ঈদ মোবারক! ঈদ মোবারক!! ঈদ মোবারক!!! ঈদ মানেই প্রিয়জনদের জন্য শুভ কামনা। ঘরে ঘরে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু কেমন হবে ঈদের শুভেচ্ছা বার্তা?
ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে তো ঈদের দিন দেখা হবেই! আর যদি না হয়, চট করে একটি মেসেজ লিখে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার শুভেচ্ছা। খুব কেতাদুরস্ত কিছু লেখার দরকার নেই। কারো মেসেজ কপি করারও দরকার নেই। শুধু আপনার মনের কথাটিই লিখুন। প্রাণের কথাটি লিখতে না পারলে লিখুন, আপনি তাকে অনেক ভালোবাসেন আর তাকে মিস করছেন। এটুকু জানিয়েই ঈদ মোবারক দিন। ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে যদি মান-অভিমান চলে, শুভেচ্ছা জানিয়ে তা ভাঙাতে পারেন।
আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধব দূরে থাকলে ই-মেইল বা ডাকযোগে গ্রিটিংস কার্ড পাঠাতে পারেন। ফোন করেও শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।
বাড়ির বয়স্ক আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করে শুভেচ্ছা জানান। আপনার সঙ্গে আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করতে পারলে তারা খুশি হবেন। সঙ্গে কেক, মিষ্টিজাতীয় খাবার, হাতের কাজের শো-পিস, ফুল নিতে পারেন। গ্রিটিংস কার্ডে শুভেচ্ছা জানানোর সময় নিজে কার্ড তৈরি করে পার্সোনাল টাচ দিন। ছোটদের সারপ্রাইজ গিফট দিতে পারেন।
ঈদের দিন ছোটরা বন্ধু-বান্ধবদের কার্ড, চকোলেটের মতো গিফট দিতে পছন্দ করে। অতিরিক্ত দামি গিফট কেনার থেকে নিজ হাতে কিছু তৈরি করতে উৎসাহ দিতে পারেন।
অফিসের কলিগদের শুভেচ্ছা জানান। সেটি একটু ফরমাল হলেই ভালো। কিন্তু এক্ষেত্রেও কপি পেস্ট মেসেজ লিখবেন না। সহজ কথায় শুভেচ্ছা জানান। পরিবারের কল্যাণ কামনা করুন। প্রতিবেশীদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্যও একই পদ্ধতি নিতে পারেন।
রাত বারোটা বাজলেই ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর রীতির বেশ চল রয়েছে। আরবী ক্যালেন্ডার অনুসারে কিন্তু সূর্য ডোবার পরই ঈদের দিনটি শুরু। তবে রাত বারোটায় উইশ করার আগে খেয়াল রাখুন, ওই সময়ে শুভেচ্ছা জানালে, যাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তিনি বিরক্ত হবেন কি না।
যা করবেন না:
* ফোনে শুভেচ্ছা জানানোর সময় অকারণ গসিপ করবেন না।
* এসএমএস-এ শুভেচ্ছা জানালে একঘেয়ে ফরওয়ার্ডে মেসেজ না পাঠানোই ভালো।
* প্রথমবার ফোনে কাউকে না পেলে বা দেখা করতে না পারলে ঘনঘন তাকে বিরক্ত করবেন না।
* অফিসে আপনার বস বা ম্যাডাম, সিনিয়রদের অতিরিক্ত ব্যক্তিগতভাবে উইশ করবেন না। অফিস প্রটোকল মেনে চলুন।
* নিজে যে ভাষায় অস্বাচ্ছন্দ্য সেই ভাষায় উইশ করবেন না।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। আপনি ও আপনার পরিজনেরা আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করুন, সে কামনা করছি৷ ঈদ মোবারক।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3jTDfMo
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা এবং নতুন গিলাফ পরানোর জন্য বৃহস্পতিবার ১৬০ জন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ কারিগর ও প্রযুক্তিবিদ এই কাজে অংশগ্রহণ করবেন। প্রতি বছর ৯ জিলহজ এই প্রক্রিয়াটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করে এসে হাজিরা নতুন গিলাফে সজ্জিত পবিত্র কাবা শরিফ দেখতে পান। কাবা শরিফের কিসওয়া তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ৬৭০ কেজি খাঁটি সিল্ক। এটি কালো রঙের হয়ে থাকে। এটিতে ১২০ কেজি সোনায় মোড়ানো সুতা এবং ১০০ কেজি রূপার সুতা ব্যাবহার করা হয়। এই গিলাফ ৪৭ খণ্ডে বিভক্ত করে কাবা শরিফের চারদিক আবৃত করে দেয়া হয়।
পবিত্র কাবা শরিফের এই গিলাফ তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৫.৮ মিলিয়ন ডলার। আর পুরোনো গিলাফকে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন দেশের ইসলামিক স্কলার, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানদের উপহার হিসেবে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, মক্কার নিকটবর্তী উম্মুল জুদ নামক স্থানে কাবার গিলাফ তৈরির একটি কারখানা রয়েছে। যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্রমিক সারা বছর কাবার গিলাফ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/39CMMTc
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিজিবির গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। বিজিবির দাবি, নিহত বদরুল ইসলাম (১৮) চোরাকারবারির সাথে যুক্ত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ভোরে হাজিপুর ইউনিয়নে শুনকাবি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিজিবির গুলিতে ঘটনাস্থলেই বদরুল নিহত হয়।
নিহত বদরুল হাজিপুর ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের শাহ আত্তর আলীর ছেলে।
বিজিবি জানিয়েছে, কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৪৬ আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের এক সৈনিকের গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়েছে।
৪৬ আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কামান্ডার সুবেদার মো. আব্দুল কাদির বলেন, ভারতীয় নাসির বিড়ি নৌকা বোঝাই করে মনু নদীর এপার থেকে ওপারে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি বাঁশি বাজালে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা যখন বিড়ি একত্র করছিলো তখনই চোরাকারবারিরা ৩০/৩৫ জন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ২টি বিড়ির গাইট চিনিয়ে নেয়। পরে দা দিয়ে হামলা চালায়। তখন বিজিবির এক সৈনিক গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ নাসির বিড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষে রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে। এই সময় বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (২৯ জুলাই) এক বার্তায় ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছাড়তে থাকা নগরবাসীর প্রতি এ সব পরামর্শ দেয় ডিএমপি।
নিজস্ব প্রতিনিধি
ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষে রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে। তাই বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (২৯ জুলাই) এক বার্তায় ঈদের ছুটিতে ঢাকা ছাড়তে থাকা নগরবাসীর প্রতি এ সব পরামর্শ দেয় ডিএমপি।
সেখানে বলা হয়, বাসা-বাড়িতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করুন। বাসা-ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন। এ ছাড়া বাসা ত্যাগের আগে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন। যেসব দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় আছে, তা মেরামত করে যথাসম্ভব সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।
নিচতলায় বসবাসকারীদের ভেন্টিলেশনের জানালা বন্ধ নিশ্চিত করুন। রাতে বাসার চারপাশ আলোকিত করে রাখুন।
মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ হেফাজতে রাখতে প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে। বাসা-বাড়ি ত্যাগের আগে প্রতিবেশীদের যারা ঢাকায় অবস্থান করবেন, তাদের লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করুন এবং ফোনে যোগাযোগ রাখুন।
অনুমতি না নিয়ে যেন কেউ বাসায় প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করুন। নিরাপত্তাকর্মী না থাকলে আগন্তুকের পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে দরজা খুলবেন না। ভাড়াটিয়ারা আগেই বাসার মালিককে ঈদ উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি অবহিত করুন।
বাসা ত্যাগের আগে রুমের লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ বন্ধ করেছেন কি-না, তা নিশ্চিত হোন এবং পানির ট্যাপ ও গ্যাসের চুলা বন্ধ করুন। মহল্লা ও বাড়ির সামনে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও থানাকে অবহিত করুন।
ঈদে আপনার মহল্লা বা বাসায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে বা ঘটার আশঙ্কা থাকলে, তা স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশ/থানা/ফাঁড়িকে অবহিত করুন। বাসার গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত করুন। বাসার জানালা/দরজার পাশে কোনো গাছ থাকলে শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলুন, যাতে অপরাধীরা শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।
খুলনায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক চেয়ারম্যান নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ভোরে বাগেরহাটের রামপালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহত মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল রূপসার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
র্যাব-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওসোনুল ফিরোজ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মিনা কামাল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য তুলে ধরে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জুলাই) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৫৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ১৩৪ জন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাসের অন্যতম হটস্পট ব্রাজিলে মৃত্যু সংখ্যা লাখের দিকে ছুটে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মৃত্যু ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বরাবরের মতোই বার বাড়ন্ত।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য তুলে ধরে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জুলাই) পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৫৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ১৩৪ জন।
এই সময়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে ৬৯ হাজার ৭৪ জনের শরীরে। তাতে সরকারি হিসেবে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৫৫ হাজার।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর বৈশ্বিক তালিকায় অনেক আগে থেকেই শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ব্রাজিলের স্থান।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলের প্রকৃত চিত্র আরও ভয়াবহ। দেশটিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টেস্ট হচ্ছে না। টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হলে ২১ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসলেও সব ধরনের লকডাউন উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ব্রাজিল সরকার। এসব বিধিনিষেধের ঘোর বিরোধী দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো।
জুলাই থেকেই ব্রাজিলে দৈনিক প্রতিদিনই করোনায় ১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। জুনের মাঝামাঝি থেকেই এই সময়ের মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশটিতে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসেব মতে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার, আক্রান্ত ৪৫ লাখ ৬৮ হাজার।
আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয়স্থানে আছে ভারত, ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর তালিকায় ষষ্ঠস্থানে আছে দেশটি, ৩৫ হাজার মৃত্যু নিয়ে এই তালিকায় ষষ্ঠস্থানে আছে দেশটি।
বিশ্বজুড়ে মোট করোনারোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ, এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার মানুষের। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৬ লাখ ৯৬ হাজার। বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনারোগী রয়েছে ৫৮ লাখ ১৮ হাজার।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ছয় লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত ছাড়িয়ে গেছে এক কোটি ৭১ লাখ। ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল নাগাদ সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭১ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছে ছয় লাখ ৭০ হাজার ১৫৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক কোটি ৭০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা ছয় লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আক্রান্ত ছাড়িয়ে গেছে এক কোটি ৭১ লাখ।
শুরু থেকে করোনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান জানিয়ে আসা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল নাগাদ সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭১ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছে ছয় লাখ ৭০ হাজার ১৫৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক কোটি ৭০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ।
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ৪৫ লাখ ৬৮ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজারের বেশি লোক।
আক্রান্তে এবং মৃতের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে সাড়ে ২৫ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আক্রান্তে তৃতীয় স্থানে আছে ভারত। দেশটিতে ১৫ লাখ ৮০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৩৫ হাজারের বেশি। মৃতের হিসাবে অবশ্য ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
৪৬ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এরপরেই চতুর্থ অবস্থানে থাকা মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ। দেশটিতে আক্রান্ত চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এছাড়া ৩৫ হাজারের বেশি মৃত্যু নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা ইতালিতে আক্রান্ত আড়াই লাখের কম। শুরুতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া ইউরোপের দেশটিতে দৈনিক মৃতের সংখ্যা একেবারেই কমে এসেছে।
সাতক্ষীরায় ২ গ্রুপের গোলাগুলিতে মাদক ব্যবসায়ী নিহত
সাতক্ষীরায় মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলিতে লিয়াকত আলী নামে একজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদহা ইউনিয়নের কয়ারবিলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিয়াকত আলী সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের মৃত মোসলেম আলী সরদারের ছেলে।
সারাদেশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলিতে লিয়াকত আলী নামে একজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহত লিয়াকত আলী সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের মৃত মোসলেম আলী সরদারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাশদহা ইউনিয়নের কয়ারবিলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, লিয়াকত আলী একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। কয়ারবিল এলাকায় মাদকের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন জানান, ভোরে কয়ারবিল এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালায়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তার পাশে একটি রিভলবার, দু’রাউন্ড গুলি, একটি হাসুয়া, ৫০ বোতল ফেনসিডিল ও ২শ’ পিস ইয়াবা পড়ে ছিল।
পুলিশ তাৎক্ষণিক বুলেটবিদ্ধ ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে দশটি মামলা রয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মহামারি করোনার কারণে সীমিত করা হয়েছে এবারের হজের অংশগ্রহণ। মিনায় পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাত্রিযাপনের পর বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফাতের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন হাজিরা।
মহামারির কারণে এবারের হজের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
গোটা পৃথিবীর লাখ লাখ মুসলমানের হজ পালনের চিরায়ত দৃশ্য এবার অবলোকন করা যাবে না। এবার পবিত্র হজ পালন করবেন ১ হাজার হাজী। সীমিত পরিসরের এবারের হজে অংশ নিচ্ছেন ১৬০টি দেশের স্বল্পসংখ্যক হাজি। যাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা মাত্র ৫ জন। এবারের হজের খুৎবা বাংলাসহ দশটি ভাষায় পাঠ করা হবে।
এবারের হজে যারা অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা মক্কায় উপস্থিত হওয়ার পরপরই তাদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা ও ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের হজ শুরুর আগে ও পরে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
বিধি অনুযায়ী, হজ পালনকারীরা কাবা শরীফে ও কালো পাথরে চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না এবং শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে। হজ পালনকারী ও হজে দায়িত্বপালনকারীদের অবশ্যই সুরক্ষা মাস্ক পড়তে হবে এবং তা ব্যবহার শেষে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। হজ পালনকারীরা যেখানেই সমবেত হোন না কেন দুজনের মধ্যে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
হজযাত্রীদের উত্তম সেবা দেয়ার জন্য এ বছর মিউনিসিপ্যালিটি নিয়োগ দিয়েছে কমপক্ষে ১৮ হাজার ৪৯০ জন কর্মী। হজের পবিত্র স্থানগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২৮টি নতুন ও পূর্ণাঙ্গ সরঞ্জামে সুসজ্জিত সার্ভিস সেন্টার বসানো হয়েছে।
এসব স্থানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে কমপক্ষে ১৩ হাজার ৫০০ পরিচ্ছন্নকর্মী। পবিত্র মিনায় ৮৭ হাজার ৯০০ আন্ডারগ্রাউন্ড আবর্জনার কন্টেইনার স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৯ জুলাই) ৮ জিলহজ (সৌদি আরবে) মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন হাজীরা। আজ সারা দিন আরাফাত ময়দানে অবস্থান শেষে মুজদালিফায় যাবেন এবং রাতযাপন করবেন। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন।
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ‘উচ্চ ধাপে’ নির্ধারণ হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন উচ্চ ধাপে নির্ধারণ হচ্ছে বলে বুধবার (২৯ জুলাই) জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।
এ নিয়ে বুধবার গণশিক্ষা সচিব অর্থ সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। পরে আকরাম-আল-হোসেন ফেসবুকেও এ নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সচিব লিখেছেন, ‘… আজ অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে আপনাদের উচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণের বিষয়ে কথা বলেছি। তিনি উচ্চ ধাপে আপনাদের বেতন নির্ধারণ হবে মর্মে আমাকে কথা দিয়েছেন এবং খুব দ্রুত জিও জারি করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। এটি একটি বিশাল অর্জন।’
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সাড়ে তিন লাখ প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীম আরা নাজনীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগের ০৭/১১/২০১৯ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৬১.৩৮.০০.০০১.১৭-৩০৮ সংখ্যক পত্রের সম্মতিক্রমে এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড-১৪ (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) এবং বেতন গ্রেড-১৫ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১৩ তে উন্নীত করা হয় (সংলাপ-১) এবং প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড-১২ (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে গ্রেড-১১ তে উন্নীত করে। কিন্তু শিক্ষকগণের বর্তমান মূল বেতনের নিম ধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে অনেক শিক্ষকের বেতন কমে যাচ্ছে। এতে তারা বেতন বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন। সে কারণে মাঠ পর্যায়ে বেতন ফিক্সেশন হচ্ছে না।
সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণ শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হওয়া সত্বেও শিক্ষকগণের বর্তমান মূল বেতনের নিম্নধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মাঝে হতাশা এবং অসন্তোষ বিরাজ করছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পরিবর্তে ক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বেতন স্কেল উন্নীতকরণ ও বেতন নির্ধারণের বিষয়ে একটি শিক্ষক প্রতিনিধি দল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সচিব মহোদয়ের নির্দেশে প্রতিনিধি দলটি অর্থ সচিব মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তদপ্রেক্ষিতে অর্থ সচিব মহোদয় উচ্চ ধাপে বেতন নির্ধারণের বিষয়ে শিক্ষক প্রতিনিধি দলকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছিলেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের উন্নীত বেতন নির্ধারণে এরূপ সমস্যার অর্থ বিভাগ কর্তৃক ২৬/১১/২০১৯ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৬১.৩১.০০৭.১২-৩৪১ সংখ্যক পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করে বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে (সংলাগ-২)। একই নির্দেশনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট অসন্তোষ নিরসন হবে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এ অবস্থায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের ন্যায় সংশ্লিষ্ট বেতন স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ২৬/১১/২০১৯ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৬১.৩১.০০৭.১২-৩৪১ সংখ্যক পত্রের অনুরূপ নির্দেশনা জারির জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
