আজ লক্ষীপূজা। শাস্ত্রমতে, দেবী লক্ষী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। এ ছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ওসৌন্দর্যের দেবীও তিনি।
শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই পূজা করে থাকেন। এ পূজা কোজাগরী লক্ষীপূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কো জাগর্তী’ থেকে। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস কোজাগরী পূর্ণিমার দিন দেবী নিশীথ রাতে প্রতিটি মানুষের গৃহে বলে থাকেন- ‘কে আছো জেগে?’
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পূর্ণিমা রাতে দেবী লক্ষী ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে পূজা গ্রহণ করতে আসেন। লক্ষী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। বাঙালি বিশ্বাসে লক্ষীদেবী দ্বিভুজা ও তার বাহন পেঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভান্ডার। তবে বাংলার বাইরে লক্ষীর চুর্ভুজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। প্রায় প্রাতটি বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে লক্ষীপূজা করা হয়। এ উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন।
আজ সারা দেশের বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপের পাশাপাশি হিন্দুদের ঘরে ঘরে সকালে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হবে। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হবে লক্ষীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষীবাজার, রাধামাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষীপূজার বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/religion/178403/লক্ষীপূজা-আজ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ঘুষ নেয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার হলেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ। একই ঘটনায় এমদাদ নামে এক পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে ওসিকে প্রত্যাহার ও কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান।
জানা যায়, উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের কাকনহাটি গ্রামের আসাদুজ্জামান লুলু পৈতৃক জমিতে পানের বরজ, ফলজ বাগান ও পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এ নিয়ে প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার সঙ্গে বিরোধ ছিল।
এই বিষয়ে আসাদুজ্জামান লুলু গত ২১ অক্টোবর এর প্রতিকার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ওসি অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আসাদুজ্জাসান লুলুকে থানা থেকে ফিরিয়ে দেন।
পরদিন ২২ অক্টোবর নয়নসহ তার লোকজন হামলা চালিয়ে আসাদুজ্জামান লুলুর বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে ও পানের বরজের ক্ষতি করে। এ সময় আসাদুজ্জামান লুলুর ভাই আবু রায়হান রুমেল বাঁধাদিলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা।
পরে আসাদুজ্জামান লুলু থানায় এসে হামলার বিষয়টি ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমানকে জানালে তিনি ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা ছাড়া কাজ হবে না বলে জানালে নিরুপায় হয়ে ১৭ হাজার টাকা দেন। এ সময় কনস্টেবল এমদাদকেও ১৫শ টাকা দেন আসাদুজ্জামান লুলু। এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর আসাদুজ্জামান লুলু ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।
পুলিশ সুপার জানান, অনিয়মের অভিযোগে ওসিকে প্রত্যাহার ও কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/178402/ঘুষ-নেওয়ায়-ওসি-প্রত্যাহার
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য রাখা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জনের। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং ভারতে।
এছাড়া শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮০ জন। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭২৩ জন।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ লাখ ৪৪ হাজার ৬৩২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৬৪৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হচ্ছে ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে থাকলেও মৃত্যুর দিক থেকে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। লাতিন আমেরিকার এ দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬৯ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ লাখ ৪০ হাজার ২০৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫২৭ জনের।
মৃত্যু বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী মেক্সিকো চতুর্থ স্থানে থাকলেও আক্রান্ত বিবেচনায় দেশটির অবস্থান ১০ নম্বরে। মেক্সিকোতে বুধবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯ লাখ ১২ হাজার ৮১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯০ হাজার ৭৭৩ জনের।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য মৃত্যু বিবেচনায় রয়েছে পঞ্চম স্থানে, তবে আক্রান্তের দিক থেকে দেশটির অবস্থান নবম। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪৫৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৫ জনের।
এছাড়া আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রাশিয়া। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৬ জন। ৫ম অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৫২ জন।
আক্রান্ত বিবেচনায় ৬ষ্ঠ, ৭ম ও অষ্টম অবস্থানে উঠে এসেছে স্পেন, আর্জন্টিনা ও পেরু। দেশগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ লাখ ৬০ হাজার ৮৩ জন, ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ জন এবং ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৫ জন।
করোনায় মৃত্যুর দিক থেকে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও অষ্টম অবস্থানে রয়েছে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেন। দেশগুলোতে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৮ হাজার ১২২ জন, ৩৬ হাজার ৫৮ জন এবং ৩৫ হাজার ৬৩৯ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ১৮৮টি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
পিপি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/abroad/178401/মৃত-ছাড়াল
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে রাকিব মাল (২২) নামের এক যুবকের হাতের কব্জি উড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে রাকিব মাল (২২) নামের এক যুবকের হাতের কব্জি উড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আন্ধারমানিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবক ওই এলাকার দিনমজুর কালাম মালের ছেলে। সে স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করে। নিজ ঘরে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে সে আহত হয়। তাকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাকিবদের ঘরের ভেতর থেকে বিকট শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে যায়। এ সময়ে রাকিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের সামনে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত নিকটবর্তী হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে হিজলা থানা পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় সরদার সোহাগ বলেন, বিকট শব্দ শুনে প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম বিদুতের ট্রান্সমিটার ব্লাস্ট (বিস্ফোরণ) হয়েছে। কিন্তু রাকিবদের ঘরের কাছে গিয়ে দেখি দুই হাত রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের সামনে পড়ে আছে সে। আর ঘরের ভেতর থেকে কেমন যেন একটা ঝাঁঝালো গন্ধ বের হচ্ছে।
মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন পূর্বপশ্চিমকে জানান, পুলিশ হেফাজতে আহত যুবককের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পর পরই রাকিবের বাবা-মাসহ অন্যরা ঘর তালাবদ্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/178400/বোমা-বানাতে-গিয়ে-উড়ে-গেল-যুবকের-হাতের-কব্জি
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ১৩৫ উপপরিদর্শককে (এসআই) বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাদের বদলি করা হয়েছে। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তবে যারা বর্তমানে জাতিসংঘের মিশনে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তারা দেশে ফিরে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/178399/১৩৫-এসআইকে-বদলি
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
না-বাংলা ভাষায় ‘পরশ্রীপুলক’ বলে কোনো শব্দ নেই। তবে আমার খুব শখ ‘পরশ্রীকাতরের’ বিপরীত শব্দ হিসেবে বাংলা ডিকশনারিতে ‘পরশ্রীপুলক’ বা এ ধরনের কোনো একটা শব্দ যেন জায়গা করে নেয়! বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে পরশ্রীকাতর শব্দটি নিয়ে অনেক দুঃখ করেছেন।
লিখেছেন, ‘পরের শ্রী দেখে যে কাতর হয় তাকে ‘পরশ্রীকাতর’ বলে। ঈর্ষা, দ্বেষ সব ভাষায়ই পাবেন, সব জাতির মধ্যেই কিছু কিছু আছে, কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয় না। এজন্যই বাঙালি জাতির সব ধরনের গুণ থাকা সত্ত্বেও জীবনভর অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। ... ’এর চেয়ে বড় সত্যি কথা আর কী হতে পারে?
তবে আমি হঠাৎ করে পরশ্রীকাতরতা শব্দটি নিয়ে কেন কাতর হয়েছি সেটি একটুখানি ব্যাখ্যা করি। কিছুদিন আগে সংবাদপত্র পড়তে পড়তে হঠাৎ করে ছোট একটা খবর আমার চোখে পড়ল। খবরটি হচ্ছে আইএমএফ ভবিষ্যৎবাণী করেছে সামনের বছর বাংলাদেশের জিডিপি ভারতের জিডিপিকে অতিক্রম করে যাবে। খবরটি দেখে আমি অবশ্যই একটুখানি মুচকি হেসেছি। তবে আমার যে সমস্ত সীমাবদ্ধতা আছে তার একটি হচ্ছে অর্থনীতি বোঝার অক্ষমতা, তাই খবরটির কোনো গুরুত্ব আছে কিনা বুঝতে পারলাম না। অনুমান করলাম আমাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে, খবরটি অন্যান্য পত্র-পত্রিকা কীভাবে প্রকাশ করে সেটি দেখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা যদি বিষয়টি বিশ্লেষণ করে লেখা-লেখি করেন তাহলে আমি হয়তো গুরুত্বটা খানিকটা অনুমান করতে পারব।
আমি কয়েকদিন খবরের কাগজের দিকে চোখ রাখলাম, দেখলাম সেটা অন্যান্য সংবাদপত্র তেমনভাবে প্রচার করলো না। আমি সব পত্রপত্রিকা পড়ি না, টেলিভিশন দেখি না, তাই যারা দেশের খবরা-খবর রাখেন তাদের জিজ্ঞেস করলাম, তারাও সেভাবে জানেন না, কয়েকজন আমার কাছ থেকেই প্রথম শুনল। আমি নীতিগতভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কী লেখা-লেখি হচ্ছে সেটা জানার চেষ্টা করি না, সেখানে কী হচ্ছে সেটা জানার আমার কোনো কৌতূহল হয়নি। এ সময়ে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠনের একজন অর্থনীতিবিদ শেষ পর্যন্ত খবরটা বিশ্লেষণ করে একটা প্রতিবেদন লিখলেন। সেই প্রতিবেদন পড়ে বুঝতে পারলাম খবরটার আসলে তেমন কোনো গুরুত্ব নেই।
আইএমএফের ভবিষ্যৎবাণী অনুমান নির্ভর, অনুমান উনিশ-বিশ হলেই সবকিছু ওল্ট পাল্ট হয়ে যায়, যার অনেক জল-জ্যান্ত উদাহরণ আছে। শুধু তাই নয় এ বিষয় তুলনা করতে হলে ক্রয় ক্ষমতা দিয়ে তুলনা করতে হয়। সেভাবে তুলনা করলে বাংলাদেশ-ভারত থেকে যথেষ্ট পিছিয়ে থাকবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আরো বড় বড় সমস্যা আছে তাই আইএমএফের এ ধরনের ভবিষ্যৎবাণী দেখে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। পানির মতো সহজ করে সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমিও সবকিছু বুঝে ফেললাম এবং ব্যাপারটা ভুলে গেলাম।
তবে একেবারে পুরোপুরি ভুলতে পারলাম না, কারণ করোনা ভাইরাসের (কোভিড) কারণে যেহেতু মানুষেরা একে অন্যের সঙ্গে দেখা করতে পারে না তাই সবার ভেতরে একটা নূতন কালচার শুরু হয়েছে। সেটা হচ্ছে একে অন্যের কাছে 'লিঙ্ক' পাঠানো। যখনই কারো একটা তথ্য, ছবি, গান কিংবা রসিকতা পছন্দ হয় একে অন্যের কাছে সেটা পাঠিয়ে দেয়। সেভাবে হঠাৎ করে আমি একাধিক প্রতিবেদন দেখতে পেলাম। সেগুলো ভারতের সাংবাদিকদের, যারা পাঠিয়েছেন তারা জানালো এগুলো ভারতের বিখ্যাত সাংবাদিকদের প্রতিবেদন। আমি এক ধরনের বিস্ময় নিয়ে আবিষ্কার করলাম আমাদের দেশের অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা যে তথ্যটিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নন সেই তথ্যটি নিয়ে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ ছোট্ট একটুখানি দেশ। ভারতের ছেলে-মেয়েদের তাদের ভূগোল ক্লাসে যখন ভারতের ম্যাপ আঁকতে হয় তখন বাংলাদেশের ম্যাপটিও পুরোপুরি আঁকতে হয় কারণ ভারত বাংলাদেশকে প্রায় পুরোপুরি ঘিরে রেখেছে। কাজেই আমার ধারণা ছিল ভারতীয় সাংবাদিকদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে কারণ বাংলাদেশের মতো ছোট একটুখানি দেশ অর্থনীতির কোনো একটি সূচকে ভারতকে টেক্কা দিয়ে ফেলবে সেই লজ্জায়। প্রতিবেদনে তারা হয়তো বলবে, হায় হায়! ভারতের একি দুর্দশা এখন আমরা বাংলাদেশের মতো পুঁচকে একটি দেশের কাছে হেরে যাচ্ছি? ছিঃ, ছিঃ ছিঃ!” কিন্তু ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রতিবেদন দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম, অবশ্যই সেখানে নিজ দেশের অর্থনীতির দুর্দশা নিয়ে সরকারের তীব্র সমালোচনা আছে কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি আছে বাংলাদেশের প্রশংসা। সব দেশ যখন হিমশিম খাচ্ছে, অর্থনীতি যখন নিচের দিকে ধাবমান (আহা বেচারা পাকিস্তান!) তখন শুধু বাংলাদেশ বেশ কয়েক বছর থেকে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। যে তথ্যগুলো আমার নিজের দেশের পত্র-পত্রিকা থেকে, আমার নিজের দেশের অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের মুখ থেকে জানার কথা ছিল সেই তথ্যগুলো আমাকে জানতে হল ভারতীয় সাংবাদিকদের থেকে। অমর্ত্য সেনের মুখ থেকে মাঝেমধ্যে জেনেছি আমাদের দেশের সামাজিক নিরাপত্তার সূচকগুলো ভারত থেকে অনেক ভালো। আমি নিজে নানা ধরনের অলিম্পিয়াডে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেমন করছে সেই তথ্যগুলোর দিকে নজর রাখি কিন্তু আমার দেশের পত্র-পত্রিকা, আমার দেশের বিশেষজ্ঞদের মুখ থেকে প্রশংসাসূচক কিছু শুনতে পাই না! ভারতীয় সাংবাদিকদের মুখ থেকে আমি জানতে পারলাম বাংলাদেশ নাকি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রবোট তৈরি করে কোরিয়াতে রপ্তানি করেছে! এই দেশের কতজন এটি জানে? আমি তো জানতাম না!
আমি একবারও দাবি করছি না বাংলাদেশের এখন কোনো সমস্যা নেই, এটি পৃথিবীর মাঝে একটি আদর্শ দেশ হয়ে গেছে। আমি খুব ভালো করে জানি গভীর রাতে গাড়ি করে ঢাকা শহরের রাস্তায় রাস্তায় গেলে দেখা যায় অসংখ্য মানুষ ফুটপাতে ঘুমিয়ে আছে। যে মানুষটি তার স্ত্রী-পুত্র, কন্যা নিয়ে ফুটপাতে ঘুমিয়ে আছে তাকে ঘুম থেকে তুলে যদি বলি, আপনি কী জানেন বাংলাদেশের জিডিপি ভারতের জিডিপিকে অতিক্রম করে যাবে? তাহলে সে কী এই কথাটির অর্থ বুঝতে পারবে? আমি নোয়াখালীতে যে গৃহবধূ স্থানীয় মাস্তানদের হাতে ধর্ষিতা হয়েছে তাকে যদি বলি, 'বাংলাদেশের সবগুলো সামাজিক সূচক ভারত থেকে ভালো'—সেই গৃহবধূ কী তাহলে তার লাঞ্ছনা এবং যন্ত্রণার কথা ভুলে যাবে? যে মায়ের সন্তানকে পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলেছে তাকে যদি বলি, 'আপনি মন খারাপ করবেন না, আমাদের ফরেন কারেন্সি রিজার্ভ আকাশছোঁয়া—' তিনি কি কোনো শান্তনা পাবেন? পাবেন না।
আমাদের দেশের সব মানুষের মত আমিও এই দেশের বুকে যে রক্তক্ষরণ হয় তার কথাগুলো জানি। সেই রক্তক্ষরণ বন্ধ করার জন্য যে সংগ্রাম করে যেতে হবে সেটিতে দেশের সব মানুষ অবশ্যই অংশ নেবে, অন্যায় অবিচার কিংবা বিচারহীনতার বিরুদ্ধে যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে যাবে। যতদিন হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হবে কেউ যে থেমে যাবে না, সেটাও জানি।
কিন্তু যদি দেশ নিয়ে একটুখানি ভালো কথা, একটুখানি আশার কথা, স্বপ্নের কথা বলার সুযোগ থাকে তাহলে কেন আমরা সেটি বলবো না? ভারতীয় সাংবাদিকরা যদি একটা বিষয় নিয়ে প্রশংসা করতে পারে তাহলে আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা কেন একটুখানি প্রশংসা করতে পারে না? বিষয়টি নিয়ে যখন আমি চিন্তা করি তখন আমার বঙ্গবন্ধুর সেই কথাটি মনে পড়ে, '... বাঙালিদের মাঝে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই, ভাইয়ের উন্নতি দেখলে খুশি হয় না ...' এটিই কি কারণ? পরশ্রীকাতরতা কি আসলেই আমাদের রক্তের ভেতর ঢুকে গেছে? আত্মতুষ্টি হয়ে যাবে সেই ভয়ে আমরা নিজেদের প্রশংসা করতে পারব না? আমার ছাত্র-ছাত্রীরা যখন আমেরিকা জাপানকে হারিয়ে সারা পৃথিবীর মাঝে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় কিংবা অলিম্পিয়াডে সোনার মেডেল পেয়ে যায়, তখনও আত্মতুষ্টি হতে পারবে না? অতি অল্পে আমি খুশি হই, কারনে অকারণে আমার আত্মতুষ্টি হয়, তাহলে আমি কি সারাটা জীবন ভুল ভাবে বেঁচে থাকলাম? নিজের তো কখনো তা মনে হয়নি, আমার মত আনন্দে কতজন বেঁচে আছে?
যারা জীবনেও অন্য কারো প্রশংসা করেনি তারা কি জানে প্রশংসা শুনতে যত আনন্দ হয় তার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ হয় প্রশংসা করতে? আমার কথা বিশ্বাস না হলে বলব একবার চেষ্টা করে দেখতে। শুধু মনে রাখতে হবে তোষামোদ আর প্রশংসার মাঝে কিন্তু অনেক পার্থক্য। তোষামোদ দেখতে দেখতে এবং শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছি, আমরা এখন সত্যিকারের প্রশংসা শুনতে চাই! ছোট বাচ্চাদের দিয়েই শুরু করা যায়, ভাত খেয়ে ছোট শিশুটি তার মা’কে বলবে, আম্মু কী মজা হয়েছে তোমার রান্না! একেবারে ফাটাফাটি!, কিংবা বন্ধুকে বলবে, তোকে দেখতে আজকে কি স্মার্ট লাগছে! কিংবা রিকশাওয়ালাকে বলবে, আপনার গায়ে কী জোর! একেবারে গুলির মত নিয়ে যাচ্ছেন রিকশাটাকে! এই কালচার তো খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়।
তবে আইএমএফের ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞদের মতামত দেখে আমার যেটুকু মন খারাপ হয়েছিল একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলামের প্রতিবেদন, 'উন্নয়নেও ভারতকে টপকে যাবে বাংলাদেশ, যদি দুর্নীতির লাগাম থাকে' পড়ে, অনেকখানি কেটে গেছে! শিরোনামটি অনেক বড় এবং এই শিরোনামটিতেই তার মনের কথা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন। ড. মইনুল ইসলাম আমার খুব পছন্দের মানুষ, গত নির্বাচনের পর তিনি হচ্ছেন আমার দেখা একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মানুষ যিনি খুব খোলা-মেলাভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কঠিন সমালোচনা করেছিলেন, সত্যি কথা বলতে এতটুকু দ্বিধা করেননি। তাই আইএমএফের ভবিষ্যৎবাণী নিয়েও সত্যি কথা বলতে দ্বিধা করেননি। যেটুকু নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কথা সেটা যেরকম বলেছেন ঠিক সে রকমভাবে যেটুকু নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে সেটাও বলেছেন। তার লেখাটা পড়ে আমরা উৎসাহ পেয়েছি ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হতে পেরেছি। অন্য বিশেষজ্ঞের বিশ্লেষণের মতো হতাশ হইনি। একই বিষয় নিয়ে দুইজন বিশেষজ্ঞ কথা বলেছেন একজন সঠিক বলেছেন অন্যজন ভুল বলেছেন সেটা তো হতে পারে না, দুজনেই নিশ্চয়ই তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সঠিক। তাই যদি সত্যি হয় তাহলে কেন আমরা পরশ্রীকাতর হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেব? পরশ্রীপুলকিত হতে সমস্যা কোথায়?
কোনো কোনো খবর পড়তে আমাদের আনন্দ হয়, তার মানে এই নয় যে আমরা ঘোর অবাস্তব একটা আশাবাদে মগ্ন হয়ে উল্লসিত হয়ে থাকবো। ভারতের সাথে আমাদের পার্থক্যগুলোর কথা আমি পুরোপুরি জানি। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এখন ভয়াবহ অবস্থা—শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এত বড় অন্যায় আসলে মেনে নেওয়া যায় না। শুধুমাত্র সত্যিকারের শিক্ষাবিদদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের পরের ধাপ গুলোতে হাত দেওয়া যাবে। যতদিন সেটি না হচ্ছে ততদিন কোন কিছু আশা করে লাভ নেই। যেখানে রাজনীতি করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হওয়ার প্রথম এবং প্রধান যোগ্যতা সেখানে শুধু শুধু র্যাংকিং নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। শুধুমাত্র আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকে নিজের উদ্যোগে লেখাপড়া করে বলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিকে আছে। এক-দুইজন শিক্ষক সবার হাসি এবং কৌতুকের পাত্র হয়ে স্রোতের উজানে গিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন, পত্র-পত্রিকায় কলাম এবং টেলিভিশনের টকশো না করে ‘নেচার’-এ পেপার ছাপিয়ে ফেলেছেন, তাদের দেখে আমরা আশায় বুক বেঁধে থাকি।
ভারতের মানুষদের দুই-একজন খাঁটি গবেষক আর ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের উদ্যোগের উপর ভরসা করে থাকতে হয় না, তাদের দেশে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্বমানের লেখাপড়া হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং গবেষণা কেন্দ্রে বিশ্বমানের গবেষণা হয়। আমি তাদের দেখি এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলি!
আমি হিংসা এবং ঈর্ষায় নীল হয়ে যাই যখন দেখি হলিউডে একটা সিনেমা বানাতে যত টাকা খরচ হয় তার থেকে কম খরচে ভারত মহাকাশে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে। তাদের গবেষকরা করোনার জন্য পিসিআর টেস্টের কাছাকাছি নিখুঁত একটি কাগজ নির্ভর প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছে। তার নাম দিয়েছে সত্যজিৎ রায়ের বইয়ের চরিত্র অবলম্বনে 'ফেলুদা' যার অর্থ গবেষকেরা নিশ্চয়ই বাঙালি! আমাদের দেশের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যখন একেবারে নিজস্ব এন্টিবডি এবং এন্টিজেন টেস্ট বের করেছে তখন তাদের কোনও উৎসাহ দেওয়া হয়নি, কাজ-কর্ম দেখে মনে হয় সরকারের কাছে ডক্টর জাফরুল্লাহর রাজনৈতিক পরিচয়টাই ছিল একমাত্র পরিচয়। হতে পারে সেটি পুরোপুরি মানসম্মত হয়নি কিন্তু নিজের দেশের একটি উদ্ভাবনীকে উৎসাহ দিলে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হতো?
আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে আমার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। আমি জানি তাদেরকে একটুখানি সুযোগ দেওয়া হলে কত অসাধ্য সাধন করে ফেলে। যদি জিডিপিতে ভারত থেকে অনেক পিছিয়ে থেকেও বিজ্ঞান গবেষণায় আমরা আরো একটুখানি এগিয়ে যেতে পারতাম তাহলে আমার আনন্দের সীমা পরিসীমা থাকত না।
যে বিষয়টি আমাদের নাগালের বাইরে সেখানে পৌঁছাতে না পারলে দুঃখ হয় না কিন্তু যেটি একেবারে নাগালের ভেতরে, হাত বাড়ালেই স্পর্শ করতে পারব সেরকম কিছু একটা যখন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় তখন অনেক দুঃখ হয়, অনেক কষ্ট হয়।
লেখক: শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/open-views/178398/‘পরশ্রীপুলক’
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ফ্রান্সের নিস শহরে ছুরি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন, আহত আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার শহরটির নটরডেম বাসিলিকা চার্চে এক যুবক ধারাল ছুরি নিয়ে হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহতদের মধ্যে একজনকে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ এটিকে ‘ইসলামি সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
জানা গেছে, হামলাকারী পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম ব্রাহিম আসোউই। ২১ বছর বয়সী এ যুবক কিছুদিন আগে তিউনিসিয়া থেকে ফ্রান্সে পৌঁছেছিলেন।
ব্রাহিমের কাছে ইতালীয় রেড ক্রসের কিছু কাগজপত্র ছিল। গত মাসে একটি অভিবাসী নৌকায় ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছানোর পর সেগুলো ইস্যু করা হয়েছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, হামলার সময় ওই যুবক বারবার আল্লাহু আকবার বলছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই তাকে গুলি করে পুলিশ।
ফরাসি সন্ত্রাসবিরোধী প্রধান কৌঁসুলী জ্য-ফ্র্যাঙ্কয়ে রিকার্ড জানিয়েছেন, হামলাকারীর কাছ থেকে একটি কোরআন শরীফ, দু’টি ফোন ও ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা একটি ধারাল ছুরি পাওয়া গেছে।
তিনি বলেছেন, হামলাকারীর ফেলে যাওয়া একটি ব্যাগও পেয়েছি আমরা। ব্যাগের পাশে আরও দু’টি ছুরি ছিল। সেগুলো হামলায় ব্যবহৃত হয়নি।
এদিকে, নিস পরিদর্শন শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জানিযেছেন, চার্চ-স্কুলের মতো স্থানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরাপত্তা সদস্যের সংখ্যা তিন হাজার থেকে বাড়িযে সাত হাজার করা হয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিতে উত্তর-পশ্চিম প্যারিসের একটি স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক স্যামিয়েল প্যাটি তার ক্লাসে মহানবী (স)-এর ব্যঙ্গচিত্র দেখান। এর জেরে তাকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন এক মুসলিম যুবক। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
এ ঘটনার পর ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, মুসলিমদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও তার দেশ মহানবী (স)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। পরে দেশটির দু’টি সরকারি ভবনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় করে সেই বিতর্কিত ছবি দেখানো হয়।
এরপরই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুসলিম বিশ্বে। প্রিয়নবীকে অপমানের জবাবে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। দেশে দেশ ছড়িয়ে পড়ে ফ্রান্স বয়কটের ডাক। এমনকি, ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে অনেক জায়গায়।
পিপি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/abroad/178397/ফ্রান্সের-চার্চে-হামলাকারীর-পরিচয়-কী?
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে মসজিদে-মসজিদে এবং নিজ-নিজ বাসায় কোরআন খতম ও জিকির আজগারের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিন ও তাঁর প্রিয় হাবিব মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিশেষ রহমত কামনা করেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পৃথক বাণীতে তারা দেশবাসীসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়াও দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ সরকারী-বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্যোগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর ওপর পক্ষকালব্যাপী আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই পালন করা শুরু হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ দেশে সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি ভবন আজ সন্ধ্যা থেকেই আলোক-সজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পক্ষকালব্যাপি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ১৪০০ বছর আগে এই দিনে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। আবার ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস হিজরি সালের ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন করা হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/religion/178396/পবিত্র-ঈদে-মিলাদুন্নবী-(সা.)-আজ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD