Need full solution for a business, Software management Apps Website Payment gateway services Etc. Please suggest or refer some ... @ (https://ift.tt/3ivsG0h) by Romeo Hasan Heem from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
Need full solution for a business,
Software management
Apps
Website
Payment gateway services
Etc.
Please suggest or refer some expert company details
Thanks
(Feed generated with FetchRSS) Need full solution for a business, Software management Apps Website Payment gateway services Etc. Please suggest or refer some ... @ (https://ift.tt/3ivsG0h) by Romeo Hasan Heem from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
প্রতিযোগিতা নয় সহযোগীতা হোক আমাদের ব্রত! দুজন ভালো মানুষের সাথে ফ্রেমবন্দী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। @ (https://ift.tt/34l5ZXt) by Riad Hasan Badsha from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
প্রতিযোগিতা নয় সহযোগীতা হোক আমাদের ব্রত!
দুজন ভালো মানুষের সাথে ফ্রেমবন্দী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
(Feed generated with FetchRSS) প্রতিযোগিতা নয় সহযোগীতা হোক আমাদের ব্রত! দুজন ভালো মানুষের সাথে ফ্রেমবন্দী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। @ (https://ift.tt/34l5ZXt) by Riad Hasan Badsha from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
Live at Thu, 01 Oct 2020 16:05:00 +0100 @ (https://ift.tt/33m1gFC) by মোঃ রুহুল কুদ্দুস from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
Live at Thu, 01 Oct 2020 16:05:00 +0100
(Feed generated with FetchRSS) Live at Thu, 01 Oct 2020 16:05:00 +0100 @ (https://ift.tt/33m1gFC) by মোঃ রুহুল কুদ্দুস from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
ইসলামপুর থেকে কেউ আমাকে পাইকারিতে টপস/গাউন দিতে পারবেন শুধু যাদের পাইকারি দোকান আছে। @ (https://ift.tt/3n98Xqw) by Suha Khan from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
ইসলামপুর থেকে কেউ আমাকে পাইকারিতে টপস/গাউন দিতে পারবেন শুধু যাদের পাইকারি দোকান আছে।
(Feed generated with FetchRSS) ইসলামপুর থেকে কেউ আমাকে পাইকারিতে টপস/গাউন দিতে পারবেন শুধু যাদের পাইকারি দোকান আছে। @ (https://ift.tt/3n98Xqw) by Suha Khan from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নিকে 'মাস্টারমাইন্ড' বলা হয়। সে কারণে মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে 'মাস্টারমাইন্ড' কথাটা হয়ে ওঠে 'টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড।"
খোলামত
সোহেল সানি
চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নিকে 'মাস্টারমাইন্ড' বলা হয়। সে কারণে মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে 'মাস্টারমাইন্ড' কথাটা হয়ে ওঠে 'টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড।"
কেননা এমন একটি লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের রায়ের জন্য দেশবাসীর ন্যায় প্রবাসীরাও অধীর ছিলো। রায় ঘোষণার পরপরই এ খবর ছড়িয়ে পড়ে ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক গণমাধ্যমে।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয় সর্বমহল থেকে। বিশেষ করে এতো অল্পসময়ের মধ্যে রিফাত হত্যা মামলার রায়দানের ঘটনা বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থাও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের রায় সম্পর্কে আগাম কিছু কথাবার্তা এবং তার সঙ্গে মাননীয় বিচারকের রায়ের বা পর্যবেক্ষণের তথ্য-উপাত্তে মিল খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। মাননীয় বিচারক পর্যবেক্ষণে এমন উক্তি করেননি বলে মিডিয়াতেও হৈচৈ পড়ে গেছে। রাষ্ট্রপক্ষ স্বীকার করেছে রায়ের অনুলিপিতেও এরকম পর্যবেক্ষণমূলক মন্তব্য নেই। মিন্নির আইনজীবী উচ্চ আদালতে শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলেছেন। একই কথা বলেছেন মিন্নির বাবাও। যাহোক এখন অপেক্ষার পালা। শিরোনামের প্রসঙ্গে ফিরে আসছি।
'মাস্টারমাইন্ড' আসলে কী? অতি সাধারণের তা বোধগম্য হবার কথা নয়। কারণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কোথাও মাস্টারমাইন্ড শব্দটার ব্যবহার হয়নি।
মাস্টারমাইন্ডের ধারণার আবিষ্কারক নেপোলিয়ন ও এন্ডু কার্নেগী। যদিও তারা এ তত্ত্বের আবিষ্কার করেন গঠনমূলক ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য কিন্তু এর ব্যবহার হচ্ছে নানা অপকর্মে, হত্যাযজ্ঞে ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে।
মূলত, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অসংখ্য মনের মহামিলনকে মাস্টারমাইন্ড বলা হয়। আরেকটু খোলসা করে বললে, দুই বা ততোধিক মানুষ যখন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে একসঙ্গে মিলেমিশে এগিয়ে যায়, তাকেই মাস্টারমাইন্ড বলা হয়। অর্থাৎ মাস্টারমাইন্ড বলতে আসলে একদল মানুষকে বোঝায়, যাদের মাঝে থাকে মনের ও উদ্দেশ্যের মিল।
প্রকৃতি এক-এক মানুষকে ক্ষমতা দিয়েছে এক-এক রকম। মানুষের মনকে ইলেক্ট্রিক ব্যাটারির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। একটা ব্যাটারির তুলনায় দুটি ব্যাটারির শক্তি স্বাভাবিকভাবেই বেশী। যে টর্চলাইটে চারটা ব্যাটারি লাগে, সে টর্চলাইট তো তিনটা ব্যাটারিতে জ্বলবে না। এক-এক মানুষের মনের ক্ষমতাও এক-এক রকম। একদল মানুষের মন যদি একসঙ্গে হয়ে কোনো নির্দিষ্ট কাজে নামে, তাহলে সে কাজটা অনেক সহজে সম্পন্ন হয়ে যায়। অথচ ওই নির্দিষ্ট কাজ একজন মানুষের পক্ষে করা একেবারেই অসম্ভব। এ সমস্যা থেকেই মাস্টারমাইন্ড ধারণার জন্ম হয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে মাস্টারমাইন্ডের রয়েছে সীমাহীন ক্ষমতা।
মাস্টারমাইন্ড তৈরি করার আগে নিজের মনের ক্ষমতাকে সুসংগঠিত করতে হয়। নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় সর্বাগ্রে। তা না হলে অন্যের মন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।
