১৩ বছর পর আবার রেলে পশু পরিবহন শুরু হয়েছে। প্রথম যাত্রায় জামালপুরের ইসলামপুর থেকে ২৬১টি গরু নিয়ে ক্যাটাল স্পেশাল বুধবার (২৯ জুলাই) সকালে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছেছে।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, পশ্চিমাঞ্চলের ওয়াগন না চললেও গত মঙ্গলবার রাতে ইসলামপুর থেকে ২৩০ ও মেলান্দহ থেকে ৩১টি গরু নিয়ে যাত্রা করে ‘ক্যাটাল স্পেশাল’।
মিটারগেজ ১৭ ওয়াগনের প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১৬টি গরু। খামারিদের সুবিধার্থে ওয়াগনের শেষে যুক্ত করা হয় একটি যাত্রীবাহী বগি। জয়দেবপুর, তেজগাঁওয়ে কিছু গরু নামিয়ে বাকিগুলো নিয়ে কমলাপুরের ৮ নম্বর প্ল্যাটফরমে আসে ওয়াগনটি। করোনার কারণে ৬৮ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে চলছে রেল।
ঈদযাত্রায় সারা দেশে মাত্র ১৭টি আন্তনগর ট্রেন চলছে। করোনাকালে কৃষকের সুবিধায় এর আগে কৃষিপণ্য ও আমবাহী পার্সেল ট্রেন চালু করেছিল রেলওয়ে। ঈদুল আজহায় খামারিদের সুবিধায় ৭ জুলাই কোরবানির পশুবাহী ওয়াগন পরিচালনার ঘোষণা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
জুলাইয়ের প্রথম দিকে কোরবানি উপলক্ষে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ট্রেনে করে পশু পরিবহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকায় ট্রেন পরিচালনা করতে পারছিল না রেলওয়ে।
ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, সড়কপথের তুলনায় কম খরচ রেলে। জামালপুর থেকে ট্রাকে গরুপ্রতি দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। রেলে খরচ মাত্র ৫০০ টাকা। ট্রাকে তাদের বসার ও বিশ্রামের জায়গা থাকে না, যানজটে পড়তে হয়। বৃষ্টি হলে গরু ভিজে যায়। পথে ট্রাক দুর্ঘটনার ভয় থাকে। কিন্তু রেলে এসব ঝামেলা পোহাতে হয়নি।
এর আগে ২০০৮ সালে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ঘাট থেকে সাতটি কোরবানির পশুবাহী ট্রেন পরিচালনা করেছিল রেলওয়ে।
মৌমাছি পালন বিশ্বের অন্যতম একটি প্রাচীন পেশা এবং তুলনামূলক সহজ। প্রাথমিকভাবে বিনিয়গের পরে কম খরচে বছরের পর বছর লাভবান হওয়া সম্ভব, তাই মৌমাছি পালনকারীদের জন্য এটি যথেষ্ট ফলপ্রসূ। তাছাড়া নিজের জমিতে উৎপাদিত তাজা মধু উপভোগ করতে পারাও মন্দ নও! মৌমাছি পালনের নানাবিধ উপকারিতা ও তা রক্ষার নানা কৌশলাদি নিয়েই আজকের লিখাটি লিখতে চলেছি।
বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত যে, মৌমাছিরা ফুলের পরাগায়ন ঘটিয়ে বনজ, ফলদ ও কৃষিজ ফসলের উৎপাদন ২৫-৩০% বাড়িয়ে দেয়। তাই মৌমাছি পালন করা পরিবেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গ্রেঞ্জ কো-অপের মৌমাছি বিশেষজ্ঞ, হ্যাজেল থমাসের মতে, “মৌমাছি পালন মানুষের জন্য একটি বড় শখ। এটি লাভজনক, আকর্ষণীয় এবং ব্যয়বহুল নয়। এটির মূল্য ভালো এবং খুব অর্থনৈতিক। আগ্রহী হবার পর, যখন আপনি আপনার সরঞ্জাম পেয়েছেন তখন আপনি নিঃসন্দেহে এগিয়ে যেতে পারেন। আপনি দু তিন সপ্তাহের জন্য মৌবাক্স কে একা ছেড়ে যেতে পারেন কোনো প্রকার চিন্তা না করেই।”
মৌমাছি চাষের ইতিহাস
প্রাচীন কাল থেকে মৌমাছি চাষ করা হলেও, ১৮৫৩ সালে বিজ্ঞানী ল্যাংস্ট্রোথ আধুনিক পদ্ধতিতে মৌচাষ শুরু করেন এবং তাকেই আধুনিক মৌচাষের জনক বলা হয় । ১৮৮৪ সালে সর্বপ্রথম একজন ইংরেজ (নাম: ডকলাস) উপমহাদেশে মৌচাষের প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে ড.আক্তার হামিদ খান ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মৌচাষের সূচনা করেন । বাংলাদেশে ১৯৬৩ সালে বিসিক ( বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন) প্রথমবার মানুষকে মৌচাষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করে এবং এরপর থেকে বিভিন্ন সংস্থা মৌমাছি পালন বিষয়ে মানুষকে প্রশিক্ষণ দেয়া, মৌবাক্স বিতরন করা ইত্যাদি কাজ চালিয়ে যায়।
মৌমাছি নিয়ে গবেষণা এবং গুণীজনদের বাণী
১৯৭৩ সালে অষ্ট্রিয়ান বিজ্ঞানি Karl Von-Frisch ‘Physiology or Medicine’ মৌমাছির জীবনচক্র’ নিয়ে গবেষনা করে নোবেল পান এবং একটি বই লিখেন যার নাম ‘The dancing bees’। তিনি প্রমাণ করেন যে, মৌমাছি তিন ধরনের। রানী মৌমাছি (সন্তান উৎপাদন করে), পুরুষ মৌমাছি (রানী মৌমাছিদের সঙ্গে প্রজননে সহায়তা করে) এবং কর্মী মৌমাছি (এরা বন্ধ্যা মৌমাছি । মৌচাক নির্মাণ, মধু সংগ্রহ সহ তাদের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করে)। যখনই একটি কর্মী মৌমাছি নতুন কোন ফুলের বাগানের সন্ধান পায়, তখনই অন্য কর্মী মৌমাছিদের নতুন এই ফুলের বাগানের সঠিক দিক নির্দেশনা জানিয়ে দেয়।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর বলেন, “সকল পানীয় উপাদানের মধ্যে মধু সর্বোৎকৃষ্ঠ।”
এ কথা দ্বারা স্পষ্ট যে মধু নিঃসন্দেহে উপকারি । পরবর্তীতে বিজ্ঞানের গবেষনা দ্বারা মধুতে উপস্থিত উপাদান গুলো সম্পর্কে জানা যায়। চলুন জেনে নেই সেগুলো: মধুর প্রধান উপকরণ হলো সুগার, যার মধ্যে ডেক্সট্রোজ,, ম্যালটোজ, গ্লুকোজ, লেভিউলোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। প্রতি ১০০গ্রাম মধুতে ২৮০-৩০৪ গ্রাম ক্যালরি পাওয়া যায়। মধুতে নিয়াসিন, রাইবোফ্লাভিন ,ভিটামিন বি, এমাইনো এসিড, প্যান্টোথেনিক রয়েছে, এছাড়াও ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফরফরাস, পটাশিয়াম, দস্তা, তামা ইত্যাদি খনিজে ভরপুর মধু। মধুতে কোন ফ্যাট বা কোলেস্টেরল থাকেনা। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন জীবাণু আক্রমণ রোধ করে কিংবা প্রতিকার করতে পারে, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মৌমাছিপালন কিংবা মৌচাষের উপকারিতা
উৎপাদিত সুস্বাদু মধু : মধু ৪৫ রকমের খাদ্য উপাদান বহন সহ পুষ্টিতে ভরা একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি তরল। মধু সেবনে সর্দি কাশি উপশম হয় (এক চা চামচ মধু + এক চা চামচ বাসক পাতার রস/তুলসী পাতার রস/ আদার রস/আমলকী), আমাশয় ও পাতলা পায়খানা ভালো হয় (গরম পানি + দুই-আড়াই চামচ মধু মিশিয়ে বারবার খেতে হবে)। শরীরের চর্বি কমায় ( রোজ সকালে গরম পানি +এক চা চামচ লেবুর রস + এক চা চামচ সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে হবে)। এছাড়াও মধু স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, ক্ষতের চিকিৎসায় মধু ব্যবহার করা হয়, অ্যালার্জি থেকে মুক্তিতেও মধু দারুন কাজ করে, ত্বকের সমস্যায় মধুর ব্যবহার কার্যকরী এবং পুরোনো, মাথায় খুশকির সমস্যাও মধু ব্যবহারে সমাধান হয়, এমনকি মধু খেলে আয়ু বৃদ্ধি পায়।
মোম: মোম মৌচাকের একটি পণ্য। মোমবাতি, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরিতে (ক্রিম, লিপস্টিক) ইত্যাদিতে মোম ব্যবহার করা হয়।
মৌমাছির বিষ: মৌমাছিদের বিষও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে - মৌমাছি স্টিং থেরাপিতে। বাত রোগ এবং বাতজনিত / অন্যান্য প্রদাহজনক / চিকিৎসা পরিস্থিতিতে ভোগা রোগীদের সাফল্যের সাথে পরিচালিত হয়।
পরাগায়নের সুবিধা: নিজস্ব বাগানে মৌমাছি পালনের একটা বড় সুবিধা হলো এরা পরাগায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে, ফলে বাগানের উৎপাদন ফল,সবজি স্থানীয় অর্থনীতিতে সহায়তা করে।
রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন কম: মৌমাছিরা কঠোর পরিশ্রম করে এবং এদের সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক হয়, খুব একটা খেয়াল রাখা কিংবা সবসময় সময় দিয়ে রক্ষনাবেক্ষন করার দরকার হয়না।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায়: প্রাকৃতিক জীবন প্রক্রিয়ার অংশ হওয়ায় মৌমাছি ফুল পরাগায়িত করে এবং উপকারী মধু তৈরি করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য কে গভীরভাবে সন্তুষ্ট রাখে।
মৌচাষে বিনিয়োগ ও লাভ
প্রকৃতিতে চার প্রকারের মৌমাছি পাওয়া যায়। সেগুলো হলো- অ্যাপিস মেলিফেরা, অ্যাপিস সেরানা অ্যাপিস ডরসেটা ও অ্যাপিস ফ্লোরিয়া । বাংলাদেশে অ্যাপিস সেরানা প্রজাতির ৫টি মৌ বাক্স স্থাপন এবং সরঞ্জামাদি জন্য মোট বিনিয়োগ করতে হবে ১৫-১৬ হাজার টাকা। প্রতি বছর ৫-১০ কেজি মধু উৎপাদিত হয় এবং ১০-১৫ বছর অবধি অব্যাহত থাকবে ।
অন্যদিকে অ্যাপিস মেলিফেরা প্রজাতির ক্ষেত্রে প্রথমে ব্যয় হবে ২৫ থেকে ২৭ হাজার টাকা। এক্ষেত্রেও ১০-১৫ বছর পর্যন্ত আর তেমন কোন অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না। মেলিফেরা প্রজাতির প্রতিটি মৌ-বাক্স থেকে বছরে ৫০ কেজি পর্যন্ত মধু সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রতি কেজি মধুর মূল্য অবস্থান এবং গুনমানভেদে ২৫০-৩৫০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
বাংলাদেশে মৌচাষের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও সম্ভাবনা
দেশে মধু উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছে প্রায় ১৮ হাজার মৌচাষি। চাষি ছাড়াও বিভিন্নভাবে মধু শিল্পে কর্মরত আছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারাদেশে মৌ চাষের আওতায় জমির পরিমাণ ৮৯,০৩৭ হেক্টর। বর্তমানে ২ হাজার মৌ খামার ও ৫৬,৬৮৮ টি মৌবাক্স স্থাপিত রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১,১৫১ জন সক্রিয় মৌখামাড়ি মৌ পালনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। ৭ টি বেসরকারি মধু প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৭টি মৌচাষিদের সংগঠন রয়েছে।
বর্তমানে উৎপাদিত মধুর পরিমাণ প্রায় ৭০০-৮০০ মেট্রিক টন। (সূত্র: AIS)
২০১৯-২০ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মধু উৎপাদনে শীর্ষ দেশ চীন। এশিয়ার মাঝে ভিয়েতনাম এবং ভারতের মধু রপ্তানীতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য স্থান। দেশের বাজারে মধু সরবরাহের পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন ভারত, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ইত্যাদি দেশে মধু রপ্তানি করছে। মধু রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৩ তম এবং আমদানিতে ৬৬ তম।
দেখা গেছে, বাংলাদেশে যে পরিমাণ জমিতে সরিষা, লিচু, আম, তিল ইত্যাদি ফসলের চাষ হয় তার মাত্র ১০ ভাগ জমিতে মৌ চাষ হয়। তাই বলা যায় যে, মধু চাষে বাংলাদেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। শতভাগ জমি যদি মৌ চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে ফসল উৎপাদন যেভাবে বাড়বে, মধু উৎপাদনও অনুরুপভাবে বাড়বে।
মৌমাছি রক্ষায় করণীয়:
মৌমাছি রক্ষায় ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেরই সমান ভূমিকা রয়েছে। নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ করছি-
বাগান তৈরি: মৌমাছির অন্যতম বড় হুমকি হলো, নিরাপদ আবাসের অভাব, যেখানে তারা ঘর তৈরি করতে পারবে। গ্রামাঞ্চলে গাছপালা, ক্ষেত কিংবা কিছু বন জঙ্গল থাকায় মৌমাছিরা আবাস স্থল পেয়ে যায়, কিন্তু শহরাঞ্চলে বড় বড় দালানের ভিড়ে এটা সম্ভব হয়না। ক্রমশই গ্রামগুলো শহরে পরিনত হওয়ায় মৌমাছিরা অসহায় হয়ে পড়ছে। মৌমাছি বিভিন্ন ধরণের খাবারের পুষ্টিকর উৎস খুঁজে পেলেই সেই স্থানের কাছে বাসা বাঁধে, সেক্ষেত্রে একটি বাগান তৈরি ই হতে পারে মৌমাছি রক্ষার প্রথম ধাপ। মৌমাছি চাষ করতে চাইলে বাগানের বিকল্প নেই। তবে প্রাকৃতিক মৌমাছির কথা ভেবে বাগান না তৈরি করতে পারলেও প্রত্যেকটি বাড়ির বারান্দায় কিংবা ছাদে লাগানো যেতে পারে নানান ফুল, ফল এবং সবজির গাছ তাতে করে খাবারের অভাব বোধ না করে শহরাঞ্চলেও মৌমাছিরা বাসা বাধতে পারবে নিশ্চিন্তে!
মৌমাছি বাথ তৈরি: মৌমাছি এবং অন্যান্য উপকারী মাছি/প্রজাপতিরা মধু খেয়ে কিংবা সংগ্রহ করে বেশ তৃষ্ণার্ত থাকে, তাই বাগানের ছায়াযুক্ত স্থানে একটা বাথ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে একটি অগভীর বাটি নিয়ে তাতে কয়েকটি নুড়ি পাথর দিতে হবে এবং জল দ্বারা পূর্ন করে দিতে হবে, যেন মৌমাছিরা সেখান থেকে পানি খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতে পারে। প্রতিদিন বাটিতে পানি বদলে দিতে হবে এবং বাটি মাঝেমাঝে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার রোধ: ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে লোকালয়ে আশঙ্কাজনকভাবে মৌমাছির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এতে ফসলের ফলনও কমে যাচ্ছে। মৌমাছি আশেপাশের ফসল এবং শোভাময় উদ্ভিদের ফুলগুলো থেকে খাবার সংগ্রহ করে পরাগায়ন ঘটায় তাই মৌমাছি কে দুর্বল করতে পারে এমন পদার্থগুলো ব্যবহার না করা অত্যাবশ্যক। রাসায়নিক বালাইনাশল এর প্রভাবে মৌমাছি রা মারা যায়। জৈব বালাইনাশক প্রকৃতির উপাদান থেকে তৈরি করা হয়, যেমন— অ্যালামান্ডার নির্যাস, রসুন, নিমগাছের ডাল, পাতা ও রস, তামাক, মুরগির পচনশীল বিষ্ঠা, সরিষার খৈল, লাইমো ব্যাকটেরিয়া, বিভিন্ন ধরনের অণুজীব ও জীবাণু। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে কৃষিকাজ করা শুরু করতে হবে। যেসব কৃষক জৈবিকভাবে ফসল উৎপাদন করে তাদেরকেও একইসঙ্গে সমর্থন করতে হবে। তাদের পন্য বেশি মাত্রায় কিনে।
মৌচাষীদের সাহায্য করা: সময় কিংবা জায়গার সল্পতার জন্য সবার পক্ষে হয়তো মৌমাছি পালন সম্ভব হয়না, কিন্তু খরা কিংবা অন্যান্য জটিলতায় কাছাকাছি মৌচাষে উদ্যোগীদের যেন ব্যবসায় কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য যতটুকু সম্ভব সাহায্য করতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবীদের উৎসাহ দান: স্থানীয় মধু কিনে স্থানীয় মৌমাছি পালনকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। বিভিন্ন কোম্পানীর দেশ বিদেশ থেকে আসা মধুর বিপরীতে, সরাসরি চাক ভেঙে আনা কাঁচা মধু ক্রয় করে মধু চাষীদের উৎসাহ দিতে হবে। মৌমাছি পালনের বহুল প্রচলন আমাদের দেশের বেকারত্ব নিরসনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হতেই পারে। আর যদি মৌচাষ ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের জন্য তা আশীর্বাদ স্বরূপই বিবেচিত হবে। সরকার, আধুনিক মিডিয়া, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবাই এই সেক্টরে মনযোগ দিলে দ্রুতই এর প্রভূত উন্নতি সম্ভব।
লেখক: সাদিয়া রহমান, শিক্ষার্থী, এগ্রিকালচার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
সোহেল তাজ ও তাজউদ্দিন সাহেবের কন্যাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো, আপনারা বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে দেখা করুন। তাজউদ্দিন আহমেদ এবং জোহরা তাজউদ্দিন আজ জীবিত নেই, শেখ হাসিনাই আপনাদের বাবা, মা, বড় বোন সবকিছু।
এইচ রহমান মিলু
বিএনপি নেতারা প্রায়ই বলতেন আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, তবে... কিন্তু... ইত্যাদি.... ইত্যাদি ...! গত কয়েকদিন ধরে তাজউদ্দিন আহমেদ নিয়ে আমারই ভাই বোনদের উক্তিটাও আমার কাছে তেমনই লাগছে। আমরাও তাজউদ্দিন আহমেদকে সন্মান করি, বঙ্গবন্ধুর ডান হাত তাজউদ্দিন বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে জীবন দিয়েছেন, তবে...কিন্তু...ইত্যাদি...ইত্যাদি...! বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদের জন্মদিবস থেকে শুরু হওয়া তাজউদ্দিন বধ প্রজেক্ট কে বা কারা শুরু করে? তার মেয়ের লেখা বই নিয়ে যদি ব্যাবচ্ছেদ করতে হয় তবে কি বছরের বাকি ১১ মাসে তা করা যায় না? আপনারা কত বড় বিশাল দেশপ্রেমিক আর মুজিব সেনা হয়ে গেছেন যে আপনাদের কাছে তাজউদ্দিনের পরিবারকে প্রমাণ দিতে হবে যে তারা বঙ্গবন্ধুকে কতটুকু মানেন, কত স্কয়ারফুট শ্রদ্ধা করেন?
যে বই নিয়ে তাজউদ্দিনের পরিবারকে হেয় করতে উঠে পড়ে লেগেছেন সেই বই ১৭ কোটি মানুষের দেশে হাজার খানেক বিক্রি হয়েছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। আপনাদের লেজে কেরোসিন লাগিয়ে হাতে জ্বলন্ত কাঠি ধরিয়ে দিলো রাজাকারের নাতি আর গণভবনকে হাওয়া ভবন করতে যাওয়া এক ভাই। আপনারা নিজ দায়িত্বে সেই জ্বলন্ত কাঠি দিয়ে নিজের লেজে আগুন ধরিয়ে লংকাকাণ্ড করতে শুরু করলেন। একবারও ভাবলেন না যে পৃথিবীর এমন কোনো ব্যক্তির নজির নেই, যার সন্তানদের এবং গোটা পরিবারকে বেইজ্জতির মাধ্যমে সেই লোকের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা সম্ভব।
সোহেল তাজকে আজ ছাগল বলে যে অর্বাচীনটা ফেসবুকে লিখছে, সে কতবড় আওয়ামী লীগ? কোন যোগ্যতায় তারা এসব অপমান করতে সুযোগ ও সাহস পাচ্ছে? সংসদ ভবনে বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে সৎ, বিশ্বস্ত এবং জীবন গেলেও বেঈমানি করবেন না তাজউদ্দিন সন্তানদের মতো এমন সাংসদ জরুরি? নাকি, পরিস্থিতি বেগতিক হলেই এবং নিজের ফায়দা পেলেই নেত্রীর সাথে পল্টি মারা লোক জরুরি? এসব কিন্তু ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত কম হয়নি। তাজউদ্দিন বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করে শেষে খন্দকার মোশতাকেরা সফল হয়েছিলো। ফলাফল কি হলো সেদিন? বঙ্গবন্ধুকে চিরতরের জন্য হারালাম, হারালাম তার পুরো পরিবারকে।
খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিলো আজকের এই কুচক্রি ভাইদের মতো অনেকে। অনেকে মুচলেকা দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে দূরে থাকলো। কিন্তু সেই দিন তাজউদ্দিন আহমেদসহ জাতীয় চার নেতার কেউ বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি। তারা চাইলে মোশতাকের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতা এবং জীবন দুটোই সুরক্ষিত করতে পারতেন। খন্দকার মোশতাক এবং জিয়া খুব ভালো করেই জানতেন তাজউদ্দিনের মাথার দাম কত। একবার যদি তাকে ভেড়ানো যেতো তবে আজ আমরা ইতিহাসটা কেমন পেতাম? জীবন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করেও কেনো বার বার তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি কতটা যোগ্য এবং যৌক্তিক ছিলেন?
এইচ রহমান মিলু, লেখক
কতবার তার সন্তানেরা প্রমাণ দেবেন যে তারা বেঈমান না, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের জন্য তারা জীবন দিতে জানেন? আজ যারা তাজউদ্দিনের পরিবার নিয়ে নোংরামিতে মেতেছেন, বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে বই লিখেছে বলে অভিযোগ করছেন, তারা কি কেউ বইটার প্রকাশনা বাতিলের মামলা করেছেন? ২০১৪ সালে প্রকাশিত এই সব কটা বই বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার পড়া, তারা কি কখনও মনে করেছেন যে এখানে বঙ্গবন্ধুকে হেয় করা হয়েছে? তারা মনে করেননি কেন জানেন? কারন তারা বঙ্গবন্ধুর উচ্চতা জানেন, আপনার মতো বায়বীয় আবেগে তারা বঙ্গবন্ধুকে বিচার করেন না। বইয়ের লেখক কে তারা ছোটবেলা থেকেই আদর করেছেন নিজের আপন বোনের মতো করে। এই মেয়ের লেখায় বঙ্গবন্ধু কোথাও ছোট হবেন না তা তারা ভালো করেই জানেন। কারণ বঙ্গবন্ধু এই মেয়েরও আবেগের জায়গা, যার জন্য তার বাবা নিজের জীবন কোরবানি করে দিতে পারে তার প্রতি অভিমান জমতে পারে, অশ্রদ্ধা জমবার কোনো সুযোগ নেই।
আপনাদের অতি ইমোশনে আজ আবারও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পক্ষে যুদ্ধ করা অনলাইন আ্যক্টভিস্ট দুই ভাগে বিভক্ত। সুযোগে মাথা গলাতে শুরু করেছে প্রথম আলোর মতিউর রহমান ও মিজানুর রহমানেরা। তাদের ভাড়া করা লোকজন দিয়ে সোহেল তাজের পোস্টে কমেন্ট দেওয়াচ্ছে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন দাঁড় করাবার। উদ্দেশ্য একটাই, শেখ হাসিনাকে দূর্বল করা, তার পাশ থেকে সৎ ও বিশ্বস্তজনদের সরিয়ে ফেলা। আপনাদের মগজ কম ব্যবহার করে ইমোশনটা ফুল ভলিউমে ব্যবহার করবার কুফল কি এখনও টের পাচ্ছেন না?
বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে একজন সৈয়দ আশরাফের শুন্যতা আমরা যখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি, সেখানে বিকল্প হিসেবে কি সোহেল তাজকে মনে মনে চাইনি? এর বাইরে একটা নাম কি কারো বলতে পারবেন যিনি সৈয়দ আশরাফের মতো বিশ্বস্ততা ও সততা নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে থাকবেন? বিগত ১২ বছর ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকবার কারণে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ আজ ভয়াবহ দুর্বল অবস্থায় আছে তা কি জানেন? আশরাফ সাহেবের বিদায়ের পর আওয়ামী লীগে হাইব্রিড ও কাউয়া শব্দটার সাথে আমরা প্রথম পরিচিত হই, যা এখন আমাদের কাছে দৈনন্দিন জীবন যাপনের একটি অংশ বনে গেছে। এই সর্বনাশের মাত্রাটা আর বাড়াবেন না।
দেশে একদল যেমন ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়ে দেশে ইসলামের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে, আনাচে কানাচে জঙ্গি পয়দা করছে, তেমনি শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি বঙ্গবন্ধুপ্রেমী হয়ে আরও কিছু অর্বাচীন পয়দা হয়ে দলটাকে খন্ড বিখন্ড করছে বুঝে ও না বুঝে। পরিশেষে সোহেল তাজ ও তাজউদ্দিন সাহেবের কন্যাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো, আপনারা বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে দেখা করুন। তাজউদ্দিন আহমেদ এবং জোহরা তাজউদ্দিন আজ জীবিত নেই, শেখ হাসিনাই আপনাদের বাবা, মা, বড় বোন সবকিছু। অভিমান করবার যত বড় যৌক্তিক ও অযৌক্তিক কারণ থাকুক না কেন, একটা সত্য তো অস্বীকার করেননি কখনও যে, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মতো আপন আপনাদের এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই। অভিমানেরও একটা সীমা থাকে, সমাপ্তি থাকে, মায়ের মতন বড় বোন শেখ হাসিনার কাছে আপনারা ভাই বোন মিলে চলে যান। কিছুক্ষণ আবেগে কাঁদলেও সকলের মন হাল্কা হবে। আড়ালে থেকে কুটচাল চালাবার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে অনেক রথি মহারথিদের। দেশের জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য এই মুহূর্তে এই দৃশ্যটা সবচেয়ে জরুরি।
মুহাম্মাদ মনজুর হোসাইন,লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং পুলিশ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), জনাব একে ফজলুল হক সহ রামগঞ্জ থানাধীন হরিশ্চর সাকিনে অভিযান পরিচালনা করিয়া ৫ কেজি গাঁজা সহ ২জন আসামী গ্রেফতার করেছে।
২৯/০৭/২০২০ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত জনাব একে ফজলুল হক সঙ্গীয় এস.আই সঞ্জয় দাস,আঃ হান্নান,লিটন চাকমা,এ.এস.আই জাহাঙ্গীর আলম,সোহবার হোসেন,বাবুল রায়,শরীফুল ইসলাম,সোহরাব হোসেন সহ রামগঞ্জ থানাধীন হরিশ্চর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাজাসহ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ মুনসুর আলী (২৫) পিতা-মোঃ বকুল মিয়া ২। মোঃ সবুজ (২০) পিতা-মোঃ হোসেন উভয় সাং-দক্ষিন হরিশ্চর (কুরিচ্ছার বাড়ী), থানা-রামগঞ্জ জেলা-লক্ষ্মীপুর গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য আইনের নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। তাহাদেরকে আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সূত্র: লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3jUvO7t
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বাসসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাশ একটি অডিও বার্তায় দেশবাসীকে ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং এটি মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।’
শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আস্সালামু আলাইকুম, আমি শেখ হাসিনা, বছর ঘুরে আবার পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের মাঝে এসেছে। আমি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, করোনাভাইরাস মহামারীর সব অন্ধকার কাটিয়ে ঈদুল আজহা সবার মাঝে আনন্দ বয়ে আনবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বার্তাটির শেষে, তিনি করোনাভাইরাসের বিস্তার বন্ধে স্বাস্থ্য নির্দেশিকাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়ে সবার উদ্দেশে বলেন, ‘ভাল থাকুন এবং সুরক্ষিত থাকুন, ঈদ মোবারক!’
