করোনায় আক্রান্ত রাজ, গর্ভবতী শুভশ্রীকে নিয়ে দুশ্চিন্তা
বিনোদন ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতার পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নিজেই এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ‘পরিণীতা’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘দুই পৃথিবী’, ‘লে ছক্কা’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘প্রলয়'খ্যাত এ নির্মাতা।
তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে টলিউডে দুশ্চিন্তা ছড়িয়েছে গর্ভবতী শুভশ্রীকে নিয়ে। রাজের স্ত্রী নায়িকা শুভশ্রী মা হতে চলেছেন। এ সময়ে তার করোনায় আক্রান্ত হওয়া খুব ঝুঁকির। তাই তাকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরা, ভক্তরা উদ্বেগে রয়েছেন।
এদিকে শুভশ্রী আপাতত সুস্থ রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন রাজ। শিগগিরই তার করোনা টেস্ট করা হবে।
আজ টুইটারে রাজ বলেন, 'আমার কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে। তবে আমার বাবার নেগেটিভ। যদিও অন্যান্য অসুখের কারণে এখনো তিনি হাসপাতালেই রয়েছেন। আমি বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি।
পরিবারের অন্য সদস্যদেরও শিগগিরই টেস্ট করা হবে। খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে প্রার্থনায় রাখবেন।'
করোনার পুরোটা সময় ঘরেই বন্দী হয়ে ছিলেন রাজ। খেয়াল রেখেছেন মা হতে যাওয়া স্ত্রী, বাবা এবং মায়ের। সম্প্রতি অফিসে যাওয়া শুরু করেছিলেন তিনি। একাই অফিস করতেন। অন্য কেউ আসতো না। এত সতর্কতার পরও কীভাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন সে নিয়েও দুশ্চিন্তা করছেন অনেকে।
আমার একান্ত কিছু ছবি এডিট করে প্রকাশ করা হচ্ছে: শিপ্রা
শিপ্রা দেবনাথকে নিয়ে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকৃত পোস্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন তিনি, আমার একান্ত কিছু ছবি এডিট করে প্রকাশ করা হচ্ছে
জাতীয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিপ্রা দেবনাথকে নিয়ে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিকৃত পোস্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন তিনি। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শিপ্রার ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়ে শিপ্রা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, গত কিছু দিন ধরে আমার একান্ত কিছু ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এডিট করে, ট্রেইলার করে অথবা আমার বিভিন্ন প্রজেক্ট থেকে নিয়ে বিভিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে প্রকাশ করা হচ্ছে।
শিপ্রা বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ আমাদের রিসোর্টে এসে দুটি মনিটর, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, ক্যামেরা, লেন্স, তিনটি হার্ডড্রাইভ এবং আমাদের ফোন ডিভাইস সব নিয়ে যায়, জব্দ তালিকায় যার কোনোটিরই উল্লেখ নেই। আমি জানি না, কীভাবে কার কাছে সেগুলো ফেরত চাইব।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে, ডিভাইস থেকে সেই ছবি চুরি করে কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের দায়িত্বশীল অফিসাররাই ফেসবুকে সেই সব শেয়ার করেছেন। একজন মানুষ হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমার টুঁটি চেপে ধরে আমাকে আত্মহননের দিকে ঠেলে দিলে লাখো তরুণ-তরুণী এর প্রতিশোধ নেওয়া থেকে নিশ্চয়ই বিরত থাকবে না।
শিপ্রা বলেন, আমি একজন ছাত্রী, পড়াশুনার পাশাপশি কাজ করি। একটি স্বাধীন দেশে একজন নারীর কারও অধিকার ক্ষুণ্ন না করে নিজের পছন্দমতো বেঁচে থাকার অধিকার কি নেই? আমার ব্যক্তিজীবন যারা অসহনীয় করে তুলেছেন বিভিন্ন ছবি দিয়ে, আমি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কথা দিলাম।
এদিকে শিপ্রা নিয়ে ফেসবুকে উস্কারিমূলক পোস্ট করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রোববার (১৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) এ বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রধান পরিচালক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অবৈধ।
একটি জাতীয় ইংরেজি পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথকে উদ্দেশ করে মন্তব্য করে সাইবার হুমকির কবলে পড়েছেন বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছেন।
শিপ্রার ছোট ভাই শুভজিৎ কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাসহ কতিপয় লোক তার ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন। দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য নোংরা মানসিকতা থেকে আসতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
শুভজিৎ আরো বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ তাদের সব ডিভাইস জব্দ করেছে। সেসব ডিভাইস থেকে কোনো কিছু ফাঁস হয়েছে কি না, সেটা নিয়েও আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরির্দশক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আর মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয়েছে র্যাবকে। ইতোমধ্যে মামলার নতুন আইও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার গোলাম কিবরিয়া। সোমবার (১৭ আগস্ট) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়।
সোমবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, করোনার উপসর্গ থাকায় সোমবার সকালে নমুনা জমা দেন কমিশনার গোলাম কিবরিয়া। সোমবার রাতে কমিশনার স্যারের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
গোলাম কিবরিয়া ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯১ সালে ১২তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা, রাজশাহীতে এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে চট্টগ্রাম জেলায় এএসপি হিসেবে পদায়ন হয় তার।
২০০৪ সালে তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান। কর্মময় জীবনে নাটোর, সুনামগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া ডিএমপি এবং সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পাশাপাশি অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় কর্মরত ছিলেন গোলাম কিবরিয়া। ২০১৪ সালে তিনি আইজিপি ব্যাচে ভূষিত হন।
এছাড়া এই পুলিশ কমিশনার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কসোভো এবং ইস্ট তিমুরে পুলিশ অবজারভার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুদক
কক্সবাজার প্রতিনিধি
বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন মামলা রুজু হতে পারে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে গত ১২ আগস্ট দুদক কমিশনে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। কমিশনের অনুমতি পেলে মামলা রুজু হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২)/২৭(১) মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২), ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দ-বিধির ১০৯ ধারায় মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম ২-এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন মামলা রুজুর অনুমতি চেয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর কাছে নোটিশ পাঠায় দুদক। একই বছরের মে মাসে ওসি প্রদীপ দুদকে তার বৈধ সম্পদের হিসাব জমা দেন। সেখানে স্ত্রী চুমকির ৪ কোটি ২২ লাখ ৪৮ হাজার টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছে। পারিবারিক ব্যয় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ মোট সম্পদ ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে তার পূর্বের সঞ্চয়, উপহার, বাড়িভাড়া থেকে বৈধ আয় পাওয়া গেছে ৪৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা। বাকি ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে তদন্তে উঠে আসে।
সূত্র জানায়, শ্বশুরের দানপত্রে নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকায় একটি ছয়তলা বাড়ির মালিক হয়েছেন ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণ; কিন্তু অপর দুই ছেলে ও এক মেয়েকে কোনো বাড়ি দানপত্র করা হয়নি। ফলে সাবেক ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয় গোপন করতে সম্পদ স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ভোগদখল করছেন। কমিশন ব্যবসার পক্ষেও যথাযত কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি চুমকি। মৎস্য ব্যবসা থেকে দেড় কোটি টাকা আয় দেখানো হয়েছে। ২০০২ সালে বোয়ালখালী উপজেলায় পাঁচটি পুকুর সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় ১০ বছরের জন্য লিজ দেখানো হয়; কিন্তু তখন চুমকি বা ওসি প্রদীপের এ পরিমাণ টাকা সঞ্চয় থাকার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তারা। দুদক বলছে, তখন মৎস্য ব্যবসা থেকে আয় থাকলে আয়কর রিটার্ন দেখানো হতো; কিন্তু তারা ২০১৩-১৪ করবছরে প্রথম দাখিল করা রিটার্নে মৎস্য ব্যবসার ঘোষণা এবং আয় দেখানো হয়নি। এ ছাড়া তার ব্যাংক হিসাব বিবরণীতে মৎস্য ব্যবসা সম্পর্কিত কোনো লেনদেন নেই। স্বামীর অবৈধ উপার্জন হালাল করতে ভুয়া মৎস্য ব্যবসা দেখিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম ২-এর এক কর্মকর্তা জানান, দুদক কমিশনের অনুমতি পেলেই মামলা রুজু করা হবে। কমিশনের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
এদিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী, খলনায়ক ইলিয়াস কোবরাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইউ)। সোমবার (১৭ আগস্ট) বিএফআইইউ থেকে দেশে কার্যরত সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একটি চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে চিঠি ইস্যু করার দিন থেকে তিনদিনের মধ্যে স্থগিত করা হিসাবগুলোর নাম, নম্বর, স্থিতি এ সংক্রান্ত তথ্যাদি (হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি প্রোফাইল ফরম, হালনাগাদ লেনদেনের বিবরণী) পাঠাতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে যে ৮ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও তথ্য চাওয়া হয়েছে, তারা হলেন- এবিএম মাসুদ হোসেন, প্রদীপ কুমার দাশ, চুমকী কারান, প্রতীম কুমার দাশ, প্রতুশ কুমার দাশ, মো. লিয়াকত আলী, দিলীপ ও ইলিয়াস কোবরার।
হিসাবগুলোকে লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ক্ষমতাবলে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে প্রত্যেকের নামের পাশে জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও এদিন সকালে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলীসহ ৩ পুলিশকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদ করা অপর আসামি হলেন এএসআই নন্দদুলাল। কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মোকাম্মেল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বেলা ১১টার দিকে তদন্ত দল কারাগারের ফটকে অবস্থান করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তারা ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও এএসআই নন্দদুলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এদিন পৃথক পৃথকভাবে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এর আগে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কক্সবাজার, জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক ও মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবকে চিঠি দেওয়া হয়।
এর আগে রোববার (১৬ আগস্ট) টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের পাশে বাহারছড়া শামলপুর ২৩ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিআইসির কার্যালয়ে গণশুনানি করে তদন্ত দল। সেখানে সকাল থেকে শতশত মানুষ এসে জড়ো হন। তাদের মধ্যে ১১ জন গণশুনানিতে সাক্ষী হিসেবে নতিভুক্ত হন। ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে তদন্ত দল। তদন্তের কাজ গুছিয়ে আনার কথা জানিয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, সরকার আমাদের ২৩ তারিখ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা আশা করছি, এর মধ্যে রিপোর্ট প্রস্তুত করতে পারব এবং সরকারকে জমা দিতে পারবো।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করে।
পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।
এর মধ্যে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র্যাব।
যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার রিমান্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে খুব শিগগির জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘ঘটনার মূল সাক্ষী শিপ্রা ও সিফাতের কম্পিউটার ডিভাইসসহ ২৯টি সামগ্রী কক্সবাজারের রামু থানায় পুলিশের হেফাজতে রক্ষিত আছে। আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যম উক্ত সরঞ্জামাদি র্যাব হেফাজতে নেয়া হবে। কারণ, মামলার তদন্তের স্বার্থে উক্ত কম্পিউটার ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ’।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের জলতরঙ্গ রিসোর্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব বলেন।
এ সময় তিনি আর বলেন, ইতিমধ্যে র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের চার সদস্য ও সন্দেহভাজন তিন আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দক্ষ ও পেশাদারির মাধ্যমে এই মামলা তদন্ত করছে র্যাব। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এর আগে সোমবার বিকেলে টেকনাফের শামলাপুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ দিকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩ আসামিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। বেলা ১১টায় এ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ওসি প্রদীপসহ যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে। ওসি প্রদীপকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্য চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীদের আগেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছি আমরা।’
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন সন্ধ্যা ৭টার দিকে জানান, বেলা ১১টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে তদন্ত কমিটি গণশুনানি শুরু করে। ওই শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে ১১ জনের নাম নিবন্ধন করা হয়। নিবন্ধনকৃত এসব সাক্ষীর মধ্যে নয়জনের সাক্ষ্য নেয় তদন্ত কমিটি।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ।
এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দু’জনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীকে রিমান্ডে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ বাকি তিনজনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুরকরে আদালত।
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর হত্যা: আরও তিন কর্মকর্তা বরখাস্ত
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় কারাবন্দি আরও তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মারধরে অংশ নেয়া ৮ কিশোরের গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর। .
এদিকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কিশোরদের মারধরে অংশ নেয়া কেন্দ্রের ৮ কিশোরকে গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। মামলার তদন্ত র্কমর্কতা বন্দি থাকা আট কিশোরকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি কারাগারে আটক শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের মারপিটের ঘটনায় তিন ‘বন্দি’ কিশোর নিহত হয়। এসময় আহত হয় অন্তত ১৭ জন। এ ঘটনায় সমাজসেবা অধিদপ্তর দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকেও তদন্ত কমিটি করা হয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার গণকপাড়া এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় ‘আশ্রয়’ নামের এই হোটেলটি থেকে চার যৌনকর্মীসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়।
আটক সাত যুবকের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ১৯ বছর ও দুইজনের বয়স ২২ বছর করে। এদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলায় এবং দুইজনের বাড়ি নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি এলাকায়। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, আশ্রয় আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সাত যুবক ও চার যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। তবে হোটেলের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ওসি বলেন, আটকদের ব্যাপারে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আবাসিক হোটেলের নামে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে দেয়া হবে না। খবর পেলেই অভিযান চালানো হবে।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2Q3X45P
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয় ও মোবাইল কোর্টের যৌথ অভিযানে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের অপরাধে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর কৃষ্ণগোবিন্দপুর গ্রামের মো. বাসির উদ্দিনের ছেলে বাইরুল ইসলাম (৪০), সদর উপজেলার মিস্ত্রীপাড়ার মৃত ইসমাইল মিয়ার ছেলে সামাদ বাবু (৩৭) ও পৌর এলাকার পিয়ারা বাগানের শফিকুল হকের ছেলে ফরহাদ বাবু (৩০)।
জেলা ডিএনসি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান খান জানান, পরিদর্শক রায়হান আহমেদ খানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় মোবাইল কোর্টে আসামী বাইরুলকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড, আসামী সামাদ বাবুকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং আসামী ফরহাদ বাবুকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।- কপোত নবী।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2E5rwu7
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
“৪ বছরে ২০ অভিযোগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ডিবির যে সদস্যর বিরুদ্ধে” শিরোনামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত এ সংবাদ মনগড়া, মিথ্যে, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও সুনাম নষ্ট করার জন্য চোরাকারবারিদের যোগসাজশে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের অফিসার এসআই আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ পিপিএম।
এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার এসআই জাহিদ এ প্রতিবেদককে জানান, সম্প্রতি রাজশাহী থেকে প্রকাশিত উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন নামে একটা অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত করেছে। ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। ৩ টি বাণিজ্য প্রকাশ করেছেন আর বাকিগুলো চলমান মানে প্রকাশ করবেন সংবাদটির শেষে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অস্ত্র, মাদক ও মোটরসাইকেল চুরির এক গডফাদার এর যোগসাজশে আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে এটা আমি নিশ্চিত।
এসআই জাহিদ জানান, দীর্ঘদিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। বহু মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছি, হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছি। এ ছাড়াও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে গিয়ে অনেক আসামী ধরেছি। সাধারণ মানুষের কাছে আমি ভাল হলেও মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের কাছে খারাপ। তাদের কু চক্রের স্বীকার হয়েছি। পুলিশের ভাব-মূর্তি ও আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই উঠেপড়ে লেগেছে তারা। ঘুষ, দুর্নীতি ও গ্রেপ্তার বাণিজ্যর কালিমা লাগাতে চাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীসহ কুচক্রী মহল।
জাহিদ আরও জানান, যে সব মামলার অভিযোগ ও আটক মাদক বিক্রির কথা বলা হয়েছে সে সব কোনটাতেই আমি অভিযানে ছিলাম না। অথচ বলা হয়েছে আমি ছিলাম। টাকা নিয়ে আসামী ছেড়ে দেয়া এটাও ভিত্তিহীন মনগড়া কথা তাদের। তবে কয়েক মামলার আইও তদন্ত কর্মকর্তা আমি। যা তদন্ত সাপেক্ষ প্রতিবেদন দিয়েছি। এর মধ্যে কয়েক মামলার বাদি এসআই অনুপ কুমার সরকার ও এসআই আজগর।
আক্ষেপ করে এসআই জাহিদ জানান, মাদক ব্যবসা, গ্রেপ্তার বাণিজ্য বা যে কোন অপরাধ যদি করতাম তাহলে আমার তো কোটিকোটি অবৈধ টাকা থাকার কথা। অথচ আমি এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকি। আর দেশের বাড়িতে একটি বাড়ি ও কিছু জায়গাজমি আছে। সেখানে আমার বৃদ্ধ মা, বাবা থাকে। আমার নেই কোনও আহামরি ব্যাংক ব্যালেন্স। খোঁজ নিয়ে দেখুন তাহলেই জেনে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, যোগদানের পর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দায়িত্ব পালন করছি সততা ও নিষ্ঠার সাথে। আমি যদি এসব করতাম তাহলে রাজশাহীর সাংবাদিক কেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিকরাই সংবাদ প্রকাশ করত।
জেলায় চারটি দৈনিক পত্রিকা, সাপ্তাহিক পত্রিকা, একাধিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল, টিভি, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ হত। অথচ এ জেলা টপকে অন্য জেলা থেকে সাংবাদিক এসে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা থেকে বোঝা যায় উদ্দেশ্য নিয়েই কুচক্রী মহল এহেন কাজ করছে। আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিনই নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশের অন্যতম চৌকস অফিসার এসআই আবু আবদুল্লাহ জাহিদ পিপিএম। তাঁর কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদকও পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অসংখ্যবার পুরস্কৃতও হয়েছেন। তিনি শ্রেষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তাও নির্বাচিত হন।
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/2CBuyFL
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
মার্টিনেজ-লুকাকুর জোড়া গোলে সেমিফাইনালে শাখতার দোনেৎস্ক’কে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইন্টার মিলান। এই জয়ে ১০ বছর পর ইউরোপীয় কোন আসরের ফাইনালের অপেক্ষা ফুরোলো ইতালিয়ান ক্লাবটির।
জার্মানির ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকে ইউক্রেনের ক্লাব শাখতারকে চাপে রাখে ইন্টার। ১৯ মিনিটে বারেল্লার অ্যাসিস্ট থেকে মার্টিনেজের গোলে লিড পায় ইন্টার। বিরতির আগে আরও কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি নেরাজ্জুরিরা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় লিড দ্বিগুন করেন দামব্রোজিও। ৭৪ মিনিটে রোমেলু লুকাকুর ক্রস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মার্টিনেজ। এর ৪ মিনিট পর মার্টিনেজের অ্যাসিস্ট থেকে স্কোর শিটে নাম লেখান রোমেলু লুকাকু। আগেই ইউরোপীয় লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের কৃর্তি গড়া লুকাকু শাখতারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ৮৪ মিনিটে। ৫-০ গোলের জয় পাওয়া অ্যান্টোনিও কন্টে শিষ্যরা ফাইনালে লড়বে সেভিয়ার বিপক্ষে।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3iU2tZR
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
একাধিক গবেষণার পর চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে, আজকের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে শরীর বাঁচাতে বেদানার রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে বেদানার ভিতরে উপস্থিত ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও নানাবিধ শক্তিশালী উপাদান দেহে প্রবেশ করা মাত্র প্রতিটি কোষ, শিরা এবং উপশিরাকে, সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর ক্ষমতাকেও বাড়িয়ে তোলে। ফলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। তবে এখানেই শেষ নয়, রোজের ডায়েটে এই ফলের রসকে জায়গা করে দিলে আরও নানাবিধ উপকার মেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-
ব্রেন ডিজিজ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বেদানায় উপস্থিত নানাবিধ উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। বিশেষত ব্রেন সেলের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে অ্যালঝাইমার্সের মতো মস্তিষ্কঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই
ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়
শরীরকে সচল এবং সুস্থ রাখতে যে যে ভিটামিনগুলোর প্রয়োজন পরে প্রতিদিন, তার প্রায় সবকটিরই সন্ধান মেলে বেদানায়, যেমন ধরুন-ভিটামিন সি, ই, কে, সেই সঙ্গে ফলেট, পটাসিয়াম এবং আরও কত কী! তাই দীর্ঘ দিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে হয়, তাহলে এই ফলটির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে দেরি করবেন না যেন!
নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে
বাঙালি মানেই মাত্রা ছাড়া খাওয়া-দাওয়া। আর এমনটা করতে গিয়ে কি পেট ছেড়েছে? তাহলে এক্ষুনি অল্প করে বেদানা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। কারণ বেদানার ভিতরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান স্টমাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, বেদানার পাতা দিয়ে বানানো চা খেলেও এক্ষেত্রে দারুন উপকারি পাওয়া যায়।
হার্টের ক্ষমতা বাড়ে
রোজের ডায়েটে এই ফলটিকে রাখলে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে কমে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও। প্রসঙ্গত, বেদানার শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও নানাভাবে হার্টের খেয়াল রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
চুল পড়ার হার কমে
অতিরিক্ত হেয়ার ফলের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে প্রতিদিন বেদানার রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন হেয়ার ফলের মাত্রা তো কমবেই, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো।
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না
বেদানায় ফ্লেবোনয়েড নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তে উপস্থিত ক্যান্সার সৃষ্টিকারি টক্সিক উপাদানদের শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে কোনওভাবেই দেহের ভিতরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা থাকে না। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, প্রস্টেট এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারকে দূরে রাখতেও এই ফলটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়
বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে, প্রতিদিনের ডায়েটে বেদানাকে জায়গা করে দিলে ত্বকের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে বলি রেখা অদৃশ্য হতে থাকে। সেই সঙ্গে ডার্ক স্পট এবং ডার্ক সার্কেলেও গায়েব হয়ে যায়। ফলে সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো।
অ্যানিমিয়ার মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ি আমাদের দেশে প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ। এমন পরিস্থিতিতে বেদানা খাওয়ারও প্রয়োজন বেড়েছে অনেক মাত্রায়। কারণ এই ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো ছোট থেকেই মেয়েদের নিয়মিত বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
ডায়াবেটিসের মতো রোগ দূরে থাকে
পরিবারে কি এই মারণ রোগটির ইতিহাস রয়েছে? উত্তর যদি হ্য়াঁ হয়ে থাকে, তাহলে আজ থেকেই বেদানা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন আপনার জীবনকালে কখনও ডায়াবেটিস আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারবে না। কারণ এই ফলটি খাওয়া মাত্র শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে
শুনতে আজব লাগলেও একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, নিয়মিত কাঁচা বেদানা অথবা বেদানার রস খাওয়া শুরু করলে ব্লাড ভেসেলে সৃষ্টি হওয়া প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। তাই যাদের পরিবারে এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তারা যদি দীর্ঘকাল সুস্থ থাকতে চান, তাহলে এই ফলটিকে সঙ্গী বানাতে ভুলবেন না যেন!
জয়েন্টের সচলতা বৃদ্ধি পায়
শরীরে যখন ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করে তখন এমন কিছু ক্ষতিকর এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায় যে জয়েন্টের সচলতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড় এত মাত্রায় দুর্বল হয়ে পরে যে অস্টিওআর্থ্রাইটিস মতো রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রেও কিন্তু বেদানা নানাভাবে কাজে আসে। কীভাবে? যে এনজাইমের কারণে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে, তার ক্ষরণ কমিয়ে দিয়ে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দাঁত শক্তপোক্ত হয়
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ এই ফলটি খাওয়া মাত্র মুখ গহ্বরের ভিতরে উপস্থিত ক্ষতিকর জীবাণুরা সব মারা পরে। ফলে ক্যাভিটির মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3ayKtku
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
মোহাঃআলী আশরাফ খোকন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নতুনহাট সিরাজ মন্ডলপাড়া মহল্লায় জোরপূর্বক এক অসহায় বিধবা নারীর বাড়ি উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর ভাসুরের (স্বামীর বড় ভাই) বিরুদ্ধে। দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েছে ৩ বছর আগে স্বামী হারা অসহায় নারী মোসা. জামিলা খাতুন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা ও সদর থানার নিষেধাজ্ঞা সত্বেও উচ্ছেদ করে সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে নতুন বাড়ি। সোমবার দুপুরে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে। এলাকাবাসীর বক্তব্য ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জানা যায়, জমিলা খাতুনের স্বামী মৃত তোফিজুল ইসলামের বড় ভাই মো. ইব্রাহিম এ উচ্ছেদ ও নতুন বাড়ি নির্মাণ করছে। ভিটেমাটির ২ কাঠার মধ্যে কৌশলে বাবা-মা’র কাছে ছোট ভাইকে বঞ্চিত করে ১.৫ কাঠায় নিজের নামে লিখে নেয় ইব্রাহিম। ছোট ভাইয়ের বিধবা বউ জমিলাকে বাকি আধা কাঠা জমিও দিতে নারাজ ইব্রাহিম। এমনকি একটি বাড়ি থাকার পরেও তার চারপাশে পিলার তুলুছে নতুন বাড়ি নির্মানের জন্য। এছাড়া জোরপূর্বক ভেঙে দেয়া হচ্ছে মৃত ছোট ভায়ের স্ত্রী ও সন্তানদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। ইব্রাহিম এতে চরম নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
বিধবা জমিলা খাতুন বলেন, আমার ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে আমাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে। বাড়ি থাকার পরেও বাড়ির চারপাশে পিলার নির্মাণ করে নতুন বাড়ি তৈরি করছে। বাড়ির সব ইট খুলে নিচ্ছে ও সবকিছু ভেঙে ফেলছে। এই অবস্থায় দুই সন্তানকে নিয়ে কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো জানিনা।
অবশিষ্ট আধা কাঠা জমি নিয়ে থাকতে চাইলেও দিতে নারাজ জানিয়ে জমিলা আরো বলেন, এলাকাবাসীর দেয়া ভিক্ষা নিয়ে দিন যাপন করছি। বড় ছেলে জমি লিখে নিয়েছে জানতে পেরে আমার স্বামী হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। আমার শশুরের ভিটেমাটিতে ছোট ছেলের বউ, সন্তান হিসেবে কি কোন ভাগ বা অধিকার নাই আমাদের? এমন নির্যাতনের কি কোন বিচার নাই এদেশে? ৩ বছর আগে স্বামী হারিয়েছে, এখন বাড়িঘর সব হারালাম, আর কিছু হারানোর থাকলো না।
পাশের বাড়ির মো. সুজা উদ্দিন (৩০) জানান, মৃত তৌফিজুল ইসলাম ৬ বছর বিদেশে ছিলো। যা আয় করেছে তার সবই বাবা-মাকে যৌথ পরিবারে দিয়েছে। কিন্তু তোফিজুল মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী-সন্তানদের কেউ দেখে না। এখন বাড়ি থেকেও বের করে দিচ্ছে। জমিলা ও তার দুই ছেলেমেয়ে অসহায়, নিঃস্ব হয়ে গেল।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক মহিলা বলেন, অসহায় বিধবা মেয়েটির পক্ষে এই জুলুম-নির্যাতনের কেউ প্রতিবাদ করলে তার সাথেই ইব্রাহিমের পরিবারের লোকজন ঝগড়া-বিবাদ শুরু করে। তাই ভয়ে কেউ এর প্রতিবাদ করে না।
প্রতিবেশী নাজমুল হুদা বলেন, আমরা শুনেছি, বিদেশে থাকাকালীন সময়ে জমিলার স্বামী ৬ বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে। তাহলে সে মারা যাবার পর তার উপর এখন এতো অত্যাচার-অবিচার কেন?
মহল্লার মোড়ল মো. নজরুল ইসলাম জানান, এক ছেলেকে বঞ্চিত করে অন্য ছেলেকে জমি লিখে দেয়া ইব্রাহিমের বাবা ইয়াসিনের এটা উচিত হয়নি। প্রায় ৩ বছর আগে ছোট ছেলে মৃত তোফিজুল মারা গেলে জানাযার সময়েও তার বাবা ও ভাই জমি দেয়ার অঙ্গিকার করে, তবে তার ঠিক উল্টো কাজ করে। কয়েকবার এনিয়ে সালিসের সমাধানও মানেনি ইব্রাহিম। তার এমন অমানবিক কার্যক্রমের পেছনে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ইলিয়াস উদ্দিন ভোলা নামক ব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে। এখন ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলছে। বিধবা জমিলা ও এতিমদের কি হবে?
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে মো. ইব্রাহিমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তার বাড়ির লোকজন-স্ত্রী ও মেয়েরা কথা বলতে নারাজ। ইব্রাহিমের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সাইদুর রহমান জানান, কয়েকবার সমাধানের লক্ষ্যে সালিসে বসেও আমরা ব্যর্থ হয়। মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা চেয়েছিলাম, আধা কাঠা আছে এবং আর কিছু যোগ দিয়ে পৌণে এক কাঠা দিয়ে অসহায় বিধবা নারী ও তার ছেলেমেয়েকে থাকার ব্যবস্থা করবো। কিন্তু ইব্রাহিম তা মানেনি। পৌরসভার নিকট বাড়ি করার অনুমতি চাইলে, তা দেয়া হয়নি। এমনকি ইব্রাহিম সদর থানায় অভিযোগ করলেও তারাও বাড়ি করা হতে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। তারপরেও জোরপূর্বক পৌরসভা ও সদর থানার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মৃত ছোট ভায়ের বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি নির্মাণ করছে ইব্রাহিম।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3axe8uo
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
করোনা জয় করলেন ব্রাজিলের ফার্স্ট লেডি মিশেল বোলসোনারো। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর সুস্থ হলেন তিনি। সর্বশেষ কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলে জানান ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর স্ত্রী।
৩৮ বছর বয়সী মিশেল ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান, পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ। প্রার্থনা ও সবার ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।
করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি, যেখানে লেখা ‘ধরা পড়েনি।’
গত বুধবার মিশেলের দাদি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরের ছোট ছেলে ২২ বছর বয়সী জাইর রেনানেরও করোনা পজিটিভ এসেছে। শনিবার (১৫ আগস্ট) তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে একটি ওষুধ খেতে দেখা গেছে তাকে, যাকে তিনি বলছেন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এই ওষুধটির কার্যকারিতা প্রমাণিত না হলেও ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট করোনার চিকিৎসায় এটি খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
গত ৭ জুলাই বোলসোনারোও করোনায় আক্রান্ত হন। হালকা উপসর্গ নিয়ে ওই মাসের শেষ দিকে সুস্থ হন তিনি। ব্রাজিলে এ পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি করোনা রোগী পাওয়া গেছে এবং মারা গেছেন এক লাখ ৭ হাজারের বেশি।
ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯৪১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ৫৭ হাজার ৯৮১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার (১৭ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ রোগে মারা গেছেন ৫০ হাজার ৯২১ জন। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬৩। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৮৪২ জন।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, তেলেঙ্গানা ও গুজরাট।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন মোট ২০ হাজার ৩৭ জন। এরপর সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ুতে ৫ হাজার ৭৬৬ জন এবং দিল্লিতে ৪ হাজার ১৯৬ জন।
যে পাঁচ উপায়ে শিশুদের রাখতে পারেন করোনার ঝুঁকিমুক্ত
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা তুলনামূলক কম। যদিও এই মহামারিতে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ইউসিএল এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং তাদের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া নিয়ে পরিচালিত পুরো বিশ্বের ৬৩৩২টি গবেষণা মূল্যায়ন করে দেখেছে।
এসব গবেষণা মূল্যায়নের পর এই দুটি প্রতিষ্ঠান যে তথ্য দিয়েছে তা হলো, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে প্রাপ্তবয়স্ক কোন ব্যক্তির তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫৬% কম।
এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মারাত্মক অসুস্থ হওয়া বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি শিশুদের কম থাকে।
বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে কিনা সেটি বোঝাটাই অনেক কঠিন বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হেলেনা বেগম।
তিনি বলেন, অনেক পরিবারের মানুষেরা বুঝতেই পারে না যে তাদের বাচ্চা কোভিড আক্রান্ত কিনা। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কোন উপসর্গ থাকে না।
‘যাদের জ্বর নাই, কাশি নাই, ছোট বাচ্চা হলে তো বলতেই পারে না যে গলাব্যথা হয়েছে, সে কারণে বোঝাটাই কঠিন।’
ডা. হেলেনা বেগম বলেন, বাংলাদেশে শিশুরা যেসব রোগে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ। আর এর উপসর্গ হচ্ছে নাক দিয়ে পানি পরা, কাশি দেয়া, ঘড়-ঘড় করে শব্দ করা, কোন কোন ক্ষেত্রে গলাব্যথা অথবা কানে ব্যথা।
তার মতে, করোনার উপসর্গগুলোও অনেকটা একই রকম। সে কারণে সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ নাকি করোনা তা বোঝা যায় না।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হেলেনা বেগম বলেন, যেসব পরিবারের করোনা সংক্রমণ হয়েছে, কিংবা করোনা রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিংবা যেসব শিশুর বাবা-মায়েদের বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়, সেসব শিশুর মধ্যে কোন ধরণের উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে পরীক্ষা করাতে হবে। সেই সাথে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে তাদেরকে আলাদা করে ফেলতে হবে।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, শিশুদের থেকে করোনাভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কতটা থাকে। কারণ পরিবারে শিশুদের সাথে অন্য সদস্যদের মেলা-মেশায় সাধারণত কোন বিধি-নিষেধ থাকে না। বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সাথে তাদের মেলামেশার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
শিশুরা কি করোনাভাইরাস ছড়ায়?
শিশুরা কতটা সহজেই করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে সে বিষয়ে তেমন কোন পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ইউসিএল এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন যে তথ্য দেয় তাতে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ৩১টি ক্লাস্টারের উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা যায় যে, মাত্র তিনটি ক্লাস্টারে সংক্রমণ শিশুদের থেকে হয়েছে। অর্থাৎ শিশুদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর হার ১০%।
গবেষকরা মনে করেন, যেহেতু শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার তুলনামূলক কম তাই তাদের থেকে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তুলনামূলক কম।
অনেকটা একই তথ্য দিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনও।
তিনি বলেন, শিশুদের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গগুলো বেশি থাকে তাহলে ঝুঁকিও বেশি থাকে। আর উপসর্গ মৃদু বা উপসর্গহীন হলে সেক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রাটা কমে যায়।
‘যাদের মধ্যে জ্বর এবং কাশি থাকবে তাদের থেকে সংক্রমণের মাত্রাটা বেশি থাকবে।’
ভাইরোলজিস্ট তাহমিনা শিরিন বলেন, পরিবারে যদি কোন শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তবে এক্ষেত্রে বাবা-মা বা যারা সেবা দিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে বেশি থাকে।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, কোভিড আক্রান্ত শিশুদের থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা তা দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
প্রথমটি হচ্ছে, শিশুর হাঁচি-কাশির মতো উপসর্গ বেশি থাকলে তার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকবে। আর উপসর্গ মৃদু থাকলে বা কম থাকলে ঝুঁকি কিছুটা কম থাকবে। কারণ এতে ড্রপলেটস নির্গত হওয়ার বিষয়টি জড়িত থাকে।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, কন্টাক্ট টাইম বা সংস্পর্শে আসার সময় কতটা। অর্থাৎ তার মতে, যদি কোভিড আক্রান্ত কোন শিশু দীর্ঘ সময় ধরে বয়স্ক কারো সংস্পর্শে থাকে তাহলে ঝুঁকির মাত্রাটা এমনিতেই বেড়ে যাবে।
তবে সব মিলিয়ে শিশুদের থেকে বড়দের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি খুব বেশি না বলেও জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ।
ঝুঁকি কমাতে হলে কী করতে হবে?
শিশুদের থেকে বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ এবং ভাইরোলজিস্টরা। এর মধ্যে রয়েছে-
১. শিশুদের আলাদা রাখা
শিশুরা যেহেতু সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে খুব বেশি কিছু বোঝে না তাই পরিবারের অন্য সদস্য বিশেষ করে যারা বয়স্ক এবং যাদের অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদেরকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে দরজা বন্ধ রাখতে হবে যাতে শিশুরা কাছে আসতে না পারে।
২. বাইরে থেকে এসে সরাসরি শিশুদের সংস্পর্শে না যাওয়া
বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ তাই শিশুদের বাইরে যাওয়ার মাত্রাও কম। তাই সেক্ষেত্রে তাদেরকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্য যারা বাইরে যান তাদের থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। সম্পূর্ণভাবে ভাইরাস মুক্ত না হয়ে বা বাইরে থেকে এসে শিশুদের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না।
৩. আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে আইসোলেশন করা
শিশুরা কোভিড আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে তাদেরকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে আলাদা ইউনিট বা ব্যবস্থা করা যেতে পারে যেখানে শুধু শিশুদেরই আইসোলেশনে রাখা হবে। এক্ষেত্রে সব শিশুদের মধ্যে উপসর্গ থাকবে বলে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হবে না।
৪. পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক পরা
যেহেতু শিশুদের সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া অন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের আলাদা করে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. শিশুদের সচেতন করা
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা হেলেনা বেগম মনে করেন, কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুদের মধ্যেও সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং বুঝিয়ে বলতে হবে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যেসব পরিবারে কোভিড রোগী রয়েছে সেসব পরিবারের বাচ্চাদের কিছু কিছু অভ্যাস মিনার কার্টুনের মতো বুঝিয়ে বলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন, শরীরের কোথায় কোথায় হাত দেয়া যাবে না, কোন কিছু যেন তেন ভাবে ফেলে রাখা যাবে না, কোথায় যাওয়া যাবে না।
‘সেই সাথে শিশুদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে কী কী খাবার বেশি খেতে হবে।কোন কোন কাজগুলো বেশি বেশি করতে হবে।’ খবর: বিবিসি বাংলা।