নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আজো সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে থাকায় সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীতে সকাল থেকেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীতে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে আকাশ বেশিরভাগ সময় মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে টানা তিন দিনের বর্ষণে বরগুনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজির। এর আগে গত কয়েক মাসে ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় সবজি উৎপাদন কমেছে। কৃষকরা আশায় ছিলেন, রোদ ঝলমলে আবহাওয়া পেলেই মাঠ থেকে আগাম সবজি তুলে আয় করা যাবে। কিন্তু সে আশা ভেঙে গেল এই নিম্নচাপে।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/177800/আজো-থেমে-থেমে-বৃষ্টির-সম্ভাবনা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি বৃশ্চিক রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ সেনাপতি মঙ্গল, প্রেমের দেবতা শুক্রাচার্য ও পরিবর্তনশীল গ্রহ চন্দ্রের প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে বৃষরাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। অত্যাবশ্যক বিবাহে কোনো না কোনো বাধা এসে হাজির হবে। বাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে।
মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]
বিবাহযোগ্যদের বিবাহ প্রেমিকযুগলের প্রেমের স্বীকৃতি এমনকি পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। কর্মের সুনাম যশ পদোন্নতির পথ সুগম করবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র, বস্ত্রালঙ্কার ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর পসরা সাজবে।
শিক্ষার্থীদের জন্য নিত্যনতুন সুযোগ এসে হাজির হবে। হারানো পিতৃমাতৃ ধনসম্পদ সম্পত্তি ব্যবসা ফিরে পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। কর্মের সুনাম যশ পদোন্নতির পথ সুগম করবে। বিদেশগমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দুটোই সমানতালে শুভফল প্রদান করবে।
কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]
শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি তীক্ষè নজর রাখা সমীচীন হবে। দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভিড়ভাড় তীব্রগতির বাহন বর্জন করুন। ব্যবসা-বাণিজ্যে মজুদ মালের দাম বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি করে ঘরে তোলা কঠিন হবে।
সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]
যে কাজে হাত দেবেন তাতেই কমবেশি সফলতাপ্রাপ্ত হবেন। দূর থেকে আসা কোনো সংবাদ বেকার যুবক-যুবতীদের মুখে হাসি ফোটাবে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহকার্য সুসম্পন্ন হবে। সন্তানদের আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে।
কন্যা [২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]
দুর্যোগের মেঘ সরে গিয়ে সুদিনের সূর্য উদিত হবে। কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় কোনো অর্ডার হাতে আসায় বস আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে থাকবে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে। মন সুর সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।
তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]
দীর্ঘদিনের দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহবিবাদের মীমাংসা হবে। অপরিচিত কাউকে আশ্রয় দেওয়া ও আশ্রয় নেওয়া নির্বুদ্ধিতার পরিচয় হবে। শত্রু ও বিরোধী পক্ষের সব পরিকল্পনা নস্যাৎ করে আপনি দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবেন।
বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]
গৃহবাড়িতে কোনো না কোনো মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হওয়ায় সাজ সাজ রবরব করবে। ভাইবোনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতা স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হবে। প্রেমিকযুগলের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শত্রু ও বিরোধী পক্ষ লেজ গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]
পাওনা টাকা আদায়, আটকে থাকা বিল পাস হওয়ায় শূন্য পকেট পূর্ণ হয়ে উঠবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মজুদ মালের দাম অধিক বৃদ্ধি পাবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। প্রেম বন্ধুত্ব শুভ।
মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]
টাকা-পয়সা হাতে আসতে আসতে মাঝপথে আটকে যাওয়ায় দিনের শেষে তারল্য সংকটে পড়তে হবে। পরিবারের কোনো সদস্যের শারীরিক অসুস্থতা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র সমান হবে। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ না করাই ভালো।
কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]
কর্ম ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বাড়তি দায়িত্বভার বর্তাতে পারে। বিদেশগমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ অচিরেই প্রশস্ত হবে। মামলা-মোকদ্দমা ও কোর্ট কেসের রায় পক্ষে আসবে। শ্রমিক কর্মচারীদের প্রতি তীক্ষè নজর রাখা সমীচীন হবে।
মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]
দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নসাধ পূরণের পথ প্রশস্ত হবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র, বস্ত্রালঙ্কার ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর পসরা সাজবে। কর্মের সুনাম যশ পদোন্নতির পথ সুগম করবে। বিবাহযোগ্যদের কথাবার্তা পাকাপাকি হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/feature/177798/আজকের-রাশিফল
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
খ্যাতিমান আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক চলে গেলেন। শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) থেকে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। গত শনিবার তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনো আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)।
২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারতেন না।
যার কারণে বয়োবৃদ্ধ খ্যাতিমান এ মানুষটির বিছানায় শুয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে গত দুই বছরে। চলাফেরা করতে হুইল চেয়ার আর কর্মচারীরাই ছিল তার সঙ্গী।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/177797/চলে-গেলেন-ব্যারিস্টার-রফিক-উল-হক
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
খ্যাতিমান আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক চলে গেলেন।শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। গত শনিবার তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনো আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)।
২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না।
বয়োবৃদ্ধ খ্যাতিমান এ মানুষটির বিছানায় শুয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে। চলাফেরা করতে হুইল চেয়ার আর কর্মচারীরাই তার সঙ্গী।
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/177797/চলে-গেলেন--ব্যারিস্টার-রফিক-উল-হক
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
