অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংকে নিয়ম-নীতির মধ্যে আনা জরুরি : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকতথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ফেসবুক-ইউটিউবসহ অনলাইনের ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে নিয়ম-নীতির মধ্যে আনা জরুরি। কারণ ওটিটি প্ল্যাটফর্মের আনসেন্সরড নানা কনটেন্ট বিতর্ক তৈরি করছে।
রোবাবার (৫ জুলাই) সচিবালয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন স্ট্রিমিংপ্ল্যাটফর্মগুলোকে নিয়ম-নীতির মধ্যে আনা সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপায়িত হওয়ার পাশাপাশি আমরা দেখেছি আমাদের দেশে এমনকি সারা পৃথিবীতে অনলাইনে কিছু বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। এগুলো নিয়ে এখন আইনগতভাবে একইসঙ্গে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে আমাদের পড়তে হচ্ছে।আগে যে বিষয়গুলো সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত ছিলাম না, যেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতাম না, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় আমরা যেটি দেখতে পাচ্ছি সেটি হচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বর্তমান যুগের একটি বাস্তবতা, এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সেখানে বিনোদন থেকে শুরু করে নানা কিছু স্ট্রিমিং হচ্ছে। কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি এই নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকার সঠিকভাবে ট্যাক্স পাচ্ছে না। এটি একটা ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র, এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। ওটিটি প্লাটফর্মে ২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু সরকার সেখান থেকে কোন ট্যাক্স পাচ্ছে না।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে ডা. হাছান মাহমুদ বলেন, ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের নানা কনটেন্ট নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এগুলো আনসেন্সরডভাবে সেখানে যাচ্ছে। অনেক কনটেন্টই আমাদের সমাজ-ব্যস্তবতার পরিপন্থি।
মন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা একটি সমন্বিত সভা করে এগুলোকে একটি নিয়ম নীতির মধ্যে আনার লক্ষ্যে আজকে আমরা এই সভাটি আহ্বান করেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য গুলো ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা কোম্পানি যারা সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের কাছে চলে যাচ্ছে। নেটফ্লিক্সের কাছে যাচ্ছে, ইউটিউবের কাছে যাচ্ছে এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে যাচ্ছে। অথচ সেখান থেকে যেভাবে ট্যাক্স পাওয়ার কথা আমরা সেভাবে পাচ্ছি না।
ভারতে ফেসবুক কোম্পানি হিসেবে রেজিস্টার্ড হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যদিও বাংলাদেশে এখনো হয়নি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ক্রমাগত প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে তারা এখানে একটি এখানে অফিস খোলা ও এজেন্ট নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু তারা এখনও কোম্পানি করেনি।
তিনি বলেন, এ সমস্ত বিষয়গুলোকে একটি নিয়ম নীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন। এটি এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যমকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে চলে যাচ্ছে। মানুষ এই মাধ্যমটি এখন বেশি ব্যবহার করছে। এই মাধ্যমটি ব্যবহারের মাধ্যমে সমাজ বিনির্মাণের যেমন সুযোগ আছে, সমাজকে অস্থিতিশীল করারও সুযোগ আছে।
অনলাইনের নীতিমালা নিয়ে ওই সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান যুক্ত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব নূর-উর-রহমান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পূর্বপশ্চিম-এনই
Post Written by :
Original Post URL : https://ift.tt/2VMGye0
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD