সুফল কুমার (৩০) দীর্ঘদিন থেকে তার বৌদিকে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো।
সারাদেশ
রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে বৌদিকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে দেবরকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্ত দেবরের নাম সুফল কুমার (৩০)। তিনি তানোর হেন্দুপাড়া গ্রামের মৃত ত্রিনাথের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে এ সাজা প্রদান করেন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোর হিন্দু পাড়া গ্রামের মৃত ত্রিনাথের ছেলে সুফল কুমার (৩০) দীর্ঘদিন থেকে তার বৌদিকে যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। একাধিকবার তাকে নিষেধ করা হলেও তিনি বৌদিকে প্রতিনিয়তই উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
এনিয়ে সুফলের বৌদি তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো সুফলকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দেশে নতুন আরো ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বোর্ডের সভায় নতুন ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান অনুমোদন দেয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেজা।
নতুন ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে- ঢাকার নবাবগঞ্জে নবাবগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে টাঙ্গাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল, নওগাঁয় সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল, দিনাজপুর সদরে দিনাজপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নোয়াখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সন্দ্বীপ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সুনামগঞ্জের ছাতকে সুনামগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পাবনার বেড়ায় পাবনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, বরিশালের হিজলায় চরমেঘা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মানিকগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বেজা জানায়, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার। ৯৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেয়েছে। তার মধ্যে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে সরকারি-বেসরকারি ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনলাইনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চেম্বারের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় আরো পাঁচটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে মহেশখালী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক’। আর সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হোসেন্দী অর্থনৈতিক অঞ্চলকে জোন ঘোষণা এবং তাদের দেওয়া লাইসেন্সের অনুমোদন করা হয়েছে।
আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি সিংহ রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি রবি দেবগুরু বৃহস্পতি ও প্রেমের দেবতা শুক্রের প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে মীন রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। নিত্যনতুন প্ল্যানপ্রোগ্রাম আর স্বপ্নসাধ পূরণের পথ প্রশস্ত হবে। লৌকিকতায় প্রচুর ব্যয় হওয়ার সম্ভাবনা। দ্বিচক্রযান বর্জনীয়।
মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]
শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি তীক্ষ নজর রাখা সমীচীন হবে। গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রুরা স্বজনদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আপনার গোপন প্রেম ও অনুচিত কাজবাজ ফাঁস করে দিতে পারে। অর্থকড়ির মামলায় কাউকে অধিক বিশ্বাস করা ঠিক হবে না।
বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]
শিক্ষার্থীদের হাতে নিত্যনতুন সুযোগ এসে হাজির হবে। হারানো পিতৃমাতৃ ধন সম্পদ সম্পত্তি ব্যবসা ফিরে পাওয়ার পথ খুলবে। কর্মের সুনাম যশ পদোন্নতির পথ সুগম করবে। শত্রু ও বিরোধী পক্ষের সব পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে পড়বে।
মিথুন [২১ মে-২০ জুন]
দীর্ঘদিনের দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহ বিবাদের মীমাংসা হবে। ভাঙা প্রেম ও বন্ধুত্ব জোড়া লাগবে। অংশীদারদের সহযোগিতায় আটকে থাকা কাজ সচল হবে। বিবাহযোগ্যদের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে।
কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]
গৃহবাড়িতে কোনো না কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যে তরতাজা উন্নতি করতে থাকায় দিনটি বেশ মৌজমস্তিতে কাটবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে।
সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]
চতুর্দিক থেকে তরতাজা উন্নতি করে চলবেন। বিদেশে অবস্থানরত স্বজনদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে গোটা পরিবারে খুশির জোয়ার বইবে। মামলা মোকদ্দমা ও কোর্ট কেসে রায় পক্ষে আসবে। সন্তানরা আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে।
কন্যা [২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]
যে কাজে হাত দেবেন তাতেই কম বেশি সফলতাপ্রাপ্ত হবেন। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র, বস্ত্রালঙ্কার ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর পসরা সাজবে। সন্তানরা আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে। প্রেম রোমান্স বিনোদন ভ্রমণ শুভ।
তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]
শুভাশুভ মিশ্রফল প্রদান করবে। আয় বুঝে ব্যয় করুন নচেৎ ধারদেনা করে চলতে হতে পারে। পরিবারের কোনো সদস্যের আকস্মিক শারীরিক অসুস্থতা ভাবিয়ে তুলবে। অপরিচিত কাউকে আশ্রয় দেওয়া খাল কেটে কুমির আনার সমান।
বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]
পাওনা টাকা আদায় আটকে থাকা কাজ সচল হবে। দূর থেকে আসা কোনো সংবাদে মন বিষণœ হয়ে পড়বে। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক হবে। সন্তান-সন্ততিদের সাফল্যে গৌরবান্বিত হবে। দাম্পত্য সুখশান্তি প্রতিষ্ঠা বজায় রাখা শ্রেয় হবে।
ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]
কর্মপ্রত্যাশীদের কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ করবে। নিত্যনতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিকল্পনা আলোর মুখ দর্শন করবে। মামলা মোকদ্দমা ও কোর্ট কেসের রায় পক্ষে আসবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষের পাতা ফাঁদে তারা নিজেরাই ঘায়েল হবে।
মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]
দুর্যোগের মেঘ সরে গিয়ে সুদিনের সূর্য উদিত হবে। গৃহবাড়ি ভূমি সম্পত্তি ও যানবাহন লাভের পথ প্রশস্ত হবে। রাগ জেদ অহংকার আবেগ বর্জন করতে হবে। প্রেমীযুগলের প্রেম বিবাহের মাধ্যমে সমাজে স্বীকৃতি পাবে।
কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]
অর্থকড়ি সতর্কতার সঙ্গে নাড়াচাড়া করতে হবে। গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রুর চাপ অধিক বৃদ্ধি পাবে। সংকটকালে সহযোগীরা দূরে থেকে মজা দেখবে। অবশ্য মন সুর সংগীত ও ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে। দ্বিচক্রযান বর্জন করা শ্রেয় হবে।
মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]
বিবাহযোগ্যদের বিবাহের কথাবার্তা পাকাপাকি হবে। দাম্পত্য জীবন কটুতায় ভরে থাকলেও বিচ্ছেদের সম্ভাবনা নেই। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। নিঃসন্তান দম্পতিরা কোনো না কোনো শুভ সংবাদপ্রাপ্ত হবেন।
বাংলাদেশের আকাশে আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট) ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে পবিত্র মুহাররম মাস গণনা শুরু আগামী ৩০ আগস্ট রবিবার সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে। অতএব আগামী ৩০ আগস্ট রোববার সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মিজান-উল-আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ ,বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ আবদুল মান্নান, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: আলমগীর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহসহ বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ জিলহজ ১৪৪১ হিজরি, ০৫ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২০ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায়, আগামীকাল ০৬ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২১ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার থেকে পবিত্র মুহাররম মাস গণনা শুরু হবে। এই প্রেক্ষিতে, আগামী ১০ মুহাররম ১৪৪২ হিজরি, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ৩০ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3l4OQZx
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য “আশীর্বাদ” ছবির প্রধান নারী চরিত্র সুবর্ণার জন্যে অবশেষে মাহিয়া মাহিকে চুক্তিবদ্ধ করলেন প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস। ১৯ আগস্ট রাতে তার বনানীর বাসায় ছবির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের উপস্থিতিতে মাহিকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে তার নায়ক চরিত্রের জন্যে রোশানকে চুক্তিবদ্ধ করানো হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ছবির প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস, পরিচালক মানিক এবং নায়িকা মাহি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এর আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য ‘আশীর্বাদ’ ছবির সুবর্ণা চরিত্রে গেলো ১৬ আগস্ট ঢালিউডের আরেক জনপ্রিয় তারকা অপু বিশ্বাসকে চুক্তিবদ্ধ করান প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস। কিন্তু অপেশাদারী আচরণের অভিযোগ তুলে পরের দিনই অপুকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও অপু বলেছেন, তিনি “আশীর্বাদ” ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যাই মাত্র দুইদিনের মধ্যেই ছবির নায়িকা রদবদল করলেন প্রযোজক ও পরিচালক। জানা গেছে, এই ছবি মধ্য দিয়েই প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধছেন মাহিয়া মাহি ও রোশান।
জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে পূর্ণদৈর্ঘ্য ১৬টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘আশীর্বাদ’। এই ছবিটি প্রযোজনার পাশাপাশি জেনিফার ফেরদৌস ছবির কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন। সংলাপ লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু। “আশীর্বাদ” পরিচালনা করবেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তরুণ নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।
আশীর্বাদ ছবিতে যুক্ত হলেন মাহিয়া মাহি ও রোশানএই ছবিতে মাহিকে চূড়ান্ত করা প্রসঙ্গে প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস বলেন, সরকারি অনুদান পাওয়ার পর থেকেই আশীর্বাদ ছবির প্রধান নারী চরিত্র সুবর্ণার জন্য নায়িকা খুঁজছিলাম। এমন কাউকে চাচ্ছিলাম যে এই চরিত্রের জন্য পারফেক্ট হবে। শেষ পর্যন্ত এই চরিত্রে মাহিয়া মাহিকে আমরা চুক্তিবদ্ধ করেছি। আশা করছি মাহির সঙ্গে আমাদের কাজের দারুণ অভিজ্ঞতা হবে। ছবিতে মাহির বিপরীতে রোশানকে চূড়ান্ত করেছি, দর্শকরা প্রথমবার পর্দায় একসাথে রোশান – মাহি জুটিকে দেখতে পাবে। দর্শকদের প্রথমবার পর্দায় তাদের রসায়ন দেখানোর জন্য তাদেরকে একসাথে নিয়ে আসছি। আশা করি দর্শকরা এই জুটিকে সাদরে গ্রহণ করবেন।
সুবর্ণা চরিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে মাহিয়া মাহি বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই ছবির সুবর্ণা চরিত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীর চরিত্র। মুক্তিযুদ্ধের আগের উত্তাল রাজনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এমন চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার জন্যে নতুন অভিজ্ঞতা হবে। আমি তাই জেনিফার আপু এবং মানিক ভাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা আমাকে সুবর্ণা চরিত্রের জন্য আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।
