আফ্রিকার দেশ আইভোরিকোস্টের প্রধানমন্ত্রী আমাদু গন কৌলিবালি আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফ্রিকার দেশ আইভোরিকোস্টের প্রধানমন্ত্রী আমাদু গন কৌলিবালি আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
বুধবার (৮ জুলাই) মন্ত্রিসভার মিটিংয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেখান থেকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এক রাষ্ট্রীয় বার্তায় তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০১২ সালে কৌলিবালির হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়। মে মাসে তিনি ফ্রান্সে যান ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে। দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে ২ জুলাই তিনি দেশে ফেরেন।
গত মার্চে তিনি করোনা রোগীর সংস্পর্শে গিয়েছিলেন। এরপর ছিলেন আইসোলেশনে। যদিও দুই দফার পরীক্ষায় তিনি নেগেটিভ হন।
আগামী অক্টোবরে আইভোরিকোস্টে প্রেসিডেন্টশিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ছিলেন দুইবারের প্রধানমন্ত্রী কৌলিবালি। আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন তৃতীয়বারের মতো তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন না। অর্থাৎ এরপর তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। সূত্র: বিবিসি
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নে সুরাইয়া আক্তার নামে এক বছরের এক শিশুকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন মা হনুফা বেগম ওরফে সুমি। ঘটনার পর থেকে শিশুটির মা সুমি পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বার্থা বিলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশু সুরাইয়া আক্তার বার্থা এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
আলমগীর হোসেনের প্রতিবেশী নমিতা হালদার বলেন, গরুর খাবারের জন্য দুপুরে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে খড় আনতে যাই। তখন দেখি সুরাইয়াকে কোলে করে মা সুমি পুকুর পাড়ে বসে আছে। এই দৃশ্য দেখে খড় নিয়ে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর দেখি সুমি একা দৌড়ে চলে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপর শিশুটির নানি পুকুর থেকে সুরাইয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে শিশুটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিশুর নানি রওশন আরা বলেন, সুমি দুপুরে তার মেয়ে সুরাইয়াকে নিয়ে শুয়ে ছিল। আমরা সবাই তখন কাজ করছিলাম। হঠাৎ পুকুরে নাতনি ভাসছে শুনে দৌড়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসে দেখি সুমি নেই।
স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে বানিবহ ইউনিয়নের বার্থা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজবাড়ী কোর্টের মামলা লেখক আলমগীর হোসেনের। একটি মাত্র সন্তান তাদের সুরাইয়া। ছয় মাস আগে সুমি তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর থেকে স্বামীর বাড়িতে যাননি তিনি।
রাজবাড়ী থানা পুলিশের ওসি স্বপন মজুমদার বলেন, খবর পেয়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে শিশুটির মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে গোপনে বৈঠক সারলেন নেপালে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানকি। সেই সঙ্গে দেশের শাসকদল ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’র অন্যতম শীর্ষনেতা মাধব কুমার নেপাল-সহ একাধিক শীর্ষস্তরের আমলার সঙ্গেও আলোচনা চালিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। আর এই ঘটনাচক্রের উপর কড়া নজর রাখছে ভারত।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে গোপনে বৈঠক সারলেন নেপালে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানকি। সেই সঙ্গে দেশের শাসকদল ‘নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি’র অন্যতম শীর্ষনেতা মাধব কুমার নেপাল-সহ একাধিক শীর্ষস্তরের আমলার সঙ্গেও আলোচনা চালিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। আর এই ঘটনাচক্রের উপর কড়া নজর রাখছে ভারত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রটোকল ভেঙে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত হউ ইয়ানকি। নিয়মমাফিক এমন বৈঠক সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কতৃপক্ষের উপস্থিতিতে হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, মাধব নেপালের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের কথাও গোপন রাখা হয়।
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ‘ফরেন রিলেশন ডিপার্টমেন্টে’র ডেপুটি চিফ বিষ্ণু রিজাল বলেন, “এই বৈঠক নিয়ে আমি কিছু জানি না। তবে চীনা প্রটোকল মতে শীর্ষ স্তরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর অন্য কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রদূত।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির মসনদ বাঁচাতে নেমেছ চীন। নেপালের শাসকদলের মধ্যে কলহ মিটিয়ে চীনপন্থী ওলিকেই আসতে রাখতে মরিয়া চীন। এর জেরই ওলি মন্তব্য করেন, ভারতের ষড়যন্ত্রে শামিল হয়ে দলেরই একাংশ তাকে পদচ্যুত করার চেষ্টা করছে।
নিখোঁজের এক বছর পর ব্যবসায়ীর কংকাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
সারাদেশ
সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে ব্যবসায়ী নিখোঁজের এক বছর পর ওই ব্যক্তির কংকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেলে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার গাছবাড়ি এলাকা থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির কংকাল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজ ব্যবসায়ী কামাল হোসেনকে (৪০) খুনের পর মরদেহ গুম করতে ঘাতকরা একটি পুকুরপাড়ে গর্ত করে তার মরদেহ ড্রামে ভরে পুকুরে ফেলে দেয়। ব্যবসায়ী কামাল হোসন নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়। জানা যায়, তবে যে বাড়ির পুকুরপাড় থেকে কংকাল উদ্ধার করা হয় ওই বাড়িটি নিহত কামাল হোসেনেরই। এখানে তারা কেউ বসবাস করেন না। তারা থাকেন একই ইউনিয়নের আদিনাবাদ গ্রামে।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায় বলেন, ওই ব্যবসায়ীরে কোন সন্ধান না পাওয়ায় তার ভাই থানায় নিয়ামত মামলা করেন। এ মামলার তদন্তে উঠে আসে দোকান কর্মচারী আমির আলী ব্যবসায়ী নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত। ঘটনার পর থেকে আমির আলীও পলাতক ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, শুরু থেকে তিনি নিজে মামলাটি তদন্ত করতে মাঠে নামেন। ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের নিখোঁজ ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করতে সোমবার দোকানের কর্মচারী আমির আলীকে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করি। শুধু তাই নয় তাকে ধরতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি ড্রামের ভেতর থেকে কংকাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতেও করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। এর আগে ব্রাজিল ও পেরু এই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) নতুন করে ২ হাজার ৪০০ জনের করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবুও লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে চিলি। খবর আল জাজিরার।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও ৫০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। ফলে মৃত্যুর মোট সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৪৩৪ জন। ভাইরাসের কারণে সম্ভাব্য আরও সাড়ে তিন হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা মন্ত্রণালয়ের।
আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় স্পেনকে পেছনে ফেলে ষষ্ঠ স্থানে উঠে গেছে চিলি। মহামারির শুরুতে মৃত্যুকূপ হয়ে ওঠা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ ৯৯ হাজার ২১০ জন। প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার রোগী নিয়ে চিলির ঠিক উপরে পেরু, আর সাড়ে ১৬ লাখ আক্রান্তে ব্রাজিল দ্বিতীয় স্থানে।
তবে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সংক্রমণ কমতে থাকায় কিছু বিধিনিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা করছে চিলি সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এনরিক প্যারিস বলেছেন, আমরা ২৩ দিন ধরে কিছুটা অগ্রগতি লক্ষ করছি।
৭১ লাখ মানুষের শহর রাজধানী সান্তিয়াগোতে আক্রান্তের ৮০ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন বলে জানান প্যারিস। সেখানে সংক্রমণের হারও নেমে গেছে। নমুনা পরীক্ষার ২৪ শতাংশের পজিটিভ আসছে।
এই পরিস্থিতিতে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার আগে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
নরসিংদীতে নতুন করে আরও ১১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এপর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫০৬ জনে। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন- নরসিংদী সদরে ১০ জন ও রায়পুরা উপজেলায় ১ জন।
বুধবার (৮ জুলাই) নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, গত ৬ জুলাই মোট ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীর মহাখালীতে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) ও কোভিড-১৯ সার্ভেইল্যান্স এর আওতায় আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো হয়। এসব নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে আইপিএইচ এর পাঠানো ৩০টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ আসে ৭টি ও আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো ১২টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ আসে ৪টি।
এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত ১৫০৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- সদর উপজেলায় ৯৪০ জন, শিবপুর উপজেলায় ১৩৯ জন, পলাশ উপজেলায় ১২৭ জন, রায়পুরা উপজেলায় ১১৯ জন, বেলাব উপজেলায় ৯২ জন ও মনোহরদী উপজেলায় ৮৯ জন।
জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১৯০ জন। মারা গেছেন ৩৭ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ জন, বেলাব উপজেলায় ৫ জন, রায়পুরা উপজেলায় ৪ জন, মনোহরদী উপজেলায় ২ জন, পলাশ উপজেলায় ২ জন এবং শিবপুর উপজেলায় ১ জন।
বান্দরবানে এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. অং শৈ প্রু মার্মা। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে সিভিল সার্জনের করোনা পজিটিভ এসেছে বলে বান্দরবানের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের প্রধান ডা. প্রত্যুষ পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেলে সিভিল সার্জনের কোভিড-১৯ ফলাফল পজিটিভ এসেছে। বান্দরবানের স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বর্তমানে জ্বর, কাশি রয়েছে। তিনি এতদিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন, করোনা পজিটিভ আসার পর থেকে আইসোলেশনে আছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হন। এরপর ১৫ জুলাই থেকে জেলাকে রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়। বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ হয়ে করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
স্বাক্ষ্য-প্রমাণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, সোলেইমানি এবং তার সহযোগীদের হত্যাকাণ্ড ছিল বিচারবহির্ভূত। যুক্তরাষ্ট্র এজন্য দায়ী।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা কাশেম সোলেইমানিকে। বিশ্বের এক নম্বর জেনারেল হিসেবে খ্যাত ইরানের এই জেনারেলকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হত্যা করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ তার প্রতিবেদনে এই হত্যাকাণ্ডকে ‘বিচারবহির্ভূত’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এটি জাতিসংঘ ঘোষণা লঙ্ঘন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ অ্যাগনেস কাল্লামার্ড আলাদাভাবে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি প্রতিবেদনে লিখেছেন, স্বাক্ষ্য-প্রমাণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, সোলেইমানি এবং তার সহযোগীদের হত্যাকাণ্ড ছিল বিচারবহির্ভূত। যুক্তরাষ্ট্র এজন্য দায়ী।
প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানতে চাওয়ায় জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যা করার যে অজুহাত ওয়াশিংটন দাঁড় করিয়েছিল তার প্রমাণ মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্র এই বেআইনি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি এবং সব জেনেশুনেও আন্তর্জাতিক সমাজ নীরব।
ক্যালামার্ড তার প্রতিবেদনে বলেছেন, আত্মরক্ষার অজুহাত দেখিয়ে তৃতীয় কোনও দেশে আরেকটি দেশের সেনা কমান্ডারের ওপর এই প্রথম এধরনের হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এই প্রতিবেদকের উদ্ধৃতি দিয়ে আল জাজিরা লিখেছে, জেনারেল সোলেইমানি ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের সামরিক কৌশল ও পদক্ষেপের নীতি নির্ধারণী ভূমিকা পালন করতেন। কিন্তু আমেরিকার দাবির বিপরীতে তিনি কোনও গোষ্ঠীর জীবনের জন্য হুমকি ছিলেন না। তাই আমেরিকা তাকে হত্যা করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এই প্রতিবেদক তার প্রতিবেদন নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করবেন, যেন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার জেনারেল সোলেইমানিকে বহনকারী গাড়ির বহরে ড্রোন হামলা চালায় ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনী। হামলায় তিনি ও ইরাকের কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিস নিহত হন।
ট্রাম্প ওই সময় বলেছিলেন, সোলেইমানি বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং আরও আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বরিশাল জেলা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মীর ফারুকের (৫১) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টা ৫মিনিটে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত এসআই মীর ফারুক বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায়।
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাঈমুল হক জানান, ৫ জুলাই এসআই মীর ফারুকের করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে ওইদিনই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওইদিনই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।
এদিকে পুলিশের এই কর্মকর্তার মৃত্যুতে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম-বিপিএম (বার), পিপিএম, বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান ও জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম-বিপিএম গভীর শোক ও তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
করোনা পজিটিভ আসা ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র মাত্র ২২ শতাংশের নমুনা পরীক্ষার দিন পর্যন্ত উপসর্গ ছিল।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের দেহে ভাইরাসটির উপসর্গ ছিল না। করোনা পজিটিভ আসা ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র মাত্র ২২ শতাংশের নমুনা পরীক্ষার দিন পর্যন্ত উপসর্গ ছিল। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের (ওএনএস) এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এই জরিপ করোনার ভয়াবহতার একটি ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ দেশটির অধিকাংশ মানুষই জানে না যে তারা ভাইরাসটি বহন করছে। নিজের অজান্তেই তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ওএনএস এর এই জরিপ বলছে, স্বাস্থ্য ও সমাজেসেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীরাই বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
জরিপটির ফলাফল এমন সময়ে এলো যখন যুক্তরাজ্যে যে কোনও রোগে মৃত্যু টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে কমে এসেছে। দেশে মার্চের শেষ থেকে জুন পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে গড় মৃত্যুর চেয়ে ৫৯ হাজার জন বেশি মারা গেছেন।
সবশেষ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) যুক্তরাজ্যে সরকারি হিসেবে আরও ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। মোট ৪৪ হাজার ৩৯১ জন।
পরিসংখ্যান দফতর তাদের জরিপে মাত্র ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছিল। তাই কারা বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন, সেই ব্যাপারে জোরালো কিছু এখনও বলা যাচ্ছে না।
তবে তাদের জরিপ বলছে, যারা স্বাস্থ্য কিংবা সেবাখাতে রয়েছেন এবং ঘরের বাইরে কাজ করছেন তারা করোনায় পজিটিভ। সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং শ্বেতাঙ্গদের কারোনা হওয়ার সম্ভবাবনা খুব কম। এছাড়া বড় পরিবারে থাকেন যারা, তাদের করোনাভাইস পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা ছোট পরিবারের চেয়েও বেশি থাকে।
এছাড়া নারীদের চেয়ে পুরষদের মৃত হার বেশি বলে উঠে এসেছে এই রিপোর্টে। তবে তারা কীভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন কিংবা সুস্থ হয়ে উঠছেন তা জানায়নি।
যুক্তরাজ্যে যারা বাসায় থাকছেন তাদের পরীক্ষা করে এই জরিপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। কেয়ার হোম কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানের বসবাসরতদের এই জরিপের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
উপসর্গহীন সংক্রমণের ব্যাপারে বারবার সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ব্রিটিশ সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারাও একই কথা বলছে। কিন্তু তা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেটা আর বলেনি।
জরিপে দেখা গেছে ২২ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে, যাদের মধ্যে পরীক্ষার দিন পর্যন্ত ভাইরাসটি ছিল। আর প্রায় ৭৮ শতাংশের পরীক্ষার দিন পর্যন্ত কোনও উপসর্গ ছিল না, কিন্তু ফল এসেছে পজিটিভ।
সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগ আয়োজিত সদ্য নিহত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় স্মরণে মিলাদ মাহফিলে অতর্কিত পরিকল্পিতভাবে হামলা করে সিরাজগঞ্জ সদর আসনের এমপি গ্রুপের অনুসারীরা। আর এই হামলা প্রতিহত করতেই দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ঘটনার জন্য দু’পক্ষ একে অপরকে দায়ীকরছে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় দুঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ বড়পুল হতে খেদন সর্দারের মোড় পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক একরামুলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ ধীরে ধীরে পুরো এসএস রোডে ছড়িয়ে পড়ে। টানা দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে উভয়গ্রুপে অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও যুক্ত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। রাত ৮টা পর্যন্তও শহরের দুটি পয়েন্টে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়ায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। এদিকে, ক্ষমতাসীন দলের সংঘর্ষের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শহরের দোকানপাট মুহুর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহমেদ জানান, জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে নিহত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়ের স্মরণে শহরের এসএস রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ মিলাদ মাহফিল চলছিল। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সুর্য্য, এ্যাড বিমল কুমার দাসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শান্তিপূর্ণ মিলাদ মাহফিল চলাকালে স্থানীয় এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক লোকজন নিয়ে মিছিল সহকারে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে এসে হামলা চালায়। আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষেও বেধে যায়। তিনি জানান, তাদের হামলায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাঈম, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জুবায়ের, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা শুধু ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীর নয় বিভিন্ন এলাকার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ছিল।
অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি মোবাইলে বলেন, ওই মিছিলে আমি ছিলাম না। তখন আমি বাসায় অবস্থান করছিলাম। তবে আমি শুনেছি যে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা বলেন, প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে দোয়া মাহফিলে যোগ দেয়ার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। আমরা প্রতিহত করতে গেলে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হকসহ অন্তত ১৫/২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, ‘সদ্য প্রয়াত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়ের রুহের মাগফেরাত কামনায় সোমবার বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ছাত্রলীগ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। আসর নামাজ শেষ না হতেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে কতিপয় উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা গোন্ডগোল শুরু করে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে গেলে কর্মসূচী তাড়াতাড়ি শেষ করে সিনিয়ন নেতারা দলীয় অফিস থেকে চলে আসি। তিনি আরও বলেন, এনামুল হক বিজয়ের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আমরাও গভীর শোকে শোকাহত। কিন্তু এ ঘটনায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও রক্তপাতের বিষয়টিও অনাঙ্খিত।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিতি থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য বলেন, এনামুল হক বিজয়ের স্মরণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল চলছিল। সেখানে জেলার সভাপতিসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবীব খোকার নেতৃত্বে দু’শত লোকজন অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে হামলা চালায়। যে কারণে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফোরকান শিকদার বলেন, জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত স্মরণসভা চলাকালে একাংশের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার সময় তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ক্রমশ তা শহরের মেছুয়া বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন টহল জোরদার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বিকেলে জাতীয় নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় এনামুল হক বিজয়কে মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে ৯ দিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পর রোববার (৫ জুলাই) সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত বিজয়ের বড় ভাই রুবেল বাদি হয়ে ২৭ জুন জেলা ছাত্রলীগের ২ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের ৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর গত ২৮ জুন মামলার আসামি জেলা ছাত্রলীগের ২ সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন ও শিহাব আহমেদ জিহাদকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। নিহত এনামুল হক বিজয় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারী হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন।
বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)- দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। এ ঝুঁকির বিষয়ে বিশ্ববাসীকে যথাযথভাবে সতর্ক করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। এই অভিযোগ করে ডাব্লিউএইচওর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন সম্প্রতি বিশ্বের ২৩৯ বিজ্ঞানী। চিঠি পেয়ে বিষয়টি নতুন করে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাব্লিউএইচও।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এক ব্রিফিংয়ে ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাইরাসটির সংক্রমণ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং এ বিষয়ে তথ্য হালনাগাদ করবে কয়েক দিনের মধ্যেই।
সংস্থাটির সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ড. বেনডেট্টা অ্যালিগরানজি বলেন, ‘বায়ুর মাধ্যমে রোগটির ছড়ায় বিশেষ করে জনবহুল, আবদ্ধ, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করেনা এমন এলাকায়- এমন দাবি বাতিল করা যায় না।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাতাসে দীর্ঘক্ষণ করোনাভাইরাস টিকে থাকে এবং বাতাসের মাধ্যমে তা মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। তবে শুধু বাতাসের মাধ্যমে নয় আরো একটি পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস ছড়ায়, সেটি হলো চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করা।
করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার এ দুটি পদ্ধতিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ডাব্লিউএইচও ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। সংস্থাদুটি বলছে, সংক্রমণের একটি পদ্ধতি হলো কাছাকাছি থাকা কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের খুদে কণা (ড্রপলেট) নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আরেকজনের শরীরে ঢুকে যাওয়া এবং আরেকটি পদ্ধতি হলো করোনাভাইরাসে দূষিত কোনো কিছু স্পর্শ করে ওই হাতের মাধ্যমে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করা।
ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কথা ডাব্লিউএইচও এতদিন স্বীকার করলেও সংস্থাটি বলে আসছে, শুধু ইনটিউবেশনের (রোগীর শ্বাসতন্ত্রে বিশেষ টিউব প্রবেশ করানোর মাধ্যমে চিকিৎসা) মতো চিকিৎসা কার্যক্রমের সময় ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে পারে।
ডাব্লিউএইচওর এ অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গবেষকদের একটি দল বলছে, ড্রপলেটে থাকা করোনাভাইরাস দীর্ঘক্ষণ বাতাসে টিকে থাকতে পারে এবং তা বাতাসে ভেসে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। ওই দূরত্ব কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে সদস্যপদ থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়েছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে সদস্যপদ থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এক সিনেটর জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে সদস্যপদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজ টুইটারে লিখেছেন, ‘মহামারির মাঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম মার্কিন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে কংগ্রেস।’
করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের পক্ষপাতিত্ব করায় আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) অর্থ সাহায্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। আরও এক ধাপ এগিয়ে মে মাসের শেষ দিকে তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় তারা। জাতিসংঘের সংস্থাকে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাতে সাড়া না পাওয়ায় এ পদক্ষেপের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মে মাসের শুরুতে চীনের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে ডব্লিউএইচওকে আল্টিমেটাম দেন ট্রাম্প। তার দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভ্যন্তরীণ সংস্কারে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে এবং চীনা নির্ভরতা কাটাতে পারেনি। এ কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হলো।
প্রতিষ্ঠানকে এতদিন ধরে দেওয়া বার্ষিক ৪৫ কোটি ডলার এখন থেকে অন্য সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি স্বাস্থ্য প্রকল্পে ব্যয় করা হবে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই ঘোষণার এক মাসেরও বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করে নিলো আমেরিকা।
বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯)- দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। এ ঝুঁকির বিষয়ে বিশ্ববাসীকে যথাযথভাবে সতর্ক করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। এই অভিযোগ করে ডাব্লিউএইচওর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন সম্প্রতি বিশ্বের ২৩৯ বিজ্ঞানী। চিঠি পেয়ে বিষয়টি নতুন করে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাব্লিউএইচও।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এক ব্রিফিংয়ে ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাইরাসটির সংক্রমণ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং এ বিষয়ে তথ্য হালনাগাদ করবে কয়েক দিনের মধ্যেই।
সংস্থাটির সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ড. বেনডেট্টা অ্যালিগরানজি বলেন, ‘বায়ুর মাধ্যমে রোগটির ছড়ায় বিশেষ করে জনবহুল, আবদ্ধ, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করেনা এমন এলাকায়- এমন দাবি বাতিল করা যায় না।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাতাসে দীর্ঘক্ষণ করোনাভাইরাস টিকে থাকে এবং বাতাসের মাধ্যমে তা মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। তবে শুধু বাতাসের মাধ্যমে নয় আরো একটি পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস ছড়ায়, সেটি হলো চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করা।
করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার এ দুটি পদ্ধতিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ডাব্লিউএইচও ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন। সংস্থাদুটি বলছে, সংক্রমণের একটি পদ্ধতি হলো কাছাকাছি থাকা কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের খুদে কণা (ড্রপলেট) নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আরেকজনের শরীরে ঢুকে যাওয়া এবং আরেকটি পদ্ধতি হলো করোনাভাইরাসে দূষিত কোনো কিছু স্পর্শ করে ওই হাতের মাধ্যমে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করা।
ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার কথা ডাব্লিউএইচও এতদিন স্বীকার করলেও সংস্থাটি বলে আসছে, শুধু ইনটিউবেশনের (রোগীর শ্বাসতন্ত্রে বিশেষ টিউব প্রবেশ করানোর মাধ্যমে চিকিৎসা) মতো চিকিৎসা কার্যক্রমের সময় ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে পারে।
ডাব্লিউএইচওর এ অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গবেষকদের একটি দল বলছে, ড্রপলেটে থাকা করোনাভাইরাস দীর্ঘক্ষণ বাতাসে টিকে থাকতে পারে এবং তা বাতাসে ভেসে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। ওই দূরত্ব কয়েক মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে সদস্যপদ থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়েছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে সদস্যপদ থেকে নাম প্রত্যাহারের কথা জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) এক সিনেটর জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে সদস্যপদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র সম্পর্ক কমিটির শীর্ষ ডেমোক্রেট সিনেটর রবার্ট মেনেন্দেজ টুইটারে লিখেছেন, ‘মহামারির মাঝে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম মার্কিন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে কংগ্রেস।’
করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের পক্ষপাতিত্ব করায় আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) অর্থ সাহায্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। আরও এক ধাপ এগিয়ে মে মাসের শেষ দিকে তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় তারা। জাতিসংঘের সংস্থাকে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়ার পর তাতে সাড়া না পাওয়ায় এ পদক্ষেপের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মে মাসের শুরুতে চীনের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে ডব্লিউএইচওকে আল্টিমেটাম দেন ট্রাম্প। তার দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অভ্যন্তরীণ সংস্কারে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে এবং চীনা নির্ভরতা কাটাতে পারেনি। এ কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হলো।
প্রতিষ্ঠানকে এতদিন ধরে দেওয়া বার্ষিক ৪৫ কোটি ডলার এখন থেকে অন্য সংস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি স্বাস্থ্য প্রকল্পে ব্যয় করা হবে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ওই ঘোষণার এক মাসেরও বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহার করে নিলো আমেরিকা।
মহামারি করোনাভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে করোনা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তো দম ফেলারও ফুরসত্ পাচ্ছেন না। ভারতের মহারাষ্ট্রের দুই জুনিয়র চিকিৎসকও এর বাইরে নন। তারাও করোনা আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে অঙ্গরাজ্যটির রাজধানী শহর মুম্বাইয়ের সিওন হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে পিছিয়ে যায় তাদের বিয়েও। অবশেষে সেই হাসপাতালেই সারলেন নিজেদের বিয়ে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে মুম্বাইয়ের অবস্থা সবচেয়ে বেশি নাজুক। ফলে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পরস্পরকে আপন করে নিতে পারছিলেন না ডা. রিম্পি নাহারিয়া (২৯) ও ডা. সারজেরাও সোনুনে (৩০)। করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে বারবার পিছিয়ে যায় এ দুই অ্যানাসথেসিওলজিস্টের বিয়ে। অবশেষে ঠিক হলো বিয়েটা করেই ফেলবেন তারা। তবে বিয়ের সব আয়োজন হবে তাদের কর্মস্থল হাসপাতালেই।
রিম্পি ও সারজেরার বিয়ের গায়ে হলুদ উপলক্ষে ফুল দিয়ে সাজানো হয় হাসপাতালের হোস্টেলের অষ্টম তলা। করোনায় যখন হাসপাতালে শুধুই মৃত্যু আর কান্নার আহাজারি, সেখানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে আনন্দের এক টুকরো বাতাস বয়ে আনল এই বিয়ের অনুষ্ঠান।
চিকিৎসক জুটির বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৩০ জুন তাদের সহকর্মীরা ফুল ও আলোয় সাজিয়ে তুলে হাসপাতাল। অর্ডার দেওয়া বিশেষ খাবারদাবারের।
হরিয়ানার পাত্রী রিম্পি বলেন, আমরা কখনও বিরাট ধূমধাম করে বিয়ে করতে চাইনি। কিন্তু বিয়েতে বিশেষ একটা কিছু করতে চেয়েছিলাম। এই ভাবেই আমাদের বন্ধুরা আমাদের বিয়েটাকে স্পেশাল করে তুলল।
এমডি কোর্স শেষ করে মে মাসে বিয়ে করার কথা ছিল দুইজনের। সেই সময়েই ভারতজুড়ে থাবা বসায় করোনাভাইরাস। ফলে বিয়েটা বাতিল করে দিতে হয় তাদের।
ডাক্তার বর সারজেরাও বলেন, যে মহামারিতে সারা পৃথিবী আক্রান্ত, তা যে কবে শেষ হবে, কবে এর থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে, তার কিছুই এখনও বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। সেই কারণেই বিয়েটা সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।