পদ্মা নদীতে চামড়া ফেলার ঘটনা তদন্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
রাজশাহী প্রতিনিধি
বিক্রি করতে না পেরে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে কোরবানির চামড়া ফেলে দেয়ার ঘটনা তদন্ত করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ঈদের পর দিন সাখাওয়াত হোসেন নামে এক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী নগরীর বুলনপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে এক ভ্যান ছাগলের চামড়া ফেলে দেন। সেই ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে আসলে রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
রোববার সকালেই নদীতে চামড়া ফেলে দেয়ার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। বিষয়টি ওই দিনই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিষয়টি তদন্তের জন্য সোমবারই রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি টিমকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টির সরেজমিন তদন্ত করেন। পরে সেদিনই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরিফুল হক বলেন, যিনি চামড়া নদীতে ফেলেছেন তিনি রাজশাহীর একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। চামড়া কেনাবেচা কিংবা সংরক্ষণে তার অভিজ্ঞতা নেই। তিনি ছাগলের চামড়া কেনার পর নাটোর ও রাজশাহীতে বিক্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু বিক্রি করতে পারেননি, সংরক্ষণ করতেও জানেননি। তাই চামড়ায় পচন ধরে। এ কারণে তিনি নদীতে ফেলে দেন।
তিনি আরও জানান, তার কাছে মনে হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চামড়া নদীতে ফেলা হয়েছে। সে কারণে ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি চামড়া বিক্রি করতে না পারলে আমাদের জানাতে পারতেন অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারতেন। তিনি নদীতে চামড়া ফেলে পরিবেশের দূষণ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহীর উপপরিচালক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী, কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে দূষণ আসলেই হয়েছে কি না সেটা আগে দেখতে হবে। সে জন্য নদীর যে স্থানে চামড়া ফেলা হয়েছে সেখান থেকে তিন বোতল পানি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই পানি পরীক্ষার জন্য বুধবার বগুড়ার ল্যাবে পাঠানো হবে।
নদীর স্রোতে চামড়া ফেলার দুই দিন পর সেখানকার পানিতে দূষণের মাত্রা বোঝা যাবে কি না জানতে চাইলে মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, সেটা পরীক্ষার পরই বলা যাবে। এটা আমাদের প্রক্রিয়া। আমরা আইন অনুযায়ী পানি পরীক্ষা করছি। পানি পরীক্ষার পর যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচদিন বন্ধের পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের সহকারী ব্যবস্থাপক অশিক কুমার শার্নাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুর প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচদিন বন্ধের পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের সহকারী ব্যবস্থাপক অশিক কুমার শার্নাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। পাঁচদিন বন্ধের পর আবারও মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে যথারীতি নিয়মে বন্দরের আমদানি-রপ্তানির সব কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভারতীয় মালবাহী ট্রাকগুলো বন্দরে প্রবেশ করছে এবং আনলোড হয়ে দেশি ট্রাকগুলো লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যাওয়া শুরু করেছে।
শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে ক্রীড়া সংগঠক শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
বুধবার (৫ আগস্ট) যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব মাঠে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে সকাল ৯টায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
বয়স্ক ভাতা কার্ড দেওয়ার কথা বলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেলিনা পাটোয়ারী নামে এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
বয়স্ক ভাতা কার্ড দেওয়ার কথা বলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেলিনা পাটোয়ারী নামে এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলছেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, দলের একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
সেলিনা পাটোয়ারী লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ও সদর উপজেলার শাকচর মদিন উল্ল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানী আলমগীর মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, সেলিনা পাটোয়ারী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার ও নিজ এলাকার সাধারণ মানুষকে দেখিয়ে, সরকারি বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সরকারী ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে ৩০ পরিবারের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। আস্থা অর্জনের জন্য ভাতা কার্ডের ভুয়া স্লিপও দেন তিনি।
