আমাদের অনেক ভাই নিজ উদ্যোগে Social Advancement Bangladesh (SABA - সাবা) এর ব্যানারে বাংলাদেশের প্রায় ২৫টি স্থানে অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এখন পর্যন্ত সম্পুর্ন নিজ উদ্যোগে SABA - সাবা ৫০০+ পরিবারের জন্য এক মাসের খাদ্যের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
আমাদের ইচ্ছা শক্তি প্রবল কিন্তু সামর্থ্য খুবই কম। কিন্তু এরই মাঝে আমরা আমাদের গতিতে চেষ্টা করছি, যতটা পারছি করছি। প্রতিদিন অনেক ম্যাসেজ কল আসে আমাদের কাছে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আমাদের সামর্থ্য যতটুকু আমরা ততটুকুই করতে পারছি।
সময় এসেছে সবার এগিয়ে আসার, নিজ গ্রামে, শহরে গরিব প্রতিবেশিদের খোঁজ খবর নেন। যারা একটু সচ্ছল সবাই এগিয়ে আসুন, নিজ উদ্যোগে যার যার গ্রামের বাড়িতে সাহায্য করুন। আপনার সামান্য অনুদানই পারে, মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, বাঁচাতে পারে অনেক জীবন।
যে যা পারেন তাই নিয়ে নেমে পরেন। বিশ্বাস করেন গেল ১টা সপ্তাহে অন্তত এমন ১০০ মানুষ দেখেছি যাদের ঘড়ে এক বেলার খাবার নেই, এক ছটাক চাল নেই, এমনকি গেল একটি মাসে ত্রানতো দূরের কথা ত্রানের গাড়িও দেখেনি। এই সময় আমাদের সবার সাধ্য মত সাহায্য করা অবশ্যক।
হে আল্লাহ! পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস মাহে রমজান সমাগত। রহমত মাগফেরত ও নাজাতের মাসে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারী উঠিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তোমার অশেষ দয়ায় এ মহামারী চলে গেলে আমরা যাতে পুনরায় গুনাহ ও নাফরমানির দিকে ধাবিত না হই। কারণ আমরা করোনাকে ভয় পাই মৃত্যুর জন্য। আল্লাহপাকের মেহেরবানিতে করোনা মহামারী থেকে এখন মুক্তি পেলেও মৃত্যু থেকে মুক্তি পাবো না।
(Feed generated with FetchRSS) BLACK iz Limited on Facebook https://bit.ly/3ePY4G7
সারা দেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আজ বৃহষ্পতিবার (১৬ এপ্রিল) জারি করা এক ঘোষণায় বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে এবং জনসাধারণের মধ্যে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া এই মুহুর্তে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় তাই সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন এর ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলো। সংক্রমণ প্রতিরোধে আজকের এই ঘোষণায় তিনটি নির্দেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলো হলোÑ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। একই সঙ্গে এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এই আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ঘোষণায়।
(Feed generated with FetchRSS) BLACK iz Limited on Facebook https://bit.ly/2yiTPlv
সারা দেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আজ বৃহষ্পতিবার (১৬ এপ্রিল) জারি করা এক ঘোষণায় বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে এবং জনসাধারণের মধ্যে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া এই মুহুর্তে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় তাই সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন এর ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলো। সংক্রমণ প্রতিরোধে আজকের এই ঘোষণায় তিনটি নির্দেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলো হলোÑ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। একই সঙ্গে এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এই আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ঘোষণায়।
(Feed generated with FetchRSS) BLACK iz Limited on Facebook https://bit.ly/3aeslux
সন্দেহ বা আক্রান্ত হলে কী করবেন? এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা হয়েছে এমন সন্দেহ হলে কী করবেন তা অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। আসুন অযথা আতঙ্কিত ও উৎকণ্ঠিত না হয়ে এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু পরামর্শ জেনে নিই। ১. আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রামে থাকতে হবে, তাকে পুষ্টিকর তরল খাবার ও প্রচুর পানি দিতে হবে। ২. রোগীকে সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হবে। যিনি রোগীর সেবা করবেন তাকে মাস্ক ও প্রতিরোধক পোশাক পিপিই পরতে হবে। ৩. খাবার তৈরির, খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান পানি হাত ধুয়ে নিতে হবে। ৪. আক্রান্ত ব্যক্তির বাসনপত্র, তোয়ালে ও বিছানার চাদর সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে হবে। ৫. অসুস্থ ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হলে বা শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
(Feed generated with FetchRSS) BLACK iz Limited on Facebook https://bit.ly/2KdyNaR
কোনও ভাবেই রাশ টানা যাচ্ছে না করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায়। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্তের নিরিখে সারা বিশ্বে শীর্ষ স্থানে রয়েছে আমেরিকা। এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রায় আড়াই লাখ আক্রান্ত হয়েছেন। তার পরেই রয়েছে ইটালি। সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তার পরেই রয়েছে স্পেন (১ লাখ ১২ হাজার ৬৫ জন), জার্মানি (৮৪ হাজার ৭৯৪), চীন (৮২ হাজার ৪৬৪)। বুধবার ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। যা এক দিনে আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড। ওই দিন মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার মানুষের। মৃত্যু সংখ্যায় বুধবারই নতুন মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেছে আমেরিকা, স্পেন ও ব্রিটেন। মৃতের সংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ইতালিতে। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে জার্মানিতেও মৃত্যু বাড়ছে হু হু করে। সে দেশে ইতিমধ্যেই ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই রয়েছে ফ্রান্স। বিশ্ব জুড়ে করোনার এই তাণ্ডবের মধ্যেই অবশ্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় দু’লাখেরও বেশি মানুষ করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সূত্র: রয়টার্স।