ভিডিও কলে অন্তঃসত্ত্বার প্রসব করানো দৃশ্য সিনেমায় দেখা গিয়েছিলো। এবার বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটলো।
জুলাইয়ের শেষের দিকে ভারতের কর্নাটকের কিট্টুর চেন্নাম্মা স্ট্রিটের বাসবী পাথেপুরের সন্তানের জন্ম হওয়ার কথা ছিল। রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে আচমকা তার প্রসববেদনা শুরু হয়। লকডাউনের কারণে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি।
সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নার্স কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় হানাগাল তালুক হাসপাতাল সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করা যায়নি। কিন্তু এই সময় মানবিকতার নজির গড়লেন প্রতিবেশীরা। তার চিত্কার শুনে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা।
যে প্রতিবেশীরা সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন তাদের মধ্যে একজন হানাগালের বাসিন্দা জ্যোতি মাডি। বেঙ্গালুরুতে কর্মরত জ্যোতি তার প্রতিবেশী ডা. প্রিয়াঙ্কা মানতাগিকে ফোন করেন। প্রিয়াঙ্কা হুব্বালির কেএমসি-তে এমডি করছেন। প্রিয়াঙ্কা সব শুনে ভিডিও কলে নির্দেশ দিতে শুরু করেন। সঙ্গে বাসবীকেও সাহস জোগাতে থাকেন। ভিডিও কলে ডাক্তারের নির্দেশ মেনে কাজ করতে শুরু করেন তারা। অবশেষে একটি সুস্থ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বাসবী।
জ্যোতির বলেন, ডা. প্রিয়াঙ্কা সাহায্য করায় আমরা দুটো জীবন বাঁচাতে পেরেছি। এর আগে আমাদের কারও প্রসব করানোর অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে ডাক্তারের সাহস জোগানোর জন্যই আমরা এটা করতে পেরেছি।
এর আগে বলিউড সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’ এ এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিলো। কীভাবে প্রসব করাতে হবে ভিডিও কলে তার নির্দেশ দিচ্ছেন চিকিৎসক। আর পরিবারের সকলে মিলে অন্তঃসত্ত্বাকে প্রসব করাতে সাহায্য করছেন। রূপালি পর্দায় প্রবল বৃষ্টির জন্য হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি অন্তঃসত্ত্বা। আর এখানে করোনার কারণে মিললো না অ্যাম্বুল্যান্স।
১৩ বছর পর আবার রেলে পশু পরিবহন শুরু হয়েছে। প্রথম যাত্রায় জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ২৬১টি গরু নিয়ে ক্যাটাল স্পেশাল বুধবার (২৯ জুলাই) সকালে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, পশ্চিমাঞ্চলের ওয়াগন না চললেও গত মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুর থেকে ২৩০ ও মেলান্দহ থেকে ৩১টি গরু নিয়ে যাত্রা করে ‘ক্যাটাল স্পেশাল’।
মিটারগেজ ১৭ ওয়াগনের প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১৬টি গরু। খামারিদের সুবিধার্থে ওয়াগনের শেষে যুক্ত করা হয় একটি যাত্রীবাহী বগি। জয়দেবপুর, তেজগাঁওয়ে কিছু গরু নামিয়ে বাকিগুলো নিয়ে কমলাপুরের ৮ নম্বর প্ল্যাটফরমে আসে ওয়াগনটি। করোনার কারণে ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে চলছে রেল।
ঈদযাত্রায় সারা দেশে মাত্র ১৭টি আন্তনগর ট্রেন চলছে। করোনাকালে কৃষকের সুবিধায় এর আগে কৃষিপণ্য ও আমবাহী পার্সেল ট্রেন চালু করেছিল রেলওয়ে। ঈদুল আজহায় খামারিদের সুবিধায় ৭ জুলাই কোরবানির পশুবাহী ওয়াগন পরিচালনার ঘোষণা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
জুলাইয়ের প্রথম দিকে কোরবানি উপলক্ষে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রেনে করে পশু পরিবহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকায় ট্রেন পরিচালনা করতে পারছিল না রেলওয়ে।
ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, সড়কপথের তুলনায় কম খরচ রেলে। জামালপুর থেকে ট্রাকে গরুপ্রতি দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। রেলে খরচ মাত্র ৫০০ টাকা। ট্রাকে তাদের বসার ও বিশ্রামের জায়গা থাকে না, যানজটে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে গরু ভিজে যায়। পথে ট্রাক দুর্ঘটনার ভয় থাকে। কিন্তু রেলে এসব ঝামেলা পোহাতে হয়নি।
এর আগে ২০০৮ সালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ঘাট থেকে সাতটি কোরবানির পশুবাহী ট্রেন পরিচালনা করেছিল রেলওয়ে।
মৌমাছি পালন বিশ্বের অন্যতম একটি প্রাচীন পেশা এবং তুলনামূলক সহজ। প্রাথমিকভাবে বিনিয়গের পরে কম খরচে বছরের পর বছর লাভবান হওয়া সম্ভব, তাই মৌমাছি পালনকারীদের জন্য এটি যথেষ্ট ফলপ্রসূ। তাছাড়া নিজের জমিতে উৎপাদিত তাজা মধু উপভোগ করতে পারাও মন্দ নও! মৌমাছি পালনের নানাবিধ উপকারিতা ও তা রক্ষার নানা কৌশলাদি নিয়েই আজকের লিখাটি লিখতে চলেছি।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত যে, মৌমাছিরা ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন ২৫-৩০% বাড়িয়ে দেয়। তাই মৌমাছি পালন করা পরিবেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গ্রেঞ্জ কো-অপের মৌমাছি বিশেষজ্ঞ, হ্যাজেল থমাসের মতে, “মৌমাছি পালন মানুষের জন্য একটি বড় শখ। এটি লাভজনক, আকর্ষণীয় এবং ব্যয়বহুল নয়। এটির মূল্য ভালো এবং খুব অর্থনৈতিক। আগ্রহী হবার পর, যখন আপনি আপনার সরঞ্জাম পেয়েছেন তখন আপনি নিঃসন্দেহে এগিয়ে যেতে পারেন। আপনি দু তিন সপ্তাহের জন্য মৌবাক্স কে একা ছেড়ে যেতে পারেন কোনো প্রকার চিন্তা না করেই।”
মৌমাছি চাষের ইতিহাস
প্রাচীন কাল থেকে মৌমাছি চাষ করা হলেও, ১৮৫৩ সালে বিজ্ঞানী ল্যাংস্ট্রোথ আধুনিক পদ্ধতিতে মৌচাষ শুরু করেন এবং তাকেই আধুনিক মৌচাষের জনক বলা হয় । ১৮৮৪ সালে সর্বপ্রথম একজন ইংরেজ (নাম: ডকলাস) উপমহাদেশে মৌচাষের প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে ড.আক্তার হামিদ খান ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মৌচাষের সূচনা করেন । বাংলাদেশে ১৯৬৩ সালে বিসিক ( বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন) প্রথমবার মানুষকে মৌচাষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করে এবং এরপর থেকে বিভিন্ন সংস্থা মৌমাছি পালন বিষয়ে মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া, মৌবাক্স বিতরন করা ইত্যাদি কাজ চালিয়ে যায়।
মৌমাছি নিয়ে গবেষণা এবং গুণীজনদের বাণী
১৯৭৩ সালে অষ্ট্রিয়ান বিজ্ঞানি Karl Von-Frisch ‘Physiology or Medicine’ মৌমাছির জীবনচক্র’ নিয়ে গবেষনা করে নোবেল পান এবং একটি বই লিখেন যার নাম ‘The dancing bees’। তিনি প্রমাণ করেন যে, মৌমাছি তিন ধরনের। রানী মৌমাছি (সন্তান উৎপাদন করে), পুরুষ মৌমাছি (রানী মৌমাছিদের সঙ্গে প্রজননে সহায়তা করে) এবং কর্মী মৌমাছি (এরা বন্ধ্যা মৌমাছি । মৌচাক নির্মাণ, মধু সংগ্রহ সহ তাদের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে)। যখনই একটি কর্মী মৌমাছি নতুন কোন ফুলের বাগানের সন্ধান পায়, তখনই অন্য কর্মী মৌমাছিদের নতুন এই ফুলের বাগানের সঠিক দিক নির্দেশনা জানিয়ে দেয়।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর বলেন, “সকল পানীয় উপাদানের মধ্যে মধু সর্বোৎকৃষ্ঠ।”