পৌর শহরের সমসেরাবাদ এলাকার দিনমুজুর কুলি বাদশা মিয়া বলেন, যুব মহিলা লীগ নেত্রী সেলিনা বয়স্ক ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নেয়। কিন্তু কোন ভার্তার কার্ড দেওয়া হয়নি।
পৌর ৭নং ওয়ার্ডের মিনা গাজী বাড়ীর প্রতিবন্ধি শামীম, টুমটর ইউনিয়নের অসহায় রৌশনা জাহানসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ ও ১০ হাজার টাকা করে নেয় সেলিনা। এজন্য তাদেরকে ভাতার স্লিপও দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ভাতার কার্ড কিংবা টাকা কিছুই দেয়া হয়নি তাদের।
এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি অপপ্রচার দাবি করে সদর উপজেলা যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী সেলিনা পাটোয়ারী জানান, তিনি এলাকার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তার রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব অপপ্রচার করছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিক বলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শোক দিবস পালনের জন্য প্রত্যক প্রতিষ্ঠানকে যত টাকা করে দেওয়া হবে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট। এ দিনটি বাঙালির জীবনে শোক দিবস।
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট। এ দিনটি বাঙালির জীবনে শোক দিবস। জাতীয় শোক দিবস পালনে এবারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শোক দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পাশাপাশি, শোক দিবস পালনে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দুই হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের এ নির্দেশনা পাঠিয়ে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, আগামী ১৫ আগস্ট সব সরকারি-বেসরকারি আধাসরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ভার্চুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করে এদিন সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজ, মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শোক দিবসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হাম নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করবে।
এছাড়া সংসদ টেলিভিশনে শিক্ষার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক ২৬টি বই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংগ্রহ ও পাঠের ব্যবস্থা করা হবে এগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও প্রতিযোগিতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে। শোক দিবস পালনে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পোস্টার বিতরণ করা হবে। এছাড়া এদিন বাদ জোহর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে তা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তা ৩.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের সমান। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার সংগৃহীত উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য দেখা গেছে।
তবে তীব্রতার মাত্রা ৩.৩ হলেও তা সরাসরি একই মাত্রার ভূমিকম্পের সমতুল্য নয়।
কারণটা ব্যাখ্যা করেছেন জাতীয় ভূমিকম্প তথ্য কেন্দ্রের ভূ-পদার্থবিদ ডন ব্লেকম্যান। তিনি বলেছেন, বৈরুত বিস্ফোরণের মতো ভূপৃষ্ঠের বিস্ফোরণগুলো একই রকমের শক্তির ভূমিকম্পের মতো তীব্রতা উৎপন্ন করে না। এ ধরনের শক্তির বেশিরভাগই ছড়িয়ে পড়ে বাতাস ও ভবনে গিয়ে। তিনি বলেছেন, এধরনের শক্তি মাটির শিলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সঞ্চিত হয় না।
অর্থাৎ এ ধরনের বিস্ফোরণ যদি ভূগর্ভে ঘটতো তাহলে তীব্রতার মাত্রা আরও অনেক হতো।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শক্তিশালী এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শহরজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, বিস্ফোরণে তাদের শহরটি ভূমিকম্পের মতো কেপে ওঠে।
বন্দরের কাছের এই বিস্ফোরণে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার মানুষ। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দেশটির সরকার। পাঁচ দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বন্দরের কাছে অরক্ষিত অবস্থায় সংরক্ষিত থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়েছে।
বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো কেন সেখানে রাখা হয়েছিল তা লেবানিজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। কাস্টমস বিভাগের পরিচালকের উদ্ধৃত দিয়ে লেবাননের সংবাদমাধ্যম মায়াদিন বলেছে, প্রায় তিন হাজার টন নাইট্রেট বিস্ফোরিত হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান আব্বাস ইব্রাহিম বলেছেন, আফ্রিকায় চালান দেওয়ার জন্য বৈরুত বন্দরে রাখা হয়েছিল ২ হাজার সাতশ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। লেবাননের উচ্চ প্রতিরক্ষা পরিষদের সভা শেষে এই মন্তব্য করেন ইব্রাহিম।
