও স্পেন। বিশ্বের মোট ১৮০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস।
অন্যদিকে শনিবার রাত পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০০০। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই তথ্য জানালেও বেসরকারি মতে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশি।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে শনিবার রাত পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ১৮৬ জনের শরীরে কারণ আর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমিত হওয়ার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরালা। শনিবার রাত পর্যন্ত কেরালায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২।
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 29, 2020 at 08:30AM
কলকাতা ও শিলিগুড়ি: গোটা রাজ্যের নজর এখন কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। এখানেই রাজ্যের সর্ববৃহৎ করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র। কিন্তু বিধি বাম। খোদ চিকিৎসকদের ছাড়তে হয়েছে ফ্ল্যাট-ভাড়াবাড়ি।
করোনা আতঙ্কে এই ভাড়টে চিকিৎসকদের আর বাড়ি বা ফ্ল্যাটে ঢোকা নিষিদ্ধ। এই আতান্তরে পড়ে তাঁরা চিকিৎসা চালাচ্ছেন। আর যে যেখানে পারছেন মাথা গোঁজার স্থান খুঁজে নিচ্ছিলেন। একই অবস্থা বিভিন্ন জেলাতেও। সেখানেও চিকিৎসকরা মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন।
পরিস্থিতি বুঝে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যের একমাত্র বামপন্থী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ি পুর নিগমের মেয়র তিনি এবং বিধায়ক। তাঁর নির্দেশে বেলেঘাটাতেই শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের অতিথিশালা খুলে দেওয়া হল করোনা চিকিৎসকদের জন্য।
এতে সুবিধা চিকিৎসকদের। একে তো তাঁরা মেস-ফ্ল্য়াট, ভাড়া বাড়িতে ঢুকতে পারছিলেন না। এবার তাঁর হাসপাতালের কাছেই থাকতে পারবেন।
শিলিগুড়ি মেয়র তথা প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোকবাবু জানান, কলকাতায় থাকা শিলিগুড়ি পৌরনিগমের অতিথি নিবাসটি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ডাক্তারদের থাকার জন্য দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কাজে সুবিধা হবে।
বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা ও বিধায়ক এর আগে শিলিগুড়ির রাস্তায় করোনাভাইরাস রোখার জন্য সচেতনতা পদযাত্রা করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝান।
বাম জমানায় অশোকবাবু রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট মন্ত্রী ছিলেন। পরে ২০১১ সালে পরিবর্তনের বছরে তিনি শিলিগুড়ি থেকে পরাজিত হন। পরের নির্বাচনে ফের জয়ী হন। তাঁর নেতৃত্বে শিলিগুড়ি পুর নিগমে বাম কংগ্রেস জোটের দখলে।
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 29, 2020 at 08:22AM
হায়দরাবাদ: সমগ্র বিশ্ব কাঁপছে করোনা আতঙ্কে। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। মারণ ভাইরাসের অ্যান্টোবায়েটিক তৈরির চেষ্টায় রয়েছে সব দেশের বিজ্ঞানীরা। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে ভারত।
হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানীর প্রচেষ্টায় হয়তো করোনা থেকে বিশ্বকে মুক্তি দিতে পারে ভারতই। সোনা ফলিয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টা। জানা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে তাঁরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন৷
ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বায়োকেমিস্ট্রির এক অধ্যাপক একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন। যদি ওই ভ্যাকসিন সঠিক ভাবে কাজ করে তবে নিঃসন্দেহে তা মানব জাতির জন্য বড় আবিষ্কার হবে।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁদের আশঙ্কা এই ভ্যাকসিন তৈরিতে ১ থেকে দেড় বছর সময় লাগবে।
বর্তমানে বিশ্বে ৬ লক্ষ মানুষ এই মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭,৯৮২ জনের। নিঃসন্দেহে সংখ্যাটা ভয়ঙ্করতম। অন্যদিকে শনিবার রাত পর্যন্ত ভারতে কারণ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০০০। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই তথ্য জানালেও বেসরকারি মতে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরো বেশি।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে শনিবার রাত পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ১৮৬ জনের শরীরে কারণ আর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমিত হওয়ার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরালা। শনিবার রাত পর্যন্ত কেরালায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২।
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 29, 2020 at 08:08AM
স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ফেসবুকে একটি ভুয়ো ভিডিও শেয়ার করার অভিযোগে গিরিশ পার্ক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর হয়েছে। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।
সম্প্রতি তিনি ফেসবুক একটি ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন পুলিশ আধিকারিক সাধারণ মানুষের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভিডিওটিকে খিদিরপুর অঞ্চল বলে দাবি করেন। পরে পুলিশ অনুসন্ধান করে জানতে পারে ভিডিওটি মুম্বইয়ের।
পরে অনুপম ভিডিওটি ডিলিট করে দিলেও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গিরিশ প্রার্থনায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি।
এরপরই ফেসবুক লাইভে এফআইআর এর প্রসঙ্গ তুলে অনুপম দাবি করেন, দেশের বিপর্যয়ের সময় শুধুমাত্র রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করেই তাঁর বিরুদ্ধে অকারণে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাজার পরিদর্শনের বিরোধিতা করাতেই প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করল বলে দাবি অনুপমের।
কিন্তু এতকিছুর পরও যে তিনি রাজ্যের প্রশাসনকে বিঁধতে ছাড়বেন না সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অনুপম। এদিন তিনি ফের বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকরা কি কোনও কাজ করেন না তাই মুখ্যমন্ত্রীকে নিজে হাতে সব কিছু করতে হচ্ছে?”