মাস্টারমাইন্ড তৈরি হয় এভাবে, একজন ব্যক্তি একদল মানুষের একটা তালিকা তৈরি করলো, যাদের সে মাস্টারমাইন্ডে রাখতে চায়। এবার করলো যোগ্যতরদের তালিকা। তালিকাভুক্তদের মধ্যে কার কার ওপর নির্ভর করা যায়, আনুগত্যপ্রবণ কতটুকু, কার কি বিশেষ ক্ষমতা আছে যা কাজে লাগবে, সর্বোপরি বিশ্বাসের মূল্য রক্ষা করবে কিনা, যদি এসব প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে তালিকাভুক্তদের মধ্য থেকে মাস্টারমাইন্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কারো মাঝে কোনো অবহেলা বা খুঁত ধরা পড়লে তাকে মাস্টারমাইন্ড থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
লক্ষ্য অর্জন বা হাসিলের আগে এবং পরে মাস্টারমাইন্ড সদস্যদের মাঝে উৎফুল্লভাব জিইয়ে রাখতে হয়। সবার প্রতি সবার সহমর্মিতা থাকতে হয়। লক্ষ্য অর্জনের জন্য সময় ও দিন ঠিক করে সদস্যদের কাজটা বুঝিয়ে দিতে হয়। লাভ হলে সবাইকে মূল্যায়ন করতে হয়। নিজের সাফল্য সবার সঙ্গে ভাগ করতে পিছপা হলে সংকট অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। নেতৃত্ব কালও হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যেমন চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যায় কে মাস্টারমাইন্ড পরিকল্পনার প্রধান কে আর কে না, সেটার চেয়েও বড় বিষয় হলো এই হত্যাকান্ডটি একটি নিঃসন্দেহে মাস্টারমাইন্ড। নয়ন বন্ড পুলিশের কথিত ক্রসফায়ারে নিহত না হলে আরও অজানা সত্য হয়তো বেরিয়ে আসতো। যেহেতু বলা হয়, নয়ন বন্ডের পরিকল্পনাতেই রিফাত হত্যা সংঘটিত হয়েছে। তাহলে নয়ন বন্ডই মাস্টারমাইন্ড কিনা সেটা পরিস্কার হতো। যাহোক, নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ছয় জনের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। বিচারকের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছিল পর্যবেক্ষণে মিন্নিকে এই হত্যার 'মাস্টারমাইন্ড' বলা হয়েছে। যা গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই এনিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়ের গড়মিলকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলছেন পর্যবেক্ষকরা।
জানাযায়, ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে বক্তব্যটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নির আইনজীবীও। মিন্নি রায় ঘোষিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশেই তার বাবার কাছে নির্দিষ্ট কতগুলো শর্তে জামিনে ছিলেন। মিন্নির বাবাও রায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ন্যায় বিচারেরর জন্য উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলছেন। শুরুতেই সিফাত হত্যা মামলাটির প্রধান সাক্ষী এবং প্রত্যক্ষদর্শী মিন্নিকে নিয়ে বিশ্বাস অবিশ্বাসের সূত্রপাত ঘটে। ভিডিও ফুটেজও মামলার গতিপ্রকৃতিতে বিরাট প্রভাব রাখে। নয়ন বন্ড পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যায়। মিন্নিকে সাক্ষীর স্থলে করা হয় আসামি।
তাই জনমনে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আদালতের রায় ঘোষিত হওয়ার পর সেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার অবসানও ঘটেছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য এবং মাননীয় বিচারকের অনুচ্চারিত মাস্টারমাইন্ড শব্দটির ব্যবহার ও প্রচারে আবারও জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার জন্ম দিলো।
বিচার প্রার্থীকে উচ্চ আদালতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। একইভাবে তাকিয়ে থাকতে হবে জনগণকে উচ্চ আদালতের রায়ের জন্য। যদিও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/open-views/175424/মাস্টারমাইন্ড-কী-এবং-কেন?
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। শুক্রবার (২ অক্টোবর) এক টুইট বার্তায় নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। শুক্রবার (২ অক্টোবর) এক টুইট বার্তায় নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের একজন হোপ হিকস করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর থেকে মেলানিয়া ট্রাম্প ও তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার এক টিভি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তার সঙ্গে এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে ওহাইওতে গিয়েছিলেন হোপ হিকস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তিনটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এদিন (মঙ্গলবার) ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ক্লিভল্যান্ডে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী প্রার্থী জো বাইডেনের মধ্যে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের উপদেষ্টা হোপ হিকসকে এদিন মাস্ক ছাড়াই ক্লিভল্যান্ডে প্রেসিডেন্টের এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে নামতে দেখা গেছে। সেসময় তোলা একটি ছবিতে বিষয়টি চোখে পড়ে। এছাড়া গত বুধবার মিনেসোটায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি সমাবেশেও অংশ নেন হোপ হিকস।
টুইট বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আজ রাতে (শুক্রবার) লোটাস মেলেনিয়া ট্রাম্প ও আমার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমরা দ্রুত কোয়ারেন্টাইন ও সুস্থতার প্রক্রিয়া শুরু করবো।’
এর আগের একটি টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘কোনো বিশ্রাম ছাড়াই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন হোপ হিকস। নমুনা পরীক্ষায় তার কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। মেলানিয়া ট্রাম্প ও আমি করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের আশায় আছি।’
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/national/175423/করোনায়-আক্রান্ত-ট্রাম্প-ও-মেলানিয়া
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অন্য সবকিছুকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নেয়ার সরকারি প্রচেষ্টা দেখা গেলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সরকার।
কর্মকর্তারা বলছেন যে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কথায়, এই মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই – ‘ছুটি বাড়ছে, বাড়াতে হবেই’।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পেছনে কর্মকর্তারা বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
১. সংক্রমণের হার কমলেও এখনো রোগী পাওয়া গেছে
২. শীতের সময়ে করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের শঙ্কা আছে
৩. শিশুরা আক্রান্ত হলে দায় কেউ নেবে না
৪. অভিভাবকদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক আছে
৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা সম্ভব হবে তা পরিষ্কার নয়
৬. অনেক দেশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবার বন্ধ করতে হয়েছে
৭. অনেক দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বা না খোলা নিয়ে নানা ধরণের মত আছে বাংলাদেশে-যদিও এগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য কোনো মহল থেকে আসেনি।
আবার সমাধান সম্পর্কে কোনো মতামত না আসলেও মার্চ থেকে এগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ আছে অনেকের মধ্যে।
বাকেরগঞ্জের একজন শিক্ষক নাসিমা আক্তার বলছেন, “আপনি এখানে আসলে দেখবেন যে মনে হবে করোনা বলে আসলে কিছু নেই। বাজার, রাস্তাঘাট সব মানুষে গিজগিজ করে। কিন্তু আবার স্কুলের কথা যখন চিন্তা করি, তখন ভাবি এতো ছোটো ছোটো বাচ্চারা আসবে, যদি কোন সমস্যা হয়ে যায়, তখন কী হবে”।
এর আগে অগাস্টের শেষ দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলেছিলো যে বাংলাদেশে এখনও স্কুল খুলে দেয়ার মতো অবস্থা আসেনি।
কমিটির এক সভায়, যেখানে শিক্ষামন্ত্রীও যোগ দিয়েছিলেন, তাতে স্কুল না খোলার পক্ষে কয়েকটি যুক্তি দেয়া হয়েছিলো:
•বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সামাজিক মেলামেশা থেকে বিরত রাখা যাবে না
•পরিবহন ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বাড়বে
•শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে শিশুদের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অভিভাবকরাও সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবেন
•বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে শিশুদের মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লেমেশন সিনড্রোম বা এমআইএস নামক জটিলতার খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা আশঙ্কাজনক ও শিশুমৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
•মৃদু সংক্রমণের কারণেও দেহের বিভিন্ন অঙ্গ দীর্ঘস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শিশুদের জন্যও প্রযোজ্য
•উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা একটি মাসব্যাপী দীর্ঘ কার্যক্রম যা দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে জড়িত করে। ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে।
বিশেষজ্ঞ যা বলছেন:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) বেনজীর আহমেদ বলছেন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অন্তত ৩/৪ মাস আগে থেকে এ সম্পর্কিত একটি গাইডলাইন চূড়ান্ত করা দরকার, যা এখনো করা যায়নি।
“শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতেও হবে আবার সংক্রমণ যাতে না হয় সেটিও দেখতে হবে। কিছুদিন পর পর তারিখ বাড়ালে, খোলা বা বন্ধ করা নিয়ে শিশুদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি হয়। এখানে সবাইকে আশ্বস্ত করেই স্কুল কলেজ খুলতে হবে,” বলছিলেন তিনি।
আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃত অবস্থার অ্যাসেসমেন্ট নেই, অর্থাৎ যা রিপোর্ট হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত হয়। কোথায় কতটুকু সংক্রমণ, শহর বা গ্রামে কেমন, এগুলো বিশ্লেষণ করে ম্যাপিং করলে বোঝা যেতো যে দেশজুড়ে ঝুঁকি কতটুকু বা স্কুল কলেজ খোলা ঠিক হবে কি-না।
তিনি বলেন, স্কুল খোলার আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা গাইডলাইন দরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুলের জন্য এই গাইডলাইন হবে আলাদা। মনে রাখতে হবে যে প্রাথমিক স্কুলের শিশুদের জন্য যে ব্যবস্থাপনা, সেটি নিশ্চয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে না।
“প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ টিম করা উচিত আগে, যারা গাইডলাইন অনুযায়ী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রস্তুতি নিবে। একটা ফিজিক্যাল সুবিধা, যেমন শিশুরা কিভাবে আসবে, স্কুলে প্রবেশের সময় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা কিংবা তাদের বসার ব্যবস্থা সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী চূড়ান্ত করতে হবে”।
বেনজির আহমেদ আরও বলেন, প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিতে হবে গাইডলাইনে অর্থাৎ নির্ধারিত টিম শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টশন করতে হবে।
“এগুলো করতে পারলে শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু প্রতিষ্ঠানে মহড়ার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংক্রমণ প্রতিরোধে পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আবার এতে বুঝা যেতো যে ঘাটতি কোথায়। সরকারের পক্ষেও বুঝা সহজ হতো যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সময় হয়েছে কি-না”।
আবার আস্থা অর্জনের জন্য অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, সিভিল সোসাইটি প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে চাইলে সরকার সংলাপও ডাকতে পারে, যাতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার একটি গ্রহণযোগ্য পরিবেশ তৈরি হতে পারে, বলছিলেন আহমেদ।
বিশ্বের অনেক দেশেই তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে, তাহলে বাংলাদেশে সমস্যা কোথায়? – এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একেক দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মতো আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিও আলাদা।
“অনেকে খুলেছে আবার বন্ধও করেছে। অনেক চালু রেখেছে কিন্তু সংক্রমণও বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির সাথে সেসব দেশের মিল কম। এখানে সংক্রমণের প্রকৃত তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না। এতদিনেও সংক্রমণের আলাদা ম্যাপিং করা যায়নি। শহর বা গ্রাম কোথায় আসলে কি অবস্থা, তা কেউ নিশ্চিত নয়। যা রিপোর্ট হচ্ছে তার ভিত্তিতেই এখানে সব কথা হচ্ছে”।
তাই অন্য দেশের সাথে মিলিয়ে এখানে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/education/175422/শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান-খুলছে-না-কেন?
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছেন। তার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী হোপ হিকস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এই ঘোষণা দিলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
টুইটারে ট্রাম্প জানান, হোপ হিকস আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি ও মেলানিয়া নিজেদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফলাফল জানার অপেক্ষায় রয়েছেন।
৩১ বছরের হোপ এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন, যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এই সপ্তাহেই ওহাইয়োতে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ভ্রমণ করা ট্রাম্পের সফর সঙ্গী ছিলেন তিনি। বুধবার ক্লিভল্যান্ডে ট্রাম্পকে বহনকারী বিমান থেকে মাস্কবিহীন অবস্থায় তাকে নামতে দেখা গেছে।
বুধবার মিনেসোটায় এক সমাবেশে অংশ নিতে প্রেসিডেন্সিয়াল হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ানেও ট্রাম্পের সফর সঙ্গী ছিলেন হোপ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ট্রাম্পের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ কতদিন হবে তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি’র সুপারিশ অনুসারে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, কোনও বিরতি ছাড়াই টানা কাজ করে যাওয়া হোপ হিকস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন। দুঃখজনক। ফার্স্ট লেডি ও আমি নিজেদের পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। এর মধ্যে আমরা নিজেদের কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়া শুরু করব।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/abroad/175421/কোয়ারেন্টিনে-ট্রাম্প-মেলানিয়া
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ডা. মাহবুবর রহমান সিসিইউ ইনচার্জ, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল
মফস্বল এলাকায় হার্ট অ্যাটাক হলে সেখানে অবস্থানকারী চিকিৎসকরা কী করবেন? কেননা সেখানে নেই করোনারি কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ বা অন্য কোনো লজিস্টিক সাপোর্ট। তাই বলে চেয়ে চেয়ে মৃত্যু দর্শন কাম্য হতে পারে না।
করণীয় ► চিকিৎসকদের উচিত, হাতের কাছে জীবন রক্ষাকারী ব্যবস্থা যা আছে তা দিয়েই প্রথমে মোকাবেলার চেষ্টা করা। প্রাইমারি পিসিআই করা না গেলে সবচেয়ে সহজলভ্য কম দামি স্ট্রেপটোকাইনেজ দিতে হবে, অবশ্য ইসিজিতে STEMI থাকতে হবে।
► যদি রোগী কোনো জেলা বা বিভাগীয় শহরের সচ্ছল পরিবারের কেউ হয়, তবে অধিকতর কার্যকর Tenectiplase দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রয়োজনীয় এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি করার প্রয়োজনে থ্রম্বোলিসিস করার দুই থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে পিসিআই করা যায় এমন হাসপাতালে পাঠাতে হবে। এখন খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও গাজীপুরে সিসিইউসহ ক্যাথল্যাব গড়ে উঠেছে। এসব কেন্দ্রে এনজিওগ্রামসহ হার্টে অস্থায়ী পেসমেকার বসানো হচ্ছে। বেশির ভাগ কেন্দ্রে এনজিওপ্লাস্টি (রিং)সহ স্থায়ী পেসমেকারও স্থাপন করা হচ্ছে।
► যদি STEMI হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগী চিকিৎসা নিতে আসে এবং বুকে ব্যথা, নিম্ন রক্তচাপ বা এরিথমিয়া চলতে থাকে, তাহলেও জরুরি এনজিওগ্রাম এবং এনজিওপ্লাস্টি করাতে হবে। ► রোগী যদি অসচ্ছল হয় বা উচ্চতর হাসপাতালে যাওয়ার মতো অবস্থা না থাকে, তাহলে প্রাথমিক হাসপাতালে বসেই চিকিৎসা দিতে হবে। স্ট্রেপটোকাইনেজ দেওয়ার পর পাঁচ থেকে আট দিন enoxaparin দিতে হবে, যাতে আবার রক্তনালি বন্ধ হয়ে না যায়। কিন্তু যে রোগীর এনজিওপ্লাস্টি হয়ে গেল, তাকে বিশেষ কিছু কারণ ছাড়া এই ওষুধ দেওয়া যাবে না। বরং কখনো কখনো তা ক্ষতিকর হতে পারে।
► অনেক চিকিৎসক মনে করেন, মনিটর বা ডিসি মেশিন ছাড়া স্ট্রেপটোকাইনেজ দেওয়া যাবে না। এটি সঠিক ধারণা নয়, বরং স্ট্রেপটোকাইনেজ একটি জীবন রক্ষাকারী কার্যকর ওষুধ। Reperfusion arrhythmias কোনো সিরিয়াস এরিথমিয়া নয়। এর জন্য রোগীর মৃত্যুও হয় না, বরং রোগী মারা যায় বন্ধ রক্তনালির কারণে। তাই যেভাবে হোক স্ট্রেপটোকাইনেজ দিতে হবে।
যেহেতু হৃদরোগ একটি জীবনসংহারি ঘাতক রোগ এবং অতি দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে, সুতরাং এর আধুনিক চিকিৎসা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বেশির ভাগ মানুষ যেহেতু মফস্বলে থাকে এবং তাদের ক্রয়ক্ষমতা সীমিত, তাই সরকারকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশে স্থাপিত প্রায় সত্তরোর্ধ্ব মেডিক্যাল কলেজে স্বতন্ত্র হৃদরোগ বিভাগ খুলে সিসিইউ/আইসিইউসহ ক্যাথল্যাব গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া ৬৪ জেলায় পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বনির্ভর ইউনিট সিসিইউ/আইসিইউ খোলাও অত্যন্ত জরুরি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://www.ppbd.news/health/175420/মফস্বলে-হার্ট-অ্যাটাক-ও-চিকিৎসা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কোয়ারেন্টিনে যাচ্ছেন। তার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী হোপ হিকস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এই ঘোষণা দিলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
টুইটারে ট্রাম্প জানান, হোপ হিকস আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি ও মেলানিয়া নিজেদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষার ফলাফল জানার অপেক্ষায় রয়েছেন।
৩১ বছরের হোপ এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন, যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এই সপ্তাহেই ওহাইয়োতে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ভ্রমণ করা ট্রাম্পের সফর সঙ্গী ছিলেন তিনি। বুধবার ক্লিভল্যান্ডে ট্রাম্পকে বহনকারী বিমান থেকে মাস্কবিহীন অবস্থায় তাকে নামতে দেখা গেছে।
বুধবার মিনেসোটায় এক সমাবেশে অংশ নিতে প্রেসিডেন্সিয়াল হেলিকপ্টার মেরিন ওয়ানেও ট্রাম্পের সফর সঙ্গী ছিলেন হোপ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ট্রাম্পের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ কতদিন হবে তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি’র সুপারিশ অনুসারে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, কোনও বিরতি ছাড়াই টানা কাজ করে যাওয়া হোপ হিকস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন। দুঃখজনক। ফার্স্ট লেডি ও আমি নিজেদের পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। এর মধ্যে আমরা নিজেদের কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়া শুরু করব।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/abroad/175421/কোয়ারেন্টিনে-ট্রাম্প-মেলানিয়া
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ডা. মাহবুবর রহমান সিসিইউ ইনচার্জ, ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতাল
মফস্বল এলাকায় হার্ট অ্যাটাক হলে সেখানে অবস্থানকারী চিকিৎসকরা কী করবেন? কেননা সেখানে নেই করোনারি কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ বা অন্য কোনো লজিস্টিক সাপোর্ট। তাই বলে চেয়ে চেয়ে মৃত্যু দর্শন কাম্য হতে পারে না।
করণীয় ► চিকিৎসকদের উচিত, হাতের কাছে জীবন রক্ষাকারী ব্যবস্থা যা আছে তা দিয়েই প্রথমে মোকাবেলার চেষ্টা করা। প্রাইমারি পিসিআই করা না গেলে সবচেয়ে সহজলভ্য কম দামি স্ট্রেপটোকাইনেজ দিতে হবে, অবশ্য ইসিজিতে STEMI থাকতে হবে।
► যদি রোগী কোনো জেলা বা বিভাগীয় শহরের সচ্ছল পরিবারের কেউ হয়, তবে অধিকতর কার্যকর Tenectiplase দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রয়োজনীয় এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি করার প্রয়োজনে থ্রম্বোলিসিস করার দুই থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে পিসিআই করা যায় এমন হাসপাতালে পাঠাতে হবে। এখন খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও গাজীপুরে সিসিইউসহ ক্যাথল্যাব গড়ে উঠেছে। এসব কেন্দ্রে এনজিওগ্রামসহ হার্টে অস্থায়ী পেসমেকার বসানো হচ্ছে। বেশির ভাগ কেন্দ্রে এনজিওপ্লাস্টি (রিং)সহ স্থায়ী পেসমেকারও স্থাপন করা হচ্ছে।
► যদি STEMI হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগী চিকিৎসা নিতে আসে এবং বুকে ব্যথা, নিম্ন রক্তচাপ বা এরিথমিয়া চলতে থাকে, তাহলেও জরুরি এনজিওগ্রাম এবং এনজিওপ্লাস্টি করাতে হবে। ► রোগী যদি অসচ্ছল হয় বা উচ্চতর হাসপাতালে যাওয়ার মতো অবস্থা না থাকে, তাহলে প্রাথমিক হাসপাতালে বসেই চিকিৎসা দিতে হবে। স্ট্রেপটোকাইনেজ দেওয়ার পর পাঁচ থেকে আট দিন enoxaparin দিতে হবে, যাতে আবার রক্তনালি বন্ধ হয়ে না যায়। কিন্তু যে রোগীর এনজিওপ্লাস্টি হয়ে গেল, তাকে বিশেষ কিছু কারণ ছাড়া এই ওষুধ দেওয়া যাবে না। বরং কখনো কখনো তা ক্ষতিকর হতে পারে।
► অনেক চিকিৎসক মনে করেন, মনিটর বা ডিসি মেশিন ছাড়া স্ট্রেপটোকাইনেজ দেওয়া যাবে না। এটি সঠিক ধারণা নয়, বরং স্ট্রেপটোকাইনেজ একটি জীবন রক্ষাকারী কার্যকর ওষুধ। Reperfusion arrhythmias কোনো সিরিয়াস এরিথমিয়া নয়। এর জন্য রোগীর মৃত্যুও হয় না, বরং রোগী মারা যায় বন্ধ রক্তনালির কারণে। তাই যেভাবে হোক স্ট্রেপটোকাইনেজ দিতে হবে।
যেহেতু হৃদরোগ একটি জীবনসংহারি ঘাতক রোগ এবং অতি দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে, সুতরাং এর আধুনিক চিকিৎসা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। বেশির ভাগ মানুষ যেহেতু মফস্বলে থাকে এবং তাদের ক্রয়ক্ষমতা সীমিত, তাই সরকারকেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশে স্থাপিত প্রায় সত্তরোর্ধ্ব মেডিক্যাল কলেজে স্বতন্ত্র হৃদরোগ বিভাগ খুলে সিসিইউ/আইসিইউসহ ক্যাথল্যাব গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া ৬৪ জেলায় পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বনির্ভর ইউনিট সিসিইউ/আইসিইউ খোলাও অত্যন্ত জরুরি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/health/175420/মফস্বলে-হার্ট-অ্যাটাক-ও-চিকিৎসা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে কে পাচ্ছেন বিএনপির টিকিট?
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী কে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দলের চূড়ান্ত টিকিটপ্রত্যাশী ৯ জনের মধ্যে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন শর্ট লিস্টে। এরা হলেন- মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ, উত্তর বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তরুণ ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিন সাদী ও যুবদল উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে গঠিত মনোনয়ন বোর্ড উত্তরের এই আসনে পদপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার পর ইতোমধ্যে দুই সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে; কিন্তু কাউকেই এখন পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত দেয়া হয়নি। গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের দিনে প্রত্যাশী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষই এর মূল কারণ হিসেবে জানা গেছে। ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত এস এম জাহাঙ্গীরের নেতাকর্মীরা ঘটিয়েছেন বলে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাতজন লিখিতভাবে দলের হাইকমান্ডকে জানিয়েছেন। তারা লিখিত চিঠিতে এ-ও বলেছেন, ‘জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন দিলে তারা কেউই মেনে নেবেন না।’
এস এম জাহাঙ্গীরকে শুরু থেকেই তার অনুসারীরা মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে সামনের সারির গুরুত্বপূর্ণ একজন হিসেবে ভেবে আসছেন। তবে ওই সংঘর্ষের পর কিছুটা হলেও বেকাদায় রয়েছেন এই যুবদল নেতা। যদিও জাহাঙ্গীর ওই ঘটনায় তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন।
জানা গেছে, বিএনপির হাইকমান্ড অঘোষিতভাবে ওই ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তের রিপোর্টে যে ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকবেন তার বিরুদ্ধে দল থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি তাকে দল থেকে বহিস্কারও করা হতে পারে। এরপরই ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করার কথা ভাবছে দলটি।
ভিডিও ফুটেজ দেখে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, জড়িতরা কোন নেতার সমর্থক তা-ও দেখা হচ্ছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে একটি ভিডিও ফুটেজ পাঠিয়েছেন জাহাঙ্গীরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে- সংঘর্ষে মাথা ফেটে যার রক্ত বের হচ্ছে, তার নাম নাজিমুদ্দিন। সে কফিল উদ্দিনের সমর্থক। এরপর আরো বেশ কয়েকজন মারাত্মক আহতের ছবি রয়েছে, এরাও নিজেদের কফিলের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ সময় কয়েকজন নেতা-সমর্থক অভিযোগ করেন, এস এম জাহাঙ্গীরের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফুটেজে লালবৃত্ত করে হামলায় কে কে জড়িত তা দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে লাাঠি হাতে কিংবা হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এরা হলেন- এস এম জাহাঙ্গীরের শ্যালক ছাত্রলীগ নেতা দিপু সিকদার, তুরাগ থানা যুবদল সেক্রেটারি মামুন পারভেজ তন্ময়, দক্ষিণখান ছাত্রদল নেতা আল আমীন সরকার, উত্তরা পূর্ব থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আলামিন শেখ রুবেল, উত্তরা পূর্ব থানা যুবদলের সভাপতি আমিনুল হক, দক্ষিণখান থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম মিঠু, উত্তরা পশ্চিম থানা যুবদল সদস্যসচিব ফেরদৌস মজুমদার মাসুম, কর্মী আল আমিন সরকার, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড য্বুদল সেক্রেটারি জুয়েল রাজ ও উত্তরা পূর্ব থানা য্বুদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ জামান সোহান।
ফুটেজে হামলা শেষে তিনজনকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়, এদের পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে- এস এম জাহাঙ্গীরের উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুবউদ্দিনের ভাতিজা এস আই টুটুল ও কর্মী আল আমিন সরকার। হামলাকারীদের কয়েকজন গুলশান কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের শাসাতে দেখা যায়। ভিডিওতে ২০১৭ সালের ৩১ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ফুটেজও সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায়ও এস এম জাহাঙ্গীরকে দায়ী করা হয়েছে।
বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, পুরো ঘটনা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জেনেছেন। ওই ঘটনা কি কর্মী-সমর্থকদের তাৎক্ষণিক উত্তেজনার ফল, নাকি এতে কোনো নেতার পরিকল্পিত মদদ ছিল তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। আগামী শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এর চূড়ান্ত ফায়সালা হতে পারে। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন মোট ৯ জন। অন্যরা হলেন- ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ইসমাইল হোসেন, মোস্তফা জামান, মো: আখতার হোসেন ও আব্বাস উদ্দিন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের চিঠি পেয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপি ব্যবসায়ী নেতা বাহাউদ্দিন সাদী। যদিও পরে আসনটি শরিকদেরকে ছেড়ে দেয় বিএনপি। ওই নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ভোট করেন। কিন্তু এবার ঢাকা-১৮ আসনে দলীয় প্রার্থী দেবে বিএনপি।
বিএনপির স্থানীয় নেতারা নির্বাচনে বাহাউদ্দিন সাদীকে এগিয়ে রাখছেন। তারা বলেছেন, বাহাউদ্দিন সাদী বিএনপির একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। আর সুখ-দুঃখে বাহাউদ্দিন সাদীকে সব সময় এলাকার জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীরা পাশে পান। তাই যদি এই আসন থেকে বাহাউদ্দিন সাদীকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে তিনিই একমাত্র প্রার্থী যিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারেন।
মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন সাদী পূর্বপশ্চিমকে বলেন, মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টা আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা থেকে না দেখে দল ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আমার দায়িত্বের জায়গা থেকে দেখি। আমি ঠিকভাবে কাজ করছি কি না সেটাই দেখি। আর মনোনয়নের সিদ্ধান্ত যাই হোক, দল এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার দায়িত্ব আমি অব্যাহত রাখব।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুজনিত কারণে এই আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর ১২ নভেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
তফসিল অনুযায়ী—মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৩ অক্টোবর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ অক্টোবর। ভোটগ্রহণ হবে ১২ নভেম্বর। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এই আসনে ভোট হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/politics/175419/ঢাকা-১৮-আসনের-উপনির্বাচনে-কে-পাচ্ছেন-বিএনপির-টিকিট?
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে গীর্জায় তিন দিন এক কিশোরীকে (১৫) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে গীর্জার ফাদারকে ক্লোজ করা হয়েছে।এদিকে ফাদার প্রদীপ গ্যা গরীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজশাহী নগরীর আমচত্বর সংলগ্ন বিশপ হাউজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তানোর থানায় সোপর্দ করেছে। এর আগে তানোর থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভার মাহালীপাড়া সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে। চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গীর্জা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তানোর থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। এদিকে সাধুজন মেরি গীর্জার ইনচার্জ ফাদার প্রদিপ গে গরীকে ক্লোজড করে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশে নেওয়া হয়েছে বলে গীর্জার বর্তমান সহকারী ইনচার্জ ফাদার প্যাটিজ গমেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে ঘটনা ধাঁমাচাপা দেওয়ার চেস্টা করা ও ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তাকারী আদিবাসি নেতা কামেল মারডির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আদিবাসী পল্লীর বাসিন্দাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃস্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনায় কামেল মারডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার দুপুরে গীর্জা একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে ধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবারকে ধর্মের ভয় দেখিয়ে আপোস করানো হয় এবং তরণীকে লেখাপড়া ও ভরণ পোষণসহ বিয়ের আগ পর্যন্ত সকল খরচ বহণ করার হবে বলে গীর্জার পক্ষে থেকে বলা হয়। সালিশ বৈঠকে রাজশাহী জেলা ধর্শ প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি ও স্থানীয় দুজন গ্রাম্য প্রধান এবং আদিবাসী তানোর উপজেলার পারগানা পরিষদের সভাপতি ও মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডি উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ভিকটিম তরুণীর ভাই বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে মাঠে ঘাষ কাটতে গিয়ে তার বোন আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারাদিন তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর তানোর থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডি করার একদিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর গীর্জার ফাদারে ভবনের ছাদে সে তরুণীকে দেখতে পান এলাকাবাসী।পরিবারের লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করতে গেলে ফাদার বাঁধা দেন। এ সময় স্থানীয়রা রাজশাহীর জেলা ধর্ম প্রদেশের ইনচার্জকে বিষয়টি মোবাইলে অবহিত করেন। তার নিদের্শে সোমবার দুপুরে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি পাঠান। পরে তারা স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান মাইকেল হেমরণ, মহেষ মুরমু ও আদিবাসী নেতা কামেল মার্ডীকে নিয়ে সালিশি বৈঠক বসেন।কিন্ত্ত কামেল মারডির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ফাদারের পক্ষে রায় দেন সবাই এবং তরুনীকে ভরণ পোষণসহ যাবতীয় খরচ বহন করা হবে বলে গীর্জার পক্ষে থেকে বলা হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে আদিবাসি পারগানা পরিষদের সভাপতি কামেল মার্ডী বলেন, তরুণীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপোস করা হয়েছে। তবে অন্যান্য অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধায় গীর্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে, কিশোরীর ভাই বাদি হয়ে ফাদারকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন ভিকটিম কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/34lhgH6
Post Come trough : নাচোল নিউজ