শুরু হয়েছে দুর্গাপূজা। আজ (শনিবার, ২৪ অক্টোবর) মহাষ্টমী। শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিন। এবার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে রাজধানী ঢাকায় কোনো মণ্ডপে কুমারীপূজা উদযাপন করা হচ্ছে না। তবে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জায়গায় কুমারীপূজা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত।
এদিকে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছরের মহাষ্টমীর সকালটা অন্যরকম৷ আকাশে জমেছে কালো মেঘ৷ সকাল থেকেই বৃষ্টি৷ ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় দেবীর ঘুম ভাঙানোর বন্দনায় বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধে খড়গ-কৃপাণ, চক্র-গদা, তীর-ধনুক আর ত্রিশুল হাতে হাজারো মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তবে করোনা সংকটে এই প্রথম দুর্গাপূজায় থাকছে না কোনো উৎসবের আমেজ। ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী শাস্ত্রিয় পূজা ছাড়া সব আনুষ্ঠানকতা বন্ধ করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি।
শুক্রবার সকাল থেকে মহাসপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দেবী দুর্গার প্রতিবিম্ব আয়নায় ফেলে বিশেষ ধর্মীয় রীতিতে স্নান সেরে, বস্ত্র ও নানা উপাচারে সজ্জিত করা হয়। এরপর ত্রিনয়না দেবীর তৃতীয় চক্ষুদান করা হয়। নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন শেষে দেবীর মহাসপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পূজার প্রথম অঞ্জলি দেয়া হয়।
উপোস থেকে মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিয়ে দিন শুরু করেন ভক্তরা। অঞ্জলি দিতে দেবী দুর্গার সামনে ফুল-বেলপাতা দুই হাতের মুঠোয় আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়েছিলেন অনেক ভক্ত। এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবে মহাসপ্তমীর দিনে প্রথম অঞ্জলি দেয়া হয়।
অষ্টমীর দিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করবে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল। একই সময়ে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির নামের ফেইসবুক পেজ থেকে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বাড়িতে বসেই এবার ভক্তদের মায়ের চরণে অঞ্জলি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে।
আজ সকাল ৫টা ১৬ মিনিটের মধ্যে দুর্গা দেবীর মহাষ্টম্যাদিবিহিত পূজা প্রশস্তা ও মহাষ্টমীর ব্রতবাস শুরু হয়। সকাল ৬টা ৩৫ থেকে ৭টা ২৩ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা। মহাষ্টমীর মূল আকর্ষণ ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ অন্যান্য স্থানে এবার কুমারীপূজা হবে না।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি গণমাধ্যমকে বলেন, অষ্টমী ও নবমী পূজার দিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করবে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল। একই সময়ে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির নামের ফেইসবুক পেজ থেকে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এ বছর ঢাকায় কোনো মণ্ডপে কুমারীপূজা উদযাপন করা হচ্ছে না। তবে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জায়গায় কুমারীপূজা হতে পারে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) বোধনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার ঢাকে পড়ে কাঠি। দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনাপূজার মধ্য দিয়ে দেবীর বোধন হয়। বুধবার পঞ্চমী তিথিতে সায়ংকালে অর্থাৎ সন্ধ্যায় এই বন্দনাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছিল দেবীপক্ষের। প্রতি বছর দেবীপক্ষের শুরুর সপ্তাহবাদে দুর্গাপূজা শুরু হলেও ‘মল মাস’ বা ‘অশুভ মাসের’ কারণে এবার দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে মহালয়ার ৩৫ দিন পার করে।
পঞ্জিকা মতে, ২০২০ সালে মা দুর্গার আগমন হচ্ছে দোলায়। দোলায় চড়ে বাপের বাড়ির উদ্দেশে স্বামীর ঘর থেকে রওনা দেবেন তিনি। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, দোলায় আগমন এর অর্থ মড়ক। ফলে পূজার বা তার পরবর্তী সময়েও মহামারির পরিস্থিতি বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মায়ের গমন এবার গজে। অর্থাৎ হাতিতে চড়ে মা বাপের ঘর ছেড়ে পাড়ি দেবেন স্বর্গে। গজে চড়ে গমনের ফল শুভ হয়।
তবে এই বছরের পূজা অন্যান্য বছরের মতো নয়। করোনা আতঙ্কের আবহেই এবার দেবীপক্ষের সূচনা হয়। আর মহামারির দুর্যোগ মাথায় নিয়েই এবার হচ্ছে মাতৃবন্দনা।
এবার সারাদেশে ৩০ হাজার ২২৫টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি। অন্যদিকে ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৩৩টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ২৩৭টি। ঢাকা বিভাগে সাত হাজার ১৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাত হাজার ২৭১টি মন্দিরে। গত বছরের তুলনায় চট্টগ্রাম বিভাগে এবার ৫৫০টি কম মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। এ বিভাগে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হবে তিন হাজার ৯০৬টি।
খুলনা বিভাগে চার হাজার ৬৮৯টি, সিলেট বিভাগে দুই হাজার ৬৪৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ৫৮৪টি, বরিশাল বিভাগে এক হাজার ৭০১টি, রংপুর বিভাগে পাঁচ হাজার ২৫০টি এবং রাজশাহী বিভাগে তিন হাজার ৪৩৫টি মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার পূজার অনুষ্ঠানমালা শুধু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে মন্দির বা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পূজামণ্ডপে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। মণ্ডপ ও ভক্ত পুজারিদের নিরাপত্তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/religion/177796/আজ-মহাষ্টমী,-ঢাকায়-হচ্ছে-না-কুমারীপূজা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
Bluk sms সার্ভিস প্রোভাইডার উত্তরা এর আশে পাশে কারা আছেন অথবা কারা ভাল হতে পারে? আমাদের মাসিক ৫০০-৮০০ এসএমএস পাঠানো লাগে। কি পরি... @ (https://ift.tt/35saxvM) by Khan Sadat Sakib from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
Bluk sms সার্ভিস প্রোভাইডার উত্তরা এর আশে পাশে কারা আছেন অথবা কারা ভাল হতে পারে?
আমাদের মাসিক ৫০০-৮০০ এসএমএস পাঠানো লাগে।
কি পরিমান খরচ পরতে পারে পার এসএমএস?
(Feed generated with FetchRSS) Bluk sms সার্ভিস প্রোভাইডার উত্তরা এর আশে পাশে কারা আছেন অথবা কারা ভাল হতে পারে? আমাদের মাসিক ৫০০-৮০০ এসএমএস পাঠানো লাগে। কি পরি... @ (https://ift.tt/35saxvM) by Khan Sadat Sakib from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
ইদানিং অনেকের পেজে ফেসবুকের এড বুস্ট করার ব্যাপারে রেস্ট্রিকশন এসেছে। এই হার আগের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। শুধু পেজ নয়। ফে... @ (https://ift.tt/3omlQy3) by Abdullah Al Faruque from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
ইদানিং অনেকের পেজে ফেসবুকের এড বুস্ট করার ব্যাপারে রেস্ট্রিকশন এসেছে। এই হার আগের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। শুধু পেজ নয়। ফেসবুক আইডি এবং এড অ্যাকাউন্ট এর উপর ভীষণভাবে চড়াও হয়েছে ফেসবুক। পলিসি ঠিকমত মেনে চলা না হলেই ভেরিফিকেশন করছে, অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ করে দিচ্ছে।
পেজ খুললেই পোস্টের নিচে লেখা দেখা যায় “Boost Unavailable”. আর সেটাতে ক্লিক করলে মেসেস দেখায় “Page Not Allowed to Advertise - You can't create ads or promote your Page because it's restricted from advertising”.