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2Xb2TlZ
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের পাঁচটি বুধবার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে পৌঁছাবে বুধবার (২৯ জুলাই)। ইতোমধ্যে বিমানগুলো ফ্রান্স থেকে রওনা হয়েছে। প্রথম ব্যাচের পাঁচটি বিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রোনে যোগ দেবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমানের পাঁচটি বুধবার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে পৌঁছাবে বুধবার (২৯ জুলাই)। ইতোমধ্যে বিমানগুলো ফ্রান্স থেকে রওনা হয়েছে। প্রথম ব্যাচের পাঁচটি বিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রোনে যোগ দেবে।
বহুল কাঙ্ক্ষিত রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম ব্যাচ দেশের পথে রওনা হতেই ভারতে উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ‘গোল্ডেন অ্যারো বা সোনার তির’ নামে পরিচিত রাফালের অন্তর্ভুক্তি ঘিরে সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত বিমান বাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা।
তাদের মতে, ভারতের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে রাফাল। কিন্তু কেন এই যুদ্ধবিমান ‘গেম চেঞ্জার’?
হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলা সংস্কণে বলা হয়, গত ১৯৯৭ সালের পর ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কোনো বিদেশি যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফলে বিমান বাহিনীর হাতে ‘বয়স্ক’ যুদ্ধবিমান ছিল। রাফাল অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষত চীন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার পরিস্থিতিতে ভারতের হাত পোক্ত করবে রাফাল। নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতের সামরিক শক্তি একলাফে অনেকটা বাড়বে।
দুই ইঞ্জিনের এই যুদ্ধবিমান স্থল, সমুদ্র, আকাশ- সর্বত্র হামলা চালাতে পারে। শত্রুপক্ষের অবস্থান খুঁজে বের করে তাদের নিশানা করতে পারে।
শুত্রুপক্ষ কোনো এলাকা দখল করে থাকলে সেখানে খুব নীচ থেকে হামলা চালানো কঠিন। সেক্ষেত্রে নিজেদের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। রাফাল উঁচু থেকেই সেই কাজটা করতে পারে। শত্রুপক্ষকে নিখুঁত নিশানা করে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে প্রায় ১০ টন ওজনের অস্ত্র বইতে পারে সেই যুদ্ধবিমান।
এছাড়াও ভারতীয় বিমান বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী একাধিক বৈশিষ্ট্য থাকছে রাফালে। এতে র্যাডার ওয়ার্নিং রিসিভার থাকছে যা শত্রুপক্ষের সেই রেডিও সিগনাল চিহ্নিত করতে পারে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারের সুবিধা আছে। তাতে ১০ ঘণ্টার ডেটা রেকর্ড করা যাবে।
পাইলটদের হেলমেটে যাবতীয় তথ্য দেখার সুবিধা রয়েছে। ইনফ্রারড সার্চ এবং ট্র্যাকিং সিস্টেম আছে রাফালে। একইসঙ্গে আছে জ্যামার।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অরূপ রাহা (অব.) বলেন, রাফাল ভারতীয় বিমান বাহিনী যুদ্ধ জয়ের হাতিয়ার হবে এবং চীনের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার সময়ে বড়সড় মনোবল বাড়াবে।
এর আগে ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথমটি গত বছরের অক্টোবরের শুরুর দিকে পায় ভারত। তখন যুদ্ধবিমান হাতে পেয়েই এক চক্কর উড়ান দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেন অস্ত্র পূজাও।
ফরাসি সংস্থা দাসোঁ অ্যাভিয়েশন এই যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। ২০১৬ সালে হওয়া ৫৯ হাজার কোটি রুপির চুক্তি অনুযায়ী ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান পাবে ভারত। আগামী ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবক’টি বিমান ভারতে পৌঁছাবে।
ইতালিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। তবু দ্বিতীয় দফা মহামারি ঠেকাতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী জরুরি অবস্থার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে আবেদন জানালে তা অনুমোদন দেয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ।
এদিকে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর পেছনে কন্তের বিরুদ্ধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিলাষ খুঁজে পাচ্ছিল বিরোধী দল। এরপরও উচ্চকক্ষের সিনেটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিপক্ষে ১৫৭-১২৫ ভোট পড়েছে।
রোমে ৩১ জানুয়ারি দুজন কোভিড রোগী শনাক্তের পর ৬ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সিনেটে এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাইরাসটির বিস্তার এখনও থামেনি। এখনই কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ তুলে নেওয়া হবে বোকামী।
অবশ্য এ বছরের শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন কন্তে।
ইউরোপীয় দেশ ইতালিতে মহামারি শুরুতেই ভয়াবহ থাবা বসায়, তাতে ২ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ৩৫ হাজার।
সাদা সোনা হিসেবে খ্যাত লিথিয়াম। বিশ্বের লিথিয়াম মজুদের প্রায় ৫০ ভাগ আছে বলিভিয়ায় দক্ষিণে আন্দিজ পর্বতমালার একেবারে ওপরের দিকে। পটোসি নামে পরিচিত এই অঞ্চলটি কুইচুরা এবং আমারা আদিবাসীদের গরিব এলাকা। এই লিথিয়ামই হতে যাচ্ছে পরবর্তী বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তু।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সাদা সোনা হিসেবে খ্যাত লিথিয়াম। বিশ্বের লিথিয়াম মজুদের প্রায় ৫০ ভাগ আছে বলিভিয়ায় দক্ষিণে আন্দিজ পর্বতমালার একেবারে ওপরের দিকে। পটোসি নামে পরিচিত এই অঞ্চলটি কুইচুরা এবং আমারা আদিবাসীদের গরিব এলাকা। এই লিথিয়ামই হতে যাচ্ছে পরবর্তী বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তু।
মোবাইল থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক কার- আজ ও আগামী দিনের প্রায় সব বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্রাণভোমরা যে ব্যাটারি, তার প্রধান রসদ লিথিয়াম।
এতদিন এই লিথিয়াম আমদানি করে নিজের চাহিদা মেটাতো জার্মানি। তবে বিজ্ঞানীদের সাফল্যে এখন সেই লিথিয়াম রফতানির স্বপ্নও দেখছে জার্মানি।
সম্প্রতি থার্মাল ওয়াটার থেকে লিথিয়াম আহরণের উপায় উদ্ভাবন করেছেন জার্মানির কার্ল্সিগফ্রুহে ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (কেটিটি) বিজ্ঞানীরা।
জানা গেছে, জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমের ওবারাইনগ্রাবেনের (আপার রাইন রিফ্ট ভ্যালি) মাটির গভীর থেকে থার্মাল ওয়াটার তুলে তা থেকে বের করা হয়েছে লিথিয়াম।
এক বিবৃতিতে কেটিটি জানিয়েছে, আমরা প্রতি লিটার (থার্মাল ওয়াটার) থেকে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লিথিয়াম বের করতে পেরেছি।
কেটিটির গবেষক ইয়েন্স গ্রিমার মনে করেন, মাটির নিজে যে পরিমাণ লিথিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার পুরোটা উত্তোলন করা হলে তা দিয়ে জার্মানির চাহিদার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হবে।
মাটির নীচ থেকে লিথিয়াম উত্তোলনের সহজ একটা প্রযুক্তিও উদ্ভাবন করেছেন ইয়েন্স গ্রিমার ও তার সহকর্মী ফ্লোরেন্সিয়া সারাভিয়া। গ্রিমার-সারাভিয়া নামে পেটেন্টও করা হয়েছে। জার্মান দুই বিজ্ঞানীর উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সহায়তায় প্রচলিত প্রযুক্তির তুলনায় অনেক সহজে এবং কম সময়ে, বেশি লিথিয়াম তোলা যাবে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবিনা ইয়াসমিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) রাতে সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একই দিনে জেলায় আরও ১৩ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৭ জনে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত সোমবার (২৭ জুলাই) জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তার পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