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে লকডাউনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর অবাধ বিচরণকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বের উন্নত সব দেশও শ্মশানে পরিণত হয়েছে। সেকথা জেনেও মুখ্যমন্ত্রী রোজ রাস্তায় বেরোচ্ছেন। সঙ্গে লোক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর রাস্তায় বেরিয়ে খাবার বিতরণ করার দরকার নেই, লোককে বোঝানোর দরকার নেই। সেজন্য সরকারি কর্মচারীরা রয়েছেন। ক্লাব রয়েছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আইন ভাঙলে সাধারণ মানুষ কেন আইন মানবে?”
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 29, 2020 at 07:44AM
নয়াদিল্লি: করোনা পিছু ছাড়ছে না কাউকেই। দেশে একের পর এক আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। দেশ জুড়ে শুধুই ভয় আর আতঙ্ক। এবার করোনা আক্রান্ত হলেন প্যারামিলিটারি ফোর্স এর দুই সদস্য।
আক্রান্ত হয়েছেন এক বিএসএফ অফিসার ও আর সিআইএসএফ জওয়ান। শনিবার তাদের আক্রান্ত হবার রিপোর্ট প্রকাশে এসেছে। এই প্রথম প্যারামিলিটারি ফোর্সের কেউ আক্রান্ত হলেন।
জানা গিয়েছে, ৫৭ বছর বয়সী ওই বিএসএফ অফিসার মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের অফিসার ট্রেনিং অ্যাকাডেমি তে কর্মরত। তাঁর কোনও আত্মীয় সম্প্রতি ইউকে থেকে ফিরেছেন বলে সূত্রের খবর। সেখান সংক্রমন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি বিএসএফের সেকেন্ড ইন কমান্ড অফিসার। তিনি অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সংস্পর্শে আসা ১২ জন অফিসারকে কয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
এদিকে আক্রান্ত হয়েছেন সি আই এস এফের হেড কনস্টেবল। তিনি মুম্বই এয়ারপোর্টে কর্মরত। এয়ারপোর্টে তিনি সংক্রামিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এক ধাক্কায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলায় নতুন করে আরও একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও বেড়েছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০। যে কোনও মুহূর্তে এই সংখ্যাটাও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 29, 2020 at 07:30AM
স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: করোনা মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। তাঁদের পক্ষ থেকে রাজ্যের আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হল ১০ লক্ষ টাকা। এই আর্থিক অনুদানের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন গিল্ডের সদস্যরা।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের অতর্কিত আক্রমণে সৃষ্টি হওয়া অভূতপূর্ব বিশ্বব্যাপী সংকটকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের রাজ্যে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে আমরা ১০ লক্ষ টকা পাঠালাম।
এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লেখা এক চিঠিতে গিল্ডের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করা হয়, “দিদি, ভালো থাকুন। আমাদের সকলের একান্ত আবেদন এই অসহনীয় সংকটকালে দয়া করে সাবধানে থাকুন। আপনি এই অন্ধকারে একমাত্র আলোকবর্তিকা। শ্রদ্ধা ও নমস্কার গ্রহণ করুন।”
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে kolkata24x7-কে বলেন, “শুধু বইমেলা নয়, বইমেলার পাশাপাশি আমরা সারা বছরই নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকি। আজ আমরা চলেছি এক দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে। আমাদের রাজ্য তথা সারা পৃথিবীতে অন্ধকার সময় চলছে এখন। এই দুঃসময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জন্য যা করছেন তা এক কথায় অভাবনীয়। আমরা সমস্ত পরিস্থিতিকে নিরিখে রাজ্যের আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছি। আশা করি সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে আমরা দ্রুতই এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠব।”
করোনা মোকাবিলায় জেরবার সারা পৃথিবী। ভারতেও লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সারা দেশে লকডাউন। পশ্চিমবঙ্গে এক পরিবারের ৫ জন এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর উঠে এসেছে। রাজ্য তৈরি হচ্ছে আপৎকালীন ত্রাণ তহবিল। অনেকেই এগিয়ে এসেছেন ইতিমধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। তাঁর কাজের প্রশংসা করে তাঁকে ফোন করেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।
via Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper March 29, 2020 at 04:57AM
ঠাকুরগাঁওয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় । এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পোস্ট তুলনামুলক কমে গেছে।