(Feed generated with FetchRSS) BLACK iz Limited on Facebook https://bit.ly/2X1ywzg
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিরুদ্দে লড়াই করে যাওয়া চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্যে পালিত হলো ক্ল্যাপ ফর কেয়ারারস কর্মসূচি। দেশজুড়ে হাততালির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সাথে যোগ দেন তারকারাও।
যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও অক্লান্ত পরিশ্রম করা স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি নানাভাবে ভালোবাসা জানাচ্ছে মানুষ। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সম্মান জানাতে নীল আলোয় সেজেছে লন্ডন।
দেশবাসীর সাথে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত।
‘হ্যাশট্যাগ ক্ল্যাপ ফর কেয়ারারস, হ্যাশট্যাগ ক্ল্যাপ ফর এনএইচএস’ ক্যাপশন ব্যবহার করে কর্মসূচি পালন করেন বহু তারকা। স্ত্রী র্যাচেলকে সঙ্গে নিয়ে অংশ নেন জেমস বন্ড তারকা ড্যানিয়েল ক্রেইগ। সাথে ছিলেন তার সহশিল্পীরা।
চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি সর্মথন আর ভালোবাসা জানিয়েছেন সাবেক ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম ও তার পরিবার।
এদিকে কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারও। ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজের তিন সন্তান হাততালির মধ্য দিয়ে ভালোবাসা জানায় স্বাস্থ্যকর্মীদের।
ব্রিটেনের মতো একইভাবে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে কানাডা। আর চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভার্চুয়াল জ্যাম সেশনে অংশ নিয়েছেন আর্জেন্টিনার সঙ্গীতাঙ্গণের সেরা তারকারা।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিরুদ্দে লড়াই করে যাওয়া চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্যে পালিত হলো ক্ল্যাপ ফর কেয়ারারস কর্মসূচি। দেশজুড়ে হাততালির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর এ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের সাথে যোগ দেন তারকারাও।
যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও অক্লান্ত পরিশ্রম করা স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি নানাভাবে ভালোবাসা জানাচ্ছে মানুষ। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সম্মান জানাতে নীল আলোয় সেজেছে লন্ডন।
দেশবাসীর সাথে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত।
‘হ্যাশট্যাগ ক্ল্যাপ ফর কেয়ারারস, হ্যাশট্যাগ ক্ল্যাপ ফর এনএইচএস’ ক্যাপশন ব্যবহার করে কর্মসূচি পালন করেন বহু তারকা। স্ত্রী র্যাচেলকে সঙ্গে নিয়ে অংশ নেন জেমস বন্ড তারকা ড্যানিয়েল ক্রেইগ। সাথে ছিলেন তার সহশিল্পীরা।
চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি সর্মথন আর ভালোবাসা জানিয়েছেন সাবেক ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যাম ও তার পরিবার।
এদিকে কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে ব্রিটিশ রাজপরিবারও। ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজের তিন সন্তান হাততালির মধ্য দিয়ে ভালোবাসা জানায় স্বাস্থ্যকর্মীদের।
ব্রিটেনের মতো একইভাবে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে কানাডা। আর চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভার্চুয়াল জ্যাম সেশনে অংশ নিয়েছেন আর্জেন্টিনার সঙ্গীতাঙ্গণের সেরা তারকারা।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনো কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
লক্ষ্মীপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাংবাদিক নিহত
সারাদেশ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় সাংবাদিক রাশেদ খান হেলাল নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর আরোহী। রোববার (২৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার গুচ্ছগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলাল যায়যায়দিন পত্রিকার রামগতি উপজেলা প্রতিনিধি। আহত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি। তিনি একই মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মোটরসাইকেলযোগে সাংবাদিক হেলালসহ দুইজন গুচ্ছগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় সড়কের পাশে বালুর স্তুপে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজনই পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই হেলাল মারা যান। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাংবাদিক নিহত
সারাদেশ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় সাংবাদিক রাশেদ খান হেলাল নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর আরোহী। রোববার (২৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার গুচ্ছগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলাল যায়যায়দিন পত্রিকার রামগতি উপজেলা প্রতিনিধি। আহত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা যায়নি। তিনি একই মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মোটরসাইকেলযোগে সাংবাদিক হেলালসহ দুইজন গুচ্ছগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় সড়কের পাশে বালুর স্তুপে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজনই পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই হেলাল মারা যান। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আল হারামাইন হাসপাতাল করোনা হাসপাতালের জন্য কমিশন করা হোক
তাজুদ্দিন তাজ
মাহতাবুর রহমান নাসির সিলেটে শীর্ষ ধনীদের একজন। আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান। দেশে বিদেশে বিশাল সম্পদের মালিক। বাংলাদেশ সরকারের একজন সিআইপি। একাধিক ব্যাংকের মালিক। আল হারামাইন পারফিউমের স্বত্বাধিকারী। মধ্যপ্রাচ্যে তার বিশাল ব্যবসা। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের সম্মানিত নাগরিক ও সেদেশের গোল্ডকার্ড হোল্ডার আয়কর দাতা। সিলেটে বাড়ি করেছেন প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা খরচ করে। তিনি কত কোটি টাকার মালিক তা এই নিবন্ধের আলোচ্য নয়। আলোচ্য হল- বিশ্বের চরম র্দুদিনে সিলেটবাসীর পাশে কী তিনি আছেন?
মানব ইতিহাসের অভূতপূর্ব এই দুর্যোগের দিনে ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ ধনীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে এসেছেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ আকিজ গ্রুপ ইতোমধ্যে করোনা হাসপাতাল তৈরীর কাজ শুরু করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপ ৫ হাজার বেডের করোনা হাসপাতাল তৈরীর ঘোষণা দিয়েছে। দেশের শীর্ষ শিল্পপতিরা ইতোমধ্যে দান অনুদান শুরু করেছেন। কিন্তু, কোথায় মাহতাবুর রহমান নাসির? তার কাছ থেকে কোন ঘোষণা এখনো শুনতে পাইনি।
এই মুহূর্তে বিশ্বেও ইতিহাসে একটি উদাহরণ তৈরীর একটি সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে শিল্পপতি মাহতাবুর রহমান নাসিরের সামনে। তার একক অর্থায়নে শত কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল রয়েছে সিলেটে- যার নাম আল হারামইন হাসপাতাল। তিনি এই হাসপাতালটি সিলেটের প্রথম করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অবিলম্বে সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।
আল হারামাইন হাসপাতাল কেন? অন্য কোন হাসপাতাল কেন নয়? আমার মতে, অতি সহজে এই হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। আর তাই সরকার এই হাসপাতালটি কমিশন বা রিকউজিশন করলে দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে সিলেটবাসী একটি মান সম্পন্ন বিশেষায়িত করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র পেতে পারেন।
আল হারমাইন হাসপাতাল একক মালিকানায় পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। এ কারণে এই প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। করোনা হাসপাতাল নির্মাণের জন্য রাগীব রাবেয়া বা ইবনে সিনার মত প্রতিষ্ঠানকে কমিশন করতে হলে এভাবে কোন একক সিদ্ধান্তের সুযোগ পাওয়া যাবে না।
করোনা হাসপাতাল স্থাপনের ক্ষেত্রে হাসপাতাল হিসেবে যে সব ফ্যাসিলিটিজ দরকার তার পুরোটাই রয়েছে আল হারামাইনে। এর ভবনটি তৈরী করা হয়েছে হাসপাতালের উপযোগী করে। এখানকার অভ্যন্তরীন সাজসজ্জাও বিশ্বমানের। এ কারণে এটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন করে আর কোন পরিবর্তনেরও হয়তো প্রয়োজন পড়বেনা। শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের হাতে একটি হস্তান্তর করা হলেই চলবে। আর প্রয়োজন হবে ভ্যান্টিলেশনসহ আরো কিছু মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট স্থাপন করা। এটি করা সময় বা ব্যয় সাপেক্ষ হবে না।
করোনা চিকিৎসায় হয়তো আমাদের বিদেশী সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে। বিদেশ থেকে হয়তো ডাক্তার বা এক্সপার্ট নিয়ে আসার প্রয়োজন হতে পারে। আল হারামাইন হাসপাতালের সেটআপ পশ্চিমা বিশ্বের হাসপাতালের আদলে হওয়ায় বিদেশী চিকিৎসকরা আসলেও এখানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় বিদেশ থেকে আসা লোকজনের বা প্রবাসীদের করোনা ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশী। আল হারামাইন হাসপাতালের অভ্যন্তরীন সাজ সজ্জা সিলেটের অন্য বেসরকারী হাসপাতালগুলোর তুলনায় উন্নত হওয়ায় এখানে চিকিৎসা নিতে প্রবাসীরাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- আর্থিক ক্ষতির বিষয়। সিলেটের অন্য বেসরকারী হাসপাতাল বা প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর বেশীরভাগই যৌথ মালিকানাধীন। এগুলোর সাথে মালিকদের রুটি রুজির প্রশ্ন জড়িত। কিন্তু, আল হারামাইনের সাথে মাহতাবুর রহমান নাসিরের রুজি রুজি জড়িত নয়। এখান থেকে যে আয় হচ্ছে- তা মাহতাবুর রহমান নাসিরের মোট আয়ের তুলনায় নগন্য। সুতরাং, মাহতাবুর রহমান নাসির এই হাসপাতালের আয় থেকে বঞ্চিত হলে তার খুব বেশী ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ফলে, সরকার চাইলেই আল হারামাইন হাসাপাতালটিকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে পারে।
অর্ন্তবর্তীকালীন বা এড-ইন্টারিম সময়ের জন্য বা দুর্যোগকালীন সময়ে বেসরকারী সম্পত্তি রিকউজিশন বা কমিশন করায় আইনগতঃ কোন বাধা নেই। সিলেটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশাল মেডিক্যাল সেট আপ রয়েছে। জনবলও রয়েছে সেনাবাহিনীর। সুতরাং, আল হারামাইন হাসপাতালকে একটি বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার একটি কমিশন করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারে।
সিলেটবাসীর চরমতম এই দুর্যোগের মুহূর্তে অবিলম্বে আল হারামাইন হাসপাতাল কমিশন বা রিকুইজিশন করে করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলা প্রয়োজন।
আল হারামাইন হাসপাতাল করোনা হাসপাতালের জন্য কমিশন করা হোক
তাজুদ্দিন তাজ
মাহতাবুর রহমান নাসির সিলেটে শীর্ষ ধনীদের একজন। আল হারামাইন গ্রুপের চেয়ারম্যান। দেশে বিদেশে বিশাল সম্পদের মালিক। বাংলাদেশ সরকারের একজন সিআইপি। একাধিক ব্যাংকের মালিক। আল হারামাইন পারফিউমের স্বত্বাধিকারী। মধ্যপ্রাচ্যে তার বিশাল ব্যবসা। মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের সম্মানিত নাগরিক ও সেদেশের গোল্ডকার্ড হোল্ডার আয়কর দাতা। সিলেটে বাড়ি করেছেন প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা খরচ করে। তিনি কত কোটি টাকার মালিক তা এই নিবন্ধের আলোচ্য নয়। আলোচ্য হল- বিশ্বের চরম র্দুদিনে সিলেটবাসীর পাশে কী তিনি আছেন?
মানব ইতিহাসের অভূতপূর্ব এই দুর্যোগের দিনে ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ ধনীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে এসেছেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ আকিজ গ্রুপ ইতোমধ্যে করোনা হাসপাতাল তৈরীর কাজ শুরু করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপ ৫ হাজার বেডের করোনা হাসপাতাল তৈরীর ঘোষণা দিয়েছে। দেশের শীর্ষ শিল্পপতিরা ইতোমধ্যে দান অনুদান শুরু করেছেন। কিন্তু, কোথায় মাহতাবুর রহমান নাসির? তার কাছ থেকে কোন ঘোষণা এখনো শুনতে পাইনি।
এই মুহূর্তে বিশ্বেও ইতিহাসে একটি উদাহরণ তৈরীর একটি সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে শিল্পপতি মাহতাবুর রহমান নাসিরের সামনে। তার একক অর্থায়নে শত কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল রয়েছে সিলেটে- যার নাম আল হারামইন হাসপাতাল। তিনি এই হাসপাতালটি সিলেটের প্রথম করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অবিলম্বে সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।
আল হারামাইন হাসপাতাল কেন? অন্য কোন হাসপাতাল কেন নয়? আমার মতে, অতি সহজে এই হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। আর তাই সরকার এই হাসপাতালটি কমিশন বা রিকউজিশন করলে দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে সিলেটবাসী একটি মান সম্পন্ন বিশেষায়িত করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র পেতে পারেন।
আল হারমাইন হাসপাতাল একক মালিকানায় পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। এ কারণে এই প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ দ্রুত ও স্বল্প সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। করোনা হাসপাতাল নির্মাণের জন্য রাগীব রাবেয়া বা ইবনে সিনার মত প্রতিষ্ঠানকে কমিশন করতে হলে এভাবে কোন একক সিদ্ধান্তের সুযোগ পাওয়া যাবে না।
করোনা হাসপাতাল স্থাপনের ক্ষেত্রে হাসপাতাল হিসেবে যে সব ফ্যাসিলিটিজ দরকার তার পুরোটাই রয়েছে আল হারামাইনে। এর ভবনটি তৈরী করা হয়েছে হাসপাতালের উপযোগী করে। এখানকার অভ্যন্তরীন সাজসজ্জাও বিশ্বমানের। এ কারণে এটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন করে আর কোন পরিবর্তনেরও হয়তো প্রয়োজন পড়বেনা। শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের হাতে একটি হস্তান্তর করা হলেই চলবে। আর প্রয়োজন হবে ভ্যান্টিলেশনসহ আরো কিছু মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট স্থাপন করা। এটি করা সময় বা ব্যয় সাপেক্ষ হবে না।
করোনা চিকিৎসায় হয়তো আমাদের বিদেশী সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে। বিদেশ থেকে হয়তো ডাক্তার বা এক্সপার্ট নিয়ে আসার প্রয়োজন হতে পারে। আল হারামাইন হাসপাতালের সেটআপ পশ্চিমা বিশ্বের হাসপাতালের আদলে হওয়ায় বিদেশী চিকিৎসকরা আসলেও এখানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় বিদেশ থেকে আসা লোকজনের বা প্রবাসীদের করোনা ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশী। আল হারামাইন হাসপাতালের অভ্যন্তরীন সাজ সজ্জা সিলেটের অন্য বেসরকারী হাসপাতালগুলোর তুলনায় উন্নত হওয়ায় এখানে চিকিৎসা নিতে প্রবাসীরাও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- আর্থিক ক্ষতির বিষয়। সিলেটের অন্য বেসরকারী হাসপাতাল বা প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর বেশীরভাগই যৌথ মালিকানাধীন। এগুলোর সাথে মালিকদের রুটি রুজির প্রশ্ন জড়িত। কিন্তু, আল হারামাইনের সাথে মাহতাবুর রহমান নাসিরের রুজি রুজি জড়িত নয়। এখান থেকে যে আয় হচ্ছে- তা মাহতাবুর রহমান নাসিরের মোট আয়ের তুলনায় নগন্য। সুতরাং, মাহতাবুর রহমান নাসির এই হাসপাতালের আয় থেকে বঞ্চিত হলে তার খুব বেশী ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ফলে, সরকার চাইলেই আল হারামাইন হাসাপাতালটিকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে পারে।
অর্ন্তবর্তীকালীন বা এড-ইন্টারিম সময়ের জন্য বা দুর্যোগকালীন সময়ে বেসরকারী সম্পত্তি রিকউজিশন বা কমিশন করায় আইনগতঃ কোন বাধা নেই। সিলেটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশাল মেডিক্যাল সেট আপ রয়েছে। জনবলও রয়েছে সেনাবাহিনীর। সুতরাং, আল হারামাইন হাসপাতালকে একটি বিশেষায়িত করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার একটি কমিশন করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে পারে।
সিলেটবাসীর চরমতম এই দুর্যোগের মুহূর্তে অবিলম্বে আল হারামাইন হাসপাতাল কমিশন বা রিকুইজিশন করে করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলা প্রয়োজন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে আওয়াল পাগলা নামের এক ব্যক্তি জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা গেছেন। জানা গেছে তিন দিন অসুস্থ থাকার পর রোববার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ওই বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। করোনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) রক্তের নমুনা সংগ্রহের পর ওই ব্যক্তির দাফন-জানাজা হবে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ।
ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গত তিন দিন আগে ওই ব্যক্তি জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে নালিতাবাড়ীর গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন বলে পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ইউএনও আরিফুর রহমান। ভালুকায় তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা যায়।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ পলাশীকুড়া গ্রামে আওয়াল পাগলা নামের এক ব্যক্তি জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে ভুগে মারা গেছেন। জানা গেছে তিন দিন অসুস্থ থাকার পর রোববার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ওই বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। করোনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) রক্তের নমুনা সংগ্রহের পর ওই ব্যক্তির দাফন-জানাজা হবে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ।
ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গত তিন দিন আগে ওই ব্যক্তি জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে নালিতাবাড়ীর গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন বলে পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ইউএনও আরিফুর রহমান। ভালুকায় তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা যায়।
চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
পৃথিবী যেন চলমান মৃত্যু উপত্যকা, জনপদের পর জনপদ অঘোষিত বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। জীবনীশক্তি আজ শূন্যের কোঠায়। কোভিড-১৯ খ্যাত, নভেল করোনা খ্যাত প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিস্তার যেনো ঝড়ের বেগে হু হু করে বেড়ে চলেছে। মুহূর্তেই কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রাণবায়ু। কতো অসহায় মানুষ! কতো অসহায় বিপুলা প্রাণের পৃথিবী। চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
চীনে পাচার হওয়া মালয় প্রজাতির বনরুইয়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের দুটি ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসের সঙ্গে মিল আছে মানুষের শরীরে পাওয়া ‘কোভিড ১৯’–এর। হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বনরুই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চোরাই পথে পাচার হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে একটি, জড়িবুটি ওষুধ তৈরিতেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।
হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষক টমি ল্যাম বিবিসিকে বলেন, চোরাই পথে আসা মালয় প্রজাতির বনরুইয়ে এ ভাইরাস পাওয়ার পর প্রশ্নটাও উঠেছে যে এই প্রজাতির বনরুইয়ের শরীরেই–বা ভাইরাস ঢুকল কীভাবে? সেটা কি পাচারের সময় আশপাশে থাকা বাদুড় থেকে এসেছিল, নাকি দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় তাদের যে প্রাকৃতিক আবাসস্থল, সেখানেই ঘটেছিল? তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির ক্ষেত্রে বনরুইয়ের ভূমিকা বুঝতে হলে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা প্রয়োজন। যদিও ‘সার্স কোভ–২’–এর প্রাদুর্ভাবের সরাসরি ‘হোস্ট’ হিসেবে বনরুইয়ের ভূমিকা আরও নিশ্চিত হওয়ার দরকার আছে। তবে ভবিষ্যতে যদি এ রকম প্রাণী থেকে মানুষে মহামারি ছড়ানো ঠেকাতে হয়, তাহলে বাজারে এসব প্রাণীর বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট পিটার ডাসক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বনরুইয়ের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া মহামারির সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটি বন্য প্রাণী থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগবালাই নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
পিটার ডাসক বলেন, ভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়িয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। সম্ভবত বাদুড় থেকে। পরে ওই বাদুড় থেকে আরও একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে ছড়ায়। ওই প্রাণী চীনের উহানে বিক্রির চল আছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল নেচার–এ পাঁচ বিজ্ঞানীর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ। গবেষণায় বলা হয়, এসব প্রাণী নিয়ে নাড়াচাড়া করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের মতো কোনো মারাত্মক রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমাতে বন্য প্রাণীর বাজারে বনরুইয়ের মতো জন্তু বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
গবেষণায় বলা হয়, বাদুড়ের শরীরেও করোনাভাইরাস আছে এবং তার সঙ্গে মানুষের শরীরে সংক্রমিত ভাইরাসের আরও বেশি মিল আছে। কিন্তু ভাইরাসের একটি অংশ, যা মানুষের শরীরের কোষ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে ভাইরাসটিকে সহায়তা করে, তার সঙ্গে এর মিল নেই।
সহগবেষক সিডনি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এডওয়ার্ড হোমস বলেন, এর অর্থ হলো বন্য প্রাণীদের মধ্যে এমন ভাইরাস আছে, যে ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করছে।
তিনি বলছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে বাদুড়ের নিশ্চয়ই সম্পর্ক আছে, হয়তো বনরুইও সম্পর্কিত, তবে অন্য কোনো প্রাণীর জড়িত থাকারও জোর সম্ভাবনা আছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক এন্ড্রু কানিংহ্যাম বিবিসিকে বলছেন, এই গবেষণাপত্র থেকে একলাফে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া ঠিক হবে না। ‘কোভিড–১৯’ উৎস এখনো অজানা। হয়তো কোনো বনরুইয়ে ভাইরাসটি প্রাকৃতিকভাবেই ছিল বা বনরুইটি ধরা এবং হত্যা করার সময় অন্য কোনো প্রাণী থেকে এসেছিল।
চীন অবশ্য করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বন্য প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ভিয়েতনামেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে:
বনরুই আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণী। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে, দেশি, চীনা ও মালয়। পিঁপড়া ও পিঁপড়াজাতীয় প্রাণী খায় বলে আঁশযুক্ত পিঁপড়াভুক নামেও পরিচিত। মুখে কোনো দাঁত নেই বলে আগে দাঁতহীন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতো।
বাংলাদেশে বনরুই চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটে দেখা যায়। মাটিতে বাস করে বনরুই। তবে এ প্রাণীটি গাছেও চড়তে পারে। বাংলাদেশ বনরুই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাছে প্রিয় খাবারের একটি।
বন্য প্রাণী পাচারের ওপর নজরদারি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘ট্রাফিক’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর অন্তত ২০ টন বনরুই পাচার হয়। বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে গত ১৬ বছরে ১৬ লাখ বনরুই পাচার হয়েছে।
চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
পৃথিবী যেন চলমান মৃত্যু উপত্যকা, জনপদের পর জনপদ অঘোষিত বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। জীবনীশক্তি আজ শূন্যের কোঠায়। কোভিড-১৯ খ্যাত, নভেল করোনা খ্যাত প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিস্তার যেনো ঝড়ের বেগে হু হু করে বেড়ে চলেছে। মুহূর্তেই কেড়ে নিচ্ছে মানুষের প্রাণবায়ু। কতো অসহায় মানুষ! কতো অসহায় বিপুলা প্রাণের পৃথিবী। চীনের উহান থেকে বাদুড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়েছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছিলেন অনেক গবেষক। তবে বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
চীনে পাচার হওয়া মালয় প্রজাতির বনরুইয়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের দুটি ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসের সঙ্গে মিল আছে মানুষের শরীরে পাওয়া ‘কোভিড ১৯’–এর। হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বনরুই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চোরাই পথে পাচার হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে একটি, জড়িবুটি ওষুধ তৈরিতেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।
হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষক টমি ল্যাম বিবিসিকে বলেন, চোরাই পথে আসা মালয় প্রজাতির বনরুইয়ে এ ভাইরাস পাওয়ার পর প্রশ্নটাও উঠেছে যে এই প্রজাতির বনরুইয়ের শরীরেই–বা ভাইরাস ঢুকল কীভাবে? সেটা কি পাচারের সময় আশপাশে থাকা বাদুড় থেকে এসেছিল, নাকি দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় তাদের যে প্রাকৃতিক আবাসস্থল, সেখানেই ঘটেছিল? তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকির ক্ষেত্রে বনরুইয়ের ভূমিকা বুঝতে হলে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা প্রয়োজন। যদিও ‘সার্স কোভ–২’–এর প্রাদুর্ভাবের সরাসরি ‘হোস্ট’ হিসেবে বনরুইয়ের ভূমিকা আরও নিশ্চিত হওয়ার দরকার আছে। তবে ভবিষ্যতে যদি এ রকম প্রাণী থেকে মানুষে মহামারি ছড়ানো ঠেকাতে হয়, তাহলে বাজারে এসব প্রাণীর বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট পিটার ডাসক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বনরুইয়ের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া মহামারির সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটি বন্য প্রাণী থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগবালাই নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
পিটার ডাসক বলেন, ভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়িয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। সম্ভবত বাদুড় থেকে। পরে ওই বাদুড় থেকে আরও একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে ছড়ায়। ওই প্রাণী চীনের উহানে বিক্রির চল আছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল নেচার–এ পাঁচ বিজ্ঞানীর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ১৭ মার্চ। গবেষণায় বলা হয়, এসব প্রাণী নিয়ে নাড়াচাড়া করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের মতো কোনো মারাত্মক রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমাতে বন্য প্রাণীর বাজারে বনরুইয়ের মতো জন্তু বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
গবেষণায় বলা হয়, বাদুড়ের শরীরেও করোনাভাইরাস আছে এবং তার সঙ্গে মানুষের শরীরে সংক্রমিত ভাইরাসের আরও বেশি মিল আছে। কিন্তু ভাইরাসের একটি অংশ, যা মানুষের শরীরের কোষ ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে ভাইরাসটিকে সহায়তা করে, তার সঙ্গে এর মিল নেই।
সহগবেষক সিডনি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এডওয়ার্ড হোমস বলেন, এর অর্থ হলো বন্য প্রাণীদের মধ্যে এমন ভাইরাস আছে, যে ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করছে।
তিনি বলছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে বাদুড়ের নিশ্চয়ই সম্পর্ক আছে, হয়তো বনরুইও সম্পর্কিত, তবে অন্য কোনো প্রাণীর জড়িত থাকারও জোর সম্ভাবনা আছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক এন্ড্রু কানিংহ্যাম বিবিসিকে বলছেন, এই গবেষণাপত্র থেকে একলাফে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া ঠিক হবে না। ‘কোভিড–১৯’ উৎস এখনো অজানা। হয়তো কোনো বনরুইয়ে ভাইরাসটি প্রাকৃতিকভাবেই ছিল বা বনরুইটি ধরা এবং হত্যা করার সময় অন্য কোনো প্রাণী থেকে এসেছিল।
চীন অবশ্য করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বন্য প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ভিয়েতনামেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে:
বনরুই আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণী। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে, দেশি, চীনা ও মালয়। পিঁপড়া ও পিঁপড়াজাতীয় প্রাণী খায় বলে আঁশযুক্ত পিঁপড়াভুক নামেও পরিচিত। মুখে কোনো দাঁত নেই বলে আগে দাঁতহীন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতো।
বাংলাদেশে বনরুই চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটে দেখা যায়। মাটিতে বাস করে বনরুই। তবে এ প্রাণীটি গাছেও চড়তে পারে। বাংলাদেশ বনরুই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাছে প্রিয় খাবারের একটি।
বন্য প্রাণী পাচারের ওপর নজরদারি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘ট্রাফিক’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর অন্তত ২০ টন বনরুই পাচার হয়। বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে গত ১৬ বছরে ১৬ লাখ বনরুই পাচার হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে একঘেয়ে সময় কাটাচ্ছেন।
মালালার ক্ষেত্রেও তাই। হোম কোয়ারেন্টাইনে একঘেয়ে হয়ে নিজেই নিজের চুল কাটলেন। আর সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলেন।
মালালা ইউসুফজাইয়ের ফ্রিঞ্জ করে কাটা চুলের ছবি শেয়ার করেছেন। অনুরাগীরাও মিষ্টি বার্তাতে ভরিয়ে দিয়েছেন কমেন্ট বক্স।
বাড়িতে নিজের চুল কাটার আগে অবশ্য তিনি তার ব্যক্তিগত চুল ও ত্বক বিশেষজ্ঞ জনাথন ভ্যান নেসের সঙ্গে শলা পরামর্শও করেছেন। কিন্তু জনাথন এইসময়ে মালালাকে একা নিজের চুল কাটতে একাধিকবার বারণ করলেও তিনি শোনেননি। খানিকটা শিশুসুলভ বায়না ধরেই নিজের লুক এক্সপেরিমেন্ট করে ফেলেছেন। তা মালালার পোস্টের নিচে তার ব্যক্তিগত চুল-ত্বক বিশেষজ্ঞ জনাথনের মন্তব্য দেখলেই বোঝা যায়।
ক্যাপশনে মালালা জনাথনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘জনাথন ভ্যান নেস আমাকে বার বার মানা করেছিলেন কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন নিজের চুল কাটা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে! কিন্তু আমি, অবশেষে নিজেই ফ্রিঞ্জ কেটে বসলাম। আমি কি ঠিকঠাক কাটতে পেরেছি?’
প্রশ্নের উত্তরে জনাথনও বলেন, ‘বেশ পেরেছ!’
অক্সফোর্ড পড়ুয়া মালালা এখন বাড়ির বের হতে পারছেন না। তাই দিন কয়েক আগে বন্ধুদের মিস করে একটি পোস্টও করেছিলেন।
সূত্রঃ ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/জেনিস
March 30, 2020 at 08:08AM Risingbd Bangla News https://ift.tt/2w1D3Xm
করোনা আতঙ্কে হিন্দু বৃদ্ধের সৎকারে কেউ এলো না, লাশ কাঁধে নিলো মুসলিমরা (ভিডিও)
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, ভয়ার্ত ভয়াল থাবা গ্রাস করেছে মুখরিত পৃথিবীবাসীকে। সর্বত্রই নিস্তব্ধ-নিথর-পাথর সময় শোকস্তব্ধ মানুষের।বিশ্বজুড়ে বর্তমানে একটাই আতঙ্ক-করোনা। অতঃপর কেউ একটু অসুস্থ হলেই কিংবা শারীরিক কোনও অসুস্থতা দেখা দিলে, অথবা কারও মৃত্যু ঘটলেই, নেপথ্যে ‘করোনা’কে দায়ী করা হচ্ছে। ভারতের বুলন্দশহরের বাসিন্দা রবিশংকরের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় সেই বৃদ্ধের।
প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন করোনা সংক্রমণের জেরেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে রবিশংকরের। তাই শেষ দেখাটুকুও কেউ দেখতে আসেননি। পাড়া-প্রতিবেশী তো আসেনই-নি। এমনকী আত্মীয়স্বজনরা অবধি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন অসহায়, শোকাহত পরিবারটির কাছ থেকে। তাহলে, সৎকার কী করে হবে? চিন্তায় পড়ে যান রবিশংকরের পরিবার। কারণ, শ্মশান অবধি কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ারও যে কেউ নেই!