অনেকেই এই অবস্থার জন্য ফেসবুকের এড কুপন কে দুষছেন। আমার নিজস্ব গবেষণা, দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ থেকে বলতে পারি ফেসবুক এড কুপন ব্যবহার করার জন্য এমনটি হচ্ছে না। আর তাই যদি হতো তা হলে যারা কুপন দিয়ে বুস্ট করেছেন তাদের সবার পেজে এই রকম বাধা আসত। আবার অনেকেই যারা কুপন ব্যবহার করেননি তাদের পেজেও কিন্তু ঠিক একই বাধা আসছে। তা হলে এখন প্রশ্ন থেকেই যায় এমনটি হচ্ছে কেন? এর সহজ উত্তর হল ফেসবুকের এড পলিসি মেনে না চলা।
**নিচের এই কারণ গুলোর জন্য এমনটি হচ্ছে বলে আমি মনে করিঃ**
## ১। বার বার এড রিজেক্ট হওয়াঃ
একটা পেজ থেকে যদি ঘন ঘন এড রিজেক্ট হয় তা হলে ফেসবুক সেই পেজ কে এড রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়। এটা আমার নিজস্ব গবেষণা থেকে পেয়েছি। তাই কোন এড রিজেক্ট হলে সেটার কারণ দেখুন এবং সেই অনুযায়ী এড এডিট করে পুনরায় বুস্টে দিন। যদি এডিট করা সম্ভব না হয় তা হলে এড ম্যানেজার থেকে এড টা রিমুভ করে ফেলুন এবং ঐ ধরনের এড পরবর্তীতে বুস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
## ২। পেমেন্ট ডিউ রাখাঃ
অনেকেই পেজের পেমেন্ট ডিউ রাখেন। এই ডিউ পে না করেই আবার অন্য কোন এড অ্যাকাউন্ট থেকে ঐ পেজের এড বুস্ট দেন এবং একই কাজ বার বার করেন। এমতাবস্থায় ফেসবুকের সিস্টেম এটা বুঝতে পারে। বার বার পেমেন্ট ডিউ রাখলে ফেসবুক ঐ পেজকে এডভারটাইজিং রেস্ট্রিক্টেড করে দিতে পারে।
## ৩। এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ হওয়াঃ
কোন পেজের এড বুস্ট করতে গিয়ে যদি বাব বার এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ হয় তা হলে ফেসবুক ঐ পেজ কে এড রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়।
## ৪। ফেক আইডির এডমিনঃ
পেজের মধ্যে যদি একাধিক ফেক আইডি এর এডমিন থাকে এবং ভেরিফাই করার সময় যদি সে গুলো ধরা পড়ে তখন ফেসবুক ঐ পেজ কে এড রেস্ট্রিক্টেড করে দেয়।
## ৫। কপিরাইটেট কন্টেন্ট ব্যবহারঃ
আমরা অনেকে জেনেই হোক অথবা না জেনেই হোক নেট থেকে ইমেজ এবং ভিডিও ডাউনলোড করি এবং অনুমতি ছাড়াই সেগুলো অহরহ ব্যবহার করি। অন্যজনের কপিরাইট করা কন্টেন্ট অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা অন্যায়। সে গুলো দিয়ে বুস্ট করা ঠিক নয়। এ ধরনের কন্টেন্ট ব্যবহার করার জন্য কপিরাইট হোল্ডার যদি ফেসবুকের কাছে রিপোর্ট করে দেয় এবং তদন্ত করার পর যদি প্রমাণিত হয় তা হলে ফেসবুক পেজের ওপর রেস্ট্রিকশন আরোপ করে।
## ৬। Unusual Activity:
ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট এর সঙ্গে যদি পেমেন্ট মেথড এর ঠিকানা না মিলে, বিশেষ করে অন্য দেশ যদি হয়, কার্ড হোল্ডারের নাম এবং অ্যাকাউন্ট এর নাম যদি ম্যাচ না করে, তা হলে এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ করে দেয়। সেই সঙ্গে বুস্টে থাকা ঐ পেজ কে এড রেস্ট্রিক্টেড করে দিতে পারে।
আশা করছি ফেসবুক কেন একটা পেজকে এড রেস্ট্রিক্টেড করে দিচ্ছে তা বুঝতে পেরেছেন। এই সমস্যা থেকে বাচতে হলে ফেসবুকের এড পলিসি মেনে চলুন। নিজেরাই কন্টেন্ট তৈরি করুন। পেজ কোয়ালিটি এবং এড কোয়ালিটি দুটো ভিন্ন জিনিস। পেজ কোয়ালিটি ভাল থাকলেও শুধু ফেসবুকের এড পলিসি ভঙ্গ করার কারণেই আপনার পেজ টা এড রেস্ট্রিক্টেড হতে পারে। তাই এখনই সাবধানে বুস্ট করুন।
(Feed generated with FetchRSS) ইদানিং অনেকের পেজে ফেসবুকের এড বুস্ট করার ব্যাপারে রেস্ট্রিকশন এসেছে। এই হার আগের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। শুধু পেজ নয়। ফে... @ (https://ift.tt/3omlQy3) by Abdullah Al Faruque from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
A post from মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল @ (https://ift.tt/3jlGTNr) by মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
(Feed generated with FetchRSS) A post from মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল @ (https://ift.tt/3jlGTNr) by মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
আসসালামু-ওয়ালাইকুম, গ্রুপে bulk sms / mask sms niye kaj korsen k k? Ei bepare suggest korte parben kara valo service disse? @ (https://ift.tt/3e0Bgn2) by Alfi Shohag from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
আসসালামু-ওয়ালাইকুম,
গ্রুপে bulk sms / mask sms niye kaj korsen k k?
Ei bepare suggest korte parben kara valo service disse?