এছাড়াও গত রোববার জেলার ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্য থেকেও ১৩ জনের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন নিজের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৫৯২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর এই সংখ্যা গত একদিনের হিসেবে গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৬’শ মানুষের মৃত্যু দেখল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটি।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৫৯২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর এই সংখ্যা গত একদিনের হিসেবে গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই নিয়ে দেশটিতে করোনায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা দেড় লাখ ছুঁই ছুঁই। মৃত্যুর বৈশ্বিক তালিকায় অনেক আগে থেকেই শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
টানা বারো দিন পর মঙ্গলবার ৬০ হাজারের নিজে আক্রান্ত দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সংক্রমণ কমতির এই ধারা ধারাবাহিক রূপ পেল না। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই নতুন আক্রান্ত ষাট হাজারের কোটা ছাড়িয়ে গেল।
এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত দাঁড়াল ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ছুঁই ছুঁই, যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক-চতুর্থাংশ।
বসন্তের শেষ দিকে করোনার সংক্রমণ বেশ কমেছিল যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে পশ্চিম ও দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলোতে। ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, আলাবামা ও ফ্লোরিডা থেকে রেকর্ড সংক্রমণের খবর আসতে থাকে।
আন্তর্জাতিক উপাত্ত বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডো মিটারের তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যাটা আরও বেশি। তাদের হিসেবে আর দুহাজার হলেই দেশটিতে আক্রান্ত ৪৪ লাখে পৌঁছাবে। আর মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে।
আক্রান্ত-মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ব্রাজিল। আক্রান্ত ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে; এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮৮ হাজার ৬০০ মানুষের।
ভারত আক্রান্তের তালিকায় আছে তৃতীয়স্থানে, ১৫ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর তালিকায় আছে ষষ্ঠস্থানে, ৩৩ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে।
বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ১ কোটি ৬৮ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার মানুষের। সুস্থদের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে ‘অ্যাকটিভ’ করোনারোগী আছে ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার।
সৌদি আরবে হজের দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা চলছে আজ। মক্কা থেকে মিনায় গিয়ে পৌঁছেছেন হজযাত্রীরা।
পবিত্র হজের দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতায় মিনায় সারাদিন ইবাদত এবং নিজেদের গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহ’র জিকির করবেন হজযাত্রীরা। এরপর, বৃহস্পতিবার আরাফাত ময়দানে গিয়ে খুৎবা শুনবেন হজ পালনকারীরা। আরাফাত ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করে সন্ধ্যায় মুজদালিফায় যাবেন তারা।
মুজদালিফায় রাত যাপন করে পরদিন শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুঁড়বেন হজব্রত পালনকারীরা। পরে আবার মিনায় ফেরত গিয়ে আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য পশু কোরবানি দেবেন।
করোনা মহামারীতে এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ। গত ৯০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সৌদি আরবের বাইরে থেকে কেউ হজে অংশ নিতে পারছেন না। দেশটিতে বসবাসকারী স্থানীয় ও বিদেশি মিলিয়ে মাত্র ১০ হাজারের মতো মানুষ অংশ নিচ্ছেন এবারের হজে।
এবার হজে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। সুস্থতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রতি ৫০ জন হজ পালনকারীর জন্য একজন করে স্বাস্থ্য নেতা নিয়োগ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবার প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এমনকি হজের সময় কাবা শরীফ স্পর্শ বা চুম্বন করা যাবে না। বজায় রাখতে হবে দেড় মিটার শারীরিক দূরত্ব। তাওয়াফ, নামাজসহ প্রতিটি কাজেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3jNElcz
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
গত সাড়ে তিন মাসের ভেতর চীনে এই প্রথম শতাধিক ব্যক্তি কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। চীনা ডেইলি জানিয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০১ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। করোনা প্রতিরোধে চীন নতুন করে নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। তার ভেতর দিয়েই এই অবস্থা। এর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি শনাক্ত হয়েছিল ৬৮ জন।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিগত সাড়ে তিন মাসের ভেতর চীনে এই প্রথম শতাধিক ব্যক্তি কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
চীনা ডেইলি জানিয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০১ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে।
করোনা প্রতিরোধে চীন নতুন করে নানা ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। তার ভেতর দিয়েই এই অবস্থা। এর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি শনাক্ত হয়েছিল ৬৮ জন। নতুন আক্রান্তদের অধিকাংশ শিনজিংয়ের। একজন বেইজিংয়ের।
চীনের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৬০ জন নতুন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৯৪৪ জন।
আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাব অনুযায়ী, বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল আটটা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯২ হাজার ৩১৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৭ জন। বিপরীতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪০৮ জন।
আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২০ জন। বিপরীতে মোট সুস্থ হয়েছেন ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৪ জন।
মাদারীপুর জেলার শিবচরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের করিম হাওলাদারকান্দি গ্রামের আয়নাল মাতুব্বরের ছেলে মিঠু (১৮) এবং একই গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের মেয়ে নুপুর (২৫)।
মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুর জেলার শিবচরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের করিম হাওলাদারকান্দি গ্রামের আয়নাল মাতুব্বরের ছেলে মিঠু (১৮) এবং একই গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের মেয়ে নুপুর (২৫)।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন নাওডোবা থেকে মোটরসইকেলে ফিরছিলেন মিঠু ও নুপুর। পথে শিবচর ও জাজিরা উপজেলার সীমান্ত 'সীমানা' নামে স্থানে কাঁঠালবাড়ী ঘাটগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ওষুধ নিয়ে নাওডোবা এলাকার জমাদ্দার স্ট্যান্ড থেকে মিঠুর (সম্পর্কে বেয়াই) মোটরসাইকেলে করে নূপুর নামের মেয়েটি বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ছেলেটির মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় মেয়টিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নূপুরের ফুপা আজিজুল হাওলাদার জানান, ফরিদপুর নেয়ার পথে নূপুরের মৃত্যু হয়। তিনি শিবচরের সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের ডিগ্রির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অহিদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মাইক্রোবাস চালককে আটক করা হয়েছে।
মাস্ক, পিপিই কেলেঙ্কারির ঘটনায় জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাককে বেশ কয়েকদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তবে তিনি এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের সহযোগিতা করা প্রভাবশালী যারাই থাকুক, তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম, জেকেজির সাবরিনা, অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের শারমিন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব ও অধিদফতরের মহাপরিচালকের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ মাফিয়া ও সিন্ডিকেট চক্রকে সামাল দেওয়া। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ খাতের সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রতারক চক্র ও কেনাকাটা সিন্ডিকেটে জড়িয়ে গেছে স্বাস্থ্য খাত। পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে। গত ১২ বছরে মিঠু সিন্ডিকেটের খপ্পরে অতিষ্ঠ স্বাস্থ্য খাত। বেশ কয়েকজন প্রতারকের মুখোশ উন্মোচিত হলেও রহস্যজনক কারণে অধরা থেকে গেছেন মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। তিনি পালিয়ে এখন আমেরিকায় অবস্থান করছেন।
মাস্ক, পিপিই কেলেঙ্কারির ঘটনায় জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাককে বেশ কয়েকদিন আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তবে তিনি এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের সহযোগিতা করা প্রভাবশালী যারাই থাকুক, তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম, জেকেজির সাবরিনা, অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের শারমিন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আবার প্রভাবশালী একটি শ্রেণির সঙ্গে যোগসাজশ করে মেডিকেল প্রশ্নপত্রও ফাঁস করত একটি চক্র। এ চক্রের একটি অংশকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু এ কয়েকজনই নয়, স্বাস্থ্য খাতের আসল শকুনরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। নইলে নতুন নতুন মিঠু-রাজ্জাকের জন্ম হবে। মানুষের জীবন আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
এ প্রসঙ্গে সুুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়াদের ধরতে হলে দুদককে কঠোর হতে হবে। কিছুদিন আগে জেএমআইর আবদুর রাজ্জাককে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। স্বাস্থ্য খাতের আরেক মাফিয়া মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি, কারণ তিনি আমেরিকায় পালিয়ে আছেন। এরপর রাজ্জাককে আর দুদক ডাকেনি। আমি মনে করি, রাজ্জাক ও মিঠুকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের ঠিকাদারিতে তাদের “কালো তালিকাভুক্ত” এখনো করা যায়নি। এতে বোঝা যাচ্ছে, তাদের পেছনে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন। মিঠু-রাজ্জাকদের তারা সহযোগিতা করছেন। এদের উপেক্ষা করে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা গেছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেনাকাটা চলেছে সিন্ডিকেটের নিয়মে। সেখানে অনিয়মই নিয়ম। দিনের পর দিন অনিয়ম করে গেলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে মাফিয়ারা। প্রশাসনের ঢিমেতালে চলা ও যোগসাজশের সুযোগে বেড়েছে সিন্ডিকেটের সংখ্যা। করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্য খাতের ভঙ্গুর চিত্র দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। কিন্তু এ দুর্যোগেও মানুষের জীবন নিয়ে প্রতারণা শুরু করে এ চক্র।
এ প্রতারক ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশের মিডিয়ায় ফলাও করে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। তথ্য-প্রমাণসহ উঠে এসেছে দুর্নীতির চিত্র। গণমাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে মিঠু সিন্ডিকেটের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। এসব দুর্নীতি তদন্তে দুদক মাঝেমধ্যে মিঠুকে তলব করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্বাস্থ্য খাতে তৈরি হয়েছে দুর্নীতির ফাঁদ।
জানা যায়, জবাবদিহি না থাকায় ইচ্ছামতো চলে কেনাকাটা। যন্ত্রপাতি কেনাকাটার সময় দেখা হয় না কার্যকারিতা। অনেক হাসপাতালে প্রয়োজন না থাকলেও তাদের বরাদ্দ দিয়ে কেনা হয় যন্ত্র। এসব যন্ত্র সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো-সিএমএসডিতে দিনের পর দিন পড়ে থাকে আর নষ্ট হয়। কখনো যদি হাসপাতালে দেওয়াও হয় দেখা যায় ওসব যন্ত্র ব্যবহারের মতো জনবল সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়নি কখনই। একসময় নষ্ট হয়ে যায় কোটি টাকায় কেনা যন্ত্র। সিন্ডিকেট চক্রে যন্ত্রপাতি কেনায় দেখা হয় না গুণগত মান। হাসপাতালে পাঠালে মোড়ক খোলার পরই শুরু হয় সমস্যা। মানহীন নষ্ট যন্ত্রে ধুলা জমে জলে যায় সরকারের অর্থ। কেনার পরে মান যাচাই না করেই নেওয়া হয় যন্ত্র।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, করোনাকালে গভীর সংকটে দেশের মানুষ। এ পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন নিয়ে প্রতারণা আমাদের শঙ্কিত করে। যে কোনো দুর্নীতিই দেশের জন্য ক্ষতিকর। স্বাস্থ্য খাতে এ পরিস্থিতি নতুন নয়। শুধু চুুনোপুঁটি নয়, সিন্ডিকেট করে অর্থবৈভবের মালিক হওয়া ক্ষমতাশালী রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে এ দুর্নীতি নতুন নয়, এটা দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসা সিন্ডিকেটের পুঞ্জীভূত কাজ। যে কোনো বরাদ্দে তাদের যোগসাজশ থাকে। ক্ষমতার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা সিন্ডিকেট করে ক্রয় খাতকে প্রভাবিত করে। নিজেদের সম্পদ বিকাশের লাইসেন্স হয়েছে স্বাস্থ্য খাত। আপাতদৃষ্টিতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে মনে হলেও এ দুর্নীতি থামানো সম্ভব।
এদিকে মান যাচাই না করেই অত্যন্ত বাজে মাস্ক দেওয়া হয়েছে করোনা ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা চিকিৎসকদের।দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চিকিৎসকরা এসব সুরক্ষাসামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন তুললে বেরিয়ে আসে অপকর্মের চিত্র। অপরাজিতা ইন্টারন্যাশলের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরবরাহ করেছেন এন৯৫-এর স্টিকার লাগানো ভুয়া মাস্ক। মাস্কের গায়ের ভুল বানান দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। শুরু হয় শোরগোল। এ ঘটনায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ধরা পড়ার পর শারমিন জাহান জানান ভুলক্রমে ভুয়া মাস্ক দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর গতকাল তার রিমান্ড শেষ হয়েছে।
রোগীদের করোনা টেস্ট না করে ভুয়া সনদ দেওয়ার ঘটনায় বেরিয়ে আসে রিজেন্টের সাহেদের প্রতারণার ভয়াবহ চিত্র। মেয়াদোত্তীর্ণ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা, সরকারি যন্ত্রপাতি গায়েব করে দেওয়া, অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে। বর্তমানে অস্ত্র মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম। করোনা উপসর্গ থাকা মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে ড্রেনে ফেলে দিয়েছেন তারা। ইচ্ছামতো বানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভুয়া রিপোর্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বেরিয়ে আসে জেকেজির অপরাধের চিত্র। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন সাবরিনা।
সূত্রমতে, স্বাস্থ্য খাতে শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিযান। স্বাস্থ্য সচিব, ডিজি, হাসপাতালের পরিচালকসহ বেশ কিছু পদে এসেছে রদবদল। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এখনো বহাল থাকায় কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দুর্র্নীতি-অনিয়মের এ সিন্ডিকেট ভেঙে স্বাস্থ্য খাত রাহুমুক্ত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের জন্য।
এদিকে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন প্রশ্নপত্র জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। এর সঙ্গে ওই চক্রের ২০০ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ ইতোমধ্যে সিআইডির হাতে এসেছে। ওই চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পরই এমন তথ্য পায় সিআইডি। জড়িত ওই ২০০ জনের মধ্যে জালিয়াতি করে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন। তার মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর নামও জানা গেছে।
এ চক্রটি ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপাখানা থেকে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের কাছে সে প্রশ্ন পৌঁছে দিত তারা। এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার পাঁচজনের তিনজনকে সাত দিন করে রিমান্ডে পাঠায় আদালত। বাকি দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেছেন, স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বোঝা গেল এ খাতে সংস্কার খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এখন স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়া বলে খ্যাত মিঠু বা রাজ্জাকদের কতটুকু আইনের আওতায় আনা হয়েছে, সেটাই প্রশ্ন।
বাস্তবতা হলো, তাদের আইনের আওতায় আনতেই হবে। নইলে এমন মিঠু বা রাজ্জাকের আরও জন্ম হবে। তা ছাড়া মিঠু-রাজ্জাকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা তো বসে থাকবে না। কেউ দেশের বাইরে চলে যেতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। সরকার যদি সত্যিকারার্থেই স্বাস্থ্য খাতকে সংস্কার করতে চায়, তাহলে এ খাতে যারা দুর্নীতি ও নানা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারকাজ এখনই শুরু করতে হবে। সব কেলেঙ্কারির রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে।’
সুুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আরও বলেন, মিঠুকে আইনগতভাবেই আমেরিকা থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে। কারণ, তিনি আমেরিকার নাগরিক নন। দুদককে এ ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে। মিঠু-রাজ্জাকদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবেই। এজন্য মিঠু-রাজ্জাকের পাশাপাশি তাদের রক্ষাকারী গডফাদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুতই এ কাজ করতে হবে। এরই মধ্যে দুদক মাঠে নেমেছে। তাদের সাধুবাদ জানাই। কিন্তু দুদকের কাছে সারা জাতির দাবি, কঠোর হাতে স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঢাকাই সিনেমার নায়করাজ রাজ্জাক এক অধ্যায়ের নাম। এ কিংবদন্তি অভিনেতাকে স্মরণ করে বাংলা চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেন সময়ের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।
বুধবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে শাকিব লেখেন, চলচ্চিত্রের এই দুঃসময়ে সত্যি আজ আপনার কথা খুব মনে পড়ছে। আপনি বেঁচে থাকলে আপনাকে সঙ্গে নিয়ে হয়তো চলচ্চিত্রকে আরও অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারতাম এবং সব সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান করে ফেলতাম। হে পরম শ্রদ্ধেয় ওপারে অনেক ভালো থাকেন, শান্তিতে থাকেন আমাদের নায়করাজ রাজ্জাক।
মহামারি করোনার কারণে সীমিত করা হয়েছে এবারের হজের অংশগ্রহণ। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৯ জিলহজ (সৌদি আরবে) স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে পালিত হবে পবিত্র হজ।
গোটা পৃথিবীর লাখ লাখ মুসলমানের হজ পালনের চিরায়ত দৃশ্য এবার অবলোকন করা যাবে না। এবার পবিত্র হজ পালন করবেন ১ হাজার হাজী। করোনা মহামারীর কারণে এ বছর সীমিত পরিসরে হজ পালনের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
এ কারণে নিবন্ধনকৃত ১০ হাজার হজযাত্রীর মধ্যে মাত্র ১ হাজার জনকে নির্বাচিত করে গত ২৫ জুলাই থেকে আবাসিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এখানেই শারীরিক সুস্থতাসহ হজের প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ সমাপ্ত করেছেন হাজীরা। এবারই প্রথম সৌদি আরবে অবস্থানকারী বিশ্বের ১৬০টি দেশের নাগরিকরা পবিত্র হজে অংশ নিচ্ছেন।
হজ পালনকারীরা এবার কাবা শরিফ ও কালো পাথরে (হাজরে আসওয়াদ) চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না। আরাফাতের ময়দান ছাড়া সব সময় মাস্ক পরিধান করতে হবে। বৃহস্পতিবার এখানে হাজীরা জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন।
এর আগে বুধবার (২৯ জুলাই) ৮ জিলহজ (সৌদি আরবে) মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন হাজীরা। আগামীকাল সারা দিন আরাফাত ময়দানে অবস্থান শেষে মুজদালিফায় যাবেন এবং রাতযাপন করবেন। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন।
পরদিন শুক্রবার ১০ জিলহজ জামারায় শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারবেন। এজন্য আগে থেকে জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে (সৌদি কর্তৃপক্ষ এসব পাথর সরবরাহ করবেন)। তাই এবার মুজদালিফা থেকে শয়তানকে ছুড়ে মারা কঙ্কর সংগ্রহ করতে হবে না। এভাবে পরপর আরও দুই দিন শয়তানের উদ্দেশে কঙ্কর মারতে হবে।
এরপর মাথা মু-ন করে কোরবানি দিতে হবে। এ ছাড়া প্রথম দিনের কঙ্কর মারা শেষ হলে চলমান হজ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব হাজীকে মিনায় নির্দিষ্ট আবাসনে থাকতে হবে।
হজ পারমিট ছাড়া হজের জন্য পবিত্র স্থান মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে প্রবেশ গত ২৫ জুলাই থেকে হজের পঞ্চম দিন ১২ জিলহজ পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকছে। হজ পালনকারীরা যেখানেই সমবেত হোন না কেন, দুজনের মধ্যে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। আরাফাত ও মুজদালিফায় হজ পালনকারীদের অবশ্যই নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতে হবে।
কুলাউড়ায় আনুষ্ঠানিক আয়োজনে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির দাফন!
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
কুলাউড়ায় প্রশাসনের অগোচরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আনুষ্ঠানিক আয়োজন করে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আব্দুছ সবুর নামে এক ব্যাক্তির জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেছেন তার পরিবার। ঘটনাটি উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের মৌলভীগাঁও গ্রামের।
জানা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের মৌলভীগাঁও গ্রামের আব্দুছ সবুর কিছুদিন পূর্বে অসুস্থ হয়ে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন চিকিৎসার জন্য। করোনা উপসর্গ থাকায় সেখান থেকে সিলেটের করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ শামছুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে করোনা টেস্টে তার পজেটিভ রেজাল্ট আসে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুছ সবুরের মৃত্যু হয়।
পরিবারের লোকজন সেখান থেকে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে প্রশাসনসহ স্থানীয় লোকজনের কাছে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাজার আয়োজন করে রাত ৯টার দিকে আব্দুছ সবুরের লাশ দাফন করেন পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা।
ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মমদুদ হোসেন জানান, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে আমি সেই মৃত ব্যক্তির বাড়িতে যাই। তখন পরিবারের লোকজন বিষয়টি অস্বীকার করে আমাকে বলে আব্দুছ সবুর বার্ধক্যজনিত কারণে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। পরে আমি হাসপাতালের কাগজপত্র দেখতে চাইলে আব্দুছ সবুরের পরিবারের লোকজন বলেন, হাসাপাতালের ব্যবস্থাপত্র ও ছাড়পত্র কোথায় রেখেছেন সেটা খুঁজে পাচ্ছেন না।
তিনি জানান, আমি যখন সেখানে যাই ততক্ষণে আব্দুছ সবুরের লাশের গোসল ও কাফন পরানো হয়ে গেছে। পরে উনার স্বজনদের বলেছি সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করতে।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক জানান, সিলেটের শহীদ শামছুদ্দিন হাসপাতাল থেকে আমাদের জানানো হয় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলাউড়ার একজন মারা গেছেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্রাহ্মণবাজারের ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি খোঁজ নিতে এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে। ইউপি চেয়ারম্যান খোঁজ নিয়ে জানান, পরিবারের লোক বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে লাশের গোসলের কাজ সম্পন্ন করেছেন।
সিলেটের শহীদ শামছুদ্দিন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও জয়নমেজয় দত্ত মুঠোফোমে জানান, আমাদের হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তির দাফন কাজ সম্পন্নের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী পরিবারের লোকজন স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করে সীমিত পরিসরে জানাজার মাধ্যমে দাফন সম্পন্ন করতে হবে।