এদিকে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন। ছয় বছর ধরে একটি গুদামে কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংরক্ষিত করা ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলেছেন তিনি। দায়ীদের ‘কঠোর শাস্তির’ মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছেন রাষ্ট্র প্রধান এবং দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতির বাসভবনে আয়োজিত জরুরি সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব জানান, এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়েছে তদন্ত দলকে। হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শক্তিশালী এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শহরজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, বিস্ফোরণে তাদের শহরটি ভূমিকম্পের মতো কেপে ওঠে।
বন্দরের কাছের এই বিস্ফোরণে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার মানুষ। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জোরা বিস্ফোরণের ঘটনাকে ভয়াবহ বোমা হামলা বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস ব্রিফিং-এ ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেছেন।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে জোরা বিস্ফোরণের ঘটনাকে ভয়াবহ বোমা হামলা বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস ব্রিফিং-এ ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেছেন।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবারের জোড়া বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালালে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ হামলা’ উল্লেখ করে লেবাননের জনগণকে সমবেদনা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, লেবাননের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। বিভিন্ন সংবাদে দেখা যাচ্ছে সেখানে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। কয়েকশ মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। হতাহত ও তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের প্রার্থনা রইল। যুক্তরাষ্ট্র লেবাননকে সহায়তায় প্রস্তুত।
ট্রাম্প বলেন, লেবাননের সঙ্গে আমেরিকার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমেরিকার তাদের পাশে থাকবে।
লেবাননের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বলেছেন, অত্যন্ত বিস্ফোরক রাসয়নিক পদার্থের গুদামে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কর্মকর্তারা বলছেন এই বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা। পরিকল্পিতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তারা বলছেন গুদামে ছয় বছর ধরে মজুদ রাখা অত্যন্ত বিপদজনক বিস্ফোরক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এই ঘটনাকে বিপর্যয় আখ্যা দিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
ট্রাম্প এটিকে ভয়াবহ হামলা হিসেবে উল্লেখ করার পর সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বৈরুতের বিস্ফোরণ একটি হামলার ঘটনা ছিল; এ বিষয়ে আপনি আত্মবিশ্বাসী?’
জবাবে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা তাকে যা বলেছিলেন, তার ভিত্তিতে এটি মনে হচ্ছে। এটি হামলার ঘটনা ছিল।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি আমাদের কয়েকজন জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি এবং তারা মনে করছেন যে এটি কোনও উৎপাদন সংক্রান্ত বিস্ফোরণ ধরনের ঘটনা নয়। তারা মনে করে এটি হামলার ঘটনা ছিল। এটি ছিল এক ধরনের বোমা বিস্ফোরণ। তারা আমার চেয়ে আরও ভাল জানে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময়টায় শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে যে খরচ হবে - তা সরকারই দিয়ে দেবে, জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান পৌঁছে দিতে শিক্ষার্থীর যে 'ডাটা কস্ট' - সেটা আমরা্ সাবসিডাইজ করার কথা ভাবছি।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার দশদিনের মাথায় মার্চের মাঝামাঝি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী স্কুলের বন্ধ কয়েক দফা বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
তবে শিক্ষার্থীরা যাতে ঘরে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য সরকারিভাবে অনলাইনে শিক্ষার খরচ পরিশোধ করা, শ্রেণীকক্ষে কয়েক ভাগে শিক্ষার্থীদের পাঠদান - এরকম নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
যেসব পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষার্থীর যে ডাটা কস্ট সেটা সাবসিডাইজ করার জন্য যেমন ধরুন আমরা একটা সরকারি ওয়েবসাইট করলাম। সেখানে ক্লাসের পড়া রেকর্ডেড থাকবে। যার কাছে একটা স্মার্ট ডিভাইস থাকবে সে তার সময়মত ক্লাস করে নিতে পারবে। মোবাইল কোম্পানিগুলো আমাদের বলবে এই সাইটের জন্য কত টাকা ডাটা কস্ট এসেছে। সেটা সরকার পরিশোধ করে দেবে।