এ কথা দ্বারা স্পষ্ট যে মধু নিঃসন্দেহে উপকারি । পরবর্তীতে বিজ্ঞানের গবেষনা দ্বারা মধুতে উপস্থিত উপাদান গুলো সম্পর্কে জানা যায়। চলুন জেনে নেই সেগুলো: মধুর প্রধান উপকরণ হলো সুগার, যার মধ্যে ডেক্সট্রোজ,, ম্যালটোজ, গ্লুকোজ, লেভিউলোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। প্রতি ১০০গ্রাম মধুতে ২৮০-৩০৪ গ্রাম ক্যালরি পাওয়া যায়। মধুতে নিয়াসিন, রাইবোফ্লাভিন ,ভিটামিন বি, এমাইনো এসিড, প্যান্টোথেনিক রয়েছে, এছাড়াও ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফরফরাস, পটাশিয়াম, দস্তা, তামা ইত্যাদি খনিজে ভরপুর মধু। মধুতে কোন ফ্যাট বা কোলেস্টেরল থাকেনা। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু আক্রমণ রোধ করে কিংবা প্রতিকার করতে পারে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মৌমাছিপালন কিংবা মৌচাষের উপকারিতা
উৎপাদিত সুস্বাদু মধু : মধু ৪৫ রকমের খাদ্য উপাদান বহন সহ পুষ্টিতে ভরা একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি তরল। মধু সেবনে সর্দি কাশি উপশম হয় (এক চা চামচ মধু + এক চা চামচ বাসক পাতার রস/তুলসী পাতার রস/ আদার রস/আমলকী), আমাশয় ও পাতলা পায়খানা ভালো হয় (গরম পানি + দুই-আড়াই চামচ মধু মিশিয়ে বারবার খেতে হবে)। শরীরের চর্বি কমায় ( রোজ সকালে গরম পানি +এক চা চামচ লেবুর রস + এক চা চামচ সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে হবে)। এছাড়াও মধু স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ক্ষতের চিকিৎসায় মধু ব্যবহার করা হয়, অ্যালার্জি থেকে মুক্তিতেও মধু দারুন কাজ করে, ত্বকের সমস্যায় মধুর ব্যবহার কার্যকরী এবং পুরোনো, মাথায় খুশকির সমস্যাও মধু ব্যবহারে সমাধান হয়, এমনকি মধু খেলে আয়ু বৃদ্ধি পায়।
মোম: মোম মৌচাকের একটি পণ্য। মোমবাতি, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরিতে (ক্রিম, লিপস্টিক) ইত্যাদিতে মোম ব্যবহার করা হয়।
মৌমাছির বিষ: মৌমাছিদের বিষও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে - মৌমাছি স্টিং থেরাপিতে। বাত রোগ এবং বাতজনিত / অন্যান্য প্রদাহজনক / চিকিৎসা পরিস্থিতিতে ভোগা রোগীদের সাফল্যের সাথে পরিচালিত হয়।
পরাগায়নের সুবিধা: নিজস্ব বাগানে মৌমাছি পালনের একটা বড় সুবিধা হলো এরা পরাগায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে, ফলে বাগানের উৎপাদন ফল,সবজি স্থানীয় অর্থনীতিতে সহায়তা করে।
রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন কম: মৌমাছিরা কঠোর পরিশ্রম করে এবং এদের সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয়, খুব একটা খেয়াল রাখা কিংবা সবসময় সময় দিয়ে রক্ষনাবেক্ষন করার দরকার হয়না।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায়: প্রাকৃতিক জীবন প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ায় মৌমাছি ফুল পরাগায়িত করে এবং উপকারী মধু তৈরি করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য কে গভীরভাবে সন্তুষ্ট রাখে।
মৌচাষে বিনিয়োগ ও লাভ
প্রকৃতিতে চার প্রকারের মৌমাছি পাওয়া যায়। সেগুলো হলো- অ্যাপিস মেলিফেরা, অ্যাপিস সেরানা অ্যাপিস ডরসেটা ও অ্যাপিস ফ্লোরিয়া । বাংলাদেশে অ্যাপিস সেরানা প্রজাতির ৫টি মৌ বাক্স স্থাপন এবং সরঞ্জামাদি জন্য মোট বিনিয়োগ করতে হবে ১৫-১৬ হাজার টাকা। প্রতি বছর ৫-১০ কেজি মধু উৎপাদিত হয় এবং ১০-১৫ বছর অবধি অব্যাহত থাকবে ।
অন্যদিকে অ্যাপিস মেলিফেরা প্রজাতির ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যয় হবে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা। এক্ষেত্রেও ১০-১৫ বছর পর্যন্ত আর তেমন কোন অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না। মেলিফেরা প্রজাতির প্রতিটি মৌ-বাক্স থেকে বছরে ৫০ কেজি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রতি কেজি মধুর মূল্য অবস্থান এবং গুনমানভেদে ২৫০-৩৫০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
বাংলাদেশে মৌচাষের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও সম্ভাবনা
দেশে মধু উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে প্রায় ১৮ হাজার মৌচাষি। চাষি ছাড়াও বিভিন্নভাবে মধু শিল্পে কর্মরত আছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারাদেশে মৌ চাষের আওতায় জমির পরিমাণ ৮৯,০৩৭ হেক্টর। বর্তমানে ২ হাজার মৌ খামার ও ৫৬,৬৮৮ টি মৌবাক্স স্থাপিত রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১,১৫১ জন সক্রিয় মৌখামাড়ি মৌ পালনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। ৭ টি বেসরকারি মধু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৭টি মৌচাষিদের সংগঠন রয়েছে।
বর্তমানে উৎপাদিত মধুর পরিমাণ প্রায় ৭০০-৮০০ মেট্রিক টন। (সূত্র: AIS)
২০১৯-২০ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মধু উৎপাদনে শীর্ষ দেশ চীন। এশিয়ার মাঝে ভিয়েতনাম এবং ভারতের মধু রপ্তানীতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য স্থান। দেশের বাজারে মধু সরবরাহের পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন ভারত, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ইত্যাদি দেশে মধু রপ্তানি করছে। মধু রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৩ তম এবং আমদানিতে ৬৬ তম।
দেখা গেছে, বাংলাদেশে যে পরিমাণ জমিতে সরিষা, লিচু, আম, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয় তার মাত্র ১০ ভাগ জমিতে মৌ চাষ হয়। তাই বলা যায় যে, মধু চাষে বাংলাদেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। শতভাগ জমি যদি মৌ চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে ফসল উৎপাদন যেভাবে বাড়বে, মধু উৎপাদনও অনুরুপভাবে বাড়বে।
মৌমাছি রক্ষায় করণীয়:
মৌমাছি রক্ষায় ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেরই সমান ভূমিকা রয়েছে। নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ করছি-
বাগান তৈরি: মৌমাছির অন্যতম বড় হুমকি হলো, নিরাপদ আবাসের অভাব, যেখানে তারা ঘর তৈরি করতে পারবে। গ্রামাঞ্চলে গাছপালা, ক্ষেত কিংবা কিছু বন জঙ্গল থাকায় মৌমাছিরা আবাস স্থল পেয়ে যায়, কিন্তু শহরাঞ্চলে বড় বড় দালানের ভিড়ে এটা সম্ভব হয়না। ক্রমশই গ্রামগুলো শহরে পরিনত হওয়ায় মৌমাছিরা অসহায় হয়ে পড়ছে। মৌমাছি বিভিন্ন ধরণের খাবারের পুষ্টিকর উৎস খুঁজে পেলেই সেই স্থানের কাছে বাসা বাঁধে, সেক্ষেত্রে একটি বাগান তৈরি ই হতে পারে মৌমাছি রক্ষার প্রথম ধাপ। মৌমাছি চাষ করতে চাইলে বাগানের বিকল্প নেই। তবে প্রাকৃতিক মৌমাছির কথা ভেবে বাগান না তৈরি করতে পারলেও প্রত্যেকটি বাড়ির বারান্দায় কিংবা ছাদে লাগানো যেতে পারে নানান ফুল, ফল এবং সবজির গাছ তাতে করে খাবারের অভাব বোধ না করে শহরাঞ্চলেও মৌমাছিরা বাসা বাধতে পারবে নিশ্চিন্তে!