আটককৃতরা হলেন- শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে নুর আলম (২৭) ও পূর্ব হাজীপাড়া এলাকার মাহবুব আলমের ছেলে মাহফুজ (২৭)।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে- এমন একটি মিথ্যা খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যে পোস্ট করেন তারা। অথচ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত এমন কোনো ব্যক্তি ভর্তি নেই সেখানে। বিষয়টি নজরে আসলে পরে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পোস্ট তুলনামুলক কমে গেছে বলেও জানান ওসি।
ঠাকুরগাঁওয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় । এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পোস্ট তুলনামুলক কমে গেছে।
আটককৃতরা হলেন- শহরের গোয়ালপাড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে নুর আলম (২৭) ও পূর্ব হাজীপাড়া এলাকার মাহবুব আলমের ছেলে মাহফুজ (২৭)।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে- এমন একটি মিথ্যা খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম্যে পোস্ট করেন তারা। অথচ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত এমন কোনো ব্যক্তি ভর্তি নেই সেখানে। বিষয়টি নজরে আসলে পরে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পোস্ট তুলনামুলক কমে গেছে বলেও জানান ওসি।
দিনেদিনে জার্মানিতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। দেশটিতে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৩৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৯৫ জন। এদিকে জার্মানিতে বসবাসরত পাঁচ প্রবাসী বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
রোববার (২৯ মার্চ) বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য, যারা বার্লিনের বাসিন্দা। বাকি দু’জনের একজন মিউনিখ এবং অন্যজন ম্যুন্সটার শহরের বাসিন্দা।
বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, বার্লিনে করোনা আক্রান্ত পরিবারের এক পুরুষ সদস্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং সেই পরিবারের অন্য সদস্যদের অবস্থা উন্নতির দিকে।
মিউনিখে যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন, এখন তার অবস্থা উন্নতির দিকে। আর মুন্সটারে আক্রান্ত ব্যক্তি ‘হোম কোয়ারান্টিনে’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জনের বয়স চল্লিশের কোঠায় আর বাকি তিনজনের বয়স ত্রিশের নিচে।
দিনেদিনে জার্মানিতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। দেশটিতে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৩৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৬৯৫ জন। এদিকে জার্মানিতে বসবাসরত পাঁচ প্রবাসী বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
রোববার (২৯ মার্চ) বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য, যারা বার্লিনের বাসিন্দা। বাকি দু’জনের একজন মিউনিখ এবং অন্যজন ম্যুন্সটার শহরের বাসিন্দা।
বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, বার্লিনে করোনা আক্রান্ত পরিবারের এক পুরুষ সদস্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং সেই পরিবারের অন্য সদস্যদের অবস্থা উন্নতির দিকে।
মিউনিখে যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন, এখন তার অবস্থা উন্নতির দিকে। আর মুন্সটারে আক্রান্ত ব্যক্তি ‘হোম কোয়ারান্টিনে’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জনের বয়স চল্লিশের কোঠায় আর বাকি তিনজনের বয়স ত্রিশের নিচে।
এক ব্যক্তির জন্য ২০ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবের এ ঘটনা বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিখ ধর্মপ্রচারক বলদেব সিং (৭০) সম্প্রতি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। মৃত্যুর পর প্রকাশ হয়েছে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া, মৃত্যুর পর তার ১৯ জন আত্মীয়ের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
মৃত্যুর কিছুদিন আগে শিখদের একটি উৎসব উপলক্ষে এক জনসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বলদেব সিং। ছয় দিনব্যাপী ঐ উৎসবে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা ৫৫০ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছি যারা সরাসরিভাবে তার সংস্পর্শে এসেছিলেন। এই সংখ্যা এখন বাড়ছে। ফলে তিনি যেখানে থাকতেন তার আশেপাশের গ্রামগুলো সিল করে দিয়েছি।’
এখন পর্যন্ত ভারতে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৮৭ । এর মধ্যে ৩০ জন রোগী পাঞ্জাবের। দেশটিতে এখন ২১ দিনব্যাপী লকডাউন চলছে।
ঢাকা/জেনিস
March 29, 2020 at 08:19AM Risingbd Bangla News https://ift.tt/2JpbxWW