ছবির নায়ক রোশান বলেন, এই ছবির মাধ্যমে আমি আর মাহি জুটিবদ্ধ হয়ে পর্দায় আসবো। আমার বিশ্বাস – দর্শকরা আমাদের দুজনের পর্দা উপস্থিতি দারুনভাবে উপভোগ করবেন। এমন একটি সুযোগ দেওয়ায় জেনিফার আপুর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ জানাই মাহি এবং মানিক ভাইকেও।
আশীর্বাদ ছবিতে যুক্ত হলেন মাহিয়া মাহি ও রোশানপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত নায়ক ও নায়িকা চূড়ান্ত করেছি। বাকি অভিনয়শিল্পীদের নাম খুব শীঘ্রি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে “আশীর্বাদ” ছবিটির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই এর শুটিং শুরু হবে বলে প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস জানিয়েছেন।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/34kEvCM
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের দিক নির্দেশনায় মহানগরীর সিন্ডবি মোড়ের এফ-৬ যুদ্ধবিমান টি আজ রাতে মহানগরীর আলিফ লাম মিম ভাটার মোড়ে নতুন ফোরলেন রাস্তার সম্মুখে স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘বাবুই’ আর্কিটেকচারের ২১ সদস্যের দল যুদ্ধবিমানটি বসানোর কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে যশোর থেকে আসা বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার আসাদ এর নেতৃত্বে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, মহানগরীর ‘রাজশাহী-নওগাঁ থেকে মোহনপুর, রাজশাহী-নাটোর সড়ক, পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ে ক্রসিংয়ের ওপর র্যামসহ ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।
২০২.৫০ মিটারের ফ্লাইওভার এবং ১২০ মিটার দৈর্ঘ্যের র্যাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা। এর সঙ্গে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আলিফ-লাম-মীম ভাটা থেকে বিহাস পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার ফোর লেন সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। এর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এ সড়কের প্রবেশ মুখেই বসানো হচ্ছে যুদ্ধবিমানটি। আর এর মধ্যে দিয়েই দীর্ঘ দুই যুগ পর জায়গা বদল করে নতুন ঠিকানা পাচ্ছে এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমানটি। বিমানবাহিনীর দেওয়া এ যুদ্ধবিমানটি গত টানা ২৫ বছর মহানগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ের ঐতিহ্য হয়ে ছিল।
নতুন সড়কটি রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দর সড়কে গিয়ে মিলিত হয়েছে। দুই সড়কের সংযোগস্থলে থেকে এফ-৬ মডেলের ‘যুদ্ধবিমান’ নির্দেশনা দেবে ‘বিমানবন্দরের’ দিকে। এটি হবে নতুন সড়কের মূল আকর্ষণ।
এর আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সকালে যুদ্ধবিমানটি সিঅ্যান্ডবি মোড়ের নির্ধারিত স্ট্যান্ড থেকে নামানোর কাজ শুরু হয়।
স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালনার সময় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার কাজী শাহজাহান জানান, স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের আকাশসীমার সুরক্ষায় এফ-৬ মডেলের যুদ্ধবিমানটি কেনা হয়েছিল। বিমানটি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সার্ভিস দিয়েছে। পরে শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন একটি অব্যবহৃত বিমান সিঅ্যান্ডবি মোড়ে স্থাপনের আবেদন জানায়।
অনুমোদনে পর ১৯৯৪ সালে রাজশাহী সিঅ্যান্ডবি মোড়ে কংক্রিটের তৈরি স্ট্যান্ডের ওপর এ বিমানটি স্থাপন করে সিটি করপোরেশন।
যুদ্ধবিমানটি অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। এ মডেলের বিমানের ইঞ্জিন সাধারণত ভেতরেই থাকে। তবে এটিতে ইঞ্জিন নেই। কিন্তু এখনও দুই পাখার সঙ্গে ড্রপ ট্যাংক আছে। এছাড়া পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিমানটি মডেল হিসেবে রূপ দেওয়া হলেও এর পাইলটের বসার স্থানটি ঠিক রাখা হয়। যদিও স্থানান্তরের কারণে বিমানটির পাখা এবং ড্রপ ট্যাংকগুলো খুলে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে রং করে আবারও তা যথাস্থানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/31dgxrh
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সবুজ সুন্দর পরিবেশ রক্ষায় নরসিংদীর সম্মানিত জেলাপ্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন স্যার এর সদয় নির্দেশে এবং
মনোহরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শাফিয়া আক্তার শিমু স্যার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে
মনোহরদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. ইকবাল হাসান এর নেতৃত্বে মনোহরদী বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট অভিযানে পন্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী পাটের ব্যবহার না করে পলিথিনের প্যাকেট ও মোড়ক ব্যবহার করায় ৬ টি মামলায় ৬ জন ব্যবসায়ীকে ৭০০০/ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় ও সতর্ক করা হয় যেন পাট অধিদপ্তরের ঘোষিত ও প্রচারিত ২৯ টি খাদ্যপন্যের মোড়কে পাটের পণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়।
এ সময় পাট অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলার
কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থেকে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া মনোহরদী থানা পুলিশের একটি টিম এ সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে থেকে আইন শৃংখলা রক্ষায় সার্বিকভাবে সহোযোগিতা প্রদান করে
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/32ctGjx
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দুর্নীতিবাজদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কোভিড-১৯ বা বন্যা যে কোনো ত্রাণ কার্যক্রমে দুর্নীতি সংক্রান্ত সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করা।’ পাবনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সেলিম রেজা ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চাটমোহর উপজেলা নতুন মিলনায়তনে ‘কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, বন্যা, চলমান ত্রাণ কার্যক্রম, আইন-শৃংখলা পর্যবেক্ষণ’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথা গুলো বলেন।
দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারি সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনী’র সদস্য, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, মিডিয়া কর্মীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতায় বাংলাদেশে এখনও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মহামারিরূপ ধারণ করতে পারেনি। বাঙ্গালি বীরের জাতি, যতই মহা-দূর্যোগ আসুক না কেন, তারা সাহসিকতার সাথে সে সকল দূর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল-এ রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।’
পাবনা’র জেলা প্রশাসক মো: কবীর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাবনা’র সিভিল সার্জন ডা: মেহেদী ইকবাল।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য দেন চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো, চাটমোহর পৌরসভা’র মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ওমর ফারুক বুলবুল, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতি’র সভাপতি কে. এম. বেলাল হোসেন স্বপন, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি রকিবুর রহমান টুকুন। সভাটি সঞ্চালনা করেন ইউআরসি’র সহকারি ইন্সট্রাক্টর কল্যাণ কুমার সরকার।
মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ বলেন, চাটমোহর উপজেলায় কোভিড-১৯ নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি নেই। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। যারা আক্রান্ত হয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে ১ জন ছাড়া সকলেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। এ উপজেলায় সরকারি, বে-সরকারি পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সন্তোষজনক। এ উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতিও সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়াও বক্তাগণ রেলপথ সচিব মো: সেলিম রেজা সমীপে চাটমোহর রেলস্টেশনে যাত্রীসেবা’র মানোন্নয়নে সু-পরিসর গণ-শৌচাগার, সুপেয় পানিয় জল ব্যবস্থাপনা, রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে রেলওয়ে থানা স্থাপন করা, যাত্রীদের জন্য এসি/ননএসি ওয়েটিং রুম গুলো উন্মুক্ত রাখা, স্টেশনের উত্তর পাশে আরও একটি প্লাটফর্ম নির্মাণ এবং যাত্রী নিরাপত্তা বিবেচনায় স্টেশনের মরা গাছ গুলো সরিয়ে দাবী জানান।
মতবিনিময় সভা শেষে প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব মো: সেলিম রেজা’র হাতে সম্মাননা স্মারক ও উপহার সামগ্রী তুলেদেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার এবং জেলা প্রশাসক মো: কবীর মাহমুদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান। পরিশেষে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ঔষধি বৃক্ষরোপন করেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চাটমোহর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: ইকতেখারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইসাহক আলী মানিক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক ফিরোজা পারভীন, উপজেলা প্রকৌশলী মো: রাজু আহমেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এ. এ. মাসুম বিল্লাহ্, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: মাহবুবুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মগরেব আলী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আশরাফুল ইসলাম, পাবনা পবিস-১ এর এজিএম (এমএস) মো: রেজাউল করিম, দৈনিক আমাদের বড়াল পত্রিকা সম্পাদক হেলালুর রহমান জুয়েল, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত সাহা কিংশুক , চ্যানেল ২৪-এর পাবনা প্রতিনিধি শাহীন রহমান, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি পবিত্র তালুকদার, সাংবাদিক তুষার ভট্টাচার্য্য সহ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3aV9VkJ
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : র্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবঞ্জ ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পিটিআই এলাকায়।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার পিটিআই মাস্টার পাড়া সংলগ্ন মেসার্স একেখান ফিলিং ষ্টেশনের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১৫ নং ওয়ার্ড বালু বাগান মহল্লার মাইনুল ইসলামের ছেলে মতিউর রহমান ওরফে ডলার (২৮) ও সোনাপটি লতিফ মিনিষ্টারের বাড়ীর পাশের এনামুল হকের ছেলে সোহেল রানা (২২)।
র্যাব-৫, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ জন গ্রেপ্তারের বিষয় টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল সদর থানায় ১টি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। – কপোত নবী।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3kYnTXz
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
সাভারের আশুলিয়ায় ২ হাজার ১’শ পুড়িয়া হিরোইন ও ২৩ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকা থেকে ওই মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন- বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার দক্ষিণ ভুতুরদিয়া গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে বেলাল হোসেন (৩১) ও অপরজন আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন (৩০)।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-অর-রশিদ জানান, বুধবার রাতে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় একটি শাখা সড়কে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে জিরাবো এলাকার মা হোটেলের সামনে সন্দেহভাজন দুই জনকে আটক করা হয়। এসময় বেলাল ও জামালের দেহ তল্লাশি করে ২ হাজার ১’শ পুড়িয়া হেরোইন ও ২৩ পিস মাদক ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটক দুই ব্যক্তি র্দীঘদিন ধরে এলাকায় হেরোইন ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আনিসুল হকের 'হৃদিতা' হচ্ছেন পূজা, সঙ্গে এবিএম সুমন
বিনোদন ডেস্ক