মৌমাছি বাথ তৈরি: মৌমাছি এবং অন্যান্য উপকারী মাছি/প্রজাপতিরা মধু খেয়ে কিংবা সংগ্রহ করে বেশ তৃষ্ণার্ত থাকে, তাই বাগানের ছায়াযুক্ত স্থানে একটা বাথ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে একটি অগভীর বাটি নিয়ে তাতে কয়েকটি নুড়ি পাথর দিতে হবে এবং জল দ্বারা পূর্ন করে দিতে হবে, যেন মৌমাছিরা সেখান থেকে পানি খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারে। প্রতিদিন বাটিতে পানি বদলে দিতে হবে এবং বাটি মাঝেমাঝে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার রোধ: ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে লোকালয়ে আশঙ্কাজনকভাবে মৌমাছির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এতে ফসলের ফলনও কমে যাচ্ছে। মৌমাছি আশেপাশের ফসল এবং শোভাময় উদ্ভিদের ফুলগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করে পরাগায়ন ঘটায় তাই মৌমাছি কে দুর্বল করতে পারে এমন পদার্থগুলো ব্যবহার না করা অত্যাবশ্যক। রাসায়নিক বালাইনাশল এর প্রভাবে মৌমাছি রা মারা যায়। জৈব বালাইনাশক প্রকৃতির উপাদান থেকে তৈরি করা হয়, যেমন— অ্যালামান্ডার নির্যাস, রসুন, নিমগাছের ডাল, পাতা ও রস, তামাক, মুরগির পচনশীল বিষ্ঠা, সরিষার খৈল, লাইমো ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন ধরনের অণুজীব ও জীবাণু। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে কৃষিকাজ করা শুরু করতে হবে। যেসব কৃষক জৈবিকভাবে ফসল উৎপাদন করে তাদেরকেও একইসঙ্গে সমর্থন করতে হবে। তাদের পন্য বেশি মাত্রায় কিনে।
মৌচাষীদের সাহায্য করা: সময় কিংবা জায়গার সল্পতার জন্য সবার পক্ষে হয়তো মৌমাছি পালন সম্ভব হয়না, কিন্তু খরা কিংবা অন্যান্য জটিলতায় কাছাকাছি মৌচাষে উদ্যোগীদের যেন ব্যবসায় কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য যতটুকু সম্ভব সাহায্য করতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দান: স্থানীয় মধু কিনে স্থানীয় মৌমাছি পালনকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। বিভিন্ন কোম্পানীর দেশ বিদেশ থেকে আসা মধুর বিপরীতে, সরাসরি চাক ভেঙে আনা কাঁচা মধু ক্রয় করে মধু চাষীদের উৎসাহ দিতে হবে। মৌমাছি পালনের বহুল প্রচলন আমাদের দেশের বেকারত্ব নিরসনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হতেই পারে। আর যদি মৌচাষ ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা আশীর্বাদ স্বরূপই বিবেচিত হবে। সরকার, আধুনিক মিডিয়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবাই এই সেক্টরে মনযোগ দিলে দ্রুতই এর প্রভূত উন্নতি সম্ভব।
লেখক: সাদিয়া রহমান, শিক্ষার্থী, এগ্রিকালচার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সোহেল তাজ ও তাজউদ্দিন সাহেবের কন্যাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো, আপনারা বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে দেখা করুন। তাজউদ্দিন আহমেদ এবং জোহরা তাজউদ্দিন আজ জীবিত নেই, শেখ হাসিনাই আপনাদের বাবা, মা, বড় বোন সবকিছু।
এইচ রহমান মিলু
বিএনপি নেতারা প্রায়ই বলতেন আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, তবে... কিন্তু... ইত্যাদি.... ইত্যাদি ...! গত কয়েকদিন ধরে তাজউদ্দিন আহমেদ নিয়ে আমারই ভাই বোনদের উক্তিটাও আমার কাছে তেমনই লাগছে। আমরাও তাজউদ্দিন আহমেদকে সন্মান করি, বঙ্গবন্ধুর ডান হাত তাজউদ্দিন বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে জীবন দিয়েছেন, তবে...কিন্তু...ইত্যাদি...ইত্যাদি...! বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদের জন্মদিবস থেকে শুরু হওয়া তাজউদ্দিন বধ প্রজেক্ট কে বা কারা শুরু করে? তার মেয়ের লেখা বই নিয়ে যদি ব্যাবচ্ছেদ করতে হয় তবে কি বছরের বাকি ১১ মাসে তা করা যায় না? আপনারা কত বড় বিশাল দেশপ্রেমিক আর মুজিব সেনা হয়ে গেছেন যে আপনাদের কাছে তাজউদ্দিনের পরিবারকে প্রমাণ দিতে হবে যে তারা বঙ্গবন্ধুকে কতটুকু মানেন, কত স্কয়ারফুট শ্রদ্ধা করেন?
যে বই নিয়ে তাজউদ্দিনের পরিবারকে হেয় করতে উঠে পড়ে লেগেছেন সেই বই ১৭ কোটি মানুষের দেশে হাজার খানেক বিক্রি হয়েছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আপনাদের লেজে কেরোসিন লাগিয়ে হাতে জ্বলন্ত কাঠি ধরিয়ে দিলো রাজাকারের নাতি আর গণভবনকে হাওয়া ভবন করতে যাওয়া এক ভাই। আপনারা নিজ দায়িত্বে সেই জ্বলন্ত কাঠি দিয়ে নিজের লেজে আগুন ধরিয়ে লংকাকাণ্ড করতে শুরু করলেন। একবারও ভাবলেন না যে পৃথিবীর এমন কোনো ব্যক্তির নজির নেই, যার সন্তানদের এবং গোটা পরিবারকে বেইজ্জতির মাধ্যমে সেই লোকের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা সম্ভব।
সোহেল তাজকে আজ ছাগল বলে যে অর্বাচীনটা ফেসবুকে লিখছে, সে কতবড় আওয়ামী লীগ? কোন যোগ্যতায় তারা এসব অপমান করতে সুযোগ ও সাহস পাচ্ছে? সংসদ ভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে সৎ, বিশ্বস্ত এবং জীবন গেলেও বেঈমানি করবেন না তাজউদ্দিন সন্তানদের মতো এমন সাংসদ জরুরি? নাকি, পরিস্থিতি বেগতিক হলেই এবং নিজের ফায়দা পেলেই নেত্রীর সাথে পল্টি মারা লোক জরুরি? এসব কিন্তু ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত কম হয়নি। তাজউদ্দিন বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করে শেষে খন্দকার মোশতাকেরা সফল হয়েছিলো। ফলাফল কি হলো সেদিন? বঙ্গবন্ধুকে চিরতরের জন্য হারালাম, হারালাম তার পুরো পরিবারকে।
খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিলো আজকের এই কুচক্রি ভাইদের মতো অনেকে। অনেকে মুচলেকা দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে দূরে থাকলো। কিন্তু সেই দিন তাজউদ্দিন আহমেদসহ জাতীয় চার নেতার কেউ বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি। তারা চাইলে মোশতাকের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা এবং জীবন দুটোই সুরক্ষিত করতে পারতেন। খন্দকার মোশতাক এবং জিয়া খুব ভালো করেই জানতেন তাজউদ্দিনের মাথার দাম কত। একবার যদি তাকে ভেড়ানো যেতো তবে আজ আমরা ইতিহাসটা কেমন পেতাম? জীবন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করেও কেনো বার বার তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি কতটা যোগ্য এবং যৌক্তিক ছিলেন?
এইচ রহমান মিলু, লেখক
কতবার তার সন্তানেরা প্রমাণ দেবেন যে তারা বেঈমান না, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের জন্য তারা জীবন দিতে জানেন? আজ যারা তাজউদ্দিনের পরিবার নিয়ে নোংরামিতে মেতেছেন, বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে বই লিখেছে বলে অভিযোগ করছেন, তারা কি কেউ বইটার প্রকাশনা বাতিলের মামলা করেছেন? ২০১৪ সালে প্রকাশিত এই সব কটা বই বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার পড়া, তারা কি কখনও মনে করেছেন যে এখানে বঙ্গবন্ধুকে হেয় করা হয়েছে? তারা মনে করেননি কেন জানেন? কারন তারা বঙ্গবন্ধুর উচ্চতা জানেন, আপনার মতো বায়বীয় আবেগে তারা বঙ্গবন্ধুকে বিচার করেন না। বইয়ের লেখক কে তারা ছোটবেলা থেকেই আদর করেছেন নিজের আপন বোনের মতো করে। এই মেয়ের লেখায় বঙ্গবন্ধু কোথাও ছোট হবেন না তা তারা ভালো করেই জানেন। কারণ বঙ্গবন্ধু এই মেয়েরও আবেগের জায়গা, যার জন্য তার বাবা নিজের জীবন কোরবানি করে দিতে পারে তার প্রতি অভিমান জমতে পারে, অশ্রদ্ধা জমবার কোনো সুযোগ নেই।
আপনাদের অতি ইমোশনে আজ আবারও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পক্ষে যুদ্ধ করা অনলাইন আ্যক্টভিস্ট দুই ভাগে বিভক্ত। সুযোগে মাথা গলাতে শুরু করেছে প্রথম আলোর মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমানেরা। তাদের ভাড়া করা লোকজন দিয়ে সোহেল তাজের পোস্টে কমেন্ট দেওয়াচ্ছে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন দাঁড় করাবার। উদ্দেশ্য একটাই, শেখ হাসিনাকে দূর্বল করা, তার পাশ থেকে সৎ ও বিশ্বস্তজনদের সরিয়ে ফেলা। আপনাদের মগজ কম ব্যবহার করে ইমোশনটা ফুল ভলিউমে ব্যবহার করবার কুফল কি এখনও টের পাচ্ছেন না?
বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে একজন সৈয়দ আশরাফের শুন্যতা আমরা যখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি, সেখানে বিকল্প হিসেবে কি সোহেল তাজকে মনে মনে চাইনি? এর বাইরে একটা নাম কি কারো বলতে পারবেন যিনি সৈয়দ আশরাফের মতো বিশ্বস্ততা ও সততা নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে থাকবেন? বিগত ১২ বছর ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবার কারণে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আজ ভয়াবহ দুর্বল অবস্থায় আছে তা কি জানেন? আশরাফ সাহেবের বিদায়ের পর আওয়ামী লীগে হাইব্রিড ও কাউয়া শব্দটার সাথে আমরা প্রথম পরিচিত হই, যা এখন আমাদের কাছে দৈনন্দিন জীবন যাপনের একটি অংশ বনে গেছে। এই সর্বনাশের মাত্রাটা আর বাড়াবেন না।
দেশে একদল যেমন ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়ে দেশে ইসলামের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে, আনাচে কানাচে জঙ্গি পয়দা করছে, তেমনি শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি বঙ্গবন্ধুপ্রেমী হয়ে আরও কিছু অর্বাচীন পয়দা হয়ে দলটাকে খন্ড বিখন্ড করছে বুঝে ও না বুঝে। পরিশেষে সোহেল তাজ ও তাজউদ্দিন সাহেবের কন্যাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো, আপনারা বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে দেখা করুন। তাজউদ্দিন আহমেদ এবং জোহরা তাজউদ্দিন আজ জীবিত নেই, শেখ হাসিনাই আপনাদের বাবা, মা, বড় বোন সবকিছু। অভিমান করবার যত বড় যৌক্তিক ও অযৌক্তিক কারণ থাকুক না কেন, একটা সত্য তো অস্বীকার করেননি কখনও যে, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মতো আপন আপনাদের এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই। অভিমানেরও একটা সীমা থাকে, সমাপ্তি থাকে, মায়ের মতন বড় বোন শেখ হাসিনার কাছে আপনারা ভাই বোন মিলে চলে যান। কিছুক্ষণ আবেগে কাঁদলেও সকলের মন হাল্কা হবে। আড়ালে থেকে কুটচাল চালাবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে অনেক রথি মহারথিদের। দেশের জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য এই মুহূর্তে এই দৃশ্যটা সবচেয়ে জরুরি।
মুহাম্মাদ মনজুর হোসাইন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং পুলিশ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), জনাব একে ফজলুল হক সহ রামগঞ্জ থানাধীন হরিশ্চর সাকিনে অভিযান পরিচালনা করিয়া ৫ কেজি গাঁজা সহ ২জন আসামী গ্রেফতার করেছে।