তিনি বলছেন, স্কুল পর্যায়ে সব শিক্ষার্থীকে একসাথে ক্লাস না করিয়ে কয়েক ভাগে ভাগ করে ক্লাস নেয়া সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করছে।
‘এটা হতে পারে এক সপ্তাহে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাস করবে। পরের সপ্তাহে অন্যরা।’
তবে করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে যে কার্যক্রমই নেয়া হবে তা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ীই হবে, বলছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
স্কুল খোলার পর যেভাবে এগোতে চান একজন শিক্ষক
দেশে শহরের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে পাঠদান চলছে। টেলিভিশনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও সরকারের তরফ থেকে পাঠদানের চেষ্টা রয়েছে।
তবে দেশে সরকারি হিসেবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে যে চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের সবার পরিবার স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য রাখে না।
বিশেষ করে মহামারির কারণে যেভাবে মানুষের আয় বন্ধ হয়ে গেছে বা কমে গেছে তাতে অনেকের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে।
অন্যদিকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে বহু পরিবারে টেলিভিশন পর্যন্ত নেই, - বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
কথা হচ্ছিল এরকমই একটি এলাকা কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক এশতেয়ারা রুমার সাথে।
তিনি বলছেন, স্কুল খোলার পরপর তাদের হাতে একটি শ্রেণীতে যত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে তার সবকিছু পড়িয়ে শেষ করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলছেন, শুরুতে প্রতিটা ক্লাসে কিছু বেসিক জিনিস থাকে যেমন প্রথম শ্রেণীতে বর্ণ শেখা ও লিখতে পারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দ্বিতীয় শ্রেণীতে শব্দ শেখা, যুক্তবর্ণ ও বাক্য গঠন, তৃতীয় শ্রেণীতে শিক্ষার্থী সাবলীলভাবে রিডিং পড়তে পারবে। যে শ্রেণীতে যে বেসিক বিষয়, সেগুলোর উপরেই স্কুল খোলার পর আমি জোর দেবো।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনি্ও গুতেরেস আজ বলেছেন করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে যেভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে তা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম।
শিক্ষায় এখন যে সংকট চলছে তা যাতে বিপর্যয়ে রূপ না নেয় সেব্যাপারে আজ বিশ্বের সকল সরকারকে নজর দেয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন শিক্ষায় গত কয়েক দশকে যে অগ্রগতি হয়েছে তা মুছে যাচ্ছে এই কয়েক মাসেই। শিক্ষায় অর্থ বরাদ্দ বিশ্বব্যাপী ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলেও তিনি আশংকা প্রকাশ করেছেন।
এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করছিলেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ গণসাক্ষরতা অভিযানের রাশেদা কে চৌধুরী।
তিনি বলছিলেন, সরকারের সদিচ্ছার একটা বহিঃপ্রকাশ আমরা আশা করেছিলাম বাজেটে। সেটি কিন্তু হয়নি। উল্টো বরং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়ানো হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম এটি প্রত্যাহার করা হবে কিন্তু তা করা হয়নি।
‘সরকার ডাটা চার্জ দিয়ে দেবে সেটা খুবই ভাল কথা, কিন্তু যে খরচ বেড়েছে সেটা প্রত্যাহার প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে দেশে ৯৬ শতাংশ পরিবারে মোবাইল ফোন রয়েছে যার বড় অংশই ফিচার ফোন। যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব এবং তাতে রেডিও রয়েছে।
সেগুলোর দাম কমানো অথবা সরকারিভাবে বিলি করার কথা বলছেন রাশেদা কে চৌধুরী যাতে করে সেখানে সরকারিভাবে বার্তা পাঠিয়ে এবং রেডিওর মাধ্যমে পাঠদান সম্ভব হয়।
তিনি বলছেন, সরকার অনেক বার্তা পাঠায় যেমন টিকা দিন, করোনার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এরকম বার্তা পাঠাতে পারে সরকার। টিভিতে যে পাঠদান হচ্ছে, রেডিওতে সেই একই জিনিস সম্প্রচার হলে এই যে এত লোকের হাতে ফিচার ফোন তারা তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনায় সেটা কাজে লাগাতে পারবে। ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া যাবে।
তিনি আরও বলছেন, শিশুরা এখন পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তাসহ নানা ধরনের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। সরকারের উচিত উপবৃত্তির তালিকাটা বাড়ানো। এক পরিবারের দুটি শিশুকে যদি উপবৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে, তাদের যদি আর একটি সন্তান তাকেও এর আওতায় আনা অতি প্রয়োজন। খেতে না পারলে লেখাপড়া হবে না।
ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতদের প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে লেবাননের সরকার।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বৈরুত, এরপর সেখানকার আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন বলেছেন, দুই হাজার সাতশ ৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছয় বছর ধরে একটি গুদামে অনিরাপদভাবে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল।
বন্দরের কাছের এই বিস্ফোরণে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার মানুষ। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শক্তিশালী এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শহরজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, বিস্ফোরণে তাদের শহরটি ভূমিকম্পের মতো কেপে ওঠে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতের বন্দর এলাকা থেকে বড়ু গম্বুজ আকারে ধোঁয়া উড়ছে, এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট বিস্ফোরণে গাড়ি, ভবন উড়ে যেতে দেখা যায়।
ভিডিওতে মানুষের চিৎকার ও ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। বাড়িঘরের জানালার কাচ ও বেলকনি ভেঙেও অনেকে আহত হন।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এই বিস্ফোরণকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান, ইসরায়েল এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে লেবাননকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বলেছেন, বিস্ফোরণের জন্য যারাই দায়ী হোক, তাদের চরম মাশুল দিতে হবে।
রাসায়নির গুদাম থেকে এই বিস্ফোরণের ধারণা করলেও তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি প্রধানমন্ত্রী।
রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে আজ বুধবার (৫ জুলাই) অযোধ্যায় যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার সকালেই তিনি দিল্লি থেকে রওনা দেবেন।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে আজ বুধবার (৫ জুলাই) অযোধ্যায় যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার সকালেই তিনি দিল্লি থেকে রওনা দেবেন।
বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির নিয়ে হিন্দু-মুসলমানের শতাব্দী প্রাচীন বিরোধের আইনি নিষ্পত্তি হয় গত বছরের নভেম্বরে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির নির্মাণ ও বিকল্প স্থানে মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণের জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্দির নির্মাণে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশনাও দেওয়া হয় ওই রায়ে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুসারে গঠিত হয় শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট। মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য তারা পাঁচ আগস্ট চূড়ান্ত দিন নির্ধারণ করে। সেই অনুযায়ী, আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় অযোধ্যায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকলেও তার সবচেয়ে আস্থাভাজন তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেবেন। লহ্মৌ পৌঁছাবেন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। সেখান থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। ১১টা ৪০ মিনিটে হনুমানগড়িতে পূজা দেওয়ার কথা রয়েছে তার।
ঠিক দুপুর ১২টায় রাম জন্মভূমি পরিসরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে রামলালার দর্শন করে বিশেষ পূজা দেবেন তিনি। এরপর করবেন বৃক্ষরোপণ। দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হবে রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মূল অনুষ্ঠান।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, যোগ গুরু রামদেব, রাম মন্দির ট্রাস্টের প্রধান মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসের মতো ভিআইপিরা। আমন্ত্রিত প্রায় ২০০ জন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
গ্যালারিভর্তি দর্শক নিয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ, সীমিত দর্শক কিংবা দর্শকবিহীন ম্যাচ। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়া কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ এর যেকোনো একভাবে আয়োজন করার সায় দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। তবে ম্যাচ আয়োজনে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে বলেছে সংস্থাটি। অক্টোবরে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে তাই সীমিত দর্শক রাখার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ফিরতে লেগে দেশের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ১২ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ধাপের আরেক ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। এরমধ্যে বাছাইপর্বের ম্যাচ উপলক্ষে ভেন্যুতে বসানো হচ্ছে দর্শকদের জন্য নতুন আসন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের খেলাধুলো। বিরূপ পরিস্থিতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে খেলা ফিরলেও স্বাভাবিক সময়ের মতো দর্শক উপস্থিতি রাখা হচ্ছে না। ধারনা করা হয়েছিল এএফসিও সদস্য দেশগুলোকে বাছাইপর্বের ম্যাচ দর্শকশূন্য অবস্থায় করার কথা বলে
তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রতিযোগিতা ব্যবস্থাপক জাবের বিন তাহের আনসারি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এএফসির দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী মাঠে দর্শক রাখতে পারবেন তারা, ‘৩১ জুলাই এএফসি আমাদের একটা গাইডলাইন দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে খেলা হতে পারে তিন উপায়ে- স্বাভাবিক পরিবেশে, সীমিত দর্শক নিয়ে অথবা দর্শকশূন্য মাঠে।’
তিনি জানান, স্বাভাবিক পরিবেশে খেলা আয়োজনের সায় থাকলেও তারা মূলত মাঠে ৫০ শতাংশ দর্শক রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছে, ‘আমরা যদি স্বাভাবিক সময়ের মতো গ্যালারিভর্তি দর্শক নিয়ে ম্যাচ করতে চাই তবে বাফুফেকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিতে হবে। তবে এএফসি ৫০ শতাংশ স্থানীয় দর্শক রাখতে উৎসাহ দিচ্ছে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং জীবানুমুক্তকরণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাঠে প্রবেশের আগে প্রত্যেকের তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
তিনি জানান, ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ টিকেট বিক্রির জন্য রাখার পক্ষে এএফসি। এরমধ্যে ৮ শতাংশ টিকেট থাকবে অতিথি দলের জন্য বরাদ্দ। আর বাকি কিছু টিকেট থাকবে সংশ্লিষ্টদের জন্য সৌজন্যমুলক হিসেবে।
স্টেডিয়ামকে নয়টি ভাগে বিভক্ত করে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের কথাও বলছে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। যাদের দায়িত্ব থাকবে খেলা দেখতে আসা মানুষকে জীবানুমুক্তকরন ও নির্দিষ্ট দূরত্ব নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা।
জাবের আরও জানান ম্যাচের দিন পুরো স্টেডিয়াম জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থাও করতে হবে তাদের, ‘ম্যাচের দিন দর্শক, খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়ালরা প্রবেশের আগে ম্যাচ কমিশনারের উপস্থিতিতে মাঠ ফাঁকা অবস্থায় জীবাণুমুক্ত করতে হবে।’
সাধারণত খেলার আগে ও পরে দুই দলের খেলোয়াড়রা করমর্দন করেন। কিন্তু এই সময়ে এমন সৌজন্য দেখানো থেকে দূরে থাকতে বলা হবে। এমনকি নিজ দলের সতীর্থদের সঙ্গে হাত মেলানো বারণ করা হবে। শিশুদের হাতে ধরে ফুটবলারদের মাঠে প্রবেশের চেনা দৃশ্যও থাকবে না।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের ভেন্যু সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার। কিন্তু গ্যালারিতে চেয়ার বসানোয় তা নেমে এখন ১২ হাজারে চলে আসছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সূত্রে জানা গেছে ১২ হাজারের মধ্যে এরমধ্যে ৮ হাজার চেয়ার এরমধ্যেই বসানো হয়ে গেছে। বাকি আসনগুলো অগাস্টের মধ্যে বসিয়ে ফেলা হবে।
মাঠে সীমিত দর্শক রাখার সিদ্ধান্তে বাফুফে অনড় থাকলে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টিকেট বিক্রির জন্য ছাড়া হতে পারে। জাবের জানান একসঙ্গে বেশ কিছু বিষয় যুক্ত থাকায় তারা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি, ‘বাফুফে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কারণ অনেক জনবল যুক্ত করার ব্যাপার আছে এখানে। এএফসির এই গাইডলাইন মানতে খরচের ব্যাপারও আছে। যাইহোক আমরা ম্যাচে সীমিত দর্শক রাখার সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছি।’
জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডেও চান সীমিত হলেও যেন দর্শক রাখা হয় মাঠে, ‘শূন্য অবস্থা থেকে একজন থাকাও ভাল। তবে একইসঙ্গে সুরক্ষার ব্যাপারটাও দেখতে হবে। ’
নিজ দেশে খেলার বড় সুবিধা হলো গ্যালারির দর্শক সমর্থন। দর্শক সমর্থন অনেক সময় খেলোয়াড়দের মুন্সিয়ানাও বাড়িয়ে দেয়। তবে একদম সীমিত দর্শক থাকলে তা পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না বলে মত জেমির, ‘নির্ভর করে গ্যালারিতে কী পরিমাণ দর্শক থাকে। যদি খুবই কম দর্শক থাকে তাহলে ম্যাচে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে তা খুব একটা প্রভাব ফেলে না।’
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3fvZNiX
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
নভেল করোনাভাইরাসে গোটা পৃথিবীতে মৃত্যুর সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাব অনুযায়ী বুধবার (৫ আগস্ট) সকাল আটটা পর্যন্ত ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাসে গোটা পৃথিবীতে মৃত্যুর সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাব অনুযায়ী বুধবার (৫ আগস্ট) সকাল আটটা পর্যন্ত ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১১৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৪১ জন।
জুলাই মাসে করোনা সবচেয়ে বেশি ভোগানোর পর আগস্টেও একই ধারা অব্যাহত। গত মাসে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়!