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের রোম্যান্টিক উপন্যাস 'হৃদিতা' অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন ইস্পাহানী আরিফ জাহান। রোম্যান্টিক ধারার এ সিনেমায় অভিনয় করবেন ঢালিউড সেনসেশন পূজা চেরি ও 'ঢাকা অ্যাটাক' খ্যাত এবিএম সুমন।
উপন্যাস থেকে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমাটির 'চলচ্চিত্ররূপ' দিয়েছেন মেধাবী লেখক এনামুল হক। চিত্রনাট্য করেছেন ইস্পাহানী আরিফ জাহান। ইস্পাহানী জানান, সিনেমার টাইটেল কার্ডে 'চলচ্চিত্ররূপ' শব্দটি এই প্রথম ব্যবহার হতে যাচ্ছে।
এনামুল হক বলেন, বিষয়টি ইতিবাচক। 'নাট্যরূপ'-এর মতো 'চলচ্চিত্ররূপ' শব্দটিও একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। 'চলচ্চিত্ররূপ' বিশেষণটি বেছে নেয়ার কারণ সম্পর্কে এনামুল বলেন, উপন্যাস থেকে সিনেমার জন্য আমি যা লিখেছি পরিচালক তা পরিমার্জন ও সংক্ষেপণ করেছেন। শট বিভাজনও পরিচালকের করা। ফলে 'চলচ্চিত্ররূপ' শব্দটিই আমার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে যথাযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
জানা যায়, 'হৃদিতা' অবলম্বনে গত বছরের শুরুতে সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করেন ইস্পাহানী আরিফ জাহান। এসময় উপন্যাস থেকে 'চলচ্চিত্ররূপ' করার দায়িত্ব নেন এনামুল হক। ২০১৯-২০ অর্থবছরে হৃদিতা সরকারি অনুদান পায়। কিন্তু তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়া নথিপত্রে দেখা যায়- হৃদিতার কাহিনী ও সংলাপ আনিসুল হকের, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা ইস্পাহানী আরিফ জাহানের, এনামুল হকের ভাগে 'শূন্য'।
বঞ্চিত এনামুল এ ঘটনায় বেশ মর্মাহত হন। বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে। এনামুল আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন ওঠে। এতে হৃদিতার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে লেখক ও পরিচালকদ্বয়ের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।
সোমবার (১৭ আগষ্ট) বেলা ১২টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে মুশফিকুর রহমান গুলজারের সভাপতিত্বে লেখক ও পরিচালকের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়। বৈঠকে 'হৃদিতা' চলচ্চিত্রের ক্রেডিট লাইনে এনামুল হকের নামের পাশে 'চলচ্চিত্ররূপ' লেখাই যথোপযুক্ত বলে সিদ্ধান্তে আসেন সকলে। সভায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, গুণী নির্মাতা শাহ আলম কিরণ, আব্দুস সামাদ খোকন সহ বেশ কজন গুণী পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে লেখক ও পরিচালক যুগল হাসিমুখে ফটোসেশনে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকের প্রেম-বিরহ নিয়েই 'হৃদিতা'র গল্প। সিনেমায় হৃদিতা চরিত্রে পূজা এবং কবির চরিত্রে এবিএম সুমন ইতোমধ্যে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। অক্টোবর থেকে শুটিং শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন পরিচালক ইস্পাহানী।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
সারাদেশ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২১৫ জনে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৩ জনে।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বুধবার চট্টগ্রামের ছয় ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৭ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তারমধ্যে নগরের ৮৪ জন ও ১৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে কতজন মৃত্যু বরণ করে এবং কত সুস্থ হয়েছে সেসব তথ্য দিতে পারেনি সিভিল সার্জন।
ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ২১ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ৩ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৪ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ১ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৩১ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ২ জনের করোনা মিলেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৩ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ৪ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১২ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
শেভরণ ল্যাবে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১৩ জন ও উপজেলা পর্যায়ের ২ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় উপজেলা পর্যায়ের ১ জন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ১৩ জনের মধ্যে সাতকানিয়ার ১, আনোয়ারার ১, পটিয়ার ২, রাউজানের ২, ফটিকছড়ির ২, হাটহাজারীর ৪ ও সীতাকুণ্ডের ১ জন বাসিন্দা আছেন।
এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া চট্টগ্রামে ১৬ হাজার ২১৫ জনের মধ্যে নগরের ১১ হাজার ৪৮৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৪ হাজার ৭২৭ জন বাসিন্দা আছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করা ২৫৩ জনের মধ্যে নগরের ১৭৫ জন ও উপজেলার ৭৮ জন বাসিন্দা।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছে মোট ৩ হাজার ৭০৮ জন করোনা রোগী।
আইনে মানা থাকলেও যেভাবে বারবার বিয়ে করে ‘বিয়ে পাগল’রা
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে তথ্য গোপন করে একাধিক বিয়ে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরও এখানে পরিচয় গোপন রেখে কিংবা আইনের ফাঁক গলে একাধিক বিয়ের ঘটনা তো আকছার ঘটেই, এমনকি এক ব্যক্তির শতাধিক বিয়ের খবরও পাওয়া যায়।
ঢাকার বিমানবন্দরে সম্প্রতি প্রবাসফেরত এক ব্যক্তিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া নিয়ে দুই স্ত্রীর বাদানুবাদ, ধাক্কাধাক্কি ও টানা-হেঁচড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে, প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করে ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং দেশের ফেরার পর তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে এসেছেন দুই স্ত্রীই।
খবরের কাগজে মাঝেমধ্যেই এ ধরণের খবর ছাপা হতে দেখা যায়। খবরে তথ্য-পরিচয় গোপন করে প্রতারণা করে বহু বিবাহের ঘটনা নিয়ে অনেক হাস্যরসও হয়, যেমন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘বিয়ে পাগল’ উপাধি দিয়ে দেয়া হয়।
তথ্য গোপন করে ২৮৬ বিয়ে!
২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষদিকে ঢাকার তেজগাঁও থানার পুলিশ জাকির হোসেন ব্যাপারি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন, যিনি তথ্য-পরিচয় গোপন করে, প্রতারণা করে ২৮৬টি বিয়ে করেছেন।
এই বিপুল সংখ্যক বিয়ে করার জন্য তিনি ১৪ বছর সময় নিয়েছেন।
ওই মামলার তদারককারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার ইন্সপেক্টর অপারেশনস হাসনাত খন্দকার জানিয়েছেন, তদন্ত করে মামলার চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ, এখন সেটি আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় আছে।
‘আমরা তাকে ধর্ষণ এবং প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে সে ২৮৬টি বিয়ের কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সে বিয়ে করত এবং স্ত্রী ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে নানা উছিলায় টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত।’
তিনি জানিয়েছেন, গ্রেফতারের পর পুলিশ যখন তদন্ত শুরু করলে যখন ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ হয়, তখন তার বিরুদ্ধে একই সময়ে প্রতারণামূলক বিয়ের অভিযোগে ঢাকার মিরপুর, গাজীপুর, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলায় মোট ৬টি মামলা হয়েছিল।
তথ্য গোপন করে বিয়ে করা কি সহজ বাংলাদেশে?
পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতারণা করে বিয়ে করার অভিযোগ অনেক পান তারা। অনেক ক্ষেত্রে মামলাও হয় না, সমঝোতার মাধ্যমে অনেকে মিটিয়ে নেন।
তবে, তিনি জানিয়েছেন, এসব প্রতারণার অভিযোগ কেবল পুরুষ নয়, নারীদের বিরুদ্ধেও পাওয়া যায়।
‘মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান---সব ধর্মেই কমবেশি বিয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।’
তবে বছরে এ ধরণের প্রতারণার কতগুলো ঘটনা ঘটে, কিংবা কতগুলো মামলা হয় সে নিয়ে সঠিক সংখ্যা জানা যায় না। কেবল গণমাধ্যমে আলোচিত হলেই সেগুলো সামনে আসে।
বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার সমিতির মহাসচিব কাজী ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, বর্তমানে যেভাবে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়, তাতে এ ধরনের প্রতারণা বন্ধের উপায় বলতে গেলে নেই।
‘আমাদের কাছে যে ধরণের তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হয়, তাতে বিয়ের পূর্ব ঘটনার কোনো রেফারেন্স থাকে না। যেমন ধরেন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ---এর কোথাও তো ব্যক্তির বৈবাহিক অবস্থার উল্লেখ থাকে না।’
সাধারণ ক্ষেত্রে বিবাহ নিবন্ধনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ চাওয়া হয়। এর সঙ্গে পূর্বে বিবাহিত হলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতিপত্র বা অনুমতি দিয়ে চেয়ারম্যানের সনদ, এবং তালাক-প্রাপ্ত হলে সে সংক্রান্ত সনদ চাওয়া হয়।
তিনি বলছেন, কিন্তু কেউ প্রতারণা করতে চাইলে এসব কোনো নিয়ম দিয়েই আটকানো যায় না। কারণ কেউ যদি সব অস্বীকার করে, কিভাবে সেইটা ঠেকানো যাবে? বর্তমানে দেশে তো সে ব্যবস্থা নাই।
কেন ঘটে এমন?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে বা প্রতারণা করে বিয়ে করা খুবই সহজ।
এর কারণ হিসেবে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক নীনা গোস্বামী বলছেন, প্রধানত আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করেই এ ধরণের প্রতারণার ঘটনা ঘটে।
‘প্রধান কারণ হচ্ছে, দেশে সেন্ট্রাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন বা বিয়ে নিবন্ধন বিষয়ক কেন্দ্রীয় কোনো ব্যবস্থা নেই।’
‘বিবাহ নিবন্ধনের তথ্য যদি ডিজিটালাইজড হত অর্থাৎ অনলাইনে বিষয়টি যাচাই করার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে এসব প্রতারণা ঘটনা অনেক কমে আসত।’
বিবাহ নিবন্ধনের তথ্য অনলাইনে দেখা গেলে, প্রথম বিয়ের পর কেউ পুনরায় বিয়ে করতে গেলে, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেটা রেজিস্টারে দেখা যেত। ফলে প্রতারণাটা ধরা পড়ে যেত, যা এখন ধরার উপায় নেই।
‘ধরুন কেউ রংপুরে একটি বিয়ে করেছে, তথ্য লুকিয়ে পরের বিয়েটি কুষ্টিয়া বা সিলেটে বা চট্টগ্রামে করলো, এখন সেখানকার লোকে এটা যাচাই করবে কোথায়?’
তিনি বলেছেন, আইন অনুযায়ী দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি বা চেয়ারম্যানের অনুমতিপত্র লাগে।
‘কিন্তু বিয়ে নিবন্ধনের সময় সেটা নিয়েও অনিয়ম হয়, মানে প্রায়ই দেখা যায় সেটা না দেখেই বিয়ে দেয়া হয়েছে। অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে মিথ্যা তথ্য দিল, সেটাও তো বিয়েশাদীর সময় তাড়াহুড়ায় যাচাই করার উপায় থাকে না।’
সামাজিক প্রেক্ষাপট দায়ী?
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটও এ ধরণের প্রতারণার ঘটনার জন্য কিছুটা দায়ী বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেছেন, বাংলাদেশের সমাজে নারীর অধস্তন অবস্থানের কারণে এমন ঘটনা ঘটে।
‘এখানে অবস্থাটা এরকম যে, সাধারণভাবে মেয়েকে কোনো ভাবে পার করতে পারলেই বাঁচে বাবা-মায়েরা। দেখা যায় ছেলে বিদেশে থাকে, সেখানে কি কাজ করে, কী তার পূর্ব ইতিহাস---কোনো কিছু যাচাই না করে বিয়ে দেয়া হয়। এটা কেবল গ্রামে নয়, শহরেও ঘটে। উচ্চ শিক্ষিত পরিবারেও ঘটে।’
‘এছাড়া সমাজে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও পরিবারে এক ধরণের উদ্বেগ থাকে, যে কারণে পরিচয় এবং ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই না করে বিয়ে দিয়ে প্রতারণার অনেক ঘটনা ঘটে।’
পুলিশ বলছে অনেক সময় নিবন্ধন না করেও বিয়ের ঘটনা ঘটে। কিন্তু ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রতিটি বিবাহ সরকার নির্ধারিত কাজির কাছে রেজিস্ট্রেশন না করা হলে দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বিয়েটি বাতিল বলে গণ্য হবে না।
এছাড়া হিন্দু খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের জন্যও বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের বিধান রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেখা যায় মানুষ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে ঠিকমত জানেন না।
সরকার কী ভাবছে?
সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে এ ধরণের প্রতারণা করে বিয়ে বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
‘যেহেতু বাংলাদেশে এখনো অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ অর্থাৎ পরিবারিকভাবে দেখাশোনার মাধ্যমে বিয়ে বেশি হয়, ফলে এসব প্রতারণা বন্ধের জন্য একটি ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্যে আমরা বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা অনলাইন করার কথা ভাবছি। সেই সঙ্গে আরেকটি হচ্ছে বিয়ের জন্য বাধ্যতামূলক জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদর্শন, যেটা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।’
আইনমন্ত্রী মনে করেন এতে প্রতারণা কমে যাবে বা বন্ধ হবে। তবে, কবে নাগাদ ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা অনলাইন হবে, সেটি তিনি বলতে পারেননি।
‘টাইম ফ্রেম আমি দিতে পারবো না, কিন্তু এটা বলতে পারি আমরা (সরকার) খুব সিরিয়াস এ ব্যাপারে।’
এই মূহুর্তে বাল্যবিবাহ বন্ধের উদ্দেশ্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যবহার হচ্ছে। খবর: বিবিসি বাংলা।
অবসান হচ্ছে পেনশন বইয়ের যুগের। এখন থেকে আর পেনশন বই (পেনশন পেমেন্ট অর্ডার) নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মাসে মাসে ব্যাংকে যেতে হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক
পেনশন বইয়ে যেন ঝামেলার অন্ত ছিল না। নানা নিয়মের কারণে শিকার হতে হতো বিড়ম্বনার। পেনশনভোগীদের এসব ভোগান্তি দূর হচ্ছে। অবসান হচ্ছে পেনশন বইয়ের যুগের। এখন থেকে আর পেনশন বই (পেনশন পেমেন্ট অর্ডার) নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মাসে মাসে ব্যাংকে যেতে হবে না। মাসিক পেনশন ও অন্যান্য ভাতা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করে দেবে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিজিএ)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাস থেকে ঢাকায় ও সারাদেশে ডিসেম্বর থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেনশন পৌঁছে দেবে হিসাব সিজিএ। গত দুই মাস ধরে পরীক্ষামূলকভাবে এটি ঢাকায় চালু হয়েছে।
জানা গেছে, এ ব্যবস্থায় পেনশনারের পাওনা একবারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে দিয়ে দেয়া হবে। পরে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পেনশনারের নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন এ ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হতে অবসরগ্রহণকারীদের সিজিএ অফিসের ওয়েবসাইট ও হিসারক্ষণ অফিস থেকে সংগৃহীত একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও নিজের ব্যাংক হিসাবের এমআইসিআর চেক বইয়ের উপরিভাগের ফটোকপি ব্যাংকে জমা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক এসব ডকুমেন্ট ডি-হাফ জমা দেয়ার সময় হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে জমা দেবে।
বর্তমানে সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও তাদের উত্তরাধিকারীরা রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে অবসর সুবিধা পেয়ে থাকেন। অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবীরা যেখান থেকে অবসরে যান বা যেখান থেকে পেনশন তুলতে চান সেই জেলা বা উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে পেনশন বই নেন। ওই এলাকার ব্যাংক শাখাগুলোতে পেনশনারদের তালিকা ও পেনশনের পরিমাণ দিয়ে একটি লিস্ট (যাকে 'ডি-হাফ' বলা হয়) দেয় হিসাবরক্ষণ অফিস।
পেনশনভোগী ব্যক্তি হিসাবরক্ষণ অফিসে হাজির হয়ে পেনশনের মূল বইয়ে স্বাক্ষর করে ব্যাংকে হাজির হন। ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা দিয়ে দেয়। পরে সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশনসহ পুনর্ভরণ নেয়।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৭ লাখ লোক অবসর সুবিধা গ্রহণ করেন। এ বছর সরকার পেনশন ও গ্রাচ্যুইটি বাবদ বাজেটে ২৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি ডিগ্রি পাসের নিচে এবং কামিল মাদ্রাসার সভাপতি মাস্টার্স পাসের নিচের কোনো ব্যক্তি হতে পারবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া দেশের কোনো ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবে না বলে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি ফাজিল বা ডিগ্রি পাসের নিচে কোনো ব্যক্তি হতে পারবে না এবং কোনো কামিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি কামিল বা মাস্টার্স পাসের নিচের কোনো ব্যক্তি হতে পারবে না।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের স্বাক্ষরের পর বুধবার (১৯ আগস্ট) ১৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেয়েছি।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া দেশের কোনো ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত রায়ে আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রথমে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্নাতক ডিগ্রিধারী তিনজন ব্যক্তির নাম পাঠাবেন। তিনজনের মধ্যে থেকে ভিসি একজনকে সভাপতি পদে মনোনীত করবেন। কিন্তু ডিও লেটারে কেউ সভাপতি হলে সেটি বাতিল হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
একইসঙ্গে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোয়ন দেওয়ায় তার সভাপতি পদ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির বলেন, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোনয়ন দেয় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তার নামই প্রতিষ্ঠান প্রধান সুপারিশ করে ভিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন।
পরে বেলাল হোসাইন বাবুলকে সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ওই মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য আরিফুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে আদালত গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া (ডিগ্রি পাসের নিচে নয়) দেশের কোনো ফাজিল-কামিল (স্নাতক) মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবে না বলে রায় দেন।
আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এটা একটা যুগান্তকারী রায়।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারী সময়ে বাংলাদেশে ১৭ লাখেরও বেশি তরুণ চাকরি হারিয়েছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক যৌথ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাতে প্রকাশিত ‘ট্যাকলিং দ্য কোভিড-১৯ ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট ক্রাইসিস ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৩টি দেশের তরুণদের চাকরি হারানোর এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ও লকডাউনের কারণে বাংলাদেশে স্বল্প মেয়াদে চাকরি হারিয়েছেন ১১ লাখ ১৭ হাজার তরুণ। দীর্ঘ মেয়াদে তা বেড়ে ১৭ লাখ ৭৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারিয়েছেন ভারতের তরুণ জনগোষ্ঠী। দেশটির ৬১ লাখ ১৩ হাজার তরুণ এ প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। পাকিস্তানে করোনায় চাকরি হারিয়েছেন ২২ লাখ ৫৮ হাজার তরুণ।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় এ সংখ্যা ১৮ লাখ ৮১ হাজার, ফিলিপাইনে ১০ লাখ ১৯ হাজার, থাইল্যান্ডে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ও ভিয়েতনামে পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার, কম্বোডিয়ায় দুই লাখ ৫৫ হাজার, নেপালে এক লাখ ৮৬ হাজার ও শ্রীলংকায় এক লাখ ৫১ হাজার তরুণ চাকরি হারিয়েছেন বা এ প্রক্রিয়ায় আছেন।
মূলত কৃষি, খুচরা বাণিজ্য, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, অভ্যন্তরীণ পরিবহন সেবা, নির্মাণ খাত, টেক্সটাইল খাত এবং অন্যান্য সেবা- এসব খাতে চাকরি হারিয়েছেন তরুণরা। বাংলাদেশের তরুণরা এসব সাত খাতে চাকরি হারিয়েছেন যথাক্রমে ২২.৯ শতাংশ, ১২.১ শতাংশ, ২.৬ শতাংশ, ৭.৪ শতাংশ, ১২.৮ শতাংশ, ১৩.৬ শতাংশ ও ৪.৫ শতাংশ।
করোনার কারণে এসব অঞ্চলে বেকারত্ব দ্রুত বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বছর শেষে ১৩টি দেশে এ হারে বড় ধরনের উলম্ফন হতে পারে। কোনো কোনো দেশে এ হার দ্বিগুণ আকার ধারণ করবে। এ তালিকায় বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে দেশে তরুণ জনগোষ্ঠীর বেকারত্বের হার ছিল ১১.৯ শতাংশ। চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৪.৮ শতাংশ।
বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করেছে আইএলও ও এডিবি। এর মধ্যে রয়েছে সরকারিভাবে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, বেসরকারি খাতে শ্রমিক নিয়োগে ভর্তুকি প্রদানে সমন্বিত নীতি প্রণয়ন এবং তরুণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।