২৯/০৭/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত জনাব একে ফজলুল হক সঙ্গীয় এস.আই সঞ্জয় দাস,আঃ হান্নান,লিটন চাকমা,এ.এস.আই জাহাঙ্গীর আলম,সোহবার হোসেন,বাবুল রায়,শরীফুল ইসলাম,সোহরাব হোসেন সহ রামগঞ্জ থানাধীন হরিশ্চর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ মুনসুর আলী (২৫) পিতা-মোঃ বকুল মিয়া ২। মোঃ সবুজ (২০) পিতা-মোঃ হোসেন উভয় সাং-দক্ষিন হরিশ্চর (কুরিচ্ছার বাড়ী), থানা-রামগঞ্জ জেলা-লক্ষ্মীপুর গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য আইনের নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। তাহাদেরকে আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সূত্র: লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3jUvO7t
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাশ একটি অডিও বার্তায় দেশবাসীকে ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং এটি মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।’
শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আস্সালামু আলাইকুম, আমি শেখ হাসিনা, বছর ঘুরে আবার পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের মাঝে এসেছে। আমি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, করোনাভাইরাস মহামারীর সব অন্ধকার কাটিয়ে ঈদুল আজহা সবার মাঝে আনন্দ বয়ে আনবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বার্তাটির শেষে, তিনি করোনাভাইরাসের বিস্তার বন্ধে স্বাস্থ্য নির্দেশিকাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়ে সবার উদ্দেশে বলেন, ‘ভাল থাকুন এবং সুরক্ষিত থাকুন, ঈদ মোবারক!’
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2Xb2TlZ
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের পাঁচটি বুধবার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে পৌঁছাবে বুধবার (২৯ জুলাই)। ইতোমধ্যে বিমানগুলো ফ্রান্স থেকে রওনা হয়েছে। প্রথম ব্যাচের পাঁচটি বিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রোনে যোগ দেবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের পাঁচটি বুধবার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে পৌঁছাবে বুধবার (২৯ জুলাই)। ইতোমধ্যে বিমানগুলো ফ্রান্স থেকে রওনা হয়েছে। প্রথম ব্যাচের পাঁচটি বিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রোনে যোগ দেবে।
বহুল কাঙ্ক্ষিত রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম ব্যাচ দেশের পথে রওনা হতেই ভারতে উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ‘গোল্ডেন অ্যারো বা সোনার তির’ নামে পরিচিত রাফালের অন্তর্ভুক্তি ঘিরে সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত বিমান বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা।
তাদের মতে, ভারতের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে রাফাল। কিন্তু কেন এই যুদ্ধবিমান ‘গেম চেঞ্জার’?
হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলা সংস্কণে বলা হয়, গত ১৯৯৭ সালের পর ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কোনো বিদেশি যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বিমান বাহিনীর হাতে ‘বয়স্ক’ যুদ্ধবিমান ছিল। রাফাল অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষত চীন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার পরিস্থিতিতে ভারতের হাত পোক্ত করবে রাফাল। নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতের সামরিক শক্তি একলাফে অনেকটা বাড়বে।
দুই ইঞ্জিনের এই যুদ্ধবিমান স্থল, সমুদ্র, আকাশ- সর্বত্র হামলা চালাতে পারে। শত্রুপক্ষের অবস্থান খুঁজে বের করে তাদের নিশানা করতে পারে।
শুত্রুপক্ষ কোনো এলাকা দখল করে থাকলে সেখানে খুব নীচ থেকে হামলা চালানো কঠিন। সেক্ষেত্রে নিজেদের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। রাফাল উঁচু থেকেই সেই কাজটা করতে পারে। শত্রুপক্ষকে নিখুঁত নিশানা করে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে প্রায় ১০ টন ওজনের অস্ত্র বইতে পারে সেই যুদ্ধবিমান।
এছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী একাধিক বৈশিষ্ট্য থাকছে রাফালে। এতে র্যাডার ওয়ার্নিং রিসিভার থাকছে যা শত্রুপক্ষের সেই রেডিও সিগনাল চিহ্নিত করতে পারে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের সুবিধা আছে। তাতে ১০ ঘণ্টার ডেটা রেকর্ড করা যাবে।
পাইলটদের হেলমেটে যাবতীয় তথ্য দেখার সুবিধা রয়েছে। ইনফ্রারড সার্চ এবং ট্র্যাকিং সিস্টেম আছে রাফালে। একইসঙ্গে আছে জ্যামার।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা (অব.) বলেন, রাফাল ভারতীয় বিমান বাহিনী যুদ্ধ জয়ের হাতিয়ার হবে এবং চীনের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার সময়ে বড়সড় মনোবল বাড়াবে।
এর আগে ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথমটি গত বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকে পায় ভারত। তখন যুদ্ধবিমান হাতে পেয়েই এক চক্কর উড়ান দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেন অস্ত্র পূজাও।
ফরাসি সংস্থা দাসোঁ অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। ২০১৬ সালে হওয়া ৫৯ হাজার কোটি রুপির চুক্তি অনুযায়ী ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান পাবে ভারত। আগামী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবক’টি বিমান ভারতে পৌঁছাবে।
ইতালিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। তবু দ্বিতীয় দফা মহামারি ঠেকাতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী জরুরি অবস্থার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে আবেদন জানালে তা অনুমোদন দেয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ।
এদিকে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পেছনে কন্তের বিরুদ্ধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিলাষ খুঁজে পাচ্ছিল বিরোধী দল। এরপরও উচ্চকক্ষের সিনেটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিপক্ষে ১৫৭-১২৫ ভোট পড়েছে।
রোমে ৩১ জানুয়ারি দুজন কোভিড রোগী শনাক্তের পর ৬ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সিনেটে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাইরাসটির বিস্তার এখনও থামেনি। এখনই কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ তুলে নেওয়া হবে বোকামী।
অবশ্য এ বছরের শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন কন্তে।
ইউরোপীয় দেশ ইতালিতে মহামারি শুরুতেই ভয়াবহ থাবা বসায়, তাতে ২ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ৩৫ হাজার।