(Feed generated with FetchRSS) আসসালামু-ওয়ালাইকুম, গ্রুপে bulk sms / mask sms niye kaj korsen k k? Ei bepare suggest korte parben kara valo service disse? @ (https://ift.tt/3e0Bgn2) by Alfi Shohag from the facebook group Women and e-Commerce forum ( WE )
https://ift.tt/2BCEFto e-Commerce Association of Bangladesh (e-CAB) – загальнодоступна група on Facebook
মাগুরার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খবিরের জমানো ছয় মন টাকার কয়েন অবশেষে ব্যাংক জমা নিতে শুরু করেছে। এজন্য মাগুরার মহম্মদপুর সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়।
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্যাংক খবিরের কাছ থেকে তিনহাজার টাকা জমা নিয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন তিনি এক হাজার টাকার কয়েন জমা দিতে পারবেন।
এদিকে খুচরা টাকার কয়েন ব্যাংকে জমা দিতে পেরে খুশি খাইরুল ইসলাম খবির। সম্প্রতি গণমধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর আসে ৬০ হাজার টাকার ছয় মন কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়েন মাগুরার মহম্মপুরের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম খবির।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/34mGx4W
Post Come trough : নাচোল নিউজ
দেশের প্রতি তিন জনে একজন নারী ও প্রতি পাঁচজনে একজন পুরুষ হাড় ক্ষয়রোগের ঝুঁকিতে আছে। পুরুষদের তুলনায় এই রোগে বেশি আক্রান্ত নারীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হয় না বলে একে নীরব ঘাতক বলা হয়। এটি প্রতিরোধে নিয়মতি ব্যায়াম ও সুষম খাদ্যাভাসের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেলের অর্থপেডিক বিভাগ। আঘাত বা জখম থাকায় প্রতিটি রোগীর শরীরেই ব্যান্ডেজ। কিন্তু মাসুদ মিয়াকে দেখতে পুরোপুরি সুস্থ মনে হয়। নেই কোনো ক্ষতের চিহ্ন। তার সমস্যা দুই বছর ধরে হাঁটতে পারেন না তিনি।
চিকিৎসক জানান, হাড় ক্ষয়রোগে আক্রান্ত মাসুদ। অনেক চিকিৎসার পর ফল না পেয়ে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন।
৪০ বছরের পর হাড়ের ক্ষয় বেশি হয়, বাড়েও কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয়রোগ দেহকে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে। মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ে।
পুরুষদের তুলনায় এই রোগে বেশি আক্রান্ত নারীরা। চিকিৎসকরা বলছেন, দৈহিক গঠন ও হরমোনের কারণে তাদের ঝুঁকি বেশি।
হাড়ের প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকা, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে অস্টিওপরোসিস বা হাড় ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/2Hr0z5m
Post Come trough : নাচোল নিউজ
১৫০ বছর আগে টেলিফোন আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী স্যার অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। ১৮৭৬ সালের পর থেকে যোগাযোগব্যবস্থায় বিপ্লব আসে এর হাত ধরে।
গ্রাহাম বেল-ই ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকান টেলিফোন অ্যান্ড টেলিগ্রাফ কোম্পানি, যেটি ‘টিঅ্যান্ডটি’ নামে সমধিক পরিচিত।
গ্রাহাম বেলের মা এবং স্ত্রী দু’জনেই ছিলেন বধির। এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি শ্রবণশক্তি সম্পর্কিত ডিভাইস নিয়ে কাজ করেন। এরই এক পর্যায়ে তিনি টেলিফোন অবিষ্কার করেন।
আমরা রিসিভার তুলেই ‘হ্যালো’ বলে সম্বোধন করি অপরপ্রান্তে থাকা বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী, বন্ধুদের সঙ্গে। এই ‘হ্যালো’ শব্দটি কেন বলি বা এর উৎপত্তি কোথায় বা কখন থেকে কীভাবে হ্যালো বলা শুরু তা হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ‘হ্যালো’ একটি মেয়ের নাম। যার পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো। তিনি ছিলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের মেয়েবন্ধু। গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করে প্রথম যে কথাটি বলেন, তা হলো ‘হ্যালো’। সেই থেকেই হ্যালো শব্দটি বিশ্বজুড়ে টেলিফোন ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় একটি শব্দ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/feature/sci-tech/177719/ফোন-ধরেই-‘হ্যালো’-বলার-কারণ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
সাত দশক পরে পুকুর ছেড়ে মন্দিরে ঢুকে পড়লো ভারতের কেরালার বিশাল আকৃতির একমাত্র ‘নিরামিশাষী’ কুমির বাবিয়া। তবে প্রধান পূজারীর কথায় শেষ পর্যন্ত সে পানিতে ফিরে যায়।
উত্তর কেরালার কাসারগোড় জেলার অনন্তপুরা মন্দিরের পুরোহিতদের বয়ান অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার আচমকা মন্দিরের পুকুর ছেড়ে গুটিগুটি মন্দির ভবনের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল বাবিয়া। এর আগে তাকে কখনো এ কাজ করতে দেখা যায়নি।
তবে চন্দ্রশেখরন নামে এক মন্দিরকর্তা জানিয়েছেন, মন্দিরে প্রবেশ করলেও গর্ভগৃহ পর্যন্ত পৌঁছায়নি অতিকায় কুমিরটি। কিছুক্ষণ মন্দির চত্বরে কাটানোর পরে প্রধান পুরোহিত চন্দ্রপ্রকাশ নাম্বিসানের আদেশে সে ফের তার বাসস্থান পুকুরে ফিরে যায়।
স্থানীয়দের মতে, প্রায় সত্তর বছর যাবৎ মন্দির সংলগ্ন পুকুরে বসবাস করছে বাবিয়া। কীভাবে সে এখানে এসেছিল, তা নিয়ে নানান মত রয়েছে। তবে অধিকাংশের দাবি, সার্কাস সংস্থার লদস্যরাই কখনো মন্দিরের পুকুরে কুমিরছানা ছেড়ে গিয়েছিলেন।
মনে রাখা দরকার, সত্তর-আশি বছর আগে কেরালার সার্কাস দলের যথেষ্ট রমরমা ছিল এবং সেই সময় পশু নিয়ে খেলা দেখানোর উপরে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি না থাকায় প্রতিটি সার্কাস সংস্থাতেই একাধিক পশু-পাখি মজুত থাকতো।
মন্দিরের পূজারীরা জানিয়েছেন, আজীবন নিরামিশাষী বাবিয়া ভক্তদের আনা প্রসাদ খেয়েই পেট ভরায়। সে কখনো আমিষ খাদ্য গ্রহণ করেনি। এ ছাড়া পুরোহিতরা দু’বেলা তাকে ভাতের দলা এবং মুড়ি-কলা খাওয়ান। প্রধান পুরোহিত তার মুখের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে খাবার দিলেও কখনো দাঁত বসানোর চেষ্টা করেনি বিশালাকার এই সরীসৃপ। অন্য কাউকেও কখনো সে তাড়া বা আক্রমণ করেনি।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা অবশ্য জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলে এই প্রজাতির কুমির প্রবল মাংসাষী হয়। তাদের প্রধান খাদ্য মাছ, ইঁদুর, ভোঁদড় এবং সাপ। সুযোগ পেলে বড় পশুদেরও তারা আক্রমণ করে।
অনমন্তপুরা গ্রামের এই মন্দিরের অধিষ্ঠিত বিগ্রহ পদ্মনাভস্বামী, যিনি বিষ্ণুর এক অবতার। বিষ্ণুর বাহন হিসবেই তাই বাবিয়াকে্রদ্ধা করেন স্থানীয় ভক্তবৃন্দ। তবে খাওয়ার সময় ছাড়া তাকে কেউই পুকুর থেকে কখনো উঠে আসতে দেখেনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/abroad/177718/মন্দিরে-ঢুকলো-কুমির,-পুরোহিতের-ধমকে-ফিরলো-পুকুরে
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সিটি সেন্টার মলের একটি দোকানে আগুন লাগে। এরপর তা মলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে রাত ২টা ৪০ মিনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার সকালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/abroad/177717/মুম্বাইয়ে-শপিংমলে-ভয়াবহ-আগুন,-সরানো-হয়েছে-সাড়ে-৩-হাজার-মানুষকে
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ভারী বর্ষণ-জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নদী বন্দরের মধ্যে কিছু এলাকায় ২ এবং কিছু এলাকায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাছাড়া এর প্রভাবে উপকূল, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল আছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হলে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। তবে আমরা এখনও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছি না। এটি গভীর নিম্নচাপ আকারেই বাংলাদেশের উপকূলে উঠে আসবে বলে আশঙ্কা করছি। এতে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ফলে সমুদ্র বন্দরে ও নদী বন্দরে হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’
পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ থেকে বিদায় নিয়েছে। অন্য অংশ থেকে বিদায় নেওয়ার পথে। কিন্তু গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টির সতর্কতায় বলা হয়, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী, অর্থাৎ ৪০ থেকে ৮৮ মিলিমিটার থেকে অতি ভারী, অর্থাৎ ৮৯ মিলিমিটারের চেয়েও বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
এদিকে সতর্কবার্তায় বলা হয়, নিম্নচাপটি গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, শুক্রবার সকালে তা আছে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন আছে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ একটানা ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল। এ কারণে দেশের চার সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে গভীর সাগরে বিচরণ করতে না করা হয়েছে।
এদিকে আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত নদী বন্দরগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, মাদারিপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ককক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্য এলাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বরিশাল বিভাগের খেপুপাড়ায় ২৭৯ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে মাদারিপুরে ৫১, ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে নেত্রকোনায় ৪৭, চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে হাতিয়ায় ১৫৭, সিলেটে ৯৪, রাজশাহী বিভাগের মধ্যে ঈশ্বরদিতে ৩৬, রংপুর বিভাগের মধ্যে ১৬ এবং খুলনা বিভাগের মধ্যে মোংলায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জেআর
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/national/177715/সাগরে-গভীর-নিম্নচাপ,-ভারী-বর্ষণ-জলোচ্ছ্বাসের-সতর্কতা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ইমরানের সঙ্গে ছবির প্রস্তাব পেতেই সাফ না ঐশ্বরিয়ার, কারণ ‘চুমু’
বিনোদন ডেস্ক
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে একাধিক স্টাররা জুটি বেঁধে অভিনয় করলেও, তার কেরিয়ার গ্রাফে রয়েছে একাধিক তারকারদের তালিকা, যারা হট ডিভার হট লিস্ট থেকে পড়েছিলেন বাদ। যার মধ্যে অন্যতম নাম ইমরান হাশমি।
ঐশ্বরিয়ার ঝুলিতে দিন দিন ছবির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেন, ভক্তমহলে চাহিদা কমছে অভিনেত্রীর, নাকি তিনিই বড্ড বেছে বেছেই ছবির গ্রহণ করছেন! এক্ষেত্রে দ্বিতীয়টাই সঠিক। ঐশ্বরিয়া এখন ছবি পেলেই তা করতে নারাজ। সব দিক বিবেচনা করেই তবেই একটি ছবি সই করে থাকেন তিনি।
তবে শর্তের তালিকাতে কি রয়েছে চুমুর দৃশ্যও! ইমরান হাসমির সঙ্গে ছবি বাদশাহর প্রস্তাব যখন হাতে পেয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া, সাফ না বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন, সেই প্রশ্নের সাফ উত্তর না মিললেও বেশ খানিকটা আঁচ করা যায়। কারণ ইমরান হাশমির সঙ্গে তার সম্পর্কটা মোটেও সরল নয়।
অন্তরঙ্গ দৃশ্যে শ্যুট করতে যে তেমন কোনো সমস্যা নেই ঐশ্বরিয়া তা প্রমাণ করেছিল অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল ছবিটি। তবে কারণ হলো অতীত।
ইমরান হাশমি ঐশ্বরিয়াকে একবার প্লাস্টিকের তকমা দেয়। সেখান থেকেই বিবাদ শুরু। ইমরান ছাড়াও অনেকেই ঐশ্বরিয়ার রূপ ও বুদ্ধি নিয়ে তোপ দেগেছেন একাধিকবার। কিন্তু সেই দিকে না তাকিয়ে ঐশ্বরিয়া নিজের মত করেই সবটা গুছিয়ে নিয়েছে। আর সেই সব তারকাদের রেখে দিয়েছেন বাতিলের খাতায়।
ফলে স্পষ্টই বোঝা যায় যে ইমরানের বিপরীতে ঐশ্বরিয়াকে কোনো দিনই দেখা যাবে না। যদিও ভবিষ্যতে সম্পর্কের মধ্যে থাকা উষ্ণতার পারদ যদি নামে, তবে ঘটতেই পারে মিরাকেল।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/entertainment/177716/ইমরানের-সঙ্গে-ছবির-প্রস্তাব-পেতেই-সাফ-না-ঐশ্বরিয়ার,-কারণ-‘চুমু’
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দাপটে জিতলো সানরাইডার্স হায়দরাবাদ। ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় এল ৮ উইকেটে, ১১ বল বাকি থাকতে। রান তাড়া করে এবারের আইপিএলে এটাই কমলা জার্সিধারীদের প্রথম জয়।
জয়ের নায়ক মানিশ পাণ্ডে ও বিজয় শঙ্কর। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দু’জনে ১৫.৩ ওভারে যোগ করলেন ১৪০ রান। তৃতীয় ওভারে জুটি বেঁধেছিলেন দু’জনে। ১৮.১ ওভারে দলকে জিতিয়ে ফিরলেন মণীশ-বিজয়। ১৭৬.৫৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৭ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকলেন মণীশ। মারলেন ৪টি চার ও ৮টি ছয়। বিজয় ৫১ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকলেন। জয়সূচক স্ট্রোক এল তাঁর ব্যাটে। জেতার সঙ্গে সঙ্গে বিজয় ওই শটে পৌঁছলেন পঞ্চাশেও। তার ইনিংসে থাকল ৬টি চার।
রান তাড়ার শুরুটা ভাল হয়নি হায়দরাবাদের। জোফ্রা আর্চারের দাপটে ৩ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল তারা। ১৬ রানের মধ্যে ফিরে গিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার (৪ বলে ৪) ও জনি বেয়ারস্টো (৭ বলে ১০)। আর্চারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। আর বেয়ারস্টো হয়েছিলেন বোল্ড। কিন্তু আর উইকেট পড়েনি।
সেই ধাক্কা সামলে হায়দরাবাদকে টানলেন মানিশ পাণ্ডে ও বিজয় শঙ্কর। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দু’জনে প্রায় দেড়শো রান যোগ করে ফেললেন। তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনে নামা মানিশ। তার হাফ সেঞ্চুরি এল ২৮ বলে, ৩টি চার ও ৫টি ছয়ের সাহায্যে। আইপিএলে যা তার কেরিয়ারের ১৮তম পঞ্চাশ। আর বিজয় ধীরে শুরু করে ক্রমশ খুললেন হাত।
তার আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সাঞ্জু স্যামসন করেছিলেন ৩৬। বৃহস্পতিবার এবারের আইপিএলে প্রথম বার নামা জেসন হোল্ডারই সানরাইডার্স হায়দরাবাদের সফলতম বোলার। ৪ ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারের পর রাজস্থানের রান ছিল ১ উইকেটে ৪৭। ফিরে গিয়েছিলেন রবিন উথাপ্পা (১৩ বলে ১৯)। সেটাই ১০ ওভারের শেষে দাঁড়িয়েছিল ১ উইকেটে ৭৪। কিন্তু, ৮৬ রানে দুই সেট ব্যাটসম্যান সাঞ্জু স্যামসন (২৬ বলে ৩৬) ও বেন স্টোকসকে (৩২ বলে ৩০) হারায় রাজস্থান। জোস বাটলারও (১২ বলে ৯) বেশি ক্ষণ থাকেননি।
অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (১৫ বলে ১৯) ও রিয়ান পরাগ (১২ বলে ২০) ১৮তম ওভারে জেসন হোল্ডারের পর পর বলে ফেরায় জোর ধাক্কা খেয়েছিল রাজস্থান ইনিংস। ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ১৩৫ রানে। সেখান থেকে জোফ্রা আর্চার (৭ বলে অপরাজিত ১৬) দেড়শোর ওপারে পৌঁছে দিয়েছিলেন হায়দরাবাদকে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে এ দিন দুটো পরিবর্তন হয়েছিল। আহত কেন উইলিয়ামসনের জায়গায় দলে এসেছিলেন জেসন হোল্ডার। আর সেই সুযোগ কাজে লাগান হোল্ডার। বাসিল থাম্পির জায়গায় এগারোয় এসেছিলেন শাহবাজ নাদিমও। রাজস্থান দলে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই ম্যাচের আগে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট ছিল রাজস্থানের। পরাজয়ের ফলে ৮ পয়েন্টেই থেকে গেল তারা। অন্যদিকে, জিতে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট হল হায়দরাবাদের।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/sports/177714/রাজস্থানকে-৮-উইকেটে-হারালো-হায়দরাবাদ
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো, সারা বিশ্বে যিনি পেলে নামে বিখ্যাত, ২৩শে অক্টোবর তার ৮০তম জন্ম বার্ষিকী। চার দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৭৭ সালে অবসর নেওয়ার পরেও সাবেক এই খেলোয়াড় সারা দুনিয়ায় এখনো সবচেয়ে পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তিদের একজন।
মূলত তিন তিনবার বিশ্বকাপ জয় করার জন্য পেলে বিখ্যাত হয়েছেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড়- নারী কিংবা পুরুষ- যিনি এতবার বিশ্বকাপ জয় করেছেন। এছাড়াও তিনি তার ক্লাব ও দেশের হয়ে ১,৩৬৩টি ম্যাচ খেলে মোট ১,২৮১টি গোল করেছেন যা বিশ্ব রেকর্ড।
ফুটবল খেলায় পেলে যে দক্ষতা ও পারদর্শিতা দেখিয়েছিলেন সেটা মানুষের কল্পনার সীমাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার গল্প ছড়িয়ে পড়েছিল খেলাধুলার বাইরের জগতেও।
ইতিহাসের বিখ্যাত এই ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কিছু গল্প আছে যা অনেকেই হয়তো এখনো শোনেনি। এখানে এরকম ১০টি গল্প ঘটনা তুলে ধরা হলো:
১. মাঠ থেকে বহিষ্কার
১৯৬৮ সালের ১৮ই জুন। কলাম্বিয়ার রাজধানী বোগোতায় খেলা হচ্ছিল পেলের ক্লাব সান্তোস এফসির সাথে কলাম্বিয়ান অলিম্পিক স্কোয়াডের। ওটা প্রীতি ম্যাচ ছিল। দর্শকে উপচে পড়ছিল স্টেডিয়াম।
হঠাৎ করেই গ্যালারি থেকে দর্শকদের দীর্ঘশ্বাসের শব্দ ভেসে আসে যখন রেফারি গুইলেরমো ভেলাসকোয়েজ পেলেকে মাঠ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তখনো লাল কার্ডের প্রচলন ঘটেনি, সেটা শুরু হয় ১৯৭০ সালে।
কলাম্বিয়ার একজন ডিফেন্ডারকে ফাউল করা এবং রেফারির মতে ওই ফুটবলারকে অপমান করার কারণে পেলেকে মাঠ থেকে চলে যেতে বলা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে মাঠের ভেতরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সান্তোসের ফুটবলাররা উত্তেজিত হয়ে রেফারিকে ঘিরে ধরেন। ওই খেলার যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যায় রেফারি ভেলাসকোয়েজের চোখ কালো হয়ে আছে।
রেফারি ভেলাসকোয়েজ পরে ২০১০ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে সেসময় তাকে মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে বাঁশিটা লাইন্সম্যানকে দিতে বলা হয়েছিল। এর পরপরই পেলে আবার খেলায় ফিরে আসেন।
২. পেলে কি যুদ্ধ থামিয়েছিলেন
পেলের সান্তোস এফসি ফুটবল ক্লাব ছিল ষাটের দশকে বিশ্বের জনপ্রিয় ক্লাবগুলোর একটি। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এই ক্লাবটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতো। এই খ্যাতির কারণে তারা বাড়তি কিছু সুবিধাও পেয়েছিল।
এরকম একটি প্রীতি ম্যাচ ছিল যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নাইজেরিয়ায়, ১৯৬৯ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি। বেনিন সিটিতে অনুষ্ঠিত ওই খেলায় সান্তোস ২-১ গোলে স্থানীয় একাদশকে পরাজিত করে।
নাইজেরিয়াতে তখন রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ চলছিল। দেশ থেকে বায়াফ্রা রাজ্যটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এই যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে।
ফুটবল ক্লাব সান্তোস এফসির ইতিহাস নিয়ে কাজ করেন এমন একজন গবেষক গুইলহের্ম গুয়াশের মতে, এরকম একটি পরিস্থিতিতে নাইজেরিয়াতে খেলোয়াড়দের পাঠানোর ব্যাপারে ব্রাজিলের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক দুশ্চিন্তা ছিল। সেকারণে বিবদমান পক্ষগুলো তখন যুদ্ধবিরতিতে যেতে সম্মত হয়।
তবে এই গল্পটির সত্যতা নিয়ে সম্প্রতি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এবং মজার ব্যাপার হলো ১৯৭৭ সালে পেলের যে আত্মজীবনী প্রকাশিত হয় সেখানে এই ঘটনার কোনো উল্লেখ ছিল না।
তবে পেলের আরেকটি আত্মজীবনী, যা কীনা আরো ৩০ বছর পর প্রকাশিত হয়, সেখানে কিন্তু তিনি ওই ‘যুদ্ধবিরতির’ কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি লিখেছেন: ‘এই প্রদর্শনী ম্যাচের জন্য গৃহযুদ্ধ থামানো হবে বলে’ খেলোয়াড়দেরকে জানানো হয়েছিল। আমি জানি না এই ঘটনা পুরোপুরি সত্য কীনা, তবে নাইজেরিয়ানরা আমাদের নিশ্চিতভাবে জানিয়েছিলেন যে আমরা যখন ওখানে খেলতে যাবো তখন বায়াফ্রানরা সেখানে আক্রমণ করবে না, পেলে লিখেছেন।
৩. পেলের সঙ্গে দেখা করতে বিটলসের ব্যর্থ চেষ্টা
পেলে নিউইয়র্ক কসমস ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য ১৯৭৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে চলে যান। সেখানে ভাষা শেখার একটি স্কুলে তিনি ইংরেজি শিখতেন। কোন একদিন ক্লাসের ফাঁকে সংগীত গোষ্ঠী বিটলসের জন লেননের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল।
‘লেনন ওই স্কুলে যেত জাপানি ভাষা শিখতে,’ পেলে এই স্মৃতিকথা লিখেছেন ২০০৭ সালে।
পেলে বলেছেন, জন লেনন তাকে বলেছেন ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ চলার সময় লেনন এবং বিটলসের অন্য শিল্পীরা হোটেলে গিয়ে ব্রাজিলের টিমের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। সেবার বিশ্বকাপ হয়েছিল ইংল্যান্ডে।
পেলে লিখেছেন, সংগীত শিল্পীরা সেসময় তার ও দলের অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্রাজিলের ফুটবল এসোসিয়েশনের পরিচালকরা তার অনুমতি দেয়নি।
৪. কেন ইউরোপীয় ক্লাবে খেলেননি
পেলের সমালোচকরা বলেন, কখনো ইউরোপীয় কোন ক্লাবের হয়ে না খেলার কারণে ব্রাজিলের এই ফুটবল তারকার জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠেছিল।
ব্রাজিলের অন্যান্য অখ্যাত ও বিখ্যাত ফুটবলাররা বিদেশি ক্লাবে খেললেও, পেলের ক্যারিয়ারের সোনালী সময়ে তাকে বাইরে খেলতে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে।
পেলেকে নেওয়ার জন্য সান্তোস এফসিকে প্রস্তাব দিয়েছিল রেয়াল মাদ্রিদ থেকে শুরু করে এসি মিলানের মতো ক্লাবও। সেসময় ফুটবলাররা কোন ক্লাবে খেলবেন সেবিষয়ে তাদের কথা বলার সুযোগ ছিল খুব কম।
পেলেকে ব্রাজিলে রেখে দেওয়ার জন্য চাপ ছিল সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও: ১৯৬১ সালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জানিও কোয়াদ্রস পেলেকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাকে ‘রপ্তানি করা যাবে না’ বলে একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন।
ব্রাজিলের এই ফুটবলার পরে অবশ্য একটি বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। শুধুমাত্র ১৯৭৫ সালে। সেসময় তিনি যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফুটবল ক্লাব নিউ ইয়র্ক কসমসে।
৫. ব্রাজিলের অধিনায়ক হয়েছিলেন ৫০ বছর বয়সে
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। পেলে তার পুরো ফুটবল ক্যারিয়ারে তার হাতে মাত্র একবারই অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরেছিলেন। ক্লাব ও দেশের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করার জন্য তাকে যখনই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটা তিনি সবসময় প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার ব্যতিক্রম হয় পেলের ৫০ বছর বয়সে।
সেটা ছিল ১৯৯০ সালের ঘটনা, জাতীয় ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ১৯ বছর পরে।
সেবছর ব্রাজিলের সাথে বাকি বিশ্বের একটি প্রীতি ম্যাচ হয়েছিল মিলানে। তাতে অংশ নিয়েছিলেন পেলে। তার ৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট তিনি মাঠে ছিলেন।
ওই ম্যাচে ব্রাজিল ২-১ গোলে হেরে যায়।
কিন্তু এই ম্যাচটি আরো একটি কারণে ব্রাজিলে আলোচিত হয়েছিল: ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের স্ট্রাইকার রিনাল্ডো পেলেকে একটি গোল উপহার দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেসময় পেলে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু রিনাল্ডো বল পেলেকে পাস না দিয়ে নিজেই পোস্টের বাইরে মেরেছিলেন।
রিনাল্ডো পরে ২০১০ সালে ব্রাজিলের একটি ওয়েবসাইট গ্লোবো এসপোর্তেকে বলেছিলেন, এতে তিনি আমার ওপর খানিকটা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
৬. পেলেকে যখন ‘অপহরণ’ করা হয়
সান্তোস এফসি ক্লাবের ফুটবলাররা ১৯৭২ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোতে খেলার ব্যাপারে খুশি ছিলেন না।
‘সেসময় সেখানে বড় ধরনের অশান্তি চলছিল এবং আমরা রাস্তায় ট্যাঙ্ক চলতে দেখেছি,’ ২০১০ সালের ব্রাজিলের একটি পত্রিকা জিরো হোরাকে একথা বলেছেন ডিফেন্ডার ওবেরদান।
‘খেলা শেষ করে সাথে সাথেই আমরা প্লেনে উঠে পড়বো এমন আশ্বাস পাওয়ার পরেই আমরা ওই ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছিলাম।’
কিন্তু খেলার ৪৩ মাথায় গোল করে বসেন পেলে। তখনই সবকিছু বদলে যায়। খেলা শেষে পোর্ট অফ স্পেন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে থাকা সমর্থকরা দৌড়ে মাঠের ভেতরে চলে আসে এবং পেলেকে কাঁধে নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যায়।
সেখান থেকে পেলেকে উদ্ধার করে আনতে বেশ কিছু সময় লেগেছিল।
৭. সিলভেস্টার স্ট্যালোনের সঙ্গে ছবিতে অভিনয়
১৯৮০ সালে যখন ‘এসকেপ টু ভিক্টরি’ ছবির শুটিং শুরু হয় তখন চলচ্চিত্রাঙ্গনে খ্যাতির তুঙ্গে ছিলেন সিলভেস্টার স্ট্যালোন। এই ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়ের নাৎসি একাদশ ও বন্দীদের মধ্যে একটি কাল্পনিক ফুটবল ম্যাচের গল্প তুলে ধরা হয়।
ছবিটিতে পেলেও অভিনয় করেছেন। তার সাথে ছিলেন ববি মুরের মতো আরো কয়েকজন পেশাদার ও সাবেক ফুটবলারও। ওই খেলায় গোলরক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেন সিলভেস্টার স্ট্যালোন।
ছবির একটি দৃশ্যে পেলে অ্যাক্রোবেটিক বাইসাইকেল কিক নিয়েছিলেন। এবং জানা যায় যে প্রথম শটেই তিনি এই কিকটি নিতে সফল হয়েছিলেন।
সম্প্রতি পেলে ব্রাজিলের একটি ওয়েবসাইট ইউওএলকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যেখানে তিনি বলেছেন যে ওই সিনেমাতে স্ট্যালোনের একটি গোল দেওয়ার কথা ছিল।
‘সিনেমার আসল যে স্ক্রিপ্ট, সেখানে স্ট্যালোন ছিলেন স্ট্রাইকার আর আমার গোলি হওয়ার কথা ছিল,’ বলেন পেলে।
হাসতে হাসতে পেলে জানান, কিন্তু সিলভেস্টার স্ট্যালোন তো জীবনে একবারও বলে কিক করেননি।
৮. পেলে কিন্তু ভালো গোলরক্ষক
পেলে যদি ‘এসকেপ টু ভিক্টরি’ ছবিতে গোলরক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করতেন তিনি কিন্তু দর্শকদের মোটেও হতাশ করতেন না। বাস্তব জীবনেও তিনি ক্লাব ও দেশের বিকল্প গোলরক্ষক ছিলেন। আসল গোলকিপার আহত হলে তার জায়গায় তিনি নামতেন গোল ঠেকাতে।
পুরো ক্যারিয়ারে পেলে সান্তোস এফসি ক্লাবের হয়ে চারবার গোলরক্ষকের গ্লাভস পরেছিলেন। ১৯৬৪ সালে ব্রাজিলিয়ান কাপের সেমিফাইনালেও তাকে গোলকিপার হতে হয়েছিল। তার টিম সবকটি খেলায় জয়লাভ করেছিল এবং পেলে একটি গোলও খাননি।
৯. মাত্র একজনই পেলে...
ভক্তরা আনন্দের সঙ্গে গান ধরতে পারে ‘আছে মাত্র একজনই পেলে!’ কিন্তু আসলে এটি আক্ষরিকভাবে পুরোপুরি সত্য নয়। তার জনপ্রিয়তার কারণে সারা বিশ্বে মাঠে ও মাঠের বাইরে এই নামের আরো অনেককেই পাওয়া যায়।
আফ্রিকার বিখ্যাত ফুটবলারদের একজন আবেদি এইও-র নাম হয়েছিল আবেদি পেলে। তিনি গানা ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন।
কেপ ভার্দের ডিফেন্ডার পেদ্রো মন্টেইরো যিনি ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে যোগ দিয়েছিলেন, তিনিও পেলে নামে পরিচিত ছিলেন। এই ডাকনামটি তিনি পেয়েছিলেন তার শৈশবে। কিন্তু ফুটবলার পেলের কী প্রভাব পড়েছিল ব্রাজিলের সমাজে সেটা বোঝা যায় পেলের আসল নাম এডসন থেকে।
ব্রাজিলের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ভূগোল ও পরিসংখ্যান ইন্সটিটিউটের হিসেবে প্রচুর শিশুর নাম রাখা হয়েছে এডসন।
তারা বলছে, গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে ব্রাজিলে ৪৩ হাজার ৫শ’ ১১ জনের নাম ছিল এডসন। কিন্তু এর দুই দশক পর, পেলে যখন এক হাজারেরও বেশি গোল করেন এবং তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেন, তখন এই নামের মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি।
১০. ফুটবলের রাজা কি প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন?
পেলে ১৯৯০ সালে সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ব্রাজিলে ১৯৯৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু সেটা আর হয়নি।
তবে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন ঠিকই। ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এই তিন বছর তিনি ব্রাজিলের ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
সেসময় তার নেতৃত্বে কিছু আইন তৈরি হয়েছিল যাতে পেশাদার ফুটবলারদেরকে ক্লাবের সঙ্গে দর কষাকষির ব্যাপারে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল যা তার নিজের প্রজন্মের ফুটবলারদের ছিল না। খবর: বিবিসি বাংলা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/sports/177713/পেলের-বিষয়ে-যে-১০টি-তথ্য-হয়তো-আপনার-জানা-নেই
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD
সমাজ সেবা অফিসের মাঠকর্মী ফারুক আহমেদকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাসার গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর সদরে সমাজ সেবা অফিসের মাঠকর্মী ফারুক আহমেদকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাসার গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ফারুক আহমেদ গাংনী উপজেলার বড়বাজার এলাকার শওকাত হোসেনের ছেলে। তবে শিশুকাল থেকে তিনি মেহেরপুর শহরের থানাপাড়ার (উত্তর) বাসিন্দা তার মা ফজিলা খাতুনের সঙ্গে বসবাস করতেন।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান জানান, রাত ১১টার দিকে ফারুক আহমেদ মেহেরপুর সদর থানার গেটে অবস্থিত রতনের চায়ের দোকান থেকে চা খেয়ে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সুমনের দোকান থেকে মশার কয়েল ও ছেলের জন্য জুস কিনে বাসায় উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
তিনি আরো জানান, তিনি বাড়ির গেটে পৌঁছামাত্র ৩-৪ জনের একদল অস্ত্রধারী তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কোপাতে থাকে। এসময় তার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসার আগেই অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে মুমূর্য অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি শাহ দারা খান জানান, লাশ পুলিশ হেফাজতে হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। রাত থেকেই পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।
মেহেরপুর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার হাবিবুর রহমান জানান, পায়ে, ঘাড়ে ও গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে অনেকগুলো কোপ মারা হয়েছে। এর ফলে ফারুক আহমেদের শরীর থেকে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি
Post Written by :
Original Post URL : https://ppbd.news/whole-country/177712/সমাজসেবা-মাঠকর্মীকে-কুপিয়ে-হত্যা
Post Come trough : PURBOPOSHCIMBD