৩০ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আনুষ্ঠানিক হিসাব শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী করোনা রোগীর সংখ্যা কোটি ছাড়ায় জুনের শেষ দিকে। এরপর শুধু জুলাই মাসেই ৬৯ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ জন নতুন রোগটিতে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।
ডব্লিউএইচও’র দিনভিত্তিক হিসাব পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাচ্ছে, গত ২০ দিনে করোনা বেশি ছড়িয়েছে। এই সময়ে প্রতিদিন দুই লাখের বেশি করে মানুষ কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন।
ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপেছে লেবাননের রাজধানী বৈরুত। বন্দরের কাছের এই বিস্ফোরণে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার মানুষ। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একসঙ্গে এত আহত মানুষের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বৈরুতের হাসপাতালগুলো। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এসব আহত মানুষকে সেবা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। অনেক হাসপাতাল স্থানের সংকুলান না হওয়ায় আর কোনো রোগী নিতে পারছে না।
লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ফাহমী আল-জাজিরাকে বলেছেন, বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বন্দরের একটি গুদামে সংরক্ষিত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হামাদ হাছান বলেছেন, প্রাথমিক হিসাবে ৭৮ জন নিহত ও ৪ হাজার আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শক্তিশালী এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে শহরজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, বিস্ফোরণে তাদের শহরটি ভূমিকম্পের মতো কেপে ওঠে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতের বন্দর এলাকা থেকে বড়ু গম্বুজ আকারে ধোঁয়া উড়ছে, এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট বিস্ফোরণে গাড়ি, ভবন উড়ে যেতে দেখা যায়।
ভিডিওতে মানুষের চিৎকার ও ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। বাড়িঘরের জানালার কাচ ও বেলকনি ভেঙেও অনেকে আহত হন।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বুধবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
তিনি এই বিস্ফোরণকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান, ইসরায়েল এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে লেবাননকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বলেছেন, বিস্ফোরণের জন্য যারাই দায়ী হোক, তাদের চরম মাশুল দিতে হবে।
রাসায়নির গুদাম থেকে এই বিস্ফোরণের ধারণা করলেও তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি প্রধানমন্ত্রী।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত এক ব্যক্তির দাফন-কাফন সম্পন্ন করতে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মহৎ কাজের উদাহরণ তৈরি করলেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সোমবার (৩ আগস্ট) রাতে মারা যান অজ্ঞাতনামা এই ব্যক্তি। তাকে হাসপাতালে রেখে স্বজনরা পালিয়ে যায়।
প্রচন্ড গরমে লাশের শরীর গলতে শুরু করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় একাধিক শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) গণস্বাস্থ্য মেডিকেল হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা সকাল ১০টায় লাশের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করে। পরে গবির প্রাক্তন ও বর্তমান কয়েকজন শিক্ষার্থী বাইশ মাইল গোরস্থানে এ লাশ দাফন করেন।
জানা যায়, ৩ আগস্ট সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা এই ব্যক্তিকে ভর্তি করায় গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এরপর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রোগীকে রেখে পালিয়ে যায় স্বজনরা।
বিকালে রোগীকে খাবার ও ঔষুধ খাওয়ানো হয়। রাতে রোগীকে চেকআপ করতে এলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। রোগীর ফাইলে বিস্তারিত কোনো ডকুমেন্টস না থাকায় তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইন বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কিনা নিশ্চিত নয়। বিকেলে তাকে খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর রাতে তিনি মারা যান। প্রচন্ড গরম থাকার কারণে আমরা দ্রুত দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. দেলওয়ার হোসেন, গবি ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেওয়ান ফয়সাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভয়াবহ বিস্ফোরণ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস বিজয় জাহাজে আঘাত হানে। এটি বৈরুত বন্দরে ভেড়ানো ছিল জানিয়ে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অফ চ্যান্সারি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কমপক্ষে ১৯ সদস্য আহত হয়েছেন।’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৯ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস।
ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস বিজয় জাহাজে আঘাত হানে। এটি বৈরুত বন্দরে ভেড়ানো ছিল জানিয়ে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অফ চ্যান্সারি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কমপক্ষে ১৯ সদস্য আহত হয়েছেন।’
তার দেয়া তথ্য মতে, একজন সৈনিকের অবস্থা গুরুতর। পাঁচ জনের ইনজুরি মাঝারি পর্যায়ের। বাকি ১৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণের পর লেবানন থেকে ১৫০ মাইল দূরের এলাকাও কেঁপে ওঠে। এখন পর্যন্ত ৭৮ জন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসি, রয়টার্স ও আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বৈরুতের বাসিন্দারা দূর থেকেও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান। রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা বিস্ফোরণের পর কেঁপে উঠে। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বুধবার (৫ আগস্ট) সকাল পর্যন্তও এমন বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা জানিয়েছে, বন্দরের রাসায়নিকের গুদাম থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে কিছু দিন ধরে উত্তেজনা চললেও এ বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা নাকচ করেছে তেল আবিব।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতের বন্দর এলাকা থেকে বড়ু গম্বুজ আকারে ধোঁয়া উড়ছে, এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট বিস্ফোরণে গাড়ি, ভবন উড়ে যেতে দেখা যায়।