ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহরুল হক জানান, ২ আগস্ট ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বন্যার পানিতে নৌকা ভ্রমণে বের হয় এলাকার লোকজন। নৌকা ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চর বাগবাড়িতে নৌকাটি পানিতে ডুবে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারের টেকনাফে চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় সব পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (২ আগস্ট) বিকেলে এক আদেশে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
জাতীয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের টেকনাফে চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় সব পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (২ আগস্ট) বিকেলে এক আদেশে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ কারণে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য ওই চেকপোস্টে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্বে ছিলেন তাদের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পোস্টটিও তুলে ফেলতে বলা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন। কমিটি নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেননা এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাকে অবশ্যই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে, ওই ঘটনায় বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জসহ সব সদস্যকে প্রত্যাহার করে কক্সবাজার পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন রোববার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শনিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলিকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন কক্সবাজার জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি।
রিয়ার সঙ্গেই টার্গেট বাঙালি মেয়েরা, মুখ খুললেন স্বস্তিকা-নুসরাত
বিনোদন ডেস্ক
সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বাঙালি মেয়ে রিয়া চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা ভারত, ঠিক সেই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু এক অন্য বিতর্ক।
রাতারাতি ‘ভিলেন’ বাঙালি মেয়েরা। উড়ে আসছে ট্রোল, ঘুরে বেড়াচ্ছে মিম। বাঙালি মেয়ে মানেই ‘কালাজাদুতে সিদ্ধহস্ত’, ‘পয়সার কাঙাল’ ইত্যাদি মন্তব্যে ভরে উঠেছে ফেসবুকের দেওয়াল। যদিও এই সব মন্তব্যের বিরোধিতাও করেছেন অনেকেই। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন দুই বাঙালি অভিনেত্রী, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং নুসরাত জাহান।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। সুশান্তের দিদি মিতু সিংহ অভিযোগ আনেন, তার ভাইয়ের উপর কালাজাদু করতেন রিয়া।
মিতুর বন্ধু স্মিতা পারিখও এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, রিয়া আমায় জানিয়েছিল ওর প্রিয় বন্ধু বেশ কয়েক বছর আগে মারা যায়। কিন্তু সেই বন্ধুর আত্মা নাকি সবসময় রিয়ার সঙ্গেই থাকতো। বিভিন্ন বিপদে রিয়াকে রক্ষা করতো। এমনকি রিয়ার কেউ অনিষ্ট চাইলে তাকে শেষ করে দিতো রিয়ার বন্ধুর সেই অতৃপ্ত আত্মা।
এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্টে নেটাগরিকদের এক অংশ লিখতে শুরু করেন, হ্যাঁ, আমি শুনেছিলাম। কীভাবে কালাজাদু চর্চা করতে হয় তা অনেক দিন ধরেই বাঙালি নিয়মিত প্র্যাকটিস করে আসছে। আর একজনের বক্তব্য, রিয়া বাঙালি, তাই ব্ল্যাক ম্যাজিক ওর রক্তে।
শুধু কালাজাদুই নয়, একজন টুইটে লেখেন, বাঙালি মেয়েরা সবসময় ছেলেদের দমিয়ে রাখে। পয়সাওয়ালা ছেলেদের ফাঁসায়। যদি তুমি তোমার স্ত্রীর চাকর এবং একই সঙ্গে পয়সা জোগানোর মেশিন হতে চাও তবে বাঙালি মেয়ে বিয়ে করতে পার। মনে রেখো, নিজের পরিবার ছেড়ে আসতে হবে তোমাকে।
এরপরেই বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ এর বিরোধিতা করলে চুপ করে থাকতে পারেননি অভিনেত্রী এবং বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহানও। তিনি লেখেন, আমরা বাঙালি মেয়েরা রান্না করার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্ব জয় করতে পারি। শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য একটা গোটা সম্প্রদায়কে অপমান করবেন না। আমি নিশ্চিত মাছ-মশলা-মিষ্টি সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানেন না আপনি।
রিয়ার ব্যাপারে নুসরাতের বক্তব্য, যা কিছু আইনবিরুদ্ধ, মানবতা বিরুদ্ধ তাতে আমার সমর্থন নেই। আমি নিশ্চিত পুলিশ তাদের কাজ করছে। আশা করছি সত্য খুব শিগগিরিই সামনে আসবে। কিন্তু তাই বলে কেউ আমাদের সংস্কৃতিকে অসম্মান করবে তা আমি একেবারেই বরদাস্ত করব না।
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও এই বিভাজনের বিরোধিতা করেছেন। টুইটে এক ব্যক্তি বলেছিলেন, বাঙালিরা বড় মাছ ধরে, পয়সাওয়ালা ছেলেদেরই তাদের পছন্দ।
স্বস্তিকার কটাক্ষে ভরা জবাব, আমি তো রুই বা ভেটকি ভালোবাসি। এরপর সর্ষের তেল দিয়ে তা ভালো করে রান্না করে, গরম ভাতে কাঁচালঙ্কা দিয়ে খেতে ভালোবাসি। বাঙালি মেয়েরা কেউ আছো? জয়েন করবে আমার সঙ্গে?
দু-একটি বিরূপ মন্তব্য এলেও স্বস্তিকা এবং নুসরাতের কমেন্ট বক্সে একসঙ্গে গলা মিলিয়েছেন বাঙালি-অবাঙালিরা। একজন লিখেছেন, রিয়া আদপে দোষী কি-না, তা এখনও প্রমাণ হয়নি। তর্কের খাতিরে যদি ও ভুল করেও থাকে, দোষী হয়েও থাকে, আইন রয়েছে, বিচার ব্যবস্থা রয়েছে... তাই বলে একটা গোটা সম্প্রদায়কে এভাবে অপমান করা আদপে ঠিক? আমার স্ত্রী বাঙালি। ও আমার জীবনে না থাকলে আমার কী হতো আমি জানি না।
আর একজনের বক্তব্য, আপনারাই বিভাজন সৃষ্টি করেন। আপনাদের জন্যই ঐক্যে আঘাত পড়ে। সংহতি নষ্ট হয়। ভুলে যাবেন না, জাতীয় সঙ্গীত কিন্তু বাংলা ভাষাতেই লেখা হয়েছে।
ব্রিটিশ মুদ্রায় কি এবার দেখা যাবে মহাত্মা গান্ধীর মুখ! রোববার ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের অফিস জানিয়েছে, এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে ব্রিটিশ সরকার। বিশ্ব জুড়ে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিত্বদের কীর্তিকে উদ্যাপনের ফলস্বরূপ এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। মহাত্মার মতোই বিশেষ স্মারক-মুদ্রায় দেখা যেতে পারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ গুপ্তচর নুর এনায়েত খান বা জামাইকান-ব্রিটিশ নার্স মেরি সিকোলকে।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটিশ মুদ্রায় কি এবার দেখা যাবে মহাত্মা গান্ধীর মুখ! রোববার ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনকের অফিস জানিয়েছে, এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে ব্রিটিশ সরকার।
বিশ্ব জুড়ে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অ-শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিত্বদের কীর্তিকে উদ্যাপনের ফলস্বরূপ এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। মহাত্মার মতোই বিশেষ স্মারক-মুদ্রায় দেখা যেতে পারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ গুপ্তচর নুর এনায়েত খান বা জামাইকান-ব্রিটিশ নার্স মেরি সিকোলকে।
ব্রিটিশ মুদ্রায় থিম বা ডিজাইন তৈরির কাজে নিযুক্ত রয়্যাল মিন্ট অ্যাডভাইজরি কমিটি (আরএমএসি)-কে ইতোমধ্যেই চিঠি লিখেছেন ঋষি সুনক। ‘উই টু বিল্ট ব্রিটেন’নামক এক প্রচারের অংশ হিসেবেই সুনকের এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে তার দপ্তর।
তবে সুনকই প্রথম নন, পূর্বতন অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদই গত বছরের অক্টোবরে প্রথম এই দাবি তোলেন। সে সময় মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি ব্রিটিশ মুদ্রায় অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন সাজিদ। সদ্য অর্থমন্ত্রী পদে আসা ঋষি সুনকও সেই দাবি তুলেছেন।
‘উই টু বিল্ট ব্রিটেন’ নামক এক প্রচারের উদ্যোক্তা জেহরা জাহিদিকে তিনি একটি চিঠিও লিখেছেন। তাতে সুনক লিখেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী গ্রেট ব্রিটেনের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ওই সমস্ত জনগোষ্ঠী একত্রিত হয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ দেশের জন্য লড়াই করেছে, মৃত্যুবরণ করেছে, ব্রিটেনের কর্মসংস্থান ও উন্নতিতে অবদান রেখেছে।
এ নিয়ে আরএমএসি-র প্রধান লর্ড ওয়ার্ডগ্রেভকেও চিঠি দিয়েছেন সুনক। যাতে এই অ-শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর অবদানের কথা মাথায় রেখে ব্রিটিশ মুদ্রায় তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকে। সূত্র: আনন্দবাজার।
মহামারী করোনা সাপে বর হয়ে গেলে ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির। করোনার কারণে পরীক্ষা ছাড়াই পাস করে গেলেন তিনি।
১৯৮৭ সাল থেকে দশম শ্রেণিতে পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু এই ৩৩ বছরেও পাসের মুখ দেখেননি তিনি।
ভারতের সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জি-নিউজ জানিয়েছে, ৩৩ বছর ধরে দশম শ্রেণিতে প্রতিবছরই পরীক্ষায় অংশ নিতেন মহম্মদ নুরুদ্দিন নামে হায়দাবাদের এক বাসিন্দা। কিন্তু কখনও ধৈর্য হারা হননি। অধ্যবসায় চালিয়েই গেছেন। অনেকেই তাকে বিকারগ্রস্থ বলেছে। নামের সঙ্গে আদু ভাই তকমা জুটেছে। তবুও পিছপা হননি। নিয়মিতই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে গেছেন। অবশেষে নিজে না পারলেও করোনার কারণে পাস করলেন তিনি।
Post Written by : Rubel Islam
Original Post URL : https://ift.tt/3fleS6P
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় যৌথ তদন্ত দল চায় সেনাসদর
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
জাতীয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
একইসঙ্গে ঘটনাটির যথাযথ তদন্তের প্রয়োজনে উভয় বাহিনীর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ তদন্ত দল গঠন করাসহ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ আইনের আওতায় আনা যেতে পারে বলে সেনাসদর এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহে এলিদ মাইনুল আমিন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, তিন সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলি। অন্য দুই সদস্য হলেন কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধি। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের ভেতরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, কমিটি ঘটনার বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার কারণ, উৎস অনুসন্ধান করবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় ইত্যাদি সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণপূর্বক সুস্পষ্ট মতামত দেবে।
অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর শনিবার বিকালে মেরিন ড্রাইভ রোডের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একটি তদন্ত দল পরিদর্শনে গিয়েছে।
ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত: সেনাসদর এ ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত জানিয়ে সেনাসদর বলছে, মেজর (অব.) সিনহা গাড়ি থামিয়ে তাদের পরিচয় দিলে প্রথমে তাদের যাওয়ার জন্য সংকেত দিলেও এসআই লিয়াকত তাদের পুনরায় থামায় এবং তাদের দিকে পিস্তল লক্ষ্য করে গাড়ি থেকে নামতে বলে। মেজর সিনহা হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নামার পরপরই এসআই লিয়াকত তাকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি করে। জানা যায় যে, এসআই লিয়াকত কোনরূপ কথাবার্তা না বলেই গাড়ি থেকে নামার পরপরই মেজর সিনহাকে করে লক্ষ্য গুলি করে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সেনাসদর জানায়: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ দু’টি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে দেশমাতৃকার সেবায় কাজ করে আসছে। পেশাদার এ দুটি বাহিনীর মধ্যকার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও কর্মপরিবশে অত্যন্ত চমৎকার। কক্সবাজার পুলিশ দ্বারা বর্ণিত অপ্রীতিকর ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত।
ঘটনার বিবরণী বিশ্লেষণ করে সেনাসদর বলছে: প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী স্যুটিংয়ের জন্য মেজর (অব.) সিনহা সামরিক পোশাক পরিধান করেছেন, যা পরিধান করার আগে স্থানীয় সেনা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা উচিত ছিল।
একজন সামরিক পোশাকধারী কর্মকর্তা পরিচয় প্রদানের পরও কোনো জিজ্ঞাসাবাদ ব্যতিত এসআই লিয়াকত কর্তৃক গুলিবর্ষণ করার ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একইসাথে একজন ব্যক্তি হাত তুলে গাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাকে আটক না করে সরাসরি গুলি করা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভুত।
পুলিশ কর্তৃক এএসইউ এর মাঠকর্মী পরিচয় জানার পরেও তার পরিচয় ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়াটা সমীচিন হয়নি।
সেনাসদর জানায়: সামরিক পোশাক পরিহিত থাকা অবস্থায় মেজর (অব.) গুলি করার পরই তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্ট অভিযোগ উত্থাপনের ঘটনাটিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা বলে অনুমেয়।
ঘটনাটির যথাযথ তদন্তের প্রয়োজনে উভয় বাহিনীর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ তদন্ত দল গঠন করাসহ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।
করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ সম্মুখ সারিতে থেকে দেশের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে দুই বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যে কোন ধরণের ভুল বুঝাবুঝি এড়ানোর লক্ষ্যে যৌথ তদন্ত কার্যক্রম অনতিবিলম্বে শুরু করা এবং তা সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহতি করা উচিৎ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে সিনহা রাশেদ খান নিহত হন।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ জানিয়েছে: সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে অপর একজন সঙ্গীসহ টেকনাফ থেকে কক্সবাজার আসছিলেন। মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি করতে চাইলে সেনা কর্মকর্তা বাধা দেন। এই নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সেনা কর্মকর্তা তার কাছে থাকা পিস্তল বের করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান গুরুতর আহত হন। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শনিবার সকালে নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন: শামলাপুরের লোকজন ওই গাড়ির আরোহীদের ডাকাত সন্দেহ করে পুলিশকে খবর দেয়। এই সময়ে পুলিশ চেকপোস্টে গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গাড়ির আরোহী একজন তার পিস্তল বের করে পুলিশকে গুলি করার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। এতে ওই ব্যক্তি মারা যান।
মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা রাশেদ খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন উপসচিব মো. এরশাদ খানের ছেলে। তিনি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে ২০০২ সালে এইচএসসি পাস করেন। তিনি গত ৩ জুলাই ঢাকা থেকে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিনজন ছাত্রছাত্রীসহ একটি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি ট্রাভেল ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজার আসেন। প্রায় এক মাস যাবত তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে শুটিং করেন।
অন্যদিকে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তার রাজউক কলেজের বন্ধুরা। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাসখো বলেছেন, করোনাভাইরাস ঠেকাতে আগামী অক্টোবরে গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এটি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাসখো বলেছেন, করোনাভাইরাস ঠেকাতে আগামী অক্টোবরে গণহারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এটি।
শনিবার (১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, এ মাসেই রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসক ও শিক্ষকদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
এদিকে, বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে মিখাইল মুরাসখো বলেন, মস্কোর গামালেয়া ইনস্টিটিউটে তৈরি এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এখন অনুমোদন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির কাজ চলছে।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি আশা প্রকাশ করে বলেন, মানবদেহে প্রয়োগের আগে ভ্যাকসিনের সত্যিকার অর্থেই পরীক্ষা করবে রাশিয়া ও চীন। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকর হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে ২০টির বেশি ভ্যাকসিন।
এখনও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড এমনটাই বলছে। প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখের মতো মানুষের দেহে নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। রোববার (২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে।
দেশে দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জারি কঠোর বিধি-নিষেধগুলো প্রত্যাহার কিংবা শিথিল হওয়ার পর থেকে ভাইরাসটির বিস্তার ছড়াচ্ছে দ্রুত। একের পর এক ভাঙ্গছে দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত শুক্রবার নতুন করে ২ লাখ ৯২ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
করোনা মহামারি দীর্ঘদিন ধরেই চলবে বলে সতর্ক করে দিয়ে ডব্লিউএইচও বলছে, লকডাউন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বাড়ছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে প্রত্যেক দেশকে তার নিজের সীমানার মধ্যে আরও কঠোর হয়ে সংক্রমণ রোধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচও এর প্রাত্যহিক প্রতিবেদনে, বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের খবর দিয়ে বলা হচ্ছে, এখন বেশিরভাগ রোগীর সংক্রমণ ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে রয়েছে এসব দেশ।
শীর্ষস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪৮ লাখ। দেশটিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত প্রায় ১ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ইতোমধ্যে মারা গেছে। ব্রাজিলে আক্রান্ত ২৭ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে ৯৩ হাজার ৬১৬ জন আর বেঁচে নেই। প্রতিবেশী ভারতেও আক্রান্ত সাড়ে ১৭ লাখ; প্রাণহানি ৩৭ হাজার ৪০৩।
ভারতে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। টানা কয়েকদিন ধরে দেশটিতে অর্ধ লক্ষাধিক রোগী শনাক্ত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় আটশো করে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে দেশটিতে। তবে ঊর্ধ্বমুখী এই সংক্রমণের মধ্যে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে জারি জারি বিধিনিষেধগুলো প্রত্যাহার কিংবা শিথিল হচ্ছেই।
যুক্তরাষ্ট্রে কেবল জুলাই মাসেই প্রায় ২৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এই সময়ে ১৮ অঙ্গরাজ্যে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। নতুন করে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ শনাক্ত হয়েছেন; যা গত মাসের তুলনায় বেড়েছে ৬৬ শতাংশ। এছাড়া জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মৃতের সংখ্যা ১৯ শতাংশ বেড়েছে।
শুধু আক্রান্ত নয়; জুন কিংবা জুলাইয়ের শুরুতেও বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারের কম। কিন্তু জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ধীরে ধীরে এই সংখ্যাটাও বাড়তে শুরু করেছে। ডব্লিউএইচও এর হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী এখন প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার করে কোভিড-১৯ রোগী মারা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
করোনাভাইরাস মারাত্মকভাবে বিস্তার ছড়াচ্ছে বর্তমানে এই তালিকায় থাকা শীর্ষ দেশগুলোর একটি দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে শনাক্ত রোগীর অর্ধেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার।
ভারতে আরএসএসের দাবিতে শিক্ষানীতি পরিবর্তনের অভিযোগ
ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের মূল সংগঠন উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ-আরএসএসের দাবি পূরণ করতেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন-এসএফআই।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের মূল সংগঠন উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ-আরএসএসের দাবি পূরণ করতেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন-এসএফআই।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় এক প্রতিবাদ সভা থেকে এই ছাত্র সংগঠনের নেতারা বলেন, এই শিক্ষানীতি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সংস্কৃত ও দেশের অন্য প্রাচীন ভাষা চাপিয়ে দিচ্ছে।
কয়েকদিন আগে আমূল সংস্কার এনে নতুন শিক্ষানীতির খসড়া গ্রহণ করে বিজেপি সরকার। এতে সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সংস্কৃত ভাষা অধ্যয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১৯৮৬ সালে গৃহীত শিক্ষানীতির পরিবর্তে নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে। গত ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই খসড়া গ্রহণ করেছে।
অবিলম্বে এই শিক্ষানীতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এসএফআইয়ের অভিযোগ, নতুন শিক্ষানীতি গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে জগাখিচুড়ি বানিয়েছে। বিভ্রান্ত করেছে শিক্ষার্থীদের।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, এই শিক্ষানীতি ঘুরিয়ে আপনার ওপর সংস্কৃত ও দেশের অন্য প্রাচীন ভাষা চাপিয়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই ভাষাগুলো শেখার পরিসর আছে। তারপরে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে এই ভাষা চাপিয়ে দেওয়া কেন?
তিনি বলেন, এই ভাষাগুলো নিয়ে কেউ গবেষণা করলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু স্কুল ও কলেজগুলোতে আরএসএসের দাবি মেটাতে ঘুরিয়ে এই ভাষাশিক্ষা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
সারাদেশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনিবার (১ আগস্ট) ঈদের দিন সন্ধ্যায় আসা ১৮৮টি নমুনার ফলাফলে নতুন করে ৩৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ৪৮৭ জন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদরের ২২ জন, শিবগঞ্জের ১২ জন ও গোমস্তাপুর উপজেলার ৫ জন রয়েছেন। শনাক্তদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সরকার।
সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৯ জুলাই সংগৃহীত নমুনার ফলাফলে নতুন ৩৯ জন শনাক্ত হন।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সদর ইউএনও কয়েকদিন থেকেই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। তিনি সুস্থ আছেন ও বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৪৮৭ জন শনাক্তের মধ্যে সদরের ২৪৯, শিবগঞ্জের ১১৬, গোমস্তাপুরের ৫৩, নাচোলের ৩৯ ও ভোলাহাটের ৩০ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসাপাতালের করোনা ওয়ার্ডে শনিবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আলী (৭৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জেলার সীমানায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বালিয়াঘাট্টা চৌহদ্দীটোলা গ্রামের মৃত সলেমানের ছেলে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন জানান, সৈয়দ আলী গত শুক্রবার (৩১ জুলাই) হাসপাতালে ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) জাহিদুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (১ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনার কিছু উপসর্গ দেখা দিলে চারদিন আগে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম নমুনা প্রদান করেন।
শনিবার কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাব থেকে যে ৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, এর মধ্যে পুলিশ সুপারও ছিলেন। তবে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ্য আছেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক জানান, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের শরীরে কয়েকদিন আগে থেকে করোনার কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। এরপর নমুনা দিয়ে তিনি সরকারি বাসভবনে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকে তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে করোনভাইরাস সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সরকারি হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বলে বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে করোনভাইরাস সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সরকারি হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বলে বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেউইলিনি এমখিজে শনিবার (১ আগস্ট) জানান, চব্বিশ ঘণ্টায় দেশটিতে ১০ হাজার ১০৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। তাতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ২৯০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১৫৩ জনের।
করোনার সংক্রমণের শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম হটস্পটে পরিণত হয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের মোট আক্রান্তের অর্ধেকই এই দেশটিতে। আক্রান্তের বৈশ্বিক তালিকায় পঞ্চমস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপরে থাকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ভারতের পরেই তাদের অবস্থান।
তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দক্ষিণ আফ্রিকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে না।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে আক্রান্তের বেশির ভাগই হচ্ছে রাজধানী প্রিটোরিয়াসহ শরহরগুলোতে।
মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনৈতিক কেন্দ্র বলে পরিচিত গাওটেংয়ের। এই প্রদেশটি দেশটির করোনার এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ আফ্রিকায় এপ্রিলে ও মে মাসে লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল। জুন থেকে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে। তবে মদ্য বিক্রিসহ বেশ কিছু বিষয়ে এখনও বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে দেশটির সরকার। লকডাউন শিথিল করার পর থেকেই সংক্রমণ হার বাড়ছে বেশি।
হত দরিদ্র ও পথশিশুদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেন সাংসদপুত্র
সারাদেশ
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
করোনাকালীন সময়ে এবার অন্যরকমভাবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন চট্টগ্রামের রাউজানের সাংসদ, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ও তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।
শনিবার (১ আগস্ট) ঈদের দিন সকালে রাউজানের গহিরাস্থ বক্স আলী চৌধুরী বাড়ীতে ঈদের নামাজ আদায় করে পশু কোরবানি দেন তিনি।
এরপর রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফারাজ করিম চৌধুরী। দরিদ্র মানুষের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা করেন তিনি। সবশেষে রাউজান উপজেলা সদরের মুন্সির ঘাটায় অবস্থিত উদ্দীপ্ত তরুণ বিদ্যাপীঠ এর শিক্ষার্থী ও পথশিশুদের জন্য ঈদের উপহার বিতরণ করেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান উদ্দীপ্ত তরুণ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক দীপলু দে দীপু, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসিফ, সবুজ দে ভানু, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতী, রাউজান উদ্দীপ্ত তরুণ এর সভাপতি মুহাম্মদ রবিন, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ হিমু, মুহাম্মদ ইউসুফ, সংগঠনের সদস্য মাহাফুজ, সাগর, জনি, মহিম, মারুফ, সাকিব, শোহাব প্রমুখ।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলা এবং অর্থনীতি ঠিকভাবে সামাল দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চেয়ে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার (১ আগস্ট) কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে জড়ো হয়।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলা এবং অর্থনীতি ঠিকভাবে সামাল দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চেয়ে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
শনিবার (১ আগস্ট) কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে জড়ো হয়।
বিক্ষোভকারীরা মধ্য জেরুজালেমের সড়কে বিক্ষোভ করেন। সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
জেরুজালেম ছাড়া তেলআবিব এবং মধ্য ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর সৈকত ভবনের কাছেও বিক্ষোভকারীদের ছোট জমায়েত দেখা যায়। এছাড়া দেশের ব্যস্ততম সংযোগ সড়কগুলোতে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে শনিবার সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয়। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ২০১১ সালের বিক্ষোভের পর এই প্রথম এত জনসমাগম হলো।
বিক্ষোভকারীরা করোনা মোকাবিলায় নেতানিয়াহুর ভূমিকার প্রতিবাদ জানিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেন। দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তারা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, নেতানিয়াহুর সরকারি বাসভবনের সামনে ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী জড়ো হন। বিপুল সংখ্যক হলে বিকেলের দিকে তারা সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
অবশ্য বিক্ষোভের বিষয়টি আমলে নিতে চাচ্ছেন না নেতানিয়াহু। যদিও বিক্ষোভ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এর আগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।
মানবতার তরে 'দুই টাকায় শিক্ষা' ফাউন্ডেশনের ভিন্ন রকম ঈদ উদযাপন
সারাদেশ
মো. জয়নাল আবেদিন
'শিক্ষা, ঐক্য, সততা জয় করব মানবতা' স্লোগানকে ধারণ করে 'দুই টাকায় শিক্ষা, ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মানবতার তরে কোরবানির গোশত বিতরণ করা হয়েছে। গরীব, অসহায়, যাদের কোরবানি করার সামর্থ্য নেই এমন ৪১টি পরিবারের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরণ করে ফাউন্ডেশনটি।
২০২০ সালের ২০ই জুন কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের শহীদ এটিএম জাফর আলমের জম্মস্থান ঐতিহ্যবাহী রুমখাঁ মাতবর পাড়া ও রুমখাঁ বাজার পাড়া গ্রামের সুশিক্ষিত একঝাঁক মানবতাবাদী তরুণের সমন্বয়ে ফাউন্ডেশনটির যাত্রা শুরু হয়। হত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করা,শিক্ষার হার বৃদ্ধি, শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা,আর্থিক অভাবে ঝড়ে পড়া শিশুদের নিয়ে 'দুই টাকায় শিক্ষা' ফাউন্ডেশন কর্তৃক স্কুল প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে ফাউন্ডেশনটির অগ্রযাত্রা শুরু হয়। এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রেও দরিদ্র পরিবারে মানবিক সহায়তা প্রদান করার জন্য সদা-প্রস্তুত ফাউন্ডেশনটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তহবিল সংগ্রহ করা হবে সদস্য ও শুভাকাক্ষীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে। সদস্যরা প্রতিদিন দুই টাকা করে মাসে ৬০ টাকা প্রদান করবে। চাইলে এর চেয়েও বেশী দিতে পারবে। তবে শুভাকাক্ষীদের দানে তহবিল গঠনের মাধ্যমে কুরবানি করা হয় এবং ৪১টি অসহায় পরিবারের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরণ করা হয়।
কোরবানি করতে পারেনি এবং দারিদ্র পরিবার খোঁজ করে তালিকা করা হয়। তালিকাভুক্ত অনুপস্থিত কিছু পরিবারে ফাউন্ডেশনের সদস্যরা বাইকে করে কোরবানির গোশত বাড়িতে পৌঁছে দেন।
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা খাইরুল আমিন বলেন, আমরা প্রতিদিন নূন্যতম দুই টাকা করে সঞ্চয় করবো ( দিতে চাইলে বেশি নেয়া যাবে ) এবং মাস শেষে প্রত্যেকের টাকাগুলো একত্রিত করে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করবো। এভাবে প্রতি মাসব্যাপী আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, 'দুই টাকায় শিক্ষা' এর সদস্য হয়ে সহযোগিতা করে পাশে থাকবেন। আপনাদের সহযোগিতা,উৎসাহ, অনুপ্রেরণা এবং আন্তরিক দোয়া আমাদের কাজের গতিকে আরো তরান্বিত করবে বলে তিনি আশা করেন।
করোনার সংক্রমণ রোধে ৩১টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। শনিবার (১ আগস্ট) থেকে বন্ধের এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির সিভিল অ্যাভিয়েশনের মহাপরিচালক।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, মিশর, ফিলিপাইন, লেবানন, শ্রীলঙ্কা। এসব দেশের বড় আকারের বিমান যোগাযোগ রয়েছে কুয়েতের সঙ্গে। তালিকায় চীন, ইরান, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইতালি ও ইরাকও রয়েছে।
অল্প পরিসরে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর ঘোষণা দেয়ার দিনই কুয়েত এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার থেকে কুয়েতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সক্ষমতার ৩০ শতাংশ নিয়ে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করবে। যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে।
মিশরের জাতীয় বিমান সংস্থা ইজিপ্টএয়ারও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে অর্ধেক পরিসরে বিমান চলাচল শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
কুয়েতে ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই মহামারিতে ৪৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ আগস্ট) দুপুরে চেচড়া সীমান্তের ছোট যমুনা নদীর পাড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখায় আটাপাড়া ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার রবিউল ইসলাম ও বিএসএফ ভারতের হিলি ক্যাম্প কমান্ডার সংগ্রাম দুই বাহিনীর পক্ষে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
আটাপাড়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিজিবির পক্ষে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। এসময় বিএসএফও শুভেচ্ছা জানান। সীমান্তে সৌহার্দ্য-সম্প্রতি-ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার লক্ষ্যে দুই দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবগুলোতে আমরা একে অপরকে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই।’
Post Written by : Admin
Original Post URL : https://ift.tt/30n02sl
Post Come trough : Nachole News | নাচোল নিউজ
স্টিং অপারেশনে রিয়ার বিরুদ্ধে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
যত সময় এগোচ্ছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুরহস্যে ‘স্বজনপোষণ’-এর পাশাপাশি অভিযোগের আঙুল দৃঢ় হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই পালাবদল স্পষ্ট করে ধরা পড়েছে সম্প্রতি সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ পটনায় রিয়া এবং তার পরিবারের সদস্য-সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর।
বিনোদন
বিনোদন ডেস্ক
যত সময় এগোচ্ছে, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুরহস্যে ‘স্বজনপোষণ’-এর পাশাপাশি অভিযোগের আঙুল দৃঢ় হচ্ছে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এই পালাবদল স্পষ্ট করে ধরা পড়েছে সম্প্রতি সুশান্তের বাবা কে কে সিংহ পটনায় রিয়া এবং তার পরিবারের সদস্য-সহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর।
এবার রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীরকে আরও তীক্ষ্ণ করল একটি ভারতীয় চ্যানেলের স্টিং অপারেশন। সেখানে চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে কথা বলেছেন সুশান্তের ফিটনেস ট্রেনার (শরীরচর্চা প্রশিক্ষক) সমীর আহমেদের সঙ্গে।
গত পাঁচ বছর সমীরের তত্ত্বাবধানে শরীরচর্চা করেছেন সুশান্ত। পেশাদার সম্পর্কের বাইরে তিনি সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন বলে জানান সমীর। তার বিস্ফোরক দাবি, সুশান্ত কী ওষুধ খাবেন, সেটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতেন রিয়া।
ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে রিয়া তার আবেদনে জানিয়েছেন, সুশান্ত অবসাদের শিকার ছিলেন এবং দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অবসাদের ওষুধ খাচ্ছিলেন। কিন্তু সত্যিই কি পর্দার এম এস ধোনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন? এ প্রশ্ন এবার উঠে আসছে ট্রেনার সমীরের বক্তব্যেও।
স্টিং অপারেশনে তিনি দাবি করেছেন, সুশান্তের সঙ্গে তার শেষ কথা হয়েছিল গত ১ জুন। তার আগে ২৯ মে নিজের মাকে হারিয়েছিলেন সমীর। সে কথা জানতে পেরে নিজেই তাকে ফোন করেছিলেন সুশান্ত।
ফোনে কথা বলার সময় সুশান্ত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিলেন বলে দাবি সমীরের। যেকোনও প্রয়োজনে সমীর আসতে পারেন তার কাছে, এমন আশ্বাসও নাকি এসেছিল বড় পর্দার সত্যান্বেষীর কাছ থেকে। সেই ‘স্বাভাবিক’ সুশান্ত কীভাবে নিজেকে শেষ করে দিতে পারেন মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে? হিসাব মেলাতে পারছেন না সমীর। পারছেন না অনেকেই। এখনও অবিশ্বাসের ঘোর কাটছে না সুশান্তের পরিজনদের।
তার বোনের বক্তব্য, গত ৮ জুন তিনি রিয়ার ফোন পান। রিয়া তাকে জানান, সুশান্তের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে। তিনি সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে ফিরে যাচ্ছেন নিজের বাড়িতে। যাওয়ার সময় রিয়া তার নিজের এবং সুশান্তের কিছু জিনিস নিয়ে যান বলে দাবি সুশান্তের বোনের। তিনি আর ফিরতে নাও পারেন, এমনও নাকি জানিয়ে গিয়েছিলেন রিয়া।
রিয়ার অনুরোধমতো সুশান্তের কাছে এসে কয়েক দিন ছিলেনও তার বোন। কিন্তু চার দিন সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্টে থাকার পর তার বোন গত ১২ জুন নিজের বাড়িতে ফিরে যান। তার ঠিক দু’দিন পর তার ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।
তিনি যে গত এক বছর সুশান্তের সঙ্গে ছিলেন, সে কথা স্বীকার করেছেন রিয়া নিজেও। সুপ্রিম কোর্টেও তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তের সঙ্গে তার লিভ ইন সম্পর্কের কথা। কিন্তু তিনি বারবার দাবি করেছেন, সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। রিয়া জোর দিয়েছেন সুশান্তের অবসাদ এবং সেই সংক্রান্ত চিকিৎসার ওপর।
কিন্তু এই ‘ওষুধ’-এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ট্রেনার সমীর। তার প্রশ্ন, ওষুধ দেওয়ার আগে কি সুশান্তের সঙ্গে কথা বলেছিলেন চিকিৎসক? মানসিক অবসাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক-রোগী কাউন্সেলিং বিশেষ প্রয়োজন। সেটা কি সুশান্তের বেলায় হয়েছিল? প্রশ্ন সমীরের।
তার ক্লায়েন্ট কী ওষুধ খাচ্ছেন, সেটা একজন ফিটনেস ট্রেনারের জানাটা খুবই জরুরি। সেইমতো তিনি ফিটনেস রুটিন ঠিক করেন। কিন্তু সুশান্তের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক সমীরের দাবি, অভিনেতা কী ওষুধ খেতেন, সেটা জানতেন একমাত্র রিয়া।
শরীরচর্চার ক্ষেত্রে সুশান্ত যে খুব ভাল এগোচ্ছিলেন, সে কথা জানিয়েছেন সমীর। তবে নায়কের ব্যক্তিগত পরিসরে যে একটা বড় পরিবর্তন হয়েছিল, টের পেয়েছিলেন বলে দাবি করেন সমীর। বেশ কয়েক বছর তারকাকে কাছ থেকে দেখা এই অভিজ্ঞ ট্রেনারের দাবি, সুশান্তের জীবনে রিয়া আসার পরই সব পাল্টে যেতে থাকে।
এই পরিবর্তনের জেরে তাদের ছেলে যে জীবন শেষ করার দিকে এগোচ্ছেন, সে কথা বিন্দুমাত্র টের পাননি সুশান্তের বাড়ির লোকজন। গত ২১ জানুয়ারি বিহারে, নিজের পারিবারিক বাড়িতে জন্মদিন কাটিয়েছিলেন সুশান্ত। কিন্তু সে সময় তার মধ্যে মানসিক অবসাদের কোনও লক্ষণ দেখতে পাননি পরিজনরা।
এমনকি, পরিবারের দাবি, রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সুশান্তের প্রেম নিয়ে কিছুই জানতেন না তারা। রিয়াকে তারা কখনও দেখেননি এবং সুশান্তের মুখেও কখনও রিয়ার নাম শোনেননি৷ সুশান্তের বাবার অভিযোগ, সুশান্ত আগে যে বাড়িটায় বাস করতেন সেখানে ভূতপ্রেত আছে বলে সেই বাড়ি তাকে ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন রিয়া৷ সুশান্তের ‘মানসিক অবসাদ’-এর চিকিৎসাও নাকি করতেন রিয়ার পরিচিত চিকিৎসক।
তদন্তে নেমে বিহার পুলিশ জানতে পেরেছে, সুশান্তের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর ধীরে ধীরে তার পুরনো লোকদের সরিয়ে দেন রিয়া। পরিবর্তে, সুশান্তের চারপাশে রিয়া নাকি রেখেছিলেন নিজের লোক। পুরনো ভৃত্য, রাঁধুনিকে খারিজ করেন রিয়া। লকডাউনের আগে পরিবর্তন করেন সুশান্তের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে। কেন? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
তারা কথা বলেছেন সুশান্তের এই সাবেক কর্মচারীদের সঙ্গে। বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুরনো পরিচারক ও রাঁধুনি জানিয়েছেন, সুশান্তকে নিজের অঙ্গুলিহেলনে চালাতে ভালবাসতেন রিয়া। তিনি কী ওষুধ খাবেন, সেটা দেখাশোনা করতেন নিজে। এমনকি, সুশান্ত কোনও কোনও সময় ওষুধ খেতে ভুলে গেলে রিয়া নাকি নিজেই ওষুধ তুলে দিতেন তার হাতে। পুলিশের কাছে জানিয়েছেন সুশান্তের সাবেক পরিচারক ও রাঁধুনি।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার পাশাপাশি রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ তুলেছেন কে কে সিংহ। তার অভিযোগ, সুশান্তের একটি অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিল এমন এক অ্যাকাউন্টে, যার সঙ্গে সুশান্তের কোনও সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে, আরেকটি সংবাদমাধ্যমে সুশান্তের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়ার অ্যাকাউন্টে কোনওদিন বড় অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার হয়নি।
তবে আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গে সুশান্তের বাবা কে কে সিংহের অভিযোগকেই গুরুত্ব দিচ্ছে ইডি। বিহার পুলিশের কাছে কে কে সিংহ যে এফআইআর দায়ের করেছেন, তার একটি কপি দেখতে চেয়েছে ইডি।
রিয়া, তার ভাই-সহ পরিবারের মোট ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এফআইআর-এ। আর্থিক প্রতারণার পাশাপাশি সুশান্তকে মানসিক নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার দায়েও অভিযুক্ত করা হয়েছে চক্রবর্তী পরিবারকে।
এই মামলা পাটনা থেকে মুম্বাইয়ে সরানো হোক, ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে আবেদন করেছেন রিয়া। অভিনেত্রীর সংশয়, বিহার পুলিশ তদন্ত করলে তিনি সুবিচার পাবেন না।
সেই সঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য টুইটারে অমিত শাহের কাছে আবেদন করেছেন রিয়া। জানিয়েছেন, তিনি চান সুশান্তের রহস্যমৃত্যুতে সত্য প্রকাশিত হোক। তবে সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকেও সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
চুপ করে নেই রিয়াও। তিনিও পাল্টা অভিযোগ এনেছেন সুশান্তের পরিজনদের বিরুদ্ধে। রিয়ার অভিযোগ, তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করছেন সুশান্তের আত্মীয়রা। তাছাড়া, সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও নিজের বয়ানে তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে জোর করা হয়েছে বলে দাবি অভিনেত্রীর।
রিয়ার দাবি, মুম্বাই পুলিশকে একটি ইমেল করেছেন সিদ্ধার্থ। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, গত ২২ জুলাই কনফারেন্স কলে তার সঙ্গে কথা বলেন সুশান্তের বোন মিতু এবং তার স্বামী আইপিএস অফিসার ওপি সিংহ। সেখানে আইপিএস সিংহ জানতে চান রিয়ার সম্বন্ধে। সুশান্তের সঙ্গে রিয়া যখন লিভ ইন করছিলেন, সে সময়কার খরচের বিশদ হিসাবও চেয়ে পাঠান।
মুম্বাই পুলিশকে পাঠানো সিদ্ধার্থের ইমেলে নাকি আরও একটি ফোন কলের উল্লেখ আছে বলে দাবি রিয়ার। সেই ফোন তিনি নাকি পেয়েছিলেন ২৭ জুলাই। ফোনের ওপারে আইপিএস সিংহ নাকি সিদ্ধার্থকে বিহার পুলিশের কাছে রিয়ার বিরুদ্ধে বয়ান দিতে বলেন। তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও মুম্বাই পুলিশকে জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ।
সব মিলিয়ে, সুশান্ত কাণ্ডে এখন বেশ কোণঠাসা রিয়া। রিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনায় এসেছে সুশান্তের সাবেক প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডের সাম্প্রতিক বক্তব্য। তার দাবি, সুশান্ত তাকে বলেছিলেন, রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে তিনি খুশি নন। সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে নিজের চ্যাটের ছবিও সুশান্তের পরিবারকে দিয়েছেন অঙ্কিতা।
‘স্বজনপোষণ’, ‘অবসাদ’-এর মতো সম্ভাবনাকে ছাপিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় খলনায়িকা রিয়া-ই। বিশেষ করে সাম্প্রতিক স্টিং অপারেশনের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি সুশান্তের অপমৃত্যু আসলে ধীরে ধীরে পরিকল্পিত একটি পরোক্ষ হত্যা? সূত্র: আনন্দবাজার