রবিশংকরের পাড়ার পাশেই রয়েছে মুসলিম অধুষ্যিত এক এলাকা। খবর জানাজানি হতেই, একদল মুসলিম যুবক তৎক্ষণাৎ চলে আসেন মৃত হিন্দু বৃদ্ধের বাড়িতে। জানতে পারেন, কাঁধ দেওয়ার কিংবা সৎকার করার কেউ নেই। অসহায় পরিবারের চরম বিপদ দেখে ওই মুসলিম যুবকরাই তার পরিবারকে আশ্বাস দেন যে, সৎকারের সমস্ত ব্যবস্থা তাঁরাই করবেন।
মাথায় ফেজ টুপি, আর মুসলিম যুবকদের মুখে তখন ‘রামনাম সত্য হ্যায়’ ধ্বনি। কাঁধে করে শ্মশান অবধি নিয়ে রবিশংকরের সৎকারের ব্যবস্থাও তারাই করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিওই এখন ভাইরাল। সম্প্রীতির দৃশ্যতেই মজেছেন নেটিজেনরা। বলছেন, “এটাই আমাদের প্রকৃত ভারতবর্ষ।” কেউ বা কাজী নজরুলের কবিতার লাইন উল্লেখ করে বলছেন, ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।’
এদেশে হিন্দু-মুসলিমদের লড়াই কিছু কম হয়নি। গত বছরেরই কথা। মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিদ্বজ্জনেরা। গোমাংস বিক্রি করার জেরে খুনও হতে হয়েছে মুসলিম যুবককে। জামিয়া মিলিয়ার কথাই ধরুন কিংবা সাম্প্রতিক অতীতের জ্বলন্ত দিল্লি ইস্যু, ধ্বজাধারী রাজনীতির শিকারে এদেশে যে বার বার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বিঘ্নিত হয়েছে, তার উদাহরণ রয়েছে ঝুড়ি ঝুড়ি। দাবানলের মতো সমাজের সুস্থ চিন্তাভাবনাকে গ্রাস করছে বিভাজননীতি। অতীতেও করেছে। কিন্তু সম্প্রতি দেশজুড়ে এই লকডাউনের মাঝে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে যে দৃশ্য দেখা গেল, তাতেই ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা। আমাদের দেশে সম্প্রীতির এরকম নজিরও কিছু কম নেই বইকী! ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এগুলোই যে মানবতার দলিল হয়ে রয়ে যাবে।
করোনা আতঙ্কে হিন্দু বৃদ্ধের সৎকারে কেউ এলো না, লাশ কাঁধে নিলো মুসলিমরা (ভিডিও)
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, ভয়ার্ত ভয়াল থাবা গ্রাস করেছে মুখরিত পৃথিবীবাসীকে। সর্বত্রই নিস্তব্ধ-নিথর-পাথর সময় শোকস্তব্ধ মানুষের।বিশ্বজুড়ে বর্তমানে একটাই আতঙ্ক-করোনা। অতঃপর কেউ একটু অসুস্থ হলেই কিংবা শারীরিক কোনও অসুস্থতা দেখা দিলে, অথবা কারও মৃত্যু ঘটলেই, নেপথ্যে ‘করোনা’কে দায়ী করা হচ্ছে। ভারতের বুলন্দশহরের বাসিন্দা রবিশংকরের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় সেই বৃদ্ধের।
প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন করোনা সংক্রমণের জেরেই হয়তো মৃত্যু হয়েছে রবিশংকরের। তাই শেষ দেখাটুকুও কেউ দেখতে আসেননি। পাড়া-প্রতিবেশী তো আসেনই-নি। এমনকী আত্মীয়স্বজনরা অবধি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন অসহায়, শোকাহত পরিবারটির কাছ থেকে। তাহলে, সৎকার কী করে হবে? চিন্তায় পড়ে যান রবিশংকরের পরিবার। কারণ, শ্মশান অবধি কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ারও যে কেউ নেই!
রবিশংকরের পাড়ার পাশেই রয়েছে মুসলিম অধুষ্যিত এক এলাকা। খবর জানাজানি হতেই, একদল মুসলিম যুবক তৎক্ষণাৎ চলে আসেন মৃত হিন্দু বৃদ্ধের বাড়িতে। জানতে পারেন, কাঁধ দেওয়ার কিংবা সৎকার করার কেউ নেই। অসহায় পরিবারের চরম বিপদ দেখে ওই মুসলিম যুবকরাই তার পরিবারকে আশ্বাস দেন যে, সৎকারের সমস্ত ব্যবস্থা তাঁরাই করবেন।
মাথায় ফেজ টুপি, আর মুসলিম যুবকদের মুখে তখন ‘রামনাম সত্য হ্যায়’ ধ্বনি। কাঁধে করে শ্মশান অবধি নিয়ে রবিশংকরের সৎকারের ব্যবস্থাও তারাই করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিওই এখন ভাইরাল। সম্প্রীতির দৃশ্যতেই মজেছেন নেটিজেনরা। বলছেন, “এটাই আমাদের প্রকৃত ভারতবর্ষ।” কেউ বা কাজী নজরুলের কবিতার লাইন উল্লেখ করে বলছেন, ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।’
এদেশে হিন্দু-মুসলিমদের লড়াই কিছু কম হয়নি। গত বছরেরই কথা। মেরুকরণের রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিদ্বজ্জনেরা। গোমাংস বিক্রি করার জেরে খুনও হতে হয়েছে মুসলিম যুবককে। জামিয়া মিলিয়ার কথাই ধরুন কিংবা সাম্প্রতিক অতীতের জ্বলন্ত দিল্লি ইস্যু, ধ্বজাধারী রাজনীতির শিকারে এদেশে যে বার বার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি বিঘ্নিত হয়েছে, তার উদাহরণ রয়েছে ঝুড়ি ঝুড়ি। দাবানলের মতো সমাজের সুস্থ চিন্তাভাবনাকে গ্রাস করছে বিভাজননীতি। অতীতেও করেছে। কিন্তু সম্প্রতি দেশজুড়ে এই লকডাউনের মাঝে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে যে দৃশ্য দেখা গেল, তাতেই ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা। আমাদের দেশে সম্প্রীতির এরকম নজিরও কিছু কম নেই বইকী! ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এগুলোই যে মানবতার দলিল হয়ে রয়ে যাবে।
বস্তা কাঁধে নিয়ে হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিলেন জেলা প্রশাসক
সারাদেশ
বাগেরহাট প্রতিনিধি
কোন সিনেমা কিংবা নাটক নয়, বাস্তব ঘটনা। নাটক কিংবা সিনেমায় অনেক অবাস্তব জিনিস দেখানো হয় যেটা বাস্তব জীবনে সম্ভব নয়। তবে এবার বাস্তবেই সমাজের অবহেলিত -অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান সংকটে সরকারের দেয়া খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দিতে কাঁধে বস্তা নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন তিনি। যা সমাজের অনন্য সাধারণ এবং বিরল ঘটনা।
রোববার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে সরকারি খাদ্য সাহায্য বিতরণ শুরু করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান, সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খাদ্য সহায়তা হিসেবে বাগেরহাট জেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। রোববার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে।
বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট ও মোল্লাহাটসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের হাতে তুলে দেয়া প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, আলু, লবণ, তেলসহ নানা ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শামীম মোল্লা ও রিকশাচালক রজব আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে ঘরের বাইরে যেতে পারি না। চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য ধার করে খাচ্ছি। ডিসি সাহেব চাল, ডাল দিয়েছেন। খুব উপকার হলো। রোমেচা বেগম, হাসিম হাওলাদার, নার্গিস বেগম বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে চাল, ডালসহ অনেক কিছু পেয়েছি। এতে আমাদের কয়েক দিন চলবে।
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের সৌজন্যে জেলার ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলায় তিন হাজার দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে কোভিড-১৯ করোনা ‘আতঙ্ক’ নয়, সচেতন হউন। আপনাদের পাশে আছি আমরা।
বস্তা কাঁধে নিয়ে হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিলেন জেলা প্রশাসক
সারাদেশ
বাগেরহাট প্রতিনিধি
কোন সিনেমা কিংবা নাটক নয়, বাস্তব ঘটনা। নাটক কিংবা সিনেমায় অনেক অবাস্তব জিনিস দেখানো হয় যেটা বাস্তব জীবনে সম্ভব নয়। তবে এবার বাস্তবেই সমাজের অবহেলিত -অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান সংকটে সরকারের দেয়া খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দিতে কাঁধে বস্তা নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন তিনি। যা সমাজের অনন্য সাধারণ এবং বিরল ঘটনা।
রোববার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে সরকারি খাদ্য সাহায্য বিতরণ শুরু করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানান, সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে খাদ্য সহায়তা হিসেবে বাগেরহাট জেলায় ১০০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। রোববার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু হয়েছে।
বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট ও মোল্লাহাটসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের হাতে তুলে দেয়া প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, আলু, লবণ, তেলসহ নানা ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শামীম মোল্লা ও রিকশাচালক রজব আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে ঘরের বাইরে যেতে পারি না। চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য ধার করে খাচ্ছি। ডিসি সাহেব চাল, ডাল দিয়েছেন। খুব উপকার হলো। রোমেচা বেগম, হাসিম হাওলাদার, নার্গিস বেগম বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে চাল, ডালসহ অনেক কিছু পেয়েছি। এতে আমাদের কয়েক দিন চলবে।
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের সৌজন্যে জেলার ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলায় তিন হাজার দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে কোভিড-১৯ করোনা ‘আতঙ্ক’ নয়, সচেতন হউন। আপনাদের পাশে আছি আমরা।
চীনে করোনার পুরো রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো খোলা হয়েছে বন্যপ্রাণীর বাজার। শুধু তাই নয় পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে করোনাভাইরাসের অন্যতম বাহক বাদুড়। সেই সঙ্গে কুকুর, বিড়ালসহ অন্যান্য প্রাণী।
শনিবার (২৮ মার্চ ) থেকে বাজার চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ার কারণে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গুলিন এবং দক্ষিণে দংগুয়ান শহরে বন্যপ্রাণী বাজার চালু হয়েছে। চালু হওয়ার পরপরই সেখানে ভীড় দেখা গেছে। এসব বাজারে অপরিচ্ছন্ন অবস্থাতেই বেচা-কেনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চীনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চীনের এক সাংবাদিক জানান, সবাই মনে করে চীনে করোনার প্রকোপ কমে গেছে। আর এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এখন এটা বাইরের দেশের সমস্যা। তাই চীনারা স্বাভাবিক জীবন শুরু করছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে মহামারি করোনাভাইরাস।
অনেকের ধারণা উহানের একটি বন্যপ্রাণী বাজার থেকে ছড়িয়েছিলো প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। আর এ কারণে পুরো চীনে বন্ধ করা দেয়া হয়েছিল বন্যপ্রাণীর বাজার।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়লেও বর্তমানে ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস পুরো বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি।
ঢাকা/জেনিস
March 30, 2020 at 08:05AM Risingbd Bangla News https://ift.tt/3auIZHf