অবশেষে পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন আজ রাজশাহীতে যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি রাজশাহী জেলা পুলিশের এসপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কিছুদিন পূর্বে কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা হত্যা নিয়ে আলোচিত হন এসপি মাসুদ। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি তাকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়। আর রাজশাহীর তৎকালীন এসপি মো. শহিদুল্লাহকে পাঠানো হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি)। কয়েকদিন আগে তিনিও নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
রাজশাহী জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এসপি মাসুদ হোসেন রাজশাহী এসে প্যারেড দলের সালামী অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে দুপুরে তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা পুলিশের সকল ইউনিটের প্রধানের সাথে পরিচিত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিশেষ মতবিনিময় করেন। সভায় জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ সভায় এসপি সকলকে জনবান্ধব পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় প্রত্যাশিত সেবা পৌঁছে দেয়ার নির্দেশনা দেন। এছাড়া মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ও দেন এই নবাগত পুলিশ সুপার।
এসপি বলেন, থানা হবে সেবা প্রদানের প্রাণকেন্দ্র। দেশপ্রেম, সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুলিশের কোন সদস্যের মাদকের সাথে সম্পৃক্ততা থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সভায় হুঁশিয়ারি দেন নবাগত এসপি।রাজশাহী বিভাগ পুলিশের একটি সুত্র জানায় নবাগত এই পুলিশ সুপার অবশ্যই দ্বায়িত্বের সাথে কাজ করবে বলে আসা করছি। তিনি বলেন কারো নামে কোন প্রকার অভিযোগ উঠলেই তিনি অপরাধি হয়না বরং তিনি আরো দক্ষ হন সেই সকল বিষয়ে। রাজশাহীর নবাগত পুলিশ সুপার কে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের জন প্রিয় অনলাইন পত্রিকা সংবাদ চলমান।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2GvL7UV
Post Come trough : নাচোল নিউজ
এনআইডি জালিয়াতি: ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২ নভেম্বর
আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে দ্বিতীয় এনআইডি গ্রহণ করায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা মামলায় ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য থাকলেও এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।
এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
গত ৩০ আগস্ট মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। গত ৩ সেপ্টেম্বর আদালত ডা. সাবরিনার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমোদন পায় সাবরিনার নিয়ন্ত্রণাধীন জেকেজি হেলথকেয়ার। কিন্তু সরকারি অনুমতি নিয়ে তারা নমুনা সংগ্রহের নামে মানুষের কাছে করোনার নেগেটিভ-পজিটিভ জাল সনদ বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেন। এ অভিযোগে সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের এ মামলায় চার্জশিট দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/court/175306/এনআইডি-জালিয়াতি:-ডা.-সাবরিনার-বিরুদ্ধে-প্রতিবেদন-২-নভেম্বর
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর নিজস্ব অফিস পেলো পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। দেশে পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে নিজস্ব এই ভবন। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত এ ভবনের উদ্বোধন করেন।
জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তনের উদ্ভূত নানা দুর্যোগ মোকাবিলাসহ শতবর্ষী ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে যুগোপযোগী ও আধুনিক কর্মপরিবেশ তৈরিই পানি ভবনের উদ্দেশ্য। পাশাপাশি প্রতিটি সংস্থার কারিগরি, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের সহজতর সমন্বয় সাধন করা।
এ ভবনে উন্নত ব্যবস্থাপনা, কার্যক্রম সমন্বয় ও পরিবীক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫টি সংস্থার দপ্তর একই স্থানে থাকছে।
পানি ভবনটি ১২তলা বিশিষ্ট। ফ্লোরের মোট এরিয়া ৩৫ হাজার বর্গফুট বেজমেন্ট এবং সেমি বেজমেন্টের উচ্চতা ১০.৮২ ফুট, ফ্লোর উচ্চতা (নিচতলা) ১৩.৭৫ ফুট, ফ্লোর উচ্চতা (অন্যান্য তলা) ১২.২৫ ফুট, ভবনের মোট উচ্চতা ১৭৪ ফুট (সিভিল এভিয়েশন থেকে অনুমোদিত উচ্চতা ১৭৪ ফুট)। অডিটোরিয়াম দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৫১ ফুট, মোট এরিয়া ৫১০০ বর্গফুট (প্রায়) অডিটোরিয়াম উচ্চতা ২১ ফুট, অডিটোরিয়াম ধারণক্ষমতা ৫৩৬ জন। সার্ভিস ভবন ৩তলা বিশিষ্ট, দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট এবং প্রস্থ ৬০ ফুট, প্রতি ফ্লোরের মোট এরিয়া ৬০০০ বর্গফুট (প্রায়)।
সার্ভিস ভবনের উচ্চতা ১৪ ফুট, প্রধান জলাধারের দৈর্ঘ্য ২৭৫ ফুট এবং প্রস্থ ৭৫ ফুট মোট এরিয়া ২০৬২৫ বর্গফুট (প্রায়), পুকুরের দৈর্ঘ্য ১৬৪ ফুট এবং প্রস্থ ১৩১ ফুট, মোট এরিয়া ২১৪৮৪ বর্গফুট (প্রায়), হেলিপ্যাডের এরিয়া ৪৫০০ বর্গফুট (প্রায়), ভবনের বেজমেন্ট এবং সেমি বেজমেন্টে পার্কিং সংখ্যা ১৭৬টি, ভবনের বাইরে খোলা জায়গায় পার্কিং সংখ্যা ২০০টি, কমন টয়লেটের সংখ্যা ৪৮টি, রুমের সঙ্গে অ্যাটাচড টয়লেট সংখ্যা ৭০টি, ভবনের লিফট সংখ্যা ৮টি, লিফটের ধারণক্ষমতা (প্রতি লিফটে সর্বোচ্চ ১৩ জন করে)। ভবনের ১১ তলায় কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। সোলার প্যানেল ৪০ কিলোওয়াট (অন গ্রিড টাইপ) এবং ভবনের জেনারেটর ৪টি প্রতিটি ৬৫০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন। অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, আধুনিক স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) রয়েছে।
এর আগে ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রায় ২৬১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ১২তলা বিশিষ্ট পানি ভবনের পানি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/175305/‘পানি-ভবন’-উদ্বোধন-করেছেন-প্রধানমন্ত্রী
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
কালের ছবির সাধারণ সম্পাদক ও থিয়েটার সার্কেলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক আল মামুনের বাবা হাজী মো. মনির হোসেন সরকার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। হাজী মনির হোসেন সরকার মুন্সীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখক ছিলেন।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের খালইস্ট কলেজ পাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।
শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন কালের ছবি ও আনমনা প্রাঙ্গণের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন সজল, থিয়েটার সার্কেলের সভাপতি নাট্যকার, নির্দেশক, সংগীতশিল্পী শিশির রহমান, কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান দর্পন, কাউন্সিলর নার্গিস আক্তার, হিরণ কিরণ থিয়েটারের আহ্বায়ক নাট্যকার, নির্দেশক জাহাঙ্গীর আলম ঢালী, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসাইন জাকির, রোভারের সাধারণ সম্পাদক মো. জুনায়েদ, মুন্সীগঞ্জ থিয়েটারের সভাপতি সোহেল রানা রানু, থিয়েটার সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দাসসহ অন্যান্যরা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/175302/মুন্সীগঞ্জে-সাংবাদিক-মামুনের-পিতার-ইন্তেকাল
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৩ অক্টোবর
আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
আদালত মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় শিক্ষার্থী আবরার। মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান কিশোর আলোরও প্রকাশক। কিশোর আলোর সম্পাদক হলেন আনিসুল হক।
এ ঘটনায় ৬ নভেম্বর আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
আদালত নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক, অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/court/175300/প্রথম-আলো-সম্পাদকসহ-১০-জনের-বিরুদ্ধে-অভিযোগ-গঠন-১৩-অক্টোবর
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
কোভিড-১৯ মহামারির এই সময়ে এক গ্রাহকের সীম আরেক গ্রাহকের কাছে রেজিস্ট্রেশন করে বিক্রি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামীনফোনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আব্দুল বাশার হিমু নামে জনৈক গ্রামীনফোন গ্রাহক।
তিনি অভিযোগ করেন, করোনা মহামারীর কারনে কয়েক মাস অফিস বন্ধ থাকায় তার অফিসিয়াল সীম বন্ধ থাকে, কিন্তু অফিস আংশিকভাবে খোলার পর তিনি সীমটি চালু করতে গেলে দেখেন যে, তার সীমটি গ্রামীনফোন অন্য গ্রাহকের কাছে মালিকানা পরিবর্তন করে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বিক্রি করে দেয়। তিনি মনে করেন, তাকে না জানিয়ে অন্যজনের কাছে তার অফিসিয়াল সীম বিক্রি করা একটি আইনবহির্ভূত কাজ এবং এর ফলে তাঁর ব্যাবসায়িক সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি তাঁর সাংবিধানিক অধিকারও ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে না এই মর্মে তিনি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এদিকে সারাদেশব্যাপী ১৪টি গ্রামীনফোন সেন্টার করোনাকালীন সময়ে গ্রামীনফোন কর্তৃক বন্ধ করে দেয়ার ফলে গ্রাহকসেবা পেতে ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রাহকগন। ইতিমধ্যে হয়রানীর শিকার হয়ে প্রচুর গ্রাহক এই মর্মে বিটিআরসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন:
খুলনার মহিলা কলেজ রোডের আনোয়ার চৌধুরী অভিযোগ করেন, জাতীয় দুর্ভোগের এই সময়ে তাঁর একটি সংযোগ অকার্যকর দেখে গ্রামীনফোনের খুলনা ও যশোরে থাকা দুইটি সেন্টারে গিয়ে সেন্টারগুলো বন্ধ দেখতে পান, পরবর্তীতে হটলাইনে ফোন দিলে তাঁকে ঢাকার গুলশান সেন্টারে যেতে বলা হয়, অবশেষে নানা ভোগান্তি পার হয়ে তিনি ঢাকা গিয়ে সার্ভিসটি পেতে সক্ষম হন।
রাজশাহী স্টেশন রোডের আজিজুর রহমান অভিযোগ করেন, এই করোনাকালীন সময়ে একটি সীমের মালিকানা পরিবর্তনের জন্য তিনি রাজশাহী সেন্টারে গিয়ে সেটি বন্ধ পান, তারপর পুটিয়ায় গিয়ে সেবা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বগুড়া সেন্টারে যান, কিন্তু বগুড়ায় গিয়ে দেখতে পান, সেই সেন্টারটিও স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীনফোনের মত এত বড় গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের অফিস বন্ধ করার আগে গ্রাহকদের অবহিত করা উচিত ছিলো, কিন্তু তা না করায় তিনিসহ প্রচুর গ্রাহক অনাকাঙ্খিত ভোগান্তির শিকার হন।
রংপুর ধাপ মোড়ের মো: হেলালউদ্দীন ও একই রকম ভোগান্তির শিকার হয়ে অভিযোগ করেন, বাবার মৃত্যুর পর তিনি বাবার সীমটি ব্যাবহার করে আসছিলেন, কিন্তু হঠাৎ সীমটি নষ্ট হওয়ার ফলে তিনি গ্রামীনফোনের রংপুর সেন্টারে গিয়ে অফিস বন্ধ পান এবং তাঁকে এই সার্ভিসটি পেতে ঢাকা যেতে বলা হয়।
সিলেট জিন্দা বাজারের সুহাগ রানা অভিযোগ করেন, তাঁর নামে রেজিস্ট্রেশন করা সীম তার লন্ডনপ্রবাসী ভাই ব্যাবহার করেন, করোনার কারনে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় সেই সীমে ইন্টারন্যাশনাল রোমিং সার্ভিস চালু করতে সিলেট শহরের সব কয়টা গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়েও তিনি কাঙ্খিত সেবাটি পাননি, তাঁকেও এই সার্ভিসটি নিতে ঢাকা যেতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, দেশে মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটার সাথে সাথেই গ্রামীনফোন তার সকল কর্মীকে ঘরে বসে অফিস করার নির্দেশ দেয়ার পরপরই দেশব্যাপী ১৪টি স্থায়ী গ্রাহকসেবা কেন্দ্র বন্ধ ঘোষনা করে এবং নেটওয়ার্ক ও টাওয়ার পরিচালনার কাজে নিয়োজিত স্থায়ী কর্মীদের কাজ থেকে বিরত রেখে অস্থায়ী ভেন্ডর কর্মীদের হাতে তুলে দেয়। এর মাধ্যমে গ্রামীনফোনের প্রায় দুইশত স্থায়ী কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হয় এবং হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয় গ্রাহকের তথ্য এবং জাতীয় নিরাপত্তা।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/3jvEH6Q
Post Come trough : নাচোল নিউজ
স্বাধীন নয় ছাত্রলীগ, কেন্দ্রের প্রভাবশালী নেতারা প্রভাবিত করেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, এ অবস্থার উন্নয়নে সংগঠনে গণতন্ত্র চর্চা ও নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠন জরুরি। এছাড়া আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
এ চক্র থেকে বের হতে সংগঠনে গণতন্ত্র চর্চা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ। কিন্তু নব্বইয়ের পর নানা অপকর্মে জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন অনেক নেতা-কর্মী।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। এই সময়ে ছাত্রলীগকে গোছানোর ও সাংগঠনিক ভীত মজবুত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা হয়নি বরং আরো বিশৃঙ্খল হয়েছে দল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ছাত্রলীগ যেন কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
টিকিট প্রত্যাশী সৌদিপ্রবাসীরা আজ ভিড় করেছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। সেখানে হোটেল সোনারগাঁওয়ে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে আজ ৪০০ জনকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। মূলত যারা রিটার্ন টিকিট করে দেশে এসে করোনা মহামারির কারণে আটকা পড়েছেন তারাই এ টিকিট পাচ্ছেন।
জানা যায়, এ-১ থেকে এ-২০০ ও বি-১ থেকে বি-২০০ এই ৪০০ প্রবাসী যাত্রী সৌদি ফিরে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার টিকিট পাবেন। এজন্য টোকেনধারীরা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ে ভিড় করছেন টোকেন ও টিকিট প্রত্যাশীরা।
তাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা দেশে এসে আটকা পড়েছি। এখন বিদেশে যাওয়ার টিকিট পাচ্ছি না। আবার ওখানে গিয়ে থাকার নিশ্চয়তা নেই। সবমিলিয়ে খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি আমরা।
তবে আগামী ৪ অক্টোবর পরবর্তী টোকেন বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্স কর্মকর্তারা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/175299/আজ-টিকিট-পাচ্ছেন-৪০০-সৌদিপ্রবাসী
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD